hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামী শরীয়াহর বাস্তবায়ন ও উম্মাহর উপর এর প্রভাব

লেখকঃ আব্দুল্লাহ ইবন স‘উদ আল-হুয়াইমিল

১৪
ষষ্ঠত: ইসলামী শরী‘য়াহ সমতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত:
মানব রচিত আইন মানুষের মাঝে সমতা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয় না। ফলে রাষ্ট্রে প্রধান বা প্রধান মন্ত্রীকে জাতির অন্যান্য লোকদের উপর উচ্চ মর্যাদা দিয়ে থাকে। সংবিধানে রাষ্ট্রের প্রধানকে তার কৃত অপরাধের জবাবদিহিতা কাউকে দিতে হয় না। মানব রচিত আইন বিদেশী রাষ্ট্র প্রধান ও তাদের সফরসঙ্গীদের কৃত অপরাধের শাস্তি ক্ষমা করে দেয়। সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক এ ভেদাভেদ খুব করতেন। বিশাল কৃশাঙ্গ জনগোষ্ঠীর মাঝে শ্বেতাঙ্গরাই বহু বছর শাসন করেছিলেন।

পক্ষান্তরে, ইসলামী শরী‘য়াহ চৌদ্দ শত বছর পূর্ব থেকেই সমতার বিচারে মানব রচিত অন্যান্য সব আইনের থেকে আলাদা বৈশিষ্ট্য মন্ডিত। ইসলামী শরী‘য়াহর দৃষ্টিতে দায়িত্ব, কর্তব্য ও অধিকারের ক্ষেত্রে সকলেই সমান। শাসক ও জনগণের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿ فَمَن يَعۡمَلۡ مِثۡقَالَ ذَرَّةٍ خَيۡرٗا يَرَهُۥ ٧ وَمَن يَعۡمَلۡ مِثۡقَالَ ذَرَّةٖ شَرّٗا يَرَهُۥ ٨ ﴾ [ الزلزلة : ٧، ٨ ]

“অতএব, কেউ অণু পরিমাণ ভালকাজ করলে তা সে দেখবে, আর কেউ অণু পরিমাণ খারাপ কাজ করলে তাও সে দেখবে”। [সূরা আয্-যিলযাল: ৭-৮]

عَنِ المَعْرُورِ بْنِ سُوَيْدٍ، قَالَ : لَقِيتُ أَبَا ذَرٍّ بِالرَّبَذَةِ، وَعَلَيْهِ حُلَّةٌ، وَعَلَى غُلاَمِهِ حُلَّةٌ، فَسَأَلْتُهُ عَنْ ذَلِكَ، فَقَالَ : إِنِّي سَابَبْتُ رَجُلًا فَعَيَّرْتُهُ بِأُمِّهِ، فَقَالَ لِي النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : «يَا أَبَا ذَرٍّ أَعَيَّرْتَهُ بِأُمِّهِ؟ إِنَّكَ امْرُؤٌ فِيكَ جَاهِلِيَّةٌ»

“মা‘রূর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একবার রাবাযা নামক স্থানে আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহুর সাথে সাক্ষাত করলাম। তখন তার পরনে ছিল এক জোড়া কাপড় (লুঙ্গি ও চাদর) আর তার চাকরের পরনেও ছিল ঠিক একই ধরনের এক জোড়া কাপড়। আমি তাকে এর (সমতার) কারণ জিজ্ঞাস করলাম। তিনি বললেন, একবার আমি এক ব্যক্তিকে গালি দিয়েছিলাম এবং আমি তাকে তার মা সম্পর্কে লজ্জা দিয়েছিলাম। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, ‘আবু যর! তুমি তাকে তার মা সম্পর্কে লজ্জা দিয়েছ? তুমি তো এমন ব্যক্তি, তোমার মধ্যে জাহেলী যুগের স্বভাব রয়েছে”। [বুখারী, হাদীস নং ৩০।]

এক ইয়াহূদী ‘উমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর দরবারে আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করল। তখন ‘উমর রাদিয়াল্লাহু আলী রাদিয়াল্লাহুকে বললেন, হে আবুল হাসান দাঁড়াও, তোমার প্রতিপক্ষের সামনে গিয়ে বসো। তিনি তাই করলেন ও তাঁর চেহারায় অনুসরণের প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছিল। বিচার কাজ শেষ হলে ‘উমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে বললেন, হে আলী তুমি কি তোমার বিবাদীর সামনে বসতে অপছন্দ করেছ? তিনি উত্তরে বললেন, না, কখনো না। তবে আমি অপছন্দ করেছি এটা যে, আপনি নাম ডাকার ক্ষেত্রে দু’জনের মাঝে সমতা বজায় রাখেন নি, আমাকে আমার উপনাম আবুল হাসান বলেছেন; যেহেতু উপনামে ডাকা সম্মানের দিকে ইঙ্গিত করে।

ইসলামে উঁচু-নিচু ও শক্তিশালী-দুর্বল সকলের মাঝেই সমানভাবে শাস্তির বিধান বাস্তবায়ন করা হয়। এর চমৎকার উদাহরণ হলো আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত আল-মাখযুমিয়া এর হাদীস:

عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا : أَنَّ قُرَيْشًا أَهَمَّتْهُمُ المَرْأَةُ المَخْزُومِيَّةُ الَّتِي سَرَقَتْ، فَقَالُوا : مَنْ يُكَلِّمُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَنْ يَجْتَرِئُ عَلَيْهِ إِلَّا أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، حِبُّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَكَلَّمَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ : «أَتَشْفَعُ فِي حَدٍّ مِنْ حُدُودِ اللَّهِ» ثُمَّ قَامَ فَخَطَبَ، قَالَ : «يَا أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّمَا ضَلَّ مَنْ قَبْلَكُمْ، أَنَّهُمْ كَانُوا إِذَا سَرَقَ الشَّرِيفُ تَرَكُوهُ، وَإِذَا سَرَقَ الضَّعِيفُ فِيهِمْ أَقَامُوا عَلَيْهِ الحَدَّ، وَايْمُ اللَّهِ، لَوْ أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، سَرَقَتْ لَقَطَعَ مُحَمَّدٌ يَدَهَا»

“আয়িশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, আল-মাখযুমী সম্প্রদায়ের জনৈকা মহিলার ব্যাপারে কুরাইশ বংশের লোকদের খুব দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল যে কিনা চুরি করেছিল। সাহাবা কিরামগণ বললেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে কে কথা বলতে পারবে? আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রিয় পাত্র উসামা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু ছাড়া কেউ এ সাহস পাবেন না। তখন উসামা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে কথা বললেন: এতে তিনি বললেন, তুমি আল্লাহ তা‘য়াআলার দেওয়া শাস্তির বিধানের ক্ষেত্রে সুপারিশ করছ? এরপর তিনি দাঁড়িয়ে খুতবা প্রদান করলেন এবং বললেন, হে মানব মণ্ডলী! নিশ্চয়ই তোমাদের পূর্ববর্তী সম্প্রদায়ের লোকেরা পথভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছে। কেননা কোনো সম্মানিত লোক যখন চুরি করত তখন তারা তাকে রেহাই দিয়ে দিত। আর যখন কোনো দুর্বল লোক চুরি করত তখন তার উপর শরী‘য়তের শাস্তি প্রয়োগ করত। আল্লাহর কসম! মুহাম্মদ এর কন্যা ফাতিমাও যদি চুরি করে তবে অবশ্যই মুহাম্মদ তার হাত কেটে দেবে”। [বুখারী, হাদীস নং ৬৭৮৮, মুসলিম, হাদীস নং ১৬৮৮।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন