hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা

লেখকঃ ড. আবদুল করিম জায়দান

৫৫
রাষ্ট্র এ সাহায্যদানে অক্ষম হলে
অভাবগ্রস্ত লোকদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বিধানে রাষ্ট্র যদি কখনো অক্ষম হয়ে পড়ে, রাষ্ট্রীয় কোষ যদি শূন্য হয়ে যায়, কিংবা বায়তুলমালে এমন পরিমাণ সম্পদ অবশিষ্ট থাকে, যা সমস্ত অভাবগ্রস্ত লোকের ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা করতে যথেষ্ট নয়, তাহলে তাদেও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব সমাজের ধনশালী ব্যক্তিদের ওপর অর্পিত হবে এবং ‘ফরযে কেফায়া’ হিসাবে তা সমগ্র জাতির পক্ষ থেকেই তাদেও পালন করতে হবে। ইসলামী ফিকাহবিদগণ এ বিষয়ে স্পষ্ট করে বলেছেনঃ

(আরবী)

“ যাকাত ও বায়তুলমালের সাধারণ অর্থ-সম্পদ যদি অসমর্থ হয়, তাহলে বস্ত্রহীনকে বস্ত্রদান ও অভুক্তকে অন্নদান প্রভৃতি জরুরী কাজে আনজাম দেয়ার দায়িত্ব পড়বে। তাদেও মধ্যে সচ্ছল ও সমর্থ লোকের ওপর। এ দায়িত্ব আদের জন্যে ফরযে কেফায়া হিসাবে অতিরিক্ত হিসাবে চাপবে” আলমিনহাজ, ইমাম নববী এবং তার শরাহঃ৭ম খন্ড, ১৯৪ পৃ.

একথার অর্থ নিশ্চয়ই এই যে, শীতল ও গ্রীষ্মেও উপযোগী বস্ত্র দিতে হবে, চিকিৎসার প্রয়োজন পূরণ ও এরই অন্তর্ভুক্ত বলে চিকিৎসকের মজুরী ও ঔষধের মূল্য দেয়ার ব্যবস্থা ও করতে হবে। অর অক্ষম ও পঙ্গু লোকদের খাদেম নিয়োগও এ পর্যায়েরই একটি কাজ। অতএব বায়তুলমাল যতক্ষণ অক্ষম থাকবে সমাজের ধনী লোকেরাই অভাবগ্রস্তদের প্রয়োজন পূরণে বাধ্য থাকবে। আর ধনী লোকেরা তা করতে যদি অস্বীকার করে, তাহলে সরকার তা করার জন্যে তাদেরকে আইনত বাধ্য করবে। ইমাম ইবনে হাযম এ পর্যায়ে লিখেছেনঃ

(আরবী)

“ যাকাত ফান্ড রাষ্ট্রীয় কোষাগার দরিদ্র জনগণের প্রয়োজন পূরণে অক্ষম হলে তখন তাদেও পেট ভরা খাবার ও শীতল গ্রীষ্মেও উপযোগী পোশাক এবং বর্ষা, শীতের রৌদ্রতাপ ও পথচারীদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

”—“ধাল মুহাল্লা ইবনে হাযম, ৬ষ্ঠ খন্ড ২৫৬ পৃ.

অমুসলিম নাগরিকের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা

ইসলামী রাষ্ট্রে নাগরিকদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার যে মহান দায়িত্ব গ্রহন করে, তা কেবল মুসলিম নাগরিকদের জন্যেই নির্দিষ্ট নয়। অমুসলিম নাগরিকদের জন্যে এ ব্যবস্থা গ্রহন করা ইসলামী রাষ্ট্রের দায়িত্ব। বস্তুত এ ব্যাপারে মুসলিম অমুসলিম কোন পার্থক্য করা হয় না। এ ব্যাপারে প্রমাণ হিসাবে সেনাপতি হযরত খালেদ ইবনে অলীদ রা: এর স্বাক্ষরিত এক চুক্তি নামার একটা অংশ এখানে উল্লেখযোগ্য। তাতে তিনি বলেছিলেনঃ

(আরবী)

“ অমুসলিম নাগরিকদের মধ্যে যে লোক বার্ধক্য, পঙ্গুত্ব বা বিপদের কারণে অথবা স্বচ্ছতা থাকার পর দরিদ্র হয়ে পড়ার কারণে যদি এমন অবস্থায় পড়ে যায় যে, তার স্বধর্মীরা তাকে ভিক্ষা দিতে শুরু করেছে, তাহলে তার পক্ষ থেকে যিযিয়া নেয়া বন্ধ করা হবে এবং যতদিন ইসলামী রাষ্ট্রে বসবাস করবে ততদিন পর্যন্ত তার পরিবারবর্গকে বায়তুলমাল থেকে ভরণ-পোষণ করা হবে। ”–কিতাবুণ খারাজ, আবু ইউসূফ, ১৪৪ পৃ.

হযরত খালেদ রা: সেনাপতি হিসাবে এ চুক্তি স্বাক্ষর করে ছিলেন বং তখনকার খলীফা হযরত আবুবকর রা: এ চুক্তি মেনে নিয়েছিলেন। অতএব এ নীতি সম্পর্কে সকল সাহাবির ইজমা সম্পাদিত হয়েছে বলা চলে।

হযরত ওমর ইবনে আবদুল আজীজ রা: তার বসরার শাসন কর্তা অদি ইবনে আরতাদকে লিখে পাঠিয়েছিলেনঃ

(আরবী)

“ তুমি নিজে লক্ষ্য করে দেখ, অমুসলিম নাগরিকদের মধ্য থেকে যে সব লোক বয়োবৃদ্ধ ও কর্মক্ষমতাহীন হয়ে পড়েছে এবং যার উপার্জন –উপায় কিছুই নেই, তুমি তাদের প্রয়োজন মত অর্থ রাষ্ট্রীয় বাইতুলমাল থেকে তাদের দাও। ” কিতাবুল আমওয়াল, আবু উবাইদ, ৪৫-৫৬ পৃ.

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন