মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
লেখকঃ ড. মুহাম্মদ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন সালেহ আস-সুহাইম
১১
মানুষের জন্য দীন-ধর্মের প্রয়োজনীয়তা
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/14/11
মানুষের জীবনে দীনের প্রয়োজন তাদের জীবনে অন্যান্য জরুরী জিনিসের চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি। কারণ, মানুষের জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং তাঁর অসন্তুষ্টির ক্ষেত্রগুলো জানা অনিবার্য, তাছাড়া তার চালচলন এমন হওয়া উচিৎ যা তার মঙ্গল বয়ে আনবে ও তার অনিষ্টতাকে দূর করবে। আর (আল্লাহর দেয়া জীবন বিধান) শরী‘আতই যা উপকার করে এবং যা ক্ষতি করে ঐ সব কর্মের মাঝে পার্থক্য করে দিতে পারে। বস্তুত শরী‘আত হচ্ছে সৃষ্টি-জীবের মাঝে আল্লাহর ইনসাফপূর্ণ নীতি আর তাঁর বান্দাদের মাঝে আলোকবর্তিকাস্বরূপ। সুতরাং কোনো মানুষের জন্যই এমন শরী‘আত ছাড়া জীবন-যাপন সম্ভব নয়, যে শরী‘আত তারা কী করবে এবং কী বর্জন করবে তা পার্থক্য করে দিবে।
মানুষের যেহেতু ইচ্ছার স্বাধীনতা রয়েছে, সুতরাং তার জানা আবশ্যক যে, সে যা ইচ্ছা করে তা কি তার জন্য কল্যাণকর নাকি ক্ষতিকর? তা তাকে সংশোধন করবে, না নষ্ট করবে? এগুলোর কিছু কিছু মানুষ কখনো কখনো তাদের জন্মগত স্বভাব-প্রকৃতির মাধ্যমে জানতে পারে। আবার কিছু কিছু মানুষ তাদের বিবেক দ্বারা প্রমাণ গ্রহণের মাধ্যমে জানতে পারে। আবার কিছু কিছু মানুষ রাসূলগণের মাধ্যমে সেগুলোর পরিচিতি দান, তাদের আলোচনা এবং তাদের সৎপথ প্রদর্শনের মাধ্যমে জানতে পারে। [দেখুন: শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবন তাইমিয়া রাহিমাহুল্লাহ রচিত ‘আত্তাদমুরিয়্যাহ’ ২১৩, ২১৪ নং পৃষ্ঠা এবং ‘মিফতাহু দারিস সাআদাহ’ ২য় খণ্ড, ৩৮৩ নং পৃষ্ঠা।]
ফলে নাস্তিক্য বস্তুবাদী মতাদর্শগুলো যতই মাতামাতি করুক, যতই আকর্ষণীয় করে নিজেদের পেশ করুক আর এসব চিন্তা-চেতনা সংখ্যার দিক থেকে যত বেশিই হোক না কেন, তা কখনও ব্যক্তি ও সমাজকে সত্য দীন (ধর্ম) থেকে অমুখাপেক্ষী করতে পারবে না। অনুরূপভাবে সেগুলো শরীর ও আত্মার চাহিদাগুলো পূরণে সক্ষম নয়। বরং যখনই কোনো ব্যক্তি এগুলো নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করবে, তখনই সে নিশ্চিতভাবে জানতে পারবে যে, এগুলো তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে না আর তার পিপাসাও মিটাতে পারবে না। এটাও বুঝতে সক্ষম হবে যে, সঠিক দীন ছাড়া এ থেকে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নেওয়ারও কোনো পথ নেই। জ্ঞানী আরনেস্ট রিনান বলেন: ‘প্রত্যেক বস্তু যা আমরা পছন্দ করি তা বিলুপ্ত হওয়া এবং জ্ঞান, বুদ্ধি ও শিল্পের ব্যবহারের উপযুক্ততা বিনষ্ট হওয়া সম্ভব, কিন্তু দীনেরে প্রয়োজনীয়তা কখনও বিলুপ্ত হওয়া সম্ভব নয়। বরং তা সে সব বস্তুবাদী মতাদর্শকে বাতিল করার জন্য স্পষ্ট প্রমাণ হিসেবে টিকে থাকবে, যে ভ্রান্ত মতাদর্শগুলো চায় মানুষদেরকে পার্থিব জীবনে সংকীর্ণতার সীমাবদ্ধ করে রাখতে।’ [বিস্তারিত দেখুন: মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ দারায লিখিত ‘আদ-দীন’ নামক গ্রন্থ, ৮৭ নং পৃষ্ঠা।]
মুহাম্মাদ ফরীদ ওয়াজদী বলেন: ‘দীনদারী বা দীনের প্রয়োজনীয়তার চিন্তাধারা বিলীন হয়ে যাবে এটা অসম্ভব। কারণ তা মনের ঝোঁকগুলোকে বৃদ্ধি করে এবং তার অনুভূতিকে সম্মানিত করে। এমন চমৎকার আকর্ষণ যা মানুষের শিরকে উঁচু করে। বরং এই আকর্ষণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতেই থাকবে। ফলে যতক্ষণ পর্যন্ত জ্ঞানবান ব্যক্তি তার জ্ঞানের দ্বারা সুন্দর ও খারাপকে বুঝতে পারবে ততক্ষণ ধর্ম পালনের অভ্যাসের সাথে মানুষ যুক্ত হবেই। এক্ষেত্রে তার অনুভূতির অগ্রগতি এবং জ্ঞানের বিকাশ অনুপাতে এই স্বাভাবিক প্রকৃতি বৃদ্ধি পেতেই থাকবে।’ [প্রাগুক্ত, ৮৮ নং পৃষ্ঠা।]
সুতরাং মানুষ যখন তার রব থেকে দূরে সরে যায় তখন সে তার অনুভূতির অগ্রগতি ও জ্ঞানের সুদূর পরিধি অনুযায়ী বুঝতে পারে যে, তার রব সম্পর্কে ও তার প্রতি কর্তব্য সম্পর্কে সে কত বড় অজ্ঞ, আরও বুঝতে পারে সে তার স্বীয় আত্মা সম্পর্কে কত অজ্ঞ, কী তার উপকার করে ও কী অপকার করে, কী তাকে সুখী করে ও কী তাকে দুঃখী করে সেটা সম্পর্কে সে কত বড় অজ্ঞ। আরও বুঝতে পারে সে জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন দিক ও তার পরিভাষা সম্পর্কে যেমন- জ্যোতির্বিজ্ঞান, অনুবিজ্ঞান, পরমাণু বিজ্ঞান ইত্যাদি সম্পর্কে সে কত বড় অজ্ঞ। .... আর এমতাবস্থায় জ্ঞানী ব্যক্তি আত্মপ্রবঞ্চনা ও অহমিকা ছেড়ে দিয়ে বিনয়-নম্রতা ও আত্মসমর্পণের দিকে প্রত্যাবর্তন করে এবং তার মনে দৃঢ় বিশ্বাস জন্মে যে, প্রত্যেক জ্ঞান-বিজ্ঞানের অন্তরালে একজন প্রজ্ঞাময় জ্ঞানী রয়েছেন, প্রত্যেক পদার্থের পিছনে একজন মহা শক্তিমান স্রষ্টা আছেন। আর এ বাস্তবতাই সত্য ও ন্যায় অন্বেষণকারীকে গায়েব বা অদৃশ্যের প্রতি ঈমান আনতে, সত্য দীনের আনুগত্য করতে এবং জন্মগত ফিতরাতের ডাকের প্রতি সাড়া দিতে বাধ্য করে। আর মানুষ যখন এই বাস্তবতা থেকে সরে যায় তখনই তার জন্মগত ফিতরাত উল্টে যায় এবং সে বোবা ও নির্বাক জীব-জন্তুর পর্যায়ে চলে যায়।
এ পর্যায়ে এর পরিসমাপ্তি টানবো এ কথার মাধ্যমে যে, নিশ্চয় সঠিক দীনদারি, যা শুধুমাত্র আল্লাহর তাওহীদ বা একত্ববাদ এবং তিনি যে পদ্ধতিতে তাঁর ইবাদাত করার বিধান প্রণয়ন করেছেন সে মোতাবেক ইবাদাত করার ওপর নির্ভর করে, তা জীবনের জন্য এক জরুরী অনুষঙ্গ। যাতে করে মানুষ এর ভিত্তিতে তার যাবতীয় ইবাদাত-বন্দেগীকে বিশ্বজাহানের রব মহান আল্লাহর জন্য বাস্তবায়ন করতে পারে এবং যাতে দুনিয়া ও আখেরাতের যাবতীয় ধ্বংস, দুঃখ-কষ্ট, দুর্ভাগ্য থেকে সৌভাগ্য, কল্যাণ ও নিরাপত্তা অর্জন করতে পারে। মানুষের চিন্তাশক্তি পূর্ণতার জন্য এটি অত্যন্ত জরুরী। ফলে এর দ্বারাই (মানুষের) বিবেক তার তীব্র চাহিদাকে পরিতৃপ্ত করতে পারে, এটা ব্যতীত সে তার উচ্চ আকাঙ্ক্ষাকে কোনোভাবেই বাস্তবায়ন করতে পারবে না।
এটি আত্মার পবিত্রকরণ ও অনুভূতি শক্তির সংশোধনের জন্য এক আবশ্যকীয় মূল জিনিস। কারণ, উন্নত আবেগ-অনুভূতি দীনের মধ্যেই খুজে পায় তার ব্যাপক ক্ষেত্র, অবগাহনের স্থান, যার উৎস নিঃশেষ হবে না, সেখানে সে তার জীবনের উদ্দেশ্য খুজে পায়।
এটি ইচ্ছা শক্তিকে পূর্ণ করার জন্য এক প্রয়োজনীয় মূল উপাদান। কারণ তা তাকে বিভিন্ন মহত্তর চাহিদা ও চালিকাশক্তি দ্বারা সহায়তা করে এবং হতাশা ও নৈরাশ্যের জগতে তাকে প্রতিরোধের সবচেয়ে বড় বর্ম দিয়ে রক্ষা করে। এর পরেও কেউ যদি বলে: “মানুষ স্বভাবতই সামাজিক জীব”, তাহলে আমরাও বলব যে, “মানুষ স্বভাবতই দীনদার বা ধার্মিক।” [প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ৮৪ ও ৯৮।]
কারণ মানুষের মাঝে দু’টি শক্তি রয়েছে:
চিন্তা জ্ঞান সংক্রান্ত শক্তি এবং
ইচ্ছা জ্ঞান সংক্রান্ত শক্তি।
আর মানুষের জীবনের পূর্ণ সফলতা ও সার্থকতা নির্ভর করছে উপরোক্ত দুটি (চিন্তা) জ্ঞান সংক্রান্ত শক্তি ও ইচ্ছা জ্ঞান সংক্রান্ত শক্তির পরিপূর্ণতার ওপরই।
আর নিম্নের বিষয়গুলো সম্পর্কে না জানা পর্যন্ত (চিন্তা) জ্ঞান সংক্রান্ত শক্তির পূর্ণাঙ্গতাও বাস্তবায়ন হবে না। যথা-
১। স্রষ্টা, রিযিকদাতা, যিনি মানুষকে অস্তিত্বহীন অবস্থা থেকে অস্তিত্বে নিয়ে এসেছেন এবং তাকে অসংখ্য নি‘আমত দিয়ে ঢেকে দিয়েছেন সে মা‘বুদ আল্লাহ সম্পর্কে জানা।
২। আল্লাহর নাম ও গুণাবলি সম্পর্কে জানা। আর তাঁর জন্য কী করা অপরিহার্য এবং তাঁর বান্দাদের ওপর এ সমস্ত নামের প্রভাব সম্পর্কে জানা।
৩। এমন পথ সম্পর্কে জানা, যে পথ তাকে তার রব মহান আল্লাহর কাছে পৌঁছে দিবে।
৪। এমন যাবতীয় প্রতিবন্ধকতা ও বিপদাপদ সম্পর্কে জানা, যা মানুষের মাঝে এবং এই পথকে জানার মাঝে বাধা হয় এবং যা তাকে মহা সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে পৌঁছিয়ে দেয়ার মাঝে বাধা দেয়।
৫। আপন নফস বা সত্তা সম্পর্কে যথাযথভাবে জানা এবং তার কী প্রয়োজন, কী তাকে পরিশুদ্ধ করবে, কী তাকে কলুষিত করবে, এবং তার মধ্যে কী সুন্দর বৈশিষ্ট্য ও অসুন্দর দোষ-ত্রুটির সমাহার রয়েছে তা জানবে।
সুতরাং এই পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে জানার মাধ্যমেই মানুষ তার জ্ঞান-বিষয়ক শক্তিকে পরিপূর্ণ করতে পারে। আর মানুষের ওপর আল্লাহর যে সকল অধিকার রয়েছে সেগুলোর যথাযথ খেয়াল রাখা, তা নিষ্ঠা, সততা, ঐকান্তিকতা ও একাগ্রতার সাথে সঠিকভাবে তা পালন না করা ব্যতীত জ্ঞান ও ইচ্ছা-বিষয়ক শক্তির পরিপূর্ণতা অর্জিত হবে না। আর তাঁর সাহায্য ব্যতীত এই দুই শক্তিকে পরিপূর্ণ করার কোনো পথও নেই। সুতরাং সে ঐ সিরাতে মুস্তাকীম বা সঠিক পথে পরিচালিত হতে বাধ্য, যে সঠিক পথের হিদায়াত তিনি তাঁর ওলি-আউলিয়া বা বন্ধু ও প্রিয় লোকদেরকে প্রদান করেছেন। [বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন: ‘আল-ফাওয়াইদ’ ১৮এবং ১৯ নং পৃষ্ঠা।]
আমরা যখন জানতে পারলাম যে, সঠিক দীন হলো, আত্মার বিভিন্নমুখী ক্ষমতার জন্য আল্লাহ প্রদত্ত সাহায্য। (আল্লাহর সাহায্য না হলে আত্মা সঠিক দীন পেতো না), তাহলে আরও জেনে রাখুন! নিশ্চয় দীন সমাজ রক্ষাকারী বর্মও বটে। কারণ মানবজীবন তার অন্যান্য নাগরিকের পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়া প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। আর এমন একটি নিয়ম-পদ্ধতি ছাড়া এই পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতাও সম্পূর্ণ হবে না, যা তাদের সম্পর্ককে সুশৃঙ্খল করবে, তাদের কর্তব্য নির্ধারণ করবে, তাদের অধিকারসমূহের জিম্মাদার হবে। এই নিয়ম-পদ্ধতির জন্য এমন এক শক্তিশালী ও ক্ষমতাধর বাদশাহর প্রয়োজন, যিনি আত্মাকে তার আইন ভঙ্গ করতে বাধা দেন, তার আইনের হিফাযত করতে উৎসাহ প্রদান করেন, অন্তরের মাঝে তাঁর সম্মান ও ভয় জাগ্রত করেন এবং তাঁর পবিত্রতাকে নষ্ট করতে বারণ করেন। সুতরাং কে এই ক্ষমতাধর ও মহা শক্তিশালী বাদশাহ? এর উত্তরে আমি বলব, নিয়ম-পদ্ধতির মর্যাদার হিফাযত, সমাজকে ধরে রাখা ও তার নিয়মের স্থিতিশীলতার নিশ্চয়তা এবং শান্তির কারণ সমবেত ও তাতে আস্থা লাভ ইত্যাদির ক্ষেত্রে পৃথিবীর বুকে দীনদারিতার (ধার্মিকতার) শক্তির সমকক্ষ অথবা তার কাছাকাছি আর কোনো শক্তি নেই।
এর মধ্যে যে রহস্য লুকিয়ে আছে তা হচ্ছে; মানুষ সমস্ত সৃষ্টি-জীবের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ তার সকল ঐচ্ছিক চালচলন ও কার্যকলাপকে পরিচালনা করে এমন এক বস্তু, যা কোনো কান শুনেনি, যা কোনো চক্ষু দেখেনি। তা হলো তার ঈমানী আকীদা-বিশ্বাস, যা আত্মাকে সংশোধন এবং দেহকে পবিত্র করে। সুতরাং মানুষ সর্বদাই সঠিক অথবা ভ্রান্ত আকীদা-বিশ্বাসের দ্বারা পরিচালিত হয়। সুতরাং যদি তার আকীদা-বিশ্বাস সঠিক হয়, তাহলে তার সব কিছুই সঠিক হবে। আর যদি তা বাতিল ও ভ্রান্ত হয়, তাহলে সবকিছুই বাতিল হয়ে যাবে।
ঈমান এবং আকীদা-বিশ্বাস এ দু’টি মানুষের ব্যক্তি সত্তার নিয়ন্ত্রক বা পর্যবেক্ষক। এ দু’টি, যেমনটি সাধারণভাবে মানুষের মাঝে লক্ষ্য করা যায়, দুই প্রকার:
১। শ্রেষ্ঠ জিনিসের মূল্যায়ন, মানুষের মর্যাদা ও এ ধরনের বিভিন্ন তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়ের ওপর ঈমান; উঁচু মানসিকতাসম্পন্ন ব্যক্তি যার প্রয়োজনীয়তার বিরোধিতা করতে লজ্জাবোধ করে। এমনকি যদিও তাকে বাইরের বা বস্তুগত বিষয়াদি থেকে অব্যাহতিও প্রদান করা হয়।
২। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার প্রতি ঈমান রাখা, আর এটা(র ওপর ঈমান রাখা) যে তিনি সকল গোপন বিষয়ের যথাযথ পর্যবেক্ষক, ফলে তিনি সকল গোপন বিষয় এবং যা গোপনের চেয়েও গোপন তা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত। শরী‘আতের আদেশ-নিষেধের ক্ষমতা তাঁরই মদদপুষ্ট। আত্মিক অনুভূতি তাঁরই লজ্জায় উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। হয় তাঁর প্রতি ভালোবাসার কারণে অথবা তাঁর ভয়ে অথবা একসাথে উভয়টির কারণে। ... আর এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, ঈমানের এই প্রকারটিই ক্ষমতার দিক দিয়ে মানবাত্মার ওপর অধিক শক্তিশালী, প্রবৃত্তির তাড়না ও আবেগ-অনুভূতির পরিবর্তনের জন্য প্রতিরোধের দিক দিয়ে তীব্রতর এবং বিশেষ ও সর্বসাধারণ তথা সকল মানুষের অন্তরে বাস্তবায়নের দিক দিয়ে দ্রুততম।
এ কারণেই ন্যায়বিচার ও ইনসাফের মূলনীতির ভিত্তিতে মানুষের মাঝে পারস্পরিক আচরণ সম্পাদন করার জন্য দীনই হলো সর্বোত্তম গ্যারান্টি। এ জন্যই দীন সামাজিকভাবে প্রয়োজন। সুতরাং দীন কোনো জাতির সে স্থানে যদি অবস্থান নেয়, শরীরের যে স্থানে অন্তর অবস্থান নিয়েছে, তাহলে তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। [দেখুন: আদ-দীন, পৃ. ৯৮, ১০২।]
দীনের অবস্থান যখন এমন পর্যায়ে, তখন বর্তমান এই পৃথিবীতে বহুসংখ্যক দীন ও মিল্লাত দৃশ্যমান, আবার তাদের প্রত্যেক গোষ্ঠীই তাদের কাছে যে দীন আছে তা নিয়ে আনন্দিত, তারা সেটাকে কঠিনভাবে আঁকড়ে ধরেও আছে, এমতাবস্থায় সত্য দীন কোনটি, যা মানব মনের যাবতীয় আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে? আর সত্য দীনের মূলনীতিই বা কী?
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/14/11
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।