hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সর্বযুগের বিশ্বস্ত নবী

লেখকঃ কামাল উদ্দিন মোল্লা

ইনসানে কামিল:
নিঃসন্দেহে বলা যায় মানব জাতির ইতিহাসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হলেন সবার সেরা, শুধু তাই নয়; যেসব শ্রেষ্ঠ ব্যাক্তিত্ব পৃথিবীতে আগমন করেছেন তাদের সকলের মধ্যে তিনি শ্রেষ্ঠ এমনকি নবী রাসুলদের মধ্যেও তিনি শ্রেষ্ঠ।

যদি রাজনৈতিক মানদন্ডে তাঁকে মূল্যায়ন করি তাহলে দেখতে পাবো তিনি রাজনৈতিক নেতৃত্ব দিতে গিয়ে এমন একজাতির নেতৃত্ব কাঁধে নিলেন। যে জাতি ছিল পরস্পর বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত, অনৈক্য, লক্ষ্যহীন, ও বর্বর। তিনি তার যোগ্য নেতৃত্বে অকল্পনীয় কার্য ক্ষমতার বলে এই জাতির মধ্যে ঐক্য একতা, অভিন্ন লক্ষ্য উদ্দেশ্য, মুহাব্বত মমতাবোধ প্রতিষ্ঠা করেছেন। ফলে তারা ভুলে গিয়েছে অতীতের সকল পঙ্কিলতা। অতঃপর তাদেরকে নিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অগ্রসর হন। সে খানেও সম্মানের সাথে সকল গোষ্ঠী শ্রেণীর মধ্যে তাদের আসন প্রতিষ্ঠা করেছেন, তাহলে আমরা কি তাকে رجل عظيم মহান ব্যক্তিত্ব বলবো না? তিনি কি শুধু এ দায়িত্বই পালন করেছেন ? কেমন হবে যদি সফল রাজনীতি হয় তার জীবনের অসংখ্য গুণাবলীর মধ্যে ক্ষুদ্র একটি দিকমাত্র। এবং যারা শুধু রাজনীতিতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী তাদের সকলে মধ্যে তিনি হয়েছেন সবার সেরা।

একজন সমাজ সংস্কারক যদি আমরা পাই যিনি তার সমাজে পেয়েছেন মুর্খতা, সামাজিক কুসংস্কার, লাগামহীন অসভ্যতা, যেখানে ছিল দাম্ভিকতা ব্যক্তির বৈশিষ্ট্য, স্বার্থপরতা সামাজিক প্রতীক, সবলরা জুলুম করতো দূর্বলের উপর, ধনী ভোগ করতো গরিবের সম্পদ, সামাজিক ঐক্য একতা বলতে কোন কিছু ছিলনা। হানাহানি চলতো ক্ষমতা, পদ, আর সম্পদ নিয়ে। সুযোগ সন্ধান করতো এসবের জন্য। একে অপরের অধীকারের কোন তোয়াক্কা করতো না। ছিলনা কোন দায়িত্ববোধ। তিনি শপথ নিলেন সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা, কুসংস্কার দূর করার।আবিস্কার করলেন ভারসাম্যের- ব্যক্তি ও সমাজে শাসক ও শাসিতের মাঝে। জাতির ধনিক শ্রেনীর হৃদয় সৃষ্টি করলেন গরীবদের জন্য সহমর্মিতা তাদের সম্পদে গরীবদের করলেন অংশীদার, সমাজের সবাই যেন এক পরিবারের সদস্য। একে অপরের দায়িত্বশীল, সহযোগীও সহমর্মী। এরপরও আমরা তাকে মহান ব্যক্তি বলবনা?

আমরা যদি দেখতে চাই একজন নীতিবান ব্যক্তিত্বকে যিনি তার সমাজে দেখতে পান চারিত্রিক অধপতন, মিথ্যা, কপটতা, ধোকা, প্রতারণা, লুটফাট, মদ, ব্যাভিচার, জুয়া, খুন-খারাবী, ডাকাতি, ব্যক্তি তার নিজের উপরও আস্থাশীল নয়। বাহুবল না থাকলে আপন অধিকার আদায় হয় না। প্রাপক যদি দূর্বল হয় তাকে গিলে ফেলে যেমন নেকড়ে তার শিকারকে গিলে। এই চরিত্র সংশোধন করা যদি ঐ অসাধারণ ব্যক্তির অগনিত বৈশিষ্ট্যের একটি অংশ হয়; তখন তার সম্পর্কে আমরা কি মন্তব্য করবো। তাকে কি আমরা মহান নীতি সংস্কারক বলবো না। আবার ইতিহাসে যারা শুধু চরিত্রনীতি সংস্কারে জীবন অতিবাহিত করেছেন তাদের মধ্যেও তিনি যদি হয় সবার সেরা ব্যক্তি?

এমন একজন অভিভাবক যদি পাই যিনি প্রতিজ্ঞা করেছেন একটি শিক্ষিত জাতি গড়ার। আপন প্রতিজ্ঞায় তিনি সফলও হয়েছেন। এমন এক জাতি গড়েছেন যাদের মধ্যে প্রত্যেকেই আপন কর্মক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ। উত্তম আদর্শ- চরিত্রে ও আচরণে। ব্যক্তিত্বে সুদৃঢ়- এমন সুদৃঢ় যে প্রবৃত্তি তাকে খেল তামাশা করতে অথবা কোনো নেশা তাঁকে আন্দোলিত করতে পারে না। তারা পাহাড়ের মত স্থীর। চলমান বিশ্ব সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পোষণকারী ও কর্মক্ষম। তারা ব্যক্তিত্বে ও মহান। এ কাফেলার সবাই তার সঞ্চালণে এক সাথে নড়ে উঠতো। কেমন হবে যদি এ হয় তার অনেক গুলো বৈশিষ্ট্যের মধ্যে একটি মাত্র দিক। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ ক্ষেত্রেও ইতিহাসের সকল শ্রেষ্ঠ অভিভাবককে ছাড়িয়ে গেছেন। ঐ প্রজন্ম দ্বারা যাদের তিনি প্রত্যক্ষভাবে তত্ত্বাবধান করেছিলেন। ফলে ঐ প্রজন্ম হতে প্রত্যেকেই অর্জন করেছিল আপন আপন ক্ষেত্রে মানবীয় গুনাবলীর সর্বশ্রেষ্ঠ বৈশিষ্ট্য সমূহ। এরপরও আমরা তাকে মহান ব্যক্তি বলবো না?

এমন এক সেনা প্রধান যদি পাই যিনি আত্ম নিয়োগ করেছেন সৈনিকের পেছনে আর গড়ে তোললেন এমন এক বিশাল সৈন্য বাহিনী যাদের প্রত্যেকেই সীপাহী ও সেনা প্রধান উভয় ক্ষেত্রে সমানভাবে শ্রেষ্ঠ। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন- নিজের কাছে অপছন্দনীয় কাজে ধর্য্যের, তীব্র মূহুর্তে দৃঢ়তার, ঝুঁকিপূর্ণ সময় সাহসিকতার। তাদের নিয়ে লড়াইয়ে নিমগ্ন হতেন আর বিজয় ছিনিয়ে আনতে। তারা ভালো বাসতেন সেনা প্রধানকে আদেশের অনুসরণ করতেন, বাস্তবায়ন করতেন তার শিক্ষার, মৃত্যুর মুখে কে আগে যাবে, তাদের মধ্যে প্রতিযোগীতা লেগে যেতো। তাদের কাম্য ছিল শাহাদাত, তা তারা খোঁজে বেড়াতো। যেন তাদের নিয়তিতে দুইটির যে কোন একটি কল্যাণ লেখা থাকতো হয়তো শাহাদাত নয়তো বা বিজয়। এমন প্রশিক্ষককে মহান বলবো না? আবার দেখি এ মহানয়ক শুধু সমর বিদ্যা শিক্ষায় তাদের শ্রেষ্ঠ করেছেন তা নয় তিনি তাদের উত্তম চরিত্রও প্রশিক্ষণ দিলেন যা লড়াইয়ের ময়দানেও ফুটে উঠতো। যে চরিত্র তারা লড়াইয়ের ভীতিকর অবস্থায়ও ভুলতেন না এবং কোন অপছন্দীয় বস্তু তাদের কে চারিত্রিক সীমারেখা থেকে বিচ্যুত করতোনা। বরং রনাঙ্গনের কঠিন তম মূহুর্তে আখলাকী নজরানা তারা পেশ করতেন শত্রু মিত্র উভয়ের জন্য- সমান ভাবে। আবারো কি বলতে বাধ্য হবো না যে তিনিই শ্রেষ্ঠ কায়েদ?

এ কায়েদের পরশ ছোঁয়ায় যুদ্ধে তাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্যও হতো ব্যতিক্রম। লড়াই করে বিজয় অর্জন অথবা রাজ্যের আয়োতন বৃদ্ধি বা খ্যাতি অর্জন নয়। বরং মহা পবিত্র এক লক্ষ উদ্দেশ্য অর্জনের আগ্রহে অর্থাৎ আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং উহাকেই তারা লড়াইয়ের মূল স্প্রীট, বিজয় ফলাফল, ও লাভ বলে মনে করতেন। এর জন্যই তাদের সামনে অগ্রসর হওয়া কদম ফেলা এবং এর উপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন হতো তাদের লড়াইয়ের মান। এখন তাকে শুধু মহান কায়েদ বললে চলে?

কেমন হবে এ ব্যতিক্রম আদর্শ প্রতিষ্ঠায় তিনি যদি হয় একমাত্র ব্যক্তি মানবীয় ইতিহাসের লড়াই জগতে। আবার এ যদি হয় তার গুনাবলীর পবিত্র জুড়ির মধ্যে এটি একটি মাত্র ক্ষুদ্র অংশ।

যদি কোন মানুষ আত্ম নিয়োগ করে বন্দেগীর জন্য এবং এর মাধ্যমে আত্মাকে সুস্থ ও স্বচ্ছ সতেজ করে তুলে। এক মূহুর্তের জন্যও সে তার প্রতিপালককে ভুলে না। ক্ষনিকের জন্য ও তার সাথে স্রষ্টার সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয় না। সারাক্ষণ হৃদয়ের যোগাযোগ থাকে প্রতিপালকের সাথে- নামাযে, কাজে কর্মে ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত কাজে। মানুষের সাথে বন্ধুত্বেও দায়াপরবশ, কাজে সুদক্ষ ও একনিষ্ঠ। সকল কর্মকান্ডেও বিচার কার্যে তার উপর আল্লাহ ভীতি প্রভাব বিস্তার করে। আবার যদি দেখি এই মানুষটি সক্ষম হয়েছে এক বিরাট কাফেলাকে জন্ম দিতে যাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন আল্লাহর সাথে গভীর সম্পর্কে নিমগ্ন থাকতে। নিয়মিত আল্লাহর স্মরণের। ফলে তারা উঠতে বসতে এমনকি ঘুম যেতে অর্থাৎ সর্বাবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করতো। অর্জন করেছিল পূত আত্মা। আল্লাহর উপর ঈমানেই তাদের কাজে কর্মে চিন্তা গবেষণা ও অনুভূতিতে চালিকা শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল। দুনিয়ার অর্থ- সম্পদ সুখ-শান্তি আরাম আয়েশের পেছনেও তাদের মূল উদ্দেশ্য থাকতো আল্লাহর তাকওয়া ও সন্তুষ্টি লাভ করা।

তাহলে আমরা কি বলবোনা আত্মার জগতে এক পূত পবিত্র ও বিরল আত্মা? একই সাথে সম্মানিত সাহাবায়ে কেরামের মাঝেও এসব গুনাবলী রোপন করার বিরল যোগ্যতার প্রমাণও একমাত্র তার পবিত্র জীবনীতেই মিলে। যা অন্য মহা পুরুষের বেলায় অনুপস্থিত। এই সব গুলোই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ব্যক্তিত্বের এক একটি অনু অংশ মাত্র। যে দিকগুলোর একটি প্রতিষ্ঠার জন্য যারা জীবন নিঃশেষ করেছেন তাদের সকলকেও এ ক্ষেত্রে তিনি পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছেন।

প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আজমত শুধু এ সমস্ত ব্যক্তিত্বের যোগ্যতার সম্মিলন তার মধ্যে রয়েছে তার জন্য নয়; এর চেয়ে আরো মহৎ ও বড় কারণও রয়েছে তিনি মহান হওয়ার। আর তাহলো অনেকগুলো কর্মব্যস্তয় থাকার পরও একটির কারণে অন্যটি তিনি ভুলে যান না। অন্যটির ব্যাপারে অমনোযোগী হোননা। রাজনৈতিক নেতৃত্বের কারণে সামরিক নেতৃত্বের ব্যাপারে অন্যমনস্ক হন না। সমাজ সংস্কারের কারণে চরিত্র সংস্কারে বেখবর হননা। আবেদের ভূমিকায় অবতির্ণ হতে গিয়ে অভিভাবকের ভূমিকা সম্পর্কে অসতর্ক হোন না। বরং এসব কিছুর মাঝেও তিনি পরিবার, স্ত্রী, সন্তান সন্ততী বিষয়ও মনোযোগী ছিলেন। তিনি ছিলেন স্বামী হিসাবে শ্রেষ্ঠ। পিতা হিসাবে শ্রেষ্ঠ। যদি কোন মানুষ একান্তভাবে মনোযোগী হয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পরিবারের মত কোন পরিবারের চাহিদা মিটাতে, খেদমত করতে ভালোবাসতে, ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে পারে তাহলে আমরা তাকে শ্রেষ্ঠ মানুষ বলবোনা? অতএব যার মধ্যে সকল দিক, সকল বৈশিষ্ট্যর, সমানভাবে সম্মিলন হলো, একটির অধিকার আদায় করতে গিয়ে অন্যটির ব্যাপারে অসতর্ক হলেন না, তাকে আমরা ইনসানে আজীম ইনসানে কামেল বলবোনা?

এবাদতে পাঁ ফুলে উঠছে। এবাদতের স্বাদ উপভোগ করছেন পাঁয়ের দিকে খেয়াল নাই। আম্মাজান আয়েশা রা. তার কষ্ট দেখে মায়া লাগলো। তাকে বললেনঃ এবাদত কমিয়ে শরীরকে একটু আরাম দিন। আল্লাহ তো আপনার অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ সব মোচন করে দিয়েছেন। উত্তরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন - أفلا أكون عبادا شكورا আমার উপর যার এতো করুনা এতো অনুগ্রহ আমি কি তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কারী হবো না? এই একটি ইবাদত। এ একটি কাজে তার সাথে কেউ মোকাবেলায় দাঁড়াতে পারবেনা। অন্যগুলোকে না হয় বাদ দিলাম। তো এই ইবাদত কি তার অন্য কর্মব্যস্ততায় বিগ্ন সৃষ্টি করেছে? যার কারণে রাজনীতিতে, চরিত্র সংশোধনে, জিহাদের ময়দানে, প্রশিক্ষণে, অথবা ঐ সকল মহান পুরুষ তৈয়ার করতে সময় দিতে পারেন নাই- যারা সকল ক্ষেত্রে ইতিহাসের সেরা ব্যক্তিত্ব হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছেন? যেমন- আবু বকর, ওমর, উসমান, আলী, খালিদ, ইকরামাহ, আসমা, সুমাইয়্যাহ তাদের ছাড়া আরো কত শত। রাদিয়াল্লাহু আনহুম। শপথ আল্লাহর এমনটা কখনো নয়। নিশ্চয় অনেকগুলো মহত্ব একটির চেয়ে অপরটি আরো বড় আরো মহান। যার সবকটি এই মহান ব্যক্তিত্ব্বে, এই মহান পুরুষে, এই মহান রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মধ্যে সম্মিলন ঘটেছিল।

আম্বীয়া আলাইহিমুস সালামের সাথে যদি তাকে তুলনা করি সেখানেও তিনি সেরা ব্যক্তিত্ব হিসাবে প্রমাণ মিলে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ব্যক্তিত্বে সম্মিলন ঘটে ছিল ঐ সকল শ্রেষ্ঠত্ব যার এক একটি ভিন্ন ভিন্নভাবে অন্যান্য নবী রাসূলদের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে এসেছিল।

নূহ আ. এর শ্রেষ্ঠত্ব যদি হয় দীর্ঘ ধর্য্যের কারণে, কাউমের বিরামহীন প্রতিরোধের মধ্যেও তিনি তাওহীদের দাওয়াত দীর্ঘ সময় ধরে অবিরাম, ক্লান্তহীন ভাবে চালিয়ে ছিলেন এ জন্যে । ইব্রাহীম আ. এর শ্রেষ্ঠত্ব যদি হয় সহনশীলতা, নম্রতা, উম্মতের নিকট হক্ব পৌঁছাতে গিয়ে কোমল আচরণ, আল্লাহর আদেশের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন, তার আনুগত্যের জন্য দ্রুত অগ্রসর হওয়ার মাধ্যমে। মুসা আ. যদি শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন বিচক্ষণ নেতৃত্বের জন্য যে নেতৃত্বে সম্পৃক্ত হয়েছিল বনী ঈস্রাইল এবং তারা এ আন্দোলনে সফলও হয়ে ছিল। ফলে তারা বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিল, অপদস্থ ও হীনতা থেকে স্বাধীনতা ও সম্মানের দিকে। এবং এমন একজাতি গঠন হলো যারা পরিচালিত হতো আল্লাহর শরীয়ত অনুযায়ী। যদি ঈসা আ. এর স্বতন্ত্রতা অর্জন হয় আধ্যাতিকতা, নম্রতা, বিনয়তার জন্যে। যা দ্বারা বিধ্বংসী বস্তুবাদ যা সারা পৃথবীতে বিস্তৃতি লাভ করেছিল, মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে ছিলেন এক ঝাঁক শিষ্যকে (যারা হাওয়ারী হিসাবে পরিচিত) উন্নত মানের চরিত্র, আধ্যাত্মিকতা ও তাদের রাসুলের শিক্ষার আনুগত্যতার জন্য।

এবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবনী দেখুন তার একক জীবন চরিত্রে এর সবগুলোই জমা হয়েছিল এবং এর প্রভাব ও ছিল পূর্বেকার সকল আম্বীয়া আ. থেকে অনেক বেশী। এ হলো মহান আল্লাহর অনুগ্রহ যাকে ইচ্ছে হয় তাকে তিনি দান করেন। মূলত এসব স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য দিয়ে আল্লাহ তাআলা তাকে সর্বশেষ ও পূর্ণাঙ্গ রিসালতের জন্য প্রস্তুত করে ছিলেন।

আল্লাহ বলেন :

هُوَ الَّذِي أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَى وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ ( الصف : ৯(

তিনি, তাঁর রাসূলকে পথ নির্দেশ ও সত্যধর্ম দিয়ে প্রেরণ করেছেন যাতে একে সব ধর্মের উপর প্রবল করে দেন।

وَأَنْزَلَ اللَّهُ عَلَيْكَ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَعَلَّمَكَ مَا لَمْ تَكُنْ تَعْلَمُ وَكَانَ فَضْلُ اللَّهِ عَلَيْكَ عَظِيمًا ﴿ النساء : ১১৩﴾

আল্লাহ আপনার প্রতি ঐশী গ্রন্থ ও প্রজ্ঞা অবতীর্ণ করেছেন এবং আপনাকে এমন বিষয় শিক্ষা দিয়েছেন, যা আপনি জানতেন না। আপনার প্রতি আল্লাহর করুনা অসীম।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন