মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
১. ইসলামের আগমন হয়েছে এমতাবস্থায় যে, দাস-দাসীর ব্যাপারটি ছিল গোটা বিশ্বের সকল প্রান্তে একটি স্বীকৃত প্রথা ও ব্যবস্থাপনা, বরং তা ছিল অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বা কর্মতৎপরতা এবং সামাজিক প্রচলন, যাকে কোনো মানুষ অস্বীকার করতে পারে না; আর কোনো মানুষ তার পরিবর্তনের সম্ভাব্যতার ব্যাপারে চিন্তাও করতে পারে না !!
২. ইসলামের পূর্বে বিশ্বের রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে দাস করার উৎস ছিল বিভিন্ন ধরনের:
- এই উৎসসমূহের মধ্য থেকে অন্যতম একটি হলো, যুদ্ধসমূহের মধ্যে দাস-দাসী বানানোর প্রবৃত্তি এবং জনগোষ্ঠীর রক্ত শোষণ করা ...।
- এই উৎসসমূহের মধ্য থেকে অন্যতম আরেকটি হলো দারিদ্রতার কারণে অথবা ঋণ পরিশোধ করতে না পারার কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে দাস-দাসীতে পরিণত করা ...।
- এই উৎসসমূহের মধ্য থেকে অন্যতম আরেকটি হলো, চুরি অথবা হত্যার মত মারাত্মক ধরনের অপরাধে জড়িয়ে যাওয়ার কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে দাস-দাসীতে পরিণত করা ...।
- এই উৎসসমূহের মধ্য থেকে অন্যতম আরেকটি হলো মাঠের মধ্যে কাজ করা এবং তাতে অবস্থান করার জন্য কোনো ব্যক্তিকে দাস-দাসীতে পরিণত করা ...।
- এই উৎসসমূহের মধ্য থেকে অন্যতম আরেকটি হলো ছিনতাই বা অপহরণ এবং বন্দী করার মাধ্যমে কোনো ব্যক্তিকে দাস-দাসীতে পরিণত করা ...।
- এই উৎসসমূহের মধ্য থেকে অন্যতম আরেকটি হলো অভিজাত শ্রেণী ও বড় লোকদের সাথে অসদ্ব্যবহার করার কারণে কোনো ব্যক্তিকে দাস-দাসীতে পরিণত করা ...।
এগুলো ছাড়াও আরও নানা ধরনের উৎস রয়েছে, যেগুলোকে তারা মানুষের স্বাধীনতা হরণ করার জন্য ন্যায়সঙ্গত কারণ বলে বিবেচনা করে এবং তাকে মনিবদের সামনে অনুগত দাস বা গোলামে পরিণত করে !!
৩. রোমান, পারস্য, ভারত, চীন, গ্রীক প্রভৃতি রাজ্যে দাস-দাসীর সাথে আচরণ ছিল বর্বর ও নিষ্ঠুর পদ্ধতিতে; সেখানে তার মানবতা ছিল উপেক্ষিত, তার সম্মান ছিল ভূলুণ্ঠিত এবং কাজের ক্ষেত্রে তার জবাবদিহীতা ছিল অত্যন্ত কঠিন ..., যদিও এক রাষ্ট্র থেকে অন্য রাষ্ট্রের বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতার পরিধির মধ্যে কম বেশি পার্থক্য ছিল।
রোমান সমাজে দাস-দাসীর সাথে আচরণের কিছু নমুনা আপনাদের সামনে তুলে ধরা হল:
রোমন জাতির নিকট যুদ্ধ বা আগ্রাসন ছিল জনগোষ্ঠীকে দাস-দাসী বানানোর অন্যতম মূল উৎস বা উৎপত্তিস্থল; আর এই আগ্রাসন কোনো সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত ও নীতির উপর ভিত্তি করে সংঘটিত হতো না, বরং তার একমাত্র কারণ ছিল অন্যদেরকে গোলাম বানানো এবং তাদেরকে তাদের বিশেষ স্বার্থে ও ব্যক্তিগত ফায়দা হাসিলের জন্য নিজেদের অধীনস্থ করা, যেমনটি ‘আশ-শুবহাত’ ( الشبهات ) নামক গ্রন্থের লেখক উল্লেখ করেছেন।
আর তা এ জন্যে যে, যাতে রোমানরা অহঙ্কারী ও বিলাসবহুল জীবন যাপন করতে পারে; আর শীতল ও উষ্ণ গোসলখানাসমূহ দ্বারা (আরাম) উপভোগ করতে পারে; আরও উপভোগ করতে পারে অহঙ্কারী পোষাক এবং রং বেরং -এর সুস্বাদু খাবারসমূহ; বরং তারা ডুবে থাকবে অহঙ্কারময় ভোগবিলাসে এবং মদ, নারী, নৃত্য, অনুষ্ঠানাদি এবং বিভিন্ন পর্ব ও উৎসবের মত পাপ-পঙ্কিলময় আমোদ-প্রমোদে।
... এই জন্যই অপর জনগোষ্ঠীকে দাস-দাসী বানানো, তাদের রক্ত শোষণ করা এবং তাদের নারী ও পুরুষদেরকে দাস-দাসী হিসেবে মালিকানা গ্রহণ করাটা আবশ্যক ছিল !! ...
এই পাপ-পঙ্কিলময় কামনা-বাসনার পথ ধরেই গড়ে উঠে রোমানীয় উপনিবেশবাদ এবং দাসত্ব প্রথা, যার উৎপত্তি এই উপনিবেশ থেকেই।
রোমানীয় রাষ্ট্রে দাস-দাসীদের সাথে নিষ্ঠুর আচরণের কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ চিত্র:
দাস-দাসীগণ মাঠে কাজ করত এমতাবস্থায় যে, তাদেরকে ভারী বেড়ি পরিয়ে বন্দী করে রাখা হত, যা তাদের পালিয়ে যাওয়া থেকে বাধা প্রদানে যথেষ্ট ছিল।
তারা তাদেরকে শুধু এমন পরিমাণ খাবার দিত, যা কোনো রকমে তাদের জীবনটুকু বাঁচিয়ে রাখত, যাতে তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত অনুগত গোলাম হয়ে কাজ করতে পারে।
তারা কাজের মধ্যে কোনো কারণ ছাড়াই তাদেরকে চাবুক দ্বারা তাড়িয়ে বেড়াত; এসব মানব সৃষ্টিকে শাস্তি দেওয়ার মধ্যে মনিবগণ শুধু অন্যায় আমোদ-ফূর্তি অনুভব করত, যাদেরকে তাদের মায়েরা মুক্ত স্বাধীন হিসেবে জন্ম দিয়েছিল।
তারা জেলখানার দুর্গন্ধময় অন্ধকার সেলে ঘুমাতো, যেখানে পোকামাকড় ও ইঁদুরের গোষ্ঠী অবাধে যা ইচ্ছা করতে থাকত, একটি সেলে পঞ্চাশ জন অথবা তার চেয়ে অধিক সংখ্যক দাস অবস্থান করত এবং তারা সেখানে বেড়ি পরানো অবস্থায় অবস্থান করত।
তাদেরকে তরবারী ও বর্শা (বল্লম) দ্বারা প্রতিযোগিতার আসরে ঠেলে দেওয়া হত ...। তারপর সেই আসরে মনিবগণ সমবেত হত তাদের নিজ নিজ দাসের পারস্পরিক তরবারীর আক্রমন ও বর্শা নিক্ষেপ প্রতিযোগিতার দৃশ্য অবলোকন করার জন্য; আর এই ক্ষেত্রে তাদের নিহত হওয়ার ব্যাপারে কোনো প্রকার সাবধানতা ও সতর্কতা অবলম্বনের প্রতি ভ্রূক্ষেপ করা হতো না; বরং মনিবগণের আনন্দ-উল্লাস চরম পর্যায়ে পৌঁছাতো, শ্লোগানে শ্লোগানে কণ্ঠস্বর প্রচণ্ড ধ্বনিতে পরিণত হত, হাততালিতে মুখর হয়ে উঠত পরিবেশ এবং যখন প্রতিযোগীদের কোনো একজন তার সঙ্গীর জীবন বিপন্ন করে দিতো, তখন তাদের সৌভাগ্যের অট্টহাসি দিগ্বিদিক ছড়িয়ে পড়ত; তারপর তার নিষ্প্রাণ দেহকে যমীনের উপর নিক্ষেপ করত !! আর সর্বজন বিদিত যে, সেই সময়ে রোমানীয় আইন-কানুন এমন ছিল, যা মনিবকে তার গোলামকে হত্যা করা, শাস্তি দেওয়া, অধীনস্থ করা ও বেড়ি পরিয়ে রাখার ব্যাপারে সাধারণ ও অবাধ অধিকার প্রদান করেছে; এই ক্ষেত্রে গোলাম কর্তৃক অভিযোগ পেশ করার কোনো অধিকার ছিল না এবং সেখানে এমন কোনো পক্ষ ছিল না, যারা এই অভিযোগের প্রতি দৃষ্টি দিবে অথবা তা স্বীকার করে নেবে; কারণ, দাস-দাসীগণ ছিল রোমানীয় আইন-কানুনের দৃষ্টিতে জীব-জানোয়ার বা জীব-জানোয়ারের চেয়ে অধম; ফলে মনিব তার কর্মকাণ্ডের কোনো প্রকার জবাবদিহিতার তোয়াক্কা না করেই তার সাথে খেয়াল-খুশি মত আচরণ করত; তারা মনে করত, গোলামের ব্যাপারে তাদেরকে আবার কিসের জিজ্ঞাসাবাদ !! ...
এ হচ্ছে ইসলাম পূর্ববর্তী সময়কার দাস-দাসীর অবস্থা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা; আমার পাঠক ভাই! অচিরেই আপনি এই ধরনের বর্বর নিষ্ঠুর আচরণের মধ্যে এবং ইসলামী শরীয়ত নির্দেশিত হৃদ্যতাপূর্ণ কোমল আচরণের মধ্যে একটা বড় ধরনের পার্থক্য দেখতে পাবেন।
কারণ বলা হয়ে থাকে, " و بضدها تتميز الأشياء ... " অর্থাৎ- “বিপরীতটি দ্বারাই জিনিসসমূহের মধ্যকার শ্রেষ্ঠটি বেরিয়ে আসবে ... ”।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/743/4
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।