মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আরবের লোকেরা স্বাভাবিকভাবে মদ্যপানে অভ্যসত্ম ছিল। আর এটি হঠাৎ করে ছেড়ে দেওয়াও তাদের জন্য কঠিন ছিল। তাই আল্লাহ তা‘আলা মদকে হঠাৎ করেই হারাম করে দেননি। বরং তিনি তা পর্যায়ক্রমে হারাম করেছেন।
১ম পর্যায় :
আল্লাহ তা‘আলা প্রথমে কেবল এ ধারণা দিয়েছেন যে, হালাল খাদ্য থেকেই হারাম মদ তৈরি করা হয়। সুতরাং হালাল খাদ্যকে তার যথাযথ পদ্ধতিতে ব্যবহার করো এবং এগুলোকে হারাম পদ্ধতিতে ব্যবহার করা থেকে সাবধান থাকো। তিনি বলেন,
তোমরা খেজুর বৃক্ষের ফল ও আঙ্গুর হতে মাদক ও উত্তম খাদ্য গ্রহণ করে থাক; এতে অবশ্যই বোধশক্তিসম্পন্ন সম্প্রদায়ের জন্য রয়েছে নিদর্শন। (সূরা নাহল- ৬৭)
অত্র আয়াতে মাদককে উত্তম খাদ্য থেকে পৃথক করা হয়েছে। আর এ ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে যে, ফলের রসে এমন উপাদানও রয়েছে, যা মানুষের জন্য খাদ্যে পরিণত হতে পারে। আবার এমন উপাদানও আছে, যা পরে মাদকদ্রব্যে পরিণত হয়। সুতরাং কখনো এটা মনে করো না যে, হালাল বস্ত্ত হতে হারাম বস্ত্ত তৈরি হতে পারে না অথবা হালাল বস্ত্ত কখনো কোন কারণে হারাম হতে পারে না। তোমরা যে মদ তৈরি করছ তার উপাদান হালাল বস্ত্ত থেকেই গ্রহণ করা হয়। কিন্তু তা উত্তম খাদ্য নয়। সুতরাং এ থেকে বিরত থাকার মানসিকতা তৈরি করো।
২য় পর্যায় :
এ পর্যায়ে এ ধারণা দেয়া হয়েছে যে, মদ ও জুয়ায় উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি। আল্লাহ তা’য়ালা বলেন,
লোকেরা তোমাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলো, এ দুটির মধ্যে বড় ধরনের গোনাহ রয়েছে। এতে মানুষের জন্য কিছুটা উপকার রয়েছে, তবে এ দুটির পাপ উপকারের চেয়ে অনেক বড়। (সূরা বাক্বারা- ২১৯)
অত্র আয়াতে মদকে বড় ধরনের গোনাহের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কেননা মদ্যপান করার কারণে ব্যক্তি অনেক ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পরতে পারে। যেমন- চুরি ছিনতাই, ডাকাতি, যিনা, মিথ্যা কথা বলা, গালিগালাজ করা, চাঁদাবাজী করা ইত্যাদি। আবার এর কারণে অনেক ইবাদাতেও বিঘ্ন ঘটে। সুতরাং যে জিনিসের মধ্যে এতগুলো বড় বড় অপকারিতা বিদ্যমান, তা ছেড়ে দেয়াই যুক্তিযুক্ত।
৩য় পর্যায় :
এ পর্যায়ে কেবল সালাতের সময় মদ্যপান নিষিদ্ধ করা হয়। আল্লাহ তা’য়ালার বাণী-
হে মুমিনগণ! তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সালাতের নিকটবর্তী হয়ো না, যতক্ষণ না তোমরা যা বল তা বুঝতে পার। (সূরা নিসা- ৪৩)
আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আনসারদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি তাকে এবং আবদুর রহমান ইবনে আওফ (রাঃ) কে মদ্যপানের আমন্ত্রণ জানালেন। আর এ ঘটনা ছিল মদ হারাম হওয়ার পূর্বের। ফলে তারা মদ্যপান করলেন এবং মাগরীবের সালাত আদায় করলেন। তখন আলী (রাঃ) ইমামতি করছিলেন। এমতাবস্থায় তিনি সূরা কাফিরূন পাঠ করার সময় ভুল করে বসেন। তখন আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াতটি নাযিল করেন।
৪র্থ পর্যায় :
এ পর্যায়ে চূড়ান্তভাবে মদ ও জুয়া হারাম করে দেয়া হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
হে মুমিনগণ! মদ, জুয়া, মূর্তিপূজার দেবী ও ভাগ্য নির্ণায়ক শর (তীর) ঘৃণ্যবস্তু ও শয়তানের কাজ। সুতরাং তোমরা তা বর্জন করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। নিশ্চয় শয়তান মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের মধ্যে বিদ্বেষ ঘটাতে চায় এবং তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ ও সালাত আদায় করা হতে বাধা প্রদান করতে চায়। অতঃপর তোমরা কি বিরত থাকবে না? (সূরা মায়েদা- ৯০, ৯১)
উপরোক্ত আয়াতটি মদ হারাম হওয়ার ক্ষেত্রে নাযিলকৃত সর্বশেষ আয়াত। এ আয়াতটি নাযিল হওয়ার পর আর কারো জন্য মদ্যপানের বৈধতা অবশিষ্ট রাখা হয়নি। তখন থেকে কিয়ামত পর্যমত্ম মদ বা নেশাজাত দ্রব্যসমূহ আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদের জন্য হারাম করে দিয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/216/7
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।