মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
পড়, তোমার রবের নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। মানুষকে সৃষ্টি করেছেন রক্তবিন্দু থেকে। (সূরা ৯৬/আলাকঃ ১-২)
রসূল ﷺ এর কাছে নাযিলকৃত সর্বপ্রথম আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা তার পরিচয় তুলে ধরেছেন যে তিনিই তোমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং মানুষকে কি থেকে সৃষ্টি করেছেন তাও জানিয়ে দিয়েছেন। তাছাড়া আল্লাহ আরো বলেন,
হে লোকসকল, তোমরা তোমাদের রবের ইবাদাত কর, যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের পূর্বে যারা ছিল তাদেরকেও, যাতে করে তোমরা আল্লাহভীতি অর্জন কর। (সূরা২/বাকারাঃ২১)
যিনি তোমাদের জন্য যমীনকে করেছেন বিছানা, আকাশকে ছাদ এবং আকাশ থেকে নাযিল করেন বৃষ্টি। অতঃপর তাঁর মাধ্যমে উৎপন্ন করেছেন ফল-ফলাদি, তোমাদের জন্য রিযিকস্বরূপ। সুতরাং তোমরা জেনে-বুঝে আল্লাহর সমকক্ষ নির্ধারণ করো না। (সূরা ২/বাকারাঃ২২)
তিনিই যমীনে যা আছে সব তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন। তারপর আকাশের প্রতি খেয়াল করলেন এবং তাকে সাত আসমানে সুবিন্যস্ত করলেন। আর তিনি সবকিছু সম্পর্কে জ্ঞাত। (সূরা ২/বাকারাঃ২৯)
হে লোকসকল, তোমরা তোমাদের রবকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন একটি প্রাণ থেকে, আর তা থেকে সৃষ্টি করেছেন তার সাথীকে এবং তাদের থেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বহু পুরুষ ও নারী। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যার মাধ্যমে তোমরা একে অপরের কাছে চেয়ে থাক। আর ভয় কর রক্ত সম্পর্কিত আত্মীয়ের ব্যাপারে, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের উপর পর্যবেক্ষক।
(সূরা ৪/নিসাঃ ১)
২. আল্লাহ আমাদের রব হবার দ্বিতীয় কারণ হলো তিনি আমাদের রিজিকদাতা।
আর যমীনে বিচরণকারী প্রতিটি প্রাণীর রিযিকের দায়িত্ব আল্লাহরই এবং তিনি জানেন তাদের অস্থায়ী ও স্থায়ী আবাসস্থল; সবকিছু আছে সুস্পষ্ট কিতাবে (লওহে মাহফুযে)। (সূরা ১১/হুদঃ ৬)
বল, আসমান ও যমীন থেকে কে তোমাদের রিযিক দেন? অথবা কে (তোমাদের) শ্রবণশক্তির ও দৃষ্টিসমূহের মালিক? আর কে মৃত থেকে জীবিতকে বের করেন আর জীবিত থেকে মৃতকে বের করেন? কে সব বিষয় পরিচালনা করেন? তখন তারা অবশ্যই বলবে, ‘আল্লাহ’। অতঃপর তুমি বল, তবুও কি তোমরা তাঁকে ভয় করবে না? অতএব, তিনিই আল্লাহ, তোমাদের প্রকৃত রব, অতঃপর সত্যের পর ভ্রষ্টতা ছাড়া আর কি আছে? অতএব, কোথায় তোমাদেরকে ঘুরানো হচ্ছে। (সূরা ১০/ইউনুসঃ ৩১-৩২)
আর অবশ্যই আমি আদম সন্তানদের সম্মানিত করেছি এবং আমি তাদেরকে স্থলে ও সমুদ্রে বাহন দিয়েছি এবং তাদেরকে উত্তম রিযিক দিয়েছে, আর আমি যা সৃষ্টি করেছি তাদের থেকে অনেকের উপর তাদেরকে অনেক মর্যাদা দিয়েছি।
(সূরা ১৭/বানী ইসরাঈলঃ ৭০)
৩. আল্লাহ আমাদের রব হবার তৃতীয় কারণ হলো তিনি সবকিছুর পরিচালনাকারী, নিয়ন্ত্রণকারী, সকল প্রকার জ্ঞান ও ক্ষমতার অধিকারী, যার কাছে একদিন সবাইকে ফিরে যেতে হবে, যিনি সবকিছুর হিসাব গ্রহণকারী, সৎকর্মের পুরস্কারদানকারী, অসৎকর্মের শাস্তিদানকারী ইত্যাদি। আল্লাহ বলেন,
বল, আমি কি আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন রব অনুসন্ধান করব অথচ তিনি সবকিছুর রব? আর প্রতিটি ব্যক্তি যা অর্জন করে, তা শুধু তারই উপর বর্তায় আর কেউ অন্য কারো বোঝা বহন করবে না। অতঃপর তোমাদের রবের নিকটই তোমাদের ফিরে যেতে হবে। তখন তিনি তোমাদেরকে জানিয়ে দিবেন যাতে তোমরা মতবিরোধ করতে। (সূরা ৬/আনআমঃ ১৬৫)
আর তিনিই সে সত্তা, যিনি তোমাদেরকে যমীনে খলিফা বানিয়েছেন এবং তোমাদের কতককে কতকের উপর মর্যাদা দিয়েছেন, যাতে তিনি তোমাদেরকে যা প্রদান করেছেন, তাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন। নিশ্চয় তোমার রব দ্রুত শাস্তিদানকারী এবং নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
আর তুমি যে অবস্থাতেই থাক না কেন আর যা কিছুই তুমি কুরআন হতে পাঠ কর না কেন আর তোমরা যে আমলই কর না কেন, আমি তোমাদের উপর সাক্ষী থাকি, যখন তোমরা তাতে আত্মনিয়োগ কর। তোমার রব থেকে গোপন থাকে না যমীনের বা আসমানের অণু পরিমাণ কিছুই এবং তা থেকে ছোট বা বড়, যা সুস্পষ্ট কিতাবে উল্লেখ নেই। (সূরা ১০/ইউনুসঃ ৬১)
অতঃপর তোমরা যদি বিমুখ হও, তবে যা নিয়ে আমি তোমাদের কাছে প্রেরিত হয়েছি তা তো তোমাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। আর আমার রব তোমাদেরকে ছাড়া অন্য এক জাতিকে স্থলাভিষিক্ত করবেন। আর তোমরা তাঁর কোন ক্ষতি করতে পারবে না। নিশ্চয় আমার রব সব কিছুর হেফাযতকারী।
(সূরা ১১/হুদঃ ৫৭)
৪. আল্লাহ আমাদের রব হবার চতুর্থ ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ যা না মানলেই নয়, তা হলো তিনি আমাদের বিধানদাতা। কারণ আরবের কাফের মুশরিকরাও আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা, রিযিকদাতা ও নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে মেনে নিয়েছিল কিন্তু আল্লাহকে তারা এককভাবে বিধানদাতা, কুরআন আল্লাহর বাণী এবং মুহাম্মাদ ﷺ কে তারা নাবী ও রসূল হিসেবে মানেনি। আর এ কারণেই তারা আমাদের মত মানুষ হয়েও কাফির যাদের অনিবার্য পরিণতি হলো জাহান্নাম। যুগে যুগে ফেরাউন ও নমরূদ এর মত ক্ষমতাশালী ব্যাক্তিরা আল্লাহ যাদেরকে অর্থ-ক্ষমতা দিয়েছিলেন তারা মূলত এই অর্থেই নিজেদেরকে রব দাবী করেছেন যে এই যমীন আমাদের বিধান মত চলবে (২৬ঃ২৯)। মূলত বিশ্বজাহানের রব আল্লাহ তা‘আলার পরীক্ষার জন্য দেওয়া সামান্য কয়েক দিনের ক্ষমতার দাপটে আল্লাহর বিধান, তাঁর ওহী ও রসূলদেরকে মানতে অস্বীকার করেছে। অথচ বিধান দেয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ ঃ
হে মুমিনগণ! তোমরা অঙ্গীকারসমূহ পূর্ণ কর, তোমাদের জন্য গৃহপালিত চতুস্পদ জন্তু হালাল করা হয়েছে, তোমাদের নিকট যা বর্ণনা করা হচ্ছে তা ছাড়া। তবে ইহরাম অবস্থায় শিকারকে হালাল করবে না, নিশ্চয় আল্লাহ যা ইচ্ছা বিধান দেন। (সূরা ৫/মায়িদাঃ ১)
বল, নিশ্চয় আমি আমার রবের পক্ষ থেকে স্পষ্ট প্রমাণের উপর রয়েছি আর তোমরা তা অস্বীকার করছ। তোমরা যা নিয়ে তাড়াহুড়া করছ তা আমার কাছে নেই। হুকুম দিবেন কেবল আল্লাহ (বিধান চলবে কেবল আল্লাহর), তিনি সত্য বর্ণনা করেন এবং তিনি সর্বোত্তম ফয়সালাকারী। (সূরা ৬/আনআমঃ ৫৭)
অতঃপর তাদেরকে আল্লাহর কাছেই ফিরিয়ে নেয়া হবে যিনি সত্যিকারের মাওলা (অভিভাবক)। সাবধান! হুকুম/বিধান দেয়ার ক্ষমতা তাঁরই, আর তিনি হচ্ছেন খুব দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী। (সূরা ৬/আনআমঃ ৬২)
আমি কি আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে বিচারক হিসেবে তালাশ করব? অথচ তিনিই তোমাদের নিকট বিস্তারিত কিতাব নাযিল করেছেন। আর যাদেরকে আমি কিতাব দিয়েছিলাম তারা জানত যে, তা তোমার রবের পক্ষ থেকে যথাযথভাবে নাযিলকৃত। সুতরাং তুমি কখনো সন্দেহকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। (সূরা ৬/আনআমঃ ১১৪)
নিশ্চয় তোমাদের রব হলেন, আল্লাহ যিনি সৃষ্টি করেছেন নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল মাত্র ছয় দিনে, অতঃপর তিনি আরশে সমাসীন হয়েছেন, তিনি রাত দ্বারা দিনকে ঢেকে দেন, প্রত্যেকটি একে অপরকে দ্রুত অনুসরণ করে, আর সৃষ্টি করেছেন সূর্য, চন্দ্র ও তারকারাজী, যা তাঁর নির্দেশে নিয়োজিত। জেনে রাখ সৃষ্টি ও নির্দেশ/বিধান তাঁরই; বরকতময় আল্লাহই বিশ্ব জাহানের রব।
তোমরা তাঁকে (আল্লাহকে) বাদ দিয়ে নিছক কতগুলো নামের ইবাদত করছ, যাদের নামকরণ তোমরা ও তোমাদের বাপ-দাদারা করেছে, যাদের ব্যাপারে আল্লাহ প্রমাণ নাযিল করেননি। বিধান একমাত্র আল্লাহরই, তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যে, তাঁকে ছাড়া আর কারো ইবাদত করো না। এটিই সঠিক দ্বীন, কিন্তু অধিকাংশ লোক জানে না। (সূরা ১২/ইউসুফঃ ৪০)
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/297/7
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।