hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সালাতে বিনয়ী হওয়ার তেত্রিশ উপায়

লেখকঃ মুহাম্মদ সালেহ আল মুনাজ্জেদ

১৮
মাসআলা:
এখানে একটি প্রশ্ন কতক মুসল্লির অন্তরে ঘুরপাক খাচ্ছে, আর তা হল, সালাতে চক্ষুদ্বয় বন্ধ রাখার বিধান কি, বিশেষ করে, যখন কোনো মানুষ চোখ বন্ধ করে রাখে, তখন সে সালাতে অধিক খুশু ও মনোযোগ অনুভব করে তখন চোখ বন্ধ করে রাখা যাবে কিনা?

উত্তর: একটু আগেই অতিবাহিত হয়েছে, এটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত নিয়মপদ্ধতির পরিপন্থী। কারণ, চোখ বন্ধ করা দ্বারা সেজদা স্থান ও আঙ্গুলের দিক তাকানোর সুন্নাত ছুটে যায়। তবে এখানে বিষয়টিতে বিশ্লেষণ আছে। আমরা ময়দানকে অশ্বারোহীর জন্য ছেড়ে দিলাম। আবু আব্দুল্লাহ ইবনুল কাইউম রহ. বিষয়টি বর্ণনা করেন এবং স্পষ্ট করেন, তিনি বলেন, “সালাতে চক্ষুদ্বয় বন্ধ করা, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাত বা আদর্শ নয়। কারণ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাশাহ্‌হুদ পড়ার সময় দো‘আতে চোখ দ্বারা আঙ্গুলের দিক দৃষ্টি দিতেন। তার দৃষ্টি তার ইশারার বাইরে যেত না। এছাড়াও সালাতুল কুছুফে (সূর্যগ্রহণের সালাতে) যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জান্নাত দেখেন, তখন তিনি আঙ্গুরের থোকা নেওয়ার জন্য হাত বাড়ান। অনুরূপভাবে জাহান্নাম দেখা, জাহান্নামে বিড়ালকে কষ্টদানকারীকে দেখা এবং বাঁকা লাঠিধারীকে দেখা (যে লাঠির মাধ্যমে মানুষের সম্পদ নিয়ে নিত)। অনুরূপভাবে, রাসূল কর্তৃক তাঁর সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী জন্তুকে অতিক্রম করা থেকে বাধা প্রদান, অনুরূপভাবে ছেলে শিশু মেয়ে শিশুকে সামনে দিয়ে গমন করতে বাধা প্রদান। দু’ কন্যা সন্তানের মাঝে বাধা দেওয়া। অনুরূপভাবে, সালাতের মধ্যে থাকা অবস্থায় এক লোক তাকে সালাম দিলে, ইশারা করে, তার সালামের উত্তর দেয়া। কারণ, তিনি তো শুধু যাকে দেখেন তার প্রতিই ইশারা করেন। অনুরূপভাবে, সালাতের মধ্যে শয়তান সামনে এলে, তিনি তাকে ধরে গলা টিপে দেন। আর এটি তো ছিল তখনই, যখন তিনি তাকে চোখে দেখেন। এ সব উল্লেখিত হাদিস এবং এ ছাড়াও আরও অন্যান্য হাদিসসমূহ প্রমাণ করে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে চক্ষুদ্বয় বন্ধ করে রাখতেন না।

তবে সালাতে চক্ষুদ্বয় বন্ধ রাখা মাকরূহ হওয়ার বিষয়ে ফিকাহ-বিদদের মধ্যে মতপার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। ইমাম আহমদ ও তার সঙ্গীরা বলেন, মাকরূহ। তারা বলেন, এটি ইয়াহূদীদের কর্ম। অপর এক জামাত আলেম এটিকে মুবাহ বলেন, মাকরুহ বলেন না। তবে বিশুদ্ধ কথা হল, যদি চোখ খোলা রাখা দ্বারা সালাতে খুশুর বিঘ্ন না ঘটে তাহলে, চোখ খোলা রাখা উত্তম। আর যদি কিবলার দিক সাজ-সজ্জা, চাক-চিক্ক ও সৌন্দর্য ইত্যাদি থাকে, যা তার অন্তরে প্রভাব সৃষ্টি করে, আর তা থাকার কারণে, সালাতে খুশু অবলম্বন করার বিঘ্ন ঘটে, তাহলে চোখ বন্ধ রাখা কখনোই মাকরূহ হবে না। আর এ অবস্থার আলোকে চোখ বন্ধ রাখাকে মাকরুহ না বলে, মোস্তাহাব বলা, শরীয়তের মূলনীতি ও উদ্দেশ্যসমূহের অধিক নিকটবর্তী। আল্লাহই ভালো জানেন। [যাদুল মা‘আদ: ১/২৯৩।]

এতে এ কথা স্পষ্ট হয়, সুন্নত হল, চোখ বন্ধ না রাখা। তবে যদি প্রয়োজন পড়ে অর্থাৎ খুশুতে বিঘ্ন সৃষ্টি করে এমন কোনো কাজকে প্রতিহত করতে চোখ বন্ধ রাখে, তবে তাতে কোন অসুবিধা নেই।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন