মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
‘‘আমি তো আদিষ্ট হয়েছি এ নগরীর মালিকের এবাদত করতে যিনি একে সম্মানিত করেছেন। সকল কিছু তাঁরই। আমি আরও আদিষ্ট হয়েছি যেন আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত হই।’’ [সূরা নামলঃ ৯১।]
রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর হাদিসও বিষয়টি প্রমাণ করে। ইবনে ‘আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, মক্কা বিজয়ের দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন :
এ শহরটিকে আল্লাহ সেদিন থেকেই সম্মানিত করেছেন যেদিন যমীন ও আসমান সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ কর্তৃক হারাম হওয়ায় এ শহরটি কেয়ামত পর্যন্ত হারাম থাকবে। [সহীহ মুসলিম- কিতাবুল হজ্জ, হাদীস নং- ১৩৫৩।]
আল্লাহর খালীল ইবরাহীম (আঃ) মক্কা হারাম হওয়ার ঘোষণা দেন। আল্লাহর ঘর কা‘বা তিনি নির্মাণ করেন ও তাকে পবিত্র করেন এবং মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা দেন। ইমাম বুখারি আবদুল্লাহ ইবনে যায়দ ইবনে ‘আসিম (রাঃ) হতে তিনি নবী (ﷺ) হতে বর্ণনা করেন যে,
ইবরাহীম মাক্কাকে হারাম ঘোষণা করেন এবং শহরটির জন্য দু‘আ করেন। ইবরাহীম যেভাবে মাক্কাকে হারাম ঘোষণা করেন সেভাবে আমিও মদিনাকে হারাম ঘোষণা করেছি এবং তার মুদ্দ ও সা‘ (খাদ্য শস্য)-এর জন্য দু‘আ করেছি যেমন ইবরাহীম (আঃ) মক্কার জন্য দু‘আ করেছেন।
আল্লাহ মক্কা শহরটিকে জমিন ও আসমানকে সৃষ্টির দিন থেকেই হারাম করেছেন, ইতিপূর্বে বর্ণিত এ কথার সাথে উপরোক্ত হাদিসটি সাংঘর্ষিক নয়। যে হাদিসগুলো প্রমাণ করে যে, ইবরাহীমই মক্কাকে হারাম ঘোষণা করেছেন সেগুলোর বর্ণনার পর হাফেজ ইবনে কাশীর বলেন, যে হাদিসগুলো প্রমাণ করে যে, আল্লাহ শহরটিকে জমিন ও আসমানকে সৃষ্টির দিন থেকেই হারাম করেছেন এগুলো ঐ হাদিসগুলোর সাথে সাংঘর্ষিক নয় যেগুলো দ্বারা বুঝা যায় যে, ইবরাহীম (আঃ) এ শহরকে হারাম করেছেন। ইবরাহীম (আঃ) আল্লাহর পক্ষ থেকেই মক্কা সম্পর্কিত হুকুম এবং তাকে হারাম করার বিধান উম্মতকে দিয়েছেন। ইবরাহীম (আঃ) এ ঘর নির্মাণের পূর্ব থেকেই মক্কা বরাবরই হারাম ছিল। বিষয়টি ঠিক এমন যেমন বর্ণনাকারী বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আল্লাহর নিকট ‘খাতামুন নাবিয়্যীন’ (সর্বশেষ নবী) হিসাবে লিপিবদ্ধ ছিলেন আর আদম তখন নিজ কাদা মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছিলেন, [মুসনাদে আহমাদ ৪/১২৭, বুখারী, কিতাবুল কাবীর ৬/৬৮, কিতাবুস সাগীর ১/৩৯, বায়হাকী, দালায়েল ২/১৩০, ইবনে হিববান, সহীহ হাদীস নং- ৬৪০৪, হাকিম, মুসতাদরাক ২/৬০০।] এতদসত্ত্বেও ইবরাহীম (আঃ) এ বলে দু‘আ করলেন :
‘‘হে আমাদের প্রভু! তাদের মধ্য হতে তাদের নিকট একজন রাসূল প্রেরণ করুন।’’ [সূরা বাকারাঃ ১২৯।]
আল্লাহ তাঁর পূর্ব জ্ঞান অনুযায়ী ইবরাহীম (আঃ)-এর দু‘আ মঞ্জুর করলেন। এ জন্যেই হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তারা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার সূচনা সম্পর্কে আমাদেরকে কিছু বলুন। উত্তরে তিনি বললেন, (আমি হলাম) ইবরাহীম (আঃ)-এর দু‘আ এবং ‘ঈসা ইবনে মার্য়ামের সুসংবাদ। আমার আম্মা-জান দেখতে পেলেন, তাঁর থেকে এক ঝলক নূর বেরিয়ে এসেছে যে নূরের আলোয় শাম দেশের প্রাসাদগুলো পর্যন্ত দেখা গেছে। ইবরাহীম ও ইসমা‘ঈল (আঃ) কর্তৃক কা‘বা ঘর নির্মাণ সম্পর্কে আল্লাহ (তাআলা) এরশাদ করেন :
‘‘এবং (স্মরণ কর) যখন ইবরাহীম ও ইসমা‘ঈল কা‘বা ঘরের প্রাচীর তুলছিল (তখন তারা বলেছিল) হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের (এ কাজ) গ্রহণ করুন। নিশ্চয় আপনি সর্ব-শ্রোতা ও সর্বজ্ঞাতা।’’ [সূরা বাকারাঃ ১২৭।]
ইবরাহীম (আঃ) কর্তৃক আল্লাহর ঘরকে পবিত্রকরণ এবং মানুষের মাঝে আজান প্রদান প্রসঙ্গে আল্লাহ (তাআলা) এরশাদ করেন:
‘‘এবং (স্মরণ কর) যখন আমি ইবরাহীমের জন্য করে দিয়েছিলাম সে ঘরের স্থান (তখন এও বলে দিয়েছিলাম যে,) আমার সাথে কোন শরিক করো না এবং আমার ঘর পবিত্র রেখ তাদের জন্য যারা তাওয়াফ করে এবং সালাত কায়েম করে রুকূ‘ করে ও সিজদা করে এবং মানুষের নিকট হাজ্জের ঘোষণা দিন। তারা আপনার নিকট আসবে পদব্রজে ও সর্বপ্রকার ক্ষীণকায় উটের পিঠে আসবে দূর-দরান্তের পথ অতিক্রম করে।’’ [সূরা হাজ্জঃ ২৬-২৭।]
মূর্তি, শির্ক, জাহিলি কার্যকলাপ হতে পবিত্র করার লক্ষ্যে স্বল্প সময়ের জন্য আল্লাহ এ শহরকে তাঁর জন্য হালাল করে দেয়ার পর আল্লাহর ঘর এবং হারাম শরীফের মহান মর্যাদা এবং কেয়ামাত পর্যন্ত তা অক্ষুণ্ণ থাকা প্রসঙ্গে আমাদের প্রিয় রাসূল মুহাম্মাদ (আঃ) অত্যন্ত জোর দিয়েছেন।
এ শহরের সম্মান ও মর্যাদা পূর্বের মতই ফিরে আসে। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন :
আল্লাহ (তাআলা) মক্কা থেকে হস্তীবাহিনীকে বিরত রেখেছিলেন এবং মক্কার উপর তার বিশ্বস্ত রাসূল (ﷺ) এবং মু’মিনদেরকে কর্তৃত্ব দিয়েছিলেন। এ মক্কা নগরী আমার পূর্বে কারো জন্য হালাল ছিল না এবং দিনের এক প্রহর আমার জন্য হালাল করে দেয়া হয়েছিল এবং আমার পর এ শহর কখনো আর কারো জন্য হালাল হবে না। [সহীহ বুখারী-কিতাবুল লুকুতা, সহীহ মুসলিম-কিতাবুল হজ্জ, হাদীস নং- ১৩৫৫।]
অতএব মক্কা কেয়ামাত পর্যন্ত আল্লাহর হারাম হিসাবেই থাকবে। আর এ হারাম হওয়া মসজিদে হারাম এবং আশেপাশের সকল স্থানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। আল্লাহ (তাআলা) এ সকল স্থানের হারাম হওয়ার বিধান মসজিদে হারামের সাথে একীভূত করে দিয়েছেন। আর তা করা হয়েছে মক্কা ও বাইতুল্লাহর সম্মানার্থে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/801/5
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।