hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সালাতে বিনয়ী হওয়ার তেত্রিশ উপায়

লেখকঃ মুহাম্মদ সালেহ আল মুনাজ্জেদ

২৩
মাসআলা
সালাতে শয়তানের এক প্রকার ধোঁকা আছে, যে ধোঁকাটি ‘খানযাব’ নামের শয়তান মুসল্লিদের মধ্যে যারা ভালো তাদেরকে দিয়ে থাকে। আর তা হল, মুসল্লিদের মনোযোগকে সালাত থেকে সরিয়ে অন্যান্য ইবাদত-বন্দেগীর দিকে নিয়ে যায়। যেমন, মুসল্লিদের মনোযোগকে কোন দাওয়াতি কাজের প্রতি মগ্ন করে দেয়া অথবা কোনো ফিকহী মাসআলার মধ্যে চিন্তা মগ্ন করে দেয়। ফলে তারা তাদের সালাতের একটি অংশে কি করল তা বুঝতেই পারে না। আবার কোনো কোনো সময় অনেকে এ মনে করে ধোঁকায় পড়ে যে, ওমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ সালাতে সৈন্য পরিচালনা করতেন। [সুতরাং, আমাদের জন্যও সালাতে কোনো ফিকহী মাসআলা বা দ্বীনি বিষয়ে চিন্তা করা বৈধ, তা সালাতে খুশুর পরিপন্থী নয়।] শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রহ. এ বিষয়টিকে পুরোপুরি স্পষ্ট করেন এবং এ প্রশ্নের সুস্পষ্ট উত্তর দেন।

তিনি বলেন, ওমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ এর উক্তি, ‘আমি সালাতে আমার সৈন্য প্রস্তুত করি’ এটি তার জন্য খাস ও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। কারণ, ওমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ আমীরুল মুমিনীন হওয়ায়, কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আদিষ্ট ছিলেন এবং তিনি জিহাদেরও আমীর। ফলে তিনি এক দিক দিয়ে ঐ মুসল্লির মত, যে দুশমনের মুখোমুখি হওয়া অবস্থায় যুদ্ধের ময়দানে ভীতির সালাত আদায় করছে। হয়ত সে যুদ্ধরত অথবা সে যুদ্ধরত নয়, তবে সর্বাবস্থায় সে সালাতেও আদিষ্ট এবং জিহাদেও আদিষ্ট। সুতরাং তার ক্ষমতা অনুযায়ী তার জন্য দুটি আদেশই পালন করা ওয়াজিব। তাকে যথাসাধ্য দুটি আদেশই পালন করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِذَا لَقِيتُمۡ فِئَةٗ فَٱثۡبُتُواْ وَٱذۡكُرُواْ ٱللَّهَ كَثِيرٗا لَّعَلَّكُمۡ تُفۡلِحُونَ ٤٥﴾ [ الانفال : ٤٥ ]

“হে মুমিনগণ, যখন তোমরা কোনো দলের মুখোমুখি হও, তখন অবিচল থাক, আর আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফল হও”। [সূরা আনফাল, আয়াত: ৪৫।] আর এ কথা আমাদের কারোই অজানা নয়, জিহাদ চলাকালীন অন্তরের অবস্থা, আর অন্য সময় যখন জিহাদ চলে না, সে সময়ের অন্তরের অবস্থা কখনোই এক হবে না। তখন যদি ধরে নেয়া হয়, জিহাদের কারণে সালাতে কোনো প্রকার দুর্বলতা পাওয়া যায় বা সালাত ছাড়া অন্য কোন দিক মনোযোগ যায়, তা বান্দার ঈমানের পরিপূর্ণতা ও আনুগত্যটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে না এবং এতে বান্দা কোন প্রকার দোষীও সাব্যস্ত হয় না।

এ কারণেই সালাতুল খাওফকে অন্য সময়ের সালাতের তুলনায় সংক্ষিপ্ত করা হয়ে থাকে। আল্লাহ তা‘আলা যখন সালাতুল খাওফের কথা উল্লেখ করেন, তখন বলেন,

﴿فَإِذَا ٱطۡمَأۡنَنتُمۡ فَأَقِيمُواْ ٱلصَّلَوٰةَۚ إِنَّ ٱلصَّلَوٰةَ كَانَتۡ عَلَى ٱلۡمُؤۡمِنِينَ كِتَٰبٗا مَّوۡقُوتٗا ١٠٣﴾ [ النساء : ١٠٣ ]

“অতঃপর যখন তোমরা নিশ্চিন্ত হবে তখন সালাত কায়েম করবে। নিশ্চয় সালাত মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরয। [সূরা নিসা, আয়াত: ১০৩।] সুতরাং নিরাপদ অবস্থায় যে সালাত রকম কায়েম করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, ভীতির সময়ে সে রকম সালাত কায়েমের নির্দেশ দেওয়া হয় নি।

এ ছাড়াও মানুষ এ বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের আছে। যখন বান্দার ঈমান মজবুত ও শক্তিশালী হবে, তখন সে অন্যান্য কাজগুলোর ফিকির করার সাথে সাথে সালাতেও মনোযোগী হতে সক্ষম হবে। আল্লাহ তা‘আলা ওমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ এর মুখে ও অন্তরে সত্যকে প্রতিস্থাপন করেছেন। তিনি ছিলেন ‘মুহাদ্দিস’ তথা সত্যকথক ও ‘মুলহাম’ তথা সত্যের দিক-নির্দেশনাপ্রাপ্ত। তার মত ব্যক্তির পক্ষে সালাতের মধ্যে সৈন্য পরিচালনা করার সাথে সাথে অন্তরের পূর্ণ উপস্থিতি অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু অন্যদের জন্য সেটা সম্ভব নয়। তবে কোনো সন্দেহ নেই যে, সালাতে সেনাবাহিনী প্রস্তুত করার বিষয়টি আগমন করার চেয়ে সেটা না আসলে সালাতে অন্তর বেশী হাজির হয়। আর এতে কোন সন্দেহ নেই, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাত নিরাপদ অবস্থায় ভীতির অবস্থার তুলনায় অধিক পরিপূর্ণ। আল্লাহ যেহেতু ভীতির অবস্থায় সালাতের অনেকগুলো ওয়াজিব আদায় না করাকে ক্ষমা করে দেন, তাহলে অন্তরের অবস্থা-তো আরও অধিক ক্ষমা যোগ্য।

মোটকথা, একজন মুসল্লি স্বীয় সালাতে ওয়াজিব কোনো বিষয়ে চিন্তা করা, যার চিন্তা করার সময় সংকীর্ণ হয়ে এসেছে, (সালাতের পরে যা করার মত সময় নেই), আর ওয়াজিব নয় বা যার সময় সংকীর্ণ হয়ে যায় নি, (সালাতের পরও যেটা নিয়ে চিন্তা করার প্রচুর সময় রয়েছে) এমন বিষয়ে সালাতে চিন্তা করা এক রকম নয়। হতে পারে ওমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর জন্য ঐ সময় সেনাবাহিনীর কথা চিন্তা করা ছাড়া আর কোনো সময় ছিল না। তিনি উম্মতের ইমাম এবং তার নিকট মানুষের কাছ থেকে আগত সমস্যা অসংখ্য। প্রতিটি মানুষ তার মর্যাদা অনুযায়ী এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়। আর মানুষ সালাতে এমন সব বিষয় স্মরণ করে, যা সালাতের বাহিরে সে স্মরণ করে না। সালাতে মানুষের এ সবকিছু সাধারণত শয়তানের পক্ষ থেকেই হয়। যেমন, সালাফে সালেহীন থেকে একটি ঘটনা বর্ণিত, এক লোক তার কিছু টাকা পয়সা মাটিতে পুঁতে রাখে। কিছুদিন অতিবাহিত হলে, লোকটি তার টাকা পয়সা কোথায় পুতে রেখেছে, তা ভুলে যায়। তখন তাকে কোনো এক সালাফ উপদেশ দিলেন, তুমি সালাতে দাড়াও। তারপর সে সালাতে দাঁড়ালে, সালাতের মধ্যে জায়গাটি তার স্মরণ আসল। তাকে জিজ্ঞেস করা হল, তুমি এটি কোথায় শিখলে? তিনি বললেন, আমি জানি শয়তান কোনো মানুষকে সালাতে শান্তিতে থাকতে দেয় না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্মরণ করিয়ে দেয়, যা তাকে সালাতে মনোযোগ দেয়া হতে বিরত রাখে। কিন্তু বুদ্ধিমান ব্যক্তি অন্যান্য আদিষ্ট কর্মগুলো পুরোপুরি সম্পাদনের সাথে সাথে সালাতেও পুরোপুরি মনোযোগী হতে সচেষ্ট থাকে। লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আযীম, “মহান, সর্ব্বোচ্চ আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত গুনাহ থেকে বাঁচার কোনো উপায় নেই, তেমনিভাবে ইবাদত করারও কোনো ক্ষমতা নেই।” [মাজমু‘ ফাতাওয়া: ২২/৬১০।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন