মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
হাদীস-১ঃ বারা ইবনু আযীব (রদিঃ) বলেন, আমরা একবার নাবী ﷺ এর সাথে এক আনসারীর জানাযায় ক্ববরের কাছে গেলাম। (তখনো ক্ববর তৈরি করা শেষ হয়নি বলে) লাশ ক্ববরস্থ করা হয়নি। রসূল ﷺ এক জায়গায় বসে থাকলেন। আমরাও তাঁর আশেপাশে (চুপচাপ) বসে আছি এমনভাবে যেন আমাদের মাথার উপর পাখী বসে আছে। রসূল ﷺ এর হাতে একটি কাঠি ছিল। তা দিয়ে তিনি (নিবিষ্টভাবে) মাটি নাড়াচাড়া করছিলেন। তারপর তিনি মাথা উঠালেন এবং বললেন, ক্ববরের আযাব থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। এ কথা তিনি দু’বার কি তিনবার বললেন। তারপর বললেন, মুমিন বান্দা যখন দুনিয়ার জীবন শেষ করে পরকালের দিকে ফিরে চলে (মৃত্যুর কাছাকাছি হয়) তখন আকাশ থেকে খুবই আলোকোজ্জ্বল চেহারার কিছু মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাগণ) তার কাছে যান। তাঁদের চেহারা যেন দীপ্ত সূর্য। তাঁদের সাথে (জান্নাতের রেশমী কাপড়ের) কাফন ও জান্নাতের সুগন্ধি থাকে। তারা তার দৃষ্টির দূর সীমায় বসে। তারপর মালাকুল মাওত আসবেন, তার মাথার কাছে বসবেন ও বলবেন, ‘‘হে পবিত্র আত্মা! আল্লাহর মাগফিরাত ও তাঁর সন্তুষ্টির কাছে পৌঁছবার জন্য দেহ থেকে বেরিয়ে আস।’’ রসূল ﷺ বলেন, এ কথা শুনে মুমিন বান্দার রূহ তার দেহ থেকে এভাবে বেরিয়ে আসে যেমন জগ থেকে পানি বেরিয়ে আসে। তখন মালাকুল মাওত এ রূহকে নিয়ে নেন। তাকে নেবার পর অন্যান্য মালাকগণ এ রূহকে তার হাতে এক পলকের জন্যও থাকতে দেন না। তারা তাকে তাদের হাতে নিয়ে নেন ও তাদের হাতে থাকা কাফন ও খুশবুর মধ্যে রেখে দেন। তখন এ রূহ হতে উত্তম সুগন্ধি ছড়াতে থাকে যা পৃথিবীতে পাওয়া সর্বোত্তম সুগন্ধির চেয়েও উত্তম। রসূল ﷺ বলেন, তারপর ঐ মালাইকাহ এ রূহকে নিয়ে আকাশের দিকে রওয়ানা হন (যাবার পথে) সাক্ষাত হওয়া মালায়িকার কোন একটি দলও ‘এ পবিত্র রূহ কার’ জিজ্ঞেস করতে ছাড়েন না। তারা বলে অমুকের পুত্র অমুক। তাকে তারা উত্তম নাম ও যেসব নামে তাকে দুনিয়ায় ডাকা হত, সে পরিচয় দিয়ে চলতে থাকেন। এভাবে তারা এ রূহকে নিয়ে প্রথম আসমানে পৌঁছেন ও আসমানের দরজা খুলতে বলেন এবং তাদের জন্য দরজা খুলে দেয়া হয়।
প্রত্যেক আসমানের নিকটবর্তী মালাকগণ এদের সাথে পরবর্তী আসমান পর্যন্ত যায়। এভাবে সাত আসমান পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দেয়া হয়। আল্লাহ তা‘আলা মালাকগণকে বলেন, এ বান্দার আমলনামা ‘ইল্লীয়্যিনে’ লিখে রাখ এবং রূহকে জমিনে (কবরে) পাঠিয়ে দাও (যাতে কবরের) সওয়াল জওয়াবের জন্য তৈরি থাকে। কারণ আমি তাদেরকে মাটি হতে সৃষ্টি করেছি আর মাটিতেই তাদেরকে ফেরত পাঠাব আর এ মাটি হতেই আমি তাদেরকে আবার উঠাব। রসূল ﷺ বলেন, এরপর আবার এ রূহকে নিজের দেহের মধ্যে পৌঁছিয়ে দেয়া হয়। তারপর তার কাছে দু’জন মালাইকা (মুনকীর নাকীর) এসে তাকে বসিয়ে নেন। তারপর তাকে প্রশ্ন করেন, ‘‘তোমার রব কে?’’ সে উত্তর দেয়, ‘‘আমার রব আল্লাহ’’। আবার জিজ্ঞেস করেন, ‘‘তোমার দ্বীন কি?’’ তখন সে উত্তর দেয়, ‘‘আমার দ্বীন ইসলাম’’। আবার প্রশ্ন করেন, ‘‘ঐ ব্যক্তি কে? যাঁকে তোমাদের কাছে পাঠানো হয়েছিল।’’ সে ব্যক্তি উত্তর দিবে, ‘‘তিনি আল্লাহর রসূল ﷺ।’’ তারপর তারা দু’জন বলবেন, ‘‘তুমি কিভাবে জানলে?’’ ঐ ব্যক্তি বলবে, ‘‘আমি আল্লাহর কিতাব পড়ে জেনেছি, এর উপরে ঈমান এনেছি এবং সত্য বলে বিশ্বাস করেছি।’’ তখন আকাশ থেকে একজন আহবানকারী আহবান করে বলবেন, আমার বান্দা সত্য বলেছে, অতএব তার জন্য জান্নাতের বিছানা বিছিয়ে দাও, তাকে জান্নাতের পোশাক পরিয়ে দাও এবং জান্নাত থেকে তার জন্য একটা দরজা খুলে দাও। (তার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দেয়া হবে) আর সেই দরজা দিয়ে তার কবরে জান্নাতের বাতাস ও সুঘ্রাণ আসতে থাকবে। তারপর তার কবরকে দৃষ্টির শেষ সীমা পর্যন্ত প্রশস্ত করে দেয়া হবে। তারপর একজন সুন্দর চেহারার লোক উত্তম পোশাক পরে সুগন্ধি লাগিয়ে তার কাছে আসবে। তাকে বলবে, তোমার জন্য শুভ সংবাদ, যা তোমাকে খুশী করবে। এটা সেদিন, যেদিনের ওয়াদা তোমাকে দেয়া হয়েছিল। সে ব্যক্তি বলবে, তুমি কে? তোমার চেহারার মতো লোক কল্যাণ নিয়েই আসে। তখন সে বলবে, আমি তোমার নেক আমল। মুমিন ব্যক্তি বলবে, হে আল্লাহ! তুমি ক্বিয়ামাত কায়িম কর, হে আল্লাহ! তুমি ক্বিয়ামাত কায়িম কর। আমি যেন আমার পরিবার-পরিজন ও ধন-সম্পদের কাছে যেতে পারি।
রসূল ﷺ বলেন, কাফির ব্যক্তি দুনিয়ার জীবন শেষ করে যখন আখিরাতে পদার্পণ করবে, আসমান থেকে আযাবের মালায়িকাহ নাযিল হবেন, তাদের চেহারা হবে কালো। তাদের সাথে কাঁটাযুক্ত কাফনের কাপড় থাকবে। তারা দৃষ্টির শেষ সীমায় এসে বসেন, তারপর মালাকুল মাওত আসেন ও তার মাথার কাছে বসেন এবং বলেন ‘‘হে খবিস (নিকৃষ্ট) আত্মা! আল্লাহর আযাবে লিপ্ত হবার জন্য তাড়াতাড়ি দেহ হতে বের হও।’’ রসূল ﷺ বলেন, কাফিরের রূহ একথা শুনে গোটা দেহে ছড়িয়ে পড়ে। তখন মালাকুল মাওত তার রূহকে শক্তি প্রয়োগ করে টেনে হেঁচড়ে বের করে নিয়ে আসেন, যেভাবে লোহার গরম শলাকা ভিজা পশমের বল হতে টেনে বের করা হয়। মালাকুল মাওত রূহ বের করে আনার পর অন্যান্য মালায়কা এ রূহকে মালাকুল মাওতের হাতে এক পলকের জন্যও থাকতে দেন না বরং তারা নিয়ে (কাফনের কাপড়ে) মিলিয়ে দেন। এ রূহ হতে মরা লাশের দুর্গন্ধ বের হয়- যা দুনিয়ায় পাওয়া যেত। মালায়কাহ এ রূহকে নিয়ে আসমানে চলে যান। যখন মালায়কার কোন দলের কাছে পৌঁছেন, তারা জিজ্ঞেস করেন, এ নাপাক রূহ কার? মালায়কাহ জবাব দেন, এটা হলো অমুক ব্যক্তির সন্তান অমুক। তারা তাকে খারাপ নাম ও খারাপ বিশেষণে ভূষিত করেন, যেসব নামে তাকে দুনিয়ায় ডাকা হত। এভাবে যখন আসমান পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দেয়া হয়, তার জন্য আসমানের দরজা খুলতে বলা হয় কিন্তু আসমানের দরজা তার জন্য খোলা হয় না। তারপর রসূল ﷺ (দলীল হিসেবে) এ আয়াত পাঠ করেন, (অনুবাদ) ‘‘ঐ কাফিরদের জন্য আসমানের দরজা খোলা হবে না, আর না তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, যে পর্যন্ত উট সুইয়ের ছিদ্র পথে প্রবেশ করবে।’’ এবার আল্লাহ তা’লা বলবেন, তার আমলনামা ‘সিজ্জীনে’ লিখে দাও যা জমিনের নীচতলায়। বস্তুত কাফিরদের রূহ নিক্ষেপ করে ফেলে দেয়া হয়। তারপর রসূল ﷺ দলীল হিসেবে এ আয়াত পাঠ করেন, (অনুবাদ) ‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শিরক করেছে, সে যেন আকাশ হতে নিক্ষিপ্ত হয়ে পড়েছে। তাকে পশু-পাখি ঠুকরিয়ে নেয়। অথবা ঝড়ের বাতাস তাকে দূরে নিক্ষেপ করে ফেলে দেয়। রসূল ﷺ বলেন, তারপর তার রূহকে দেহে ফিরিয়ে দেয়া হয়। তারপর তার কাছে দু’জন মালাইকা (মুনকীর-নাকীর) এসে তাকে বসিয়ে নেন। তারপর তাকে প্রশ্ন করেন, ‘‘তোমার রব কে?’’ সে উত্তর দেয়, ‘‘হায়, হায়, আমি জানি না’’। আবার জিজ্ঞেস করেন, ‘‘তোমার দ্বীন কি?’’ তখন সে উত্তর দেয়, ‘‘হায়, হায়, আমি কিছুই জানি না’’। আবার প্রশ্ন করেন, ‘‘ঐ ব্যক্তি কে? যাঁকে তোমাদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। সে ব্যক্তি উত্তর দেয়, ‘‘হায়, হায়, আমি কিছুই জানি না।’’ তখন আকাশ থেকে একজন আহবানকারী আহবান করে বলবেন, সে মিথ্যা বলছে, অতএব তার জন্য আগুনের বিছানা বিছিয়ে দাও, তাকে আগুনের পোশাক পরিয়ে দাও এবং জাহান্নাম থেকে তার জন্য একটা দরজা খুলে দাও। (তার জন্য জাহান্নামের দরজা খুলে দেয়া হবে) আর সেই দরজা দিয়ে তার কবরে জাহান্নামের গরম বাতাস আসতে থাকবে। তারপর তার কবরকে এত সংকীর্ণ করা হবে যে, তার পাজরের একপাশের হাড়গুলি অন্যপাশ দিয়ে বেরিয়ে আসবে। তারপর তার কাছে একজন কুৎসিৎ চেহারার লোক আসবে, তার পরনে থাকবে ময়লা নোংরা কাপড়। তার থেকে দুর্গন্ধ আসতে থাকবে। সে বলবে তুমি একটা খারাপ সংবাদ শুন যা তোমাকে চিন্তায় ও সুখে-দুঃখে কাতর করবে। এটা সেদিন, যেদিনের ওয়াদা তোমাকে দেয়া হয়েছিল। সে ব্যক্তি বলবে, তুমি কে? তোমার চেহারার মতো লোক খারাপ খবরই নিয়ে আসে। তখন সে বলবে, আমি তোমার বদ আমল। এ কথা শুনে সে ব্যক্তি বলবে, হে আমার রব! ক্বিয়ামাত কায়িম কর না, হে আমার রব! ক্বিয়ামাত কায়িম কর না। (মুসনাদে আহমাদ/১৮৬৩৭, মিশকাতুল মাসাবীহ, কবরের আযাব অধ্যায়)
হাদীস-২ঃ বারা ইবনু আযীব (রদিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূল ﷺ বলেছেন, ক্ববরে মৃত ব্যক্তির নিকট দু’জন মালাক ফে আসেন। অতঃপর মালায়িকাহ তাকে বসিয়ে জিজ্ঞেস করেন, ‘‘তোমার রব কে?’’ সে (মুসলিম হলে) উত্তরে বলে, ‘‘আমার রব হলেন আল্লাহ’’। তারপর মালায়িকাহ জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘তোমার দীন কী?’’ সে উত্তরে বলে, ‘‘আমার দ্বীন হলো ইসলাম’’, আবার মালায়িকাহ জিজ্ঞাসা করেন,‘‘তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ হতে যে ব্যক্তি প্রেরিত হয়েছিল, তিনি কে?’’ সে বলে, ‘‘তিনি হলেন আল্লাহর রসূল ﷺ।’’ তারপর মালায়িকাহ তাকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘তুমি কিভাবে জানলে?’’। সে বলে, ‘‘আমি আল্লাহর কিতাব (কুরআন) পড়ে জেনেছি, তাঁর উপর ঈমান এনেছি এবং তাঁকে সত্য বলে গ্রহণ করেছি।’’ রসূল ﷺ বলেছেন, এটাই হলো আল্লাহ তা’লার এ বাণীর ব্যাখ্যাঃ ‘‘আল্লাহ তা’লা সেই সব লোককে (দ্বীনের উপর) প্রতিষ্ঠিত রাখেন যারা প্রতিষ্ঠিত কথার (কালিমায়ে শাহাদাতের) উপর ঈমান আনে ... আয়াতের শেষ পর্যন্ত- (সূরা ইব্রাহীম ১৪ঃ২৭)। অতঃপর রসূল ﷺ বলেন, আকাশমন্ডলী থেকে একজন আহবানকারী ঘোষণা দিয়ে বলেন, আমার বান্দা সত্য বলেছে। সুতরাং তার জন্য জান্নাতের বিছানা বিছিয়ে দাও, তাকে জান্নাতের পোশাক পরিয়ে দাও। আর তার জন্য জান্নাতের দিকে একটা দরজা খুলে দাও। অতএব তার জন্য জান্নাতের দিকে একটি দরজা খুলে দেয়া হবে। রসূল ﷺ বলেছেন, ফলে তার দিকে জান্নাতের বাতাস ও সুগন্ধি দোলা দিতে থাকবে এবং দৃষ্টির শেষ সীমা পর্যন্ত তার ক্ববরকে প্রশস্ত করে দেয়া হবে। অতঃপর তিনি ﷺ কাফিরদের মৃত্যু প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ‘‘তারপর তার রূহকে তার শরীরে ফিরিয়ে আনা হয় এবং তাকে দু’জন মালাক এসে তাকে উঠিয়ে বসান এবং বসিয়ে জিজ্ঞেস করেন, ‘‘তোমার রব কে?’’ সে উত্তরে বলে, ‘‘হায়! হায়! আমিতো জানি না।’’ তারপর মালায়িকাহ জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘তোমার দীন কী?’’ সে ব্যক্তি উত্তর দেয়, ‘‘হায়! হায়! আমিতো কিছুই জানি না।’’ আবার মালায়িকাহ জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ হতে যে ব্যক্তি প্রেরিত হয়েছিল, তিনি কে?’’ সে বলে, ‘‘হায়! হায়! আমি এটাও জানি না।’’ তারপর আকাশ থেকে একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা করে বলেন, সে মিথ্যা বলেছে। সুতরাং তার জন্য আগুনের বিছানা বিছিয়ে দাও এবং তাকে আগুনের পোশাক পরিয়ে দাও। আর জাহান্নামের দিকে তার জন্য একটি দরজা খুলে দাও। সে অনুযায়ী তার জন্য দরজা খুলে দেয়া হয়। রসূল ﷺ বলেন, তার কবরকে তার জন্য সঙ্কুচিত করে দেয়া হয়, যাতে তার একদিকের হাড় অপরদিকের হাড়ের মধ্যে প্রবেশ করে। এরপর একজন অন্ধ ও বধির মালাক নিযুক্ত করে দেয়া হয়, যার সাথে লোহার এক হাতুড়ি থাকে। সে হাতুড়ি দিয়ে যদি পাহাড়ের উপর আঘাত করা হয় তাহলে সে পাহাড় গুঁড়া গুঁড়া হয়ে মাটি হয়ে যাবে। সে অন্ধ মালাক এ হাতুড়ি দিয়ে সজোরে তাকে আঘাত করতে থাকে (তার বিকট চীৎকারের শব্দ) পূর্ব হতে পশ্চিম পর্যন্ত জি্ন ও মানুষ ছাড়া সকল মাখলুকই শুনতে পাবে। এর সাথে সাথে সে মাটিতে মিশে যাবে। অতঃপর পুনরায় তার মধ্যে রূহ ফেরত দেয়া হবে। (এভাবেই অনবরত চলতে থাকবে)। অন্য বর্ণনায় আছে তাকে আঘাত করার আগে মালায়িকাহ বলবে, তুমি কুরআনও পড়নি আর জেনেও নাওনি।
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।