মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
মাসআলা: কোন ব্যক্তির সালাতে বেশি ওয়াস-ওয়াসা পরিলক্ষিত হলে, তার সালাত সহীহ হবে ? নাকি তাকে সালাত পুনরায় আদায় করতে হবে?
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/96/43
আল্লামা ইবনুল কাইয়্যেম রহ. বলেন:
যদি বলা হয়, যার সালাতে খুশু উপস্থিত না থাকে তার সালাত সম্পর্কে তোমাদের মতামত কি, তার সালাতকে বিশুদ্ধ ধরা হবে নাকি ধরা হবে না।
উত্তরে বলা হবে, সাওয়াবের ক্ষেত্রে ধরা হবে না। ততটুকু ধরা হবে, যতটুকু সে বুঝতে পারে এবং আল্লাহর স্মরণ করে।
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ليس لك من صلاتك إلا ما عقلت منها তোমার সালাত হতে ততটুকুরই তুমি হকদার, যতটুকু সালাত তুমি মনোযোগ দিয়ে আদায় করছ।
মুসনাদে একটি মারফু হাদিস বর্ণিত, তাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إن العبد ليصلي الصلاة ، و لم يكتب له إلا نصفها ، أو ثلثها أو ربعها حتى بلغ عشرها .»
“নিশ্চয় বান্দা সালাত আদায় করে, তার সালাতের পুরো সাওয়াব পায় না বরং অর্ধেক সাওয়াব পায় অথবা এক তৃতীয়াংশ পায় অথবা এক চতুর্থাংশ পায়, এভাবে রাসূল বলতে বলতে এক দশমাংশ পর্যন্ত বললেন।”
আল্লাহ তা‘আলা মুসল্লিদের সফলতা পাওয়াকে তাদের সালাতের মধ্যে খুশু থাকার সাথে সম্পৃক্ত করেন। এতে প্রমাণিত হয়, যে ব্যক্তি সালাতে খুশু অবলম্বন করে না, সে সফল ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত হবে না। যদি সালাতে খুশু না থাকাতে পরিপূর্ণ সাওয়াব পাওয়া যেত, তাহলে মুসল্লি সফল ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত হতেন। আর দুনিয়াবি বিধান অনুযায়ী যদি সালাতের অধিকাংশ সময়ে খুশু থাকে এবং অধিকাংশ সালাতকে বুঝতে পারে, সকলের ঐক্য মতের ভিত্তিতে তখন সালাত শুদ্ধ হয়ে যাবে এবং এ ধরনের সালাত পুনরায় আদায় করতে হবে না। তবে সুন্নাত হল, সালাতের পরে হাদিসে বর্ণিত সুন্নাত ও যিকিরগুলো পড়া, যাতে তাদের সালাতের দুর্বলতা পূর্ণতা পায় ও ক্ষতিপূরণ হয়ে যায়।
আর যদি সালাতের অধিকাংশ সময় খুশু না থাকে এবং মনোযোগ না থাকে, তাহলে তার সালাত পুনরায় আদায় করা ওয়াজিব হওয়া বিষয়ে ফকীহগণের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। ইমাম আহমদের অনুসারী আল্লামা ইবনে হামেদ রহ. এর মতে এ ধরনের সালাতকে পুনরায় আদায় করা ওয়াজিব। তাছাড়া সালাতের খুশুর বিধান সম্পর্কেও ফকীহগণের মধ্যে দুই রকম কথা পাওয়া যায়। আর দুটি মতই আহমদ ও তার অনুসারীদের মত।
দুটি মতামত অনুযায়ী, যদি কারো সালাতে ওয়াসওয়াসা প্রাধান্য পায়, তাহলে তার সালাত পুনরায় পড়তে হবে কিনা এ সম্পর্কে ইমাম আহমদ রহ. এর অনুসারী আল্লামা ইবনে হামেদ রহ. সালাত পুনরায় আদায় করাকে ওয়াজিব বলেন। তবে অধিকাংশ ফকীহগণের মতে পুনরায় সালাত আদায় করা ওয়াজিব নয়।
তারা দলীল দেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে ভুলকারীকে দুটি সাহু সেজদা করা নির্দেশ দেন, কিন্তু সালাত পুনরায় পড়ার নির্দেশ দেন নি। রাসূল আরও বলেছিলেন,
«إن الشيطان يأتي أحدكم في صلاته فيقول : أذكر كذا ، أذكر كذا ، لما لم يكن يذكر ، حتى يُضل الرجل أن يدري كم صلى»
“শয়তান তোমাদের সালাতে উপস্থিত হয়ে তাকে বলে, তুমি এ কথা স্মরণ কর, তুমি এ কথা স্মরণ কর, যে বিষয়গুলো সে ভুলে গিয়েছিল সেগুলো সে স্মরণ করিয়ে দেয়। ফলে লোকটি কত রাকাত সালাত পড়ল তা ভুলে যায়।”
তবে এ বিষয়ে কোনো মতবিরোধ নেই যে, এ ধরনের সালাতে কোন সাওয়াব নেই; শুধু ততটুকু সাওয়াব পাবে যতটুকুর মধ্যে মুসল্লির অন্তর উপস্থিত থাকে এবং আল্লাহর আনুগত্য করে। যেমন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إن العبد لينصرف من الصلاة ولم يكتب له إلا نصفها ، ثلثها ، ربعها ، حتى بلغ عشرها»
“নিশ্চয় বান্দা সালাত আদায় করে, তার সালাতের পুরো সাওয়াব পায় না বরং অর্ধেক সাওয়াব পায় অথবা এক তৃতীয়াংশ পায় অথবা এক চতুর্থাংশ পায়, এভাবে রাসূল বলতে বলতে এক দশমাংশ পর্যন্ত বললেন।”
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ বলেন,
«ليس لك من صلاتك إلا ما عقلت منها»
“তুমি তোমার সালাত থেকে ততটুকুই পাবে, শুধু যতটুকু সালাতে তুমি মনোযোগী ছিলে।” যদিও এ ধরনের সালাতকে এ অর্থে শুদ্ধ বলা যায়, যে শরিয়ত এ ধরনের সালাত পুনরায় পড়তে বলে নি, কিন্তু সালাতের উদ্দেশ্যের প্রতি লক্ষ্য করলে এ সালাতকে শুদ্ধ বলা যায় না। [মাদারেজুস সালেকীন ১/১১২।]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বিশুদ্ধ হাদিস বর্ণিত, তিনি বলেন,
«إذا أذن المؤذن بالصلاة أدبر الشيطان وله ضراط ، حتى لا يسمع التأذين، فإذا قضى التأذين أقبل ، فإذا ثوب بالصلاة أدبر ، فإذا قضى التثويب أقبل ، حتى يخطر بين المرء ونفسه ، يقول : اذكر كذا اذكر كذا ، ما لم يكن يذكر ، حتى يظل لا يدري كم صلى ، فإذا وجد أحدكم ذلك فليسجد سجدتين وهو جالس»
“যখন মুয়াজ্জিন সালাতের আযান দেয়, তখন শয়তান বায়ু ছাড়তে ছাড়তে পালাতে আরম্ভ করে। যতক্ষণ পর্যন্ত আযানের আওয়াজ শোনা যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত সে দৌড়াতে থাকে। আর যখন আযান দেয়া শেষ হয়, তখন শয়তান ফিরে আসে। আবার যখন সালাতের একামত দেয়া হয়, তখন সে আবার পলায়ন করে। যখন একামত দেয়া শেষ হয়, তখন আবার ফিরে আসে এবং মানুষের অন্তরে বিভিন্ন ধরনের কু-মন্ত্রণা দেয়। তখন শয়তান মুসল্লিকে বল, এটি স্মরণ কর, এটি স্মরণ কর, তার ভুলে যাওয়া বিষয়গুলো শয়তান তাকে তার সালাতের মধ্যে স্মরণ করিয়ে দেয়। ফলে সে বুঝতে পারে না যে, কত রাকাত সালাত সে আদায় করল। তোমাদের কারো সালাতে এ ধরনের এ সমস্যা দেখা দিলে, তোমরা বসা অবস্থায় দুটি সেজদা সাহু করে নেবে”। ফকীহগণ বলেন, এটি এমন একটি সালাত, যাতে শয়তান সালাত আদায়কারীকে সালাত হতে গাফেল বানিয়ে দেয়। কিন্তু তাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেজদা সাহু করার নির্দেশ দেন, সালাত পুনরায় আদায় করার নির্দেশ দেন নি। যদি সালাত বাতিল হত, যেমনটি তোমরা মনে করছ, তাহলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতকে পুনরায় আদায় করার নির্দেশ দিতেন।
তারা আরও বলেন: এটি হল, সেজদা সাহু দেয়ার আসল রহস্য বা উদ্দেশ্য। অর্থাৎ শয়তান বান্দাকে সালাতে ওয়াস-ওয়াসা দেয়া ও একজন বান্দা সালাতে মনোযোগী হওয়া বিষয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার কারণে তাকে সেজদা সাহুর মাধ্যমে অপমান-অপদস্ত করা। এ কারণেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেজদা সাহুকে ‘মুরগামাতাইন’ বা নাকে খত প্রদানকারী বলে নামকরণ করেন।
আর যদি সালাত পুনরায় আদায় করা দ্বারা তোমাদের উদ্দেশ্য এ সব ফলাফল ও উপকার লাভ করা, তাহলে এটা জানা আবশ্যক যে এ সবই বান্দার উপর সোপর্দ। সে যদি চায় তা লাভ করতে পারবে, আর যদি চায় ছেড়ে দিতে পারবে।
আর যদি ওয়াজিব হওয়া দ্বারা তোমাদের উদ্দেশ্য হয়, আমরা তাকে তা করতে বাধ্য করব এবং সালাতে খুশু ছেড়ে দেওয়ার কারণে তাকে আমরা শাস্তি দেব এবং তার উপর সালাত ত্যাগকারীর বিধান চালু করব, তাহলে আমরা তোমাদের সাথে নেই। এ ধরনে কাজকে আমরা প্রশ্রয় দেই না। এটিই হল, সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য মত। আল্লাহই ভালো জানেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/96/43
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।