hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হারাম শরীফের দেশ ফজিলত ও আহকাম

লেখকঃ দা‘ওয়াহ ও উসূলুদ্দীন ফ্যাকাল্টি, উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়

১১
৭. মসজিদুল হারামে সালাত আদায়ের সওয়াব :
মসজিদুল হারাম সর্বপ্রথম ঘর যা মানব জাতির জন্য নির্মিত হয়েছে। আল্লাহ (তাআলা) এ মাসজিদের সালাত আদায়কারীদের সম্মানিত করেছেন বহুগুণ ছাওয়াব প্রদান করে। প্রকৃতপক্ষে মু’মিন সালাত আদায়কারীদের প্রতি পরম দয়ালু আল্লাহর পক্ষ থেকে এ পবিত্র ঘর একটি বিরাট অনুগ্রহ।

হায় আফসোস তাদের জন্য যারা পবিত্র মক্কায় বসবাসরত, আল্লাহর ঘরের প্রতিবেশী, যাদের জন্য এখানে সাওয়াব অর্জনের সমস্ত দরজা মুক্ত, কিন্তু তবুও সালাতের ব্যাপারে তারা অনীহা প্রদর্শন করত ফরজ সালাত তারা ছেড়ে দেয়। এর চেয়ে হতভাগা, ক্ষতিগ্রস্ত ও লাঞ্ছিত আর কে হতে পারে?

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, হাদিস নবী (ﷺ) এরশাদ করেছেন:

صَلاَةٌ فِي مَسْجِدِي هَذَا خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ صَلاَةٍ فِيمَا سِوَاهُ إِلاَّ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ .

আমার এ মসজিদে সালাত আদায়ের ছাওয়াব মসজিদুল হারাম ছাড়া অন্য সকল মসজিদে সালাতের চেয়ে হাজার গুণ উত্তম। [সহীহ বুখারী- হাদীস নং ১১৮৮, সহীহ মুসলিম- হাদীস নং ১৩৯৪।]

জাবির (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদিসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন :

صَلاَةٌ فِي مَسْجِدِي هَذَا أَفْضَلُ مِنْ أَلْفِ صَلاَةٍ فِيمَا سِوَاهُ إِلاَّ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ وَصَلاَةُ فِيْ الْمَسْجِدِ الحَرَمِ أَفْضَلُ مِنْ أَلْفِ صَلاَةٍ فِيمَا سِوَاهُ .

আমার মসজিদে একবার সালাত আদায় মসজিদে হারাম ব্যতীত অন্যান্য মসজিদে হাজার বার সালাত আদায়ের চেয়ে বেশি উত্তম। তবে মাসজিদুল হারামে একবার সালাত আদায় অন্যান্য মাসজিদের তুলনায় এক লক্ষ গুণ বেশী। [মুসনাদে আহমাদ ৩/৩৪৩, ইবনে মাজাহ ১৪০৬, সহীহ ইবনে খুযাইমা ১১৫৫।]

এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, মাসজিদুল হারামের যে ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে, এর দ্বারা কাবা ঘরকে পরিবেষ্টনকারী মসজিদুল হারামকে বুঝানো হয়েছে, না সম্পূর্ণ হারাম এলাকা ?—এ ব্যাপারে ওলামা ও মুসলিম জ্ঞানীদের মতপার্থক্য রয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কা‘বা ঘরের চারপাশকে পরিবেষ্টনকারী মসজিদুল হারামকে হারাম এলাকা অর্থ করেছেন, আবার কেউ কেউ হারামের সীমারেখা ভুক্ত এলাকাকে বুঝিয়েছেন। তবে অধিকাংশ ওলামা শেষোক্ত মতকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। প্রাধান্য দান কারী ব্যক্তিদের মধ্যে প্রসিদ্ধ তাবেঈ ‘আতা ইবনে আবি রাবাহ আল-মককী (রাঃ) একজন। তৎকালীন মসজিদুল হারামের তিনি ইমামও ছিলেন। একবার রাবী‘ ইবনে সুবাইহ (রাঃ) তাঁকে প্রশ্ন করলেন যে, ‘‘হে আবূ মুহাম্মাদ! মসজিদুল হারাম সম্পর্কে যে ফজিলত বর্ণিত হয়েছে এটা কি কেবল মাসজিদের জন্য, না সম্পূর্ণ হারাম এলাকার জন্য? জবাবে আতা’ বললেন, এর দ্বারা সম্পূর্ণ হারাম এলাকাই বুঝানো হয়েছে, কারণ হারাম এলাকার সবটাই মসজিদ বলে গণ্য করা হয়।’’ [মুসনাদুত তায়ালিসী- হাদীস নং ১৪৬৪।] ইমাম ইবনেল কাইয়্যিমও একই মত প্রকাশ করেছেন। একই বিষয়ে তাঁর রচিত একটি চমৎকার প্রবন্ধ রয়েছে। [যাদুল মা‘আদ ৩/৩০৩-৩০৪।] অধিকাংশ ওলামার মত এটাই। বর্তমান যুগের শাইখ আবদুল আযীয ইবনে বায (রহ.) এ মতকে দিয়েছেন। [মাজমু‘উ ফাতাওয়া ইবনে বায ৪/১৪০।]

উল্লেখিত মতপার্থক্য বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও অন্তত এতটুকু বলা যায় যে, কাবা ঘরের চারপাশে সালাত আদায় সবচেয়ে উত্তম। কেননা সেখানে সালাতের কারণে মনের প্রশান্তি, দিলের প্রশস্ততা, বিপুল সংখ্যক মুসল্লীদের সঙ্গ লাভ এবং সেই সঙ্গে কা‘বা ঘরের নৈকট্য অর্জন সম্ভব হয় বলেই এর মর্যাদা অনেক বেশি। ইমাম আহমাদ (রহ.) সহ কোন কোন আলেম পবিত্র মক্কা নগরীর সর্বত্র অগণিত ছাওয়াব পাওয়া যায় বলে মতামত প্রকাশ করেছেন। ইমাম নাবাবী (রহ.) এ মতকে বেশি পছন্দ করেছেন।

শাইখুল ইসলাম ইবনে তাই-মিয়া (রহ.) এ প্রসঙ্গে বলেছেন : মক্কা মুকাররমার নিকট সালাত বা এ জাতীয় এবাদত উত্তম। এমন স্থানের পাশেও এবাদত উত্তম যেখানে ঈমান ও তাকওয়া বৃদ্ধি হয়। সেই স্থানটি যেখানেই থাক না কেন। আর গুনাহ ও ছাওয়াব বৃদ্ধির বিষয়টি পবিত্র স্থান ও সময়ের সাথে জড়িত। আল্লামা আল-কাদী ও ইবনুল জাওযী (রহ.) ইবনে তাইমিয়্যার এ বক্তব্যটি উল্লেখ করেছেন। [আল-ইখতিয়াবুল ফিকহিয়্যাহ লিইবনে তাইমিয়া, পৃঃ ১১৩।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন