মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আপনার পূর্বে আমি যে রাসূলই প্রেরণ করেছি তাকে এ আদেশই প্রেরণ করেছি যে, আমি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই। অতএব আমরই ইবাদত কর।
এর পরও যিনি কুরআনুল কারীমে গবেষণা করবে, খুব সহজে তার দৃষ্টিতে আসবে যে কুরআন প্রথমেই এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে উপস্থাপন করে ব্যতিক্রম ধর্মী উপস্থাপনায় যা পূর্ববর্তী রিসালত সমূহে অনুপস্থিত।
আল্লাহর ইচ্ছা এই রিসালত অব্যাহত থাকবে কিয়ামত পর্যন্ত এবং তা অবতীর্ণ করেছেন বিশ্ব জগতের জন্য। এজন্য আমরা দেখতে পাই একত্ববাদ বিষয়ক সকল সন্দেহ যা হৃদয়ে জন্মাতে পারে সেগুলো কুরআনুল করিমে আলোচনা হয়েছে। এবং অবিরাম আঘাত করেছে সব সন্দেহর উপর যাতে অন্তর থেকে ঐগুলো দূরীভূত হয় এবং যাবতীয় অন্ধকার থেকে মুক্ত ও পরিচ্ছন্ন আক্বিদাহ প্রতিষ্ঠা হয়।
বস্তুত: কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার প্রক্কালে যে সকল সন্দেহ সমাজে বিরাজ করেছিল সেগুলোকে খন্ডন করে। সেগুলো আরব মূর্তিপূজক অথবা আহলে কিতাব-ইহুদী খৃষ্টান যার মাঝেই হোক না কেন। তবে তাওহীদ বিষয়ে বিশেষ মনোযোগের উদ্দেশ্য শুধু সন্দেহ খন্ডন করা ছিলনা। বরং এতে একত্ববাদের আলোচনা ও ঈমান জোরদার করার প্রতি আহ্বান এবং অন্তরে ঈমান যেন ব্যাপক আকার ধারণ করে এবং বান্দার ঈমান পূর্ণতা পায় সেটি উদ্দেশ্য ছিল । সেলক্ষ্যে মদিনাতেও ঈমানদারদের উপর ঈমান বিষয়ক আয়াত অবতীর্ণ হয়। অথচ তারা পূর্বেই ঈমান এনেছেন। এমন কি ঈমান ভিত্তিক একটি সমাজ প্রতিষ্ঠার পরও। যে সমাজের উপর দাঁড়িয়ে তারা দ্বীনের সাহার্য্যে লড়াই করছে এবং খোলাখুলি একটি রাষ্ট্র ঈমানের তত্ত্বাবধায়ক হয়ে কাজও করছে, তার পরও তাদেরকে ঈমানের প্রতি দাওয়াত এটা এক বিশাল ব্যাপার।
হে মুমিনগণ! তোমরা বিশ্বাস স্থাপন কর আল্লাহর প্রতি ও তার রাসূলের প্রতি এবং ঐ কিতাবের প্রতি যা তিনি তার রাসূলের উপর অবতীর্ণ করেছেন।
এটা পরিস্কার যে এ আহ্বান কাফিরদেরকে নয় ঈমানদারদের প্রতি এ আহবান করা হয়েছিল। ঈমানদারদের প্রতি যারা পূর্বেই ঈমান এনেছেন। এর অর্থ হলো এ আহ্বানের মাধ্যমে ঈমানের উপর অবিচল থাকার জন্য উদ্বুদ্ধ করণ এবং ঈমান বৃদ্ধির জন্য আহ্বান জানানো।
হ্যাঁ! কুরআন তাওহীদ ও শিরক বিষয়কে স্পষ্ট করে দিয়েছে, সকল পথ ও পন্থায়। যা মানব আত্মা উপলদ্ধিও করতে পারে। যাতে কোন দিক থেকে শিরক বাসা বাঁধতে না পারে মুমিনের আত্মায়। চিন্তা, কর্ম, অনুভূতি বা অন্য কোন উপায়ে। এমনিভাবে কুরআনুল কারীম আরো একটি বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বর্ণনা করেছেন। তাহলো শুধু গাইরুল্লাহর ইবাদত আরাধনার নাম শিরক নয় বরং আল্লাহ কর্তৃক অবতীর্ণ শরীয়ত বিহীন শাসন পরিচালনা করাও শিরকের অন্তর্ভূক্ত।
তোমরা অনুসরণ কর যা তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে এবং আল্লাহকে ছেড়ে অন্য কাউকে বন্ধু ও অভিভাবকরূপে অনুসরণ করোনা, তোমরা খুব অল্পই উপদেশ গ্রহণ করে থাক।
মুশরিকরা বলল: যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে আমরা তাকে ছাড়া কারও ইবাদত করতাম না এবং আমাদের পিতৃ পুরুষেরাও করতনা এবং তার নির্দেশ ছাড়া কোন বস্তুই আমরা হারাম করতাম না।
এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা আল্লাহকর্তৃক নাযিলকৃত বস্তুর অনুসরণ না করায় তাদেরকে মুশরিক বলে সম্বোধন করেছেন। অর্থাৎ এও শিরকের অন্তর্ভূক্ত। যাহা সূরা আরাফের উল্লেখিত আয়াতে প্রকাশ। সূরা নাহলের আয়াতে শিরকী কাজগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ তাআলা দিয়েছেন মুশরিকদের ভাষায়- তাহলো মুশরিকগণ গায়রুল্লাহর উপাসনা করে, আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কোন বস্তু হালাল বা হারাম ঘোষণা করে। অর্থাৎ আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানের অনুসরণ না করায় তারা মুশরিক।
অতএব তোমার পালনকর্তার কসম, তারা ঈমানদার নয় যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে ন্যায় বিচারক মনে না করে। অতঃপর তোমার মীমাংসার ব্যাপারে নিজেদের মনে কোন রকম দ্বিধা অনুভব না করে এবং পূর্ণ সম্মতিতে মেনে নেয়।
এ সম্পর্কে (আল্লাহ কর্তৃক অবতীর্ণ বিধান বিহীন শাসন পরিচালনাও শিরকের অন্তর্ভুক্ত) সূরা মায়েদাতে কয়েকটি বর্ণনা এসেছে।
যে সব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তদনুযায়ী ফয়সালা করেনা তারাই পাপাচারী।
সূরা আল-নূর থেকে স্থীর হয় যে, ঈমানের দাবীর প্রকৃত প্রমাণেই হলো যে কোন বিচার ফায়সালাকে আল্লাহর শরীয়তের উপর সমর্পন করা। তা না হলে ঈমানের দাবী মিথ্যা বলে গণ্য হবে।
তারা বলে, আমরা আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছি এবং আনুগত্য করি; কিন্তু অতঃপর তাদের একদল মুখ ফিরয়ে নেয় প্রকৃত তারা বিশ্বাসী নয়। তাদের মধ্যে ফায়সালা করার জন্য যখন তাদেরকে আল্লাহ ও রাসূলের দিকে আহ্বান করা হয় তখন তাদের একদল মূখ ফিরিয়ে নেয়। সত্য তাদের স্বপক্ষে হলে তারা বিনীতভাবে রাসূলের কাছে ছুটে আসে। তাদের অন্তরে কি রোগ আছে? না তারা ধোঁকায় পড়ে আছে; না তারা ভয় করে যে, আল্লাহ ও তার রাসূল তাদের প্রতি অবিচার করবে? প্রকৃত তারাই তো অবিচারকারী। মুমিনদের যখন তাদের মধ্যে ফয়সালা করার জন্যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দিকে আহবান করা হয় তখন তাদের বক্তব্য কেবল এ কথাই হয় আমরা শুনলাম ও আদেশ মান্য করলাম। তারাই সফলকাম।
কুরআন বারবার ব্যাপকভাবে একটি বিষয় মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, তাহলো এ সৃষ্টিজগতে যা কিছু আছে তার স্রষ্টা হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ এবং এককভাবে তিনিই সকল ইবাদতের যোগ্য। এককভাবে তারই আনুগত্য জরুরী এবং সকল বিষয়ে গৃহীতও হবে একমাত্র তারই ফয়সালা।
তাদের কি এমন শরিক দেবতা আছে যারা তাদের জন্য সে ধর্মসিদ্ধ করেছে, যার অনুমতি আল্লাহ দেননি।
এই বিষয়টি উপস্থাপনের সময় ব্যাপকভাবে উপস্থাপন হয়, সৃষ্টিজগতে আল্লাহর নিদর্শন সমূহ- যে নিদর্শনগুলোর আকর্ষণীয় বর্ননা দিয়ে পবিত্র কুরআন সমৃদ্ধ। যাতে মানুষের অন্তরে গভীরভাবে প্রবেশ করে এই বিশ্বাস যে, আল্লাহই একমাত্র সৃষ্টি কর্তা। তিনি একমাত্র উপাস্য। এই আক্বিদাহকে সুদৃঢ় করার জন্য কুরআনুল কারীম বিভিন্ন মাধ্যম গ্রহণ করে থাকে।
১। আল্লাহ যাবতীয় অনুগ্রহ সম্পর্কে বলে থাকেন যে, এ অনুগ্রহ একমাত্র আল্লাহর থেকে অন্য কারো নই। যাতে অনুগ্রহ-দয়ার ফলে মানুষের অন্তর আল্লাহ মুখী হয়।
২। স্থায়ীভাবে স্মরণ করিয়ে দেন যে, মানুষের ভাল-মন্দ সবকিছু আল্লাহর ইচ্ছায় হয়ে থাকে। অন্য কেহ আল্লাহর নিয়মকে কোনভাবেই পরিবর্তনের ক্ষমতা রাখেনা।
৩। আল্লাহর পরিচয়, গুনাবলী ও তার পবিত্র সুন্দর নামগুলো অবগত হওয়া। এবং এগুলো এমনভাবে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যে, তাহা আল্লাহর একত্ববাদের বিশ্বাসকে অনুভুতিতে সুদৃঢ় করে এবং অন্তরে এ বিশ্বাস দৃঢ়মূল হয়। অতঃএব এটা সুদূর প্রসারী শিক্ষা বা মাধ্যম, একত্ববাদের বিশ্বাসকে মানব অন্তরে সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে।
এ মাধ্যমগুলো একত্ববাদের বিশ্বাসকে মানব অন্তরে সুদৃঢ় করে এমন পদ্ধতিতে যার উদাহরণ পূর্বের মানব ইতিহাসে অনুপস্থিত। ফলে পৃথিবীতে একত্ববাদ একটি সন্দেহ মুক্ত আক্বিদাহ হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে। মুসলমান কর্তৃক সংঘটিত কারণে যদিও কখনো এ আক্বিদায় বিকৃতির মিশ্রণ ঘটে। কিন্তু ইসলামে একত্ববাদের আক্বিদা এমনি একটি স্পষ্ট ও সুদৃঢ় শক্তি যে, বিকৃতিকারীগণ বিপথে স্থীর থাকতে পারে না। তারা দ্রুত ফিরে আসে বিশুদ্ধ মূলনীতির দিকে। আর পৃথিবীতে এ রীতিটি ইসলামের পূর্বে আর কখনো দেখা যায়নি। ইতোপূর্বে তাওহীদ ভিত্তিক সকল ধর্মই তার অনুসারীদের হাতে বিকৃতি হয়েছে, এমন কি তাওহীদের মৌলিক বিষয় বস্তুর মধ্যেও। যার ফলে একত্ববাদের মূল কাঠামো নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। একমাত্র ইসলামেই যুগ যুগ ধরে স্বীয় কাঠামোয় দাঁড়িয়ে আছে। কেউ পথ ভ্রষ্ট হয়েছে কেউ তার সাথে অন্যায় আচরণ করেছে, কিন্তু ইসলামের মূলনীতি ছিল সুদৃঢ় এতে কোন প্রকার বিকৃতি হয়নি। যার জন্য বহু কাল পরও ফিরে আসতে হয়েছে মানুষকে একত্ববাদী আক্বীদার দিকে।
إِنَّ الدِّينَ عِنْدَ اللَّهِ الْإِسْلَامُ ( آل عمران : ১৯(
নিশ্চয় ইসলামই হচ্ছে আল্লাহর মনোনীত জীবন বিধান।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/430/19
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।