মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
লেখকঃ দা‘ওয়াহ ও উসূলুদ্দীন ফ্যাকাল্টি, উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়
১৫
১১. হারাম এলাকায় শিকার করা, সেখানকার গাছ কাটা এবং পথে পড়ে থাকা কোন জিনিস উঠানো নিষিদ্ধ :
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/801/15
ইমাম বুখারি ও সহীহ মুসলিম আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদিসে উল্লেখ করেন যে, আল্লাহ যখন তাঁর রাসূলকে মক্কা বিজয় দান করলেন, তখন তিনি জনতার সম্মুখে বক্তব্য রাখলেন। প্রথমে তিনি আল্লাহর হাম্দ ও সানা বর্ণনা করেন, অতঃপর বললেন :
‘‘আল্লাহ (তাআলা) হস্তীর দল থেকে মক্কাকে রক্ষা করেছেন এবং সেই মক্কার উপর তাঁর রাসূল (ﷺ) ও মু’মিনদের বিজয় দান করেছেন। এই মক্কাকে আমার আগে কখনো হিল (হালাল) করা হয়নি, তবে আজ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে তাকে হিল (লড়াই করার জন্য অনুমোদন প্রদান) করা হল এবং আজকের পর আর কখনো এটাকে হালাল করা হবে না। অতএব এখন থেকে কোন পশুকে তাড়ানো যাবে না, এখানকার কোন কাঁটা তোলা যাবে না। এখানকার পড়ে থাকা কোন জিনিস কুড়ানো যাবে না। তবে কারোর হারানো বস্ত্ত উঠানো যাবে যদি উদ্দেশ্য থাকে তাকে সেটা পৌঁছানোর উপযোগী হয়।’’ (সংশ্লিষ্ট হাদিসটি আগে উল্লেখিত হয়েছে)
উল্লেখিত হাদিসটিতে মক্কার হারাম শরীফ সম্পর্কে কতিপয় বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হয়েছে। সেগুলো হলো : এক : মক্কার কোন শিকারকে তাড়ানো ও হত্যা করা হারাম করা হয়েছে। দুই : মক্কায় কোন বৃক্ষকে কর্তন করা হারাম করা হয়েছে। তিন : পড়ে থাকা কোন জিনিস উঠানো যাবে না, তবে হারানো বিজ্ঞপ্তিকারীর জন্য নিষেধ নেই। এগুলো হচ্ছে মক্কা নগরীর সাথে সংশ্লিষ্ট কতিপয় বিধি-নিষেধ, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) স্পষ্ট করে দিয়েছেন। কিয়ামত পর্যন্ত এ সমস্ত বিধি-বিধান বলবৎ থাকবে। অতএব এখানকার প্রতিটি নাগরিক এবং বিশেষ করে হজ ও ওমরাহ পালনের উদ্দেশে আগত ব্যক্তিদের জন্য এগুলো মেনে চলা অবিশ্যি কর্তব্য। এ পবিত্র নগরীর পবিত্রতা লঙ্ঘন তার সম্মানহানি এবং আল্লাহর বিধান অমান্য করার পরিণাম সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।
এখানে আমরা উল্লেখিত তিনটি বিধান (মাস-আলা) সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করতে চাই।
(ক) মক্কার কোন শিকারকে তাড়ানো বা হত্যা করা নিষিদ্ধ :
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)-এর উল্লেখিত হাদিসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বক্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘‘মক্কার কোন শিকার তাড়ানো যাবে না।’’ বক্তব্যটি কোন প্রাণী বা শিকারকে তাড়ানোর ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি সুস্পষ্ট। সেজন্য ইমাম বুখারি (রহ.) তাঁর সহীহুল বুখারি গ্রন্থে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র অধ্যায় (বাব) রচনা করেছেন এভাবে হারাম শরীফের শিকারকে তাড়ানো যাবে না। তিনি নিজ সনদে ইবনে আববাস (রাঃ) হতে অন্য এক হাদিস বর্ণনা করেছেন।
অর্থাৎ- ‘‘আল্লাহ মক্কা নগরীকে হারাম করেছেন। সুতরাং আমার পূর্বে কারো জন্য এটা হালাল ছিল না এবং আমার পরেও কারো জন্য এটাকে হালাল সাব্যস্ত হবে না। তবে শুধু আজকের দিনে স্বল্প সময়ের জন্য এ শহরকে আমার জন্য হালাল করা হয়েছে। কাঁটা ও লতাপাতা কাটা যাবে না। এখানকার বৃক্ষ কাটা যাবে না। শিকারকে তাড়ানো যাবে না, হারানো বিজ্ঞপ্তি প্রদানকারী ছাড়া পড়ে থাকা জিনিস উঠানো যাবে না। আববাস (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! তবে ঘাস জাতীয় জিনিস যা আমাদের পশুর খাদ্য এবং কবরে ব্যবহৃত হয়ে থাকে! তিনি বললেন, তবে ঘাস জাতীয় জিনিস। (অর্থাৎ এগুলো নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত) [সহীহ বুখারী- হাদীস নং ১৮৩৩।]
শিকারকে তাড়ানোর অর্থ হলো স্বস্থান থেকে তাকে সরিয়ে দেয়া বা হটিয়ে দেয়া। ইমাম নাবা (রহ.) বলেন, শিকারকে তাড়ানো নিষিদ্ধ, অর্থাৎ তাকে নিজের স্থান থেকে হটিয়ে দেয়া বা তাকে সেখানে বিরক্ত করা। যদি সরিয়ে দেয়ার কারণে ঐ শিকার ক্ষতিগ্রস্ত হয় অথবা মারা যায় (বা সে ক্ষতি যদি নাও হয়), তবুও সে গুনাহ্গার বলে গণ্য হবে। ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা মারা গেলে তাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, অন্যথায় তাকে কিছুই দিতে হবে না। একই ব্যাখ্যা বর্ণনা করেছেন প্রসিদ্ধ তাবেঈ ইকরামাহ (রাঃ)। তিনিই ইবনে আববাস (রাঃ) থেকে হাদিসটির বর্ণনাকারী। হাদিস বর্ণনা শেষে তিনি বললেন, ‘‘শিকারকে তাড়ানো যাবে না’’-এর অর্থ কি, তুমি জান? এর অর্থ হল, তাকে ছায়া থেকে সরিয়ে দেয়া অথবা নিজ স্থান থেকে সরিয়ে দেয়া। [ফাতহুল বারী ৪/৪৬ পৃঃ।]
বিবেচ্য বিষয় হলো, সাধারণ শিকারকে তাড়ানো যদি নিষিদ্ধ হয়, তবে তাকে হত্যা করা বা শিকার করা আরো বড় হারাম। ইকরা-মা (রাঃ)-এর ব্যাখ্যাটি উল্লেখ করার পর হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী (রহ.) বলেন যে, মূলত ইকরামাহ (রহ.) এ ব্যাখ্যার দ্বারা শিকারের ক্ষতি সাধনসহ সব ধরনের ক্ষতিকারক পদক্ষেপ গ্রহণ হতে বিরত থাকার ব্যাপারে সাবধান করে দিয়েছেন। তিনি এটা বলেছেন, ছোট ধরনের অন্যায় যদি নিষিদ্ধ থাকে তাহলে বড় ধরনের অন্যায়ের নিষিদ্ধতা আরো বেশি। [ফাতহুল বারী ৪/৬ পৃঃ।]
ইবনুল মুন্যের (রহ.) বলেন, তাঁরা ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে, হারাম শরীফের শিকারকে শিকার করার নিষিদ্ধতা অন্যান্য হালাল-হারামের চেয়ে বড়। [আল-ইজমা ৬৮ পৃঃ।]
তবে কষ্টদায়ক জীবকে হত্যা কর হারাম এলাকায় হোক অথবা বৈধ এলাকা শরিয়তে বৈধ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে স্পষ্ট হাদিস রয়েছে। বুখারি ও মুসলিমে উম্মুল মু’মিনীন হাফসাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন :
অর্থাৎ- ‘‘পাঁচটি প্রাণী ক্ষতিকারক। হিলল (মীকাত ও হারামের মধ্যবর্তী স্থান) অথবা হারামে যেখানেই পাওয়া যাবে সেগুলো হত্যা করা যেতে পারে। (১) সাপ, (২) কাক, (৩) ইঁদুর, (৪) হিংস্র কুকুর ও (৫) চিল।’’ [মুসলিম- হাদীস নং ১১৯৮।]
উল্লেখিত হাদিসসমূহে যে সমস্ত প্রাণীর নাম এসেছে অন্যান্য ক্ষতিকারক প্রাণীও এর অন্তর্ভুক্ত হবে। ইমাম মালিক (রহ.) ‘আল-কাল্বুল আকুর’-এর অর্থ করেছেন,
অর্থাৎ-‘‘যে সকল প্রাণী মানুষকে কামড় দেয়, আক্রমণ করে ও ভীতি প্রদর্শন করে যেমন- বাগদাস, চিতাবাঘ, সিংহ ও শিয়াল- এর সবগুলোই হিংস্র পশু হিসেবে বিবেচিত।’’ [মুয়াত্তা মালিক ২/২ পৃঃ।]
(খ) বৃক্ষ কর্তন, কাটা-ছেঁড়া ইত্যাদি :
এ সমস্ত বিষয় ও মাস আলা সমূহ হারাম নগরীর বৈশিষ্ট্যের অন্তর্ভুক্ত। ইতিপূর্বে উল্লেখিত হাদিসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মক্কা সম্পর্কে বলেছেন, সেখানকার কাটা ছেঁড়া যাবে না ও তার কোন গাছ কাটা যাবে না। তবে ঘাস কাটা যাবে।
উল্লেখিত হাদিসসমূহ দ্বারা বুঝা যায় যে, হারাম এলাকার গাছ-গাছালি ও উদ্ভিদ সেটা কাঁটা হলেও কর্তন করা যাবে না। বিধানটি বিশেষভাবে সে সকল উদ্ভিদের সাথে সম্পৃক্ত যেগুলো মানুষের কোন শ্রম ছাড়াই আল্লাহর কুদরতে উৎপন্ন হয়। তাই কুরতুবী (রহ.) বলেন, কর্তন নিষিদ্ধ ঘোষিত বৃক্ষ বলতে ফকীহগণের মতে এখানে ঐ সমস্ত গাছ-পালার কথা বলা হয়েছে, যেগুলো আল্লাহর কুদরতে উৎপাদিত, যেখানে মানুষের কোন শ্রম নেই। তবে মানুষের শ্রমের দ্বারা উৎপাদিত বৃক্ষ-লতা কাটা সম্পর্কে ওলামা কেরামের মতপার্থক্য রয়েছে। অধিক সংখ্যকদের মতে এগুলো কর্তন করা যাবে। [ফাত্হুল বারী ৪/৫৩ পৃঃ।]
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, হারাম এলাকায় আল্লাহর কুদরতে উৎপাদিত কর্তন নিষিদ্ধ গাছ বা লতাপাতা কাটা হলে, এমতাবস্থায় কর্তনকারীর ব্যাপারে বিধান কি?
উত্তরে বলা যায়;
এক- সকল আলেমের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে গাছ বা কাঁটা-কর্তনকারী গুনাহ্গার হবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কর্তৃক হারাম কৃত বিধান লঙ্ঘনকারী হিসেবে গণ্য হবে।
দুই- নিষিদ্ধ ঘোষিত বৃক্ষ ও লতাপাতা কর্তনকারীর পরিণাম সম্পর্কে আলেমগণ বিভিন্ন মত দিয়েছেন
তাবেঈ আতার (রাঃ) মতে সে ব্যক্তি গুনাহ্গার হবে তাকে ইস্তিগফার-তাওবা করতে হবে। ইমাম মালিক, ইবনুল মুনযির, আবূ মাউর এবং ইবনে হায্ম মতটি গ্রহণ করেন। তিন ইমাম আবূ হানীফা, শাফেয়ি ও আহমাদ ইবনে হাম্বাল (রহ.)-এর মতে এমন অপরাধীকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তবে ক্ষতিপূরণের পরিমাণের ব্যাপারে তাদের মাঝে মতপার্থক্য রয়েছে। ইমাম আবূ হানিফার দৃষ্টিতে কর্তনকৃত গাছের বাস্তব মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। যদি সেটার মূল্য একটি কুরবানির পশুর সমপরিমাণ হয় তাহলে তাকে একটি পশু দান করতে হবে। যদি মূল্য তার চেয়ে কম হয় তাহলে সে মূল্য দিয়ে ক্রয় করতে হবে। সেখান থেকে এক একজন মিসকিনকে আধা সা‘ খাদ্য প্রদান করতে হবে।
তবে ইমাম শাফেয়ি ও আহমাদ (রহ.)-এর মতে কর্তন করা গাছ যদি বড় ধরনের হয় তাহলে একটি গাভি, যদি ছোট বৃক্ষ হয়, তাহলে একটি ছাগল এবং ছোট লতাপাতা বা ঘাস জাতীয় জিনিস হলে তার মূল্য দিতে হবে।
তবে নিম্নের দু’টি মাস আলার ক্ষেত্রে এ বিধান প্রযোজ্য হবে না।
১- ইবনে কুদামাহ (রহ.) বলেন, ভাঙ্গা ডাল অথবা নিজে নিজে পড়ে যাওয়া পাতা ব্যবহার করায় কোন বাধা নেই। ইমাম আহমাদ (রহ.) এ রায় দিয়েছেন। এ বিষয়ে কারো দ্বিমত আছে বলে আমাদের জানা নেই।
২- মানুষের কর্তন ছাড়া নীচে পড়ে থাকা পাতা-ঘাস ইত্যাদি রাখাল পশুকে খাওয়াতে পারে। ইমাম মালিক এবং শাফেয়ি (রহ.) এই মত ব্যক্ত করেছেন। তবে ইমাম আবূ হানিফা এটা ব্যবহার করা বৈধ হবে না বলে মত দিয়েছেন। [আল্-মুগনী ৩/৩৬৫-৩৬৬ পৃঃ।]
(গ) প্রচারের উদ্দেশ্য ব্যতিরেকে পড়ে থাকা জিনিস উঠানো যাবে না:
বিধানটি মক্কার আরেকটি বৈশিষ্ট্য। আল্লাহর নবী মুহাম্মদ (ﷺ) শহরের সর্বত্র পড়ে থাকা জিনিস সম্পর্কে স্পষ্ট বিধান জানিয়ে দিয়েছেন। সেটা হল প্রাপক যেন এক বছর পর্যন্ত বিষয়টি প্রচার করতে থাকে। অতঃপর কোন মালিকের সন্ধান না পেলে প্রাপক নিজে সেটা ব্যবহার করতে পারবে। যায়েদ ইবনে খালেদ (রাঃ)-এর হাদিস হতে এর প্রমাণ পাওয়া যায়। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি প্রাপ্য বস্ত্তর হুকুম জানার উদ্দেশে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট হাজির হয়। তিনি লোকটিকে বললেন, প্রাপ্য জিনিসের ধরন ও প্রকৃতি জানিয়ে দাও এবং এক বছর পর্যন্ত প্রচার করতে থাক। এর মধ্যে আসল মালিক পাওয়া গেলে ভাল কথা, (তার জিনিস তাকে দিয়ে দেবে) আর যদি না পাওয়া যায় তবে সেটা তুমি ব্যবহার করতে পার। লোকটি প্রশ্ন করল, হারিয়ে যাওয়া ছাগলের কি হবে? তিনি বললেন, সেটা তোমার অথবা তোমার ভাইয়ের, অথবা বাঘের হবে। লোকটি বলল, হারিয়ে যাওয়া উটের কি হবে? তিনি বললেন, এ বিষয়ে তোমার চিন্তার কোন কারণ নেই, প্রাণীটির সাথে খাদ্য রয়েছে। চলার গতি রয়েছে। সে তার মালিককে পাওয়া পর্যন্ত পানি পান করে ঘাস খেয়ে চরে বেড়াবে। [বুখারী- হাদীস নং ২৪২৭।]
এটা হচ্ছে যে কোন স্থানে প্রাপ্য বস্ত্ত সম্পর্কিত হুকুম বা বিধান। তবে মক্কা নগরীতে প্রাপ্য বস্ত্তর হুকুম কি, সে ব্যাপারে কোন কোন আলেমের মত হল, অন্যত্র প্রাপ্য জিনিসের যে হুকুম, এখানেও একই হুকুম। তবে প্রাপ্য জিনিসের প্রচারের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এই মতাবলম্বীদের মধ্যে রয়েছেন ইমাম মালিক ও আবূ হানিফা। এটি ইমাম আহমাদ-এর একটি মত। তবে কিছু আলেমের মত হল, মালিকানা লাভের উদ্দেশে নয়, শুধুমাত্র প্রচারের উদ্দেশে নেয়া যেতে পারে। এ মত ব্যক্ত করেছেন ইমাম শাফেয়ি এবং আবদুর রহমান ইবনে মাহদী। ইমাম আহমাদ হতে অনুরূপ একটি মত বর্ণিত। [বিদায়াতুল মুজতাহিদ ৪/১১০ পৃঃ, আল-মুগ্নী ৮/৩০৫ পৃঃ।]
এর মধ্যে দ্বিতীয় মতটি সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য। কারণ হল, মক্কা তথা হারাম এলাকায় পড়ে থাকা কোন কিছু উঠানো জায়েয নেই। তবে এক দু’বছর পর মালিকানা প্রাপ্ত হবে এমনটি আশা না করে শুধুমাত্র প্রচারের উদ্দেশে কুড়ানো যেতে পারে। কারণ, হাদিস বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বক্তব্য, ‘বিজ্ঞাপক ছাড়া অন্য কেউ মক্কার পথে-ঘাটে পড়ে থাকা কোন কিছু তুলতে পারবে না’। হারাম শরীফের বিশেষ বিশেষ হুকুম বর্ণনার ধারাবাহিকতায় বলা হয়েছে। যেমন শিকার করা ও বৃক্ষ-লতা কর্তন হারাম। যদি হারামের সীমানায় এবং হারামের বাইরে পড়ে থাকা বস্ত্তর হুকুম সমান হয় তাহলে তো বিশেষভাবে এটি বর্ণনার কোন অর্থ থাকে না।
শেষোক্ত মত মতটি গ্রহণ করেছেন ইমাম নববী এবং হাফেয ইবনে হাজার (রহ.)। তিনি বলেন, এ হাদিসের অর্থ হল, পড়ে থাকা জিনিস উঠানো যাবে যদি কেবল প্রচারের উদ্দেশে হয়। আর যদি উদ্দেশ্য হয়, কিছুদিন প্রচার করব, এরপর মালিক হব, তাহলে কুড়ানো জায়েয নয়। ইবনে হাজার (রহ.) আরো বলেন। ইবনে আববাস ও আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদিস প্রমাণ করছে যে, মক্কা নগরীতে পড়ে থাকা কোন জিনিস মালিকানা লাভের জন্য কুড়ানো যাবে না। শুধুমাত্র প্রচারের উদ্দেশে তোলা যাবে। [ফাত্হুল বারী ৫/১০৬ পৃঃ।]
শায়খ আবদুল আযীয ইবনে বায (রহ.)-কে একজন প্রশ্ন করেন যে, হারামে পড়ে থাকা বস্ত্ত সম্পর্কে শরিয়তের বিধান কি? এ ধরনের বস্ত্ত ফকিরকে দান করা কি জায়েয? অথবা সেটা কি মসজিদ নির্মাণ কাজে খরচ করা বৈধ হবে?
উত্তরে তিনি বলেন, হারাম শরীফে কুড়িয়ে পাওয়া কোন বস্ত্ত মাসজিদের কাজে দান করবে না, কোন ফকিরকেও দেবে না। বরং সর্বদা জনসমাবেশে এ বলে প্রচার করতে থাকবে, কে দিনার হারিয়েছে? কে দিরহাম হারিয়েছে? কে স্বর্ণ হারিয়েছে? ....... কেননা নবী (ﷺ) বলেছেন, পড়ে থাকা জিনিস প্রচারক ব্যতীত আর কেউ কুড়াতে পারবে না। যিনি বিষয়টি সম্পর্কে ঘোষণা দেবেন তিনিই প্রচারক। একই হুকুম মদিনা শরীফের ক্ষেত্রেও। পড়ে থাকা জিনিসটি সে স্থানেই পড়ে থাকতে দেয়া হয় তাতে কোন অসুবিধা নেই। হ্যাঁ সেটা যদি দেশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কাছে শপে দেয়া হয় তাহলে দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/801/15
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।