hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কবরের প্রশ্ন ও প্রাসংগিক আলোচনা

লেখকঃ মুহাম্মাদ মুনিরুজ্জামান বিন আশরাফ আলী

কবরের প্রথম প্রশ্ন- ‘‘তোমার রব কে?’’ এর সঠিক জবাব দেয়ার জন্য করণীয় ও বর্জনীয়
১. আল্লাহর তাওহীদ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করা ও তাওহীদ কে আঁকড়ে ধরা।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আমাদের প্রকাশিত ‘‘আল্লাহর ভালবাসা পেতে হলে’’ কিতাবটি সংগ্রহ করে পড়ুন। উক্ত কিতাবে আল্লাহর তাওহীদ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হয়েছে বিধায় এখানে আলোচনা করা হলো না।

২. আল্লাহকে রব হিসেবে মেনে নিয়ে তাঁর বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে হবে।

৩. আল্লাহকে রব হিসেবে মেনে নিয়ে তাঁর বিধান অনুযায়ী বিচার ফয়সালা করতে হবে।

اِنَّاۤ اَنْزَلْنَا التَّوْرَاةَ فِيْهَا هُدًى وَّنُوْرٌۚ يَّحْكُمُ بِهَا النَّبِيُّوْنَ الَّذِيْنَ اَسْلَمُوْا لِلَّذِيْنَ هَادُوْا وَالرَّبَّانِيُّوْنَ وَالْاَحْبَارُ بِمَا اسْتُحْفِظُوْا مِنْ كِتَابِ اللهِ وَكَانُوْا عَلَيْهِ شُهَدَآءَۚ فَلَا تَخْشَوُا النَّاسَ وَاخْشَوْنِ وَلَا تَشْتَرُوْا بِاٰيَاتِيْ ثَمَنًا قَلِيْلًاؕ وَّمَنْ لَّمْ يَحْكُمْ بِمَاۤ اَنْزَلَ اللهُ فَاُولٰٓئِكَ هُمُ الْكَافِرُوْنَ

নিশ্চয় আমি তাওরাত নাযিল করেছি, তাতে ছিল হিদায়াত ও আলো, এর মাধ্যমে ইয়াহুদীদের জন্য ফয়সালা প্রদান করত অনুগত নাবীগণ ও রববানী (আল্লাহভক্ত) ও ধর্মবিদ (আলেম/পন্ডিত)গণ। কারণ তাদেরকে আল্লাহর কিতাবের রক্ষক করা হয়েছিল এবং তারা ছিল এর উপর সাক্ষী। সুতরাং তোমরা মানুষকে ভয় করো না, আমাকেই ভয় কর এবং আমার আয়াতসমূহকে সামান্য মূল্যে বিক্রয় করো না। আর যারা আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তার মাধ্যমে বিচার ফয়সালা করে না, তারাই কাফের। (সূরা ৫/মায়িদাঃ ৪৪)

وَكَتَبْنَا عَلَيْهِمْ فِيْهَاۤ اَنَّ النَّفْسَ بِالنَّفْسِ وَالْعَيْنَ بِالْعَيْنِ وَالْاَنْفَ بِالْاَنْفِ وَالْاُذُنَ بِالْاُذُنِ وَالسِّنَّ بِالسِّنِّ وَالْجُرُوْحَ قِصَاصٌؕ فَمَنْ تَصَدَّقَ بِه فَهُوَ كَفَّارَةٌ لَّهٗؕ وَمَنْ لَّمْ يَحْكُمْ بِمَاۤ اَنْزَلَ اللهُ فَاُولٰٓئِكَ هُمُ الظَّالِمُوْنَ

আর আমি এতে তাদের উপর অবধারিত করেছি যে, প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ, চোখের বিনিময়ে চোখ, নাকের বিনিময়ে নাক, কানের বিনিময়ে কান ও দাঁতের বিনিময়ে দাঁত এবং জখমের বিনিময়ে সমপরিমাণ জখম। অতঃপর যে তা ক্ষমা করে দেবে, তার জন্য তা কাফ্ফারা হবে। আর যারা আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তার মাধ্যমে বিচার ফয়সালা করে না, তারাই যালিম।

(সূরা ৫/মায়িদাঃ ৪৫)

وَلْيَحْكُمْ اَهْلُ الْاِنْجِيْلِ بِمَاۤ اَنْزَلَ اللهُ فِيْهِؕ وَمَنْ لَّمْ يَحْكُمْ بِمَاۤ اَنْزَلَ اللهُ فَاُولٰٓئِكَ هُمُ الْفَاسِقُوْنَ

আর যারা আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তার মাধ্যমে ফয়সালা করে না, তারাই ফাসিক। (সূরা ৫/মায়িদাঃ ৪৭)

اِنَّمَا كَانَ قَوْلَ الْمُؤْمِنِيْنَ اِذَا دُعُوْاۤ اِلَى اللهِ وَرَسُوْلِه لِيَحْكُمَ بَيْنَهُمْ اَنْ يَّقُوْلُوْا سَمِعْنَا وَاَطَعْنَاؕ وَاُولٰٓئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ

মুমিনদেরকে যখন আল্লাহ ও তাঁর রসূলের দিকে ডাকা হবে এ মর্মে যে, তিনি তাদের মাঝে বিচার-মীমাংসা করবেন, তাদের কথা তো এই যে, আমরা শুনলাম ও মান্য করলাম, আর তারাই হলো সফলকাম। (সূরা ২৪/নূরঃ ৫১)

৪. তাগুতের সাথে সম্পর্ক সম্পূর্ণভাবে ছিন্ন করতে হবে।

لَاۤ اِكْرَاهَ فِي الدِّيْنِۚ قَدْ تَّبَيَّنَ الرُّشْدُ مِنَ الْغَيِّۚ فَمَنْ يَّكْفُرْ بِالطَّاغُوْتِ وَيُؤْمِنْ ۢبِاللّٰهِ فَقَدِ اسْتَمْسَكَ بِالْعُرْوَةِ الْوُثْقٰىۚ لَا انْفِصَامَ لَهَاۚ وَاللهُ سَمِيْعٌ عَلِيْمٌ

দ্বীন গ্রহণের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি নেই, অবশ্যই সত্য মিথ্যা থেকে স্পষ্ট হয়ে গেছে, অতএব যে ব্যক্তি তাগুতকে অস্বীকার করে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, অবশ্যই সে এমন একটা মজবুত রশি আঁকড়ে ধরে, যা ছিন্ন হবার নয়। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (সূরা ২/বাকারাঃ ২৫৬)

اَلَمْ تَرَ اِلَى الَّذِيْنَ اُوْتُوْا نَصِيْبًا مِّنَ الْكِتَابِ يُؤْمِنُوْنَ بِالْجِبْتِ وَالطَّاغُوْتِ وَيَقُوْلُوْنَ لِلَّذِيْنَ كَفَرُوْا هٰۤؤُلَآءِ اَهْدٰى مِنَ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا سَبِيْلًا

তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যাদেরকে কিতাবের এক অংশ দেয়া হয়েছে? তারা জিবত ও তাগুতের প্রতি ঈমান আনে এবং কাফিরদেরকে বলে, এরা মুমিনদের তুলনায় অধিক সঠিক পথপ্রাপ্ত। (সূরা ৪/নিসাঃ ৫১)

اَلَمْ تَرَ اِلَى الَّذِيْنَ يَزْعُمُوْنَ اَنَّهُمْ اٰمَنُوْا بِمَاۤ اُنْزِلَ اِلَيْكَ وَمَاۤ اُنْزِلَ مِنْ قَبْلِكَ يُرِيْدُوْنَ اَنْ يَّتَحَاكَمُوْاۤ اِلَى الطَّاغُوْتِ وَقَدْ اُمِرُوْاۤ اَنْ يَّكْفُرُوْا بِه ؕ وَيُرِيْدُ الشَّيْطَانُ اَنْ يُّضِلَّهُمْ ضَلَالًا ۢبَعِيْدًا

তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যারা দাবী করে যে, নিশ্চয় তারা ঈমান এনেছে তার উপর, যা নাযিল করা হয়েছে তোমার প্রতি এবং যা নাযিল করা হয়েছে তোমার পূর্বে। তারা তাগুতের কাছে বিচার নিয়ে যেতে চায় অথচ তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তাকে অস্বীকার করতে। আর শয়তান চায় তাদেরকে ঘোর বিভ্রান্তিতে বিভ্রান্ত করতে। (সূরা ৪/নিসাঃ ৬০)

وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِيْ كُلِّ اُمَّةٍ رَّسُوْلًا اَنِ اعْبُدُوا اللهَ وَاجْتَنِبُوا الطَّاغُوْتَۚ فَمِنْهُمْ مَّنْ هَدَى اللهُ وَمِنْهُمْ مَّنْ حَقَّتْ عَلَيْهِ الضَّلَالَةُؕ فَسِيْرُوْا فِي الْاَرْضِ فَانْظُرُوْا كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُكَذِّبِيْنَ

আর আমি অবশ্যই প্রত্যেক জাতির মধ্যে একজন রসূল প্রেরণ করেছি যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এবং তাগুতকে পরিহার কর। অতঃপর তাদের মধ্য থেকে আল্লাহ কাউকে হিদায়াত দিয়েছেন এবং তাদের মধ্য থেকে কারো উপর পথভ্রষ্টতা সাব্যস্ত হয়েছে। সুতরাং তোমরা যমীনে ভ্রমণ কর, অতঃপর দেখ, অস্বীকারকারীদের পরিণতি কিরূপ হয়েছে। (সূরা ১৬/নাহলঃ ৩৬)

وَالَّذِيْنَ اجْتَنَبُوا الطَّاغُوْتَ اَنْ يَّعْبُدُوْهَا وَاَنَابُوْاۤ اِلَى اللهِ لَهُمُ الْبُشْرٰى فَبَشِّرْ عِبَادِ

আর যারা তাগুতের উপাসনা পরিহার করে এবং আল্লাহ অভিমুখী হয় তাদের জন্য আছে সুসংবাদ, অতএব আমার বান্দাদের সুসংবাদ দাও। (সূরা ৩৯/যুমারঃ ১৭)

৫. শিরকের সাথে সম্পর্ক সম্পূর্ণভাবে ছিন্ন করতে হবে।

তোমার রব কে? কবরের এই প্রশ্নের উত্তরে ‘‘আমার রব হলেন আল্লাহ’’ এর যথাযথ জবাব দিতে হলে আপনাকে শিরক থেকে মুক্ত থাকতে হবে। কেননা আল্লাহ তা‘আলা সকল প্রকার শিরক থেকে একেবারে মুক্ত। যে ব্যক্তি শিরক করবে সে ব্যক্তি কবরের প্রশ্নের জবাব তো দূরের কথা সে সবচেয়ে বড় গুনাহের কাজে জড়িয়ে যাবে যে গুনাহ আল্লাহ ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ বলেনঃ

وَاِذْ قَالَ لُقْمَانُ لِابْنِه وَهُوَ يَعِظُهٗ يَا بُنَيَّ لَا تُشْرِكْ بِاللهِ اِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيْمٌ

আর স্মরণ কর, যখন লুকমান তার পুত্রকে উপদেশ দিতে গিয়ে বলেছিল, প্রিয় বৎস, আল্লাহর সাথে শিরক করো না, নিশ্চয় শিরক হলো সবচেয়ে বড় যুলুম। (সূরা ৩১/লুকমানঃ ১৩)

اِنَّ اللهَ لَا يَغْفِرُ اَنْ يُّشْرَكَ بِه وَيَغْفِرُ مَا دُوْنَ ذٰلِكَ لِمَنْ يَّشَآءُۚ وَمَنْ يُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدِ افْتَرٰۤى اِثْمًا عَظِيْمًا

নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করাকে ক্ষমা করেন না, তিনি ক্ষমা করেন এ ছাড়া অন্যান্য পাপ, যার জন্য তিনি চান; আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে অবশ্যই মহাপাপ করে। (সূরা ৪/নিসাঃ ৪৮)

لَقَدْ كَفَرَ الَّذِيْنَ قَالُوْاۤ اِنَّ اللهَ هُوَ الْمَسِيْحُ ابْنُ مَرْيَمَؕ وَقَالَ الْمَسِيْحُ يَا بَنِيْۤ اِسْرَآئِيْلَ اعْبُدُوا اللهَ رَبِّيْ وَرَبَّكُمْؕ اِنَّهٗ مَنْ يُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَمَأْوَاهُ النَّارُؕ وَمَا لِلظَّالِمِيْنَ مِنْ اَنْصَارٍ

অবশ্যই তারা কুফরী করেছে, যারা বলেছে, নিশ্চয় আল্লাহ হচ্ছেন মারইয়াম পুত্র মাসীহ অথচ মাসীহ (ঈসা আঃ) বলেছেন, হে বানী ইসরাঈল, তোমরা আমার রব ও তোমাদের রব আল্লাহর ইবাদত কর। নিশ্চয় যে আল্লাহর সাথে শরীক করে, তার উপর অবশ্যই আল্লাহ জান্নাতকে হারাম করে দিবেন এবং তার ঠিকানা হবে আগুন (জাহান্নাম) আর যালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই। (সূরা ৫/মায়িদাঃ ৭২)

আমাদের রসূল ﷺ †ক উদ্দেশ্য করে আল্লাহ বলেন,

وَلَقَدْ اُوْحِيَ اِلَيْكَ وَاِلَى الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِكَ لَئِنْ اَشْرَكْتَ لَيَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَلَتَكُوْنَنَّ مِنَ الْخَاسِرِيْنَ

আর অবশ্যই তোমার কাছে এবং তোমার পূর্ববর্তীদের কাছে ওহী পাঠানো হয়েছে যে, তুমি শিরক করলে তোমার কর্মও নিস্ফল হবে আর অবশ্যই তুমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভূক্ত হবে। (সূরা ৩৯/যুমারঃ ৬৫)

وَوَصَّيْنَا الْاِنْسَانَ بِوَالِدَيْهِ حَمَلَتْهُ اُمُّهٗ وَهْنًا عَلٰى وَهْنٍ وَّفِصَالُهٗ فِيْ عَامَيْنِ اَنِ اشْكُرْ لِيْ وَلِوَالِدَيْكَ اِلَيَّ الْمَصِيْرُ (১৪) وَاِنْ جَاهَدَاكَ عَلٰۤى اَنْ تُشْرِكَ بِيْ مَا لَيْسَ لَكَ بِه عِلْمٌ فَلَا تُطِعْهُمَا وَصَاحِبْهُمَا فِي الدُّنْيَا مَعْرُوْفًا وَّاتَّبِعْ سَبِيْلَ مَنْ اَنَابَ اِلَيَّ ثُمَّ اِلَيَّ مَرْجِعُكُمْ فَاُنَبِّئُكُمْ بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ

আর আমি মানুষকে নির্দেশ দিয়েছি তার পিতা-মাতার সাথে সদাচরণ করতে, তবে যদি তারা তোমাকে আমার সাথে শিরক করতে জোর করে যে ব্যাপারে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তাহলে তুমি তাদের আনুগত্য করবে না; আমার দিকেই তোমাদেরকে ফিরে আসতে হবে, অতঃপর তোমরা যা করতে তা আমি তোমাদেরকে জানিয়ে দিব। (৩১/লুকমানঃ ১৪-১৫)

حُنَفَآءَ لِلّٰهِ غَيْرَ مُشْرِكِيْنَ بِه ؕ وَمَنْ يُّشْرِكْ بِاللهِ فَكَاَنَّمَا خَرَّ مِنَ السَّمَآءِ فَتَخْطَفُهُ الطَّيْرُ اَوْ تَهْوِيْ بِهِ الرِّيْحُ فِيْ مَكَانٍ سَحِيْقٍ

আল্লাহর জন্য একনিষ্ঠ হয়ে (ইবাদত কর), তাঁর সাথে শিরক না করে আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে, সে যেন আকাশ থেকে ছিটকে পড়ল, অতঃপর পাখি তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল কিংবা বাতাস তাকে দূরের কোন জায়গায় নিক্ষেপ করল। (সূরা ২২/হজ্জ্বঃ ৩১)

ইসলামের একটি অন্যতম রুকন হজ্জে গিয়েই আল্লাহর কাছে সর্বপ্রথম বান্দাদেরকে মন-প্রাণ উজাড় করে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে হৃদয় নিংড়িয়ে যে মনোমুগ্ধকর স্বীকারোক্তি দিতে হয় তা হলো,

لَبَّيْكَ اَللّٰهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ

লাববাইক, আল্লা-হুম্মা লাববাইক, লাববাইকা লা-শারীকালাকা লাববাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্নি‘মাতা লাকা ওয়াল মুলকা লা-শারীকালাক।

আমি তোমার কাছে হাযির, হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে হাযির; আমি তোমার কাছে হাযির, তোমার কোন শরীক নেই, আমি তোমার কাছে হাযির, নিশ্চয় সকল প্রশংসা ও নিয়ামত, সামাজ্য/সাবভৌমত্ব শুধু তোমার জন্য, কোন কিছুতেই তোমার কোন শরীক নেই।

অন্তর থেকে আন্তরিকভাবে নিষ্ঠার সাথে সকল প্রকার শিরক থেকে সম্পর্ক ছিন্ন না করে শুধু মুখে এই স্বীকারোক্তি দিলেই হজ্জ কবুল হবে না। বরং সকল প্রকার শিরক থেকে মুক্ত হয়ে তাওহীদকে আঁকড়ে ধরলেই কেবল ঐ ব্যক্তির হজ্জ কবুল হবে। এমনকি অন্যান্য ইবাদত কবুল হবার জন্য এটাই অন্যতম শর্ত যা আমরা প্রত্যেক সালাতের প্রতি রাকাতেই সূরা ফাতিহাতে বলে থাকিঃ

اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَاِيَّاكَ نَسْتَعِيْنُ

আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদাত করি আর একমাত্র তোমারই কাছে সাহায্য চাই।

কিন্তু বাস্তবে যদি আমরা অন্যের ইবাদত করি (কুরআন-সুন্নাহর দলিল ছাড়া অন্য কারো কথায় কোন আমল করলে সেটাও ইবাদত), সাহায্য চাই, ইবাদত ও দোয়াতে ভায়া-মাধ্যম সাব্যস্ত করি তবে শুধু মুখের কথায় আল্লাহ ঈমান-আমল কোনটাই গ্রহণ করবেন না। সুতরাং সাবধান! কুরআন-সুন্নাহ বিমুখ পীর-বুযুর্গ, মুরুববী, ওলী-আওলীয়া, ফাজায়েল আর ওয়াজকারী হুজুরদের ভুল শিক্ষা থেকে সাবধান। কুরআন-সুন্নাহর যথাযথ জ্ঞানই কেবল আপনাকে শিরক, বিদআত ও যাবতীয় ফিতনাহ থেকে বিরত থাকতে সাহায্য করতে পারে। কেননা সুন্দর লেবাসে আজকের সমাজে শিরক-বিদআতের অহ-রহ ছড়াছড়ি। শিরকের বেড়াজালে উম্মত আজ নিজেদের ঈমানকে সামলে রাখতে পারছে না। পীর ও মাযারের নামে শিরকের আড্ডাখানা খোলা হয়েছে আর বড় বড় আলেমদের দোহাই দিয়েও বহু মানুষের হাতে হাতে, গলায় গলায় শিরক ঝুলছে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেনঃ

وَمَا يُؤْمِنُ اَكْثَرُهُمْ بِاللهِ اِلَّا وَهُمْ مُّشْرِكُوْنَ

অধিকাংশ মানুষ আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা সত্ত্বেও মুশরিক (শিরক করে)।

(সূরা ১২/ইউসুফঃ ১০৬)

অনেক আলেম আজ লোকদেরকে তাবিয দিয়ে শিরক করাচ্ছে। অথচ রসূল ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি তাবিয ঝুলাল সে শিরক করল। (মুসনাদে আহমদ, তাফসীরে ইবনে কাসীর, সূরা ইউসুফ, ১০৬ নং আয়াতের তাফসীর)

তাবিয দেয়া শিরক এ কথাটা আজ অনেককেই বুঝানো যাচ্ছে না এই জন্য যে, বড় হুজুর- বড় মুফতি সাহেব তাবিয দিচ্ছেন। তিনি কি কম জানেন? এমনকি অনেক ডাক্তারকেও আধুনিক চিকিৎসা বিদ্যা দিয়ে অন্যের চিকিৎসা করার পরেও নিজে, স্ত্রী-সন্তান-নাতী-পুতিদেরকে হুজুরের তাবিয দিয়ে চিকিৎসা করিয়ে শিরক করতে দেখা যাচ্ছে। বিষয়টি অত্যন্ত মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। কেননা যিনি নিজে তাফসীরে ইবনে কাসীর পড়েন, বুঝেন তাকেও বড় হুজুর তাবিজ দেওয়াতে তারই সংগ্রহে থাকা কিতাব খুলে দেখিয়েও তাবিয থেকে বিরত রাখা সম্ভব হচ্ছে না।

শিরক সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান আর আল্লাহর সাহায্যই কেবল আপনাকে শিরক থেকে মুক্ত রাখতে পারে। আল্লাহর কাছে কায়মনে শিরক থেকে বেঁচে থাকার দোয়া করার পাশাপাশি নিচের কিতাবগুলো পাঠ করার জন্য পাঠকদের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ করছিঃ

১। শিরক - ইমাম পাবলিকেশন্স লিঃ।

২। শিরক কি এবং কেন? - অধ্যাপক মুযাম্মিল আলী।

৩। আশ শিরক - বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টারের গবেষনা পত্র।

৪। শিরকের বেড়াজালে উম্মত বেসামাল - তাওহীদ প্রকাশনী।

৫। অধিকাংশ লোক ঈমান আনা সত্ত্বেও মুশরিক - আত তাওহীদ পাবলিকেশন্স।

৬। যে সব কারণে ঈমান ক্ষতিগ্রস্থ হয় - ইমাম পাবলিকেশন্স লিঃ।

৭। যে সব কারণে ইবাদত বরবাদ হয় - ইমাম পাবলিকেশন্স লিঃ।

প্রিয় পাঠক শিরক সম্পর্কে এখনই সচেতন হন, নইলে আপনার সর্বনাশ হয়ে যাবে। পরে আফসোস করে লাভ হবে না। এ বিষয়ে আপনাদেরকে পবিত্র কুরআনের চমৎকার আয়াত স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যেখানে আল্লাহ বলেন,

قُلْ اِنَّمَاۤ اَنَا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُوْحٰۤى اِلَيَّ اَنَّمَاۤ اِلٰهُكُمْ اِلٰهٌ وَّاحِدٌۚ فَمَنْ كَانَ يَرْجُوْ لِقَآءَ رَبِّه فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَّلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّه ۤ اَحَدًا

বল, আমি তোমাদের মতই একজন মানুষ, আমার নিকট ওহী প্রেরণ করা হয় যে, তোমাদের ইলাহই এক ইলাহ; সুতরাং যে তার রবের সাক্ষাৎ কামনা করে, সে যেন আমলে সালেহ করে এবং তাঁর রবের ইবাদাতে অন্য কাউকে শরীক না করে। (সূরা ১৮/কাহাফঃ ১১০)

اَلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَلَمْ يَلْبِسُوْاۤ اِيْمَانَهُمْ بِظُلْمٍ اُولٰٓئِكَ لَهُمُ الْاَمْنُ وَهُمْ مُّهْتَدُوْنَ

যারা ঈমান এনেছে এবং নিজ ঈমানকে যুলুমের (শিরকের) সাথে মিশ্রণ করেনি, তাদের জন্যই নিরাপত্তা এবং তারাই হিদায়াতপ্রাপ্ত।

(সূরা ৬/আনআমঃ ৮৩)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন