মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
মাদকাসক্তি বর্তমান বিশ্ব মানবতার জন্য এক ভয়াবহ অভিশাপ। এর সর্বানাশা মরণ ছোবলে জাতি আজ ধ্বংসের সম্মুখীন। ভেঙ্গে পড়ছে অসংখ্য পরিবার। বিঘ্নিত হচ্ছে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন। এর সাথে যোগ হচ্ছে চোরাচালানসহ মানবতা বিধ্বংসী অসংখ্য অপরাধ। নিম্নে এর পরিণতির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
মদ্যপান একটি শয়তানী কাজ :
মদ্যপান শয়তানী কাজ। এর ফলে মানুষ সালাত আদায় করা ও সিয়াম পালন করা থেকে দূরে সরে যায়। শয়তান মানুষকে সৎপথ থেকে বিতাড়িত করে পাপাচারের দিকে ধাবিত করে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
নিশ্চয় শয়তান মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ ঘটাতে চায় এবং তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে ও সালাত আদায় করা থেকে বাধা দিতে চায়। তবুও কি তোমরা (এসব অন্যায় হতে) বিরত থাকবে না? (সূরা মায়েদা- ৯১)
ওয়ায়িল আল-হায্রামী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তারিক ইবনে সুওয়াইদ জু‘ফী (রাঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ কে মদ সম্পর্কে প্রশ্ন করলেন। অতঃপর তিনি তাকে বারণ করলেন, কিংবা মদ প্রস্তুত করাকে খুব জঘন্য মনে করলেন। তিনি [তারিক (রাঃ)] বললেন, আমি তো শুধু ঔষধ তৈরি করার জন্য মদ প্রসত্মুত করি। তিনি বললেন, এটি তো (ব্যাধি নিরামক) ঔষধ নয়, বরং এটি নিজেই ব্যাধি। [সহীহ মুসলিম, হা/৫২৫৬; ইবনে মাজাহ, হা/৩৫০০; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৮৮২; মিশকাত, হা/৩৬৪২।]
আল্লাহ তা‘আলা কোন হারাম বসত্মুর মধ্যে রোগ নিরাময়ের কোন উপকরণ রাখেননি। মূলত মদ্যপানে সাময়িকভাবে দেহের বা স্বাস্থ্যের বাহ্যিক উপকার বা উন্নতি দেখা গেলেও তার শেষ পরিণতি খারাপ ছাড়া কিছু নেই।
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেছেন, কোন লোক ঈমানদার অবস্থায় ব্যভিচার করতে পারে না। কোন লোক ঈমানদার অবস্থায় মদ্যপান করতে পারে না। কোন লোক ঈমানদার অবস্থায় চুরি করতে পারে না। [সহীহ বুখারী, হা/৫৫৭৮; সহীহ মুসলিম, হা/২১১; আবু দাউদ, হা/৪৬৯১;নাসাঈ, হা/৪৮৭০; ইবনে মাজাহ, হা/৩৯৩৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/১০২২০; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৮৬; মিশকাত, হা/৫৩।]
আল্লাহ তা‘আলা ৪০ দিন পর্যমত্ম মদ্যপানকারীর সালাত কবুল করেন না :
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি (একবার) মদ্যপান করে, আল্লাহ তা‘আলা ৪০ দিন পর্যমত্ম তার সালাত কবুল করেন না। অবশ্য যদি সে তওবা করে তবে আল্লাহ তার তওবা কবুল করেন। যদি সে (দ্বিতীয়বার) পুনরায় মদ্যপান করে, আল্লাহ ৪০ দিন পর্যমত্ম তার সালাত কবুল করেন না। আবার যদি সে তওবা করে, তবে আল্লাহ তা‘আলা তার তওবা কবুল করেন। অতঃপর যদি সে আবারও (তৃতীয়বার) মদ্যপান করে, আল্লাহ তা‘আলা ৪০ দিন পর্যমত্ম তার সালাত কবুল করেন না। পুনরায় যদি সে তওবা করে, তবে আল্লাহ তা‘আলা তার তওবা কবুল করেন। যদি সে চতুর্থবারও মদ্যপানের পুনরাবৃত্তি করে, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তার ৪০ দিনের সালাত কবুল করেন না। এবারও যদি সে তওবা করে তবে আল্লাহ তা‘আলা তার তওবা কবুল করবেন না এবং আল্লাহ তা‘আলা তাকে নহরে খাবাল হতে অর্থাৎ জাহান্নামীদের রক্ত ও পুঁজের নহর হতে পান করাবেন। [তিরমিযী, হা/১৮৬২; ইবনে মাজাহ, হা/৩৩৭৭; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫৩৫৭; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৭২৩২; মিশকাত, হা/৩৬৪৩।]
৪০ দিনের সালাত কবুল হয় না- এর অর্থ হচ্ছে সে সালাত আদায়ের সওয়াব পাবে না। আর চতুর্থবারের পর তার তওবা কবুল হয় না- এর অর্থ হচ্ছে, সে সদা মদ্যপানের কারণে মদের প্রতি এমন আসক্ত হয়ে পড়ে যে, তওবা করা তার নসীব হয় না এবং তা পান করা অবস্থায়ই তার মৃত্যু ঘটে।
মদের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপর আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অভিশাপ :
আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ মদের সাথে সংশ্লিষ্ট ১০ ব্যক্তিকে অভিশাপ দিয়েছেন- (১) মদ তৈরিকারী, (২) যে মদ তৈরি করে নেয়, (৩) মদ্যপানকারী, (৪) মদ বহনকারী, (৫) যার নিকট বহন করে নিয়ে যাওয়া হয়, (৬) মদ পরিবেশনকারী, (৭) মদ ক্রয়কারী, (৮) মদ বিক্রয়ের অর্থ ভক্ষণকারী, (৯) মদ বিক্রয়কারী এবং (১০) যার জন্য মদ ক্রয় করা হয়। [তিরমিযী, হা/১২৯৫; ইবনে মাজাহ, হা/৩৩৮১; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২৩৫৭; মিশকাত, হা/২৭৭৬।]
ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি যে, আমার নিকট জিবরাঈল (আঃ) এসে বললেন, হে মুহাম্মাদ! আল্লাহ তা‘আলা মদকে, মদ প্রসত্মুতকারককে, যে মদ তৈরি করে নেয় তাকে, মদ্যপানকারীকে, মদ বহনকারীকে, যার জন্য মদ বহন করা হয় তাকে, মদ বিক্রেতা ও ক্রেতাকে এবং মদ পরিবেশনকারী ও যার জন্য মদ পরিবেশন করা হয় তাকে অভিশাপ করেছেন। [মুসনাদে আহমাদ, হা/২৮৯৯; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫৩৫৬; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/২২৩৪।]
মদ পান করা শিরকের সমতুল্য অপরাধ :
ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন মদকে হারাম করে দেয়া হয়েছিল, তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাহাবীগণ কেউ কেউ একে অন্যের নিকট গেলেন এবং বললেন, মদকে হারাম করে দেয়া হয়েছে এবং পাপের দিক থেকে শিরকের সমতুল্য করে দেয়া হয়েছে। [মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৭২২৭; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১২২২৯; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২৩৭১।]
ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমরা মদ্যপান করা থেকে দূরে থাকো। কেননা এটি সকল অনিষ্টের মূল। [মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৭২৩১; ইবনে মাজাহ, হা/৩৩৭১; আদাবুল মুফরাদ, হা/১৮; শু‘আবুল ঈমান, হা/৫১৯৯; মিশকাত, হা/৫৮০; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২৩৬৮; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৭৯৮।]
মদ পানকারী অন্যান্য পাপেও জড়িয়ে পড়ে :
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, একদা বনী ইসরাঈলের এক বাদশা এক ব্যক্তিকে ধরে আনল এবং তাকে পাঁচটি বিষয় থেকে যে কোন একটি বিষয় গ্রহণ করার জন্য সুযোগ দিল। আর সে পাঁচটি বিষয় হচ্ছে, (১) মদ্যপান করা, (২) কোন ছোট বালককে হত্যা করা, (৩) ব্যভিচার করা, (৪) শুকরের মাংস খাওয়া, (৫) যদি সে এগুলোর কোন একটি করতে অস্বীকার করে তবে তাকে মেরে ফেলা হবে। অতঃপর সে লোকটি (কোন বড় ধরনের অন্যায় মনে না করে) মদ্যপান করাকে বেছে নিল। ফলে সে যখন মদ্যপান করল তখন সে অবশিষ্ট কাজসমূহও সম্পাদন করে ফেলল, যা কিছু তারা তার থেকে ইচ্ছা করছিল। [মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১৫২৮; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/২৪৫৪৩; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৬৯৫।]
এ হাদীসে বর্ণিত অপরাধগুলো উদাহরণ মাত্র। তবে বর্তমান সমাজের দিকে তাকালে এসব অপরাধের মাত্রা অনেক বেশি লক্ষ্য করা যায়।
দৈহিক ক্ষমতা হ্রাস :
মাদকাসক্তি মানব দেহে ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনে। এটি গ্রহণের ফলে কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়, স্নায়ুবিক দুর্বলতা শুরু হয়। যকৃতের তীব্র প্রদাহ, অনিদ্রা, পেটে ব্যাথাসহ লিভারের যাবতীয় রোগে আক্রামত্ম হয়। মাদকাসক্তির ফলে প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে বলে বৈজ্ঞানিকদের অভিমত রয়েছে।
নৈতিক ও সামাজিক বিপর্যয় :
মাদকাসক্ত ব্যক্তি তার নীতিবোধ হারিয়ে ফেলে। সমাজে বিদ্যমান অপকর্মের বেশিরভাগ তার দ্বারাই সংগঠিত হয়। যেমন ব্যভিচার, হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, রাহাজানি ইত্যাদি। এর ফলে পারিবারিক অশামিত্ম সৃষ্টি হয়। সমাজ জীবনে নেমে আসে নানা বিপর্যয়। মদ্যপায়ী ব্যক্তি সমাজে হয়ে যায় অবাঞ্চিত ও ঘৃণিত। আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) বলেন,
لَا تُسَلِّمُوْا عَلٰى شَرَبَةِ الْخَمْرِ
অর্থাৎ তোমরা মদ্যপানকারীদেরকে সালাম প্রদান করো না। [সহীহ বুখারী, মু‘আলাল্লাক সূত্রে ‘‘কারো গোনাহের কারণে কাউকে সালাত প্রদান না করা’’ অধ্যায়; শারহুস সুন্নাহ, হা/৩৫২২।]
অর্থনৈতিক দিক :
মদ্যপানকারীর সবচেয়ে বেশি ক্ষতির কারণ তার আর্থিক দিক। অব্যাহতভাবে মদ্যপান করতে প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়, যা মদ্যপায়ী স্বাভাবিকভাবেই অভিভাবক থেকে না পেয়ে দারস্থ হয় নানামুখী অপকর্মের দিকে। যেমন চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, বন্ধু-বান্ধবদের থেকে ধার নেয়া, পরিবার-পরিজনকে অশামত্মকরণ ইত্যাদি। মাদকাসক্তি অর্থ অপচয়ের অন্যতম একটি মাধ্যম। এর ফলে সংসার জীবনে নেমে আসে দুঃখ দুর্দশা। বেড়ে যায় ঋণের বোঝা।
মানসিক দিক :
মাদকদ্রব্য ব্যবহারের ফলে মানুষের বিবেকের উপর অশুভ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বিবেক-বুদ্ধি লোপ পায়। হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। উদাসীনতায় ভোগে। হারিয়ে ফেলে সব রকমের কর্মস্পৃহা। সমাজ সংসার ছেড়ে বৈরাগ্য জীবনে অভ্যস্থ হয়ে পড়ে। অনেক সময় মানসিক ভারসাম্যও হারিয়ে ফেলে।
মদ্যপানকারীদের ধবংস অনিবার্য :
উবাদা ইবনে সামিত (রাঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, সেই সত্ত্বার কসম যার হাতে আমার জীবন! আমার উম্মতের কতিপয় লোক রাত্রিযাপন করবে গর্বকারী, অহংকারী এবং খেল-তামাসায় রত অবস্থায়। অতঃপর তারা সকাল করবে বানর এবং শুকরে রূপামত্মরিত অবস্থায়। এর কারণ হলো রাত্রে তারা হারামকে হালাল করে নেবে, গায়িকা ও নর্তকী (নাচের নারী) গ্রহণ করবে, মদ্যপান করবে, সুদ খাবে এবং রেশমী পোষাক পরিধান করবে। [মুসনাদে আহমাদ, হা/২২৮৪২; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২৩৭৭।]
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আমার উম্মত যখন পাঁচটি বসত্মুকে হালাল মনে করবে, তখন তাদের ধবংস অপরিহার্য। (১) যখন পরস্পরকে অভিসম্পাত করার ব্যাপকতা লাভ করবে, (২) যখন তারা মদ্যপান করবে, (৩) যখন (পুরুষরা) রেশম কাপড় পরিধান করবে, (৪) যখন তারা গানের জন্য গায়িকা গ্রহণ করবে (নর্তকী নাচাবে) এবং (৫) যখন পুরুষরা পুরুষদের সাথে সমকামিতাকেই যথেষ্ট ভেবে বিবাহকে ত্যাগ করবে এবং নারীরা নারীদের সাথে সঙ্গম করে বিবাহকে ত্যাগ করবে। [শু‘আবুল ঈমান, হা/৫০৮৬; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২০৫৩।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/216/9
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।