hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

নেশাজাত দ্রব্যের বিধান

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৯
ধূমপানের ব্যাপারে ফতোয়া
ধূমপান করা হারাম এ মর্মে শাইখ আব্দুল আযিয ইবনে বায (রহ.) ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির ফতোয়া লক্ষ্য করুন।

প্রশ্ন : ধূমপানের হুকুম কী? ধূমপান কুরআনে হারাম না মকরূহ? ধূমপান ক্রয়-বিক্রয়ের বিধান কি?

উত্তর : প্রথমত : ধূমপান হারাম। ধূমপান কুরআনে বর্ণিত নিষিদ্ধ খবিস বস্তুর অন্তর্ভুক্ত। ধূমপানে রয়েছে বিভিন্ন রোগের উপাদান। আল্লাহ তা‘আলা বান্দার উপর পবিত্র খাদ্য ও পানীয় হালাল করেছেন এবং অপবিত্র ও খারাপ বস্তু তিনি বান্দার উপর হারাম করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

﴿يَسْأَلُوْنَكَ مَاذَاۤ أُحِلَّ لَهُمْ قُلْ أُحِلَّ لَكُمُ الطَّيِّبَاتُ﴾

তারা তোমাকে প্রশ্ন করে, তাদের জন্য কী বৈধ করা হয়েছে? বলো, তোমাদের জন্য বৈধ করা হয়েছে প্রত্যেক পবিত্র বস্তু। (সূরা মায়েদা- ৪)

অন্য আয়াতে তিনি নবী ﷺ এর গুণাগুণ বর্ণনায় বলেন,

﴿فَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا بِهٖ وَعَزَّرُوْهُ وَنَصَرُوْهُ وَاتَّبَعُوا النُّوْرَ الَّذِۤيْ اُنْزِلَ مَعَهٗۤ اُولٰٓئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ﴾

যারা তাঁর (নবীর) প্রতি ঈমান আনয়ন করে, তাঁকে সম্মান করে ও সাহায্য করে এবং যে নূর তাঁর সাথে অবতীর্ণ হয়েছে তার অনুসরণ করে, তারাই সফলকাম। (সূরা আ‘রাফ- ১৫৭)

সর্বপ্রকার ধূমপান খবিস বস্তুর অন্তর্ভুক্ত। যেমনিভাবে সকল প্রকার নেশাজাতদ্রব্য খবিস বস্ত্তর অন্তর্ভুক্ত। তাই ধূমপানের ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যবসা-বাণিজ্য মদের মতই হারাম। যারা ধূমপান করে অথবা তার ব্যবসায় জড়িত তাদের সবার উপর ওয়াজিব হচ্ছে, দ্রুত তওবা করে আল্লাহর দিকে মনোনিবেশ করা। পূর্বের কর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে ভবিষ্যতে না করার দৃঢ় অঙ্গীকার করা। সত্যিকার অর্থে যে তওবা করবে, আল্লাহ তা‘আলা তার তওবা কবুল করবেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

﴿ وَتُوْبُوْاۤ اِلَى اللهِ جَمِيْعًا اَيُّهَا الْمُؤْمِنُوْنَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ﴾

হে মুমিনগণ! তোমরা সকলে আল্লাহর কাছে তওবা করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সূরা নূর- ৩১)

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন-

﴿وَاِنِّيْ لَغَفَّارٌ لِّمَنْ تَابَ وَاٰمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا ثُمَّ اهْتَدٰى﴾

অবশ্যই আমি তার প্রতি ক্ষমাশীল, যে তওবা করে, ঈমান আনে, সৎকর্ম করে ও সৎপথে অবিচল থাকে। (সূরা ত্বা-হা- ৮২)

দ্বিতীয়ত : ধূমপানে রয়েছে শারীরিক ক্ষতি ও অর্থের অপচয়, অথচ ইসলাম শরীর ও সম্পদ সংরক্ষণ করার নির্দেশ প্রদান করেছে। মানব জাতির সংরক্ষণ ও উম্মতের হেফাযতের জন্য আলেমগণ যে পাঁচটি বস্তু হেফাযত করা অতি জরুরি ঘোষণা করেছেন, তার মধ্যে শরীর ও সম্পদ অন্যতম। অতএব শরীর ও সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করা অপরিহার্য। হাদীসে সম্পদ নষ্টের নিষেধাজ্ঞা এসেছে। সন্দেহ নেই ধূমপানের জন্য সম্পদ ব্যয় করা অপচয়ের শামিল, বরং ধূমপানের জন্য খরচ করা প্রকৃতপক্ষে নিজের ও সমাজের অনিষ্ট সাধন করা। [ফতোয়া লাজনায়ে দায়েমাহ, ২২/ ১৭৯-১৮০ পৃঃ।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন