hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা

লেখকঃ ড. আবদুল করিম জায়দান

৪২
আকীদা ও ইবাদতের স্বাধীনতা
ইসলাম কোনো লোককে ইসলামী আকীদা গ্রহনের জন্যে বলপূর্বক বাধ্য করে না। ইসলাম ধর্মমত গ্রহনে এবং পূজা উপাসনা ও আরাধনা করার ব্যাপারে কোনো জোর জবরদস্তি নেই। একথা কুরআন মজীদে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে। এভাবেঃ লা ইকারা ফিদ্ দীন—দীন গ্রহন করানোর ব্যাপারে কোনো জোর জবরদস্তি করা চলবে না অন্য কথায় ইসলাম নিজে এ ব্যাপারে কোনোরূপ বল প্রয়োগ করতে প্রস্তুত নয়, বলপ্রয়োগ করাকে সমর্থন ও করে না ইসলাম ধর্ম প্রচারে বল প্রয়োগ নয়, শান্তি ও শৃঙ্খলা সহকারে প্রচারের মাধ্যমে মানুষের মন ও চিন্তার পরিবর্তন সাধনে বিশ্বাসী। এজন্যে ইসলাম দাওয়াতি কাজের ওপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করেছে। কুরআন মজীদে এরশাদ করা হয়েছেঃ

(আরবী)

তোমরা তোমাদের আল্লাহর দিকে লোকদের দাওয়াত দাও। যুক্তিপূর্ণ কথাবার্তা ও উত্তম ওয়াজ নছিহতের মাধ্যমে এবং বিরোধীদের সাথে উত্তম পন্থায় মুকাবিলা করো। সূরা আন নাহলঃ১২৫

ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ওপর ধর্মের ব্যাপারে জোর-জবরদস্তি করা সম্পর্কে কুরআন মাজীদে বলা হয়েছেঃ

(আরবী)

দীন বা ধর্মের ব্যাপারে কোনোরূপ জোর-জবরদস্তি করা যেতে পারে না।কেননা প্রকৃত হেদায়াতের পথ ও আদর্শ কোন্‌টি এবং কোন্‌টি পথভ্রষ্টতা তা স্পষ্ট হয়ে গেছে।–সূরা আল বাকারাঃ ২৫৬

এ পর্যায়ে শরীয়তের নির্দিষ্ট ফর্মূলা হলোঃ

(আরবী)

তাদের এবং তারা যা কিছু পালন করে তা ছেড়ে দিলাম।

অতএব অমুসলিমদের ধর্মীয় আকীদা-বিশ্বাস ও ইবাদাত-উপাসনার ব্যাপারে ইসলামী রাষ্ট্রের কিছুই করনীয় নেই।নবী করীম স. নাজরানবাসীদের সাথে সন্ধিচুক্তি করেছিলেন, তাতে লিখেছিলেনঃ

(আরবী)

নাজরানবাসীরা এবং তাদের সঙ্গী-সাথীরা আল্লাহ ও তাঁর রসূল মুহাম্মদ স. এর নিরাপত্তা লাভ করবে, তাদের ধন-সম্পদে তাদের গীর্জা ও উপাসনাগারে এবং আর যা কিছু তাদের রয়েছে সে ব্যাপারে।– কিতাবুল খারাজ, আবু ইউসুফ, ৯১ পৃষ্ঠা।

এরপর ইসলামী রাষ্ট্রের অধীন হওয়া সত্ত্বেও খৃষ্টান ও অন্যান্য বিধর্মীরা তাদের ধর্মীয় ব্যাপারে পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করেছে।তারা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বা মুসলিম জনগণের পক্ষ থেকে কোনোরূপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।কোনো অপকারিতাই তাদের স্পর্শ করেনি এবং তারা পূর্ণ স্বাধীনতা সহকারে তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি পালন করতে পেরেছে।

বস্তুত ব্যক্তির আকীদা-বিশ্বাসের ক্ষেত্রে ইসলামী আইনে যতখানি আযাদী ভোগ করার সুযোগ রয়েছে, তত সুযোগ দুনিয়ার অন্য কোনো আইনে স্বীকৃত হয়নি।ইমাম শাফেয়ী র. বলেছেন, স্বামী-স্ত্রী একজন যদি মুসলিম এবং অপরজন খৃষ্টান হয়, তাহলে ইসলামী শরীয়ত তাতে কোনো বাদ সাধবে না।কেননা তা যদি করা হয়, তাহলে ব্যক্তির ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করা হয়।অথচ কুরআনের স্পষ্ট ঘোষণা হলো, অমুসলিমের ব্যক্তিগত ও ধর্মীয় ব্যাপারে কোনোরূপ হস্তক্ষেপ বা জোর-জবরদস্তি করা হবে না। -শারহুল কানজ, ২য় খণ্ড, ১৭৪ পৃষ্ঠা।

তবে এ পর্যায়ে মুরতাদকে শাস্তিদানের ইসলামী ব্যবস্থা নিয়ে কোনোরূপ ভুল ধারণার সৃস্টি হওয়া উচিত নয়।কেনা, সেটা সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র ব্যাপার।একজন মুসলিম নাগরিক যদি মুসলিম থাকার পর ইসলামী রাষ্ট্রে ইসলাম ত্যাগ করে ভিন্ন ধর্ম গ্রহণ করে তাহলে তাকে মুরতাদ বলা হয়।ইসলামী রাষ্ট্রে তাকে কঠোর শাস্তি দেবে।কেনান, সে যখন নিজেকে একবার মুসলিম বলে ঘোষণা দিয়েছে, তখন তাকে মুসলিম হয়েই ইসলামী রাষ্ট্রে বাস করতে হবে।যদি সে তা না করে তাহলে সে ইসলামী রাষ্ট্রেরই ক্ষতি সাধন করে।আর দুনিয়ার কোনো রাষ্ট্রেই কোনো নাগরিকের রাষ্ট্রের এরূফ ক্ষতি বরদাশত করতে প্রস্তুত হতে পারে না বরং এটা অতীব যু্ক্তিসংগত কথা।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন