মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
দ্বিতীয় সংশয়: ইসলামের শাস্তির বিধান সম্পর্কিত সংশয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/371/28
তারা বলেন, ইসলামে শাস্তির বিধান খুবই নিষ্ঠুর, যা যুগের সাথে চলে না। নাগরিক জীবনে এগুলো চলে না। অতঃপর তারা বলেন, বিবাহিতের যিনার শাস্তি রজম তথা পাথর দ্বারা মৃত্যুদণ্ড কেন? এটা কি তাকে অপমান করা নয়? এ ধরনের শাস্তি মানুষের প্রাণনাশ বা অঙ্গ কর্তন হয়, এভাবে মানুষ শক্তি হারায় এবং শারীরিক বিকৃতি ঘটে। অতঃপর তারা বলেন, ইসলামের শাস্তির বিধান বাস্তবায়ন মানে হলো পূর্বযুগে ফিরে যাওয়া, মক্কার পাহাড়ের মাঝে তৈরি এ সব আইন কানুন বিংশ শতাব্দীতে জ্ঞানবান মানুষের সাথে চলে না।
এ সব সংশয়সমূহ অপনোদনের পূর্বে তাদের এ ধরনের সংশয়ের কারণসমূহ আলোচনা করব।
প্রথম কারণ: ইসলামী শরী‘য়াহর শাস্তির বিধান সম্পর্কে অজ্ঞতা।
দ্বিতীয় কারণ: যে সব অপরাধের কারণে শাস্তি দেয়া হয় সেগুলোর ভয়াবহতা বিশ্লেষণে অগভীরভাবে দৃষ্টিপাত করে।
ফলে তারা এর হিকমত ও মূল্যায়ন সম্পর্কে ভাবে না।
তৃতীয় কারণ: তারা অপরাধ ও শাস্তির বিধানকে ইসলামের দৃষ্টিতে গবেষণা করে না।
হ্যাঁ ইসলামের শাস্তির বিধানে বাহ্যিক ভাবে কিছুটা নিষ্ঠুরতা ও কঠোরতা দেখা যায়। শাস্তিতে যদি কঠোরতা ও নিষ্ঠুরতা নাই থাকে তাহলে তিরস্কার ও ভয় দেখানোর ফল কিভাবে আসবে। শাস্তি বাহ্যিক ভাবে কঠোর ও নিষ্ঠুর হলেও প্রকৃতপক্ষে তা রহমত ও দয়া। কেননা রোগাক্রান্তকে যদি ছেড়ে দেয়া হয় তবে তার রোগে সমাজের অন্যান্য ভালোরাও রোগী হয়ে যাবে। বরং অপরাধের ক্যান্সারে অন্যরাও আক্রান্ত হয়ে যাবে। তাই এটা অত্যাবশ্যকীয় ও হিকমতময় যে, সমাজের অন্যান্যদেরকে বাঁচাতে নষ্ট জিনিসকে চিরতরে নিঃশেষ করে দেয়া। [উজুবু তাতবিক আশ-শারী‘য়াহ আল-ইসলামীয়াহ, পৃষ্ঠা: ২৫৮।]
ইসলামের শাস্তির বিধানগুলোর প্রতি যারা চিন্তাভাবনা ছাড়া অগভীরভাবে তাকায় তাদের কাছে নির্দয় মনে হয়, কিন্তু এ সব শাস্তি ততক্ষণ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা হয় না যতক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিত করা না হয় যে, অপরাধী অপরাধটি করেছে এবং এতে কোনো সংশয়ের অবকাশ নেই ।
ইসলাম হাত চুরির অপরাধে হাত কাটার বিধান দিয়েছে, কিন্তু যদি এটা সংশয় দেখা দেয় যে, সে ক্ষুধার কারণে চুরি করেছে তাহলে কখনো তার হাত কাটা হবে না। ইসলাম রজমের তথায় পাথর নিক্ষেপে হত্যার বিধান দিয়েছে, কিন্তু বিবাহিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে চারজন সাক্ষীর প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছাড়া কখনো তাকে রজম দেয়া হবে না। এটা প্রমাণ করে যে, শাস্তি শুধু হিসেব ছাড়া মানুষের উপর কর্তৃত্ব ও তাকে ভয় দেখানোর জন্যই দেয়া হয় না। [শোবহাত হাওলাল ইসলাম, পৃষ্ঠা: ১৩৭।]
উমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু ছিলেন ইসলামের ফকিহদের মধ্যে অন্যতম, তিনি (রামাদাহর বছর) দুর্ভিক্ষের বছর চুরির শাস্তি প্রয়োগ করেন নি। এটা স্পষ্ট মূলভিত্তি, এখানে তা’বীল করার কোনো সুযোগ নেই। সমস্যা ও সন্দেহের কারণে শাস্তির বিধান রহিত হয়ে যায়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিম্নোক্ত হাদীসে কারণে,
«ادرؤوا الحدود بالشبهات وأقيلوا عثرات الكرا إلا في حد من حدود الله» .
“তোমরা সংশয়ের কারণে শাস্তির বিধান রহিত করো, আল্লাহর শাস্তি ব্যতিত সম্মানিত লোকের ছোট খাট ভুল থেকে অব্যাহতি দাও”।
তাদের দাবী হল, আল্লাহর শাস্তির বিধান প্রয়োগ করলে মানুষকে অবজ্ঞা ও হেয় প্রতিপন্ন করা হয়। আর যে সব দেশ গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও পুঁজিবাদী স্বাধীনতা ভোগ করে সে সব দেশের আধুনিক মতবাদের বিশ্বাসী ও রাজনীতিবিদরা মনে করেন মানুষকে শাস্তি দিয়ে নখ তুলে ফেলা, শরীর ঝলসানো, মাথায় ও শিরায় ইলেকটিক্যাল শক দেয়া, আগুনের দ্বারা সেক দেয়া, চুল উপড়ে ফেলা, তার সম্মানহানি করা ইত্যাদি মানুষকে অবজ্ঞা ও হেয় প্রতিপন্ন করা নয়! তারা আবার তাদের আইন কানুন ও সমাজ ব্যবস্থা নিয়ে গর্ব করে?!
বিবাহিত মানুষকে রজমের মাধ্যমে হত্যা করার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো এ মারাত্মক অপরাধের কঠোর ধমক ও তিরস্কার করা। রজমকৃতকে এভাবে হত্যা করার উদ্দেশ্য হলো তাকে কঠোর শাস্তি দেয়া আর অন্যান্যদেরকে এ ধরনের অপরাধ থেকে বিরত রাখা ও নিজের আত্মা ও শয়তান যাদেরকে এ ধরনের কাজে জড়িত হতে উৎসাহ দেয় তাদেরকে এ থেকে উপদেশ দেয়া যাতে তারা এ অপরাধে লিপ্ত না হয়।
এ সব কিছু ছাড়াও আমরা বলতে পারি, যিনি এ ধরনের শাস্তি নির্ধারণ করেছেন তিনি মানুষের অন্তরের সব খবর রাখেন, তিনি জানেন কিসে মানুষ এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকবে। [উজুবু তাতবিক আশ-শারী‘য়াহ আল-ইসলামীয়াহ, পৃষ্ঠা: ২৬১।]
“যিনি সৃষ্টি করেছেন, তিনি কি জানেন না? অথচ তিনি অতি সুক্ষ্মদর্শী, পূর্ণ অবহিত”। [সূরা : আল্-মুলক: ১৪]
তারা বলেন, শরী‘য়াহ এর শাস্তি কায়েম করা মানে মানুষের প্রাণনাশ ও অঙ্গহানি করা ইত্যাদি আরো নানা কথা।
আমরা তাদেরকে বলব: হত্যা ও অঙ্গহানি তো শুধু খারাপ লোকদের হয় যারা উৎপাদনশীল কোনো কাজ না করে মারাত্মক অপরাধ করে, আর এতে হাজার হাজার মানুষের জীবন রক্ষা হয় ও লক্ষ লক্ষ উৎপাদনশীল ভাল ও পবিত্র অঙ্গ সংরক্ষণ হয়। এছাড়া যে সব দেশে আল্লাহর বিধান কৃত শাস্তির ব্যবস্থা চালু আছে সেখানে কুৎসিত ও অঙ্গহানি লোক তেমন দেখা যায় না। কেননা আল্লাহর শাস্তির বিধান মানুষ ও অপরাধের মাঝে এক বিশাল বাধা হয়ে দাঁড়ায়, ফলে মানুষ অপরাধে লিপ্ত হয় না। এতে অপরাধ কম সংঘটিত হয় এবং শাস্তির বিধান ও কম প্রয়োগ করা হয়। আল্লাহ তা‘আলা যথার্থই বলেছেন,
“আর হে বিবেকসম্পন্নগণ, কিসাসে রয়েছে তোমাদের জন্য জীবন, আশা করা যায় তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করবে”। [সূরা আল-বাকারাহ: ১৭৯]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/371/28
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।