hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামী শরীয়াহর বাস্তবায়ন ও উম্মাহর উপর এর প্রভাব

লেখকঃ আব্দুল্লাহ ইবন স‘উদ আল-হুয়াইমিল

চতুর্থ: আল-ক্বিয়াস:
القياس في اصطلاح الأصوليين : هو تسوية واقعة لم يرد نص بحكمها بواقعة ورد نص بحكمها في الحكم الذي ورد به النص لتساوي الواقعتين فل علة هذا الحكم .

কিয়াস হচ্ছে কোনো বিষয়ের জন্য সে বিধান নির্ধারণ করা, যে বিধান স্পষ্টভাবে অন্য একটি বিষয়ের জন্য কুরআন বা হাদীসে বর্ণনা করা আছে, উভয় বিষয়ের মধ্যে সামঞ্জস্যবিধানকারী ‘ইল্লাত’ বা হেতু থাকার কারণে। [মাসাদিরুত তাশরী’ ফিমা লা নসসা ফিহি, লেখক: আব্দুল ওয়াহহাব খাল্লাফ, পৃষ্ঠা নং ১৬।]

অধিকাংশ ফিকহবিদগণ একমত যে, কিয়াস শরীয়তের দলিল, এর দ্বারা আহকাম সাব্যস্ত করা হয়।

জমহুর উলামা কিরাম কিয়াস শরীয়তের দলিল হওয়ার অনেক হাদীস উল্লেখ করেছেন, তন্মধ্যে কয়েকটি হলো:

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি উমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে সাওম অবস্থায় স্ত্রীকে চুম্বন করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত উত্তরে বলেছিলেন:

" أَرَأَيْتَ لَوْ تَمَضْمَضْتَ بِمَاءٍ وَأَنْتَ صَائِمٌ؟

“যদি তুমি সাওম অবস্থায় কুলি করো তাতে কি সাওম ভঙ্গ হবে? (অর্থাৎ সাওম অবস্থায় পানি দিয়ে কুলি করলে যেমন সাওম ভাঙ্গে না, তেমনি স্ত্রীকে চুম্বন করলেও সাওম ভাঙ্গে না)। এটা ছিল রাসূলের পক্ষ থেকে উম্মতকে কিয়াস শিক্ষা দেয়া। কেননা এখানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম চুম্বনকে কুলির সাথে কিয়াস করেছেন। উভয়টিতেই সাওম ভঙ্গ হয় না। [উসূলুশ শাশী: ১/১৩০।]

সাহাবা কিরামগণ শরীয়তের কিছু বিধান ইজতিহাদ করে বের করেছেন, অথচ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের মাঝে ছিলেন। তিনি তাদেরকে তিরস্কার করেননি। এটা ঘটেছিল যখন তিনি তাদেরকে আহযাবের যুদ্ধের দিন আসরের সালাত বনী কুরাইযাতে গিয়ে আদায় করতে নির্দেশ দেন। পথিমধ্যে আসরের ওয়াক্ত হলে তাদের কিছু সংখ্যক ইজতিহাদ করে পথেই সালাত আদায় করেন। তারা বললেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের থেকে সালাত বিলম্বে আদায় করা চাননি, বরং তিনি চেয়েছেন আমরা যেন দ্রুত বনী কুরাইযাতে যাই”। ফলে তারা রাসূলের আদেশের অর্থের দিকে লক্ষ্য করেছেন। অন্য দল শব্দের দিকে তাকিয়ে ইজতিহাদ করে আসরের সালাত বনী কুরাইযাতে গিয়ে বিলম্বে আদায় করেন।

যেসব ব্যাপারে স্পষ্ট নস পাওয়া যায় না সে ক্ষেত্রে কিয়াস হলো উক্ত মাস’আলার হুকুম উদঘাটনে প্রথম পদ্ধতি বা উপায়। এটা ইসতিম্বাতের ক্ষেত্রে খুবই স্পষ্ট ও শক্তিশালী পন্থা।

কিয়াস চারটি আরকানের উপর ভিত্তি করে হয়ে থাকে:

১- আসল বা মূল মাস’আলা, যার হুকুমের ব্যাপারে নস এসেছে।

২- ফর‘আ তথা শাখা মাস’আলা, যার হুকুম মূল মাস’আলার উপর কিয়াস করে দেয়া হবে।

৩- আল-ইল্লাহ তথা কারণ, যে কারণের উপর ভিত্তি করে মূল মাস’আলার হুকুম এসেছে এবং এটা শাখা মাস’আলার মাঝেও পাওয়া যাবে।

৪- মূল মাস’আলার হুকুম। অতঃপর যদি উপরিউক্ত সব শর্ত সঠিকভাবে সর্বসম্মতভাবে পাওয়া যায় তবে তা সহীহ কিয়াস হবে, নতুবা কিয়াসটি ফাসিদ বলে গণ্য হবে। [আল-মুসতাসফা ফি ইলম আল-উসূল, লেখক: ইমাম গাযালী: পৃষ্ঠা: ৪০৩।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন