মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
লেখকঃ ড. মুহাম্মদ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন সালেহ আস-সুহাইম
১৫
নবুওয়াতের তাৎপর্য
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/14/15
বর্তমান এ জীবনে মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তার রবের পরিচয় জানা, যিনি তাকে অস্তিত্বহীন অবস্থা থেকে অস্তিত্বে নিয়ে এসেছেন এবং তার ওপর অগণিত নি‘আমত ঢেলে দিয়েছেন। আর মহান আল্লাহর সৃষ্টিকুল সৃষ্টির প্রধান উদ্দেশ্য হলো, একমাত্র তাঁর ইবাদাত সম্পন্ন হওয়া।
কিন্তু মানুষ তার রবকে যথাযথভাবে কীভাবে চিনবে, তাঁর কী কী অধিকার ও নির্দেশাবলি রয়েছে এবং সে কীভাবে তার মনিবের ইবাদাত করবে? মানুষ (দুনিয়ার জীবনে) খুব সহজেই খুঁজে পায় বিপদে কে তার সাহায্য করবে এবং কে তার সহযোগিতা মূলক কাজ করবে, যেমন- রোগের চিকিৎসা করা, ঔষধ সরবরাহ, বাসস্থান নির্মাণে সহযোগিতা এবং এ ধরনের অন্যান্য কাজ। কিন্তু সমগ্র মানুষের মাঝে সে এমন কাউকে পাবে না, যে তার প্রভুর পরিচয় সম্পর্কে তাকে (বিবেক দ্বারা) অবহিত করবে এবং কীভাবে সে তার প্রভুর ইবাদাত করবে তা বর্ণনা করবে; কারণ কোনো বিবেকই আল্লাহ তার কাছে কী চান তা জানতে সক্ষম নয়। বস্তুত যেখানে একজন মানুষ তার মতো আরেকজন মানুষের ইচ্ছার কথা, তাকে অবহিত করার পূর্বে জানার ক্ষেত্রে দুর্বল, সেক্ষেত্রে আল্লাহর ইচ্ছা বা অভিপ্রায়ের কথা জানা কীভাবে সম্ভব। কেননা, এই গুরু দায়িত্ব তো নবী ও রসূলগণের ওপর সীমিত, যাদেরকে মহান আল্লাহ তাঁর পক্ষ থেকে রিসালাত পৌঁছানোর জন্য মনোনীত করেছেন। আর পরবর্তীতে যেসব আলেম ও নবীগণের ওয়ারিশ আসবে তাদের দায়িত্ব হলো, তারা তাদের পদ্ধতি মেনে চলবে, তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে এবং তাদের পক্ষ থেকে রিসালাত পৌঁছে দিবে। কারণ, মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে সরাসরি শরী‘আতের বিধি-বিধান গ্রহণ করা সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। তারা এর সামর্থ্য রাখে না। মহান আল্লাহ বলেন,
“আর কোনো মানুষেরই এমন মর্যাদা নেই যে, আল্লাহ তার সাথে কথা বলবেন ওহীর মাধ্যম ছাড়া, অথবা পর্দার আড়াল ছাড়া, অথবা এমন দূত প্রেরণ ছাড়া, যে দূত তাঁর অনুমতিক্রমে তিনি যা চান তা অহী করেন, তিনি সর্বোচ্চ, হিকমতওয়ালা।” [সূরা আশ-শূরা, আয়াত: ৫১ ]
সুতরাং আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর বিধি-বিধান বান্দাদের নিকট পৌঁছানোর জন্য অবশ্যই একজন মাধ্যম ও দূত প্রয়োজন। আর এ সকল দূতগণই হলেন নবী ও রাসূল। ফিরিশতা নবীর নিকট আল্লাহর রিসালাত নিয়ে আসেন, তারপর নবী তা মানুষের নিকট পৌঁছান। কিন্তু ফিরিশতা কখনো সরাসরি সাধারণ মানুষের নিকট রিসালাত নিয়ে আগমন করেন না। কারণ স্বভাবগত দিক থেকে ফিরিশতাদের জগত মানুষের জগত থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“আল্লাহ ফিরিশতাদের মধ্য থেকে দূত (বাণী বাহক) মনোনীত করেন এবং মানুষের মধ্য থেকেও।” [সূরা আল-হাজ্জ, আয়াত: ৭৫ ]
আল্লাহর প্রজ্ঞা চেয়েছেন যে, তিনি রাসূলদেরকে তাদের স্বজাতির মধ্য হতে চয়ন করবেন; যাতে করে তারা তাঁর নিকট থেকে জ্ঞানার্জন করতে পারে এবং তাঁর থেকে বুঝতে পারে, কারণ তারা তাকে সম্বোধন করতে পারবে ও তার সাথে কথা বলতে পারবে। যদি ফিরিশতাদের মধ্য থেকে কাউকে রাসূল করে পাঠানো হতো তাহলে তারা তার মুখামুখি অবস্থান করতে পারতো না এবং কোনো কিছু গ্রহণ করতেও পারতো না। [তাফসীর ইবন কাসীর, ৩য় খণ্ড, ৬৪ নং পৃষ্ঠা]
“আর তারা বলে, ‘তার কাছে কোনো ফিরিশতা কেন নাযিল হয় না?’ আর যদি আমরা ফিরিশতা নাযিল করতাম, তাহলে বিষয়টির চুড়ান্ত ফয়সালাই তো হয়ে যেত, তারপর তাদেরকে কোনো অবকাশ দেয়া হত না। আর যদি তাকে ফিরিশতা করতাম তবে তাঁকে পুরুষমানুষের আকৃতিতেই পাঠাতাম, আর তাদেরকে সেরূপ বিভ্রমে ফেলতাম যেরূপ বিভ্রমে তারা এখন রয়েছে।” [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ৮-৯]
“আর আপনার আগে আমরা যে সকল রাসূল পাঠিয়েছি তারা সকলেই তো খাওয়া-দাওয়া করত ও হাটে-বাজারে চলাফেরা করত এবং (হে মানুষ!) আমরা তোমাদের এক-কে অন্যের জন্য পরীক্ষাস্বরূপ করেছি। তোমরা ধৈর্যধারণ করবে কি? আর আপনার রব তো সর্বদ্রষ্টা। আর যারা আমাদের সাক্ষাতের আশা করে না তারা বলে, ‘আমাদের কাছে ফিরিশতা নাযিল করা হয় না কেন? অথবা আমরা আমাদের রবকে দেখি না কেন?’ তারা তো তাদের অন্তরে অহংকার পোষণ করে এবং তারা গুরুতর অবাধ্যতায় মেতে উঠেছে।” [সূরা আল-ফুরকান, আয়াত: ২০-২১]
“আর আমরা প্রত্যেক রাসূলকে তাঁর স্বজাতির ভাষাভাষী করে পাঠিয়েছি তাদের কাছে পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য, অতঃপর আল্লাহ যাকে ইচ্ছে বিভ্রান্ত করেন এবং যাকে ইচ্ছে সৎপথে পরিচালিত করেন এবং তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।” [সূরা ইবরাহীম, আয়াত: ৪]
এই সকল নবী ও রাসূল পূর্ণ বিবেক বুদ্ধি, সুস্থ ফিতরাত, কথা ও কাজে সত্যবাদিতা, অর্পিত দায়িত্ব প্রচারের ক্ষেত্রে আমানতদারিতা ইত্যাদি গুণের অধিকারী এবং মানব চরিত্রকে কলঙ্কিত করে এমন সকল পাপ থেকে মুক্ত, দৃষ্টিকটু এবং সুস্থ রুচিবোধ যাকে অপছন্দ করে এমন কিছু থেকে শারীরিক সুস্থতার গুণে গুণান্বিত। মানসিক ও চারিত্রিক দিক থেকে মহান আল্লাহ তাদেরকে পাক-পবিত্র রেখেছেন। [দেখুন, লাওয়ামি‘উল আনওয়ার আল-বাহিয়্যাহ, খণ্ড ২, পৃ. ২৬৫-৩০৫; আহমাদ শালাবী, আল-ইসলাম, পৃ. ১১৪] ফলে তারা সবচেয়ে চরিত্রবান মানুষ। মনের দিক থেকে সবচেয়ে পবিত্র এবং প্রভাব, প্রতিপত্তি ও শক্তির দিক থেকে অতি সম্মানিত। আল্লাহ তা‘আলা তাদের জন্য যাবতীয় উত্তম চরিত্র ও সুন্দর সুন্দর স্বভাবের সমন্বয় ঘটিয়েছেন, যেমন তাদের মধ্যে একত্রিত করেছেন সহিষ্ণুতা, জ্ঞান, উদারতা, বদান্যতা, দানশীলতা, সাহসিকতা এবং ন্যায়পরায়ণতা। এমনকি তারা তাদের সম্প্রদায়ের মাঝে এ ধরণের সুন্দর স্বভাবে শ্রেষ্ঠ। যেমন, কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা সালিহ ‘আলাইহিস সালামের জাতি সম্পর্কে সংবাদ দেন তারা তাকে বলেছিল:
“তারা বলল, হে সালিহ! এর আগে তুমি ছিলে আমাদের আশাস্থল। তুমি কি আমাদেরকে নিষেধ করছ ইবাদাত করতে তাদের, যাদের ইবাদাত করত আমাদের পিতৃ-পুরুষেরা? নিশ্চয় আমরা বিভ্রান্তিকর সন্দেহে রয়েছি সে বিষয়ে, যার প্রতি তুমি আমাদেরকে ডাকছ।” [সূরা আল-হূদ, আয়াত: ৬২]
“তারা বলল, ‘হে শু‘আইব! তোমার সালাত কি তোমাকে নির্দেশ দেয় যে, আমাদের পিতৃ-পুরুষেরা যার ইবাদাত করত আমাদেরকে তা বর্জন করতে হবে অথবা আমরা আমাদের ধন-সম্পদ সম্পর্কে যা করি তাও? তুমি তো বেশ সহিষ্ণু, সুবোধ!” [সূরা হূদ, আয়াত: ৮৭]
শেষ নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবুওয়াত প্রাপ্তির পূর্বে তাঁর কাওমে “আল আমীন” উপাধিতে পরিচিত ছিলেন। তাঁর রব তাঁকে বিশেষ বিশেষণে ভূষিত করে বলেন,
“নিশ্চয় আল্লাহ আদম, নূহ্ ও ইবরাহীমের বংশধর এবং ইমরানের বংশধরকে সমগ্র সৃষ্টিজগতের উপর মনোনীত করেছেন।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৩৩]
আর আল্লাহ তা‘আলার এ সকল নবী ও রাসূলগণের উন্নতমানের গুণাবলি বর্ণনা করা এবং তারা উচ্চ গুণে পরিচিতি লাভ করা সত্ত্বেও তারা ছিলেন মানুষ। তারা ঐ সব মানবীয় গুণে গুণান্বিত হন যেমন অন্য সকল মানুষও সেসব গুণের অধিকারী হয়। যেমন, তারা ক্ষুধার্ত হন, অসুস্থ হন, ঘুমান, খাবার খান, বিবাহ শাদী করেন এবং মারা যান। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“আর স্মরণ করুন, যখন কাফেররা আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আপনাকে বন্দী করার জন্য, বা হত্যা করার অথবা নির্বাসিত করার জন্য। আর তারা ষড়যন্ত্র করে এবং আল্লাহও (তাদের ষড়যন্ত্রের বিপক্ষে) ষড়যন্ত্র করেন; আর আল্লাহ্ সর্বশ্রেষ্ঠ কৌশলী।” [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ৩০]
তথাপিও দুনিয়া এবং আখেরাতে তাদের জন্য রয়েছে শুভ পরিণতি, সাহায্য ও সহযোগিতা বিদ্যমান। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“আল্লাহ লিখে রেখেছেন, ‘আমি অবশ্যই বিজয়ী হব এবং আমার রাসূলগণও’। নিশ্চয় আল্লাহ মহাশক্তিমান, মহাপরাক্রমশালী।” [সূরা আল-মুজাদালাহ, আয়াত: ২১ ]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/14/15
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।