মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
লেখকঃ ড. মুহাম্মদ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন সালেহ আস-সুহাইম
২০
চিরস্থায়ী রিসালাত [বিস্তারিত জানার জন্য, সফিউর রহমান মুবারকপুরী কৃত আর-রাহীকুল মাখতুম দেখা যেতে পারে।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/14/20
ইতোপূর্বে ইয়াহূদী, খ্রীষ্টান, অগ্নিপূজক, যরথস্তু ও পৌত্তলিকতা ইত্যাদি ধর্মসমূহের অবস্থা সম্পর্কে আলোচনা পেশ করা হয়েছে, তাতে খৃষ্টীয় ৬ষ্ঠ শতাব্দীর মানবজাতির অবস্থা স্পষ্ট হয়ে যায়। (অত্র কিতাবের “বিদ্যমান ধর্মগুলোর অবস্থা” দ্রষ্টব্য)
কেননা যখনই দীন বিনষ্ট হবে তখনই রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থারও ধ্বংস অনিবার্য। ফলে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ব্যাপকতা লাভ করে। স্বেচ্ছারিতা প্রকাশ পায়, আর মানবসমাজ সম্পূর্ণ কালো অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে বসবাস করতে থাকে। কুফর ও অজ্ঞতার কারণে অন্তরসমূহও অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে, চরিত্র কুলসিত হয়, মানহানি ঘটে, অধিকার লঙ্ঘিত হয়, জলে ও স্থলে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এমনকি কোনো জ্ঞানী ব্যক্তি যদি সে অবস্থাকে নিয়ে চিন্তা করে তাহলে সে বুঝতে পারবে যে, সে সময় মানবজাতি মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছিল এবং তাদের বিলুপ্তি ঘোষণা করেছিল। ফলে আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে এক মহান সংস্কারকের মাধ্যমে সংশোধন করার ইচ্ছা করলেন, যিনি নবুওয়াতের মশাল ও হিদায়াতের চেরাগ বহন করবেন; যাতে করে তিনি মানবজাতির পথকে আলোকিত করতে পারেন এবং তাদেরকে তিনি সরল পথে পরিচালিত করেন। এমন সময়েই আল্লাহ তা‘আলা মক্কা মুকাররমা থেকে চিরন্তন নবুওয়াতের জ্যোতি উদ্ভাসিত করার ঘোষণা করলেন, যেখানে রয়েছে সম্মানিত কা‘বা ঘর। আর তখনকার পরিবেশ মানবজাতির অন্য সব পরিবেশের সাথে যেমন- শির্ক, মূর্খতা, যুলুম ও স্বেচ্ছাচারিতা ইত্যাদির দিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ ছিল। কিন্তু তার পরেও অন্যদের থেকে তা ছিল বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যে সম্পূর্ণ আলাদা। যেমন,
(১) এর পারিপার্শ্বিক অবস্থা ছিল স্বচ্ছ। গ্রীক, রুমানীয় বা ভারতীয় দর্শনের কালিমার প্রভাব এর ওপর বিস্তার লাভ করেনি। প্রত্যেক ব্যক্তিই বাকপটুতা, তীক্ষ্ণ মেধা ও অভিনব স্বভাবের অধিকারী ছিল।
(২) এটা বিশ্বের কেন্দ্রে এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। ফলে অল্প সময়ের মধ্যে এ সমস্ত অঞ্চলে এই চিরন্তন সত্য বাণী পৌঁছার ও দ্রুত বিস্তার লাভ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
(৩) এটা একটা নিরাপদ এলাকা। আবরাহা যখন এর বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়, তখন আল্লাহ নিজেই এটাকে রক্ষা করেন এবং এর প্রতিবেশী রোম ও পারস্যের সম্রাটরাও এর ওপর কর্তৃত্ব স্থাপন করতে পারেনি। বরং উত্তর দক্ষিণাঞ্চলেও এর ব্যবসা নিরাপদ ছিল। এ সবই ছিল এই সম্মানিত নবীর আগমনের লক্ষণ মাত্র। আল্লাহ তা‘আলা এই নি‘আমত প্রাপ্তদের উল্লেখ করে বলেন,
“আর তারা বলে, ‘আমরা যদি তোমার সাথে সৎপথ অনুসরণ করি তবে আমাদেরকে দেশ থেকে উৎখাত করা হবে।’ আমরা কি তাদের জন্য এক নিরাপদ হারাম প্রতিষ্ঠা করিনি, যেখানে সর্বপ্রকার ফলমূল আমদানী হয়।” [সূরা কাসাস, আয়াত: ৫৭]
(৪) এই অঞ্চলটি মরুময় পরিবেশযুক্ত, যা এর অধিবাসীদেরকে বিভিন্ন প্রশংসামূলক গুণের অধিকারী করেছিল। যেমন: দানশীলতা, প্রতিবেশীত্ব রক্ষা, আত্মসম্মানবোধ ইত্যাদি অনন্য বৈশিষ্ট্য দেয়া হয়েছিল, যাতে এই স্থানটিই চিরন্তন রিসালাতের উপযুক্ত ক্ষেত্র হয়। এই মহান স্থান (যারা বাগ্মিতা ও অলংকারশাস্ত্র এবং উত্তম চরিত্রের কারণে খ্যাতি অর্জন করেছিল এবং যাদের বিশেষ মর্যাদা ও কর্তৃত্ব ছিল সেই বিখ্যাত কুরাইশ গোত্র হতে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নির্বাচিত করেন, যাতে করে তিনি সর্বশেষ নবী ও রাসূলের মর্যাদা লাভ করেন। তিনি খৃষ্টীয় ৬ষ্ঠ শতাব্দীর ৫৭০ খৃষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। মায়ের পেটে থাকাবস্থায় তাঁর পিতা মারা যাওয়ায় ইয়াতীম হিসেবেই বড় হতে থাকেন। তারপর ছয় বছর বয়সে তাঁর মা ও দাদা উভয়েই মারা যান। পরে তাঁর চাচা আবু তালিব তাঁর লালন পালনের দায়িত্ব নেন। শৈশবেই তাঁর প্রতিভা ও শ্রেষ্ঠত্বের বিকাশ ঘটতে থাকে। তাঁর অভ্যাস, চরিত্র ও স্বভাব সবই যেন স্বজাতির অভ্যাসের চেয়ে ভিন্ন ছিল। মিথ্যা কথাবার্তা বলতেন না, কাউকে কষ্ট দিতেন না। সত্যবাদিতা, সংযমশীলতা ও আমানতদারিতায় প্রসিদ্ধি লাভ করেন। ফলে তাঁর গোত্রের অনেক মানুষই তাঁর কাছে মূল্যবান সম্পদ আমানত ও জমা রাখত। আর তিনিও সেগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতেন যেমন তিনি তাঁর নিজের ও তাঁর সম্পত্তির সংরক্ষণ করতেন। যার কারণে তারা তাকে আল-আমীন উপাধিতে ভূষিত করে। তিনি খুব লাজুক ছিলেন। প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর হতে কারও সামনে তিনি তাঁর উদাম শরীর প্রকাশ করেননি। নিষ্কলুষ ও পরহেযগার হওয়ার কারণে তিনি তাঁর স্বজাতির মধ্যে মূর্তিপূজা, মদপান ও খুনাখুনি দেখে ব্যথিত হতেন। যে সকল কাজ তার কাছে ভালো মনে হত সেগুলোতে তিনি সহযোগিতা করতেন আর অন্যায়মূলক কাজে তাদের থেকে দূরে থাকতেন। ইয়াতীম ও বিধবাদের সাহায্য করতেন। ক্ষুধার্তকে খাবার দিতেন। অবশেষে যখন তাঁর বয়স চল্লিশের কাছাকাছি, তখন সমাজের ফেতনা-ফ্যাসাদ ও ভ্রান্তির কষ্ট সহ্য করতে না পেরে, লোকালয় মুক্ত পরিবেশে একাকী তাঁর রবের ইবাদাতে মনোযোগ দেন এবং তাঁর কাছে সঠিক পথের সন্ধান চান।
এ রকম অবস্থাতেই একদিন তাঁর কাছে একজন ফিরিশতা আল্লাহর পক্ষ থেকে ঐশী বাণী নিয়ে অবতরণ করেন। আর তাঁকে নির্দেশ দেন, তিনি যেন এই দীনকে মানুষের নিকট পৌঁছে দেন। আর তাদেরকে তাদের প্রভুর ইবাদাত করার এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্যদের বর্জন করার আহ্বান করেন। এভাবেই দিনের পর দিন ও বছরের পর বছর শরী‘আতের হুকুম আহকাম নিয়ে অহী অবতীর্ণ হতে থাকে। অবশেষে আল্লাহ তা‘আলা মানবজাতির জন্য এই দীনকে পরিপূর্ণ করেন এবং তাতে তার নি‘আমতকে পূর্ণাঙ্গ করেন। এরপর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের দায়িত্ব পূর্ণ হলে আল্লাহ তাঁকে মৃত্যু দান করেন। সে সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। এর মধ্যে ৪০ বছর নবুওয়াত পূর্ব জীবন এবং নবী ও রাসূল হিসেবে ২৩ বছর অতিবাহিত করেন।
যে কেউ নবীগণের অবস্থাদি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করবে এবং তাদের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করবে সে নিশ্চিতভাবেই বুঝতে পারবে যে, অন্যান্য নবীদের নবুওয়াত যে পদ্ধতিতেই সাব্যস্ত করা যায়, ঠিক একই পদ্ধতিতে আরও উত্তমরূপে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওয়াত সাব্যস্ত করা যায়।
আপনি যদি লক্ষ্য করেন, মূসা ‘আলাইহিস সালাম ও ‘ঈসা ‘আলাইহিস সালামের নবুওয়াত কীভাবে বর্ণিত হয়েছে, তাহলে জানতে পারবেন যে, তা “মুতাওয়াতির” বা সন্দেহমুক্ত অসংখ্য ধারাবাহিক বর্ণনার দ্বারা সাব্যস্ত হয়েছে। ঠিক অনুরূপভাবে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওয়াতও “মুতাওয়াতির” বা সন্দেহমুক্ত আরও বৃহৎ, অধিক নির্ভরযোগ্য ও অধিক নিকটবর্তী মাধ্যম দ্বারা সাব্যস্ত হবে।
অনুরূপভাবে নবীগণের মু‘জিযা ও নিদর্শনসমূহ যে সন্দেহমুক্ত অসংখ্য ধারাবাহিক পদ্ধতিতে বর্ণিত হয়েছে তা পরস্পর সামঞ্জস্যপূর্ণ। বরং তা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের ক্ষেত্রে আরও বড় আকারে সাব্যস্ত হবে। কারণ তাঁর নিদর্শনসমূহ অনেক। বরং তাঁর সবচেয়ে বড় নিদর্শন হচ্ছে- এই মহাগ্রন্থ আল-কুরআন, যা লেখা ও শোনা উভয় দিক হতে ‘মুতাওয়াতির’ পদ্ধতিতে বর্ণিত হয়ে আসছে। [কুরআন সংক্রান্ত আলোচনা দেখুন।]
আর যদি কেউ মূসা ও ‘ঈসা আলাইহিমাস সালাম যা নিয়ে এসেছেন এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সঠিক আকীদাহ ও যথাযথ বিধিবিধানসমূহ এবং উপকারী জ্ঞান-বিজ্ঞান নিয়ে এসেছেন -এ দুটি জিনিসের মাঝে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে, তাহলে সে অবশ্যই জানতে পারবে যে, এসবই এক প্রদীপ থেকেই আগত। আর তা নবুওয়াতের প্রদীপ।
অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি নবীগণের অনুসারী ও মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসারীর মাঝে তুলনা করবে, জানতে পারবে যে, তারা মানুষের উপকার করার ক্ষেত্রে উত্তম মানুষ ছিলেন। বরং তারা নবীদের পদাঙ্ক অনুসরণে তাদের পরবর্তীদের তুলনায় অধিক অগ্রগামী ছিলেন। কারণ তারাই তাওহীদের প্রচার করেছেন, ন্যায়পরায়নতার বিস্তার ঘটিয়েছেন এবং তারা দুর্বল ও দরিদ্রদের ওপর দয়াশীল ছিলেন। [দেখুন, শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া খণ্ড ৪, পৃ. ২০১, ২১১; সামুওয়াল আল-মাগরেবী কৃত, ইফহামুল ইয়াহূদ, (যিনি ইয়াহূদী ছিলেন, পরে ইসলাম গ্রহণ করেছেন) পৃ. ৫৮-৫৯।]
আপনি যদি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওয়াতের প্রমাণ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত বর্ণনা জানতে চান, তাহলে আমি আপনার সামনে ঐ সমস্ত দলীল-প্রমাণাদি উপস্থাপন করবো, যা আলী ইবন রাব্বান আত-ত্বাবারী খৃষ্টান থাকা অবস্থায় পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি একারণেই ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। আর সেই দলীল প্রমাণাদি নিম্নরূপ:
১। এ ক্ষেত্রে তিনি অন্যান্য নবীদের মতো শুধুমাত্র আল্লাহর ইবাদাত করতে এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্যদের উপাসনা বর্জন করতে আহ্বান জানিয়েছিলেন।
২। তিনি এমন সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলি যাহির করেন, যা নবীগণ ছাড়া অন্য কেউ নিয়ে আসতে পারে না।
৩। তিনি ভবিষ্যৎ ঘটনা সম্পর্কে যেসব খবর দিয়েছেন, সেগুলো আজ হুবহু সংঘটিত হচ্ছে।
৪। তিনি দুনিয়া ও দুনিয়ার রাজত্ব সংক্রান্ত কিছু ঘটনাগুচ্ছের সংবাদ দিয়েছেন, তা হুবহু সংঘটিত হচ্ছে যেমন তিনি সংবাদ দেন।
৫। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে মহাগ্রন্থ আল-কুরআন নিয়ে প্রেরিত হন তা নবুওয়াতের একটি বড় নিদর্শন। কারণ তা হচ্ছে একটি পূর্ণ কিতাব। আল্লাহ তা‘আলা তা এমন এক নিরক্ষর ব্যক্তির ওপর অবতীর্ণ করেন, যিনি পড়তে ও লিখতে জানেন না। অথচ তিনি বিশুদ্ধভাষী পণ্ডিতদেরকে কুরআনের অনুরূপ অথবা কুরআনের সূরার মতো একটি সূরা বানিয়ে নিয়ে আসার চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করেন। (কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ তা সক্ষম হয়নি, আর কোনো দিন হবেও না) আরও কারণ হচ্ছে- স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলা তার হিফাযতের দায়িত্ব নিয়েছেন। আর তার মাধ্যমে সঠিক আকীদাহ-বিশ্বাসের সংরক্ষণ করেন এবং তাতে পূর্ণাঙ্গ শরী‘আত অন্তর্ভুক্ত করেন ও তার মাধ্যমে সর্বোত্তম জাতি প্রতিষ্ঠা করেন।
৬। তিনি হলেন নবীগণের সমাপ্তকারী, ফলে তিনি প্রেরিত না হলে ঐ সমস্ত নবীগণের নবুওয়াত বাতিল হয়ে যেত যারা তাঁর আগমনের সুসংবাদ দিয়েছিলেন।
৭। সমস্ত নবীগণ দীর্ঘ যুগ ধরে তাঁর আবির্ভাবের পূর্বাভাস দেন এবং তাঁর আগমন, তাঁর শহর, অনেক জাতি এবং শাসক গোষ্ঠীর তাঁর ও তাঁর উম্মতের বশ্যতা স্বীকার এবং তাঁর দীনের বিস্তার লাভ ইত্যাদির গুণাগুণ বর্ণনা করেন।
৮। যে সমস্ত জাতি তাঁর সাথে যুদ্ধ করে তাদের সাথে তাঁর বিজয় লাভ করাটাও নবুওয়াতের একটি লক্ষণ; কারণ একজন মানুষ মিথ্যা নবুওয়াতের দাবীদার হয়ে বলবে যে, সে আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত দূত, আর আল্লাহ তাকে বিজয় ও প্রতিষ্ঠিতকরণ, শত্রুর ওপর প্রাধান্য, দা‘ওয়াতের প্রসার এবং অসংখ্য অনুসারী দিয়ে সাহায্য করবেন, এটা অসম্ভব। কেননা এসব একমাত্র সত্য নবীর মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হতে পারে।
৯। তাঁর মাঝে যে দীনদারিতা, চারিত্রিক নিষ্কলুষতা, সত্যবাদীতা, প্রশংসনীয় চরিত্র এবং নিয়ম-নীতি ও শরী‘আত পালনের গুণাবলির সমাবেশ ঘটেছিল, তা সত্য নবী ছাড়া আর কারো মাঝে একত্রিত হয় না।
অতঃপর তিনি এই সমস্ত সাক্ষ্য-প্রমাণাদি উপস্থাপন করার পর বলেন: এগুলো হলো স্পষ্ট গুণাবলি ও যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণাদি। সুতরাং যে ব্যক্তির মাঝে এগুলো প্রকাশ পায়, তার জন্য নবুওয়াত ওয়াজিব হয়ে যায়, তার মিশন ও দাবী সফল হয় এবং তাঁকে বিশ্বাস করা অপরিহার্য হয়। আর যে ব্যক্তি তা প্রত্যাখ্যান ও অস্বীকার করল, তার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলো এবং তার দুনিয়া ও আখেরাত উভয়ই ধ্বংস হলো। [আলী ইবন রাব্বান আত-ত্বাবারী লিখিত ‘‘আদদীন ওয়াদ্ দাওলা ফী ইসবাতি নবুওয়্যতে নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ” পৃ. ৪৭ এবং দেখুন: ইমাম কুরতুবী রাহিমাহুল্লাহ রচিত ‘আল-ই‘লাম’’ পৃ. ৩৬২ এবং তার পরে----।]
অবশেষে আপনার উদ্দেশ্যে দু’টি সাক্ষ্য বর্ণনা করে এই অনুচ্ছেদের ইতি টানবো: একটি হচ্ছে অতীতের সেই রোম সম্রাটের সাক্ষ্য যিনি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সমসাময়িক ছিলেন। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে জন সন্ট নামক সাম্প্রতিক কালের এক ইংরেজ খ্রীষ্টানের সাক্ষ্য:
প্রথমত: রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াসের সাক্ষ্য। ইমাম বুখারী রাহিমাহুল্লাহ আবু সুফিয়ানের ঐ সংবাদ বর্ণনা করেন যখন তাকে রোমের বাদশাহ ডেকে জিজ্ঞেস করে। এ প্রসঙ্গে (বাদশাহ ও তার মাঝে) যা কিছু সংঘটিত হয়েছিল তার বিবরণ তিনি (ইমাম বুখারী) ইবন ‘আব্বাসের সূত্রে বর্ণনা করেন। আর তিনি বর্ণনা করেন যে, আবু সুফিয়ান ইবন হারব তার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, হিরাক্লিয়াস তাকে একটি কুরাইশ দলের সঙ্গে ডেকে পাঠান। এই দলটি হুদায়বিয়া সন্ধিচুক্তির আওতায় নিরাপত্তা লাভ হেতু শামদেশে গিয়েছিল ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে। [এটি হয়েছিল হিজরতের ৬ষ্ঠ বছর এবং তা ১০ বৎসরের জন্য; দেখুন: ফাতহুল বারী, পৃ. ৩৪।] তারা সবাই ঈলিয়া নামক স্থানে (শামদেশে) তার নিকট উপস্থিত হলেন। হিরাক্লিয়াস তাদেরকে তার দরবারে আহ্বান করলেন। ঐ সময় তার পাশে রোমের প্রধান প্রধান ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন। তারপর তিনি তার দোভাষীর মাধ্যমে মুসলিমদের উদ্দেশ্য করে বললেন: যে ব্যক্তি নিজেকে নবী বলে দাবী করছেন তাঁর সঙ্গে আপনাদের মধ্যে কে সর্বাপেক্ষা ঘনিষ্ঠ? আবু সুফিয়ানের বর্ণনা যে, আমি বললাম: আমি সর্বাপেক্ষা ঘনিষ্ঠ। হিরাক্লিয়াস বললেন: তাকে আমার নিকট নিয়ে এসো এবং তার সঙ্গী সাথীদেরকেও তার পেছনে বসাও। অতঃপর হিরাক্লিয়াস তার দোভাষীকে বললেন: তুমি তাদেরকে বলো যে, আমি এই ব্যক্তিকে উক্ত নবী সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করব। ফলে সে যদি আমাকে মিথ্যা বলে তবে তারাও যেন তাকে মিথ্যা বলে প্রমাণ করে। আবু সুফিয়ান বলল: আল্লাহর কসম! মিথ্যা বলার কারণে আমাকে মিথ্যুক বলে আখ্যায়িত করার ভয় যদি না থাকত তবে অবশ্যই আমি তাঁর (নবী) সম্পর্কে মিথ্যা বলতাম। এরপর তাঁর সম্পর্কে হিরাক্লিয়াস আমাকে প্রথম যে প্রশ্নটি জিজ্ঞেস করেছিলেন তা হচ্ছে তোমাদের মধ্যে তাঁর বংশ কেমন? আমি বললাম: তিনি উচ্চ বংশোদ্ভূত। হিরাক্লিয়াস বললেন: এমন কথা তাঁর পূর্বে তোমাদের মধ্যে অন্য কেউ কি বলেছিল? আমি বললাম: না। হিরাক্লিয়াস বললেন: তাঁর পূর্ব পুরুষদের মধ্যে কেউ কি রাজা ছিল? আমি বললাম: না। হিরাক্লিয়াস বললেন: আচ্ছা তবে সম্মানিত লোকজন তাঁর অনুসরণ করছে না দুর্বল লোকজন? আমি বললাম: বরং দুর্বল লোকজন। হিরাক্লিয়াস বললেন: এদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে নাকি কমছে? আমি বললাম: কমছে না, বরং বৃদ্ধি পাচ্ছে। হিরাক্লিয়াস বললেন: এই দীন গ্রহণের পর কোনো ব্যক্তি কি দীনের প্রতি রাগ করে (বিদ্রোহী হয়ে) দীন ত্যাগ করেছে? আমি বললাম: না। হিরাক্লিয়াস বললেন: তিনি যখন থেকে এসব কথা বলছেন তার পূর্বে কি তাঁকে তোমরা কোনো মিথ্যার সাথে জড়িত দেখেছ? আমি বললাম: না। হিরাক্লিয়াস বললেন: তিনি কি অঙ্গীকার ভঙ্গ করেন? আমি বললাম: না, তবে এখন আমরা তাঁর সঙ্গে সন্ধি চুক্তিতে আবদ্ধ রয়েছি। জানি না এই ব্যাপারে তিনি এরপর কী করবেন। এই প্রসঙ্গে আবু সুফিয়ান বলেছেন যে, এই বাক্যটি ছাড়া অন্য কোথাও তাঁর বিপক্ষে কিছু কথা প্রবেশ করানোর সুযোগ আমি পাইনি। হিরাক্লিয়াস বললেন: কোনো সময় তাঁর সঙ্গে কি তোমরা যুদ্ধ বিগ্রহে লিপ্ত হয়েছো? আমি বললাম: হ্যাঁ। হিরাক্লিয়াস বললেন: তোমাদের এবং তাঁর যুদ্ধের অবস্থা কিরূপ ছিল? আমি বললাম: আমাদের ও তাঁর মাঝে যে যুদ্ধ হয়েছিল তা ছিল বালতির ন্যায়; অর্থাৎ তিনি কখনো আমাদের পরাজিত করেছেন এবং আমরা কখনো তাঁকে পরাজিত করেছি। হিরাক্লিয়াস বললেন: তিনি তোমাদেরকে কিসের নির্দেশ প্রদান করেন? আমি বললাম: তিনি আমাদেরকে একমাত্র আল্লাহর উপাসনা করতে, তার সঙ্গে কাউকে শরীক না করতে, আমাদের পূর্বপুরুষেরা যা বলতেন তা ছেড়ে দিতে, সালাত কায়েম করতে, সত্যবাদিতা ও পুণ্যশীল আচরণ করতে এবং আত্মীয়দের সাথে সদ্ব্যবহার করতে নির্দেশ দেন। এরপর হিরাক্লিয়াস তার দোভাষীকে বললেন: তুমি তাকে (আবু সুফিয়ানকে) বল যে, আমি তোমাকে উক্ত নবীর বংশ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তুমি বলেছিলে যে, তিনি হচ্ছেন তোমাদের মাঝে উচ্চ বংশোদ্ভূত ব্যক্তি। আর এমনই নবীগণ তাদের নিজ জাতির মধ্যে উচ্চ বংশীয়ই হয়ে থাকেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম যে (নবুওয়াতের) একথা তাঁর বলার পূর্বে তোমাদের মধ্যে অন্য কেউ কি বলেছিল? তুমি উত্তর দিয়েছ ‘না’। আমি বলছি, এর পূর্বে অন্য কেউ যদি এ কথা বলে থাকত, তাহলে অবশ্যই আমি বলতাম যে, এই ব্যক্তি এমন এক কথার অনুকরণ করছে যা এর পূর্বে বলা হয়েছিল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, তাঁর পূর্বপুরুষদের কেউ কি বাদশাহ ছিল। এর উত্তরে তুমি বলেছ ‘না’। ফলে আমি বলছি, যদি তাঁর পূর্বপুরুষদের মধ্যে কেউ বাদশাহ থাকত, তাহলে বলতাম যে, এই ব্যক্তি তার পিতৃব্যের রাজত্ব দাবী করছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম: ইতোপূর্বে তাঁকে কি তোমরা মিথ্যুক বলে দোষারোপ করেছ? উত্তরে তুমি বলেছ ‘না’। আমি ভালো করেই জানি, যে লোক মানুষের সঙ্গে মিথ্যাচার করে না সে আল্লাহর সম্পর্কে মিথ্যা বলতে পারে না। আমি জিজ্ঞেস করলাম যে, সম্মানিত লোকজন তাঁর অনুসরণ করছে নাকি দুর্বল লোকজন? উত্তরে তুমি বলেছ: দুর্বল শ্রেণির লোকেরাই তাঁর অনুসরণ করছে। প্রকৃতপক্ষে এই শ্রেণির লোকেরাই নবীগণের অনুসারী হন। আমি জিজ্ঞেস করলাম যে, তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে না কমছে? উত্তরে তুমি বলেছ: না, বরং বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর ঈমানের বিষয়টি এমনই, অবশেষে তা পরিপূর্ণ হয়। আমি জিজ্ঞেস করলাম যে, এই দীনে প্রবেশ করার পর কি কেউ বিরক্ত হয়ে মুরতাদ হয়ে গেছে? উত্তরে তুমি বলেছ: না, প্রকৃতপক্ষে ব্যাপারটি হচ্ছে এই, দীনে প্রবেশকারী ব্যক্তির ঈমান যখন তার অন্তরের রূপালী পর্দার সাথে মিশে যায় তখন এরূপই হয়। আমি জিজ্ঞেস করলাম যে, তিনি কি অঙ্গীকার ভঙ্গ করেন? উত্তরে তুমি বলেছিলে: না, নবীদের ব্যাপার এরকমই হয়ে থাকে। তিনি কখনও অঙ্গীকার ভঙ্গ করেন না। আমি জিজ্ঞেস করলাম: তিনি কিসের নির্দেশ প্রদান করেন? উত্তরে তুমি বলেছিলে যে, তিনি একমাত্র আল্লাহর উপাসনা করতে এবং তার সঙ্গে কাউকে শরীক না করতে বলছেন। অধিকন্তু তিনি তোমাদেরকে মূর্তিপূজা থেকে বিরত থাকতে, সালাত কায়েম করতে, সত্যবাদিতা ও পুণ্যশীল আচরণ করতে নির্দেশ দেন। এখন কথা হচ্ছে, তুমি যা কিছু বলেছ তা যদি সঠিক ও সত্য হয়, তাহলে তিনি অতি শীঘ্রই আমার দুই পদতলের জায়গার অধিকার লাভ করবেন। আমরা জানি যে, তাঁর আবির্ভাব ঘটবে। কিন্তু আমার ধারণা ছিল না যে, তিনি তোমাদের মধ্য থেকে আসবেন। যদি নিশ্চিত হতাম যে, আমি তাঁর নিকট পৌঁছতে সক্ষম হব, তাহলে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য কষ্ট স্বীকার করতাম। আর যদি তাঁর নিকটে থাকতাম তাহলে তাঁর পদদ্বয় ধৌত করে দিতাম। এরপর তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের পত্রখানা নিয়ে আসতে বললেন, যা তিনি সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিহয়াহ ক্বালবীর মারফত বসরার প্রধানের নিকট প্রেরণ করেন। ফলে তিনি তাকে পত্রখানা দিলে হিরাক্লিয়াস তা পাঠ করেন। তাতে যা লেখা ছিল তা নিম্নরূপ:
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াস এর প্রতি-
সেই ব্যক্তির ওপর শান্তির ধারা বর্ষিত হোক, যে হিদায়াতের অনুসরণ করে চলবে। অতঃপর, আমি আপনাকে ইসলামের দিকে আহ্বান করছি। আপনি ইসলাম গ্রহণ করুন, তাহলে নিরাপদে থাকবেন ও আল্লাহ আপনাকে দ্বিগুণ প্রতিদান দিবেন। আর যদি আপনি মুখ ফিরিয়ে নেন তাহলে আপনার প্রজাবৃন্দেরও [সহীহ বুখারীর কিতাবুল জিহাদের বর্ণনায় এখানে ‘আরিসিয়্যীন এসেছে।] পাপ আপনার ওপর বর্তাবে। হে আহলে কিতাবগণ! এমন এক কথার দিকে আসুন যা আমাদের ও আপনাদের মাঝে সমান। আর তা হচ্ছে এই, আমরা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো ইবাদাত করব না এবং তার সাথে কাউকে অংশীদার স্থাপন করব না, আর আমরা কেউই আল্লাহকে ছেড়ে একে অন্যকে রব হিসেবে গ্রহণ করব না। এতদসত্ত্বেও যদি মানুষেরা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে বলে দাও যে, তোমরা সাক্ষী থাক আমরা মুসলিম। [দেখুন: সহীহ বুখারী, কিতাবু বাদউল অহী।]
দ্বিতীয়ত: জন সন্ট নামক সাম্প্রতিক কালের এক ইংরেজ খ্রিষ্টানের সাক্ষ্য:
তিনি বলেন, ‘ব্যক্তি ও সমাজ সেবার ক্ষেত্রে ইসলামের ব্যাখ্যা ও তার মূলনীতি এবং সমতা ও তাওহীদের ভিত্তিতে সমাজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তার ন্যায়বিচার সম্পর্কে অব্যাহতভাবে অবগত হওয়ার পর আমি আমার বিবেক ও আত্মার সমস্ত শক্তি দিয়ে ইসলামে ঝাঁপিয়ে পড়ি এবং ঐ দিন থেকে আমি আল্লাহর কাছে প্রতিজ্ঞা করি যে, আমি সকল ক্ষেত্রে ইসলামের একজন আহ্বানকারী ও তাঁর হিদায়াতের সুসংবাদ-দানকারী হবো।
খ্রিষ্টান ধর্ম নিয়ে গবেষণা ও তাকে নিয়ে গভীর চিন্তা করার পরই তিনি এই দৃঢ় বিশ্বাসে পৌঁছেন। কারণ তিনি দেখতে পান, মানুষের জীবনে যে সমস্ত প্রশ্ন ঘুরপাক খায় তার অধিকাংশে সঠিক উত্তরই খ্রিষ্টধর্ম দিতে সক্ষম হয়নি। ফলে তখন তার মধ্যে সন্দেহ অনুপ্রবেশ করে। তারপর তিনি কমিউনিজম বা সাম্যবাদ এবং বৌদ্ধধর্ম নিয়ে গবেষণা করেন, কিন্তু তাতেও তিনি তার কাঙ্ক্ষিত বস্তু খুঁজে পাননি। তারপর ইসলাম নিয়ে গবেষণা ও গভীর চিন্তা করেন (এবং তাতে তিনি তার সার্বিক জীবনের সকল প্রশ্নের সমাধান পান) যার ফলে তিনি তাঁর প্রতি ঈমান আনেন এবং সেদিকে অন্যদেরকেও আহ্বান করেন। [মুবাশশির আত-ত্বিরাযী আল-হুসাইনি লিখিত “আদ-দীন আল ফিতরী আল-আবাদী”, ২য় খণ্ড, ৩১৯ নং পৃষ্ঠা।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/14/20
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।