মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরবের মুশরিকদের নিকট প্রেরিত হওয়ার শুরুতেই তারা তাকে মিথ্যারোপ করলো। আল্লাহর রীতিনুযায়ী সকল রাসূলদের শুরুকালটা এমনি হয়। কারণ সকল জাহিলি যুগেই নেতৃবৃন্দের পক্ষে কখনোই সম্ভব হয়না। ুলা ইলাহ ইল্লাল্লাহচ আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন উপাস্য নেই। এই বাক্যের কাছে আত্মসমর্পন করা। যার অর্থ দাঁড়ায় তাদের কাছে কুক্ষিগত সকল ক্ষমতা যা প্রয়োগ করে তারা মানুষের উপর বড়ত্ব জাহির করতো। প্রকৃত উপাসনা আল্লাহকে প্রত্যার্পণ করা। উপাস্য হওয়ার পরিবর্তে আল্লাহর ভৃত্য হওয়াতে সন্তুষ্ট হওয়া। তারা যে মিথ্যা প্রতিপালকের দাবী করতো তা হতে ফিরে আসা। হালাল-হারামের বিধান দাতার দাবী থেকে সরে আসা। যা হতো বানোয়াট উপাস্যের ছত্র ছায়ায়। ভৃত্য- সমপ্রদায় তারাও খুব সহজে لاإله إلا الله এর আহ্বানে সাড়া দিতোনা। কারণ এটা ছিল তাদের পরিচিত নিয়মের বিরোধী এবং তারা প্রভূ শ্রেণী কে ভয় করতো। ভেজাল প্রভূদের কর্মকাণ্ড তাদের ভিতর প্রভু ভীতির জন্ম দিয়েছিল। অন্য কারণ হলো তারা কু-প্রবৃত্তিতে ডুবে ছিল।
যখনই তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মিথ্যাবাদী বলতো অবশ্যই তারা বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ হয়ে পড়তো। রাসূল যে সু উচ্চ ভাষায় কথা বলতো সে ভাষা অলংকারের রহস্য উদঘাটন করার এবং এটা যে আল্লাহ প্রদত্ব ঐশী কালাম সে স্বীকৃতি দেয়ার। অথবা সাধারণ মানুষের মুখামুখী হওয়ার। কারণ তারা গ্রহণ যোগ্য উত্তর নেতৃবৃন্দের থেকে না ফেলে তাদের আনুগত্য অস্বীকার করবে। মানে কোরাইশ নেতৃত্বের পতন অনিবার্য হয়ে উঠবে। এতে তাদের ক্ষমতা খর্ব হবে, যে ক্ষমতা তাদের সকল দাম্ভিকতার মূলে কাজ করছে। ফলে সঠিক উত্তর এড়িয়ে তারা বললো: নিশ্চয় সে হলো যাদুকর, গনক, পাগল, জ্বীন তার কাছে বিভিন্ন বিষয় পৌছায় এবং সে তা বলে বেড়ায়।
তারা মিথ্যাবদী এটা তারা খুব ভালো করেই জানতো। প্রমান স্বরূপ একটি ঘটনা। ওয়ালীদ ইবনে মগীরাহ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট কুরআন শ্রবন করে তার কাউম বনী মাখজুম কে বললো
والله لقد سمعت من محمد آنفا كلاما ما هو من كلام الإنس ولا من كلام الجن وإن له لحلاوة وإن عليه لطلاوة وإن أعلاه لمثمر وإن أسفله لمغدق وإنه يعلو ولا يعلى .
আল্লাহর শপথ একটু আগে মুহাম্মদের নিকট এমন কিছু কথা শুনেছি যা, না কোন মানুষের কথা, না কনো জ্বীনের কথা তার কথায় রযেছে মাধুর্যতা, রয়েছে কমনীয়তা তার বাহ্যিক আবরণ হৃদয়গ্রাহী এবং অভ্যন্তরভাগে প্রবাহিত রয়েছে এক স্নিগ্ধ ফলগুধারা এটা নিশ্চয়ই সবার উর্দ্ধে থাকবে এবং তার উপর কেউ প্রবল হতে পারবেনা। তার এ বক্তব্য যখন কোরাইশ ব্যক্তিবর্গ শুনলো তারা বললো ওলীদ মুহাম্মদের ধর্মে ঝুঁকে পড়েছে। এতে করে নিশ্চয় পুরো কোরাইশ মুহাম্মদের আদর্শে ঝুঁকে যাবে। অতঃপর আবু জাহিল বললো! তার সাথে ব্যাপারটা আমি দেখছি। আবু জাহিল তার নিকট গিয়ে মন্ত্রের মত তার সাথে আলাপ সেরে তাকে তপ্ত করে ফেলে। এরপর ওলীদ ফিরে এসে কোরাইশদের উদ্দেশ্যে ভাষণে বললোঃ আপনাদের ধারণা মুহাম্মদ পাগল তাকে কি দিশেহারা হতে দেখেছেন? আপনারা বলেন সে গনক ভবিষ্যদ্বক্তা তাকে কি গণনা করতে, ভবিষ্যদ্বানী করতে দেখেছেন? আপনারা মনে করেন সে একজন কবি তাকে কি দেখেছেন কখনো কবিতা চর্চা করতে? আপনারা মনে করেন সে মিথ্যাবাদী তার মাঝে মিথ্যার লেশ মাত্র থাকার অভিজ্ঞতা কি কারো কাছে আছে? প্রতিবারেই তাদের প্রশ্ন করলেন তারা সকলে প্রতিবারেই উত্তরে বললো ু أللهم لا ’’ না আমরা এসব দেখেনি। সকলে বললো তাহলে তাকে আমরা কি বলবো? ওয়ালীদ কিছুক্ষণ চিন্তা করে বললঃ আমরা তাকে যাদুকর বলবো, তোমরা কি লক্ষ্য করোনি সে পৃথক করে ব্যক্তি ও তার পরিবার, সন্তান ও তার অভিভাবকের মাঝে? এ ঘটনাটি মহাগ্রন্থ আল-কোরআনে আল্লাহ তাআলা বর্ণনা করেছেন এভাবে-
যাকে আমি অনন্য করে সৃষ্টি করেছি, তাকে আমার হাতে ছেড়ে দিন। আমি তাকে বিপুল ধন-সম্পদ দিয়েছি এবং সদা সংগী পুত্রবর্গ দিয়েছি এবং তাকে খুব সচ্ছলতা দিয়েছি এরপরও সে আশা করে যে, আমি তাকে আরো বেশী দেই। কখনই নয়। সে আমার নিদর্শন সমূহের বিরুদ্ধাচরণ কারী। আমি সত্বরই তাকে শাস্তির পাহাড়ে আরোহন করাব। সে চিন্তা করেছে এবং মনঃস্থির করেছে। ধ্বংস হোক সে কি রূপে সে মনঃস্থির করেছে আবার ধ্বংস হোক সে, কিরূপে সে মনঃস্থির করেছে। সে আবার দৃষ্টিপাত করেছে, অতঃপর সে ভ্রুকুঞ্চিত করেছে ও মুখ বিকৃত করেছে অতঃপর পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেছে ও অহংকার করেছে। এরপর বলেছে এতো লোক পরম্পরায় প্রাপ্ত যাদু বৈ নয়। এতো মানুষের উক্তি বৈ নয়। আমি তাকে দাখিল করব অগ্নিতে।
এখানে শেষ নয়, জাযিরাতুল আরব জুড়ে এ সব মিথ্যা কথা গুলো তারা প্রচার করলো যাতে মানুষের মধ্যে কুরআনুল কারিমের প্রভাব সৃষ্টিতে অন্তরায় হয়। এ জন্য আল্লাহ তাআলা তাদেরকে প্রতিদ্বন্ধিতার আহ্বান করেছেন এ কুরআনের মত একটি কিতাব প্রদর্শন করে।
বলুন যদি মানব ও জ্বীন এই কেরাআনের অনুরূপ রচনা করে আনয়নের জন্য জড়ো হয় এবং তারা পরস্পরের সাহায্যকারী হয় তবুও তারা কখনও এর অনুরূপ রচনা করে আনতে পারবেনা।
এ চ্যালেঞ্জ দীর্ঘ বছর পর্যন্ত বহাল ছিল। তারা এ চ্যালেঞ্জ গ্রহণে অক্ষমতা প্রকাশ করে তবুও তারা ইসলাম গ্রহণে সম্মত হয়নি। এজন্য চ্যালেঞ্জ এর ধরন পরিবর্তন করা হয়।
তারা কি বলে? কোরআন তুমি তৈরী করেছ? তুমি বল তবে তোমরা ও অনুরূপ দশটি সূরা তৈরী করে নিয়ে আস এবং আল্লাহ ছাড়া যাকে পার ডেকে নাও, যদি তোমাদের কথা সত্য হয়ে থাকে। চ্যালেঞ্জ এর বিষয় পরিমাণ কমিয়ে দেয়া অবশ্যই চ্যালেঞ্জ কে শক্তিশালী করা উদ্দেশ্য, কারণ পরিমাণে কম যদি তারা উপস্থিত করতে না পারে নিশ্চিত বেশির উপস্থিত অবশ্যই তাদের পক্ষে অসম্ভব। বাস্তবে হয়েছেও তাই। কিন্তু তারা অহংকার, বিদ্বেষ করেই চললো এ জন্য চ্যালেঞ্জ আরো শক্তিশালী করা হলো এবং বলা হলো
এতদ সম্পর্কে যদি তোমাদের কোন সন্দেহ থাকে যা আমি আমার বান্দার প্রতি অবতীর্ণ করেছি তাহলে এরমত একটি সূরা রচনা করে নিয়ে আস। তোমাদের সেসব সাহায্যকারীদেরকেও সঙ্গে নাও। এক আল্লাহকে ছাড়া যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক। আর যদি তা না পার অবশ্য তা তোমরা কখনো পারবেনা। তাহলে সে দোযখের আগুণ থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা কর, যার জ্বালানী হবে মানুষ ও পাথর। যা প্রস্তুত করা হয়েছে কাফেরদের জন্য।
আজও সে চ্যালেঞ্জ বহাল আছে, কাল পরিক্রমায় চৌদ্দশত বছর পার হয়ে গেলো অপারগ হলো আরবের ভাষাবিদ সাহিত্যিক সহ তাবৎ দুনিয়ার সকল মানুষ। নিঃসন্দেহে কিয়ামত পর্যন্ত তারা অক্ষমতাই প্রকাশ করবে।
সকল রাসূলের মুজিযা ছিল বাহ্যিক ও মহাজগত সম্পর্কিত যা ছিল প্রাকৃতিক নিয়মের সাথে সম্পর্কিত।
নূহ আ. এর মুজিযা ছিল ভয়াবহ তুফান- বন্যা। যাতে মিথ্যাবাদীরা নিমজ্জিত হতো আর ঈমানদারগণ নিরাপদ থাকতো।
হুদ আ. এর মুজিযা ছিল প্রলয়ংকারী বাতাস। এতে মিথ্যাবাদীরা নিপাত যেতো আর সত্যবাদীগণ মুক্ত পেত।
সালেহ আ. এর মুজিযা ছিল ভয়াবহ ভূমিকম্প। যার মাধ্যমে তাদেরকে তাদের গৃহের মধ্যে মৃত্যুর স্বাদ নিতে হয়েছিল। যখন তার কাউম আল্লাহ কর্তৃক নিদর্শন স্বরূপ প্রেরিত উষ্ট্রীকে বধ করলো। লুত আ. এর মুজিযা ছিল আগুন যা আকাশ থেকে প্রেরণ করা হতো। এতে পাপী ব্যক্তিরা ধ্বংস হলো এবং লুত আ. এবং তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কারীগণ রক্ষা পেলেন। এমনিভাবে মূসা ঈসা আ. এর মুজিযা ও ছিল জাগতিক সম্পর্কিত অলৌকিক পূর্ণ। যা পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুজিযা মূলত আত্মিক ও জ্ঞানের সমন্বয় ছিল। বাহ্যিক ও জাগতিক এর সমন্বয় ছিলনা। যদি ও রাসূল স. এর কতিপয় মুজিযা বাহ্যিক ও মহা জাগতিক ছিল। যেমন ইসরা, মেরাজ, চন্দ্র দ্বিখন্ডিত করণ। বড় মুজিযা যাকে দিয়ে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল এবং যা যুগের পর যুগ অবশিষ্ট আছে এবং যার মাধ্যমে পুরো মানবজাতিকে সম্বোধন করা হয়েছিল। তা হলো কুরআন। কুরআনকে বিশেষভাবে চয়ন করা হয়েছে সুরক্ষার এবং বিকৃতি সাধন থেকে হিফাজতের। এ নিশ্চয়তা আসমানী অন্যান্য কিতাবের ক্ষেত্রে ছিল না। কারণ এটা হলো আল্লাহর ইচ্ছার প্রতিফলন এবং আল্লাহ নিজে এর দায়িত্ব নিয়েছেন।
إنا نحن نزلنا الزكر وأنا له لحافظون ( الحجر :৯(
নিশ্চয় আমি কোরআন অবতীর্ণ করেছি এবং আমিই তার সুরক্ষাকারী। [হিজর, ৯।]
এ জন্য এর সংরক্ষণের দায়িত্ব এমন এক শক্তিশালী জাতির কাঁধে অর্পন করা হয়েছে যাদের সংরক্ষণের পদ্ধতি ছিল নজির বিহীন। এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও মুমিনদের জন্য পৃথিবীর বুকে সু-শাসন, স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার একটি সু-সময় এসেছিল, যে সময়টুকু কুরআন সংকলন করার জন্য যথেষ্ট ছিল। রাসূলের নিকট পুনরাবৃত্তি করার মাধ্যমে, বক্ষে সংরক্ষণ, আবার রাসূল স. স্বয়ং জিব্রাইলের নিকট পুনরাবৃত্তি করার মাধ্যমে সংরক্ষণ তো আছেই। এভাবে আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী কুরআন সংরক্ষণের সকল ব্যবস্থাপনা প্রস্তুত ছিল। যার ফলে আল্লাহর ইচ্ছায় যুগ যুগ ধরে কুরআন অবিকৃত অবস্থায় বিদ্যমান রয়েছে। রাসূলের যুগে আল কুরআনে অলৌকিকতার ক্ষেত্র সমূহ
কুরআন সকল দিক থেকেই অলৌকিক। যদিও আরবের সাহিত্যিক ভাষাবিদদের চ্যালেঞ্জ করার কারণে কুরআনের ভাষাগত মুজিযা প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। মূলত কুরআন বিষয় বস্তু নির্ধারণের ক্ষেত্রেও ভাষার মত সমান ভাবে অলৌকিক।
সমাপ্ত
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/430/25
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।