hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কবরের প্রশ্ন ও প্রাসংগিক আলোচনা

লেখকঃ মুহাম্মাদ মুনিরুজ্জামান বিন আশরাফ আলী

২৫
মুসলিম ভাই-বোনদের প্রতি আমাদের আহবান
১। কুরআন-সুন্নাহ থেকে দ্বীন ইসলামের জ্ঞান অর্জন করুন। প্রতিদিন সকালে, বিকালে ও রাতে কিছু সময়ের জন্য হলেও বুঝে বুঝে কুরআন ও হাদীসের কিতাব পড়ুন। দিন-রাতের অন্যান্য অবসর সময়ে কুরআন-হাদীসের দলিল ভিত্তিক কিতাব পড়ুন। এতে আপনার জ্ঞানও বাড়বে, নেকীও হবে। ঈমান-আমল শুদ্ধ হবে, জান্নাতের পথে চলা সহজ হবে।

২। দুনিয়ার জীবনের চেয়ে আখেরাতের জীবনকে প্রাধান্য দিন। কেননা দুনিয়ার জীবন ক্ষনস্থায়ী আখেরাত চিরস্থায়ী। প্রতিমাসেই ১/২ করে নির্ভরযোগ্য কিতাব ক্রয় করুন। এটা সদকায়ে জারিয়া হিসেবে থেকে যাবে। আপনার সন্তান, আত্মীয়-স্বজন ও পরবর্তী বংশধরের যারাই এই কিতাবগুলো পড়ে জ্ঞান অর্জন করবে ও সঠিক পথে চলবে তাদের সওয়াবও আপনি কবরে শুয়ে শুয়েই পাবেন এবং তাদের দাওয়াতের দ্বারা যারা হিদায়াত পাবে তাদের নেকীও কিয়ামত পর্যন্ত আপনার আমলনামায় যোগ হতে থাকবে।

৩। আল্লাহ আমার রব, ইসলাম আমার দ্বীন, মুহাম্মাদ ﷺ আমার রসূল, মুসলিম আমার পরিচয়, কুরআন আমার পথ প্রদর্শক, সুন্নাহ আমার চলার পথ এই নীতিতে জীবন গঠন করার চেষ্টা করুন। আমরা এক আল্লাহর বান্দা, এক দ্বীন ইসলামের অনুসারী, এক রসূলের উম্মত, এক কিতাব, এক কিবলা ও এক সুন্নাহর অনুসারী। সুতরাং আমাদের মাযহাব (চলার পথ) একটাই তা হলো ইসলাম, আর আমাদের পরিচয় হলো মুসলিম। অন্য সকল দল-মত-পথ, ইজম, মাযহাব পরিত্যাগ করুন।

৪। যারা কুরআন-হাদীস নিজে পড়ে, সেই অনুযায়ী চলার চেষ্টা করে, অন্যদেরকে কুরআন-হাদীস পড়তে উৎসাহিত করে তাদের সাথীত্ব গ্রহণ করুন। যারা কুরআন-হাদীস পড়তে নিষেধ করে, নিরুৎসাহিত করে তাদেরকে ভদ্রভাবে পরিহার করুন। কোন বিশেষ প্রকাশনীর বা বিশেষ ব্যক্তির সংকলিত কিতাব পড়তে না চাইলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত অনুবাদসহ কুরআন, তাফসীরে ইবনে কাসীর, বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ এসব কিতাব সংগ্রহ করে পড়ুন। আরবী পড়তে, বুঝতে না পারলে বাংলা বুঝে বুঝে পড়ুন। তথাপি কিছু জ্ঞানতো অর্জন করতে পারবেন। আপনার নিষ্ঠা ও চেষ্টা কবুল করেই আল্লাহ আপনাকে সঠিক বুঝ দিতে পারেন। পাশাপাশি আরবী শিখার চেষ্টা করুন, তাতেও অনেক নেকী হবে।

৫। নিজের জ্ঞান নিজে অর্জন করুন, নিজের আমল নিজে করুন। অন্যের উপর নির্ভর করবেন না। কারোর জন্য আমল বাকী রাখবেন না। মনে রাখবেন, আপনার কবরে আপনাকেই যেতে হবে, আপনার সওয়াল জওয়াব আপনাকেই দিতে হবে, আপনার হিসাবও আপনাকে দিতে হবে। আমার মরার পর আমার সন্তানেরা হুজুরের মাধ্যমে খতম পড়িয়ে আমাকে মাফ করিয়ে দিবে এই চিন্তা বাদ দিন। সন্তানকে কুরআন-সুন্নাহ থেকে দ্বীন শিখিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। যাতে সন্তানরা হুজুরের মাধ্যমে নয়, তারা নিজেরাই যেন শিরক-বিদআত থেকে মুক্ত থেকে কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক নেক আমল করে আপনার জন্য দোয়া করতে পারে।

৬। কুরআন হাদীস থেকে জ্ঞান অর্জনের জন্য কাউকে নিরুৎসাহিত করবেন না। আল্লাহ তা‘আলা কাউকে ভ্রান্ত পথে চলার জন্য কুরআন-হাদীস নাযিল করেননি। একজন সাধারণ শিক্ষিত মানুষ কুরআন-হাদীস পাঠ করছে, ইসলামী কিতাবাদি পাঠ করছে তাকে বরং উৎসাহিত করুন।

৭। দল-মত-পথ মুসলিমদেরকে অনেক ভাগে বিভক্ত করে ফেলেছে। তাই সবকিছু পরিহার করে কুরআন-সুন্নাহর দিকে ফিরে আসুন। কুরআন-সুন্নাহ আঁকড়ে ধরুন। নিজেও দলিল নির্ভর আমল করুন। অন্যকেও দাওয়াত দিন। কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে কেউ দলিল দিতে পারলে মেনে নিন। সেক্ষেত্রে নিজের ভাল লাগাসহ সকল মতামত পরিহার করুন।

৮। মতবিরোধের ক্ষেত্রে কুরআন-হাদীসের দলিল চান, আপনারটাও বলুন, সমজোতার চেষ্টা করুন, আল্লাহর কাছে দোয়া করুন। অন্যেরটা অধিকতর সহীহ হলে মেনে নিন, আপনারটা দূর্বল হলে ছেড়ে দিন। এটাতো আপনি আল্লাহর খুশির জন্য করবেন। এতে আপনি অনেক সওয়াব পাবেন। সঠিক পথে চলতে সহজ হবে। আর আপনারটা সঠিক হলে আপনি বুঝানোর পরেও না মানলে তাকে তাঁর রাস্তায় ছেড়ে দিন, তাঁর জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন। আপনার দায়িত্ব শেষ।

৯। বহুদিন থেকে চলে আসবে, অনেক লোক করছে, আলেম ওলামারা করছে, বাপ-দাদারা করছে এগুলো কোন দলিল নয়। দ্বীনের ক্ষেত্রে দলিল হলো কুরআন-সুন্নাহ। ওমর (রদিঃ) এর স্ত্রী তাঁর খেলাফতকালে তিনি অপছন্দ করার পরেও রসূল ﷺ এর সুন্নাতের উপর আমল করেছেন মাসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করেছেন। তার ছেলেকে অন্য সাহাবী (রদিঃ) ওমর (রদিঃ) এর মতামত মনে করিয়ে দেয়ার পরেও হজ্জ্বে তামাত্তু করেছেন এবং অনেক সাহাবী ওমর (রদিঃ) এর মতের বিরুদ্ধে রসূল ﷺ এর আমল ও মতামত তুলে ধরলে ওমর (রদিঃ) মেনে নিয়েছেন হাদীসে এর অনেক বর্ণনা আছে। সুতরাং সর্বক্ষেত্রে রসূল ﷺ এর সুন্নাহকে প্রাধান্য দিন।

১০। একাকী নির্জনে সরাসরি একমাত্র আল্লাহর কাছে বিনয়ের সাথে সঠিক পথ দেখিয়ে দেয়ার জন্য, সঠিক পথে চলার জন্য দোয়া করুন। সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করা বিদআত। নেকীও হবে না, দোয়াও কবুল হবে না বরং গুনাহ হবে। সুন্নাহ অনুসরণ করুন। প্রত্যেক আযানের ও ইকামতের মাঝখানে দোয়া কবুল হয়, শেষ রাতে দোয়া কবুল হয়। এই সময়গুলোতে একা একা নিজের জন্য, মাতাপিতার জন্য, স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানদের জন্য, বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনদের জন্য, আমাদের জন্য এবং সকল মুসলিম ভাই-বোনদের জন্য দোয়া করুন। দোয়া সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানার জন্য ‘‘দৈনন্দিন সহীহ দু’আ ও কুরআন-সুন্নার চিকিৎসা’’ কিতাবটি সংগ্রহ করুন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন