hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কবরের প্রশ্ন ও প্রাসংগিক আলোচনা

লেখকঃ মুহাম্মাদ মুনিরুজ্জামান বিন আশরাফ আলী

১১
কবরের দ্বিতীয় প্রশ্ন - তোমার দ্বীন কি ছিল?
মৃত্যুর পর কবরে/আলমে বারযাখে দ্বিতীয় যে প্রশ্নটি সবাইকে করা হবে, তা হলো- তোমার দ্বীন কি ছিল? মুসলিম ব্যক্তি এর জবাবে বলবে যে, আমার দ্বীন ছিল ইসলাম। তবে যে ব্যক্তি কুরআন থেকে দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে ভালভাবে জেনে, দুনিয়ার জীবনে ইসলামী জীবন যাপন করবেন তিনিই কেবল এই জবাব দিতে পারবেন। আর যে ব্যক্তি দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে কুরআন-হাদীস থেকে ভালভাবে জানবেন না এবং দুনিয়ার জীবনে ইসলাম অনুযায়ী জীবন যাপন করবেন না সে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে না বরং বলবে, ‘‘হায়, হায়, আমি জানি না।’’ তাই আমাদের জানা উচিত ইসলাম কি?

ইসলাম শব্দটি এসেছে ( سلم ) শব্দ থেকে যার অর্থ আত্মসমর্পণ করা বা অনুগত হওয়া। শরিয়তের পরিভাষায় ইসলাম মানে এক আল্লাহর বিধানের কাছে আত্মসমর্পণ করা বা সন্তুষ্ট চিত্তে আল্লাহর বিধানকে মেনে নিয়ে সে অনুযায়ী জীবন যাপন করা। অন্তরে এ কথা বদ্ধমূল করে নেয়া যে, আল্লাহ হলেন সকল জ্ঞানের অধিকারী এবং মানুষের প্রতি অত্যন্ত সেণহশীল ও মেহেরবান। সুতরাং আল্লাহই ভাল জানেন কোন বিধান মানুষের জন্য উপকারী এবং তিনি যে বিধান দিয়েছেন তা অবশ্যই সুন্দর ও উত্তম। তাই দুনিয়া ও আখেরাতে সুখে শান্তিতে থাকার জন্য আমি সন্তুষ্ট চিত্তে তাঁর বিধান মেনে নিলাম এবং নিষ্ঠার সাথে তাঁর মনোনীত দ্বীন ইসলাম পালনের জন্য আত্মসমর্পণ করলাম। যেমন আল্লাহ বলেন,

اِذْ قَالَ لَه رَبُّه اَسْلِمْ قَالَ اَسْلَمْتُ لِرَبِّ الْعَالَمِيْنَ

(স্মরণ কর) যখন তার রব তাকে বললেন, ‘আত্মসমর্পণ কর।’ সে বলেছিল, আমি বিশ্বজগতের রবের কাছে আত্মসমর্পণ করলাম। (সূরা ২/বাকারাঃ ১৩১)

ضَرَبَ اللهُ مَثَلًا رَّجُلًا فِيْهِ شُرَكَآءُ مُتَشَاكِسُوْنَ وَرَجُلًا سَلَمًا لِّرَجُلٍ هَلْ يَسْتَوِيَانِ مَثَلَا الْحَمْدُ لِلّٰهِ بَلْ اَكْثَرُهُمْ لَا يَعْلَمُوْنَ

আল্লাহ একটি দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন, এক ব্যক্তি যার মনিব অনেক, যারা পরস্পর বিরোধী এবং আরেক ব্যক্তি, যে এক মনিবের অনুগত, এ দু’জনের অবস্থা কি সমান? সকল প্রশংসাই আল্লাহর কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না।

(সূরা ৩৯/যুমারঃ ২৯)

وَاَنِيْبُوْاۤ اِلٰى رَبِّكُمْ وَاَسْلِمُوْا لَهٗ مِنْ قَبْلِ اَنْ يَّأْتِيَكُمُ الْعَذَابُ ثُمَّ لَا تُنْصَرُوْنَ

আর তোমরা তোমাদের রবের অভিমুখী হও এবং তোমাদের উপর আযাব আসার পূর্বেই তার কাছে আত্মসমর্পণ কর, অতঃপর আর সাহায্য করা হবে না।

(সূরা ৩৯/যুমারঃ ৫৪)

আল্লাহর বিধান সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নেয়ার জন্য ইব্রাহীম (আঃ) যে দৃষ্টান্তহীন অনুসরণ ও আনুগত্যের নমুনা পেশ করেছিলেন মহান আল্লাহ তা কুরআনের মাধ্যমে আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন। প্রতিটি মুসলিম এমনই হোক মহান আল্লাহ এটাই চান। আল্লাহ বলেন,

وَمَنْ اَحْسَنُ دِيْنًا مِّمَّنْ اَسْلَمَ وَجْهَهٗ لِلّٰهِ وَهُوَ مُحْسِنٌ وَّاتَّبَعَ مِلَّةَ اِبْرَاهِيْمَ حَنِيْفًاؕ وَّاتَّخَذَ اللهُ اِبْرَاهِيْمَ خَلِيْلًا

আর দ্বীনের ব্যাপারে তার তুলনায় কে উত্তম, যে সৎকর্মপরায়ণ অবস্থায় আল্লাহর কাছে নিজেকে পূর্ণ সমার্পণ করল এবং একনিষ্টভাবে ইব্রাহীমের আদর্শ অনুসরণ করল? আর আল্লাহ ইব্রাহীমকে পরম বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন।

(সূরা ৪/নিসাঃ ১২৫)

শিরকমুক্ত হয়ে নিষ্ঠার সাথে কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যও নাবী ﷺ এর সুন্নাহ অনুযায়ী আমল করাই ইবাদত কবুল হওয়ার মৌলিক শর্ত। আখেরাতের মুক্তি এই মৌলিক নীতি অনুযায়ী কৃত নেক আমলের উপর নির্ভরশীল। কেবল আশা ও কামনা করলেই মুক্তি পাওয়া যাবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

اِنَّ الدِّيْنَ عِنْدَ اللهِ الْاِسْلَامُ۫ وَمَا اخْتَلَفَ الَّذِيْنَ اُوْتُوا الْكِتَابَ اِلَّا مِنْ ۢبَعْدِ مَا جَآءَهُمُ الْعِلْمُ بَغْيًا ۢبَيْنَهُمْؕ وَمَنْ يَّكْفُرْ بِاٰيَاتِ اللهِ فَاِنَّ اللهَ سَرِيْعُ الْحِسَابِ

নিশ্চয় আল্লাহর নিকট দ্বীন হচ্ছে ইসলাম। আর যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে, তাদের নিকট জ্ঞান আসার পরই তারা মতানৈক্য করেছে, পরস্পর বিদ্বেষবশত। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর আয়াতসমূহের সাথে কুফরী করে, নিশ্চয় আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী। (সূরা ৩/আলি ইমরানঃ ১৯)

وَلِكُلِّ اُمَّةٍ جَعَلْنَا مَنْسَكًا لِّيَذْكُرُوا اسْمَ اللهِ عَلٰى مَا رَزَقَهُمْ مِّنْ ۢبَهِيْمَةِ الْاَنْعَامِؕ فَاِلٰهُكُمْ اِلَهٌ وَّاحِدٌ فَلَهٗۤ اَسْلِمُوْاؕ وَبَشِّرِ الْمُخْبِتِيْنَ

প্রত্যেক জাতির জন্য আমি কুরবানীর নিয়ম করে দিয়েছি, যাতে তারা আল্লাহর নাম স্মরণ করতে পারে, যে সমস্ত জন্তু তিনি রিযিক হিসেবে দিয়েছেন তার উপর। তোমাদের ইলাহ তো এক ইলাহ, অতএব তাঁরই কাছে আত্মসমর্পণ কর আর অনুগতদেরকে সুসংবাদ দাও। (সূরা ২২/হজ্জ্বঃ ৩৪)

قُلْ اَغَيْرَ اللهِ اَتَّخِذُ وَلِيًّا فَاطِرِ السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِ وَهُوَ يُطْعِمُ وَلَا يُطْعَمُؕ قُلْ اِنِّيْۤ اُمِرْتُ اَنْ اَكُوْنَ اَوَّلَ مَنْ اَسْلَمَ وَلَا تَكُوْنَنَّ مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ

বল, আমি কি আল্লাহ ছাড়া অন্যকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করব, যিনি আসমানসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা? তিনি আহার দেন, তাঁকে আহার দেয়া হয় না। বল, নিশ্চয় আমি আদিষ্ট হয়েছি যে, যারা ইসলাম গ্রহণ করেছে আমি যেন তাদের প্রথম হই। আর তুমি কখনো মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত হয়ো না।

(সূরা ৬/আনআমঃ ১৪)

ইসলাম হলো মহান আল্লাহর সেই মনোনীত দ্বীন, যার প্রতি সকল নবীগণ সব যুগে আহবান করেছেন এবং যার শিক্ষা দিয়েছেন। আর এখন এই ইসলামের পূর্ণাঙ্গ রূপ হলো সেটাই, যা শেষ নাবী মুহাম্মাদ ﷺ বিশ্ববাসীর সামনে পেশ করেছেন। তাওহীদ, রিসালাত ও আখেরাতের উপর ঐভাবেই ঈমান আনতে হবে যেভাবে নাবী কারীম ﷺ নির্দেশ দিয়েছেন। এখন কেবল আল্লাহকে এক মনে করে নিলেই অথবা কিছু নেককাজ করলেই যে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হবে এবং আখেরাতে মুক্তি পাওয়া যাবে তা নয়, বরং ঈমান ও ইসলামের দাবী হল, আল্লাহকে এক মনে করে কেবল তাঁরই ইবাদত করা। মুহাম্মাদ ﷺ সহ সকল নাবীদের উপর ঈমান আনা। মুহাম্মাদ ﷺ এরপর আর কোন নাবী আসবেন না, এ কথাও স্বীকার করে নেওয়া।

ইসলাম হলো আল্লাহর দেওয়া পরিপূর্ণ জীবন বিধান। আল্লাহ বলেন,

اَلْيَوْمَ اَكْمَلْتُ لَكُمْ دِيْنَكُمْ وَاَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِيْ وَرَضِيْتُ لَكُمُ الْاِسْلَامَ دِيْنًاؕ فَمَنِ اضْطُرَّ فِيْ مَخْمَصَةٍ غَيْرَ مُتَجَانِفٍ لِّاِثْمٍ فَاِنَّ اللهَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ

আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের উপর আমার নিয়ামত সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকেই তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম। (সূরা ৫/মায়িদাঃ ৩)

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا ادْخُلُوْا فِي السِّلْمِ كَآفَّةً وَّلَا تَتَّبِعُوْا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِؕ اِنَّه لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِيْنٌ

হে ঈমানদারগণ, তোমরা ইসলামে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের জন্য প্রকাশ্য শত্রু।

(সূরা ২/বাকারাঃ ২০৮)

সুতরাং ইসলাম হলো রবের পক্ষ থেকে মনোনীত পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা যেখানে বিদআতের কোন স্থান নেই। যিনি কুরআন হাদীস থেকে জ্ঞান অর্জন করে বিশুদ্ধ ঈমান ও আকীদার অধিকারী হবেন, কুরআন-সুন্নায় বর্ণিত আমলগুলো রসূল ﷺ এর পদ্ধতিতে সম্পাদন করবেন এবং শিরক-বিদআত থেকে বেছে থাকবেন তিনিই কেবল কবরে তোমার দ্বীন কি ছিল এর সঠিক জবাব দিতে পারবেন। আর যাদের ঈমান ও আকীদা বিশুদ্ধ নয় এবং আমলে সালেহ এর সাথে আমলে বিদআত মিশ্রিত করে ফেলেছেন কাফির, মুশরিক, মুনাফিকদের মত তারাও কবরে এ প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারবেন না। সুতরাং মুক্তি প্রত্যাশী মুসলিম ভাই-বোনদেরকে ঈমান, আকীদা, শিরক, বিদআত ইত্যাদি বিষয়ে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। এ ব্যাপারে ইমাম পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত কিতাবসমূহ যথেষ্ট সহায়ক হবে ইন-শা-আল্লাহ।

দ্বীন ইসলাম পরিপূর্ণ বলেই আল্লাহ এমনটি বলেছেন এবং ঈমানদেরদেরকে বলা হচ্ছে যে, তোমরা ইসলামে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ কর। এমন করো না যে, যে নির্দেশগুলো তোমাদের স্বার্থ ও মনমত হবে সেগুলোর উপর আমল করবে এবং যেগুলো পছন্দ হবে না সেই নির্দেশগুলো পরিত্যাগ করবে। অনুরূপভাবে যা দ্বীনের অর্ন্তভুক্ত নয় তা পালন করতে নিষেধ করেছেন। এ আয়াতে দ্বীনের নামে বিদআতেরও খন্ডন করা হয়েছে এবং বর্তমানের ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদে বিশ্বাসীদের মতবাদেরও খন্ডন করা হয়েছে, যারা ইসলামকে সম্পূর্ণরুপে গ্রহণ করতে প্রস্তুত নয়, বরং দ্বীনকে কেবল (ব্যক্তিগত) ইবাদত অর্থাৎ মাসজিদে সীমাবদ্ধ রেখে রাজনীতি এবং দেশের সংসদ থেকে তাকে নির্বাসন দিতে চায়। এইভাবে জনসাধারণকেও বুঝানো হচ্ছে, যারা প্রচলিত প্রথা ও লোকাচার এবং আঞ্চলিক সভ্যতা-সংস্কৃতিকে পছন্দ করে, কোন মতেই তারা এগুলোকে ত্যাগ করতে প্রস্তুত নয়, যেমন মৃত্যু ও বিবাহ-শাদীতে ব্যায়বহুল ও অপচয়মূলক এবং বিজাতীয় রীতিনীতি ইত্যাদিও অনুসরণ করে থাকে, তাদেরকে বলা হচ্ছে যে, তোমরা সেই শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না, যে ইসলাম পরিপন্থী কথা ও কর্মকে লোভনীয় ও শোভনীয় ভঙ্গীতে তোমাদের সামনে পেশ করে, যে মন্দের উপর খুব ভালোর লেবেল চড়ায় এবং বিদআতকেও নেকীর কাজ বলে বুঝায়, যাতে সর্বদা তোমরা তার পাতা জালে ফেঁসে যাও। আল্লাহ বলেন,

فَاِنْ حَآجُّوْكَ فَقُلْ اَسْلَمْتُ وَجْهِيَ لِلّٰهِ وَمَنِ اتَّبَعَنِؕ وَقُلْ لِّلَّذِيْنَ اُوْتُوا الْكِتَابَ وَالْاُمِّيِّيْنَ اَاَسْلَمْتُمْؕ فَاِنْ اَسْلَمُوْا فَقَدِ اهْتَدَوْاۚ وَاِنْ تَوَلَّوْا فَاِنَّمَا عَلَيْكَ الْبَلَاغُؕ وَاللهُ بَصِيْرٌ ۢبِالْعِبَادِ

যদি তারা তোমার সাথে বিতর্ক করে, তবে তুমি বল, আমি আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ করেছি এবং আমার অনুসারীরাও। আর যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তাদেরকে এবং নিরক্ষরদেরকে বল, তোমরা কি ইসলাম গ্রহণ করেছ? তখন যদি তারা ইসলাম গ্রহণ করে, তাহলে তারা অবশ্যই হিদায়াতপ্রাপ্ত হবে। আর যদি ফিরে যায়, তাহলে তোমার দায়িত্ব শুধু পৌঁছিয়ে দেয়া। আর আল্লাহ বান্দাদের সম্পর্কে তীক্ষন দৃষ্টিবান। (সূরা ৩/আলি ইমরানঃ২০)

ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীন আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। আল্লাহ বলেন,

اَفَغَيْرَ دِيْنِ اللهِ يَبْغُوْنَ وَلَه اَسْلَمَ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِ طَوْعًا وَّكَرْهًا وَّاِلَيْهِ يُرْجَعُوْنَ

তারা কি আল্লাহর দ্বীনের পরিবর্তে অন্য কিছু তালাশ করছে? অথচ আসমানসমূহ ও যমীনে যা আছে তা তাঁরই আনুগত্য করে ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় এবং তাদেরকে তাঁরই নিকট প্রত্যাবর্তন করতে হবে।

(সূরা ৩/আলি ইমরানঃ ৮৩)

وَمَنْ يَّبْتَغِ غَيْرَ الْاِسْلَامِ دِيْنًا فَلَنْ يُّقْبَلَ مِنْهُۚ وَهُوَ فِي الْاٰخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِيْنَ

আর যে ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীন চায় তবে তার কাছ থেকে তা কখনো গ্রহণ করা হবে না এবং সে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভূক্ত হবে।

(সূরা আলি ইমরানঃ৮৫)

فَمَنْ يُّرِدِ اللهُ اَنْ يَّهْدِيَهٗ يَشْرَحْ صَدْرَهٗ لِلْاِسْلَامِۚ وَمَنْ يُّرِدْ اَنْ يُّضِلَّهٗ يَجْعَلْ صَدْرَهٗ ضَيِّقًا حَرَجًا كَاَنَّمَا يَصَّعَّدُ فِي السَّمَآءِؕ كَذٰلِكَ يَجْعَلُ اللهُ الرِّجْسَ عَلَى الَّذِيْنَ لَا يُؤْمِنُوْنَ

সুতরাং আল্লাহ যাকে হিদায়াত/সৎপথে পরিচালিত করতে চান, ইসলামের জন্য তার হৃদয়কে প্রশস্ত করে দেন আর যাকে বিপথগামী করতে চান, তার হৃদয়কে সংকীর্ণ করে দেন, (তার জন্য ইসলাম মানা এতটাই কঠিন) যেন সে আসমানে আরোহন করছে; এমনিভাবে আল্লাহ তাদের উপর অকল্যাণ চাপিয়ে দেন যারা ঈমান আনে না। (সূরা ৬/আনআমঃ ১২৫)

اَفَمَنْ شَرَحَ اللهُ صَدْرَهٗ لِلْاِسْلَامِ فَهُوَ عَلٰى نُوْرٍ مِّنْ رَّبِّه فَوَيْلٌ لِّلْقَاسِيَةِ قُلُوْبُهُمْ مِّنْ ذِكْرِ اللهِ اُولٰٓئِكَ فِيْ ضَلَالٍ مُّبِيْنٍ

আল্লাহ ইসলামের জন্য যার বক্ষকে খুলে দিয়েছেন ফলে সে তার রবের পক্ষ থেকে (আসা) আলোর (ওহী তথা কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞানের) উপর রয়েছে, তবে কি (সে তার সমান, যে এরূপ নয়); অতএব ধ্বংস সে লোকদের জন্য যাদের হৃদয় কঠিন হয়ে গেছে আল্লাহর স্মরণ থেকে, তারাই স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে নিমজ্জিত। (সূরা যুমারঃ ২২)

وَمَنْ اَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرٰى عَلَى اللهِ الْكَذِبَ وَهُوَ يُدْعٰۤى اِلَى الْاِسْلَامِ وَاللهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِيْنَ

আর সেই ব্যক্তির চেয়ে অধিক যালিম আর কে? যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা রচনা করে, অথচ তাকে ইসলামের দিকে আহবান করা হয় আর আল্লাহ যালিম সম্প্রদায়কে হিদায়াত/সৎপথে পরিচালিত করেন না। (সূরা ৬১/আস-সফঃ ৭)

যারা আল্লাহর যাবতীয় আদেশ পালন করে ও যাবতীয় নিষিদ্ধ বর্জন করে এবং শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্যই আমল করে এবং যাবতীয় আদেশ ও বিধান কুরআন-সুন্নাহ থেকে জেনে নিয়ে রসূল ﷺ এর পদ্ধতিতে সম্পাদন করে তাদের জন্য আছে পুরস্কার ও শুভ পরিণাম। আল্লাহ বলেন,

بَلٰى مَنْ اَسْلَمَ وَجْهَه لِلّٰهِ وَهُوَ مُحْسِنٌ فَلَه اَجْرُه عِنْدَ رَبِّه وَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُوْنَ

অবশ্যই যে নিজেকে আল্লাহর কাছে বিশুদ্ধচিত্তে আত্মসমর্পণ করেছে এবং সে নেককার, তবে তার জন্য রয়েছে তার রবের নিকট পুরস্কার। আর তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না। (সূরা ২/বাকারাঃ ১১২)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন