hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সালাতে বিনয়ী হওয়ার তেত্রিশ উপায়

লেখকঃ মুহাম্মদ সালেহ আল মুনাজ্জেদ

৪৪
পরিশিষ্ট
সালাতে খুশুর বিষয় কোন ছোট-খাটো বিষয় নয়। এটি একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং খুশুর বিষয়টি খুবই ভয়ানক ও বিপদজনক। এটি তার ভাগ্যে জুটে যাকে আল্লাহ তা‘আলা তাওফীক দেয়। আর সালাতে খুশু অনুপস্থিত থাকা, বড় বিপদ ও মারাত্মক খারাপ কাজ। এ কারণে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দো‘আতে বলতেন,

«اللهم إني أعوذ بك من قلب لا يخشع ..»

“হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট এমন অন্তর থেকে আশ্রয় কামনা করি, যাতে খুশু নেই।” [তিরমিযি, হাদিস ৫/৪৮৫। সহীহ সুনানে তিরমিযি: হাদিস নং ২৭৬৯।]

সালাতে খুশু অবলম্বনকারীদের বিভিন্ন স্তর রয়েছে। আর খুশু হল, মানুষের আত্মার কাজ। সালাতে খুশু কখনো বাড়ে আবার কখনো কমে। অনেক মানুষ আছে যাদের খুশু আসমান পর্যন্ত পৌঁছে, আবার কতক লোক আছে যারা তাদের সালাত হতে বের হয় তারা কিছুই বলতে পারে না। আর সালাতের মধ্যে মানুষ পাঁচটি শ্রেণীতে বিভক্ত:

এক- ঐ ব্যক্তি, যে তার স্বীয় আত্মার উপর অধিক অত্যাচারী, যে সালাত আদায় করার জন্য ভালোভাবে ওজু করে নি, সময়মত সালাত আদায় করে নি এবং সালাতের ফরয-ওয়াজিবগুলো ঠিক মত আদায় করে নি।

দুই- ঐ ব্যক্তি, যে সালাত সময়মত আদায় করেছে, সালাতের ফরয-ওয়াজিবগুলো ঠিক মত আদায় করেছে এবং সুন্দরভাবে ওজুও করেছে, কিন্তু সে তার অন্তরের চেষ্টাকে শয়তানের কু-মন্ত্রণায় পড়ে নষ্ট করে ফেলছে। ফলে সে ওয়াস-ওয়াসা ও চিন্তা-ফিকিরের সাথে সব কিছু হারিয়ে ফেলেছে।

তিন- ঐ ব্যক্তি, যে সালাতের রুকন ও ফরয-ওয়াজিব সমূহের হেফাজত করেছে এবং শয়তানে কু-মন্ত্রণা ও দুশ্চিন্তাকে প্রতিহত করতে সংগ্রাম করছে। সে সর্বদা সালাতের মধ্যে তার দুশমন শয়তানের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত, যাতে শয়তান তার সালাতের কোন অংশ ছিনিয়ে নিতে না পারে। এ লোকটি সালাত ও জিহাদ উভয় কাজে নিয়োজিত।

চার- ঐ ব্যক্তি, সে যখন সালাতে দাড়ায়, তখন সে সালাতের হক আদায় করে, আরকান-আহকাম ও ফরয-ওয়াজিবসমূহ আদায় করে এবং তার অন্তর সর্বদা সালাতের হক আদায় ও ফরয ওয়াজিবসমূহ আদায়ে ব্যস্ত থাকে, যাতে কোনো কিছু ছুটে না যায় এবং নষ্ট না হয়, বরং তার চিন্তা চেতনা তার সাধ্য অনুযায়ী সবসময় সালাত কায়েম করা, সালাতকে পরিপূর্ণ করা এবং সুন্দর করাতে ব্যয় হয়। মোটকথা, আল্লাহর ইবাদত করা ও সালাতের গুরুত্ব তাকে সালাতের মধ্যে ডুবিয়ে দিয়েছে।

পাঁচ- ঐ ব্যক্তি, যে যখন সালাতে দাড়ায়, তখন সে অনুরূপই (পূর্বে বর্ণিত রূপেই) দাঁড়ায়। কিন্তু এ ছাড়াও তার অন্তরের অবস্থা ও আল্লাহ রাব্বুল আল্লামীনের সামনে দণ্ডায়মান হওয়ার অবস্থা এমন হয়, যেন সে তার অন্তর দিয়ে আল্লাহকে দেখছে এবং সে আল্লাহর প্রত্যক্ষ দৃষ্টিতে আছে। আল্লাহর মহব্বত ও তার মহত্বে লোকটির অন্তর যেন একেবারেই পরিপূর্ণ। তার মনে উদ্রেক হয়, আল্লাহ যেন তাকে দেখছেন, আল্লাহ তাকে প্রত্যক্ষ করছেন। যাবতীয় ওয়াস-ওয়াসা ও বিভিন্ন ধরনের আশঙ্কা সবই ধুলায় মিশে গেছে। এখন তার মনের মাঝে কেবল আল্লাহর মহব্বত ও বড়ত্ব ছাড়া কোনো কিছুই স্থান পাচ্ছে না। তার ও তার রবের মাঝে আর কোনো পর্দা বা দূরত্ব রইল না, সব কিছু দূর হয়ে গেছে। এ লোকের মধ্যে ও সাধারণ সালাত আদায়কারীর মধ্যে আসমান ও যমিনের মধ্যে যে ব্যবধান রয়েছে তার চেয়েও অধিক ব্যবধান রয়েছে। এ লোক তার স্বীয় সালাতে তার প্রভুর সাথে ব্যস্ত, আল্লাহর দর্শনে তার চক্ষুদ্বয় সিক্ত।

প্রথম শ্রেণীর সালাত আদায়কারী, শাস্তি পাবে। দ্বিতীয় শ্রেণীর সালাত আদায়কারী, জিজ্ঞেসিত হবে। আর তৃতীয় শ্রেণীর সালাত আদায়কারীর গুনাহগুলো ক্ষমা করে দেয়া হবে। চতুর্থ শ্রেণীর সালাত আদায়কারীকে সাওয়াব দেয়া হবে, আর পঞ্চম শ্রেণীর সালাত আদায়কারী আল্লাহর কাছের লোক। কারণ, তার জন্য সালাতের চক্ষুর সিক্ততার একটি অংশ নির্ধারিত করা হয়েছে। দুনিয়াতে সালাতের কারণে যার চক্ষুদ্বয় সিক্ত হবে, আখেরাতে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে, সে ধন্য হবে। দুনিয়াতেও সেটার (আল্লাহর নৈকট্যের) মাধ্যমে তার চক্ষুদ্বয় সিক্ত হবে। আর আল্লাহর সাথে যার চক্ষু শীতল হবে, তার সব চক্ষু প্রশান্ত হবে। আর আল্লাহর সাথে যার চোখ সিক্ত হতে পারল না, তার জীবন দুনিয়াতে বিষণ্ণ হয়ে পড়বে এবং তার না পাওয়ার যন্ত্রণায় সে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে পড়বে।” [আল-ওয়াবিলুস সাইয়্যেব, পৃ. ৪০।]

অবশেষে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকট আমাদের বিনীত প্রার্থনা এই যে, তিনি যেন আমাদের সালাতে খুশু অবলম্বন কারীদের অন্তর্ভুক্ত করেন। আর যে ব্যক্তি এ পুস্তিকা তৈরিতে অংশগ্রহণ করেছে, আল্লাহ যেন তাকে উত্তম বিনিময় দেন এবং এ পুস্তিকাটি যারা পড়েন, তাদের উপকার পৌঁছান। আমীন, আলহামদু লিল্লাহি রাব্বুল আলামীন। সকল হামদ তথা প্রশংসা সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহর জন্যই।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন