মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
লেখকঃ ড. মুহাম্মদ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন সালেহ আস-সুহাইম
৭
মহাবিশ্ব সৃষ্টির রহস্য
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/14/7
সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা ও গবেষণার পর, এই বিশাল সৃষ্টিজগত ও সুন্দর সুন্দর নিদর্শনাবলি যে কারণে আল্লাহ তা‘আলা সৃষ্টি করেছেন, তার কিছু হিকমত ও রহস্য উপস্থাপন করা সঙ্গত মনে করছি। যেমন-
১- মানুষের অধীনস্থ ও সেবায় নিয়োজিত করা:
মহান আল্লাহ যখন এই পৃথিবীতে প্রতিনিধি সৃষ্টি করার সিদ্ধান্ত নেন, যারা সেখানে তাঁর ইবাদাত করবে এবং এ পৃথিবীকে আবাদ করবে, তখন তিনি তাদের জন্যই জগতের সব কিছু সৃষ্টি করেন; যাতে এতে তাদের জীবন নির্বাহ যথাযথ পদ্ধতিতে হয় এবং তাদের ইহকাল ও পরকালের যাবতীয় কাজ কর্ম সঠিক হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“আল্লাহ, যিনি আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন, আর যিনি আকাশ হতে পানি বর্ষণ করে তা দিয়ে তোমাদের জীবিকার জন্য ফলমূল উৎপাদন করেন এবং যিনি নৌযানকে তোমাদের অনুগত করে দিয়েছেন যাতে তাঁর নির্দেশে সেগুলো সাগরে বিচরণ করে এবং যিনি তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করেছেন নদীসমূহকে। আর তিনি তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করেছেন সূর্য ও চাঁদকে, যারা অবিরাম একই নিয়মের অনুবর্তী এবং তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করেছেন রাত ও দিনকে। আর তিনি তোমাদেরকে দিয়েছেন তোমরা তাঁর কাছে যা কিছু চেয়েছ তা থেকে। তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ গুণলে তার সংখ্যা নির্ণয় করতে পারবে না। নিশ্চয় মানুষ অতি মাত্রায় যালিম, অকৃতজ্ঞ।” [সূরা ইবরাহীম, আয়াত: ৩২-৩৪]
২- আসমানসমূহ, যমীন ও জগতের সবকিছু আল্লাহ তা‘আলার প্রভুত্ব (রুবুবিয়্যাত) ও তাঁর এককত্বের ওপর সাক্ষী ও নিদর্শন:
আসমানসমূহ ও যমীন সহ সবকিছুই আল্লাহ তা‘আলার রুবুবিয়্যাতের ওপর সাক্ষী এবং তাঁর এককত্বের ওপর নিদর্শন; কারণ, এই অস্তিত্বশীল বিশ্বে সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, তাঁর রুবুবিয়্যাতকে স্বীকার করা এবং তাঁর এককত্বের ওপর বিশ্বাস আনা। আর বিষয়টি যেহেতু বড় তাই মহান আল্লাহ এর ওপর বৃহৎ সাক্ষী ও বড় নিদর্শনকে পেশ করেছেন এবং অধিক জোরদার প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন। তাই আল্লাহ তা‘আলা আসমানসমূহ ও যমীন সহ অস্তিত্বশীল সবকিছুকে এর সাক্ষী বানিয়েছেন। যার কারণে আল-কুরআনে অনেকবারই এসেছে, “তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে আরও হলো” এ কথাটি। যেমন নিম্নের আয়াতগুলোতে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র্য। এতে তো অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে জ্ঞানীদের জন্য। আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে রাতে ও দিনে তোমাদের নিদ্রা এবং তোমাদের অন্বেষণ তাঁর অনুগ্রহ হতে। নিশ্চয় এতে বহু নিদর্শন রয়েছে সে সম্প্রদায়ের জন্য, যারা শুনে। আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে, তিনি তোমাদেরকে প্রদর্শন করান বিদ্যুৎ, ভয় ও আশার সঞ্চারকরূপে এবং আসমান থেকে পানি নাযিল করেন অতঃপর তা দিয়ে যমীনকে পুনর্জীবিত করেন সেটার মৃত্যুর পর; নিশ্চয় এতে বহু নিদর্শন রয়েছে এমন সম্প্রদায়ের জন্য, যারা অনুধাবন করে। আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে যে, তাঁরই আদেশে আসমান ও যমীনের স্থিতি থাকে; তারপর আল্লাহ যখন তোমাদেরকে যমীন থেকে উঠার জন্য একবার ডাকবেন তখনই তোমরা বেরিয়ে আসবে।” [সূরা আর-রূম, আয়াত: ২২-২৫]
৩- পুনরুত্থানের ওপর সাক্ষী বা প্রমাণস্বরূপ:
মানুষের জীবন দু’ভাগে বিভক্ত: দুনিয়ার জীবন ও আখেরাতের জীবন। আর আখেরাতের জীবনই হলো প্রকৃত জীবন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“আর এই পার্থিব জীবন তো খেল তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। পারলৌকিক জীবনই হলো প্রকৃত জীবন, যদি তারা জানতো।” [সূরা আল-‘আনকাবূত, আয়াত: ৬৪] কেননা, পরকাল হিসাব-নিকাশ ও প্রতিদানের জায়গা এবং সেখানে জন্নাতীরা জান্নাতে চির অধিবাসী হবে এবং জাহান্নামীরা চিরকাল জাহান্নামে থাকবে। আর আখেরাতের এই জীবনে মানুষ মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত হয়েই কেবল আসতে পারবে। তাই যারাই তার রবের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে (অর্থাৎ নাস্তিক) এবং যাদের জন্মগত আকীদা ও বিবেক শক্তি বিলুপ্ত হয়েছে তারাই পরকালীন জীবনকে অস্বীকার করে। এ কারণেই আল্লাহ অগণিত দলীল-প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন; যাতে করে আখেরাত দিবসের প্রতি সবাই দৃঢ় বিশ্বাস আনে। কারণ, কোনো কিছু প্রথমবার সৃষ্টি করার চেয়ে তাকে পুনরায় করা অতি সহজ। বরং মানুষকে পুনরায় সৃষ্টি করার চেয়ে আসমানসমূহ ও যমীনকে সৃষ্টি করা অত্যন্ত কঠিন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“আর তিনি-ই, যিনি সৃষ্টিকে শুরুতে অস্তিত্বে আনয়ন করেন, তারপর তিনি সেটা পুনরাবৃত্তি করবেন; আর এটা তাঁর জন্য অতি সহজ।” [সূরা আর-রূম, আয়াত: ২৭ ] তিনি আরও বলেন,
“আল্লাহ, যিনি আসমানসমূহ উপরে স্থাপন করেছেন খুঁটি ছাড়া, তোমরা তা দেখছ। তারপর তিনি ‘আরশের উপর উঠেছেন এবং সূর্য ও চাঁদকে নিয়মাধীন করেছেন; প্রত্যেকটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চলবে। তিনি সব বিষয় পরিচালনা করেন, আয়াতসমূহ বিশদভাবে বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা তোমাদের রবের সঙ্গে সাক্ষাৎ সম্পর্কে নিশ্চিত বিশ্বাস করতে পার।” [সূরা আর-রা‘দ, আয়াত:২]
অতএব, হে মানুষ:
আপনার কল্যাণ সাধনের জন্যই যখন এই পৃথিবীর সবকিছু অনুগত করা হয়েছে এবং তাঁর নিদর্শনাবলি ও দৃষ্টান্তবলিকে প্রামাণিক সাক্ষ্য হিসেবে আপনার সামনে তুলে ধরা হয়েছে, তাহলে আপনি এই সাক্ষ্য প্রদান করুন যে;
“আল্লাহ ছাড়া সত্য আর কোনো উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো অংশীদার নেই”।
আপনি যখন জানলেন যে, মৃত্যুর পর আপনার পুনরুত্থান ও জীবন লাভ করা আকাশ ও যমীন সৃষ্টি অপেক্ষা অনেক সহজ এবং আপনার রবের সাথে আপনার সাক্ষাৎ হবে, তিনি আপনার সকল কর্মের হিসাব নিবেন। আরও যখন জানতে পারলেন যে, এই সমগ্র জগত তার রবের ইবাদাত করছে। অতএব সমগ্র সৃষ্টিকুল তাঁর প্রশংসা সহ পবিত্রতা ঘোষণা করছে। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“আপনি কি লক্ষ্য করেন না যে, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যারা রয়েছে তারা সবাই আল্লাহকে সাজদাহ করে এবং সূর্য, চন্দ্র, নক্ষত্ররাজি, পাহাড়-পর্বত, বৃক্ষ-লতা, জীবজন্তু। আর সাজদাহ করে মানুষের মধ্যে অনেকে? আর অনেকের প্রতি অবধারিত হয়েছে শাস্তি।” [সূরা আল-হাজ্জ, আয়াত: ১৮] বরং এই সৃষ্টি জগত যেমনটি তার জন্য উপযোগী হয় তেমনি করে তাঁর রবের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় করে থাকে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“আপনি কি লক্ষ্য করেননি যে, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যারা রয়েছে তারা এবং উড্ডীয়মান পাখীসমূহ আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে? প্রত্যেকেই তাঁর সালাত ও মহিমা ঘোষণার পদ্ধতি জানে।” [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৪১]
আর যখন আপনার সমস্ত শরীর আল্লাহর নির্ধারিত নিয়ম ও পরিচালনা অনুযায়ী নিজ গতিতে চলছে; যেমন অন্তর, দু’টি ফুসফুস, কলিজা এবং সকল অঙ্গ প্রত্যঙ্গ তাঁর রবের আত্মসমর্পণকারী, যারা তাদের পরিচালনার দায়িত্বভার তাদের রবের নিকট সমর্পণ করেছে। এমতাবস্থায় আপনি কি আপনার পছন্দ, যে পছন্দ শক্তির মাধ্যমে আপনার রবকে মেনে নেয়া কিংবা অস্বীকার করার ব্যাপারে স্বাধীনতা প্রদান করা হয়েছে, আপনি কি সে পছন্দকে আপনার রবের প্রতি বিরোধিতা ও বিরুদ্ধাচারণের মাধ্যমে, আপনার চারপাশের জগত, এমনকি আপনার শরীর যে কল্যাণময় ধারার দিকে চলছে, তার বিপরীতে পরিচালিত করবেন?
একজন পূর্ণ বিবেকবান মানুষ এই বিশাল জগতের চলার বিরোধিতা করে সবার থেকে ব্যতিক্রম হতে কখনই চাইতে পারে না।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/14/7
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।