hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হারাম শরীফের দেশ ফজিলত ও আহকাম

লেখকঃ দা‘ওয়াহ ও উসূলুদ্দীন ফ্যাকাল্টি, উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়

২৪
সপ্তমত: সাফা ও মারওয়া
এ দু’টো পাহাড় হারাম শরীফে অবস্থিত আল্লাহ (তাআলা)-র মহান নিদর্শনসমূহের অন্যতম। আল্লাহ (তাআলা) বলেন :

إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا ﴿البقرة :158﴾

‘‘নিশ্চয়ই সাফা ও মারওয়া (পাহাড় দু’টো হচ্ছে) আল্লাহ (তাআলা)-র নিদর্শনসমূহের অন্তর্গত। অতএব যদি তোমাদের মধ্যে কোন লোক হাজ্জ কিংবা উমরা আদায় (করার ইচ্ছা) করে, তার জন্য এ উভয় পাহাড়ে তাওয়াফ করায় কোন দোষ নেই’’। [সূরা আল বাক্বারাহঃ ১৫৮।]

আল্লাহ এখানে বর্ণনা করেন যে, সাফা-মারওয়া এবং এত দু ভয়ের মধ্যে তাওয়াফ করা তার নিদর্শনা বলীর অন্তর্গত। অর্থাৎ সে সব কাজের অন্তর্ভুক্ত, যা আল্লাহ ইবরাহীম (আঃ)-এর জন্য হজের বিধান হিসাবে প্রণয়ন করেছেন। ইতিপূর্বে ইবনে আববাস (রাঃ) এর হাদিসে বলা হয়েছে যে, পানি ও পাথেয় শেষ হয়ে যাবার পর সন্তানের জন্য পানির অনুসন্ধানে বিবি হাজেরা সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে ছুটোছুটি ও প্রদক্ষিণ করার ঘটনা থেকেই প্রকৃতপক্ষে তাওয়াফের বিধান চালু হয়েছে। ইবরাহীম (আঃ) তাদের উভয়কে জন-মানবহীন সে স্থানে রেখে চলে যান। এমতাবস্থায় বিবি হাজেরা যখন প্রাণ নাশের আশঙ্কা করলেন, তখন আল্লাহর কাছে সাহায্য লাভের প্রার্থনায় রত হলেন। পানির সন্ধানে তিনি বহুবার সাফা-মারওয়া এবং এত দু ভয়ের মধ্যকার উপত্যকায় ছুটোছুটি করলেন। তিনি ছিলেন ভীত-সন্ত্রস্ত, অভাবের কষাঘাতে ন্যুব্জ আল্লাহর করুণার মুখাপেক্ষী এক অসহায় রমণী। অবশেষে আল্লাহ তার বিপদ দূর করলেন, একাকিত্বে তার সাথি হলেন এবং কঠিন অবস্থা থেকে তাকে মুক্তি দিলেন, আর তার জন্য প্রবাহিত করলেন যমযমের বরকতময় পানি।

অতএব যিনি সাফা-মারওয়ায় সা‘ঈ করবেন, তার উচিত হল বিনেয় ও নম্রতা সহকারে আল্লাহ তা‘আলার প্রতি নিজের হাজাত, মুখাপেক্ষিতার বিষয়টি সর্বক্ষণ মনে রাখা যাতে আল্লাহ তার অন্তরকে হেদায়াত দান করেন, তার অবস্থার যথাযথ সংশোধন করেন ও তার পাপ ক্ষমা করেন। আল্লাহর কাছে তার এ বিষয়ে আশ্রয় প্রার্থনা করা উচিত যে, তিনি যেন তাকে তার সকল দোষ ও ত্রুটি হতে উদ্ধার করেন, সরল-সঠিক পথের দিকে তাকে হেদায়াত দান করেন ও মৃত্যু পর্যন্ত তাকে হিদায়াতের উপর অবিচল রাখেন এবং ইতিপূর্বে যে পাপাচার ও নাফরমানিতে সে লিপ্ত ছিল তা হতে তাকে এক পরিপূর্ণ সার্থক জীবন, ক্ষমা, সঠিক ও সরল পথের উপর টিকে থাকার দিকে ফিরিয়ে দেন। বিবি হাজেরা এ রকম দোয়াই আল্লাহর কাছে করেছিলেন। [এ কথাগুলো ইমাম ইবনে কাসীর তার তাফসীর গ্রন্থে (১৫/৪৩৮) উল্লেখ করেছেন।]

আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) বলেন :

وَقَدْ سَنَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الطَّوَافَ بَيْنَهُمَا فَلَيْسَ لِأَحَدٍ أَنْ يَتْرُكَ الطَّوَافَ بَيْنَهُمَا .

‘‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাফা-মারওয়ার মধ্যে তাওয়াফের সুন্নাত প্রচলন করেন। অতএব এ তাওয়াফ ত্যাগ করা কারো জন্য বৈধ নয়।’’ [ইমাম বুখারী হাদীসটি হাজ্জ অধ্যায়ের সাফা-মারওয়ায় সা‘ঈ ওয়াজিব ও তা আল্লাহর নিদর্শনাবলীর অন্তর্ভুক্ত’ পরিচ্ছেদে বর্ণনা করেন। হাদীস নং (১৬৪৩)]

সে আলোকে সাফা-মারওয়ার মধ্যে সা‘ঈ করা হজ ও উমরার মানাসিক তথা বিধানে পরিণত হয়, যা আদায় না করলে হজ ও উমরা পরিপূর্ণ হবে না।

আল্লাহ কুরআনে সাফার উল্লেখ দিয়ে শুরু করেছেন। তাই এ পাহাড় থেকে সা‘ঈ আরম্ভ করা ওয়াজিব। সেখান থেকে মারওয়ায় গিয়ে সা‘ঈ শেষ হবে এবং তা এক চক্কর বলে গণ্য হবে। সাত চক্কর পূর্ণ করা পর্যন্ত সা‘ঈর কাজ করে যেতে হবে। বর্তমানে দু’টো সবুজ চিহ্নের মাঝামাঝি যে উপত্যকা রয়েছে, সেখানে যখন হাজী সাহেব নেমে আসবেন, তখন সুন্নাত হল অতি-দ্রুত পদক্ষেপে অগ্রসর হওয়া, যেভাবে জাবের (রাঃ) এর হাদিসে এসেছে ...

.... حَتَّى إِذَا انْصَبَّتْ قَدَمَاهُ فِي بَطْنِ الْوَادِي سَعَى حَتَّى إِذَا صَعِدَتَا مَشَى .

‘‘যখন বাতনে ওয়াদীতে গিয়ে তিনি পৌঁছলেন, দৌড়ালেন। এরপর আবার হাঁটলেন।’’ [ইমাম মুসলিম হাজ্জ অধ্যায়ে ‘রাসূল (ﷺ) এর হাজ্জ পরিচ্ছেদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাদীস নং (১২১৮)।]

উম্মু ওয়ালীদ শাইবা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন :

رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَهُوَ يَقُولُ لاَ يُقْطَعُ الْأَبْطَحُ إِلاَّ شَدًّا .

অর্থাৎ- ‘‘আমি দেখলাম রাসূল (ﷺ) সাফা-মারওয়ার মাঝখানে সায়ী করছেন এবং বলছেন, দ্রুতবেগে দৌড়েই ‘আবতাহ’ স্থানটি অতিক্রম করতে হবে।’’ [হাদীসটি বর্ণনা করেন ইবনে মাজাহ (হাদীস নং ২৯৮৭), নাসায়ী (৫/২৪২) ও আরো অনেকে। সহীহ ইবনে মাজায় (হাদীস সং ২৪১৯) শায়খ আলবানী (রহ.) হাদীসটি সহীহ বলেছেন, দেখুন আস-সিলসিলা আস-সহীহাহ ৫/৫৬৪,৫৬৫]

মহিলারা যেন কোন প্রকার কষ্ট ও সমস্যায় না পড়ে সেজন্য সবুজ চিহ্ন দ্বয়ের মধ্যবর্তী স্থানে তাদের দৌড়ানোর প্রয়োজন নেই, ।

সাফা পাহাড়ের পুরোপুরি ঊর্ধ্বে আরোহণ করা ওয়াজিব নয়। বরং কিবলামুখী হয়ে তার এক প্রান্তে দাঁড়ানোই যথেষ্ট। এ নিয়ম একইভাবে মারওয়ার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, বিশেষ করে এমন একসময় যখন ভিড় বেশি হয়ে থাকে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন