hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের মৌলিক নীতিমালা

লেখকঃ ড. মুহাম্মদ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন সালেহ আস-সুহাইম

১৭
মানুষের জন্য রাসূলের প্রয়োজনীয়তা
নবীগণ হলেন আল্লাহর প্রেরিত দূত। তারা তাঁর বাণীসমূহ মানুষের কাছে পৌঁছে দেন। যারা তাঁর আদেশসমূহ পালন করে তাদেরকে আল্লাহ যেসব নি‘আমত প্রস্তুত করে রেখেছেন তার সুসংবাদ দেন এবং যারা তাঁর নিষেধাবলি অমান্য করে তারা তাদেরকে চিরস্থায়ী ‘আযাবের ভীতি প্রদর্শন করেন। আর তারা তাদেরকে পূর্ববর্তী জাতির সংবাদ এবং তাদের পালনকর্তার হুকুম অমান্য করার কারণে দুনিয়াতে তাদের ওপর যে ‘আযাব অবতীর্ণ হয়েছে তা বর্ণনা করেন।

আল্লাহর আদেশ ও নিষেধ জানার ক্ষেত্রে মানুষের বিবেক যথেষ্ট হওয়া অসম্ভব। যার কারণে আল্লাহ তা‘আলা মানুষের মর্যাদা ও তাদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য শরী‘আত নির্ধারণ করেছেন এবং আদেশ ও নিষেধসমূহ জারি করেছেন। কারণ হতে পারে মানুষ তাদের প্রবৃত্তি ও মনের চাহিদা অনুযায়ী চলতে পছন্দ করে বসবে। ফলে অবৈধ ও নিষিদ্ধ কাজে জড়িয়ে পড়বে, পরস্পরের ওপর চড়াও হবে এবং তাদের অধিকার হরণ করবে। সুতরাং এটা একটি পরিপূর্ণ হিকমত যে, আল্লাহ তা‘আলা তাদের মাঝে বিভিন্ন সময়ে নবী ও রাসূল প্রেরণ করবেন, যারা তাদেরকে আল্লাহর আদেশসমূহ বর্ণনা করবেন। তারা পাপের মাঝে পতিত হওয়া থেকে সতর্ক করবেন, তাদের প্রতি ওয়াজ নসিহত করবেন এবং পূর্ববর্তী জাতিসমূহের সংবাদ তাদেরকে জানাবেন। কারণ বিস্ময়কর সংবাদ যদি কানে আঘাত করে এবং অদ্ভুত অর্থ যদি মনকে সজাগ করে, তাহলে বিবেক-বুদ্ধি তা গ্রহণ করে, ফলে তা তার জ্ঞানকে বৃদ্ধি করবে, বোধশক্তিকে পরিশুদ্ধ করবে। আর মানুষের মধ্যে অধিক শ্রবণকারী ব্যক্তিই অধিক অন্তঃকরণশীল হয়, আর অধিক অন্তঃকরণশীল অধিক চিন্তাশীল হয়, আর অধিক চিন্তাশীল অধিক জ্ঞানী, আর যে অধিক জ্ঞানী সে অধিক আমলকারী হয়। সুতরাং রাসূল প্রেরণ করার কোনো বিকল্প এবং তাদের থেকে অধিক হক প্রতিষ্ঠার মাধ্যম আর কিছু পাওয়া যায় না। [আল-মাওয়ারদী, আ‘লামুন নাবুওয়াহ, পৃ. ৩৩।]

শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবন তাইমিয়্যাহ রাহিমাহুল্লাহ [তিনি হচ্ছেন, আহমাদ ইবন আব্দুল হালীম ইবন আব্দুস সালাম, যিনি ইবন তাইমিয়্যাহ নামে বিখ্যাত। জন্ম হিজরী ৬৬১, মৃত্যু ৭২৮ হিজরী। ইসলামের বড় আলেমগণের অন্যতম ছিলেন। তাঁর রচিত অনেক মূল্যবান গ্রন্থ রয়েছে।] বলেন, ‘মানুষের ইহকাল ও পরকালে সংশোধনের জন্য রিসালাত অপরিহার্য। রিসালাতের অনুসরণ ছাড়া যেমন পরকালীন কল্যাণ নেই, অনুরূপ তার অনুসরণ ছাড়া পার্থিব জীবনেও কোনো মঙ্গল নেই। অতএব, মানুষ শরী‘আত অনুসরণ করতে বাধ্য। কারণ মানুষ সাধারণত দু’টি গতিবিধি বা নড়া-চড়ার মাঝে রয়েছে:

এক- যা তার কল্যাণ ও সফলতা বয়ে আনে।

দুই- যা তার নিকট থেকে ক্ষতিকর বস্তুকে দূর করে।

আর শরী‘আত এমন এক আলোকবর্তিকা, যা মানুষের জন্য কল্যাণকর এবং যা ক্ষতিকর, উভয় দিক স্পষ্ট করে দেয়। আর তা আল্লাহর যমীনে তাঁর জ্যোতি, বান্দাদের মাঝে তাঁর ন্যায়বিচার এবং এমন এক দূর্গ, যে তাতে প্রবেশ করবে সে নিরাপত্তা পাবে।

শরী‘আত দ্বারা কল্যাণকর ও ক্ষতিকর বস্তুর মাঝে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য পার্থক্য করা উদ্দেশ্য নয়, এটা তো জীব-জন্তুরও অর্জিত হয়ে থাকে; কারণ গাধা এবং উটও গম আর মাটির মাঝে পার্থক্য করতে পারে। বরং শরী‘আত দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, এমন সব কর্ম যা তার কর্তার ইহকাল ও পরকালে ক্ষতি করবে এবং এমন সব কর্ম যা তার কর্তার ইহকাল ও পরকালে উপকার দিবে সেটার মাঝে পার্থক্য করে দেওয়া। উভয়কালীন কল্যাণকর বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে, ঈমান আনয়ন, তাওহীদ (আল্লাহর এককত্বের স্বীকৃতি), ন্যায়পরায়ণতা, সদ্ব্যবহার, দয়া, আমানতদারিতা, ক্ষমা, বীরত্ব, জ্ঞানার্জন, ধৈর্যধারণ, সৎ কাজের আদেশ ও অন্যায় কাজের নিষেধ, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা, পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা, প্রতিবেশীর প্রতি ইহসান, অধিকার রক্ষা, নিষ্ঠার সাথে আল্লাহর জন্য আমল করা, তাঁর প্রতি ভরসা করা ও একমাত্র তাঁর কাছেই সাহায্য চাওয়া, তার তাকদীর অনুযায়ী ঘটা বিষয়ের প্রতি সন্তুষ্ট হওয়া, তাঁর হুকুম মান্য করা, তাঁকে এবং তাঁর রাসূল কর্তৃক প্রদত্ত যাবতীয় সংবাদকে সত্যায়ণ করা এবং এ ছাড়া অন্যান্য প্রত্যেক ঐ কাজ যা দুনিয়া ও আখেরাতে বান্দার জন্য উপকারী। আর এর বিপরীতে যা দুনিয়া ও আখেরাতে বান্দার জন্য দুঃখ ও অনিষ্টকর।

যদি (শরী‘আত) রিসালাত না থাকতো, তাহলে বুদ্ধি-বিবেক পার্থিব জীবনের কল্যাণকর ও ক্ষতিকর বস্তুর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ পর্যন্ত পৌঁছতে পারতো না। সুতরাং বান্দার প্রতি আল্লাহর সবচেয়ে বড় নি‘আমত ও দয়া হচ্ছে যে, তিনি তাদের নিকট রাসূল প্রেরণ করেছেন, তাদের ওপর কিতাব অবতীর্ণ করেছেন এবং তাদেরকে সঠিক পথ বর্ণনা করেছেন। যদি এটা না হতো তবে তারা পশুর পর্যায়ে যেত, বরং তার চেয়েও নিকৃষ্ট অবস্থায় নিপতিত হত। সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রেরিত রিসালাতকে গ্রহণ করল এবং তার ওপর অবিচল থাকল সেই সৃষ্টির সেরা। পক্ষান্তরে যে তা পরিত্যাগ করল ও তা হতে বের হয়ে গেল, সে সৃষ্টির নিকৃষ্টতম সত্তা, সে কুকুর ও শুকরের চেয়েও নিকৃষ্ট বরং প্রত্যেক হীন ও নীচ থেকেও অতি নীচ। পৃথিবীবাসীর জন্য তাদের মাঝে বিদ্যমান রিসালাতের অনুসরণ ছাড়া আপন অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাও অসম্ভব। তাই যখনই পৃথিবী থেকে রাসূলগণের পদাঙ্কানুসরণ ও তাদের হিদায়াতের চিহ্ন মুছে যাবে, তখনই আল্লাহ তা‘আলা এর উপর-নিচ সব জগত ধ্বংস করে দিবেন এবং কিয়ামত ঘটাবেন।

রাসূলদের প্রতি পৃথিবীবাসীর মুখাপেক্ষিতা, চন্দ্র, সূর্য, বাতাস ও বৃষ্টির প্রতি তাদের মুখাপেক্ষিতার মতো নয় (বরং আরও অনেক বেশি মুখাপেক্ষী)। এমনকি (রাসূলদের প্রতি তাদের যত মুখাপেক্ষিতার রয়েছে) মানুষ তার জীবনের প্রতি, চোখ তার জ্যোতির প্রতি এবং দেহ খাদ্য ও পানির প্রতিও এতটুকু মুখাপেক্ষী নয়। বরং এগুলোর চেয়ে আরও বেশি মুখাপেক্ষী এবং সে যা অনুমান করে ও তার মনে মনে ভাবে তার চাইতেও বেশি প্রয়োজন। রাসূলগণই আল্লাহ এবং তাঁর সৃষ্টির মাঝে তাঁর আদেশ ও নিষেধের ক্ষেত্রে একমাত্র মাধ্যম। তারাই আল্লাহ ও বান্দার মাঝে দূতস্বরূপ। তাদের সর্বশেষ ও সর্দার এবং সর্বশ্রেষ্ঠ হচ্ছেন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম; যাকে আল্লাহ তা‘আলা বিশ্ববাসীর জন্য রহমতস্বরূপ এবং তাঁর পথে বিচরণকারী ও সকল সৃষ্টিজীবের ওপর প্রমাণস্বরূপ প্রেরণ করেছেন। বান্দাদের ওপর তার আনুগত্য করা, তাঁকে ভালোবাসা, তাঁর সম্মান করা, তাঁকে সাহায্য করা, তাঁর যথাযথ হক আদায় করাকে আবশ্যক করে দিয়েছেন এবং তাঁর ওপর বিশ্বাস আনা ও তাঁর আনুগত্য করার ব্যাপারে তিনি সমস্ত নবী ও রাসূলগণের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিয়েছেন। আর তিনি তাদেরকে আদেশ করেছেন যে, তারাও যেন তাদের মুমিন অনুসারীদের নিকট হতে তার ওপর ঈমানের অঙ্গীকার নেন। কিয়ামতের আগে তিনি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে এবং তাঁর অনুমতিক্রমে তাঁর দিকে আহ্বানকারীরূপে এবং উজ্জ্বল প্রদীপরূপে প্রেরণ করেন। ফলে তার মাধ্যমেই রিসালাতের পরিসমাপ্তি করেন। তাঁর মাধ্যমে লোকদেরকে পথভ্রষ্টতা হতে সঠিক পথ দেখিয়েছেন, অজ্ঞতা হতে জ্ঞান শিক্ষা দিয়েছেন এবং তাঁর রিসালাতের দ্বারা অন্ধের চোখ, বধিরের কান ও বদ্ধ অন্তর খুলে দিয়েছেন। অন্ধকার পৃথিবী তাঁর রিসালাতের আলোতে উদ্ভাসিত হয়েছে, শতধা বিভক্ত অন্তরসমূহ একত্রিত হয়েছে, তাঁর দ্বারা বাঁকা জাতিকে ঠিক করা হয়েছে, উজ্জ্বল পথ স্পষ্ট করা হয়েছে, কল্যাণের জন্য তাঁর বক্ষকে প্রশস্ত করে দিয়েছেন, তাঁর ওপর থেকে ভারী বোঝা অপসরণ করেছেন এবং তাঁর খ্যাতিকে উচ্চ মর্যাদা দান করেছেন। পক্ষান্তরে যে তার আদেশ অমান্য করবে তার জন্য লাঞ্ছনা ও অপমান নির্ধারণ করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে এমন এক সময় প্রেরণ করেন, যখন নবী ও রাসূলগণের আগমনের দীর্ঘ বিরতিকাল চলছিল, আসমানী কিতাবসমূহ নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়েছিল, আল্লাহর বাণী ও শরী‘আতের পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা হয়েছিল, প্রত্যেক জাতি তাদের অন্যায় সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছিল, আল্লাহ ও তাঁর বান্দাদের ওপর তাদের প্রবৃত্তি ও বাতিল উক্তি দ্বারা ফায়সালা করছিল। এমতাবস্থায় আল্লাহ তাঁর মাধ্যমে সৃষ্টিকুলকে হিদায়াত করলেন ও সঠিক পথ দেখালেন, মানুষকে অন্ধকারাচ্ছন্ন পথ থেকে আলোর পথে নিয়ে আসলেন, সৎ ও অসৎ ব্যক্তির মাঝে পার্থক্য করে দিলেন। ফলে যে তাঁর পথ অবলম্বন করল, সে সঠিক পথ পেল, আর যে তাঁর পথ ছেড়ে ভিন্ন পথ অবলম্বন করল, সে পথভ্রষ্ট হলো ও সীমালঙ্ঘন করল। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর ওপর এবং সমস্ত নবী ও রাসূলগণের ওপর রহমত ও শান্তির ধারা বর্ষণ করুন। [শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবন তাইমিয়্যাহ রাহিমাহুল্লাহ রচিত “মাজমূউল ফাতাওয়া” কিতাবের “কায়েদাতুন ফী উজূবিল ই‘তেসামি বির রিসালাহ” অধ্যায়, ১৯শ খণ্ড, ৯৯-১০২ নং পৃষ্ঠা এবং আরো দেখুন- লাওয়ামি‘উ আনওয়ারুল বাহীয়্যাহ, ২য় খণ্ড, ২৬১-২৬৩ নং পৃষ্ঠা।]

রিসালাতের প্রয়োজনীয়তা:

নিম্নে সংক্ষিপ্তাকারে রিসালাতের প্রতি মানুষের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হলো:

(১) নিশ্চয় মানুষ সৃষ্ট ও পালিত জীব। তার ওপর সৃষ্টিকর্তার পরিচয় জানা আবশ্যক এবং তার জানা উচিত যে, মহান স্রষ্টা তার কাছ থেকে কী চান? কেন তাকে সৃষ্টি করেছেন? এগুলো জানার ক্ষেত্রে মানুষ স্বনির্ভর হতে পারে না। আর নবী ও রাসূলগণ সম্পর্কে জ্ঞানার্জন ও তারা যে হিদায়াতের নূর নিয়ে এসেছেন সে সম্পর্কে জানা ব্যতীত তা জানার কোনো পথ নেই।

(২) মানুষ শরীর ও আত্মার সমন্বয়ে গঠিত। শরীরের খাবার হচ্ছে যথাসম্ভব খাদ্য ও পানীয়। আর আত্মার খোরাক হলো তার সৃষ্টিকর্তাকে স্বীকার করা। এটাই হচ্ছে সঠিক দীন ও সৎ আমল। আর নবী ও রাসূলগণ তো সঠিক দীন নিয়ে এসেছেন এবং সৎ কাজের শিক্ষা দিয়েছেন।

(৩) মানুষের স্বভাবেই ধর্ম মানার বিষয়টি নিহিত রয়েছে। তাকে কোনো না কোনো ধর্মে দীক্ষিত হতে হবেই। যে দীন সে গ্রহণ করবে সেটি সঠিক হওয়া আবশ্যক। আর সঠিক ধর্ম পেতে হলে নবী রাসূলদের প্রতি ঈমান আনা এবং তারা যা নিয়ে এসেছেন তার প্রতি ঈমান আনা ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই।

(৪) দুনিয়ায় মানুষ আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ এবং আখেরাতে জান্নাত ও তার নি‘আমত লাভের পথ ও পদ্ধতি জানার মুখাপেক্ষী। আর সে পথ নবী-রাসূলগণ ব্যতীত অন্য কেউ দেখাতে পারবে না, প্রদর্শন করাতেও পারবে না।

(৫) মানুষ নিজে অত্যন্ত দুর্বল এবং অসংখ্য শত্রুবেষ্টিত। যেমন- শয়তান তাকে পথভ্রষ্ট করতে চায়, দুষ্ট বন্ধু তার জন্য ঘৃণ্যতম পথকে সুশোভিত করতে চায়, অসৎ কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধকারী আত্মা তাকে অসৎ পরামর্শ দেয়। যার কারণে তার এমন কিছুর প্রয়োজন যা তাকে এ ধরনের শত্রুর কবল থেকে রক্ষা করবে। আর নবী ও রাসূলগণ সেই পথনির্দেশ দিয়ে গেছেন এবং সেটাকে অত্যন্ত স্পষ্ট করে বর্ণনা করে গেছেন।

(৬) মানুষ স্বভাবতই সামাজিক জীব। ফলে অন্য মানুষের সাথে সমাজবদ্ধ হয়ে থাকা ও চলাফেরার জন্য অবশ্যই কোনো না কোনো শরী‘আত তথা নিয়মনীতি বা বিধানের প্রয়োজন রয়েছে; যাতে করে মানুষ ন্যায়বিচারে প্রতিষ্ঠিত থাকতে পারে। নতুবা তাদের জীবন বন্য জীবনের মতো হয়ে পড়বে। সেই শরী‘আত বা বিধানটি যেন অবশ্যই কোনো প্রকার বাড়াবাড়ি ও শিথিলতা প্রদর্শন না করে সবার অধিকার রক্ষা করে এমন হয়। আর এ ধরনের পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান নবী ও রাসূলগণ ব্যতীত কেউ আনতে পারে না।

(৭) মানুষ ঐ জিনিস জানার প্রতি মুখাপেক্ষী; যা তার আত্ম-প্রশান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং বাস্তব সফলতার কারণ শিক্ষা দেয়। আর নবী ও রাসূলগণ তো এদিকেই আহ্বান করে থাকেন।

নবী রাসূলগণের প্রতি সৃষ্টিকুলের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোচনার পর আখেরাত বা পরকাল সম্পর্কে দলীল প্রমাণাদি সহ আলোচনা করা উত্তম মনে করছি।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন