মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
যদি তোমরা রুগ্ন হও অথবা প্রবাসে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রস্রাব- পায়খানা সেরে আসে অথবা তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর অতঃপর পানি না পাও তবে তোমরা পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও। অর্থাৎ স্বীয় মুখ-মন্ডল ও হস্তদ্বয় মাটি দ্বারা মুছে ফেল। আল্লাহ তোমাদের অসুবিধায় ফেলতে চান না; কিন্তু তোমাদেরকে পবিত্র রাখতে চান এবং তোমাদের প্রতি স্বীয় নেয়ামত পূর্ণ করতে চান। যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।
إن هذا الدين يسر ولن يشاد الدين أحد إلا غلبه : ( البخاري
ইসলাম ধর্ম হচ্ছে সহজসাধ্য। যে দ্বীন বিষয় কঠোরতা করে সে পরাজিত হয়।
এই দ্বীনকে আল্লাহ মূলত মানুষের কষ্টের জন্য অবতীর্ণ করে নাই। মানুষকে কষ্ট এবং তাদের উপর কঠোরতা করে আল্লাহ লাভ কি?
إن الله بالناس لرؤف الرحيم : ( البقرة : ১৪৩(
নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি স্নেহশীল করুনাময়।
অনুরূপভাবে আল্লাহ মানুষকে পরকালেও কোন শাস্তি দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
যদি তোমরা কৃতজ্ঞ হও ও বিশ্বাস স্থাপন কর তবে আল্লাহ তোমাদেরকে শাস্তি প্রদান করে কি করবেন? আল্লাহ পুরুস্কার দানকারী, সর্বজ্ঞ।
আল্লাহ এই দ্বীন মানুষের উপর অবতীর্ণ করেছেন, মানুষের জন্য মানুষেরই কল্যাণে তারা যেন হয় সুন্দরতম গঠনে যেভাবে তাদের সৃষ্টি করা হয়েছে। তারা যেন যোগ্য হয় সে সম্মানের যা আল্লাহ তাদের দান করেছেন।
وَلَقَدْ كَرَّمْنَا بَنِي آَدَمَ ( الإسراء : ৭০(
আমি তো আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি।
মানবের জন্য এই দ্বীন তো আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। তারপরও তারা এই দ্বীনের অনুসরণ করলে আল্লাহ তাদের পুরস্কৃত করবেন জান্নাত ও তার সন্তুষ্টি দিয়ে। তাদের নেক কাজের প্রতিদান স্বরূপ। বস্তুত আল্লাহ গুণগ্রাহী মহাজ্ঞানী।
ইসলাম মানব প্রকৃতি সংশোধন করে ধীরে ধীরে, মানুষের উন্নয়নের জন্যই। বড় কোন বিষয়ও তার উপর আরোপ করেনা; তাহলে সে অপারগতা প্রকাশ করবে, বরং ধীরে ধীরে তাকে উপরে উঠিয়ে নেয়,যাতে তার প্রদক্ষেপ সঠিক হয়। আরোহন সু-পরিণিত হয়। এতে করে সে সংশোধনকে ভালবাসবে এর প্রতি আগ্রহী হবে। ইসলাম ঐ পরিমাণ তাকে মুকাল্লাফ বা দায়িত্বারোপ করে যা ছাড়া মানব জীবন যথাযথ হয়না। বাকীগুলো বাধ্যবাধকতা নেই। স্বেচ্ছাকাজ এবং ধারাবাহিক উন্নতির বস্তু হিসাবে পছন্দনীয় করে রাখে।
মানুষের জন্য সুশোভিত করা হয়েছে প্রবৃত্তর ভালবাসা- নারী, সন্তানাদি, রাশি রাশি সোনা-রূপা, চিহ্নিত ঘোড়া, গবাদি পশু, শস্যক্ষেত। এগুলো দুনিয়ার জীবনের ভোগসামগ্রী। আর আল্লাহ, তার নিকট রয়েছে উত্তম প্রত্যাবর্তনস্থল। আমি কি তোমাদেরকে এর চেয়েও উত্তম বস্তুর সংবাদ দেব? যার তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত হয় নহরসমূহ। সেখানে তারা স্থায়ী হবে। আর পবিত্র স্ত্রীগণ ও আল্লাহর পক্ষ হতে সন্তুষ্টি। আর আল্লাহ বান্দাদের সম্পর্কে সম্যক দ্রষ্টা। যারা বলে, হে আমাদের রব, নিশ্চয় আমরা ঈমান আনলাম। অতএব, আমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করুন এবং আমাদেরকে আগুনের আযাব হতে রক্ষাকরুন। যারা ধৈর্যশীল, সত্যবাদী, আনুগত্যশীলও ব্যয়কারী এবং শেষ রাতে ক্ষমাপ্রার্থনাকারী।
আপনি লক্ষ্য করেছেন কি কিভাবে? ইসলাম মানব আত্মাকে সংশোধন করছে। এই প্রবৃত্তিগুলো মানুষের নিকট আকর্ষনীয় যা আয়াতদ্বারাও স্বীকৃত। এগুলোর অস্তিত্ব কি আল্লাহ হারাম বলেছেন? কখনো নয়। আল্লাহ এর জন্য একটি সীমা রেখা নির্ধারণ করেছেন এর আওতাভূক্ত হলে বৈধ হবে আর সীমাতিক্রম করলে অবৈধ হবে। অতএব একটা সীমারেখার মধ্যে এটা অনুমিত। তবে ইসলাম মানুষের জন্য পছন্দ করে তারা যেন প্রবৃত্তিকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করেন। এটাই যেন সব কিছুর কেন্দ্রবিন্দু না হয় এবং আল্লাহর পথে জিহাদ থেকে তাকে যেন ব্যস্ত না রাখে। যা আবশ্যকীয়। অথবা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপনে বাধা গ্রস্থ না করে তাহলে তার পরকাল বিনষ্ট হবে। তাই শরীয়ত প্রবর্তক বলেছেন-
قُلْ أَؤُنَبِّئُكُمْ بِخَيْرٍ مِنْ ذَلِكُم
বল: তোমাদেরকে এটা অপেক্ষাও উত্তম বস্তুর সংবাদ দিব? যা এসব প্রবৃত্তিতে নিমগ্ন থেকেও উত্তম? তাহলো জান্নাত। যাতে রয়েছে চিরস্থায়ী নেয়ামত রাজী ও সন্তুষ্টি। সহানুভূতি ও আকর্ষণীয় ভংগিতে কার জন্য এই নিয়ামত এখানে তা চিত্রায়িত করেছেন। ঐ সকল বান্দাদের জন্য যারা এই নেয়ামতের উপযুক্ত। তারা হলেন সহিষ্ণু, সত্যবাদী, ধর্মপরায়ন, আল্লাহর পথে ব্যয়কারী, রাতের শেষাংশে ক্ষমা প্রার্থনাকারী। সবকটি গুণাবলীই মহৎ ও আত্মার কাছে প্রিয়। এই সুন্দর উপস্থাপনের মাধ্যমে কুরআন এ সবের দিকে উৎসাহিত করে। আপনি লক্ষ্য করেছেন মানুষ যদি তার আত্মাকে ঐ পূতগুনাবলী অর্জনে ব্যস্ত রাখে, তাহলে সে কি প্রবৃত্তিতে নিমগ্ন থাকতে পারে, সে স্বাভাবিকভাবেই এ থেকে ফিরে থাকবে। কোন প্রকার কষ্ট বা জটিলতা অনুভব ছাড়া। একই মহূর্তে ইসলাম এই মতও পোষণ করেনা যে সে বৈরাগ্যের মত একেবারে প্রবৃত্তি মুক্ত থাকবে। বরং তা পছন্দনীয় যুক্তিসঙ্গতির ভিতর হবে। দেখুন ইসলাম রাত ও দিনে একটি নির্ধারিত পরিমান নামায ফরজ করে, তবে নফল ইবাদতেও উৎসাহিত করে।খুবই আকর্ষনীয় পদ্ধতিতে।
ما يزال عبدي يتقرب إلي بالنوافل حتى أحبه فإذا احببته كنت سمعه الذى يسمع به وبصره الذى يبصربه ويده التى يبطش بها . ( البخاري :২০৬১(
বান্দা যখন আমার নিকটবর্তী হতে থাকে নফল ইবাদতের মাধ্যমে আমি তাকে ভালোবাসতে থাকি। অতঃপর যখন তাকে ভালোবাসি আমি তার কান হই যা দিয়ে সে শুনে চক্ষু হই যা দিয়ে সে দেখে হাত হই যা দিয়ে সে ধরে।
এমনিভাবে রমযান মাসের রোযা ফরজ করে, তবে নফল রোযার প্রতিও উৎসাহিত করে। নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদে যাকাত ফরজ করে, তবে আল্লাহর পথে দান খায়রাতেও আগ্রহী করে। এভাবেই মানুষের মধ্যে আমলে উন্নতির আগ্রহ জন্ম দেয়, যাতে সে এটাকে মুহাব্বত করে ও তার উপর অবিচল থাকে। এবং প্রযোজ্য হয় তার উপর নিম্নবর্ণিত এই বৈশিষ্ট্য।
যারা বলে আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ অতঃপর অবিচলিত থাকে, তাদের নিকট অবতীর্ণ হয় ফেরেশতা এবং বলে, তোমরা ভীত হয়োনা, চিন্তিত হয়োনা এবং তোমাদেরকে যে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল তার জন্য আনন্দিত হও।
আর আরোপিত ফরজ (আবশ্য পালনীয়) সে ক্ষেত্রেও বান্দার শক্তি সাধ্যের প্রতি দৃষ্টি রাখা হয়েছে-
কোন ব্যক্তিকেই আল্লাহ তার সাধ্যের অতিরিক্ত কর্তব্য পালনে বাধ্য করেন না।
অর্পিত দায়িত্ব থেকে পলায়নকারী অথবা অভিযোগকারী না হয়ে, যদি প্রকৃত অপারগ হয়, সে ক্ষেত্রেও আল্লাহ তাআলা তার অপারগতানুযায়ী সহজ করে থাকনে এবং তাকে বলতে বলেন-
হে আমার প্রতিপালক! যদি আমাদের ভ্রম অথবা ত্রুটি হয় তৎজন্যে আমাদেরকে ধৃত করবেন না, হে আমাদের প্রতিপালক আমাদের পূর্ববর্তীগনের উপর যেরূপ গুরুভার অর্পন করেছিলেন আমাদের উপর তদ্রুপভার অর্পন করবেন না। হে আমাদের প্রভু যা আমাদের শক্তির অতীত ঐরূপ ভার বহনে আমাদেরকে বাধ্য করবেন না এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। আমাদেরকে মার্জনা করুন। আমাদের দয়া করুন।
যদি সে স্খলিত হয় আল্লাহ তাকে তার দয়া থেকে তাড়িয়ে দেন না। তবে যদি বার বার করে।
এবং যখন কেউ অশ্লীল কার্যকরে কিংবা স্বীয় জীবনের প্রতি অত্যাচার করে তৎপর আল্লাহকে স্মরণ করে অপরাধ সমূহের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে, আল্লাহ ব্যতীত আর কে অপরাধসমূহ ক্ষমা করতে পারে? এবং তারা যা করেছে সে ব্যাপারে জেনে শুনে হঠকারিতা করেনা। তাদের পুরস্কার হলো তাদের প্রভুর নিকট হতে মার্জনা এবং এমন উদ্যানসমূহ যেগুলোর তলদেশে দিয়ে স্রোতস্বিনী সমূহ প্রবাহিত থাকবে, তম্মধ্যে তারা সদা অবস্থান করবে এবং সৎকর্মশীলদের জন্যে কি সুন্দর প্রতিদান।
এর চেয়ে বড় আর মহানুভবতা কি? যেখানে পাপীদের প্রতিও সহানুভূতি প্রদর্শিত হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/430/18
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।