hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সংক্ষিপ্ত হজ, উমরা ও যিয়ারত গাইড

লেখকঃ ড. মুহাম্মদ শামসুল হক সিদ্দিক, মাওলানা মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান

৫১
এক নজরে হজ (তামাত্তু হজ)
৮ যিলহজের পূর্বে তামাত্তু হজকারীর করণীয়

১- মীকাত হতে এহরাম বাঁধা এবং তালবিয়া পড়া। তামাত্তু হজকারীকে উমরা আদায়ের নিয়ত করে মুখে উচ্চারণ করে বলতে হবে لَبَّيْكَ عُمْرَةً (লাববাইকা উমরাতান )

২-মক্কায় গিয়ে উমরার তাওয়াফ সম্পাদন।

৩- উমরার সা‘ঈ সম্পাদন

৪- মাথা মুন্ডন অথবা চুল কর্তন করা ও গোসল করে পরিচ্ছন্ন হয়ে স্বাভাবিক কাপড় পরে নেয়া এবং অন্য কোনো উমরা না করে ৮ যিলহজ পর্যন্ত হজের এহরামের অপেক্ষায় থাকা। এ সময়ে নফল তওয়াফ, কুরআন তিলাওয়াত, জামাতের সাথে নামাজ আদায়, হাজীদের সেবা ইত্যাদিতে নিজেকে মশগুল রাখা।

৮ যিলহজ

(১) নিজ অবস্থান স্থল থেকে হজের নিয়তে لَبَّئِكَ حَجَّاً (লাববাইকা হাজ্জান) বলে এহরাম বাঁধা ও মিনায় গমন করা এবং সেখানে যোহর, আসর, মাগরীব, এশা এবং পরদিনের ফজরের নামাজ নিজ নিজ ওয়াক্তে দু’রাকাত করে আদায় করা।

৯ যিলহজ (আরাফা দিবস)

(১) ৯ যিলহজ সূর্যোদয়ের পর আরাফা অভিমুখে যাত্রা। সেখানে যোহরের ওয়াক্তে - যোহর ও আসর- এই দুই নামাজ এক আজান ও দুই একামতে দু’ রাকা‘আত করে একত্রে আদায় করা। নামাজান্তে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দু’আ ও জিকিরে মশগুল থাকা।

(২) সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পর ধীরে-সুস্থে শান্তভাবে মুযদালিফাভিমুখে রওয়ানা হওয়া।

(৩) মুযদালিফায় পৌঁছে এশার ওয়াক্তে, এক আজান ও দুই একামতে, মাগরিব ও এশা একত্রে আদায় করা। এশার নামাজ কসর করে দু’রাকাত পড়া এবং সাথে সাথে বেতরের নামাজও আদায় করে নেয়া।

(৪) মুযদালিফা থেকে কঙ্কর সংগ্রহ করা যেতে পারে তবে জরুরি নয়। ৭০ টি কঙ্কর সংগ্রহ করতে হবে। মিনা থেকেও কঙ্কর সংগ্রহ চলে। পানি দিয়ে কঙ্কর ধৌত করার কোনো বিধান নেই।

(৫) মুযদালিফায় রাত্রিযাপন। সুবহে সাদিক উদয়ের পর অন্ধকার থাকা অবস্থাতেই ফজরের নামাজ আদায়। চারদিক আলোকিত হওয়া পর্যন্ত দোয়া মুনাজাতে মশগুল থাকা।

(৬) সূর্যোদয়ের পূর্বে মিনাভিমুখে যাত্রা। তবে দুর্বলদের ক্ষেত্রে মধ্যরাতের পর মিনার উদ্দেশে রওনা হয়ে যাওয়া বৈধ।

১০ যিলহজ

১। জামরায়ে আকাবায় (বড় জামরা) সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ।

২। হাদী (কোরবানির পশু) জবেহ করা, অন্যকে দায়িত্ব দিয়ে থাকলে হাদী জবেহ হয়েছে কি-না সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া।

৩। মাথা মুন্ডন অথবা চুল কর্তন করা। মুন্ডন করাই উত্তম। নারীদের ক্ষেত্রে আঙুলের অগ্রভাগ পরিমাণ কর্তন করা।

৪। মাথা মুন্ডনের মাধ্যমে এহরাম হতে বেরিয়ে প্রাথমিক হালাল হয়ে যাওয়া, অর্থাৎ স্বামী-স্ত্রী মেলা-মেশা ব্যতীত এহরাম অবস্থায় হারাম হয়ে যাওয়া অন্যসব বিষয় গ্রহণ করা।

৫। তাওয়াফে যিয়ারত সম্পাদন। এ ক্ষেত্রে এগারো ও বার তারিখ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত বিলম্ব করার অবকাশ রয়েছে। অধিকাংশ ফেকাহবিদের মতানুসারে এর পরেও আদায় করা যাবে, তবে ১৩ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্বে সেরে নেয়া ভাল।

৬। সা‘ঈ করা ও পুনরায় মিনায় গমন।

৭ । ১০ তারিখ দিবাগত রাত মিনায় যাপন।

বি.দ্র: তাওয়াফে যিয়ারত আদায়ের পর স্বামী-স্ত্রীর মেলা মেশাও বৈধ হয়ে যায়।

১১ যিলহজ

১। সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে যাওয়ার পর তিন জামরার প্রত্যেকটিতে সাতটি করে কঙ্কর নিক্ষেপ। ছোট জামরা থেকে শুরু করে বড় জামরায় শেষ করা। ছোট ও মধ্য জামরায় নিক্ষেপের পর দাঁড়িয়ে (দু’হাত উঠিয়ে) দু’আ করা।

১২ যিলহজ

২। ১২ তারিখ (১১ তারিখ দিবাগত রাত) মিনায় রাতযাপন।

৩। সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে যাওয়ার পর তিন জামরার প্রত্যেকটিতে সাতটি করে কঙ্কর নিক্ষেপ। শুধু ছোট ও মধ্য জামরাতে নিক্ষেপের পর দাঁড়িয়ে (দু’হাত উঠিয়ে) দু‘আ করা।

হাজীদের জন্য ১২ তারিখে মিনা ত্যাগ করা বৈধ। তবে শর্ত হচ্ছে সূর্যাস্তের পূর্বেই মিনার সীমানা অতিক্রম করতে হবে। মক্কা ত্যাগের পূর্বে বিদায়ি তাওয়াফ আদায় করা।

৪। ১২ তারিখ দিবাগত রাত মিনায় যাপন করা উত্তম। তবে ১২ তারিখেও মিনা ত্যাগ করা বৈধ রয়েছে। ১২ তারিখ মিনা ত্যাগ করার ক্ষেত্রে সূর্যাস্তের পূর্বেই মিনার সীমানার বাইরে চলে যেতে হবে, অন্যথায় ১২ তারিখের রাত মিনায় যাপন করে ১৩ তারিখ সূর্য ঢলে যাওয়ার পর তিন জামরায় কঙ্কর নিক্ষেপ করে মিনা ত্যাগ করতে হবে।

১৩ যিলহজ

১। সূর্য ঢলে যাওয়ার পর পর তিন জামরায় সাতটি করে কঙ্কর নিক্ষেপ। ছোট জামরা থেকে শুরু করে বড় জামরাতে গিয়ে শেষ করবে। শুধু ছোট ও মধ্য জামরাতে নিক্ষেপের পর দাঁড়িয়ে (দু’হাত উঠিয়ে) দু‘আ করবে।

২। মিনা ত্যাগ করে মক্কা অভিমুখে যাত্রা এবং মক্কা ত্যাগের আগে বিদায়ি তাওয়াফ সম্পাদন। তবে প্রসূতি ও স্রাবগ্রস্ত মহিলারা এ থেকে অব্যাহতি পাবে।

হজের তালবিয়া নিম্নরূপ

لَبَّيْكَ اللّهُمَّ لَبَّيْكْ، لَبَّيْكَ لا شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكْ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكْ، لا شَرِيْكَ لَكْ

‘আমি হাজির, হে আল্লাহ! আমি হাজির। তোমার কোনো শরিক নেই। নিশ্চয়ই প্রশংসা ও নেয়ামত তোমার এবং রাজত্বও, তোমার কোনো শরিক নেই।

তওয়াফের সময় রুকনে ইয়ামানি থেকে হজরে আসওয়াদ পর্যন্ত পড়ার বিশেষ দু‘আ

رَبَّنَا آَتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآَخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ﴿২০১﴾

হে আমাদের রব! আমাদের দুনিয়াতে কল্যাণ দাও এবং আখেরাতে কল্যাণ দাও এবং আমাদেরকে অগ্নির শাস্তি হতে বাছাও।

আরাফা দিবসের বিশেষ দু‘আ

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ .

আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মা‘বুদ নেই। তিনি এক তাঁর কোন শরিক নেই। রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসা মাত্রই তাঁর। তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।

সমাপ্ত

আরো জানার জন্য ব্রাউজ করুন

১. www.hajj.com.bd

২. www.islam.com.bd

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন