hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সর্বযুগের বিশ্বস্ত নবী

লেখকঃ কামাল উদ্দিন মোল্লা

১৪
সকল পর্যায়ের মানবিয় চাহিদাগুলো এ রিসালত অন্তর্ভুক্ত করে
পূর্বেকার রিসালত ছিল নির্ধারিত অঞ্চল ও মানব জীবনের কতিপয় নির্ধারিত বিষয় নির্ভর। তবে সকল রিসালতই এমন এক মহান ও ব্যাপক ঘোষণা ছিল যা ছাড়া মানব জাতি ইহকাল ও পরকালের কোথাও সঠিক থাকতে পারেনা।

তাহলো প্রভুত্বের ঘোষণা-

لا إله إلا الله ـ أعبدوا الله ما لكم من إله غيره

আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই। তোমরা আল্লাহর উপাসনা কর; তিনি ছাড়া তোমাদের অন্য কোন উপাস্য নেই।

এর পর এর পাশাপাশি আসতো বিধান ও দিক নির্দেশনা যা প্রেরিত রাসূলের কাউমের জন্য প্রযোজ্য। এবং তাদের মধ্যে বিরাজমান ফাসাদ দূর করতে সক্ষম। যেমন শুয়াইব আলাইহিস সালাম তার কাউমকে বলেছেন -

أَوْفُوا الْكَيْلَ وَلَا تَكُونُوا مِنَ الْمُخْسِرِينَ ﴿১৮১﴾ وَزِنُوا بِالْقِسْطَاسِ الْمُسْتَقِيمِ ﴿১৮২﴾ وَلَا تَبْخَسُوا النَّاسَ أَشْيَاءَهُمْ وَلَا تَعْثَوْا فِي الْأَرْضِ مُفْسِدِينَ ﴿ ألشعرء :১৮৩

মাপ পূর্ণ কর এবং যারা পরিমাপে কম দেয়, তাদের অন্তর্ভূক্ত হয়োনা। সোজা দাড়ি পাল্লায় ওজন কর। মানুষকে তাদের বস্তু কম দিও না এবং পৃথিবীতে ফাসাদ সৃষ্টি করে ফিরো না।

লুত আলাইহিস সালাম বলেছেন-

أَتَأْتُونَ الذُّكْرَانَ مِنَ الْعَالَمِينَ ﴿১৬৫﴾ وَتَذَرُونَ مَا خَلَقَ لَكُمْ رَبُّكُمْ مِنْ أَزْوَاجِكُمْ بَلْ أَنْتُمْ قَوْمٌ عَادُونَ ﴿ الشعراء : ১৬৬﴾

সারা জাহানের মানুষের মধ্যে তোমরাই কি পুরুষদের সাথে কুকর্ম কর? এবং তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্যে স্ত্রীগণকে সৃষ্টি করেছেন, তাদেরকে বর্জন কর? বরং তোমরা সীমা লঙ্ঘন কারী সম্প্রদায়।

অতঃপর তাওরাত অবতীর্ণ হলো আরো ব্যাপক আকারে মানব জীবনের প্রয়োজনীয় সামাজিক অর্থনৈতিক বিষয়াদি নিয়ে। তবে এটাও নির্দিষ্ট কাওমের মধ্যে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ছিল। ঐ কাউমটি হলো বনী ইস্রাঈল।

ঈসা আলাইহিস সালাম প্রেরণ হলেন এবং তার কাউম কে আহ্বান জানালেন এ বলে-

وَمُصَدِّقًا لِمَا بَيْنَ يَدَيَّ مِنَ التَّوْرَاةِ وَلِأُحِلَّ لَكُمْ بَعْضَ الَّذِي حُرِّمَ عَلَيْكُم ْ ( آل عمران : ৫০(

আমর এটি পূর্ববর্তী কিতাব সমূহকে সত্যায়ন করে যেমন তাওরাত। আর তা এজন্য যাতে তোমাদের জন্য হালাল করে দেই কোন কোন বস্তু যা তোমাদের জন্য হারাম ছিল।

মূলত ইঞ্জিলকে মনে করা হয় তাওরাতের পূর্ণাঙ্গ রূপ ও তার কতিপয় আহকামের সংশোধনকারী অথবা বনী ঈস্রাইলের অপকর্মের ফলে তাদের উপর চেপে দেয়া আল্লাহ কর্তৃক শাস্তি সম্পর্কে নমনীয়তার বিবরণ।

অতঃপর ঐ সময়ের আগমন হলো যা আল্লাহ পূর্বেই জানতেন। তা হলো মানব সমাজ পূর্ণাঙ্গ একটি জীবন বিধান গ্রহণের যোগ্যতা অর্জন। এবং আল্লাহর মূলত উদ্দেশ্যও ছিল এই রিসালত, যা তিনি কিয়ামত পর্যন্ত ভূ-খন্ডে বহাল রাখবেন। তাই এ রিসালতকে করেছেন এমন এক ব্যাপক রিসালত যা সকল ক্ষেত্রে মানব জাতির সকল চাহিদা পূরণে সক্ষম। এবং তা প্রেরণ করেন নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট।

এই রিসালতের সূচনাতেই ছিল ঐ মহান বিপ্লবী ঘোষনা যা অন্য সকল রিসালতে ছিল। তাহলো প্রভুত্বের ঘোষনা কারণ এটাই হচ্ছে মানব জীবনের মৌলিক বিষয়াবলীর মধ্যে সর্ব প্রথম বিষয়, কারণ প্রভুর পরিচয় ছাড়া পৃথিবীতে কোন সংস্কার করাই সম্ভব হয় না। এজন্য দুনিয়াতে ভালো লোকদের এটাই হয় প্রথম চাহিদা।

অতঃপর এতে রয়েছে মানব জীবনের সকল ক্ষেত্রের দিক নির্দেশনা ও কার্যকরী বিধান- রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক ও চারিত্রিক ইত্যাদি। এখানে সব বিষয়ের বিস্তারিত পর্যালোচনা সম্ভব নয়। মূলত এটা হচ্ছে ইসলামী শরীয়ত ও শাস্ত্রবিদদের গবেষণার বিষয়। এখানে বিষয়ের সাথে সংস্লিষ্ট তিনটি বিষয় আলোচনা হবে।

সার্বিকভাবে বলা যায় মানব জীবনের এমন কোন বিষয় নেই যে বিষয়ে ইসলাম বিধান অথবা গঠন মূলক বক্তব্য পেশ করেনি। ইসলাম সংগঠিত করে মানুষের সাথে তার প্রভুর সম্পর্কের তা হলো আল্লাহর একাত্ববাদ ও তার আনুগত্যে অবিচল থাকা। এবং মানুষের সাথে তার আত্মার সম্পর্কের- তা হচ্ছে আত্মশুদ্ধি। যে দিকে قد افلح من زكاها আয়াত দিক নির্দেশনা দেয়। এবং এ আত্মশুদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সকল গুণাবলী ও কাজের। মানুষের সাথে অপরাপর বিষয়ের সম্পর্কের- রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক সম্পর্ক অর্থাৎ ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে ব্যক্তি ও পরিবারে, ব্যক্তিও সমাজে, শাসক ও শাসিতে, মুসলিমে অমুসলিমে সম্পর্ক। স্বাভাবিক ও অস্বাভাবিক অবস্থায় যা বর্তমান সমাজে প্রচলিত পরিভাষায় দেওয়ানি আইন, ফৌজদারী আইন, ব্যবসায়িক আইন, কার্যপ্রনালী বিধি আইন, শাসনতান্ত্রিক আইন, আন্তর্জাতিক আইন ইত্যাদি আইনের আওতায় প্রকাশ হয়।

বরং বলা যায় ইসলাম মনোযোগ দেয় জীবনের সকল বিষয়ের দিকে যার দিকে পুর্বেকার কোন রিসালত অথবা মানবিয় কোন সংগঠন দৃষ্টি দেয়নি।যেমন : পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতা।

আল্লাহ বলেন-

وثيابك فطهر ( ألمدثر : ৪(

আপন পোশাক পবিত্র করুন।

يَا بَنِي آَدَمَ خُذُوا زِينَتَكُمْ عِنْدَ كُلِّ مَسْجِدٍ ( الأعراف : ৩১(

হে আদম সন্তান! তোমরা প্রত্যেকে নামাযের সময় সাজ সজ্জা পরিধন কর।

وَالْخَيْلَ وَالْبِغَالَ وَالْحَمِيرَ لِتَرْكَبُوهَا وَزِينَةً ( النحل : ৮(

তোমাদের আরোহনের জন্যে এবং শোভার জন্যে তিনি ঘোড়া, খচ্চর ও গাধা সৃষ্টি করেছেন।

সৃষ্টির সৌন্দর্য-

وَلَكُمْ فِيهَا جَمَالٌ حِينَ تُرِيحُونَ وَحِينَ تَسْرَحُونَ ﴿ألنحل :৬﴾

এদের মধ্যে তোমাদের সৌন্দর্য রয়েছে যখন বিকালে চারণভূমি থেকে নিয়ে আস এবং সকালে চারণ ভূমিতে নিয়ে যাও।

انْظُرُوا إِلَى ثَمَرِهِ إِذَا أَثْمَرَ وَيَنْعِهِ ( الأنعام : ৯৯)

বিভিন্ন গাছের ফলের প্রতি লক্ষ্য কর যখন সেগুলো ফলন্ত হয়।

أَمَّنْ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَأَنْزَلَ لَكُمْ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَأَنْبَتْنَا بِهِ حَدَائِقَ ذَاتَ بَهْجَةٍ ( النمل : ৬০(

বল তো কে সৃষ্টি করেছেন নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল এবং আকাশ থেকে তোমাদের জন্য বর্ষন করেছেন পানি অতঃপর তা দ্বারা আমি মনোরক বাগান সৃষ্টি করেছি।

(২) আল্লাহ তাআলা -যিনি এই শরীয়তকে কিয়ামত পর্যন্তের জন্য নির্ধারণ করেছেন- তিনি জানতেন যে মানুষ তাদের জীবনে অনেক বিষয় দেখতে পাবে এবং দ্বীন অবতীর্ণের দিবসে মানুষের জীবনাচরণ যে অবস্থায় আছে সে অবস্থা সব সময় থাকবে না। এজন্য ইসলামী শরীয়তে আমরা দুই প্রকারের বিধান দেখতে পাই।

(ক) পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা সম্বলিত বিধান ঐ সকল বিষয় যা মানব জীবনে প্রয়োজনীয় ও অপরিবর্তনীয়। যেমন- ইবাদতের অনুষ্ঠানাদি, দন্ড বিধি, বিপরিত লিংগের সাথে সম্পর্ক, পারিবারিক সম্পর্ক ও অমুসলমানদের সাথে মুসলমানদের সম্পর্ক।

(খ) সাধারণ বিধান যার ভিত্তি কতিপয় মূলনীতির উপর বিস্তারিত ব্যাখ্যা নাই। যেহেতু আল্লাহ তাআলা জানেন মানব জীবনের অবস্থা, পরিবেশ, জীবন ধারণ, ভূ-ভাগের পরিবর্তনে ও আল্লাহর প্রদত্ত মানব শক্তির ব্যবহারের ফলে ঐ সকল বিধানে পরিবর্তনের প্রয়োজন হবে।

আল্লাহ বলেন-

وَسَخَّرَ لَكُمْ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا مِنْهُ ( الجاثية : ১৩(

এবং আয়ত্বাধীন করে দিয়েছেন তোমাদের যা আছে নভোমন্ডলে ও যা আছে ভূ মন্ডলে; তার পক্ষ থেকে।

যেমন রাজনীতি ও অর্থনীতি যা যুগের চাহিদা ও প্রেক্ষাপটে পরিবর্তন হয়। তবে এ পরিবর্তনের পরও অবশ্যই পালনীয় হচ্ছে, কতিপয় মৌলিক নীতির উপর রেখে পরিবর্তন করতে হবে। শাসন নীতির পরিবর্তন হবে তবে আল্লাহর দেয়া সীমা রেখার মধ্যে থেকে তাকে বিকৃতি করে নয়। আইন প্রয়োগ হবে আদল বা ইনসাফ ভিত্তিক, আদলের বিপরীত দূর্নীতি অথবা অন্য কোন পথে নয়। সত্য কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের বাধা দানের ক্ষেত্রেও মৌলনীতি পরিবর্তন করা যাবে না।

এমনিভাবে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসবে কিন্তু মূলনীতি বিকৃতি করা যাবে না। যেমন- সুদ, অবৈধভাবে মূল্য বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে মজুত করণ, জবর দখল, লুন্ঠন করা, প্রতারণা করা, চুরি করা তা যে কোন পদ্ধতিতেই হোক না কেন? এমনি ভাবে সম্পদ সঞ্চিত না করা, গুনাহের কাজে ব্যয় না করা,বরং যাকাত প্রদান করা, আল্লাহর পথে ব্যয় করা। এই মূলনীতি বহাল রেখে পরিবর্তন করলে শরীয়তের উদ্দেশ্য ও যুগের চাহিদা উভয়টির প্রতিফলন ঘটবে।

(৩) কতিপয় বিষয় যে গুলো সম্পর্কে কোন নাছ বা শরয়ী ব্যাখ্যা নেই এ সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-

إن الله تركها رحمة با لناس غير النسيان ( الحاكم (

নিশ্চয় এগুলো আল্লাহ তাআলা বর্জন করেছেন মানুষের প্রতি করুনা করে ইচ্ছাকৃত ভাবে, ভুল করে নয়। মানুষের চাহিদানুযায়ী নব নব আবিস্কার গুলোও এর আওতায় আসবে এ বিষয়টি গবেষণার জন্য উন্মুক্ত তবে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যাতে শরয়ী বিধানের সাথে সংঘর্ষক না হয়।

এই বিবরণের ফলে পরিস্কার বুঝা যায় মানব সভ্যতার উন্নয়ন অগ্রগতি ইসলামী শরীয়তের শুরু হতে কিয়ামত পর্যন্ত ইসলামী পরিবেশে থেকেই সম্ভব। সুস্থ অগ্রগতিতে ইসলাম কোন বাধা নয়। হ্যাঁ ইসলামী শরীয়ত বিকৃতি করে অগ্রগতি করতে চাইলে ইসলাম সেখানে সংশোধনের জন্য পথ নির্দেশ করে। কারণ এর উদ্দেশ্যই হলো মানব জীবনকে সুগঠিত করণ সুবিন্যস্ত করণ সকল যুগে সকল পরিবেশে। যাতে সর্বাবস্থায় মানুষ আল্লাহর সৃষ্টি ও ইচ্ছানুযায়ী পরিচালিত হয়।

আল্লাহ বলেন-

لَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنْسَانَ فِي أَحْسَنِ تَقْوِيمٍ ﴿৪﴾ ثُمَّ رَدَدْنَاهُ أَسْفَلَ سَافِلِينَ ﴿৫﴾ إِلَّا الَّذِينَ آَمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ ( ألتين : ৪-৬)

আমিতো সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতম গঠনে। অতঃপর আমি তাকে হীনতা গ্রস্তদের হীনতমে পরিণত করে। কিন্তু তাদেরকে নয় যারা মুমিন ও সৎকর্ম পরায়ন; তাদের জন্য তো আছে নিরবাচ্ছিন্ন পুরস্কার। অতএব, ইসলাম আধুনিকতা, ও বিজ্ঞান বিরোধী নয়, বরং ইসলামেই মুসলমানদের উৎসাহিত করেছে বিজ্ঞানের এক বিশাল ভান্ডার সৃষ্টিতে। তাদের বিজ্ঞান গবেষণার বড় দৃষ্টান্ত হলো তাদের বিজ্ঞানাগারেই ইউরোপীয় বিজ্ঞানীদের জন্ম। তাও আবার মুসলমানদের হাতেই স্পেনে, উত্তর আফ্রীকাতে, সিসিলিতে, দক্ষিণ ইসলামিক ইটালীতে যার উপরেই নির্ভর করে গড়ে উঠল আধুনিক বিজ্ঞান। ইসলামী সভ্যতায় করেছিল পৃথিবীকে আলোকিত যখন ইউরোপ মধ্যযুগী অন্ধকারে হাবুডুবু খাচ্ছিল। সময়টি তাদের জন্য ছিল অন্ধকার আর ইসলামের জন্য ছিল অতি উজ্জ্বল। এই সভ্যতার বিস্ময়কর দিক হলো সকল ক্ষেত্রে সকল দিকে যেখানেই মানুষের বসতি ছিল সেটাকেই এই সভ্যতা জয় করেছিল। তবে স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করে নয়। যেমনটি আধুনিক জাহিলী সভ্যতা- পশ্চিমা জগত- করে চলছে। এবং তা করেছে ইহকাল ও পরকালের মধ্যে বিভক্তিকে নথিভূক্ত করে। যে সভ্যতা জোর পূর্বক ঠেলে দেয় মানুষকে সস্তা ভোগের সামগ্রীর দিকে যা থেকে নিশ্চিত সৃষ্টি হয় ফাসাদ- স্বভাবে, চরিত্রে, জন্ম হয় ভয়ানক সংঘাতের যা ভূখণ্ডকে ধ্বংসের সম্মুখীন করে।

ইসলাম ব্যতিক্রমধর্মী শ্রেষ্ঠ ও সেরা সভ্যতার নির্মাণ করে আবার তা হয় আল্লাহ প্রদর্শিত পন্থায়। এর ফলে মানুষ জাগতিক সুখ, আরাম আয়েশী জীবন থেকেও বঞ্চিত হয় না, আবার মানবীয় কাঠামোও ঠিক থাকে। এ সভ্যতায় মানুষ দুনিয়া ভোগ করে কিন্তু মনুষ্য স্তর হতে পশু স্তরে নেমে আসেনা।

قُلْ مَنْ حَرَّمَ زِينَةَ اللَّهِ الَّتِي أَخْرَجَ لِعِبَادِهِ وَالطَّيِّبَاتِ مِنَ الرِّزْقِ قُلْ هِيَ لِلَّذِينَ آَمَنُوا فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا خَالِصَةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ كَذَلِكَ نُفَصِّلُ الْآَيَاتِ لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ ﴿الأعراف :৩২

হে মুহাম্মদ! তুমি জিজ্ঞেস কর যে, আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জন্যে যেসব শোভনীয় বস্তু ও পবিত্র জীবিকা সৃষ্টি করেছেন, তা কে নিষিদ্ধ করেছে? তুমি ঘোষণা কর, এ সব বস্তু পার্থিব জীবনে, বিশেষ করে কিয়ামতের দিনে ঐসব লোকের জন্যে যারা মুমিন হবে, এমনি ভাবে আমি জ্ঞানী সমপ্রদায়ের জন্যে নিদর্শন সমূহ বিশদ ভাবে বিবৃত করে থাকি।

وَالَّذِينَ كَفَرُوا يَتَمَتَّعُونَ وَيَأْكُلُونَ كَمَا تَأْكُلُ الْأَنْعَامُ وَالنَّارُ مَثْوًى لَهُمْ ﴿محمد :১২﴾

যারা কুফরী করে ভোগ- বিলাসে লিপ্ত থাকে এবং জন্তু জানোয়ারের মত উদর পূর্তি করে তাদের নিবাস জাহান্নাম।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন