hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সালাতে বিনয়ী হওয়ার তেত্রিশ উপায়

লেখকঃ মুহাম্মদ সালেহ আল মুনাজ্জেদ

সালাতে খুশুর হুকুম:-
প্রাধান্যপ্রাপ্ত মত হচ্ছে যে, সালাতে খুশু অবলম্বন করা ওয়াজিব। শাইখুল ইসলাম রহ. বলেন, মহান আল্লাহ বলেছেন,

﴿وَٱسۡتَعِينُواْ بِٱلصَّبۡرِ وَٱلصَّلَوٰةِۚ وَإِنَّهَا لَكَبِيرَةٌ إِلَّا عَلَى ٱلۡخَٰشِعِينَ ٤٥﴾ [ البقرة : ٤٥ ]

“তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য চাও। নিশ্চয় সালাত বিনয়ী ছাড়া অন্যদের জন্য কঠিন”। [সূরা বাকারাহ, আয়াত: ৪৫।] আল্লাহ তা‘আলার এ কথা দ্বারা যারা সালাতে খুশু অবলম্বন করে না তাদের নিন্দা করা প্রতীয়মান হয়। ... আর কোনো ওয়াজিব ছেড়ে দেওয়া কিংবা হারাম কাজে লিপ্ত হওয়ার কারণেই নিন্দা হয়ে থাকে। যারা সালাতে খুশু অবলম্বন করে না তারা নিন্দিত হওয়া সালাতে খুশু ওয়াজিব হওয়াকে প্রমাণ করে। সালাতে খুশু ওয়াজিব হওয়া আল্লাহ তা‘আলা আরেকটি বাণী দ্বারাও প্রমাণিত। আল্লাহ বলেন,

﴿قَدۡ أَفۡلَحَ ٱلۡمُؤۡمِنُونَ ١ ٱلَّذِينَ هُمۡ فِي صَلَاتِهِمۡ خَٰشِعُونَ ٢ وَٱلَّذِينَ هُمۡ عَنِ ٱللَّغۡوِ مُعۡرِضُونَ ٣ وَٱلَّذِينَ هُمۡ لِلزَّكَوٰةِ فَٰعِلُونَ ٤ وَٱلَّذِينَ هُمۡ لِفُرُوجِهِمۡ حَٰفِظُونَ ٥ إِلَّا عَلَىٰٓ أَزۡوَٰجِهِمۡ أَوۡ مَا مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُهُمۡ فَإِنَّهُمۡ غَيۡرُ مَلُومِينَ ٦ فَمَنِ ٱبۡتَغَىٰ وَرَآءَ ذَٰلِكَ فَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡعَادُونَ ٧ وَٱلَّذِينَ هُمۡ لِأَمَٰنَٰتِهِمۡ وَعَهۡدِهِمۡ رَٰعُونَ ٨ وَٱلَّذِينَ هُمۡ عَلَىٰ صَلَوَٰتِهِمۡ يُحَافِظُونَ ٩ أُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡوَٰرِثُونَ ١٠ ٱلَّذِينَ يَرِثُونَ ٱلۡفِرۡدَوۡسَ هُمۡ فِيهَا خَٰلِدُونَ ١١﴾ [ المؤمنون : ١، ١١ ]

“অবশ্যই মুমিনগণ সফল হয়েছে, যারা নিজদের সালাতে বিনয়াবনত। আর যারা অনর্থক কথা-বার্তা থেকে বিমুখ। আর যারা যাকাতের ক্ষেত্রে সক্রিয়। আর যারা তাদের নিজদের লজ্জা স্থানের হিফাযতকারী। তবে তাদের স্ত্রী ও তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে, তারা ছাড়া, নিশ্চয় এতে তারা নিন্দিত হবে না। অত:পর যারা এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে, তারাই সীমা লঙ্ঘনকারী। আর যারা নিজদের আমানতসমূহ ও অঙ্গীকারে যত্নবান। আর যারা নিজদের সালাতসমূহ হিফাজত করে। তারাই হবে, ওয়ারিশ। যারা ফিরদাউসের অধিকারী হবে। তারা সেখানে স্থায়ী হবে”। [সূরা মুমিনুন, আয়াত: ১, ১১।]

এ আয়াতসমূহে আল্লাহ তা‘আলা জানিয়ে দেন যে, কেবল তারাই জান্নাতুল ফিরদাউসের উত্তরাধিকারী হবেন। এর অর্থ হচ্ছে, যারা সালাতে বিনয়াবনত তারা ব্যতীত অন্যরা সেটার উত্তরাধিকার হতে পারবে না। আর যখন প্রমাণিত হলো যে, সালাতে খুশু‘ বা বিনয়াবনত হওয়া ওয়াজিব; আর সেটার সাথে থাকে সুস্থিরতা ও নত (কিংবা আনুগত্য) হওয়া, তাহলে যে ব্যক্তি কাকের ঠোকরের মত সালাত আদায় করে, সে তার সেজদায় খুশু অবলম্বন করে নি। অনুরূপভাবে যে রুকু থেকে মাথা উঠালো না এবং মাথা ঝুঁকানোর পূর্বে সুস্থিরভাবে দাড়ালো না, সে সালাতে শান্ত ভাব আনয়ন করতে পারল না। কারণ, সুস্থির থাকাই হচ্ছে প্রশান্ত থাকা। আর যে ব্যক্তি সালাতে সুস্থির অবলম্বন করে না, সে প্রশান্তি অবলম্বন করল না। আর যে প্রশান্তি অবলম্বন করল না, সে সালাত তথা- রুকু ও সেজদাতে খুশু অবলম্বন করল না। আর যে বিনয়াবনত অবলম্বন করল না, সে অপরাধী সাব্যস্ত হল। সালাতে বিনয়াবনত থাকা ওয়াজিব হওয়ার বিষয়ে আরেকটি প্রমাণ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যারা সালাতে খুশু অবলম্বন করে না তাদের ধমকি দিয়েছেন। যেমন, সালাতের মধ্যে আকাশের দিক দেখা লোকটিকে ধমক দেন। কারণ, এটার অর্থই হচ্ছে, নড়া-চড়া করা, উপরের দিক মাথা উঠানো ইত্যাদি সালাতে খুশু অবলম্বন করার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। [মাজমু‘ ফাতাওয়া ২২/৫৫৩-৫৫৮]

সালাতে খুশুর ফজিলত ও খুশু ছেড়ে দেয়া সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«خمس صلوات افترضهن الله تعالى، من أحسن وضوءهن وصلاهن لوقتهن ، وأتم ركوعهن وخشوعهن كان له على الله عهد أن يغفر له ، ومن لم يفعل ، فليس له على الله عهد، إن شاء غفر له وإن شاء عذّبه»

“আল্লাহ তা‘আলা পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন, যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে ওজু করে, ওয়াক্ত মত সালাতগুলো আদায় করে এবং ভালোভাবে রুকু-সেজদা করে ও খুশুকে পরিপূর্ণ রূপ দেয়, তাকে ক্ষমা করে দেয়ার বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলা প্রতিশ্রুতি-বদ্ধ। আর যে ব্যক্তি এগুলো করে না, তাকে ক্ষমা করার ব্যাপারে আল্লাহর কোন প্রতিশ্রুতি নেই। তিনি চান ক্ষমা করবেন অথবা তাকে আযাব-শাস্তি- দেবেন। [আবু দাউদ, হাদিস নং ৪২৫, সহীহুল জামে‘, হাদিস: ৩২৪২।]

সালাতে খুশু অবলম্বন করার ফযিলত সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন,

«من توضأ فأحسن الوضوء ثم صلى ركعتين يُقبل عليهما بقلبه ووجهه» [ وفي رواية ]: «لا يحدّث فيهما نفسه غفر له ما تقدّم من ذنبه» [ وفي رواية ] «إلا وجبت له الجنة »

যে ব্যক্তি সুন্দর করে ওজু করে, তারপর আল্লাহর দিক মনোযোগী হয়ে আন্তরিকতার সাথে দুই রাকাত সালাত আদায় করে, অপর বর্ণনায়, দুই রাকাত সালাত আদায় করতে তার অন্তর অন্য কোন চিন্তা করেনি, তার অতীতের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। অপর এক বর্ণনায়, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। [বুখারি, হাদিস: ১৫৮, নাসায়ী ৯৫/১, সহীহুল জামে‘: ৬১৬৬।]

সালাতে খুশুর কারণসমূহ পর্যালোচনা করলে, আমরা দেখতে পাই, খুশুর কারণসমূহ দুই ভাগে বিভক্ত। প্রথমত: যেসব কর্মগুলো করলে সালাতে খুশু পাওয়া বা অর্জন করা যায় এবং খুশুকে শক্তিশালী করে সেগুলো অবলম্বন করা। দ্বিতীয়ত: যেসব কর্মগুলো খুশুর প্রতিবন্ধক হয় বা খুশুকে দুর্বল করে দেয় সেগুলোকে প্রতিহত করা। শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রহ. খুশু বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বিষয়টি আরও স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, সালাতে খুশু বিষয়ে দুটি জিনিষ সাহায্য করে।

এক. খুশুর উপায়গুলো শক্তিশালী হওয়া, আর

দুই. খুশু প্রতিবন্ধকসমূহ দুর্বল হওয়া।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন