hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামে দাস বিধি

লেখকঃ আবদুল্লাহ নাসেহ ‘উলওয়ান

১৭
আত্মিক দৃষ্টিভঙ্গি:
অনুরূপভাবে আমরা পূর্ববর্তী আলোচনায় বর্ণনা করেছি যে, ইসলাম যখন দাস-দাসীর সাথে সদ্ব্যবহার এবং তার চারিত্রিক, সামাজিক ও মানবিক মর্যাদাকে সমুন্নত রাখার ব্যাপারে পরিপূর্ণ নিয়মকানুন প্রণয়ন করেছে ...

তখন এর পিছনে উদ্দেশ্য ছিল, দাস-দাসী কর্তৃক তার মানবিক মার্যাদা, অস্তিত্ব ও অবস্থান উপলব্ধি করা ... যাতে সে পরবর্তীতে দাসত্ব থেকে তার মুক্তি দাবি করতে পারে এবং শেষ পর্যন্ত পরিপূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন করতে পারে।

আর আমরা পূর্বে এটাও দেখিয়েছি যে, ইসলাম বিদ্যমান বিশ্বব্যবস্থা থেকে দাস-দাসীকে মুক্ত করার পূর্বে তাকে তার মনের ভিতর ও হৃদয়ের গভীর থেকে মুক্ত করার ব্যবস্থা করেছে ... যাতে সে তার অস্তিত্ব ও মান-সম্মানকে অনুভব করতে পারে; ফলে সে নিজে নিজেই স্বাধীনতা দাবি করবে এবং সে যখন তা দাবি করবে, তখন সে শরী‘য়তকে এই স্বাধীনতার জন্য সর্বোত্তম নিশ্চয়তা বিধানকারী এবং তা বাস্তবায়নের জন্য সর্বোত্তম অভিভাবক হিসেবে পাবে; আর এটা আমরা ‘মুকাতাবা’ তথা লিখিত চুক্তির মাধ্যমে গোলাম আযাদ করার প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

আর আদেশ বা ফরমান জারি করার মাধ্যমে দাস-দাসী মুক্ত করার দ্বারা আসলেই দাস-দাসীর মুক্তি অর্জিত হয়নি, যেমন তার আলোচনা পূর্বে অতিবাহিত হয়েছে; আর আমরা যা বলি, তার পক্ষে উৎকৃষ্ট প্রমাণ হলো ‘আব্রাহাম লিংকন’ এর হাতের কলমের নির্দেশ (লেখার) দ্বারা দাস-দাসী মুক্ত করে দেওয়ার ব্যাপারে আমেরিকান অভিজ্ঞতা; কারণ, বাহ্যিকভাবে আইনের দ্বারা লিংকন যেসব গোলামদেরকে মুক্ত করে দিয়েছিল, তারা স্বাধীন হতে পারেনি বরং তারা তাদের মনিবদের কাছেই ফিরে গেছে, তারা তাদের নিকট আশা করে যে, তারা তাদেরকে গোলাম হিসেবে পুনরায় গ্রহণ করে নেবে, যেমন তারা (গোলাম হিসেবে) ছিল; কারণ, (স্বাধীন করে দেওয়ার পরেও) তারা মন স্বাধীনতা অর্জন করতে পারেনি এবং পারেনি তারা তাদের অপ্রত্যাশিত মুক্তি পাওয়ার দ্বারা মানবিক সুখ ও মর্যাদা অনুভব করতে ...।

অন্যদিকে ইসলামের নীতি ও অপরাপর সামাজিক শাসন ব্যবস্থাসমূহে দাস-দাসী নীতির রয়েছে বিস্তর ফারাক। কারণ, ইসলাম দাসত্বের ছায়ায় দাস-দাসীর সাথে মানবিক ও উদার আচরণ করে থাকে (যা পূর্বে আলোচিত হয়েছে), এমন কি সে যখন এই সদ্ব্যবহার (যথাযথভাবে) উপভোগ ও উপলব্ধি করে, তখন সে শরী‘য়তের ছায়াতলে তার স্বাধীনতা দাবি করে এবং তার গোলামীর অবস্থা থেকে সে বেরিয়ে যায়; আর তখন সে হয় সম্মানিত মানুষ, সর্বোচ্চ আবেগ ও অনুভূতিসম্পন্ন ব্যক্তি এবং সর্বোত্তম সম্মান, মর্যাদা ও অস্তিত্বসম্পন্ন ব্যক্তি ...।

আর এখানেই ইসলাম কর্তৃক দাস-দাসীকে দাসত্বের উপর অবশিষ্ট রাখার তাৎপর্য স্পষ্ট হয়ে উঠে, যেখানে সে তার নিজস্ব সত্ত্বা ও অস্তিত্বকে অনুভব ও উপলব্ধি করবে; আর তখনই সে তার ইচ্ছামত সময় ও যথাযথ পরিবেশ-পরিস্থিতির মধ্যে ‘মুকাতাবা’ (লিখিত চুক্তি) পদ্ধতির মাধ্যমে তার স্বাধীনতা দাবি করবে !!

এই দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই ইসলাম কোনো স্পষ্ট ফরমান জারি ও অকাট্য ‘নস’ তথা বক্তব্যের মাধ্যমে দাসত্ব প্রথাকে চূড়ান্তভাবে বাতিল করেনি।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন