hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামী শরীয়াহর বাস্তবায়ন ও উম্মাহর উপর এর প্রভাব

লেখকঃ আব্দুল্লাহ ইবন স‘উদ আল-হুয়াইমিল

১৭
পঞ্চম পরিচ্ছেদ: ইসলামী শরী‘য়াহ বাস্তবায়নের হুকুম
আল্লাহর প্রতি ঈমান ও তাঁর একত্ববাদে বিশ্বাস এটাই দাবী যে, আমরা ঈমান আনব যে, তিনি আসমান ও জমিন ও এ দুয়ের মধ্যকার সব কিছুরই মালিক। সৃষ্টি জগতের সব কিছু তাঁরই অধীনে। তিনি ছাড়া অন্য কেউ সৃষ্টির রহস্য ও পরিচালনা ব্যবস্থা জানেন না বা কেউ এ কাজে তাঁর সাথে শরিক নাই।

সৃষ্টি ও পরিচালনা যেহেতু একমাত্র মহান আল্লাহর তাই আদেশ ও হুকুমও একমাত্র তাঁরই হবে। বান্দাহ তাঁর নির্দেশের ও তাঁর হুকুমের অনুগত। এটাই উবুদিয়াতের বা দাসত্বের দাবী। সে তাঁরই অনুগত, বশীভূত ও তাঁরই আদেশ-নিষেধ মান্যকারী। [আল-হুকমু বিমা আনঝালাল্লাহু, পৃষ্ঠা: ২২।]

আল-কুরআন অনেক আয়াতে আল্লাহ তা‘আলার উলুহিয়্যাত তথা ইলাহ হওয়ার হাকীকত বর্ণনা করেছে। যেমন আল্লাহ বলেছেন,

﴿ وَهُوَ ٱللَّهُ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَۖ لَهُ ٱلۡحَمۡدُ فِي ٱلۡأُولَىٰ وَٱلۡأٓخِرَةِۖ وَلَهُ ٱلۡحُكۡمُ وَإِلَيۡهِ تُرۡجَعُونَ ٧٠ ﴾ [ القصص : ٧٠ ]

“আর তিনিই আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো (সত্য) ইলাহ নেই। দুনিয়া ও আখিরাতে সমস্ত প্রশংসা তাঁরই; বিধান তাঁরই। আর তাঁর কাছেই তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে”। [সূরা আল-কাসাস: ৭০]

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘আলা আরো বলেছেন,

﴿ لَوۡ كَانَ فِيهِمَآ ءَالِهَةٌ إِلَّا ٱللَّهُ لَفَسَدَتَاۚ فَسُبۡحَٰنَ ٱللَّهِ رَبِّ ٱلۡعَرۡشِ عَمَّا يَصِفُونَ ٢٢ ﴾ [ الانبياء : ٢٢ ]

“যদি আসমান ও জমিনে আল্লাহ ছাড়া বহু ইলাহ থাকত তবে উভয়ই ধ্বংস হয়ে যেত, সুতরাং তারা যা বলে, আরশের রব আল্লাহ তা থেকে পবিত্র।”[সূরা আল-আম্বিয়া: ২২]

এ আয়াতগুলো মূল ভাব সাব্যস্ত করে। তা হলো, সৃষ্টি ও পরিচালনা একমাত্র মহান আল্লাহর হাতে, এর ফলে বান্দাহর সব বিষয় আল্লাহর কাছেই ন্যস্ত, তারা তাঁর হুকুমের অনুগত। [পূর্বসূত্র।]

আল্লাহর ইবাদত মানে আত্মসমর্পণ ও আনুগত্য। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿ وَلَقَدۡ بَعَثۡنَا فِي كُلِّ أُمَّةٖ رَّسُولًا أَنِ ٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ وَٱجۡتَنِبُواْ ٱلطَّٰغُوتَۖ فَمِنۡهُم مَّنۡ هَدَى ٱللَّهُ وَمِنۡهُم مَّنۡ حَقَّتۡ عَلَيۡهِ ٱلضَّلَٰلَةُۚ فَسِيرُواْ فِي ٱلۡأَرۡضِ فَٱنظُرُواْ كَيۡفَ كَانَ عَٰقِبَةُ ٱلۡمُكَذِّبِينَ ٣٦ ﴾ [ النحل : ٣٦ ]

“আর আমি অবশ্যই প্রত্যেক জাতিতে একজন রাসূল প্রেরণ করেছি যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এবং পরিহার কর তাগূতকে। অতঃপর তাদের মধ্য থেকে আল্লাহ কাউকে হিদায়ত দিয়েছেন এবং তাদের মধ্য থেকে কারো উপর পথভ্রষ্টতা সাব্যস্ত হয়েছে। সুতরাং তোমরা যমীনে ভ্রমণ কর অতঃপর দেখ, অস্বীকারকারীদের পরিণতি কীরূপ হয়েছে”। [সূরা আন-নাহল: ৩৬]

ইবন কাসীর রহ. উপরিউক্ত আয়াতের তাফসীরে বলেছেন, আল্লাহ সব উম্মত তথা সব যুগে প্রত্যেক জাতির জন্য রাসূল প্রেরণ করেছেন। তারা সবাই আল্লাহর ইবাদতের দিকে ডাকতেন। তিনি ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করতে নিষেধ করতেন। [তাফসীরে ইবন কাসীর: ১২/৫৪।]

অতঃএব আল্লাহ তা‘আলা বান্দাহকে একমাত্র তাঁর একনিষ্ঠ ইবাদত করতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং তাগুতের অনুরসণ করতে নিষেধ করেছেন, যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যদের আনুগত্য করে। চাই সেগুলো মূর্তি হোক বা তাদের নেতা হোক যাদেরকে অনুসরণ করতে আল্লাহ নির্দেশ দেন নি। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿ أَلَمۡ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ يَزۡعُمُونَ أَنَّهُمۡ ءَامَنُواْ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيۡكَ وَمَآ أُنزِلَ مِن قَبۡلِكَ يُرِيدُونَ أَن يَتَحَاكَمُوٓاْ إِلَى ٱلطَّٰغُوتِ وَقَدۡ أُمِرُوٓاْ أَن يَكۡفُرُواْ بِهِۦۖ وَيُرِيدُ ٱلشَّيۡطَٰنُ أَن يُضِلَّهُمۡ ضَلَٰلَۢا بَعِيدٗا ٦٠ ﴾ [ النساء : ٦٠ ]

“তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যারা দাবী করে যে, নিশ্চয় তারা ঈমান এনেছে তার উপর, যা নাযিল করা হয়েছে তোমার প্রতি এবং যা নাযিল করা হয়েছে তোমার পূর্বে। তারা তাগূতের কাছে বিচার নিয়ে যেতে চায় অথচ তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তাকে অস্বীকার করতে। আর শয়তান চায় তাদেরকে ঘোর বিভ্রান্তিতে বিভ্রান্ত করতে”। [সূরা আন-নিসা: ৬০]

যারা দাবী করে যে, তারা আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও পূর্ববর্তী আম্বিয়াদের উপর যা নাযিল হয়েছে তাতে তারা ঈমান আনে; অথচ বিচার ফয়সালার ক্ষেত্রে তারা আল্লাহর কিতাব ও রাসূলের সুন্নাহ ছাড়া অন্যদের ফয়সালা মানে তাদের এ ধরনের কাজকে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে। [তাফসীরে ইবন কাসীর: ৫/৪৯৯।] অতঃএব যারা আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসূলের সুন্নাহ ছেড়ে অন্যের বিচার মানে তারা মূলত তাগুতেরই বিচার মানল।

আল্লাহর বিধান ব্যতীত অন্যের ফয়সালা মানা হলো অন্যায়, জুলুম, ভ্রষ্টতা, কুফুরী ও ফাসেকী। এজন্যই আল্লাহ বলেছেন,

﴿ وَمَن لَّمۡ يَحۡكُم بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ فَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡكَٰفِرُونَ ٤٤ ﴾ [ المائ‍دة : ٤٤ ]

“আর যারা আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তার মাধ্যমে ফয়সালা করে না, তারাই কাফির”। [সূরা আল-মায়েদা: ৪৪]

﴿ وَمَن لَّمۡ يَحۡكُم بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ فَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلظَّٰلِمُونَ ٤٥ ﴾ [ المائ‍دة : ٤٥ ]

“আর আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তার মাধ্যমে যারা ফয়সালা করবে না, তারাই যালিম”। [সূরা আল-মায়েদা: ৪৫]

﴿وَمَن لَّمۡ يَحۡكُم بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ فَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡفَٰسِقُونَ ٤٧ ﴾ [ المائ‍دة : ٤٧ ]

“আর আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তার মাধ্যমে যারা ফয়সালা করে না, তারাই ফাসিক”। [সূরা আল-মায়েদা: ৪৭]

দেখুন আল্লাহ কিভাবে উপরিউক্ত আয়াতে আল্লাহর বিধান ছাড়া অন্যের হুকুম মানাকে কুফুরী, জুলুম ও ফাসেকী বলেছেন। [তাহকীমুল কাওয়ানীন, লেখক শাইখ মুহাম্মদইবন ইবরাহীম আলে আশ-শাইখ, পৃষ্ঠা নং ১৫।]

যে সব মুসলমান রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিচার মানে না আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে বেঈমান বলেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿ فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤۡمِنُونَ حَتَّىٰ يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيۡنَهُمۡ ثُمَّ لَا يَجِدُواْ فِيٓ أَنفُسِهِمۡ حَرَجٗا مِّمَّا قَضَيۡتَ وَيُسَلِّمُواْ تَسۡلِيمٗا ٦٥ ﴾ [ النساء : ٦٥ ]

“অতএব তোমার রবের কসম, তারা মুমিন হবে না যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে বিচারক নির্ধারণ করে, তারপর তুমি যে ফয়সালা দেবে সে ব্যাপারে নিজদের অন্তরে কোনো দ্বিধা অনুভব না করে এবং পূর্ণ সম্মতিতে মেনে নেয়”। [সূরা আন-নিসা: ৬৫]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন