মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
লেখকঃ দা‘ওয়াহ ও উসূলুদ্দীন ফ্যাকাল্টি, উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়
১২
৮. হারাম শরীফে ইলহাদ (পাপাচার) নিষিদ্ধ :
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/801/12
আল্লাহ (তাআলা) তার পবিত্র গ্রন্থে মক্কা মুকাররমায় ইলহাদ তথা পাপাচারে লিপ্ত হওয়ার ব্যাপারে কঠোরভাবে সাবধান করে দিয়েছেন এবং যারা এতে লিপ্ত হবে তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি ও চরম লাঞ্ছনার কথা উল্লেখ করেছেন। সূরা হজের ২৫ নং আয়াতে তিনি এরশাদ করেছেন :
‘‘নিশ্চয় যারা কুফরি করেছে এবং আল্লাহর রাস্তা এবং মসজিদুল হারাম হতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, যাকে আমরা মুকিম ও মুসাফির সকলের জন্য আশ্রয়স্থান করেছি; আর এখানে যে সামান্যতম পাপাচারের ইচ্ছে পোষণ করবে তাকে আমি অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রদান করা।’’ [সূরা হাজ্জঃ ২৫।]
ইবনে জারির (রহ.) ইলদাহ শব্দের ব্যাখ্যায় উল্লেখ করেন যে, বায়তুল্লাহিল হারামে অন্যায় কাজের ইচ্ছে করা। [তাফসীর তবারী ১৭/১০৩।]
কোন কোন আলেম ইলহাদ দ্বারা শিরক বুঝিয়েছেন এবং অন্যান্য আলেমগণ হারাম শরীফ হারাম কাজকে তাকে হালাল মনে করা অথবা হারাম কাজে লিপ্ত হওয়া বুঝিয়েছেন। আবার কেউ কেউ পবিত্র মক্কায় খাদ্যদ্রব্যকে গচ্ছিত করা বলেছেন। উল্লেখিত এ মতামতসমূহ তাফসীর তাবারী গ্রন্থে বর্ণনা করা হয়েছে। [তাফসীর তবারী ১৭/১০৪।]
সার কথা হল, কুরআনের এ আয়াতের বিভিন্ন ব্যাখ্যা থেকে স্পষ্ট বুঝা যায়, মক্কা নগরীতে যে কোন ধরনের পাপাচারকেই ইলহাদ বলা হয়। এটাই যুক্তিসংগত এবং সঠিক। আল্লাহর নাফরমানি হয় এমন যে কোন কর্মকান্ডকে ‘ইলহাদ’ বলা হয়। উল্লেখিত আয়াতের তাফসীর বর্ণনা করতে গিয়ে ইবনে কাসীর (রহ.) বিভিন্ন মনীষীদের মতামত উল্লেখ করে বলেন, এ সকল বক্তব্য ও মতামত থেকে যদিও প্রমাণিত হয় যে, উল্লেখিত বিষয়গুলোর সবটাই ইলহাদের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু প্রকৃত ব্যাপার হল ‘ইলহাদ’ এর চেয়েও আরো ব্যাপক। বরং আয়াতে এর চেয়ে জঘন্যতম পাপের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত। এজন্য হস্তবাহিনী যখন আল্লাহর ঘর ধ্বংসের মনস্থ করেছিল, তখন আল্লাহ আবাবিল পাখির দ্বারা তাদেরকে সমূলে খতম করেছিলেন, বরং তাদের উচিত শাস্তি থেকে অন্যরা যেন নসিহত গ্রহণ করে এবং কা‘বা ঘরে অন্যায়ের চিন্তাকারীদের জন্য এই আয়াত একটি কঠোর হুশিয়ারী। [তাফসীর ইবনে কাসীর ৩/১২৫।]
শায়খ আবদুল আযীয ইবনে বায বলেন : ‘ইলহাদ’ শব্দটি সকল অন্যায়ের দিকে ঝোঁক প্রবণতাকে শামিল করে থাকে। তা আক্বীদার ক্ষেত্রে হোক বা অন্য কোন ক্ষেত্রে। সব অন্যায়কে বুঝাতেই কুরআনের ِإِلْحَادٍ শব্দটি ‘নাকেরা’। অর্থাৎ অনির্দিষ্ট অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। অতএব যে কেউ যে কোন ধরনের ইলহাদে লিপ্ত হবে সে এ সতর্ক বাণীর অন্তর্ভুক্ত হবে।
আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহর হারাম শরীফে যে কোন অপরাধকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, যে এরূপ করবে সে হবে আললাহর নিকট সবচেয়ে ঘৃণ্যতম ব্যক্তি। ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদিসে নবী (ﷺ) বলেছেন, তিন ধরনের লোক আল্লাহ নিকট বেশি ঘৃণিত। হারাম শরীফের মধ্যে অন্যায়কারী, ইসলামের ভেতরে জাহিলি রীতি-নীতি অন্তর্ভুক্তকারী এবং অন্যায়ভাবে কোন ব্যক্তিকে হত্যাকারী। [সহীহ বুখারী- হাদীস নং ৬৮৮২।]
হাদিস বিশারদ আল-মুহাল্লাসহ আরো অনেকে বলেন, এ তিন ধরনের ব্যক্তি দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে, এরা আল্লাহর নিকট সবচেয়ে ঘৃণিত পাপী। যেমন তিনি (ﷺ) বলেছেন, প্রকৃতপক্ষে শিরকই হচ্ছে আল্লাহর নিকট সকল গোনাহের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও ঘৃণিত অপরাধ। [ফাতহুল বারী ১২/২১৯।]
মহান সাহাবি ইবনে ওমর (রাঃ) হারাম শরীফে ইলহাদের মত অপরাধকে কবিরা গুনাহ গণ্য করেছেন। ইমাম তা বারী তার তাফসীর গ্রন্থে তাইসালাহ ইবনে ‘আলী আন্নাহদী (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আরাফার দিবসে ইবনে ওমরের নিকট উপস্থিত হলাম, তিনি তখন আরাক নামক গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন এবং মাথায় ও মুখে পানি ঢালছিলেন। আমি তাকে বললাম, আমাকে কবিরা গুনাহ সম্পর্কে কিছু বলুন। তিনি বললেন, কবীরা নয়টি। বললাম সেগুলো কি কি? তিনি বললেন, (১) আল্লাহর সাথে শরীক করা। (২) সতী-সাধ্বী মহিলার উপর অপবাদ দেয়া। প্রশ্ন করলাম, এর স্থান কি হত্যারও পূর্বে? বললেন, অবশ্যই, হ্যাঁ। (৩) কোন মু’মিন ব্যক্তিকে হত্যা করা। (৪) যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করা। (৫) যাদু। (৬) সুদ খাওয়া। (৭) ইয়াতীমের মাল ভক্ষণ করা। (৮) মুসলিম মাতা-পিতার অবাধ্য হওয়া। (৯) জীবিত অথবা মৃত তোমাদের সকলের কিবলা হারাম যে কোন ধরনের ইলহাদ করা। [তাফসীর ইবনে জারীর ৫/২৬, সহীহ আদাবুল মুফরাদ পৃঃ ৩৫।]
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, কুরআনের উল্লেখিত আয়াতে অন্যায় কর্মের নিছক ইচ্ছা পোষণ করার জন্য কঠিন শাস্তির হুমকি প্রদর্শন করা হয়েছে যদিও সে বাস্তবে সে ইচ্ছা পূরণ করেনি। তাহলে যে বাস্তবে অন্যায় করবে তার অবস্থা কেমন হবে? তাই আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেছেন, ইয়ামানে অবস্থিত এডেন শহরে বসবাসকারী কোন ব্যক্তি যদি হারামে কোন ধরনের অন্যায়ের ইচ্ছা পোষণ করে তাহলে আল্লাহ তাকে কঠিন শাস্তি প্রদান করবেন! [মুসনাদে আহমাদ ২/৪২৮ পৃঃ, তাফসীর তাবারাী ১৭/১০৪ পৃঃ।]
ইবনে কাসির (রহ.) বলেন, কোন কোন আলেম মন্তব্য করেছেন যে, পবিত্র মক্কায় যদি কেউ কোন পাপ কাজের ইচ্ছা পোষণ করে, তবে আল্লাহ তাকে শুধুমাত্র সেই ইচ্ছা পোষণের কারণে তাকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দেবেন, যদিও সে বাস্তবে সেই অন্যায় কর্মটি না করে থাকে। তবে হারাম এলাকার বাইরে কোন অন্যায়ের ইচ্ছা পোষণ করার কারণে শাস্তি প্রাপ্তি হবে না। [তাফসীর ইবনে কাসীর ৩/২১৫ পৃঃ।]
শায়খ আবদুল আযীয ইবনে বায (রহ.) বলেন : হারাম শরীফে কৃত গুনাহ অত্যন্ত কঠিন গুনাহ। হারাম শরীফে অন্যায়ের শাস্তি খুবই কঠিন। কুরআনের এ আয়াতে তা প্রমাণিত হয়। আল্লাহ (তাআলা) এরশাদ করেন, যে এখানে (হারাম শরীফে) ইলহাদ অর্থাৎ জুলুম করার মনস্থ করবে তাকে আমি অত্যন্ত কঠোর শাস্তি দেব।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/801/12
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।