hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কবরের প্রশ্ন ও প্রাসংগিক আলোচনা

লেখকঃ মুহাম্মাদ মুনিরুজ্জামান বিন আশরাফ আলী

আল্লাহ আমাদের রব হবার কারণ?
১. আল্লাহ আমাদের রব হবার প্রথম কারণ হলো তিনি আমাদের সৃষ্টিকর্তা। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন,

اِقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِيْ خَلَقَ خَلَقَ الْاِنْسَانَ مِنْ عَلَقٍ

পড়, তোমার রবের নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। মানুষকে সৃষ্টি করেছেন রক্তবিন্দু থেকে। (সূরা ৯৬/আলাকঃ ১-২)

রসূল ﷺ এর কাছে নাযিলকৃত সর্বপ্রথম আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা তার পরিচয় তুলে ধরেছেন যে তিনিই তোমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং মানুষকে কি থেকে সৃষ্টি করেছেন তাও জানিয়ে দিয়েছেন। তাছাড়া আল্লাহ আরো বলেন,

يَاۤ اَيُّهَا النَّاسُ اعْبُدُوْا رَبَّكُمُ الَّذِيْ خَلَقَكُمْ وَالَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُوْنَ

হে লোকসকল, তোমরা তোমাদের রবের ইবাদাত কর, যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের পূর্বে যারা ছিল তাদেরকেও, যাতে করে তোমরা আল্লাহভীতি অর্জন কর। (সূরা২/বাকারাঃ২১)

اَلَّذِيْ جَعَلَ لَكُمُ الْاَرْضَ فِرَاشًا وَّالسَّمَآءَ بِنَآءً وَّاَنْزَلَ مِنَ السَّمَآءِ مَآءً فَاَخْرَجَ بِه مِنَ الثَّمَرَاتِ رِزْقًا لَّكُمْۚ فَلَا تَجْعَلُوْا لِلّٰهِ اَنْدَادًا وَّاَنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ

যিনি তোমাদের জন্য যমীনকে করেছেন বিছানা, আকাশকে ছাদ এবং আকাশ থেকে নাযিল করেন বৃষ্টি। অতঃপর তাঁর মাধ্যমে উৎপন্ন করেছেন ফল-ফলাদি, তোমাদের জন্য রিযিকস্বরূপ। সুতরাং তোমরা জেনে-বুঝে আল্লাহর সমকক্ষ নির্ধারণ করো না। (সূরা ২/বাকারাঃ২২)

هُوَ الَّذِيْ خَلَقَ لَكُمْ مَّا فِي الْاَرْضِ جَمِيْعًا ثُمَّ اسْتَوٰۤى اِلَى السَّمَآءِ فَسَوَّاهُنَّ سَبْعَ سَمَاوَاتٍؕ وَّهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيْمٌ

তিনিই যমীনে যা আছে সব তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন। তারপর আকাশের প্রতি খেয়াল করলেন এবং তাকে সাত আসমানে সুবিন্যস্ত করলেন। আর তিনি সবকিছু সম্পর্কে জ্ঞাত। (সূরা ২/বাকারাঃ২৯)

يَاۤ اَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوْا رَبَّكُمُ الَّذِيْ خَلَقَكُمْ مِّنْ نَّفْسٍ وَّاحِدَةٍ وَّخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا كَثِيرًْا وَّنِسَآءًۚ وَّاتَّقُوا اللهَ الَّذِيْ تَسَآءَلُوْنَ بِه وَالْاَرْحَامَؕ اِنَّ اللهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيْبًا

হে লোকসকল, তোমরা তোমাদের রবকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন একটি প্রাণ থেকে, আর তা থেকে সৃষ্টি করেছেন তার সাথীকে এবং তাদের থেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বহু পুরুষ ও নারী। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যার মাধ্যমে তোমরা একে অপরের কাছে চেয়ে থাক। আর ভয় কর রক্ত সম্পর্কিত আত্মীয়ের ব্যাপারে, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের উপর পর্যবেক্ষক।

(সূরা ৪/নিসাঃ ১)

২. আল্লাহ আমাদের রব হবার দ্বিতীয় কারণ হলো তিনি আমাদের রিজিকদাতা।

وَمَا مِنْ دَآبَّةٍ فِي الْاَرْضِ اِلَّا عَلَى اللهِ رِزْقُهَا وَيَعْلَمُ مُسْتَقَرَّهَا وَمُسْتَوْدَعَهَاؕ كُلٌّ فِي كِتَابٍ مُّبِيْنٍ

আর যমীনে বিচরণকারী প্রতিটি প্রাণীর রিযিকের দায়িত্ব আল্লাহরই এবং তিনি জানেন তাদের অস্থায়ী ও স্থায়ী আবাসস্থল; সবকিছু আছে সুস্পষ্ট কিতাবে (লওহে মাহফুযে)। (সূরা ১১/হুদঃ ৬)

قُلْ مَنْ يَّرْزُقُكُمْ مِّنَ السَّمَآءِ وَالْاَرْضِ اَمَّنْ يَّمْلِكُ السَّمْعَ وَالْاَبْصَارَ وَمَنْ يُّخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَيُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنَ الْحَيِّ وَمَنْ يُّدَبِّرُ الْاَمْرَؕ فَسَيَقُوْلُوْنَ اللهُۚ فَقُلْ اَفَلَا تَتَّقُوْنَ (৩১) فَذَلِكُمُ اللهُ رَبُّكُمُ الْحَقُّۚ فَمَاذَا بَعْدَ الْحَقِّ اِلَّا الضَّلَالُۚ فَاَنّٰى تُصْرَفُوْنَ

বল, আসমান ও যমীন থেকে কে তোমাদের রিযিক দেন? অথবা কে (তোমাদের) শ্রবণশক্তির ও দৃষ্টিসমূহের মালিক? আর কে মৃত থেকে জীবিতকে বের করেন আর জীবিত থেকে মৃতকে বের করেন? কে সব বিষয় পরিচালনা করেন? তখন তারা অবশ্যই বলবে, ‘আল্লাহ’। অতঃপর তুমি বল, তবুও কি তোমরা তাঁকে ভয় করবে না? অতএব, তিনিই আল্লাহ, তোমাদের প্রকৃত রব, অতঃপর সত্যের পর ভ্রষ্টতা ছাড়া আর কি আছে? অতএব, কোথায় তোমাদেরকে ঘুরানো হচ্ছে। (সূরা ১০/ইউনুসঃ ৩১-৩২)

وَلَقَدْ كَرَّمْنَا بَنِيْۤ اٰدَمَ وَحَمَلْنَاهُمْ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ وَرَزَقْنَاهُمْ مِّنَ الطَّيِّبَاتِ وَفَضَّلْنَاهُمْ عَلٰى كَثِيْرٍ مِّمَّنْ خَلَقْنَا تَفْضِيْلًا

আর অবশ্যই আমি আদম সন্তানদের সম্মানিত করেছি এবং আমি তাদেরকে স্থলে ও সমুদ্রে বাহন দিয়েছি এবং তাদেরকে উত্তম রিযিক দিয়েছে, আর আমি যা সৃষ্টি করেছি তাদের থেকে অনেকের উপর তাদেরকে অনেক মর্যাদা দিয়েছি।

(সূরা ১৭/বানী ইসরাঈলঃ ৭০)

৩. আল্লাহ আমাদের রব হবার তৃতীয় কারণ হলো তিনি সবকিছুর পরিচালনাকারী, নিয়ন্ত্রণকারী, সকল প্রকার জ্ঞান ও ক্ষমতার অধিকারী, যার কাছে একদিন সবাইকে ফিরে যেতে হবে, যিনি সবকিছুর হিসাব গ্রহণকারী, সৎকর্মের পুরস্কারদানকারী, অসৎকর্মের শাস্তিদানকারী ইত্যাদি। আল্লাহ বলেন,

قُلْ اَغَيْرَ اللهِ اَبْغِيْ رَبًّا وَّهُوَ رَبُّ كُلِّ شَيْءٍؕ وَّلَا تَكْسِبُ كُلُّ نَفْسٍ اِلَّا عَلَيْهَاۚ وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِّزْرَ اُخْرٰىۚ ثُمَّ اِلٰى رَبِّكُمْ مَّرْجِعُكُمْ فَيُنَبِّئُكُمْ بِمَا كُنْتُمْ فِيْهِ تَخْتَلِفُوْنَ

বল, আমি কি আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন রব অনুসন্ধান করব অথচ তিনি সবকিছুর রব? আর প্রতিটি ব্যক্তি যা অর্জন করে, তা শুধু তারই উপর বর্তায় আর কেউ অন্য কারো বোঝা বহন করবে না। অতঃপর তোমাদের রবের নিকটই তোমাদের ফিরে যেতে হবে। তখন তিনি তোমাদেরকে জানিয়ে দিবেন যাতে তোমরা মতবিরোধ করতে। (সূরা ৬/আনআমঃ ১৬৫)

وَهُوَ الَّذِيْ جَعَلَكُمْ خَلَآئِفَ الْاَرْضِ وَرَفَعَ بَعْضَكُمْ فَوْقَ بَعْضٍ دَرَجَاتٍ لِّيَبْلُوَكُمْ فِيْ مَاۤ اٰتَاكُمْؕ اِنَّ رَبَّكَ سَرِيْعُ الْعِقَابِؗ وَاِنَّهٗ لَغَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ

আর তিনিই সে সত্তা, যিনি তোমাদেরকে যমীনে খলিফা বানিয়েছেন এবং তোমাদের কতককে কতকের উপর মর্যাদা দিয়েছেন, যাতে তিনি তোমাদেরকে যা প্রদান করেছেন, তাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন। নিশ্চয় তোমার রব দ্রুত শাস্তিদানকারী এবং নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

(সূরা ৬/আনআমঃ ১৬৬)

وَمَا تَكُوْنُ فِيْ شَأْنٍ وَّمَا تَتْلُوْ مِنْهُ مِنْ قُرْاٰنٍ وَّلَا تَعْمَلُوْنَ مِنْ عَمَلٍ اِلَّا كُنَّا عَلَيْكُمْ شُهُوْدًا اِذْ تُفِيْضُوْنَ فِيْهِؕ وَمَا يَعْزُبُ عَنْ رَّبِّكَ مِنْ مِّثْقَالِ ذَرَّةٍ فِي الْاَرْضِ وَلَا فِي السَّمَآءِ وَلَاۤ اَصْغَرَ مِنْ ذٰلِكَ وَلَاۤ اَكْبَرَ اِلَّا فِيْ كِتَابٍ مُّبِيْنٍ

আর তুমি যে অবস্থাতেই থাক না কেন আর যা কিছুই তুমি কুরআন হতে পাঠ কর না কেন আর তোমরা যে আমলই কর না কেন, আমি তোমাদের উপর সাক্ষী থাকি, যখন তোমরা তাতে আত্মনিয়োগ কর। তোমার রব থেকে গোপন থাকে না যমীনের বা আসমানের অণু পরিমাণ কিছুই এবং তা থেকে ছোট বা বড়, যা সুস্পষ্ট কিতাবে উল্লেখ নেই। (সূরা ১০/ইউনুসঃ ৬১)

اِنِّيْ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللهِ رَبِّيْ وَرَبِّكُمْؕ مَّا مِنْ دَآبَّةٍ اِلَّا هُوَ اٰخِذٌ ۢبِنَاصِيَتِهَاۤؕ اِنَّ رَبِّيْ عَلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ

নিশ্চয় আমি আমার রব ও তোমাদের রব আল্লাহর উপর ভরসা করছি, প্রতিটি বিচরণশীল প্রাণীরই তিনি নিয়ন্ত্রণকারী। নিশ্চয় আমার রব সরল পথে আছেন।

(সূরা ১১/হুদঃ ৫৬)

فَاِنْ تَوَلَّوْا فَقَدْ اَبْلَغْتُكُمْ مَّاۤ اُرْسِلْتُ بِه ۤ اِلَيْكُمْؕ وَيَسْتَخْلِفُ رَبِّيْ قَوْمًا غَيْرَكُمْۚ وَلَا تَضُرُّوْنَهٗ شَيْئًاؕ اِنَّ رَبِّيْ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ حَفِيْظٌ

অতঃপর তোমরা যদি বিমুখ হও, তবে যা নিয়ে আমি তোমাদের কাছে প্রেরিত হয়েছি তা তো তোমাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। আর আমার রব তোমাদেরকে ছাড়া অন্য এক জাতিকে স্থলাভিষিক্ত করবেন। আর তোমরা তাঁর কোন ক্ষতি করতে পারবে না। নিশ্চয় আমার রব সব কিছুর হেফাযতকারী।

(সূরা ১১/হুদঃ ৫৭)

৪. আল্লাহ আমাদের রব হবার চতুর্থ ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ যা না মানলেই নয়, তা হলো তিনি আমাদের বিধানদাতা। কারণ আরবের কাফের মুশরিকরাও আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা, রিযিকদাতা ও নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে মেনে নিয়েছিল কিন্তু আল্লাহকে তারা এককভাবে বিধানদাতা, কুরআন আল্লাহর বাণী এবং মুহাম্মাদ ﷺ কে তারা নাবী ও রসূল হিসেবে মানেনি। আর এ কারণেই তারা আমাদের মত মানুষ হয়েও কাফির যাদের অনিবার্য পরিণতি হলো জাহান্নাম। যুগে যুগে ফেরাউন ও নমরূদ এর মত ক্ষমতাশালী ব্যাক্তিরা আল্লাহ যাদেরকে অর্থ-ক্ষমতা দিয়েছিলেন তারা মূলত এই অর্থেই নিজেদেরকে রব দাবী করেছেন যে এই যমীন আমাদের বিধান মত চলবে (২৬ঃ২৯)। মূলত বিশ্বজাহানের রব আল্লাহ তা‘আলার পরীক্ষার জন্য দেওয়া সামান্য কয়েক দিনের ক্ষমতার দাপটে আল্লাহর বিধান, তাঁর ওহী ও রসূলদেরকে মানতে অস্বীকার করেছে। অথচ বিধান দেয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ ঃ

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْاۤ اَوْفُوْا بِالْعُقُوْدِ ؕ اُحِلَّتْ لَكُمْ بَهِيْمَةُ الْاَنْعَامِ اِلَّا مَا يُتْلٰى عَلَيْكُمْ غَيْرَ مُحِلِّي الصَّيْدِ وَاَنْتُمْ حُرُمٌؕ اِنَّ اللهَ يَحْكُمُ مَا يُرِيْدُ

হে মুমিনগণ! তোমরা অঙ্গীকারসমূহ পূর্ণ কর, তোমাদের জন্য গৃহপালিত চতুস্পদ জন্তু হালাল করা হয়েছে, তোমাদের নিকট যা বর্ণনা করা হচ্ছে তা ছাড়া। তবে ইহরাম অবস্থায় শিকারকে হালাল করবে না, নিশ্চয় আল্লাহ যা ইচ্ছা বিধান দেন। (সূরা ৫/মায়িদাঃ ১)

اَفَحُكْمَ الْجَاهِلِيَّةِ يَبْغُوْنَؕ وَمَنْ اَحْسَنُ مِنَ اللهِ حُكْمًا لِّقَوْمٍ يُّوْقِنُوْنَ

তারা কি জাহিলিয়াতের বিধান চায়? আর দৃঢ় বিশ্বাসী কওমের জন্য বিধান প্রদানে আল্লাহর চেয়ে কে অধিক উত্তম। (সূরা ৫/মায়িদাঃ ৫০)

এখানে আল্লাহ তা‘আলা কুরআন-সুন্নাহ বা ওহীর মাধ্যমে পাঠানো বিধান তথা ইসলাম ছাড়া সবকিছুই জাহিলিয়াত বলে উল্লেখ্য করেছেন।

قُلْ اِنِّيْ عَلٰى بَيِّنَةٍ مِّنْ رَّبِّيْ وَكَذَّبْتُمْ بِه ؕ مَا عِنْدِيْ مَا تَسْتَعْجِلُوْنَ بِه ۤؕ اِنِ الْحُكْمُ اِلَّا لِلّٰهِؕ يَقُصُّ الْحَقَّ وَهُوَ خَيْرُ الْفَاصِلِيْنَ

বল, নিশ্চয় আমি আমার রবের পক্ষ থেকে স্পষ্ট প্রমাণের উপর রয়েছি আর তোমরা তা অস্বীকার করছ। তোমরা যা নিয়ে তাড়াহুড়া করছ তা আমার কাছে নেই। হুকুম দিবেন কেবল আল্লাহ (বিধান চলবে কেবল আল্লাহর), তিনি সত্য বর্ণনা করেন এবং তিনি সর্বোত্তম ফয়সালাকারী। (সূরা ৬/আনআমঃ ৫৭)

ثُمَّ رُدُّوْاۤ اِلَى اللهِ مَوْلَاهُمُ الْحَقِّؕ اَلَا لَهُ الْحُكْمُ۫ وَهُوَ اَسْرَعُ الْحَاسِبِيْنَ

অতঃপর তাদেরকে আল্লাহর কাছেই ফিরিয়ে নেয়া হবে যিনি সত্যিকারের মাওলা (অভিভাবক)। সাবধান! হুকুম/বিধান দেয়ার ক্ষমতা তাঁরই, আর তিনি হচ্ছেন খুব দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী। (সূরা ৬/আনআমঃ ৬২)

اَفَغَيْرَ اللهِ اَبْتَغِيْ حَكَمًا وَّهُوَ الَّذِيْۤ اَنْزَلَ اِلَيْكُمُ الْكِتَابَ مُفَصَّلًاؕ وَّالَّذِيْنَ اٰتَيْنَاهُمُ الْكِتَابَ يَعْلَمُوْنَ اَنَّهٗ مُنَزَّلٌ مِّنْ رَّبِّكَ بِالْحَقِّ فَلَا تَكُوْنَنَّ مِنَ الْمُمْتَرِيْنَ

আমি কি আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে বিচারক হিসেবে তালাশ করব? অথচ তিনিই তোমাদের নিকট বিস্তারিত কিতাব নাযিল করেছেন। আর যাদেরকে আমি কিতাব দিয়েছিলাম তারা জানত যে, তা তোমার রবের পক্ষ থেকে যথাযথভাবে নাযিলকৃত। সুতরাং তুমি কখনো সন্দেহকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। (সূরা ৬/আনআমঃ ১১৪)

اِنَّ رَبَّكُمُ اللهُ الَّذِيْ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضَ فِيْ سِتَّةِ اَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوٰى عَلَى الْعَرْشِ۫ يُغْشِي اللَّيْلَ النَّهَارَ يَطْلُبُهٗ حَثِيْثًا وَّالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ وَالنُّجُوْمَ مُسَخَّرَاتٍ ۢبِاَمْرِه ۤؕ اَلَا لَهُ الْخَلْقُ وَالْاَمْرُؕ تَبَارَكَ اللهُ رَبُّ الْعَالَمِيْنَ

নিশ্চয় তোমাদের রব হলেন, আল্লাহ যিনি সৃষ্টি করেছেন নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল মাত্র ছয় দিনে, অতঃপর তিনি আরশে সমাসীন হয়েছেন, তিনি রাত দ্বারা দিনকে ঢেকে দেন, প্রত্যেকটি একে অপরকে দ্রুত অনুসরণ করে, আর সৃষ্টি করেছেন সূর্য, চন্দ্র ও তারকারাজী, যা তাঁর নির্দেশে নিয়োজিত। জেনে রাখ সৃষ্টি ও নির্দেশ/বিধান তাঁরই; বরকতময় আল্লাহই বিশ্ব জাহানের রব।

(সূরা ৭/আরাফঃ ৫৪)

مَا تَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِه ۤ اِلَّاۤ اَسْمَآءً سَمَّيْتُمُوْهَاۤ اَنْتُمْ وَاٰبَآؤُكُمْ مَّاۤ اَنْزَلَ اللهُ بِهَا مِنْ سُلْطَانٍؕ اِنِ الْحُكْمُ اِلَّا لِلّٰهِؕ اَمَرَ اَلَّا تَعْبُدُوْاۤ اِلَّاۤ اِيَّاهُؕ ذٰلِكَ الدِّيْنُ الْقَيِّمُ وَلٰكِنَّ اَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُوْنَ

তোমরা তাঁকে (আল্লাহকে) বাদ দিয়ে নিছক কতগুলো নামের ইবাদত করছ, যাদের নামকরণ তোমরা ও তোমাদের বাপ-দাদারা করেছে, যাদের ব্যাপারে আল্লাহ প্রমাণ নাযিল করেননি। বিধান একমাত্র আল্লাহরই, তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যে, তাঁকে ছাড়া আর কারো ইবাদত করো না। এটিই সঠিক দ্বীন, কিন্তু অধিকাংশ লোক জানে না। (সূরা ১২/ইউসুফঃ ৪০)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন