hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সর্বযুগের বিশ্বস্ত নবী

লেখকঃ কামাল উদ্দিন মোল্লা

ইসলাম শূন্য পৃথিবী :
ইসলামের আগমন পূর্বকালে সমগ্র মানবতা নিপতিত ছিল ভয়াবহ দুরবস্থায়। এমন এক অন্ধকার বিরাজ করছিল; যেখানে আলোর প্রভা ছিল একেবারেই অনুপস্থিত।

শুধু একক আরব উপ-দ্বীপ নয়, বরং তৎকালিন সময় সমগ্র পৃথিবীই জাহেলিয়াতের অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল।

দুই পরাশক্তি- রোম এবং পারস্য তৎকালিন দুনিয়ার অধিকাংশ অঞ্চল শাসন করত। উভয়ের ছিল স্বতন্ত্র ঐতিহ্যবাহী সভ্যতা সংস্কৃতি। তবে এ সভ্যতার মানদন্ড কি? এবং কোন ধরণের চিন্তা চেতনা, মানসিকতা, ও আধ্যাতিকতার ভিত্তিতে তাদের সভ্যতা সংস্কৃতিতে মানুষ বসবাস করতো তা আলোচনা হওয়া প্রয়োজন।

পারস্যঃ কিসরা ছিল শাসক (কিসরা: প্রাচীন পারস্য সম্রাটের উপাধি)। তবে তিনি প্রচলিত অথের্র রাজা ছিলেন না; ছিলেন ইলাহ বা উপাস্য।

তার প্রতি অভিবাদন ও সম্মান প্রদর্শন করা ছিল আল্লাহর উপাসনার মত। ফটকের পর ফটক পার হয়ে তার সামনে উপস্থিত হতে হতো। আর যখনই তার সম্মুখে কোনভাবে উপস্থিত হওয়া যেত তখনই সেজদায় লুটিয়ে পড়তে হতো। এবং অনুমোতি না পেলে মাথা উঁচু করা ছিল অসম্ভাব।

আরজি পেশের পূর্বে অনিচ্ছা সত্তেও এক গুচ্ছ প্রশংসা, বিনয় ও আন্তরিকতা প্রকাশের মাধ্যমে করতে হতো।

প্রাসাদ হতে অতিক্রম কালে কিসরা প্রাসাদ কে পৃষ্ঠ দিয়ে আসা ছিল একেবারেই অসম্ভব। কিসরার চোখের আঁড়ালে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সামনে মুখ করেই চলতে হতো। কারণ, তথাকথিত এই মাবুদ কে পৃষ্ঠ প্রদর্শন ছিল প্রজাদের জন্য জঘন্য অপরাধ। একে কিসরার মর্যাদা হানি এবং তার সম্মানের পরিপন্থী মনে করা হতো।

বস্তুতঃ মানুষ এই তথাকথিত মাবুদের কাছে কৃতদাস বলে গন্য হতো। যে ব্যক্তিই হোক তার জীবন- যাপন ছিল কিসরার অনুগ্রহ নির্ভর অথবা যুগ যুগ ধরে চলে আসা কিসরাদের প্রচলিত আইনের অন্ধনুকরণ করে জীবন যাপন।

সল্প সংখ্যক লোক- রাজ্যের সুখ, আরাম, আয়েশ উপভোগ করতো। তারা হলো কিসরার অমাত্যবর্গ- যারা সাধারনের উপর শাসন করতো কিসরার সাথে একযোগে। এ ছাড়া বিরাট জন গোষ্ঠী অভাব- অনটন, জুলুম- নির্যাতন ও অমানবিক জীবন যাপন করতে হতো।

কারণে অকারণে তাদের যুদ্ধ বিগ্রহে বাধ্য করা হতো এবং এ সকল যুদ্ধে অসংখ্য নিরীহ মানুষ নির্ভর যোগ্য কোন কারণ ছাড়াই জীবন বলি দিতেন এবং যারা বেঁচে থাকতেন তারাও গোলামির জিঞ্জিরে আবদ্ধ থাকতেন এবং অসহনীয় যন্ত্রণা য় জীবন যাপন করতেন।

বড়ত্ত্বও ঐতিহ্যের মহরত এবং জৌলুসের দৃশ্য তা শুধু কিসরার প্রাসাদ এবং প্রাসাদের সাথে সংশ্লিষ্ট মধ্যসত্ত ভোগীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল । সাধারণের কোন মূল্যই ছিল না এই প্রাসাদে। যতটুকু আদর তা শুধু শাসক ও নেতৃবৃন্দের স্বার্থে। তাতেও তথা কথিত মাবুদের স্বার্থ সবার আগে বিবেচ্য হতো। হ্যাঁ শিল্প কলা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, অর্থনীতির উন্নতি হয়েছে। তবে এ সব কিছু কিসরা, রাজন্য ও অমাত্যগণের কল্যাণের বাহিরে ব্যবহার হতো না।

জাতীয় উপাসনা ছিল আগুন পূজা। আগুন যাতে চিরন্তন প্রজ্জলিত থাকে তার জন্য সারাক্ষণ সজাগ থাকতো গণক, পুরোহিতগণ। কারণ আগুন নিভে যাওয়া সিংহাসনে আসীন সম্রাটের জন্য অশুভ লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হতো। আখলাক বা নৈতিকতা তাতো বিধবস্ত এবং ভেংগে চুরমার। কমিউনিজমের প্রসারে স্বেচ্ছাচারিতা, বিসৃঙ্খলা, ধ্বংস ছড়িয়ে পড়ে ছিল। এই সে সভ্যতা যে খানে আত্মিক, মানবিক, অর্থনৈতিক, চারিত্রিক এক মহা বিপর্যয় ঘটেছিল।

রোমান সম্রাজ্যের অবস্থা এর ব্যতিক্রম নয়। কায়সার বা সিজার তিনি (প্রাচীন রোমক সম্রাটের উপাধি) ও আরাম-আয়েশ ভোগ বিলাস জৌলুসপূর্ণ আলোক বেষ্টনীতে থাকতেন। যেমন টি ছিল কিসরা। শাসক শ্রেণীর জৌলুসপূর্ণ জীবনের বিপরীতে, জন সাধারণ শাসক শাসিতের শ্রেণী বৈষম্য, মূর্খতা, ভ্রষ্টতা, অজ্ঞতাও দু:খ দূরদশার মধ্যে জীবন যাপন করতো। সাধারণের কাজ হতো নেতৃবৃন্দের স্বার্থে, নিজের স্বার্থ বলতে কিছু ছিল না। যুদ্ধ বিগ্রহ যা উসকে দিত সিজার এবং তার রাজন্যবর্গ সেটা আর শেষ হতো না। লাখো বনি আদম এ জন্য জীবন দিতে বাধ্য হতো। কি উদ্দেশ্যে যুদ্ধ? কি জন্য বলি দান? কি সেই যুক্তি যার জন্য এ লড়াই? কি সে বিশেষত্ব যার জন্য এ রক্ত? কোন উত্তর তাদের জানা ছিল না।

মূলত এসব হতো সমরাজ্যবাদী সিজার ও তার নেতৃবৃন্দের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন, অধিকতর গৌরব প্রকাশ, বিজয় অর্জন ও দাস বানানো। অসম্মান করা, দমন করার ইচছা, যা ছিল এক জংগলী বর্বরতা, যেখানে কোন আইনি শাসন ছিল অকল্পনীয়। এখানেও শিল্প কলা, বিজ্ঞান- প্রযুক্তি, অর্থনীতি, রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোর উন্নয়ন ছিল; তবে তা শাসক শ্রেণীর দখলে থাকতো।

এ সম্রাজ্যের ধর্ম বিশ্বাস ছিল জাহেলী পৌত্তলিকতা। ধর্মের কর্তা ও রক্ষক গির্জা এবং রিজালুদ্দীন বা পোপ-পাদ্রি। আল্লাহ হলো তিন উপাস্যের মধ্যে তৃতীয়। নাউযু বিল্লাহ । যিশু (ইসা আ:) আল্লাহর সন্তান। ধর্মীয় পন্ডিত, বিশপ-সন্যাসী ছিল আধ্যাত্মিকও ধর্মীয় জগতের শাসক, তাদের শাসন নীতি ছিল ঐশী বিধানের পরিবর্তে নিজেদের তৈরী মনগড়া নীতি, তারা অন্যায়ভাবে জনগণের সম্পদ ভোগ করতো। একই সময় সিজারও রাষ্ট্র শাসন করতো মনগড়া জাহেলী রোমান-গ্রীক আইন দিয়ে; আল্লহর বিধানের সেখানে কোন স্থান ছিলনা। জনগণ ত্রিমুখী শক্তি- সিজার এবং তার নেতৃবর্গ অন্য দিকে পোপ-পাদ্রী বিশপদের জুলুম অত্যাচার নির্যাতনে মরি বাচি দিন কাটাতো।

উল্লেখিত দুই সাম্রাজ্যের বাহিরে এশিয়ায় হিন্দু সভ্যতা ও চীন সভ্যতা বিদ্যমান ছিল। হিন্দুস্থানেও অন্য জাতির মত শ্রেণী বৈষম্য বিদ্যমান ছিল। তবে এর নিয়ম অন্যরকম। যেমন : শূদ্র শ্রেণী তাদের সৃষ্টি আল্লাহর পা থেকে। এ জন্য এরা হলো নিচু এবং অপবিত্র শ্রেণী। যত রকমের লাঞ্জনা অপমান জিল্লতি তারা সহ্য করবে। এটা তাদের নিয়তি। আত্মা পূনর্জন্মের মাধ্যমে এ থেকে তাদের মুক্তির পথও এটাই। অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের জন্য মানুষের এই আত্মা। মৃত্যুর পর এ আত্মা নতুন সত্তা বা ব্যক্তির মধ্যে চলে যায়। এ নিয়তি এবং বিশ্বস নিয়ে যদি শূদ্র শ্রেণী লাঞ্ছনা, বঞ্ছনা, অপমান, কষ্ট এবং জাতীয় অপবিত্রতা কে মেনে নেয়, তবে কখনো বা তাদের আত্মা তাদের চেয়ে মর্যাদাবান ব্যক্তির মধ্যে স্থানান্তর হতে পারে । অর্থ্যাৎ তারা কিছুটা জাতে উঠতে বা ক্ষয়িত্র বা বৈশ্য শ্রেণীতে উন্নিত হতে পারবে।কিন্তু কস্মিন কালেও মনিব শ্রেণী; ব্রাক্ষণ হতে পারবে না। যাদের সৃষ্টি হয়েছে আল্লাহর মাথা অথবা হাত হতে। এর মধ্য দিয়ে শূদ্র বা দাস শ্রেণী কাঙ্খিত মুক্তির তৃপ্তি লাভ করল মাত্র। এখানে আছে অসংখ্য উপাসনা আরাধনার প্রথা। সষ্টার সংখ্যাও অনেক। তবে সবই হলো ভ্রান্ত। আর্শ্চযের বিষয় হলো দেবতার নৈকট্য লাভের আশায় মন্দিরে বেশ্যা বৃত্তি করা- এতে মূলত শয়তানের নৈকট্য লাভ হয়। গাভীর পূজা, গাভীর গোবরে গড়াগড়ি দেওয়া, মঙ্গলের জন্যে তার পেশাব দিয়ে স্নান করা ইত্যাদিও তাদের উপাসনা বলে গন্য।

গাভীর যদি বাক শক্তি থাকতো তবে তার আরাধনাকারীদের সে অবশ্যই উপহাস করত, বিস্ময় প্রকাশ করে বলতো সেরা এই জাতি কেন এ ইতর কাজে রাজি হলো?

পৃথিবীর এক প্রান্তের বিশাল দেশ চীন, যার শাসনক্ষমতা ছিল সাম্রাজ্যবাদীদের হাতে। তৎকালিন সময়ের সম্রাটের মত তিনি ও ছিলেন সম্মানিত। প্রচলিত প্রথায় তার জন্য উপাসনা এবং উপঢৌকন পেশ করা হতো। তার সামনে মস্তক অবনত করত। অধিবাসীদের উপাস্য হল গৌতম বৌদ্ধ। তার প্রতিকৃতি তৈরি করে সে মুর্তির পূজা হতো। বৌদ্ধ ধর্মে ও হিন্দু ধর্মের মত মানব দেহের অবমূল্যায়ন হতো। আত্মার মুক্তির জন্য দেহের উপর জুলুম কারা হতো। দুনিয়াকে গুরুত্বহীন মনে করে সন্ন্যাসী জীবন তারা গ্রহন করত অমর জীবন লাভের আশায়। এ জীবন কোথায়? কি তার আকৃতি- এ হলো অমরত্ব গ্রহন গৌতম বৌদ্ধর সাথে কাল্পনিক জগতে। এখানে জ্ঞান বিজ্ঞান অর্থ বিত্তের উন্নতি হয়ে ছিল তবে সব কিছু অকেজ। কারণ প্রকৃত স্রষ্টাকে ভুলে তারা নিজেরাই অকেজো হয়ে পড়েছিল।

আরব উপদ্বীপ তাতো জাহেলী অন্ধকারে ডুবে ছিল। সামাজিক ভিন্নতার কারনে জাহিলীয়াতের বাহ্যিক আকৃতি, সভ্যতার মান ভিন্ন রকম ছিল বটে, কিন্তু মূল জাহিলিয়াত ছিল অভিন্ন। আরবের জাহেলিয়াত হলো শিরক বা অংশিবাদ। মনগড়া বিধান, মনবীয় কাল্পনিক নিয়ম-নীতির শাসন। আরব উপ-দ্বীপে তিনটি সমপ্রদায়ের প্রভাব বিদ্যমান ছিল। তবে সবগুলো ভ্রান্ত।

(১) ইয়াহুদী: তাদের দৃঢ় অবস্থান ছিল মদীনা এবং তার আশ পাশ এলাকায়। তারা তাদের পবিত্র কিতাব তাওরাতে বিকৃতি করে আসছে যুগ যুগ ধরে। আল্লাহর শরীয়তের পরিবর্তে মিথ্যার অনুপ্রবেশ এবং পূর্বেকার বাপদাদাদের রসম রেওয়াজ দিয়ে পূর্ণ করে ছিল আসমানি কিতাব। এক সময় তারা বাপ-দাদাদের রসোম রেওয়াজকে ও বাদ দিয়ে তাদের মনগড়া রীতি নীতিকেই বিধান বানালো। মূলত আল্লাহর পরিবর্তে তারা শয়তানের পূজা করত।

(২) নাসারা: ভ্রান্ত কয়টি খ্রীষ্টান উপদল তারা তাদের পথ ভ্রষ্টতা নিয়ে বিদ্যমান ছিল। ত্রিত্ববাদের আবিস্কার করল। ঈসা (আ:) আল্লাহর সমকক্ষ এবং আল্লাহর সন্তান মনে করে তার এবাদত করত।

(৩) আরবের মূর্তি পূজারি সমপ্রদায়: জাজিরাতু আরবের সর্বত্র কম- বেশি তাদের উপস্থিতি ছিল। তারা মূর্তি পূজা করত,

এবং আল্লাহর পবিত্র ঘর কাবাতে মূর্তি স্থাপন করত। অথচ আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় রাসূল ইব্রাহিম এবং ইসমাইল আলাইহিমাস সালাম কে এ পবিত্র ঘর নির্মানের জন্য আদেশ করে ছিলেন; যাতে এ ঘরে শিরক মুক্ত একমাত্র আল্লাহর এবাদত হয়। এই সেই স্থান যেখানে আল্লাহর নবী ইব্রাহিম দোয়া করে ছিলেন:

رَبِّ اجْعَلْ هَذَا الْبَلَدَ آَمِنًا وَاجْنُبْنِي وَبَنِيَّ أَنْ نَعْبُدَ الْأَصْنَامَ ﴿৩৫﴾ سورة إبراهيم

(হে প্রতিপালক তুমি এ শহর কে নিরাপদময় কর, আমাকে এবং আমার বংশধরদের কে মূর্তি পূজা থেকে রক্ষা কর।)

এতকিছুর পরও তারা বলত তারা দ্বিনে ইব্রাহিমের উপর চলছে।

তাদের মাথায় কতক রূপ কথার জন্ম হয়ে ছিল। তারা বলত ফেরেস্তারা হলেন আল্লাহর কন্যা। এবং এরাও উপাস্য। জিন জাতিরও আল্লাহর সাথে বংশীয় সম্পর্ক আছে এ জন্য তারা তাদেরও পূজা করত। আর মূর্তি তারা নিজেরাই তৈরী করত ও তার উপাসনা করতো।

এবং বলতো

مَا نَعْبُدُهُمْ إِلَّا لِيُقَرِّبُونَا إِلَى اللَّهِ زُلْفَى ) الزمر :৩(

অর্থ: আমরা এ জন্য তাদের এবাদত করি যেন তারা আমাদের কে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেয়।

কুরাইশ গোত্র আরবের ধর্ম বিশ্বাস নিয়ন্ত্রন করতো। তারা তাদের কে আল্লাহর ঘর উলঙ্গ তাওয়াফ করতে আদেশ করতো। নিষিদ্ধ মাস (শাওয়াল, জুলক্বদাহ, যুলহাজ ও মুহাররাম) গুলোতে যুদ্ধ করাকে বৈধ ঘোষণা দিয়ে ইচ্ছেমত সময় বৃদ্ধি করে; ঐ বর্ধিত সময়কে নিষিদ্ধ মাস বলে ঘোষণা করতো। মৃত জন্ত জানোয়ার খাওয়া কে বৈধ মনে করতো। ইচ্ছেমত কোন হালাল বস্তুকে হারাম বলে ঘোষণা করতো। আরবরা এ ভূয়া শরিয়তের আনুগত্য করত। আর আল্লাহর শরিয়তের বিরুদ্ধাচরণ করতো। কন্যা সন্তানদের জীবন্ত ফুঁতে ফেলতো, নারীদের অপমান করতো, তাদের উপর জুলুম করতো। মদ্যপান করতো, জুয়া, ব্যাভিচারীকেও বৈধ মনে করতো। লুট-পাট চুরি-ডাকাতি খুন-খারাবি মদ জয়া ইত্যদিতে তাদের জীবন অতিবাহিত হতো। কতিপয় সমপ্রদায় যেমন কোরাইশ, ছাক্বিফ, হুয়াজিন তারা কখনো ব্যবসা করতো কখনো বা সুদী কারবার করতো। অন্য সময় অলস সময় কাটতো। এক কথায় আরব সমাজও ধবংস এবং বরবাদিতে নিমজ্জিত ছিল।

রিসালতে মুহাম্মদীর পূর্বে পৃথিবীর এই ছিল হাল। শিরক এবং জাহিলিয়াতে সয়লাব ছিল, পৃথিবীতে নূন্যতম আলোর আশাও ছিল ক্ষীণ। এই অবস্থায় আল্লাহ তাআলা প্রেরণ করেন মুহাম্মদ বিন আব্দিল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওযা সাল্লাম কে ।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন