hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামী শরীয়াহর বাস্তবায়ন ও উম্মাহর উপর এর প্রভাব

লেখকঃ আব্দুল্লাহ ইবন স‘উদ আল-হুয়াইমিল

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ: ইসলামী শরী‘য়াহর মূল উৎসসমূহ প্রথম উৎস: আল-কুরআনুল কারীম:
ইসলামী শরী‘য়াহ এর সর্বপ্রথম ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ উৎস হচ্ছে আল-কুরআনুল কারীম। এটি قرأ ক্রিয়ার মাসদার। এর শাব্দিক অর্থ: জমা করা, একত্র করা। অতঃএব, القراءة অর্থ: উচ্চারণে এক হরফকে আরেক হরফের সাথে মিলানো। আল-কুরআনকে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর অবতীর্ণ কিতাব নামে খাস করা হয়েছে। ফলে কুরআনকে কিতাব বলা হয়। কতিপয় উলামা বলেছেন, আল্লাহর কিতাবসমূহের মধ্যে এ কিতাবকে কুরআন বলার কারণ হলো এটা অন্যান্য সব কিতাবের সারাংশ, বরং সব ইলমের সারমর্ম এতে একত্রিত হয়েছে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা এ ব্যাপারে বলেছেন:

﴿ لَقَدۡ كَانَ فِي قَصَصِهِمۡ عِبۡرَةٞ لِّأُوْلِي ٱلۡأَلۡبَٰبِۗ مَا كَانَ حَدِيثٗا يُفۡتَرَىٰ وَلَٰكِن تَصۡدِيقَ ٱلَّذِي بَيۡنَ يَدَيۡهِ وَتَفۡصِيلَ كُلِّ شَيۡءٖ وَهُدٗى وَرَحۡمَةٗ لِّقَوۡمٖ يُؤۡمِنُونَ ١١١ ﴾ [ يوسف : ١١١ ]

“তাদের এ কাহিনীগুলোতে অবশ্যই বুদ্ধিমানদের জন্য রয়েছে শিক্ষা, এটা কোনো বানানো গল্প নয়, বরং তাদের পূর্ববর্তী কিতাবের সত্যায়নকারী এবং প্রতিটি বিষয়ের বিস্তারিত বিবরণ। আর হিদায়াত ও রহমত ঐ কওমের জন্য যারা ঈমান আনে।” [সূরা ইউসুফ: ১১১]

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন,

﴿ وَيَوۡمَ نَبۡعَثُ فِي كُلِّ أُمَّةٖ شَهِيدًا عَلَيۡهِم مِّنۡ أَنفُسِهِمۡۖ وَجِئۡنَا بِكَ شَهِيدًا عَلَىٰ هَٰٓؤُلَآءِۚ وَنَزَّلۡنَا عَلَيۡكَ ٱلۡكِتَٰبَ تِبۡيَٰنٗا لِّكُلِّ شَيۡءٖ وَهُدٗى وَرَحۡمَةٗ وَبُشۡرَىٰ لِلۡمُسۡلِمِينَ ٨٩ ﴾ [ النحل : ٨٩ ]

“আর স্মরণ কর, যেদিন আমি প্রত্যেক উম্মতের কাছে, তাদের থেকেই তাদের বিরুদ্ধে একজন সাক্ষী উত্থিত করব এবং তোমাকে তাদের উপর সাক্ষীরূপে হাযির করব। আর আমি তোমার উপর কিতাব নাযিল করেছি প্রতিটি বিষয়ের স্পষ্ট বর্ণনা, হিদায়াত, রহমত ও মুসলিমদের জন্য সংবাদস্বরূপ”। [সূরা আন-নাহল: ৮৯]

উলামাগণ আল-কুরআনের সংজ্ঞায় বলেছেন:

القرآن هو كلام الله الذي أنزل على محمد ، ونقل إلينا تواترًا لنتعبد بتلاوته وأحكامه، وليكون آية دالة على صدق رسول الله في رسالته، وقد نزل به جبريل على رسول الله بلسان عربي .

আল- কুরআন হলো আল্লাহর কালাম যা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর নাযিল হয়েছে এবং আমাদের কাছে মুতাওয়াতির তথা অসংখ্য ধারাবাহিক বর্ণনার মাধ্যমে পৌঁছেছে, যাতে আমরা এর তিলাওয়াত ও আহকাম পরিপালনের মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদত করি, আর যাতে এটি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রিসালাতের সত্যতার দলিল হয়ে যায়। জিবরীল আলাইহিস সালাম এটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আরবি ভাষায় নাযিল করেছেন। [উজুব তাহকিমুশ শারীয়াহ আল-ইসলামিয়া: পৃষ্ঠা নং ১১,১২।]

আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿ وَإِنَّهُۥ لَتَنزِيلُ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ١٩٢ نَزَلَ بِهِ ٱلرُّوحُ ٱلۡأَمِينُ ١٩٣ عَلَىٰ قَلۡبِكَ لِتَكُونَ مِنَ ٱلۡمُنذِرِينَ ١٩٤ بِلِسَانٍ عَرَبِيّٖ مُّبِينٖ ١٩٥ ﴾ [ الشعراء : ١٩٢، ١٩٥ ]

“আর নিশ্চয় এ কুরআন সৃষ্টিকুলের রবেরই নাযিলকৃত। বিশ্বস্ত আত্মা এটা নিয়ে অবতরণ করেছে। তোমার হৃদয়ে, যাতে তুমি সতর্ককারীদের অন্তর্ভুক্ত হও। সুস্পষ্ট আরবী ভাষায়।” [সূরা আশ-শু‘আরা: ১৯২-১৯৫]

ফলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরবের লোকদেরকে কুরআনের অনুরূপ কিছু নিয়ে আসতে চ্যালেঞ্জ করলেন। তখনকার সময়ে তারা সাহিত্যের বাগ্মিতা ও বয়ানে ছিল সেরা। কিন্তু তারা অক্ষম হলো। এভাবেই কুরআন তাদের বিপক্ষে দলিল হিসেবে দাঁড়ালো।

আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿ وَإِن كُنتُمۡ فِي رَيۡبٖ مِّمَّا نَزَّلۡنَا عَلَىٰ عَبۡدِنَا فَأۡتُواْ بِسُورَةٖ مِّن مِّثۡلِهِۦ وَٱدۡعُواْ شُهَدَآءَكُم مِّن دُونِ ٱللَّهِ إِن كُنتُمۡ صَٰدِقِينَ ٢٣ ﴾ [ البقرة : ٢٣ ]

“আর আমি আমার বান্দার উপর যা নাযিল করেছি, যদি তোমরা সে সম্পর্কে সন্দেহে থাক, তবে তোমরা তার মত একটি সূরা নিয়ে আস এবং আল্লাহ ছাড়া তোমাদের সাক্ষীসমূহকে ডাক; যদি তোমরা সত্যবাদী হও”। [সূরা আল-বাকারা: ২৩]

আল-কুরআন হলো দ্বীনের মূলভিত্তি, ইসলামি শরী‘য়াহর মূল উৎস, সর্বযুগে ও সর্বদেশে এটি আল্লাহর সুস্পষ্ট দলিল।

সাহাবাগণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের থেকে তিলাওয়াত, হিফয, অর্থ পড়া ও এ অনুযায়ী আমল করা ইত্যাদি সরাসরি গ্রহণ করেছেন।

قال أبو عبد الرحمن السّلمي : حدثنا الذين كانوا يقرِّؤننا القرآن : عثمان بن عفان، وعبد الله بن مسعود، وغيرهما، أنهم كانوا إذا تعلموا من النبي آيات لا يتجاوزونها حتى يتعلموها وما فيها من العلم والعمل، قال : «فتعلمنا القرآن والعلم والعمل جميعًا» .

“আবু আব্দুর রহমান আস-সুলামী (রহ.) বলেছেন, আমাদের কাছে সে সব সাহাবাগণ বর্ণনা করেছেন যারা আমাদেরকে কুরআন শিখিয়েছেন, যেমন উসমান ইবন আফফান, আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ প্রভৃতি। তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে দশটি আয়াত শিখলে যতক্ষণ না এর সব ইলম ও আমল শেষ না হতো ততক্ষণ সামনে এগুতেন না। তারা বলেছেন: এভাবে আমরা ইলম ও আমল উভয় সহকারে কুরআন শিখেছি।” [মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, উজুবু তাহকীম আশ-শরী‘য়াহ আল-ইসলামীয়াহ থেকে সংকলিত, পৃষ্ঠা: ১৬।]

যুগে যুগে মুসলমানগণ কুরআন হিফয করে আসছে। মুসলিম উম্মাহ কালের পরিক্রমায় বংশানুক্রমে কোনো ধরনের পরিবর্তন বা পরিবর্ধন ছাড়াই কুরআন লিখিতভাবে বর্ণনা করে আসছে। এটা আল্লাহ তা‘আলার এ বাণীরই প্রতিফলন:

﴿ إِنَّا نَحۡنُ نَزَّلۡنَا ٱلذِّكۡرَ وَإِنَّا لَهُۥ لَحَٰفِظُونَ ٩ ﴾ [ الحجر : ٩ ]

“আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক”। [সূরা হিজর, আয়াত ৯]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন