hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সর্বযুগের বিশ্বস্ত নবী

লেখকঃ কামাল উদ্দিন মোল্লা

২৪
এ মুজিযা কয়েক প্রকার :
১) বাহ্যিক ও বোধশক্তি সম্বন্ধীয় যেমন- চন্দ্র খন্ডিত করা, সমুদ্র বিদীর্ণ হওয়া মূসা এবং তার কাউমের সামনে হাত থেকে আলো বের হওয়া, লাঠি, সর্প হওয়া ইত্যাদি।

২) জ্ঞান সম্পর্কীয় যেমন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পূর্বেকার নবীদের সম্পর্কে খবর দেয়া, যা আহলে কিতাবের নিকট সংরক্ষিত কিতাবের সংবাদের সাথে মিলে যেত। অথচ তিনি তাদের নিকট থেকে তা শিখেননি।

৩) গায়েব বা অদৃশ্য সম্পর্কে সংবাদ প্রদান যেমন- রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোম- পারস্যের ধ্বংসের সংবাদ দিয়েছিলেন।

প্রত্যেক নবী ঐ ধরণের মুজিযা নিয়েই আগমন করেন যা তার জাতির কাছে প্রসিদ্ধ। যাতে চ্যালেঞ্জটা হৃদয় স্পর্শ করে এবং তার কার্যকারিতা নিশ্চিত হয়। মিসরীয়রা যাদু বিদ্যায় বুৎপত্তি অর্জন করেছিল এবং ফিরাউনী মন্দিরের পৌরহিতগণ ছিলো এ বিষয়ে বিশেষ দক্ষ, তারা যাদুর সাহায্য নিতো যাতে মানুষকে হতবুদ্ধি করা যায়, ফিরাউন এবং কাল্পনীক প্রভূদের দাস বানানো যায়। যাদের আরাধনা করত ঐসব পৌরহিত অথবা যাদুকরগণ এবং ওদের নামে জনগণ থেকে নজরানা ও সম্পদ লুন্ঠন করতো।

এ জন্য আল্লাহ মুসা আ. কে ঐ ধরনের মুজিযা দিয়ে প্রেরণ করেছেন যা ঐ সব যাদুকরদের কাছে পরিচিত যাতে তাদের যাদু ধ্বংস হয় এবং আল্লাহর সৃষ্টি ও মানুষের সৃষ্টির মধ্যে পার্থক্য হয়।

وَقَالَ مُوسَى يَا فِرْعَوْنُ إِنِّي رَسُولٌ مِنْ رَبِّ الْعَالَمِينَ ﴿১০৪﴾ حَقِيقٌ عَلَى أَنْ لَا أَقُولَ عَلَى اللَّهِ إِلَّا الْحَقَّ قَدْ جِئْتُكُمْ بِبَيِّنَةٍ مِنْ رَبِّكُمْ فَأَرْسِلْ مَعِيَ بَنِي إِسْرَائِيلَ ﴿১০৫﴾ قَالَ إِنْ كُنْتَ جِئْتَ بِآَيَةٍ فَأْتِ بِهَا إِنْ كُنْتَ مِنَ الصَّادِقِينَ ﴿১০৬﴾ فَأَلْقَى عَصَاهُ فَإِذَا هِيَ ثُعْبَانٌ مُبِينٌ ﴿১০৭﴾ وَنَزَعَ يَدَهُ فَإِذَا هِيَ بَيْضَاءُ لِلنَّاظِرِينَ ﴿১০৮﴾ قَالَ الْمَلَأُ مِنْ قَوْمِ فِرْعَوْنَ إِنَّ هَذَا لَسَاحِرٌ عَلِيمٌ ﴿১০৯﴾ يُرِيدُ أَنْ يُخْرِجَكُمْ مِنْ أَرْضِكُمْ فَمَاذَا تَأْمُرُونَ ﴿১১০﴾ قَالُوا أَرْجِهْ وَأَخَاهُ وَأَرْسِلْ فِي الْمَدَائِنِ حَاشِرِينَ ﴿১১১﴾ يَأْتُوكَ بِكُلِّ سَاحِرٍ عَلِيمٍ ﴿১১২﴾ وَجَاءَ السَّحَرَةُ فِرْعَوْنَ قَالُوا إِنَّ لَنَا لَأَجْرًا إِنْ كُنَّا نَحْنُ الْغَالِبِينَ ﴿১১৩﴾ قَالَ نَعَمْ وَإِنَّكُمْ لَمِنَ الْمُقَرَّبِينَ ﴿১১৪﴾ قَالُوا يَا مُوسَى إِمَّا أَنْ تُلْقِيَ وَإِمَّا أَنْ نَكُونَ نَحْنُ الْمُلْقِينَ ﴿১১৫﴾ قَالَ أَلْقُوا فَلَمَّا أَلْقَوْا سَحَرُوا أَعْيُنَ النَّاسِ وَاسْتَرْهَبُوهُمْ وَجَاءُوا بِسِحْرٍ عَظِيمٍ ﴿১১৬﴾ وَأَوْحَيْنَا إِلَى مُوسَى أَنْ أَلْقِ عَصَاكَ فَإِذَا هِيَ تَلْقَفُ مَا يَأْفِكُونَ ﴿১১৭﴾ فَوَقَعَ الْحَقُّ وَبَطَلَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ ﴿১১৮﴾ فَغُلِبُوا هُنَالِكَ وَانْقَلَبُوا صَاغِرِينَ ﴿১১৯﴾ وَأُلْقِيَ السَّحَرَةُ سَاجِدِينَ ﴿১২০﴾ قَالُوا آَمَنَّا بِرَبِّ الْعَالَمِينَ ﴿১২১﴾ رَبِّ مُوسَى وَهَارُونَ ﴿১২২﴾ الأعراف : ১০৪-১২২

আর মূসা বললেন- হে ফিরাউন আমি বিশ্ব পালনকর্তার পক্ষ থেকে আগত রাসূল। আল্লাহর পক্ষ থেকে যে সত্য এসেছে তার ব্যতিক্রম কিছু না বলার ব্যাপারে আমি সুদৃঢ়। আমি তোমাদের প্রতিপালকের নিদর্শন নিয়ে এসেছি। সুতরাং তুমি বনী ইসরাঈলদেরকে আমার সাথে পাঠিয়ে দাও। সে বলল, যদি তুমি কোন নিদর্শন নিয়ে এসে থাক তাহলে তা উপস্থিত কর যদি তুমি সত্যবাদী হয়ে থাক। তখন তিনি নিক্ষেপ করলেন নিজের লাঠি খানা এবং তৎক্ষনাৎ তা জল জ্যান্ত এক অজগরে রূপান্তরিত হয়ে গেল। আর বের করলেন নিজের হাত এবং তা সঙ্গে সঙ্গে দর্শকদের চোখে ধব ধবে উজ্জল দেখাতে লাগল। ফেরাউনের সাঙ্গ-পাঙ্গরা বলতে লাগল, নিশ্চয় লোকটি বিজ্ঞ যাদুকর। সে তোমাদিগকে তোমাদের দেশ থেকে বের করে দিতে চায়। এ ব্যাপারে তোমাদের কি মত? তারা বলল, আপনি তাকে ও তার ভাইকে অবকাশ দান করুন এবং শহর বন্দরে লোক পাঠিয়ে দিন লোকদের সমবেত করার জন্য যাতে তারা পরাকাষ্ঠা সম্পুন্ন বিজ্ঞ যাদুকরদের এতে সমবেত করে। বস্তুতঃ যাদুকররা এসে ফেরাউনের কাছে উপস্থিত হল। তারা বলল আমাদের জন্য কি কোন পারিশ্রমিক নির্ধারিত আছে যদি আমরা জয় লাভ করি? সে বলল হ্যাঁ। এবং অবশ্যই তোমরা আমার নিকটবর্তী লোক হয়ে যাবে। তারা বলল হে মূসা! হয় তুমি নিক্ষেপ কর অথবা আমরা নিক্ষেপ করছি। তিনি বললেন তোমরাই নিক্ষেপ কর। যখন তারা নিক্ষেপ করল তখন লোকদের চোখগুলোকে ধাঁধিয়ে দিল ভীত সন্ত্রস্ত করে তুলল এবং মহা যাদু প্রদর্শন করল। তারপর আমি অহীযোগে মূসাকে বললাম এবার নিক্ষেপ কর তোমার লাঠিখানা। অতএব, সঙ্গে সঙ্গে তা সে সমুদয়কে গিলতে লাগল, যা তারা বানিয়েছিল যাদু বলে। সুতরাং এভাবে প্রকাশ হয়ে গেল সত্য বিষয় এবং ভূল-প্রতিপন্ন হয়ে গেল যা কিছু তারা করছিল। সুতরাং তারা সেখানেই পরাজিত হয়ে গেল এবং অতীব লাঞ্ছিত হল এবং যাদুকররা সেজদায় পড়ে গেল। বলল আমরা ঈমান আনছি মহা বিশ্বের প্রতিপালকের প্রতি। যিনি মূসা ও হারূনের প্রতিপালক।যাদুকরগণ যাদুর আসল রহস্য জানতো এজন্য প্রথমেই তাদের কাছে স্পষ্ট হলো যে মূসা আ. যা করলেন এটা যাদু নয় এটা মানব সাধ্যের উর্দ্ধে কাজ, যদিও তাদের ও মূসা আ. এর কাজের বাহ্যিক অবস্থা একই রকম ছিল। এজন্য তারা সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন। মূসা আ. আল্লাহর পক্ষ হতে প্রেরিত রাসূল হওয়ার স্বীকৃতি স্বরূপ। এমনিভাবে ঈসা আলাইসি সালামকে প্রেরণ করলেন এমন জাতির নিকট যারা চিকিৎসা বিদ্যায় পারদর্শি ছিল। তারা এমন অভূতপূর্ব পদ্ধতিতে চিকিৎসা করতো যে মানুষের চক্ষুতে ধাঁধা লেগে যেত। যুক্তি যুক্ত ছিল যে ঈসা আ. যে, মুজিযা নিয়ে প্রেরিত হবেন তা এ ক্ষেত্রে আরো অলৌকিক হবে যাতে প্রথমে চিকিৎসকদের নিকট এবং তাদের মাধ্যমে সাধারণের নিকট পরিস্কার হয়, যে এ মুজিযা তারা যা করছে তার চেয়ে উন্নত কোন বস্তু। যে বস্তু তাদের অপারগতা করে দেয় এ বিষয় তাদের পারদর্শিতার পরও। অতএব এর জন্য প্রয়োজন ছিল এমন উৎস থেকে সে বস্তুটি আগমন হওয়া যা মানবীয় গন্ডির বাহিরে। অর্থাৎ সরাসরি আল্লাহর পক্ষ হতে। এ জন্য দেখা যায় তার মুজিযা ছিল কুষ্ঠ ও অন্ধরোগীকে মূহুর্তে তাদের সামনে বিনা ঔষধ ও চিকিৎসায় সুস্থ্য করে ফেলা। এটা ছিল মানব সাধ্যাতীত। এর পর তার মুজিযার পরিধি আরো বৃদ্ধি হলো মৃতকে জীবিত করা। তারা তো কোন না কোনো মাধ্যম অবলম্বন করে কুষ্ঠ ও অন্ধ রোগীর চিকিৎসা করতো। কিন্তু মৃতকে জীবিত করা তাদের সাধ্যের বাহিরে ছিল। এটা আল্লাহ অথবা তার পক্ষ থেকে প্রেরিত কোন মানুষের মুজিযা দ্বারা সম্ভব ছিল।

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে প্রেরণ করেছেন আরব জাতির নিকট তারা ছিল সুভাষী ও ভাষা সাহিত্যে অপ্রতিদ্বন্ধী। ভাষা নিয়ে হতো প্রতিযোগীতা, করতো অহংকার ভাষা নিয়ে, এমনকি তারা অন্যদের আজমী বলে আখ্যা দিতো। অর্থাৎ যাদের ভাষা অস্পষ্ট তারা ঐ ব্যক্তির সাথে তুল্য যে কথা বলতে পারেনা। এজন্য যুক্তি যুক্ত ছিল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুজিযা হবে ভাষা সাহিত্যে মুজিযা। ঐ মানের যে মানে তারা বুৎপত্তি অর্জন করেছিল। যাতে তারা অনুমান করতে পারে যে এটা মানব শক্তি সামর্থের উর্দ্ধে এবং স্বীকার করে নেয় যে এটা অবশ্যই আল্লাহ প্রদত্ত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন