hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সালাতে বিনয়ী হওয়ার তেত্রিশ উপায়

লেখকঃ মুহাম্মদ সালেহ আল মুনাজ্জেদ

২০
১২- সালাতে কুরআনের সূরা, আয়াত, যিকির ও দো‘আ ইত্যাদিতে ভিন্নতা আনা:
একজন মুসল্লিকে যখন সালাতে বিভিন্ন বিষয়, বিভিন্ন ধরনের যিকির ও দো‘আ পাঠ করবে, তখন এটি তার মধ্যে নতুন নতুন অনুভূতির যোগান দেবে এবং তার মধ্যে নতুনত্ব আনয়নে সহায়ক হবে। তবে যারা সীমিত কয়েকটি সূরা বিশেষ করে শুধু ছোট সূরাগুলো মুখস্থ করে বা দু একটি দো‘আ মুখস্থ করে, এটি তাদের দ্বারা সম্ভব নয়। মোটকথা, (সূরা, আয়াত, যিকির, দো‘আ ইত্যাদিতে) ভিন্নতা অবলম্বন করা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নত এবং সালাতে খুশুর পরিপূরক।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় সালাতে যা তিলাওয়াত করতেন এবং যিকির করতেন সেগুলো নিয়ে গবেষণা করলে, আমরা এ ভিন্নতা দেখতে পাব। যেমন,

সালাত শুরু করার পর যে দো‘আটি পাঠ করা হয়, সে দো‘আ বিষয়ে আমরা একাধিক বর্ণনা দেখতে পাই। যেমন, একটি বর্ণনায় এ দো‘আটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে-

«اللهم باعد بيني وبين خطاياي كما باعدت بين المشرق والمغرب ، اللهم نقني من خطاياي كما يُنقّى الثوب الأبيض من الدّنس ، اللهم اغسلني من خطاياي بالماء والثلج والبرَد »

“হে আল্লাহ! আপনি আমার ও আমার গুনাহসমূহের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি করে দিন, যেমনটি করেছেন আসমান ও যমিনের মাঝে। হে আল্লাহ আপনি আমাকে আমার গুনাহ থেকে এমনভাবে পরিষ্কার করে দিন, যেমনিভাবে সাদা কাপড়কে ময়লা থেকে পরিষ্কার করা হয়। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আমার গুনাহসমূহ থেকে পানি, শিশির ও বরফ দ্বারা ধুয়ে দিন।”

আবার একটি বর্ণনায় এ দো‘আটি পড়ার কথা বলা হয়েছে:

« وجهت وجهي للذي فطر السموات والأرض حنيفا وما أنا من المشركين ، إن صلاتي ونسكي ومحياي ومماتي لله رب العالمين ، لا شريك له وبذلك أمِرتُ وأنا أول المسلمين »

“আমি আমার চেহারাকে একনিষ্ঠভাবে সে সত্তার জন্য নিবিষ্ট করছি, যিনি আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন, আর আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই। নিশ্চয় আমার সালাত, আমার নুসুক (ইবাদাত ও কুরবানী) আমার জীবন ও আমার মরণ সবই সৃষ্টিকুলের রব্ব আল্লাহর জন্যই, তাঁর কোনো শরীক নেই এবং আমি এরই প্রতি আদিষ্ট হয়েছি, আর আমিই প্রথম মুসলিম, (আত্মসমর্পনকারী)।”

আবার এ দো‘আটিও হাদিস দ্বারা প্রমাণিত:

« سبحانك اللهم وبحمدك وتبارك اسمك وتعالى جَدُّك ولا إله غيرك »

অর্থ, হে আল্লাহ! আমি আপনার প্রশংসাসহ পবিত্রতা-মহিমা বর্ণনা করছি। আপনার নাম অতি বরকতপূর্ণ, আপনার শান সমুচ্চ এবং আপনি ব্যতীত কোনো হক্ব ইলাহ নেই”।

ইত্যাদি দো‘আ যিকিরগুলো সম্পর্কে বিধান হল, একজন মুসল্লি এক এক সময় এক একটি দো‘আ পড়বে।

আর ফজরের সালাতের সূরা পড়া সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভিন্ন ভিন্ন অনেক বরকতময় কর্ম আমরা পেয়ে থাকি। যেমন, তিনি কখনো ‘তিওয়ালে মুফাসসাল’ তথা ওয়াকি‘আ, তূর, ক্বাফ ইত্যাদি পড়তেন। আবার কখনো ‘কিসারুল মুফাসসাল তথা, আস-সামছ, কুওয়িরাত, যিলযাল, ও ফালাক- নাস পড়তেন। আবার কখনো কখনো, সূরা রূম, ইয়াছিন ও সাফফাতও পড়েছেন বলে বর্ণিত হয়েছে। আর জুমার দিন ফজরের সালাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূরা সেজদা ও ইনসান পড়তেন।

যোহরের সালাতে দুই রাকাতে ত্রিশ আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করতেন। এছাড়াও তিনি যোহরের সালাতে সূরা তারেক, বুরুজ ও লাইল পড়তেন।

আছরের সালাতে দুই রাকাতে পনের আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করতেন। এছাড়াও তিনি আছরের সালাতে যোহরের সালাতে বর্ণিত সূরাগুলোও (অর্থাৎ সূরা তারেক, বরুজ, লাইল) পড়তেন।

মাগরিবের সালাতে তিনি কিসারুল মুফাসসাল থেকে পড়তেন, যেমন, সূরা আত-তীন তিলাওয়াত করতেন। এছাড়াও তিনি মাগরিবের সালাতে সূরা তূর, মুরসালাত ইত্যাদি পড়তেন।

এশারের সালাতে ‘ওয়াসাতুল মুফাসসাল’ তথা সূরা- আশ-শামস, ইনশিক্কাক ইত্যাদি সূরা তিলাওয়াত করতেন। আর মু‘আয রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’কে সূরা আ‘লা, কলম ও লাইল পড়ার নির্দেশ দেন।

তাহাজ্জুদের সালাতে তিনি ‘তিওয়ালাস সূওয়ার’ তথা লম্বা লম্বা সূরাগুলো তিলাওয়াত করতেন। তাহাজ্জুদের সালাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তিলাওয়াতের সুন্নত সম্পর্কে বর্ণিত যে, তিনি দুইশ ও দেড়শ আয়াত তিলাওয়াত করতেন। আবার কখনো কখনো কেরাআত ছোটও করতেন।

আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকুর তাসবীহ সব সময় একটি পড়তেন না, এক এক সময় এক একটি পড়তেন। যেমন, কখনো তিনি পড়তেন-

( سبحان ربي العظيم )

কখনো পড়তেন-

( سبحان ربي العظيم وبحمده )

কখনো পড়তেন,

( سُبّوح قُدّوس رب الملائكة والروح )

কখনো পড়তেন,

( اللهم لك ركعت وبك آمنت ولك أسلمت وعليك توكلت أنت ربي ، خشع سمعي وبصري ودمي ولحمي وعظمي وعصبي لله رب العالمين ).

রুকু থেকে উঠার পর তিনি বলতেন,

( سمع الله لمن حمده ) : ( ربنا ولك الحمد )

আবার কখনো বলতেন,

( ربنا لك الحمد )

কখনো বলতেন,

( اللهم ربنا (و) لك الحمد )

আবার কখনো আরও বাড়িয়ে বলতেন,

( ملء السموات وملء الأرض وملء ما شئت من شيء بعد )

আবার কখনো এ কথা বাড়িয়ে বলতেন,

( أهل الثناء والمجد ، اللهم لا مانع لما أعطيت ولا معطي لما منعت ، ولا ينفع ذا الجدّ منك الجدّ )

ইত্যাদি।

সেজদার মধ্যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম

( سبحان ربي الأعلى )

বলার সাথে কখনও কখনও এর সাথে বাড়িয়ে আরও বলতেন,

( سبحان ربي الأعلى وبحمده )

এছাড়াও তিনি বলতেন,

( سُبّوح قدوس رب الملائكة والروح )

আরও বলতেন,

( سبحانك اللهم ربنا وبحمدك اللهم اغفر لي )

এবং

( اللهم لك سجدت وبك آمنت ولك أسلمت، سجد وجهي للذي خلقه وصوّره وشقّ سمعه وبصره ، تبارك الله أحسن الخالقين )

ইত্যাদি।

দুই সেজদার মাঝখানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম

( رب اغفر لي رب اغفر لي )

এ কথাটি বলতেন।

আবার কখনো আরও বাড়িয়ে বলতেন,

( اللهم اغفر لي وارحمني واجبرني وارفعني واهدني وعافني وارزقني )

অনুরূপভাবে তাশাহ্‌হুদ বিষয়ে হাদিসে একাধিক বিশুদ্ধ বর্ণনা পাওয়া যায়। যেমন একটি বর্ণনায় এসেছে,

( التحيات لله والصلوات والطيبات السلام عليك أيها النبي ورحمة الله وبركاته السلام علينا و علي عباد الله الصالحين أشهد أن لا إله إلا الله وأشهد أن محمدا عبده ورسوله )

অপর এক বর্ণনায় এসেছে,

( التحيات المباركات الصلوات الطيبات لله، السلام عليك أيها النبي ... الخ )

অপর এক বর্ণনায় এসেছে,

( التحيات الطيبات الصلوات لله ، السلام عليك أيها النبي ... الخ ).

ইত্যাদি।

সুতরাং একজন মুসল্লি শুধু একটি পড়বে না বরং কখনো এটি আবার কখনো অপরটি পড়বে।

সালাতে দরূদ পড়া সম্পর্কে ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে একাধিক দরূদ বর্ণিত। যেমন-

( اللهم صلّ عل محمد وعلى آل محمد كما صليت على إبراهيم وعل آل إبراهيم إنك حميد مجيد ، اللهم بارك على محمد وعلى آل محمد كما باركت على إبراهيم وعلى آل إبراهيم إنك حميد مجيد ).

অপর বর্ণনায় এসেছে,

( اللهم صلّ على محمد وعلى أهل بيته وعلى أزواجه وذريته كما صليت على آل إبراهيم إنك حميد مجيد وبارك على محمد وعلى آل بيته وعلى أزواجه وذريته كما باركت على آل إبراهيم إنك حميد مجيد ).

আরেকটি বর্ণনায় এসেছে,

( اللهم صلّ على محمد النبي الأمي وعلى آل محمد كما صليت على آل إبراهيم وبارك على محمد النبي الأمي وعلى آل محمد كما باركت على آل إبراهيم في العالمين إنك حميد مجيد ).

এভাবে আরও বিভিন্ন প্রকারের দরূদ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। সুতরাং, এসব ক্ষেত্রে সুন্নাত হল, বিভিন্ন সময় বিভিন্নটি পড়া। আর মজবুত দলীল দ্বারা প্রমাণিত হওয়া বা বিশুদ্ধ হাদিসের কিতাবসমূহে প্রসিদ্ধ হওয়ার কারণে অথবা সাহাবীগণ সালাতের পদ্ধতি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে, তিনি যদি কোনো সুনির্দিষ্ট দো‘আ শেখান, অন্যটি না শেখান, তবে এসব কারণে যে কোনো একটিকে সব সময় পড়াতে কোনো অসুবিধা নেই। উপরে যে সব দলীল ও দো‘আ ইত্যাদি উল্লেখ করা হয়েছে, এগুলো সবই আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহ. এর লিখিত ‘সিফাতু সালাতির রাসূল’ বা ‘রাসূলল্লাহর সালাত আদায় পদ্ধতি’ নামক কিতাব হতে সংগৃহীত। যেগুলোকে হাদিসের বিশুদ্ধ কিতাবসমূহ থেকে তিনি একত্র করেছেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন