hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের মৌলিক নীতিমালা

লেখকঃ ড. মুহাম্মদ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন সালেহ আস-সুহাইম

২১
খতমে নবুওয়াত বা নবুওয়াতের পরিসমাপ্তি
ইতোপূর্বের আলোচনায় আপনার কাছে নবুওয়াতের হাকীকত, তার নিদর্শন ও আলামতসমূহ এবং আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওয়াতের দলীল-প্রমাণসমূহ স্পষ্ট হয়ে গেছে। খতমে নবুওয়াত সম্পর্কে আলোচনা করার পূর্বে আপনার জানা প্রয়োজন যে, নিচের যেকোনো একটি কারণে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা কোনো রাসূল প্রেরণ করেন:

(১) নবীর রিসালাত কোনো একটি জাতির জন্য নির্দিষ্ট ছিল, আর এই নবীকে পার্শ্ববর্তী জাতির নিকট তাঁর রিসালাত প্রচার করার আদেশ দেয়া হয়নি। তখন আল্লাহ তা‘আলা আরেকজন রাসূলকে নির্দিষ্ট রিসালাতের দায়িত্ব দিয়ে ঐ জাতির কাছে প্রেরণ করেন।

(২) বা পূর্ববর্তী নবীর রিসালাত বা বার্তা নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল, তখন আল্লাহ তা‘আলা মানুষের নিকট তাদের দীনকে নবায়ন করার জন্য নবী প্রেরণ করেন।

(৩) বা পূর্ববর্তী নবীর শরী‘আত তার যুগেই কার্যকর ছিল, কিন্তু পরবর্তী যুগে ছিল অকার্যকর, তখন আল্লাহ তা‘আলা এমন একজন রাসূল প্রেরণ করেন, যিনি সেই যুগ এবং স্থানের উপযুক্ত রিসালাত ও শরী‘আত বহন করেন। তিনি তাকে পরিবর্তন ও বিকৃতির হাত থেকে রক্ষা করেন, যাতে করে তাঁর রিসালাত থাকে জীবন্ত, যার দ্বারা মানুষ হয় উজ্জীবিত এবং সকল পরিবর্তন ও বিকৃতি হতে থাকে নির্মল। আর এ কারণেই তাঁকে আল্লাহ তা‘আলা সকল রিসালাতের পরিসমাপ্তি করেন। [দেখুন, আল আক্বীদাতু ত্বহাওয়িয়্যাহ, ১৫৬ নং পৃষ্ঠা; লাওয়ামিউল আনওয়ার আল-বাহিয়্যাহ ২য় খণ্ড; ২৬৯, ২৭৭ পৃষ্ঠা; মাবাদিউল ইসলাম, ৬৪নং পৃষ্ঠা।]

আর আল্লাহ তা‘আলা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য যেসব জিনিস নির্দিষ্ট করেছেন, তা হচ্ছে: তিনি সর্বশেষ নবী। সুতরাং তাঁর পরে আর কোনো নবী নেই। কারণ আল্লাহ তা‘আলা তাঁর মাধ্যমেই রিসালাতকে পূর্ণ এবং শরী‘আতকে সমাপ্ত করেন। আর তাঁর নবুওয়াতের মাধ্যমেই তাঁর সম্পর্কে ‘ঈসা মাসীহ ‘আলাইহিস সালামের ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবায়িত হয়, যেহেতু তিনি বলেন: “তোমরা কি কিতাবে (ইঞ্জিলে) কখনও পড়নি: নির্মাতারা যে পাথরকে প্রত্যাখ্যান করে, সেই অবশেষে এক প্রান্তের নেতা হয়ে যায়।” [ইঞ্জিল মাত্তা, ২১: ৪২।]

আর খ্রিষ্টান পুরোহিত ইবরাহীম, যিনি পরবর্তীতে মুসলিম হন, এই উদ্ধৃতিকে স্বয়ং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নিজের সম্পর্কে যা বলেন তার সাথে মিল গণ্য করেন। তিনি বলেন, আমার ও আমার পূর্ববর্তী নবীগণের উদাহরণ এমন, যেমন এক ব্যক্তি একটি সুন্দর ও সুরম্য গৃহ নির্মাণ করল কিন্তু গৃহের এক প্রান্তে একটি ইটের স্থান খালি রয়ে গেল। অতঃপর লোকেরা গৃহটিকে ঘুরে ফিরে দেখতে লাগল, আর বিস্মিত হয়ে বলতে লাগল, ঐ ইটটি কেন লাগানো হয়নি? নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: আমিই সেই ইট এবং আমি শেষ নবী। [দেখুন: ইবরাহীম খলীল আহমাদ রচিত “তাওরাত, ইঞ্জিল ও কুরআনে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম” ৭৩ নং পৃষ্ঠা। আর হাদীসটি মারফূ সূত্রে আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, ইমাম বুখারী, কিতাবুল মানাক্বিব, অনুচ্ছেদ নং ১৭, হাদীসের শব্দাবলি তাঁরই এবং ইমাম মুসলিম, কিতাবুল ফাদ্বায়িল, হাদীস নং ২২৮৬, আর মুসনাদে আহমাদ, ২য় খণ্ড, ২৫৬, ৩১২ নং পৃষ্ঠায়।]

আর এ কারণেই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে কিতাব নিয়ে এসেছেন তাকে আল্লাহ তা‘আলা পূর্ববর্তী সকল আসমানি কিতাবসমূহের তত্ত্বাবধায়ক এবং তাদের রহিতকারী করেছেন। যেমন, তাঁর শরী‘আতকে পূর্ববর্তী সকল শরী‘আতের রহিতকারী করেছেন। আর তিনি তাঁর রিসালাতকে হিফাযত করার দায়িত্ব নিয়েছেন। ফলে তা মুতাওয়াতির বা অসংখ্য নিশ্চিদ্র ধারাবাহিকতা সহকারে বর্ণিত হয়েছে, যেমন কুরআনুল কারীম পঠিত ও লিখিত উভয়ভাবে বর্ণিত হয়। তেমনি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথা ও কর্ম জাতীয় সুন্নত এবং এই দীনের বিধানাবলি তথা বাস্তবিক ব্যবহার, ইবাদাত, সুন্নাত ও হুকুম-আহকামসমূহও ধারাবাহিকভাবে বর্ণিত হয়েছে।

আর যদি কেউ সীরাত ও সুন্নাতের কিতাবাদি অনুসন্ধান করে, তবে সে জানতে পারবে যে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণ মানবজাতির জন্য তাঁর যাবতীয় অবস্থাদি এবং সকল বাণী ও কর্মসমূহ হিফাযত করেছেন। সুতরাং তাঁর প্রভুর উদ্দেশ্যে তাঁর ইবাদাত, জিহাদ, যিকির ও ইস্তেগফার এবং তাঁর বদান্যতা ও সাহস, আপন সাথীদের সাথে ও তাঁর কাছে যেসব প্রতিনিধি ও আগন্তুক আসত তাদের সাথে তাঁর ব্যবহার ইত্যাদি সবকিছু তারা বর্ণনা করেন। যেমন- তারা তাঁর আনন্দ, বেদনা, প্রস্থান, অবস্থান, পানাহার ও পোশাকের বিবরণ, জাগরণ ও নিদ্রা ইত্যাদি বর্ণনা করেন। সুতরাং আপনি যদি এগুলো উপলব্ধি করেন, তবে নিশ্চিত হবেন যে, এই দীন আল্লাহর তত্ত্বাবধানে তাঁর জন্য সংরক্ষিত। আর তখন জানবেন যে, তিনি নবী ও রাসূলদের শেষ। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে জানিয়েছেন যে, এই রাসূলই হচ্ছেন নবীদের শেষ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَآ أَحَدٖ مِّن رِّجَالِكُمۡ وَلَٰكِن رَّسُولَ ٱللَّهِ وَخَاتَمَ ٱلنَّبِيِّ‍ۧنَۗ وَكَانَ ٱللَّهُ بِكُلِّ شَيۡءٍ عَلِيمٗا ٤٠﴾ [ الاحزاب : ٤٠ ]

“মুহাম্মাদ তোমাদের মধ্যে কোনো পুরুষের পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৪০]

আর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নিজ সম্পর্কে বলেন, “আমি সমস্ত মানবজাতির নিকট প্রেরিত হয়েছি এবং আমার মাধ্যমেই নবীদের সমাপ্ত হয়েছে। [মুসনাদে আহমাদ, ২য় খণ্ড, ৪১১, ৪১২ নং পৃষ্ঠা। সহীহ মুসলিম, কিতাবুল মাসাজিদ, হাদীস নং ৫২৩, আর হাদীসের শব্দাবলি তারই।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন