hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা

লেখকঃ ড. আবদুল করিম জায়দান

৪৪
কর্মের স্বাধীনতা
“শরীয়ত সম্মত যে কোনো কাজই ইসলামে সম্মানার্হ। অতএব ব্যক্তিকে শরীয়ত সম্মত যে কোন কাজ করার পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে ইসলামে। হাদীসে স্পষ্ট করে বলা হয়েছেঃ

(আরবী)

“ব্যক্তি তার নিজের শ্রমে উপার্জিত যে খাদ্য খায়, তার চেয়ে উত্তম খাওয়া আর কিছু হতে পারে না। আল্লাহর নবী হযরত দাউদ আঃ নিজের শ্রমে অর্জিত খাদ্য খেতেন। ”

অতএব ইসলামী রাষ্ট্রে প্রত্যেক ব্যক্তিকে ব্যবসায়, শিল্পে ও কৃষি প্রভৃতি বিভিন্ন উপার্জন কাজে শুধু স্বাধীনতাই দেয়া হয় না, সে জন্যে রীতিমতো উৎসাহিতও করা হয়। তবে শরীয়ত বিরোধী কোন কাজের সুযোগ দেয়া হয় না ইসলামী রাষ্ট্রে। কেননা সেরূপ কাজ করা হলে হয় তাতে অপরের প্রতি যুলুম করা হবে, না হয় তা নৈতিকতা বিরোধী কাজ হবে। আর এ ধরনের কাজে যে সমাজের সাধারণ মানুষেরই ক্ষতি সাধিত হয়, তবে কোন সন্দেহ নেই। এভাবে ব্যক্তি যদি শরীয়ত সম্মত কোনো কাজে ব্যতীত হয় তাহলে ইসলামী রাষ্ট্র তার সাথে পূর্ণ সহযোগিতা করবে এবং সে কাজের ফলাফল সে-ই ভোগ করবে। কেননা প্রত্যেকেরই নিজের শ্রমের ফল ভোগ করার অধিকার রয়েছে। আল্লাহ কোন আমলকারীর আমলের ফল নষ্ট করেন না-সে আমল বৈষয়িক উপার্জন সংক্রান্ত হোক কি পরকালীন, তা কুরআনেরই ঘোষণা:

তবে তার মানে নিশ্চয়ই এই নয় যে, ইসলামে প্রত্যেক ব্যক্তিকে এমন নিরঙ্কুশ স্বাধীনতাই দেয়া হয়েছে যে, কাউকে কোন কাজের জন্যে কৈফিয়ত ও জিজ্ঞেস করা হবে না। যেমন সরকারী কর্মচারীরা যদি সরকারি দায়িত্বে নিযুক্ত থাকা অবস্থায় উপার্জন সংক্রান্ত অন্য কোন কাজ করে তবে সে অধিকার কাউকে দেয়া যেতে পাওে না। এ কারনেই হযরত উমর ফারুক রা: তাঁর নিয়োগকৃত সরকারী কর্মচারীদেরও ধন-সম্পদেও হিসাব নেয়ার ব্যবস্থা করে ছিলেন। এদের একজন যখন বললো:

(আরবী)

“আমি ব্যবসা করেছি এবং তাতে মুনাফা হয়েছে, এতে কার কি বলার থাকতে পারে?”

জবাবে হযরত ওমর বলেছিলেনঃ

(আরবী)

“আমিতো তোমাকে ব্যবসায়ের জন্যে নিযুক্ত করিনি” মাআরেমুশ শারহিল ইসলামী, অহমদ যারকা।

ব্যক্তি যে কাজ যতক্ষণ করতে চাইবে সে ততক্ষণই করবে এবং যখন সে কাজ ত্যাগ করার ইচ্ছা করবে, তখনই সে তা ত্যাগ করতে ও পারবে। কিন্তু এ অধিকার এ শর্তের অধীনে যে, তাঁর এ কাজ ত্যাগ করায় অপর কারোরই যেন এক বিন্দু ক্ষতি সাধিত না হয়। এজন্যে ইসলামী আইনবিদরা বলেছেনঃ

(আরবী)

“সর্বসাধারণের জন্যে জরুরী ও অপরিহার্য শিল্প ও ব্যবসায়ের কাজে তৎসংশ্লিষ্ট কর্মচারীদেরও বাধ্য করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে রাষ্ট্র সরকারের এবং সে জন্যে তাদের ন্যায্য মজুরী দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আত তুরুকুল হুকমীয়াতু ইবনে কায়েম।

এ কারণে এসব ক্ষেত্রে কর্মচারীদেরও সাধারণ ধর্মঘট করার কোন অধিকারই ইসলামী রাষ্ট্রের দেয়া যেতে পাওে না। কেননা, তার ফলে সাধারণ জন মানুষের জীবন কঠিন বিপর্যয় নেমে আশার আশংকা রয়েছে। তবে তারা কাজ উপযোগী ন্যায্য মজুরীর দাবী জানাতে পাওে ও সে জন্যে নিয়মতান্ত্রিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে। আর রাষ্ট্র তাদেও কাজ অনুপাতে ন্যায্য মজুরী নির্দিষ্ট করে দিতে বাধ্য। কেননা সর্ব পর্যায়ে ইনসাফ কায়েম করাই রাষ্ট্রের দায়িত্ব। আর শ্রমিকদের জন্যে ন্যায্য মজুরীর ব্যবস্থা রাষ্ট্রীয় ইনসাফেরই অন্তর্ভুক্ত কাজ এরূপ মজুরী দিতে মালিক পক্ষ যদি অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে রাষ্ট্র তাতে হস্তক্ষেপ করবে এবং মজুরী দানের ক্ষেত্রে পূর্ণ ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত করবে। তাহলে এর ফলে না শ্রমিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না মালিক পক্ষ। বরং এর ফলে সামাজিক সাম্য ও শান্তি স্থাপিত হবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন