HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
শিয়াদের আকীদা-বিশ্বাস
লেখকঃ আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মদ আস সালাফী
সকল প্রশংসা এক আল্লাহর জন্য, অতঃপর অসংখ্য দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর ও তাঁর পরিবার-পরিজন এবং সঙ্গী-সাথীদের উপর। অতঃপর,
আমরা গভীরভাবে লক্ষ্য করছি যে, মুসলিম ছদ্মবেশী রাফেযী বা শিয়া সম্প্রদায়ের কার্যক্রম ও তাদের ভ্রান্ত মতবাদের দাওয়াত ইসলামী বিশ্বে দিনদিন বেড়েই চলছে। খুব সম্ভব অদূর ভবিষ্যতে খাঁটি মুসলমানের বৃহৎ একটি জামাত তাদের দ্বারা প্রতারিত হবে, যদি না আমরা তাদের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সোচ্চার হই এবং মুসলিম জনসাধারণকে তাদের ভ্রান্ত আকিদা সম্পর্কে অবহিত করি। ছদ্মবেশ ও বাহ্যিক আচরণের কারণে অনেকেই তাদেরকে মুসলিম মনে করে, কিন্তু তাদের অন্তরে নিহিত শিরক, কুরআন সম্পর্কে সংশয়, সাহাবা বিদ্বেষ এবং তাদের কথিত ইমামগণের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি ও সীমালঙ্ঘন সম্পর্কে খুব লোকেই জানে। তাই তাদের মুখোশ উম্মোচন ও মুসলিম জনসাধারণকে সতর্ক করার জন্য এ গ্রন্থ রচনার প্রয়োজন অনুভব করি এবং তাদের কিছু সংশয়ের জবাব দেয়ার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করি।
এ ময়দানে আমি শায়খ আব্দুললাহ বিন আব্দুর রহমান আল-জিবরীন রহ. রচিত
التعليقات على متن لمعة الاعتقاد
এবং রাফেযী শিয়াদের বহুল প্রচলিত কিছু বই ও অন্যান্য মুসলিম মনীষীদের লেখনির শরণাপন্ন হয়েছি, যারা ছিলেন শিয়া বিশেষজ্ঞ এবং যারা নিজেদের লেখনির মাধ্যমে শিয়াদের শিরক, মিথ্যাচার, গালমন্দ, বিদ্বেষ, সমালোচনা ও তাদের কথিত ইমাম সম্পর্কে বাতিল ধ্যান-ধারণার অসারতা প্রমাণ করেছেন। আমি অতি শালীন ও ভদ্র ভাষায় তাদের নিকট গ্রহণযোগ্য পুস্তকের আলোকে তাদেরকে দীন শেখাতে চেষ্টা করেছি। যেমন শায়খ ইবরাহীম বিন সুলাইমান আল-জাবহান রহ. বলেন: ‘‘হে শিয়া আস, আমি তোমার দ্বারাই তোমাকে দীন শেখাব।’’
মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমার এ সামান্য প্রয়াস দ্বারা বিবেকমানদের সঠিক ও সরল পথে চলার তাওফীক দান করেন। যেমন তিনি ইরশাদ করেন :
(আরবি)
‘‘নিশ্চয় এতে উপদেশ রয়েছে তার জন্য, যার রয়েছে অন্তর অথবা যে নিবিষ্টচিত্তে শ্রবণ করে।’’ সূরা কাফ : (৩৭)
এ বই প্রকাশের ক্ষেত্রে যারা আমাকে সহযোগিতা করেছেন আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ, আল্লাহ তাদের সবাইকে উত্তম বিনিময় দান করুন।
আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ আস সালাফী
আমরা গভীরভাবে লক্ষ্য করছি যে, মুসলিম ছদ্মবেশী রাফেযী বা শিয়া সম্প্রদায়ের কার্যক্রম ও তাদের ভ্রান্ত মতবাদের দাওয়াত ইসলামী বিশ্বে দিনদিন বেড়েই চলছে। খুব সম্ভব অদূর ভবিষ্যতে খাঁটি মুসলমানের বৃহৎ একটি জামাত তাদের দ্বারা প্রতারিত হবে, যদি না আমরা তাদের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সোচ্চার হই এবং মুসলিম জনসাধারণকে তাদের ভ্রান্ত আকিদা সম্পর্কে অবহিত করি। ছদ্মবেশ ও বাহ্যিক আচরণের কারণে অনেকেই তাদেরকে মুসলিম মনে করে, কিন্তু তাদের অন্তরে নিহিত শিরক, কুরআন সম্পর্কে সংশয়, সাহাবা বিদ্বেষ এবং তাদের কথিত ইমামগণের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি ও সীমালঙ্ঘন সম্পর্কে খুব লোকেই জানে। তাই তাদের মুখোশ উম্মোচন ও মুসলিম জনসাধারণকে সতর্ক করার জন্য এ গ্রন্থ রচনার প্রয়োজন অনুভব করি এবং তাদের কিছু সংশয়ের জবাব দেয়ার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করি।
এ ময়দানে আমি শায়খ আব্দুললাহ বিন আব্দুর রহমান আল-জিবরীন রহ. রচিত
التعليقات على متن لمعة الاعتقاد
এবং রাফেযী শিয়াদের বহুল প্রচলিত কিছু বই ও অন্যান্য মুসলিম মনীষীদের লেখনির শরণাপন্ন হয়েছি, যারা ছিলেন শিয়া বিশেষজ্ঞ এবং যারা নিজেদের লেখনির মাধ্যমে শিয়াদের শিরক, মিথ্যাচার, গালমন্দ, বিদ্বেষ, সমালোচনা ও তাদের কথিত ইমাম সম্পর্কে বাতিল ধ্যান-ধারণার অসারতা প্রমাণ করেছেন। আমি অতি শালীন ও ভদ্র ভাষায় তাদের নিকট গ্রহণযোগ্য পুস্তকের আলোকে তাদেরকে দীন শেখাতে চেষ্টা করেছি। যেমন শায়খ ইবরাহীম বিন সুলাইমান আল-জাবহান রহ. বলেন: ‘‘হে শিয়া আস, আমি তোমার দ্বারাই তোমাকে দীন শেখাব।’’
মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমার এ সামান্য প্রয়াস দ্বারা বিবেকমানদের সঠিক ও সরল পথে চলার তাওফীক দান করেন। যেমন তিনি ইরশাদ করেন :
(আরবি)
‘‘নিশ্চয় এতে উপদেশ রয়েছে তার জন্য, যার রয়েছে অন্তর অথবা যে নিবিষ্টচিত্তে শ্রবণ করে।’’ সূরা কাফ : (৩৭)
এ বই প্রকাশের ক্ষেত্রে যারা আমাকে সহযোগিতা করেছেন আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ, আল্লাহ তাদের সবাইকে উত্তম বিনিময় দান করুন।
আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ আস সালাফী
আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা ইহুদী বাহিক্যভাবে ইসলাম গ্রহণ করে, আহলে বায়আত তথা রাসূলের পরিবারের প্রতি মহববত ও আলী রা.-র প্রতি ভালবাসার ব্যাপারে সীমালঙ্ঘনে লিপ্ত হয় এবং আলী রা.-কে খেলাফতের প্রথম ওসি দাবি করে। এক পর্যায়ে ইলাহ্-এর স্থানে অধিষ্ঠিত করে। সেখান থেকেই রাফেযী সম্প্রদায়ের উৎপত্তি। এসব কথার সত্যতার প্রমাণ খোদ শিয়াদের কিতাবই। আল-কুম্মী তার ‘‘আল মাকালাত ওয়াল ফিরাক’’ গ্রন্থে বলেন, ‘‘আব্দুল্লাহ্ ইবনে সাবা আলী রা.-কে ইমামতের প্রথম হকদার দাবি করে, আবু বকর, ওমর ও উসমানসহ সকল সাহাবা সম্পর্কে মিথ্যাচার ও বিষোদগারে লিপ্ত হয়।’’
অনুরূপ মন্তব্য করেছেন ‘‘ফিরাকুশ শিয়া’’ নওবাখতী ও ‘‘রিজালুল কিশ্শী’’ গ্রন্থে কিশ্শী।
আব্দুল্লাহ্ ইবনে সাবা সম্পর্কে একই মন্তব্য করেছেন বর্তমান যুগের শিয়া মুহাম্মাদ আলী আল-মু‘আলেম ‘‘আব্দুল্লাহ্ ইবনে সাবা আল হাক্বীক্বাতুল মাজহুলাহ্’’ গ্রন্থে। তারা সকলে রাফেযী মতের এক একজন বড় পন্ডিত। আল-বাগদাদী বলেন, ‘‘সাবায়ীরা হচ্ছে আব্দুল্লাহ্ ইবনে সাবার অনুসারী। এ আব্দুল্লাহ্ ইবনে সাবা-ই আলী রা.-র ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করে তাকে নবী দাবি করেছে। পরবর্তীতে তাকে আল্লাহ পর্যন্ত দাবি করেছে।’’ বাগদাদী আরো বলেন, ‘‘ইবনে সাওদা অর্থাৎ ইবনে সাবা আসলে ইয়াহুদী ছিল, কুফাবাসীর নিকট নেতৃত্ব ও সমর্থন লাভের উদ্দেশ্যে নিজেকে সে মুসলিম হিসেবে প্রকাশ করে। তাওরাতের সূত্র ‘প্রত্যেক নবীর একজন ওসী থাকে’ হিসেবে আলী রা.-কে সে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি্ওয়া সাল্লামের ওসী আখ্যা দেয় এবং কুফাবাসীর নিকট তা প্রকাশ করে।
সাহরাস্তানী ইবনে সাবা সম্পর্কে বলেন, সেই সর্ব প্রথম আলী রা.-র ইমামতের দাবী তুলে। সাবায়ী সম্প্রদায় সম্পর্কে বলেন, এরা প্রথম প্রথম ‘গায়বাত’ ও ‘রাজাআত’ মতবাদ পেশ করে। পরবর্তীতে তাদের অনুসারী শিয়ারা এ মতবাদের উত্তরাধিকারী হয়। আলী রা.-র ইমামত ও খেলাফত এবং তার ওসী হওয়ার অভিমত ইবনে সাবারই মীরাস। এরপর তার অনুসারী অর্থাৎ শিয়া সম্প্রদায় অসংখ্য দলে বিভক্ত হয়। এভাবে আলী রা.-র ওসী ও ইমামত বরং ইলাহ হওয়ার দাবি নিয়ে ইহুদী ইবনে সাবার অনুসারী শিয়াদের উৎপত্তি হয়।
(আরবি)
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন, ‘‘হে মুমিনগণ, তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর ও আনুগত্য কর রাসূলের এবং তোমাদের মধ্য থেকে কর্তৃত্বের অধিকারীদের। অতঃপর কোন বিষয়ে যদি তোমরা মতবিরোধ কর তাহলে তা আললাহ ও রাসূলের দিকে প্রত্যার্পণ করাও- যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখ। এটি উত্তম এবং পরিণামে উৎকৃষ্টতর।’’ (সূরা আন নিসা : ৫৯)
অনুরূপ মন্তব্য করেছেন ‘‘ফিরাকুশ শিয়া’’ নওবাখতী ও ‘‘রিজালুল কিশ্শী’’ গ্রন্থে কিশ্শী।
আব্দুল্লাহ্ ইবনে সাবা সম্পর্কে একই মন্তব্য করেছেন বর্তমান যুগের শিয়া মুহাম্মাদ আলী আল-মু‘আলেম ‘‘আব্দুল্লাহ্ ইবনে সাবা আল হাক্বীক্বাতুল মাজহুলাহ্’’ গ্রন্থে। তারা সকলে রাফেযী মতের এক একজন বড় পন্ডিত। আল-বাগদাদী বলেন, ‘‘সাবায়ীরা হচ্ছে আব্দুল্লাহ্ ইবনে সাবার অনুসারী। এ আব্দুল্লাহ্ ইবনে সাবা-ই আলী রা.-র ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করে তাকে নবী দাবি করেছে। পরবর্তীতে তাকে আল্লাহ পর্যন্ত দাবি করেছে।’’ বাগদাদী আরো বলেন, ‘‘ইবনে সাওদা অর্থাৎ ইবনে সাবা আসলে ইয়াহুদী ছিল, কুফাবাসীর নিকট নেতৃত্ব ও সমর্থন লাভের উদ্দেশ্যে নিজেকে সে মুসলিম হিসেবে প্রকাশ করে। তাওরাতের সূত্র ‘প্রত্যেক নবীর একজন ওসী থাকে’ হিসেবে আলী রা.-কে সে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি্ওয়া সাল্লামের ওসী আখ্যা দেয় এবং কুফাবাসীর নিকট তা প্রকাশ করে।
সাহরাস্তানী ইবনে সাবা সম্পর্কে বলেন, সেই সর্ব প্রথম আলী রা.-র ইমামতের দাবী তুলে। সাবায়ী সম্প্রদায় সম্পর্কে বলেন, এরা প্রথম প্রথম ‘গায়বাত’ ও ‘রাজাআত’ মতবাদ পেশ করে। পরবর্তীতে তাদের অনুসারী শিয়ারা এ মতবাদের উত্তরাধিকারী হয়। আলী রা.-র ইমামত ও খেলাফত এবং তার ওসী হওয়ার অভিমত ইবনে সাবারই মীরাস। এরপর তার অনুসারী অর্থাৎ শিয়া সম্প্রদায় অসংখ্য দলে বিভক্ত হয়। এভাবে আলী রা.-র ওসী ও ইমামত বরং ইলাহ হওয়ার দাবি নিয়ে ইহুদী ইবনে সাবার অনুসারী শিয়াদের উৎপত্তি হয়।
(আরবি)
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন, ‘‘হে মুমিনগণ, তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর ও আনুগত্য কর রাসূলের এবং তোমাদের মধ্য থেকে কর্তৃত্বের অধিকারীদের। অতঃপর কোন বিষয়ে যদি তোমরা মতবিরোধ কর তাহলে তা আললাহ ও রাসূলের দিকে প্রত্যার্পণ করাও- যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখ। এটি উত্তম এবং পরিণামে উৎকৃষ্টতর।’’ (সূরা আন নিসা : ৫৯)
শিয়া বিদ্যান শায়খ মাজলেসী ‘‘বেহারুল আনওয়ার’’ কিতাবে উল্লেখ করেন। অধ্যায়: ‘রাফেযার ফযিলত ও নামকরণের সাধুবাদ’ অতঃপর সুলাইমান আল-আ‘মাশ থেকে উল্লেখ করেন, তিনি বলেন, আমি আবু আব্দুল্লাহ্ জা‘ফার ইবনে মুহাম্মাদের নিকট প্রবেশ করে বলি, আপনার জন্য আমাকে উৎসর্গ করেছি, মানুষেরা আমাদেরকে রাওয়াফেয (রাফেযী এর বহুবচন) বলে, রাওয়াফেয মানে কি? তিনি বলেন, আল্লাহর কসম! তারা এ নামকরণ করেনি, বরং আল্লাহ্ মুসা আ. ও ঈসা আ.-র ভাষায় তাওরাত ও ইনজিলে তোমাদের এ নামকরণ করেছেন।
আরো বলা হয় যে, যায়েদ আলী ইবনে হুসাইনের নিকট এসে বলে, আমাদেরকে আবু বকর ও ওমর থেকে মুক্ত করুন, যেন আমরা আপনার সাথে থাকতে পারি। তিনি বলেন, তারা দুজন তো আমার দাদার সঙ্গী আমি তাদেরকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করি। তখন তারা বলে, إذا نرفضك অর্থাৎ তাহলে আমরা আপনাকে বর্জন করব। অতঃপর সেখান থেকেই তাদের নামকরণ হয় রাফেযাহ্ বা রাফেযী। যারা তার হাতে বায়‘আত করে ও যায়দীয়া মত পোষণ করে, সাধারণত তাদেরকেই এ নামে অবিহিত করা হয়। আরো বলা হয় যে, আবু বকর ও ওমরের ইমামাত অস্বীকার করার জন্য তাদেরকে রাফেযী বলা হয়।
আরো বলা হয় যে, তারা যেহেতু দীন ত্যাগ করেছে, তাই তাদেরকে রাফেযা বলা হয়।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাস বলেন, ‘‘আমার সুন্নাত ও আমার হেদায়েতপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাত পালন করা তোমার অবশ্য কর্তব্য, এই সুন্নাতকে তোমরা হাতে-দাঁতে দৃঢ়ভাবে ধারণ করবে। আর সাবধান! ইসলামী শরীয়তে তোমরা নতুন কিছু আবিস্কার করবে না, কেননা প্রত্যেক নব আবিস্কৃারই হচ্ছে বিদ‘আত এবং প্রত্যেক বিদ‘আতই হচ্ছে ভ্রান্তি ও পথভ্রষ্টতা। (আহমাদ, আবু দাউদ, তিরমিযি ও ইবনে মাজাহ্)
আরো বলা হয় যে, যায়েদ আলী ইবনে হুসাইনের নিকট এসে বলে, আমাদেরকে আবু বকর ও ওমর থেকে মুক্ত করুন, যেন আমরা আপনার সাথে থাকতে পারি। তিনি বলেন, তারা দুজন তো আমার দাদার সঙ্গী আমি তাদেরকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করি। তখন তারা বলে, إذا نرفضك অর্থাৎ তাহলে আমরা আপনাকে বর্জন করব। অতঃপর সেখান থেকেই তাদের নামকরণ হয় রাফেযাহ্ বা রাফেযী। যারা তার হাতে বায়‘আত করে ও যায়দীয়া মত পোষণ করে, সাধারণত তাদেরকেই এ নামে অবিহিত করা হয়। আরো বলা হয় যে, আবু বকর ও ওমরের ইমামাত অস্বীকার করার জন্য তাদেরকে রাফেযী বলা হয়।
আরো বলা হয় যে, তারা যেহেতু দীন ত্যাগ করেছে, তাই তাদেরকে রাফেযা বলা হয়।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাস বলেন, ‘‘আমার সুন্নাত ও আমার হেদায়েতপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাত পালন করা তোমার অবশ্য কর্তব্য, এই সুন্নাতকে তোমরা হাতে-দাঁতে দৃঢ়ভাবে ধারণ করবে। আর সাবধান! ইসলামী শরীয়তে তোমরা নতুন কিছু আবিস্কার করবে না, কেননা প্রত্যেক নব আবিস্কৃারই হচ্ছে বিদ‘আত এবং প্রত্যেক বিদ‘আতই হচ্ছে ভ্রান্তি ও পথভ্রষ্টতা। (আহমাদ, আবু দাউদ, তিরমিযি ও ইবনে মাজাহ্)
‘‘দায়েরাতুল মা‘আরেফ’’ কিতাবে বর্ণিত আছে যে, ‘‘প্রসিদ্ধ তেহাত্তর দলের চাইতেও শিয়াদের দল উপদলের সংখ্যা আরো বেশী।’’ [দায়েরাতুল মা‘আরেফ (৪/৬৭)] প্রসিদ্ধ রাফেযী মীর বাকের আল দাম্মামের [তিনি হচ্ছেন; মুহাম্মাদ বাকের বিন মুহাম্মাদ আল ইস্তেরাবাদী, মীর দামাম নামেই প্রসিদ্ধ। ১০৪১ সনে মৃত্যু বরণ করেন। তার জীবনী দেখুন:আববাস আল কুম্মি: ‘আল কুনা ওয়াল] বরাতে বলা হয়েছে, হাদীসে বর্ণিত তেহাত্তর দলের সবাই শিয়া, তাদের মধ্যে মুক্তি প্রাপ্ত দল শুধু ইমামিয়াহ্ (ইমামিয়াহ্ শিয়াদের একটি উপদল)। মুকরেযী বলেন, তাদের দলের সংখ্যা তিনশোর মত।
শাহ্রস্তানী বলেন, ‘‘রাফেযীরা পাঁচ দলে বিভক্ত: (১) আল কিসানিয়াহ্ (২) আল যায়দিয়াহ্ (৩) আল ইমামিয়াহ্ (৪) আল গালিয়াহ্ (৫) আল ইসমাঈলিয়াহ্।’’
বাগদাদী বলেন, ‘‘আলী রা. এর পরবর্তী যুগে রাফেযীরা চার ভাগে বিভক্ত হয়: (১) যায়দিয়াহ্ (২) ইমামিয়াহ্ (৩) কিসানিয়াহ্ (৪) গুলাত।
তিনি আরো বলেন যে, যায়দিয়াহ্ রাফেযী ফিরকাভুক্ত নয়।
শাহ্রস্তানী বলেন, ‘‘রাফেযীরা পাঁচ দলে বিভক্ত: (১) আল কিসানিয়াহ্ (২) আল যায়দিয়াহ্ (৩) আল ইমামিয়াহ্ (৪) আল গালিয়াহ্ (৫) আল ইসমাঈলিয়াহ্।’’
বাগদাদী বলেন, ‘‘আলী রা. এর পরবর্তী যুগে রাফেযীরা চার ভাগে বিভক্ত হয়: (১) যায়দিয়াহ্ (২) ইমামিয়াহ্ (৩) কিসানিয়াহ্ (৪) গুলাত।
তিনি আরো বলেন যে, যায়দিয়াহ্ রাফেযী ফিরকাভুক্ত নয়।
‘আল-বাদাআ’ অর্থ হচ্ছে, গোপন থাকার পর পরিচিত বা বিকশিত হওয়া। অথবা নতুন চিন্তার উদ্ভব হওয়া। ‘বাদাআ’-র উল্লেখিত দু‘টি অর্থের ভিত্তিতেই একটি বিষয় আবশ্যক হয় যে, অজ্ঞতার পর জ্ঞানের উন্মেষ ঘটা। এ দু‘টি বিষয়ই মহান আল্লাহর শানে বেমানান। তবুও রাফেযীরা এ ‘বাদাআ’ মতবাদকে আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত করে থাকে। অর্থাৎ উক্ত বিষয়ে আল্লাহ্ প্রথমে অজ্ঞ ছিলেন পরে সে বিষয়ে তাঁর নতুন চিন্তার সৃষ্টি হয়। নাউযুবিলাহি মিন যালিকা।
রাইয়ান ইবনে সাল্ত থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রেযাকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আল্লাহ্ প্রত্যেক নবীকেই মদ হারামের বিধান ও আল্লাহর জন্য ‘বাদাআ’ সাব্যস্ত করার বাণী দিয়ে প্রেরণ করেছেন।
আবু আব্দুল্লাহ্ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘বাদাআ’-ই আল্লাহর সর্বোত্তম ইবাদাত।’’ অর্থাৎ ‘বাদাআ’র প্রতি বিশ্বাসই আল্লাহর মহান ইবাদাত। আমাদের রব আল্লাহ্ এ সিফাত থেকে পবিত্র ও বহু উর্ধ্বে। হে মুসলিম জাতি, ভেবে দেখুন, কিভাবে তারা আল্লাহর সাথে অজ্ঞতাকে জুড়ে দেয়। অথচ আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন,
(আরবি)
‘‘বল, ‘আল্লাহ ছাড়া আসমানসমূহে ও যমীনে যারা আছে তারা গায়েব জানে না।’’ (সূরা আন নামাল : ৬৫)
পক্ষান্তরে রাফেযীরা তাদের ইমাম সম্পর্কে ধারণা করে যে, তারা সব বিষয়ে জ্ঞান রাখেন, তাদের নিকট কোন কিছু গোপন নেই। একটু ভেবে দেখুন, এটা কি মুহাম্মদের ইসলাম?!
আল্লাহ তাআলা বলেন :
(আরবি)
‘‘আর আল্লাহর জন্যই রয়েছে সুন্দরতম নামসমূহ। সুতরাং তোমরা তাঁকে সেসব নামেই ডাক। আর তাদেরকে বর্জন কর যারা তাঁর নামে বিকৃতি ঘটায়। তারা যা করত অচিরেই তাদেরকে তার প্রতিফল দেয়া হবে।’’ (সূরা আল আ‘রাফ : ১৮০)
রাইয়ান ইবনে সাল্ত থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রেযাকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আল্লাহ্ প্রত্যেক নবীকেই মদ হারামের বিধান ও আল্লাহর জন্য ‘বাদাআ’ সাব্যস্ত করার বাণী দিয়ে প্রেরণ করেছেন।
আবু আব্দুল্লাহ্ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘বাদাআ’-ই আল্লাহর সর্বোত্তম ইবাদাত।’’ অর্থাৎ ‘বাদাআ’র প্রতি বিশ্বাসই আল্লাহর মহান ইবাদাত। আমাদের রব আল্লাহ্ এ সিফাত থেকে পবিত্র ও বহু উর্ধ্বে। হে মুসলিম জাতি, ভেবে দেখুন, কিভাবে তারা আল্লাহর সাথে অজ্ঞতাকে জুড়ে দেয়। অথচ আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন,
(আরবি)
‘‘বল, ‘আল্লাহ ছাড়া আসমানসমূহে ও যমীনে যারা আছে তারা গায়েব জানে না।’’ (সূরা আন নামাল : ৬৫)
পক্ষান্তরে রাফেযীরা তাদের ইমাম সম্পর্কে ধারণা করে যে, তারা সব বিষয়ে জ্ঞান রাখেন, তাদের নিকট কোন কিছু গোপন নেই। একটু ভেবে দেখুন, এটা কি মুহাম্মদের ইসলাম?!
আল্লাহ তাআলা বলেন :
(আরবি)
‘‘আর আল্লাহর জন্যই রয়েছে সুন্দরতম নামসমূহ। সুতরাং তোমরা তাঁকে সেসব নামেই ডাক। আর তাদেরকে বর্জন কর যারা তাঁর নামে বিকৃতি ঘটায়। তারা যা করত অচিরেই তাদেরকে তার প্রতিফল দেয়া হবে।’’ (সূরা আল আ‘রাফ : ১৮০)
রাফেযীরাই সর্ব প্রথম আল্লাহর জিস্ম তথা অবয়ব নিয়ে কথা বলে। শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ্ রহ. বলেন, রাফেযীদের মধ্যে হিশাম ইবনুল হাকাম সর্ব প্রথম আল্লাহর ব্যাপারে এরূপ ঔদ্ধত্যপূর্ণ মিথ্যা রটনা করে।
হিশাম ইবনে সালেম আল-জাওয়ালিকি, ইউনুস ইবনে আবদুর রহমান আল-কুম্মী এবং আবু জা‘ফার আল-আহওয়াল ইসনা আশারিয়াহ্ দলের এক একজন বড় পন্ডিত। পরবর্তীতে তারা আল্লাহর সিফাত অস্বীকারকারী জাহমিয়াহ্ দলে রূপান্তরিত হয়। কুরআন ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত আল্লাহর সিফাতগুলো তারা অস্বীকার করে, যার দৃষ্টান্ত অনেক। ইবনে বাবওয়াইহ্ সত্তরের অধিক তার উদাহরণ উল্লেখ করেছেন। যেমন তারা বলে : ‘‘আল্লাহ্ সময়, স্থান, প্রকার ও গঠনের সাথে সম্পৃক্ত নন। অনুরূপ তার সাথে কোন প্রকার হারাকাত তথা নড়াচড়া ও চলাফেরার কোন সম্পর্ক নেই। তার জিস্ম বা অবয়ব বলতেও কিছু নেই। শুধু তাই নয়, তার কোন অনুভূতি কিংবা আকার-আকৃতিও নেই।’’
পবিত্র কুরআন ও সহীহ্ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত আল্লাহর সিফাত অস্বীকার করে তাদের পন্ডিতগণ ভ্রান্ত নীতির অনুসরণ করছে। তারা আল্লাহ্ তা‘আলার নুযুল তথা দুনিয়ার আসমানে অবতরণের কথাও অস্বীকার করে, আল্লাহর কুরআনকে মাখলুক বলে এবং পরকালে আল্লাহর সাক্ষাতকেও অস্বীকার করে। ‘‘বেহারুল আনওয়ার’’ গ্রন্থে আছে, আবু আব্দুল্লাহ্ জা‘ফার সাদেককে কিয়ামত দিবসে আল্লাহ্ তা‘আলার দিদার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়। উত্তরে তিনি বলেন, সুবহানালাহ্! আল্লাহ্ তো এ থেকে অনেক উর্ধ্বে, মানুষের চোখ শুধু তাই দেখে, যার রং, আকার-আকৃতি ও অবস্থান আছে। এসবই আল্লাহর সৃষ্ট মাখলূক, অর্থাৎ আল্লাহ্ এসব থেকে পবিত্র।
তারা আরো বলেছে, যে কেউ দেখা বা অনুরূপ কোন সিফাত আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত করবে, সে মুরতাদ হয়ে যাবে। তাদের পন্ডিত জা‘ফার নাজাফী ‘‘কাশফুল গেতা’’ গ্রন্থে বলেন, উল্লেখ্য যে, الرؤية বা আল্লাহর দিদারের বিষয়টি পবিত্র কুরআন ও সহীহ্ হাদীসে কোন প্রকার বিশেষণ ও নির্দিষ্ট বিবরণ বা ব্যাখ্যা ছাড়াই এসেছে। যেমন আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন,
(আরবি)
‘‘সেদিন কতক মুখমন্ডল হবে হাস্যোজ্জ্বল। তাদের রবের প্রতি দৃষ্টিনিক্ষেপকারী।’’ (সূরা আল কিয়ামাহ : ২২-২৩)
সহীহ্ বুখারী ও মুসলিমে জারির ইবেন আব্দুল্লাহ্ আল-বাজালী রা. এর হাদীসে এসেছে, তিনি বলেন, আমরা একদা রাসূলুল্লাহ সা. এর নিকট বসে ছিলাম, অতঃপর তিনি সেই সময় চৌদ্দ তারিখের (পূর্ণিমার) উজ্জল চাঁদের দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘‘নিশ্চয় তোমরা তোমাদের প্রভূকে অচিরেই সরাসরি দেখবে, যেমনভাবে আজকে তোমরা এই উজ্জল চাঁদ দেখছো। যেমন চাদকে দেখতে তোমাদের কোন ভিড় হচ্ছে না।’’
এ ছাড়াও আল্লাহর দিদার সম্পর্কে আরো আয়াত ও হাদীস রয়েছে।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন,
(আরবি)
আল্লাহর জন্য রয়েছে সুন্দর নামসমূহ । কাজেই তাঁকে ডাক ঐ সব নামের মাধ্যমে। যারা তাঁর নামের মধ্যে বিকৃতি ঘঁটায় তাদেরকে পরিত্যাগ কর। তারা যা করছে তার ফল তারা শীঘ্রই পাবে।’’ (সুরা আল আ‘রাফ : ১৮০)
হিশাম ইবনে সালেম আল-জাওয়ালিকি, ইউনুস ইবনে আবদুর রহমান আল-কুম্মী এবং আবু জা‘ফার আল-আহওয়াল ইসনা আশারিয়াহ্ দলের এক একজন বড় পন্ডিত। পরবর্তীতে তারা আল্লাহর সিফাত অস্বীকারকারী জাহমিয়াহ্ দলে রূপান্তরিত হয়। কুরআন ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত আল্লাহর সিফাতগুলো তারা অস্বীকার করে, যার দৃষ্টান্ত অনেক। ইবনে বাবওয়াইহ্ সত্তরের অধিক তার উদাহরণ উল্লেখ করেছেন। যেমন তারা বলে : ‘‘আল্লাহ্ সময়, স্থান, প্রকার ও গঠনের সাথে সম্পৃক্ত নন। অনুরূপ তার সাথে কোন প্রকার হারাকাত তথা নড়াচড়া ও চলাফেরার কোন সম্পর্ক নেই। তার জিস্ম বা অবয়ব বলতেও কিছু নেই। শুধু তাই নয়, তার কোন অনুভূতি কিংবা আকার-আকৃতিও নেই।’’
পবিত্র কুরআন ও সহীহ্ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত আল্লাহর সিফাত অস্বীকার করে তাদের পন্ডিতগণ ভ্রান্ত নীতির অনুসরণ করছে। তারা আল্লাহ্ তা‘আলার নুযুল তথা দুনিয়ার আসমানে অবতরণের কথাও অস্বীকার করে, আল্লাহর কুরআনকে মাখলুক বলে এবং পরকালে আল্লাহর সাক্ষাতকেও অস্বীকার করে। ‘‘বেহারুল আনওয়ার’’ গ্রন্থে আছে, আবু আব্দুল্লাহ্ জা‘ফার সাদেককে কিয়ামত দিবসে আল্লাহ্ তা‘আলার দিদার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়। উত্তরে তিনি বলেন, সুবহানালাহ্! আল্লাহ্ তো এ থেকে অনেক উর্ধ্বে, মানুষের চোখ শুধু তাই দেখে, যার রং, আকার-আকৃতি ও অবস্থান আছে। এসবই আল্লাহর সৃষ্ট মাখলূক, অর্থাৎ আল্লাহ্ এসব থেকে পবিত্র।
তারা আরো বলেছে, যে কেউ দেখা বা অনুরূপ কোন সিফাত আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত করবে, সে মুরতাদ হয়ে যাবে। তাদের পন্ডিত জা‘ফার নাজাফী ‘‘কাশফুল গেতা’’ গ্রন্থে বলেন, উল্লেখ্য যে, الرؤية বা আল্লাহর দিদারের বিষয়টি পবিত্র কুরআন ও সহীহ্ হাদীসে কোন প্রকার বিশেষণ ও নির্দিষ্ট বিবরণ বা ব্যাখ্যা ছাড়াই এসেছে। যেমন আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন,
(আরবি)
‘‘সেদিন কতক মুখমন্ডল হবে হাস্যোজ্জ্বল। তাদের রবের প্রতি দৃষ্টিনিক্ষেপকারী।’’ (সূরা আল কিয়ামাহ : ২২-২৩)
সহীহ্ বুখারী ও মুসলিমে জারির ইবেন আব্দুল্লাহ্ আল-বাজালী রা. এর হাদীসে এসেছে, তিনি বলেন, আমরা একদা রাসূলুল্লাহ সা. এর নিকট বসে ছিলাম, অতঃপর তিনি সেই সময় চৌদ্দ তারিখের (পূর্ণিমার) উজ্জল চাঁদের দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘‘নিশ্চয় তোমরা তোমাদের প্রভূকে অচিরেই সরাসরি দেখবে, যেমনভাবে আজকে তোমরা এই উজ্জল চাঁদ দেখছো। যেমন চাদকে দেখতে তোমাদের কোন ভিড় হচ্ছে না।’’
এ ছাড়াও আল্লাহর দিদার সম্পর্কে আরো আয়াত ও হাদীস রয়েছে।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন,
(আরবি)
আল্লাহর জন্য রয়েছে সুন্দর নামসমূহ । কাজেই তাঁকে ডাক ঐ সব নামের মাধ্যমে। যারা তাঁর নামের মধ্যে বিকৃতি ঘঁটায় তাদেরকে পরিত্যাগ কর। তারা যা করছে তার ফল তারা শীঘ্রই পাবে।’’ (সুরা আল আ‘রাফ : ১৮০)
বিদ্যমান কুরআন, যার হিফাজতের দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ গ্রহণ করেছেন, সে বিষয়ে রাফেযীরা ভিন্ন মত পোষণ করে। রাফেযীরা বর্তমানে ‘শিয়াহ্’ নামে পরিচিত। তারা বলে, আমাদের নিকট বিদ্যমান কুরআন মুহাম্মাদের উপর অবতীর্ণ অবিকল কুরআন নয়। এতে অনেক পরিবর্তন-পরিবর্ধন ও কম-বেশী করা হয়েছে।
শিয়াদের অধিকাংশ মুহাদ্দিস বিশ্বাস করে যে, কুরআন শরীফে অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে। নুরী আত্-তাবারাসী ‘ফাসলুল খেতাব ফী তাহরীফে কিতাবি রাবিবল আরবাব’ কিতাবে তা স্বীকার করেছেন। [আল কুলাইনী: উসূলুল কাফী:১/২৮৪।]
মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াকুব আল-কুলাইনী ‘উসূলুল কাফী’ গ্রন্থে ‘ইমামগণ ব্যতীত পূর্ণ কুরআন কেউ একত্র করেনি’ অনুচ্ছেদে জাবের হতে বর্ণনা করেন, আবু জা‘ফার বলেছেন, যে ব্যক্তি দাবী করে যে, আল্লাহ পূর্ণ কুরআন যেভাবে নাযিল করেছেন, অনুরূপ সে তা একত্র করেছে, তাহলে সে মিথ্যাবাদী, প্রকৃত পক্ষে আল্লাহ্ যেভাবে কুরআন নাযিল করেছেন, আলী ইবনে আবী তালেব ও তার পরবর্তী ইমামগণ ছাড়া কেউ তা হুবহু একত্র ও সংরক্ষণ করতে সক্ষম হয়নি।’’ [আল কুলাইনী: উসূলুল কাফী: ১/২৮৫।]
জাবের আবু জা‘ফার থেকে বর্ণনা করেন, ‘আউসিয়া তথা ওসীয়তকৃত ব্যক্তি বর্গ ব্যতীত কেউ দাবী করতে পারবে না যে, প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সম্পূর্ণ কুরআন তার নিকট রয়েছে।’ [আল কুলাইনী: উসূলুল কাফী:২/৬৩৪।]
হিশাম ইবনে সালেম হতে প্রমাণিত হয়েছে যে, আবু আব্দুল্লাহ বলেন, ‘যেই কুরআন জিবরীল মুহাম্মাদের নিকট নিয়ে আসেন, তা সতের হাজার আয়াত বিশিষ্ট।’ [তাদের শায়খ আল মাজলেসী স্বীয় ‘‘মিরআতুল উকুল ’’ নামক গ্রন্থে এই বর্ণনাটিকে নির্ভরযোগ্য]
এর দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, রাফেযী তথা শিয়ারা যে কুরআনের দাবী করে, তা বিদ্যমান
কুরআন থেকে অনেক বেশী, যার সংরক্ষণের দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ্ নিজে গ্রহণ করেছেন। (নাউযুবিলাহ্ মিনহুম)
আহমাদ ত্বাবারাসী ‘‘আল-ইহ্তেজাজ’’ গ্রন্থে উল্লেখ করেন যে, ওমর রা. যায়েদ বিন ছাবেত রা.-কে বলেন, নিশ্চয় আলী রা. যে কুরআন নিয়ে এসেছে তাতে আনছার ও মুহাজিরদের ফাযিহাহ্ অর্থাৎ দোষত্রুটি প্রকাশ করা হয়েছে। এর বিপরীতে আমরা এমন এক কুরআন সংকলন করার ইচ্ছা করছি যা থেকে আনছার ও মুহাজিরদের সকল প্রকার ফাযিহাহ্ তথা বিষোদগার মোচন করা হবে। তার এ কথার প্রতি যায়েদ রা. সমর্থন জানিয়ে বলেন, আমি যদি আপনার চাহিদা অনুযায়ী কুরআন সংকলন সম্পন্ন করি, আর আলী রা. যদি তা জানতে পারে, তাহলে তিনি কি আপনার সংকলন বাতিল করে দেবেন না? ওমর রা. বললেন, এ থেকে বাঁচার উপায় কি? যায়েদ রা. বলেন, উপায় সম্পর্কে আপনি-ই ভাল জানেন। ওমর রা. বললেন, তাকে হত্যা করে তার থেকে নিরাপদ হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। অতঃপর খালেদ ইবনুল ওয়ালিদের মাধ্যমে তাকে হত্যা চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। ওমর রা. যখন খলিফা নিযুক্ত হন তখন আলী রা.-কে বলেন যে, আমাদের নিকট কুরআন পেশ কর, তাহলে আমাদের কাছে যা রয়েছে তাতে কিছু তাহরীফ অর্থাৎ পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করব। ওমর রা. বলেন, হে আবুল হাসান! আবু বকর রা. এর কুরআনের ন্যায় যদি আমাদের কাছে কুরআন পেশ করেন, তাহলে আমরা তাতে একমত পোষণ করব। আলী রা. বলেন, হায়! আমার দায়িত্ব শেষ হয়ে গেছে, আপনারা যেন কিয়ামত দিবসে না বলেন,
(আরবি)
অর্থ: ‘‘নিশ্চয় আমরা এ বিষয়ে অনবহিত ছিলাম...।’’ সূরা আরাফ : (১৭২)
আল্লাহ্ তা‘আলা আরো বলেন,
(আরবি)
‘‘আপনি আমাদের কাছে আসার পরেও...।’’ সূরা আরাফ : (১২৯)
নিশ্চয় এ কুরআন আমার সন্তানের মধ্যে থেকে আউসিয়া ও পবিত্র সত্বা ব্যতীত কেউ তা স্পর্শ করতে পারবে না। অতঃপর ওমর রা. বলেন, এটা প্রকাশের নির্দিষ্ট কোন সময় আছে কি? আলী রা. বলেন, হ্যাঁ! যখন আমার সন্তানদের মধ্য হতে কেউ দন্ডায়মান হবে, তখন তা প্রকাশ করা হবে। অতঃপর মানুষকে তা মানতে বাধ্য করা হবে।
তাকইয়া তথা অপকৌশল ও বাহানার আশ্রয় নিয়ে শিয়াগণ যতই বলুক, ‘কুরআন অপরিবর্তনীয়, তাতে কোন পরিবর্তন হয়নি,’ কিন্তু তাদের বিশ্বাস অনুরূপ নয়, কারণ তাদের বিশ্বস্ত লেখকদের লেখনীই বলে যে, তারা কুরআনের অবিকলতার ব্যাপারে আস্থাশীল নয়, বরং তাদের বিশ্বাস কুরআনে পরিবর্তন হয়েছে, এবং এটাই তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। কিন্তু তাদের ভয়, এ আকীদা যদি ব্যাপকভাবে প্রকাশ হয়, তাহলে তাদের মুখোশ খসে পড়বে। তাদের কুফরীর বিষয়টি সবার নিকট স্পষ্ট হয়ে যাবে। ফলশ্রুতিতে মহান এক বিপ্লবের সূচনা ঘটবে, যা তারা কখনোই পছন্দ করে না। তাদের আরেকটি বিশ্বাস কুরআন দু’টি : একটি প্রকাশ্য অপরটি অপ্রকাশ্য। রাফেযী শিয়ারা আরো বিশ্বাস করে যে, সূরা আলাম-নাশরাহ্ থেকে:
ورفعنا لك ذكرك بعلي صهرك
‘এবং তোমার জামাতা আলীর দ্বারা আমি তোমার খ্যাতিকে উচ্চ মর্যাদা দান করেছি।’
আয়াতটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। এ মন্তব্য নুরী আত্-ত্বাবারাসী ‘‘ফাসলুল খিতাব ফী তাহরীফে কিতাবে রাবিবল আরবাব’’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।
উল্লেখ্য, এ সুরাটি মক্কায় নাযিল হয়েছে, যখন আলী রা. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জামাতা ছিলেন না, তবুও এ ডাহা মিথ্যাচারের কারণে তারা সামান্য লজ্জা বোধ করে না।
আল্লাহ্ বলেন,
(আরবি)
‘‘নিশ্চয় আমরাই কুরআন নাযিল করেছি আর আমরাই তার সংরক্ষক।’’ (সুরা আল হিজর : ৯)
শিয়াদের অধিকাংশ মুহাদ্দিস বিশ্বাস করে যে, কুরআন শরীফে অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে। নুরী আত্-তাবারাসী ‘ফাসলুল খেতাব ফী তাহরীফে কিতাবি রাবিবল আরবাব’ কিতাবে তা স্বীকার করেছেন। [আল কুলাইনী: উসূলুল কাফী:১/২৮৪।]
মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াকুব আল-কুলাইনী ‘উসূলুল কাফী’ গ্রন্থে ‘ইমামগণ ব্যতীত পূর্ণ কুরআন কেউ একত্র করেনি’ অনুচ্ছেদে জাবের হতে বর্ণনা করেন, আবু জা‘ফার বলেছেন, যে ব্যক্তি দাবী করে যে, আল্লাহ পূর্ণ কুরআন যেভাবে নাযিল করেছেন, অনুরূপ সে তা একত্র করেছে, তাহলে সে মিথ্যাবাদী, প্রকৃত পক্ষে আল্লাহ্ যেভাবে কুরআন নাযিল করেছেন, আলী ইবনে আবী তালেব ও তার পরবর্তী ইমামগণ ছাড়া কেউ তা হুবহু একত্র ও সংরক্ষণ করতে সক্ষম হয়নি।’’ [আল কুলাইনী: উসূলুল কাফী: ১/২৮৫।]
জাবের আবু জা‘ফার থেকে বর্ণনা করেন, ‘আউসিয়া তথা ওসীয়তকৃত ব্যক্তি বর্গ ব্যতীত কেউ দাবী করতে পারবে না যে, প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সম্পূর্ণ কুরআন তার নিকট রয়েছে।’ [আল কুলাইনী: উসূলুল কাফী:২/৬৩৪।]
হিশাম ইবনে সালেম হতে প্রমাণিত হয়েছে যে, আবু আব্দুল্লাহ বলেন, ‘যেই কুরআন জিবরীল মুহাম্মাদের নিকট নিয়ে আসেন, তা সতের হাজার আয়াত বিশিষ্ট।’ [তাদের শায়খ আল মাজলেসী স্বীয় ‘‘মিরআতুল উকুল ’’ নামক গ্রন্থে এই বর্ণনাটিকে নির্ভরযোগ্য]
এর দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, রাফেযী তথা শিয়ারা যে কুরআনের দাবী করে, তা বিদ্যমান
কুরআন থেকে অনেক বেশী, যার সংরক্ষণের দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ্ নিজে গ্রহণ করেছেন। (নাউযুবিলাহ্ মিনহুম)
আহমাদ ত্বাবারাসী ‘‘আল-ইহ্তেজাজ’’ গ্রন্থে উল্লেখ করেন যে, ওমর রা. যায়েদ বিন ছাবেত রা.-কে বলেন, নিশ্চয় আলী রা. যে কুরআন নিয়ে এসেছে তাতে আনছার ও মুহাজিরদের ফাযিহাহ্ অর্থাৎ দোষত্রুটি প্রকাশ করা হয়েছে। এর বিপরীতে আমরা এমন এক কুরআন সংকলন করার ইচ্ছা করছি যা থেকে আনছার ও মুহাজিরদের সকল প্রকার ফাযিহাহ্ তথা বিষোদগার মোচন করা হবে। তার এ কথার প্রতি যায়েদ রা. সমর্থন জানিয়ে বলেন, আমি যদি আপনার চাহিদা অনুযায়ী কুরআন সংকলন সম্পন্ন করি, আর আলী রা. যদি তা জানতে পারে, তাহলে তিনি কি আপনার সংকলন বাতিল করে দেবেন না? ওমর রা. বললেন, এ থেকে বাঁচার উপায় কি? যায়েদ রা. বলেন, উপায় সম্পর্কে আপনি-ই ভাল জানেন। ওমর রা. বললেন, তাকে হত্যা করে তার থেকে নিরাপদ হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। অতঃপর খালেদ ইবনুল ওয়ালিদের মাধ্যমে তাকে হত্যা চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। ওমর রা. যখন খলিফা নিযুক্ত হন তখন আলী রা.-কে বলেন যে, আমাদের নিকট কুরআন পেশ কর, তাহলে আমাদের কাছে যা রয়েছে তাতে কিছু তাহরীফ অর্থাৎ পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করব। ওমর রা. বলেন, হে আবুল হাসান! আবু বকর রা. এর কুরআনের ন্যায় যদি আমাদের কাছে কুরআন পেশ করেন, তাহলে আমরা তাতে একমত পোষণ করব। আলী রা. বলেন, হায়! আমার দায়িত্ব শেষ হয়ে গেছে, আপনারা যেন কিয়ামত দিবসে না বলেন,
(আরবি)
অর্থ: ‘‘নিশ্চয় আমরা এ বিষয়ে অনবহিত ছিলাম...।’’ সূরা আরাফ : (১৭২)
আল্লাহ্ তা‘আলা আরো বলেন,
(আরবি)
‘‘আপনি আমাদের কাছে আসার পরেও...।’’ সূরা আরাফ : (১২৯)
নিশ্চয় এ কুরআন আমার সন্তানের মধ্যে থেকে আউসিয়া ও পবিত্র সত্বা ব্যতীত কেউ তা স্পর্শ করতে পারবে না। অতঃপর ওমর রা. বলেন, এটা প্রকাশের নির্দিষ্ট কোন সময় আছে কি? আলী রা. বলেন, হ্যাঁ! যখন আমার সন্তানদের মধ্য হতে কেউ দন্ডায়মান হবে, তখন তা প্রকাশ করা হবে। অতঃপর মানুষকে তা মানতে বাধ্য করা হবে।
তাকইয়া তথা অপকৌশল ও বাহানার আশ্রয় নিয়ে শিয়াগণ যতই বলুক, ‘কুরআন অপরিবর্তনীয়, তাতে কোন পরিবর্তন হয়নি,’ কিন্তু তাদের বিশ্বাস অনুরূপ নয়, কারণ তাদের বিশ্বস্ত লেখকদের লেখনীই বলে যে, তারা কুরআনের অবিকলতার ব্যাপারে আস্থাশীল নয়, বরং তাদের বিশ্বাস কুরআনে পরিবর্তন হয়েছে, এবং এটাই তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। কিন্তু তাদের ভয়, এ আকীদা যদি ব্যাপকভাবে প্রকাশ হয়, তাহলে তাদের মুখোশ খসে পড়বে। তাদের কুফরীর বিষয়টি সবার নিকট স্পষ্ট হয়ে যাবে। ফলশ্রুতিতে মহান এক বিপ্লবের সূচনা ঘটবে, যা তারা কখনোই পছন্দ করে না। তাদের আরেকটি বিশ্বাস কুরআন দু’টি : একটি প্রকাশ্য অপরটি অপ্রকাশ্য। রাফেযী শিয়ারা আরো বিশ্বাস করে যে, সূরা আলাম-নাশরাহ্ থেকে:
ورفعنا لك ذكرك بعلي صهرك
‘এবং তোমার জামাতা আলীর দ্বারা আমি তোমার খ্যাতিকে উচ্চ মর্যাদা দান করেছি।’
আয়াতটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। এ মন্তব্য নুরী আত্-ত্বাবারাসী ‘‘ফাসলুল খিতাব ফী তাহরীফে কিতাবে রাবিবল আরবাব’’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।
উল্লেখ্য, এ সুরাটি মক্কায় নাযিল হয়েছে, যখন আলী রা. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জামাতা ছিলেন না, তবুও এ ডাহা মিথ্যাচারের কারণে তারা সামান্য লজ্জা বোধ করে না।
আল্লাহ্ বলেন,
(আরবি)
‘‘নিশ্চয় আমরাই কুরআন নাযিল করেছি আর আমরাই তার সংরক্ষক।’’ (সুরা আল হিজর : ৯)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবাদের গাল-মন্দ করা ও তাদের কাফের বলাই তাদের ধর্মীয় মূলনীতি। যেমন আল-কুলাইনী ‘ফুরু‘ আল-কাফী’ কিতাবে জা‘ফারের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন : ‘‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মৃত্যুর পর তিন ব্যক্তি ব্যতীত সমস্ত মানুষ মুরতাদ ছিল, আমি বললাম, ঐ তিনজন কারা? জবাবে বলেন, মিকদাদ ইবনুল আসওয়াদ, আবু যর গিফারী ও সালমান ফারেসী।’’
আল-মাজলেসী ‘বেহারুল আনওয়ার’ গ্রন্থে উল্লেখ করেন যে, আলী ইবনে হুসাইনের গোলাম বলেন, ‘‘আমি একদা একাকি অবস্থায় তার সাথে ছিলাম, অতঃপর আমি তাকে বললাম, নিশ্চয় আপনার প্রতি আমার অধিকার রয়েছে, আপনি কি আমাকে দুই ব্যক্তি তথা আবু বকর ও ওমর সম্পর্কে বলবেন ? তিনি বলেন, তারা দুজনই কাফের এবং যারা তাদেরকে ভালবাসবে তারাও কাফের।’’
আবু হামযাহ্ আল-সেমালী হতে বর্ণিত যে, আলী ইবনে হুসাইনকে দু’জন অর্থাৎ আবু বকর ও ওমার রা. সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে বলেন, তারা দু’জনই কাফের এবং যারা তাদেরকে ওলী হিসেবে গ্রহণ করবে তারাও কাফের।’’ [আল মাজলেসী: বেহারুল আনওয়ার-২৯/১৩৭-১৩৮, এখানে একটি বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত দেয়া অতীব জরুরী যে, আলী ইবনুল হুসাইন ও আহলুল বায়ত সকলেই এরূপ মিথ্যা ধারনা থেকে মুক্ত।]
আল্লাহর বাণী :
(আরবি)
‘‘আর তিনি অশ্লীলতা, মন্দ কাজ ও সীমালঙ্ঘন থেকে নিষেধ করেন।’’ (সূরা আন-নাহাল : ৯০)
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আল-কুম্মী বলেন, ‘‘ফাহশা অর্থ আবু বকর, মুনাকার অর্থ ওমর এবং বাগী অর্থ উসমান।’’
আল-মাজলেসী ‘বেহারুল আনওয়ার’ গ্রন্থে বলেন, আবু বকর ও ওমরের কুফরী, তাদেরকে লা‘নত করা ও তাদের থেকে সম্পর্কছিন্ন করার ঘোষণা দেয়া সম্পর্কিত অসংখ্য দলীল রয়েছে, যা উল্লেখ করার জন্য একাধিক ভলিউমের প্রয়োজন। তবে এখানে যা উল্লেখ করলাম সরল পথ অন্বেষণকারীর জন্য তাই যথেষ্ট।
আল-কুম্মী উক্ত গ্রন্থের অপর স্থানে বলেন, আবু বকর, ওমর, উসমান ও মু‘আবিয়াহ্ সকলেই জাহান্নামের জ্বালানী কাষ্ঠ। নাউযুবিল্লাহ মিন যালেক।
‘এহ্কাকুল হক’ কিতাবে বর্ণিত, ‘‘হে আল্লাহ্! মুহাম্মাদ ও মুহাম্মাদের বংশধরের উপর শান্তি ও রহমত বর্ষণ করো আর কুরাইশের দুই তাগুত ও মূর্তি এবং তাদের দুই কন্যার উপর লা‘নত বর্ষণ করো... ।
তাগুত ও মূর্তি দ্বারা তারা আবু বকর ও ওমর রা. এবং তাদের দুই কন্যা দ্বারা আয়েশা ও হাফছাকে বুঝায়।
আল-মাজলেসী তার ‘আল-আকায়েদ’ পুস্তিকায় উল্লেখ করেন, ইমামিয়াহ্ দীনের জন্য যে সব বিষয় জরুরী তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মেয়াদী বিবাহ ও তামাত্তু হজ হালাল জানা এবং তিনজন তথা আবু বকর, ওমর, উসমান ও মু‘আবিয়াহ্, ইয়াযিদ ইবনে মু‘আবিয়াহ্ এবং যারা আমীরুল মু‘মিনীন আলী রা.-র সাথে লড়াই করে, তাদের থেকে মুক্ত থাকা।
আশুরার দিন তারা একটি কুকুর নিয়ে আসে এবং কুকুরের নামকরণ করে ওমর অতঃপর তারা কুকুরটির উপর লাঠির আঘাত ও কংকর নিক্ষেপ করতে থাকে যতক্ষণ না মরে। কুকুরটি মারা যাওয়ার পর একটি বকরি ছানা নিয়ে আসে এবং তার নাম রাখে আয়েশা অতঃপর ঐ বকরি ছানার লোম উপড়াতে ও জুতা দ্বারা আঘাত করতে থাকে, বকরি ছানাটি না মরা পর্যন্ত এরূপ আঘাত করতেই থাকে।
অনুরূপভাবে ওমর রা.-র শাহাদাত দিবসে তারা আনন্দ অনুষ্ঠান পালন করে এবং তাঁর হত্যাকারীকে ‘বাবা শুজাউদ্দীন’ বা ‘বাবা ধর্মীয় বীর’ নামে খেতাব দেয়। আল্লাহ্ তা‘আলা সকল সাহাবা ও উম্মাহাতুল মু‘মিনীনদের প্রতি সন্তুষ্ট হোন।
ভেবে দেখ হে মুসলিম জাতি! কত হিংসা ও কত জঘন্য নীতির ধারক দীন ত্যাগকারী এ দলটি! আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল যাদের প্রশংসা করেছেন, যারা নবীদের পর শ্রেষ্ঠ উম্মত, যাদের ইনসাফ ও ফযিলত সম্পর্কে সমগ্র উম্মাহ একমত এবং যাদের সৎ কাজ ও জিহাদের সাক্ষ্য দেয় ইতিহাস, তাদের ব্যাপারে এ পথভ্রষ্ঠ দলটির অবস্থান একটু ভেবে দেখুন!
রাসূহুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘‘তোমরা ভালবাসার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি ও সীমা লংঘন করা হতে সাবধান থাকবে। কেননা এ সীমা লংঘনই তোমাদের পূর্ববর্তীদের ধ্বংস করেছে।’’ (মুসনাদ আহমাদ ও ইবনু মাজাহ্)
আল-মাজলেসী ‘বেহারুল আনওয়ার’ গ্রন্থে উল্লেখ করেন যে, আলী ইবনে হুসাইনের গোলাম বলেন, ‘‘আমি একদা একাকি অবস্থায় তার সাথে ছিলাম, অতঃপর আমি তাকে বললাম, নিশ্চয় আপনার প্রতি আমার অধিকার রয়েছে, আপনি কি আমাকে দুই ব্যক্তি তথা আবু বকর ও ওমর সম্পর্কে বলবেন ? তিনি বলেন, তারা দুজনই কাফের এবং যারা তাদেরকে ভালবাসবে তারাও কাফের।’’
আবু হামযাহ্ আল-সেমালী হতে বর্ণিত যে, আলী ইবনে হুসাইনকে দু’জন অর্থাৎ আবু বকর ও ওমার রা. সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে বলেন, তারা দু’জনই কাফের এবং যারা তাদেরকে ওলী হিসেবে গ্রহণ করবে তারাও কাফের।’’ [আল মাজলেসী: বেহারুল আনওয়ার-২৯/১৩৭-১৩৮, এখানে একটি বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত দেয়া অতীব জরুরী যে, আলী ইবনুল হুসাইন ও আহলুল বায়ত সকলেই এরূপ মিথ্যা ধারনা থেকে মুক্ত।]
আল্লাহর বাণী :
(আরবি)
‘‘আর তিনি অশ্লীলতা, মন্দ কাজ ও সীমালঙ্ঘন থেকে নিষেধ করেন।’’ (সূরা আন-নাহাল : ৯০)
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আল-কুম্মী বলেন, ‘‘ফাহশা অর্থ আবু বকর, মুনাকার অর্থ ওমর এবং বাগী অর্থ উসমান।’’
আল-মাজলেসী ‘বেহারুল আনওয়ার’ গ্রন্থে বলেন, আবু বকর ও ওমরের কুফরী, তাদেরকে লা‘নত করা ও তাদের থেকে সম্পর্কছিন্ন করার ঘোষণা দেয়া সম্পর্কিত অসংখ্য দলীল রয়েছে, যা উল্লেখ করার জন্য একাধিক ভলিউমের প্রয়োজন। তবে এখানে যা উল্লেখ করলাম সরল পথ অন্বেষণকারীর জন্য তাই যথেষ্ট।
আল-কুম্মী উক্ত গ্রন্থের অপর স্থানে বলেন, আবু বকর, ওমর, উসমান ও মু‘আবিয়াহ্ সকলেই জাহান্নামের জ্বালানী কাষ্ঠ। নাউযুবিল্লাহ মিন যালেক।
‘এহ্কাকুল হক’ কিতাবে বর্ণিত, ‘‘হে আল্লাহ্! মুহাম্মাদ ও মুহাম্মাদের বংশধরের উপর শান্তি ও রহমত বর্ষণ করো আর কুরাইশের দুই তাগুত ও মূর্তি এবং তাদের দুই কন্যার উপর লা‘নত বর্ষণ করো... ।
তাগুত ও মূর্তি দ্বারা তারা আবু বকর ও ওমর রা. এবং তাদের দুই কন্যা দ্বারা আয়েশা ও হাফছাকে বুঝায়।
আল-মাজলেসী তার ‘আল-আকায়েদ’ পুস্তিকায় উল্লেখ করেন, ইমামিয়াহ্ দীনের জন্য যে সব বিষয় জরুরী তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মেয়াদী বিবাহ ও তামাত্তু হজ হালাল জানা এবং তিনজন তথা আবু বকর, ওমর, উসমান ও মু‘আবিয়াহ্, ইয়াযিদ ইবনে মু‘আবিয়াহ্ এবং যারা আমীরুল মু‘মিনীন আলী রা.-র সাথে লড়াই করে, তাদের থেকে মুক্ত থাকা।
আশুরার দিন তারা একটি কুকুর নিয়ে আসে এবং কুকুরের নামকরণ করে ওমর অতঃপর তারা কুকুরটির উপর লাঠির আঘাত ও কংকর নিক্ষেপ করতে থাকে যতক্ষণ না মরে। কুকুরটি মারা যাওয়ার পর একটি বকরি ছানা নিয়ে আসে এবং তার নাম রাখে আয়েশা অতঃপর ঐ বকরি ছানার লোম উপড়াতে ও জুতা দ্বারা আঘাত করতে থাকে, বকরি ছানাটি না মরা পর্যন্ত এরূপ আঘাত করতেই থাকে।
অনুরূপভাবে ওমর রা.-র শাহাদাত দিবসে তারা আনন্দ অনুষ্ঠান পালন করে এবং তাঁর হত্যাকারীকে ‘বাবা শুজাউদ্দীন’ বা ‘বাবা ধর্মীয় বীর’ নামে খেতাব দেয়। আল্লাহ্ তা‘আলা সকল সাহাবা ও উম্মাহাতুল মু‘মিনীনদের প্রতি সন্তুষ্ট হোন।
ভেবে দেখ হে মুসলিম জাতি! কত হিংসা ও কত জঘন্য নীতির ধারক দীন ত্যাগকারী এ দলটি! আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল যাদের প্রশংসা করেছেন, যারা নবীদের পর শ্রেষ্ঠ উম্মত, যাদের ইনসাফ ও ফযিলত সম্পর্কে সমগ্র উম্মাহ একমত এবং যাদের সৎ কাজ ও জিহাদের সাক্ষ্য দেয় ইতিহাস, তাদের ব্যাপারে এ পথভ্রষ্ঠ দলটির অবস্থান একটু ভেবে দেখুন!
রাসূহুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘‘তোমরা ভালবাসার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি ও সীমা লংঘন করা হতে সাবধান থাকবে। কেননা এ সীমা লংঘনই তোমাদের পূর্ববর্তীদের ধ্বংস করেছে।’’ (মুসনাদ আহমাদ ও ইবনু মাজাহ্)
শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ্ রহ. বলেন, ‘‘ইহুদীদের সাথে রাফেযীদের সামঞ্জস্যতার কিছু উদাহরণ, ইহুদীদের দাবি, দাউদের বংশধর ব্যতীত রাজত্ব করা কারো জন্য শোভনীয় নয়। আর রাফেযী শিয়াদের দাবি, আলী রা.-র সন্তানগণ ব্যতীত কারো জন্য ইমামত বৈধ নয়।
ইহুদীরা বলে, মাসীহ দাজ্জালের আবির্ভাব ও তরবারী অবতীর্ণ ছাড়া জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ্ নেই। আর রাফেযীরা বলে, মাহদীর আগমন ও আসমানী আহববান ছাড়া জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ নেই।
ইহুদীরা আসমানে তারকারাজী উজ্জল না হওয়া পর্যন্ত সালাত বিলম্ব করে। অনুরূপভাবে রাফেযীরা মাগরিবের সালাত আসমানে তারকারাজী স্পষ্ট ও উজ্জল না হওয়া পর্যন্ত বিলম্ব করে। অথচ হাদীসের ভাষ্য এর বিপরীত :
لا تزال أمتي على الفطرة ما لم يخروا المغرب إلى أن تشتبك النجوم .
‘‘আমার উম্মত ইসলামী ফিৎরাতের উপরই বিদ্যমান থাকবে, যে পর্যন্ত না তারা মাগরিব সালাত আসমানে তারকারাজী স্পষ্ট হওয়া পর্যন্ত বিলম্ব করবে।’’
ইহুদীরা তাওরাতে পরিবর্তন এনেছে আর রাফেযীরা কুরআন শরীফে পরিবর্তন করেছে।
ইহুদীরা মোজার উপরে মাসাহ্ করা বৈধ মনে করে না। অনুরূপভাবে রাফেযীরাও মোজার উপর মাসাহ্ করা বৈধ মনে করে না।
ইহুদীরা ফেরেশতাদের সাথে বিদ্বেষ পোষণ করে বলে, ফেরেশ্তাদের মধ্যে আমাদের শত্রু হচ্ছে জিবরীল, অনুরূপভাবে রাফেযীরা বলে, জিবরীল ভুল করে ওহী নাযিল করেছে মুহাম্মাদের উপর। [গুরাবিয়া নামক আরেকটি দল আছে তারা বলে যে, জিবরীল হচ্ছে, খেয়ানতকারী সে ওহী নাযিল করে মুহাম্মাদ সা. এর উপর অথচ রেসালাত পাওয়ার অধিক হকদার ছিল আলী ইবনে আবি তালেব। এ জন্যই তারা বলে, ‘‘খেয়ানত করেছে আমীন তথা জিবরীল আর হায়দার তথা আলীকে রেসালাত থেকে বঞ্চিত করেছে’’। হে মুসলিম মিলাত! দেখুন কিভাবে তারা জিবরীল আমীন এর প্রতি খেয়ানতের অপবাদ দিচ্ছে অথচ আল্লাহ্ তাকে আমানতদারীর গুনে ভূষিত করেছেন। যেমন আল্লাহ্ বলেন, এটা নাযিল হয়েছে আমানতদার আত্নার মাধ্যমে।]
রাফেযীরা খৃষ্টানদের সাথেও বেশ কিছু বিষয়ে মিল রাখে। যেমন খৃষ্টানদের মেয়েদের বিবাহের ক্ষেত্রে মোহর নেই বরং যা দেয় তা ব্যবহারের বিনিময় হিসেবে দেয়। অর্থাৎ স্ত্রীর নিকট হতে যে ফায়েদা গ্রহণ করে তারই বিনিময় হিসেবে গণ্য। অনুরূপ রাফেযীরা মুত‘আহ্ বিবাহ (Contract marriage) বৈধ মনে করে এবং প্রদত্ত অর্থ বিনিময় মূল্য হিসেবে গণ্য করে, মোহর হিসেবে নয়।
ইহুদী ও খৃষ্টান জাতি রাফেযীদের থেকে দুটি বিষয়ে উৎকৃষ্ট। ইহুদীদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, তোমাদের ধর্মে কে উত্তম? তারা বলেছিল : মুসার সঙ্গী-সাথীরা। অনুরূপভাবে নাসারাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল তোমাদের ধর্মে কে উত্তম? তারা বলেছিল : ঈসার শিষ্যরা। আর রাফেযীদের জিজ্ঞেস করা হয়েছিল তোমাদের ধর্মে কারা সবচেয়ে নিকৃষ্ট? তারা বলেছিল : মুহাম্মাদের সাহাবীগণ।’’
শায়খ আব্দুল্লাহ্ আল-জুমাইলী ‘‘বাযলুল মাজহুদ ফী মুশাবিহাতির রাফেযাতে লিল ইহুদ’’ গ্রন্থে রাফেযী
ও ইহুদীদের মধ্যে কতিপয় সাদৃশ্য উল্লেখ করেন, যেমন ইহুদ ও রাফেযীরা নিজেদের ছাড়া অন্যদের
কাফের বলে এবং তাদের রক্ত ও সম্পদ তথা জান ও মাল হালাল মনে করে। অতঃপর তিনি বলেন, ইহুদীরা মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করে, যথা: ইয়াহুদ ও উমামি। উমামিরা হচ্ছে, ঐ সমস্ত লোক যারা ইহুদী নয়। ইহুদীরা আরো বিশ্বাস করে যে, শুধুমাত্র তারাই মু‘মিন। আর তাদের নিকট উমামিরা হচ্ছে, কাফের মূর্তিপূজক আল্লাহ সম্পর্কে অজ্ঞ।
তালমুদ গ্রন্থে এসেছে যে, ইহুদীরা ব্যতীত সকল জাতি-ই মূর্তিপূজক। এমনকি ঈসা আ. ও তাদের এ
কুফরী সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত। তালমুদে তারা বলেছে, ‘ঈসা আ. কাফের, সে আল্লাহকে চেনে না।’
রাফেযীরা বলে মু‘মিন তথা ইহুদী ও তারা ব্যতীত অবশিষ্ট সকলে কাফের ও মুরতাদ। ইসলামে তাদের কোন অংশ নেই।
মুসলমানদেরকে কাফের বলার কারণ হচ্ছে এই যে, মুসলমানরা ‘বেলায়াত’ মানে না, অথচ রাফেযীরা এটাকে ইসলামের রোকন বলে বিশ্বাস করে। অতএব ‘বেলায়াত’ অস্বীকারকারী রাফেযীদের নিকট কাফের। তার কুফরী কালিমা শাহাদাত অথবা ইসলামের পাঁচ রুকনের কোন এক রুকন অস্বীকারকারীর ন্যায়। আর তাদের নিকট বেলায়াত ইসলামের সকল রুকনের উর্ধ্বে।
আল-বারকী আবু আব্দুল্লাহ্ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ‘‘আমরা ও আমাদের শিয়ারা ব্যতীত আর কেউ মিল্লাতে ইবরাহীমের উপর প্রতিষ্ঠিত নেই অর্থাৎ শুধুমাত্র আমরাই মিল্লাতে ইবরাহীমের উপর প্রতিষ্ঠিত, আর সব মানুষ তা থেকে মুক্ত।’’
আবু আব্দুল্লাহ সূত্রে তাফসীরে কুম্মীতে রয়েছে, তিনি বলেন, ‘‘আমরা ও ইহুদীরা ব্যতীত কিয়ামত পর্যন্ত ইসলামের উপর আর কেউ নেই।’’
ইহুদীরা বলে, মাসীহ দাজ্জালের আবির্ভাব ও তরবারী অবতীর্ণ ছাড়া জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ্ নেই। আর রাফেযীরা বলে, মাহদীর আগমন ও আসমানী আহববান ছাড়া জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ নেই।
ইহুদীরা আসমানে তারকারাজী উজ্জল না হওয়া পর্যন্ত সালাত বিলম্ব করে। অনুরূপভাবে রাফেযীরা মাগরিবের সালাত আসমানে তারকারাজী স্পষ্ট ও উজ্জল না হওয়া পর্যন্ত বিলম্ব করে। অথচ হাদীসের ভাষ্য এর বিপরীত :
لا تزال أمتي على الفطرة ما لم يخروا المغرب إلى أن تشتبك النجوم .
‘‘আমার উম্মত ইসলামী ফিৎরাতের উপরই বিদ্যমান থাকবে, যে পর্যন্ত না তারা মাগরিব সালাত আসমানে তারকারাজী স্পষ্ট হওয়া পর্যন্ত বিলম্ব করবে।’’
ইহুদীরা তাওরাতে পরিবর্তন এনেছে আর রাফেযীরা কুরআন শরীফে পরিবর্তন করেছে।
ইহুদীরা মোজার উপরে মাসাহ্ করা বৈধ মনে করে না। অনুরূপভাবে রাফেযীরাও মোজার উপর মাসাহ্ করা বৈধ মনে করে না।
ইহুদীরা ফেরেশতাদের সাথে বিদ্বেষ পোষণ করে বলে, ফেরেশ্তাদের মধ্যে আমাদের শত্রু হচ্ছে জিবরীল, অনুরূপভাবে রাফেযীরা বলে, জিবরীল ভুল করে ওহী নাযিল করেছে মুহাম্মাদের উপর। [গুরাবিয়া নামক আরেকটি দল আছে তারা বলে যে, জিবরীল হচ্ছে, খেয়ানতকারী সে ওহী নাযিল করে মুহাম্মাদ সা. এর উপর অথচ রেসালাত পাওয়ার অধিক হকদার ছিল আলী ইবনে আবি তালেব। এ জন্যই তারা বলে, ‘‘খেয়ানত করেছে আমীন তথা জিবরীল আর হায়দার তথা আলীকে রেসালাত থেকে বঞ্চিত করেছে’’। হে মুসলিম মিলাত! দেখুন কিভাবে তারা জিবরীল আমীন এর প্রতি খেয়ানতের অপবাদ দিচ্ছে অথচ আল্লাহ্ তাকে আমানতদারীর গুনে ভূষিত করেছেন। যেমন আল্লাহ্ বলেন, এটা নাযিল হয়েছে আমানতদার আত্নার মাধ্যমে।]
রাফেযীরা খৃষ্টানদের সাথেও বেশ কিছু বিষয়ে মিল রাখে। যেমন খৃষ্টানদের মেয়েদের বিবাহের ক্ষেত্রে মোহর নেই বরং যা দেয় তা ব্যবহারের বিনিময় হিসেবে দেয়। অর্থাৎ স্ত্রীর নিকট হতে যে ফায়েদা গ্রহণ করে তারই বিনিময় হিসেবে গণ্য। অনুরূপ রাফেযীরা মুত‘আহ্ বিবাহ (Contract marriage) বৈধ মনে করে এবং প্রদত্ত অর্থ বিনিময় মূল্য হিসেবে গণ্য করে, মোহর হিসেবে নয়।
ইহুদী ও খৃষ্টান জাতি রাফেযীদের থেকে দুটি বিষয়ে উৎকৃষ্ট। ইহুদীদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, তোমাদের ধর্মে কে উত্তম? তারা বলেছিল : মুসার সঙ্গী-সাথীরা। অনুরূপভাবে নাসারাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল তোমাদের ধর্মে কে উত্তম? তারা বলেছিল : ঈসার শিষ্যরা। আর রাফেযীদের জিজ্ঞেস করা হয়েছিল তোমাদের ধর্মে কারা সবচেয়ে নিকৃষ্ট? তারা বলেছিল : মুহাম্মাদের সাহাবীগণ।’’
শায়খ আব্দুল্লাহ্ আল-জুমাইলী ‘‘বাযলুল মাজহুদ ফী মুশাবিহাতির রাফেযাতে লিল ইহুদ’’ গ্রন্থে রাফেযী
ও ইহুদীদের মধ্যে কতিপয় সাদৃশ্য উল্লেখ করেন, যেমন ইহুদ ও রাফেযীরা নিজেদের ছাড়া অন্যদের
কাফের বলে এবং তাদের রক্ত ও সম্পদ তথা জান ও মাল হালাল মনে করে। অতঃপর তিনি বলেন, ইহুদীরা মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করে, যথা: ইয়াহুদ ও উমামি। উমামিরা হচ্ছে, ঐ সমস্ত লোক যারা ইহুদী নয়। ইহুদীরা আরো বিশ্বাস করে যে, শুধুমাত্র তারাই মু‘মিন। আর তাদের নিকট উমামিরা হচ্ছে, কাফের মূর্তিপূজক আল্লাহ সম্পর্কে অজ্ঞ।
তালমুদ গ্রন্থে এসেছে যে, ইহুদীরা ব্যতীত সকল জাতি-ই মূর্তিপূজক। এমনকি ঈসা আ. ও তাদের এ
কুফরী সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত। তালমুদে তারা বলেছে, ‘ঈসা আ. কাফের, সে আল্লাহকে চেনে না।’
রাফেযীরা বলে মু‘মিন তথা ইহুদী ও তারা ব্যতীত অবশিষ্ট সকলে কাফের ও মুরতাদ। ইসলামে তাদের কোন অংশ নেই।
মুসলমানদেরকে কাফের বলার কারণ হচ্ছে এই যে, মুসলমানরা ‘বেলায়াত’ মানে না, অথচ রাফেযীরা এটাকে ইসলামের রোকন বলে বিশ্বাস করে। অতএব ‘বেলায়াত’ অস্বীকারকারী রাফেযীদের নিকট কাফের। তার কুফরী কালিমা শাহাদাত অথবা ইসলামের পাঁচ রুকনের কোন এক রুকন অস্বীকারকারীর ন্যায়। আর তাদের নিকট বেলায়াত ইসলামের সকল রুকনের উর্ধ্বে।
আল-বারকী আবু আব্দুল্লাহ্ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ‘‘আমরা ও আমাদের শিয়ারা ব্যতীত আর কেউ মিল্লাতে ইবরাহীমের উপর প্রতিষ্ঠিত নেই অর্থাৎ শুধুমাত্র আমরাই মিল্লাতে ইবরাহীমের উপর প্রতিষ্ঠিত, আর সব মানুষ তা থেকে মুক্ত।’’
আবু আব্দুল্লাহ সূত্রে তাফসীরে কুম্মীতে রয়েছে, তিনি বলেন, ‘‘আমরা ও ইহুদীরা ব্যতীত কিয়ামত পর্যন্ত ইসলামের উপর আর কেউ নেই।’’
রাফেযীদের দাবী : ইমামগণ নিষ্পাপ, তারা গায়েব জানেন। আল-কুলাইনী ‘‘উসুলুল কাফী’’ গ্রন্থে উল্লেখ করেন, ‘‘ইমাম জাফার সাদেক বলেন, আমরা হলাম আল্লাহর ইলমের ভান্ডার। আমরা আল্লাহর নির্দেশাবলীর অনুবাদক। আমরা নিষ্পাপ কওম। আমাদের আনুগত্য করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং আমাদের ফরমানী থেকে নিষেধ করা হয়েছে। আসমানের নীচে ও যমীনের উপরে বিদ্যমান সকলের জন্য আমরা আল্লাহর পরিপূর্ণ হুজ্জাত তথা দলীল।’’
উক্ত গ্রন্থের অনুচ্ছেদ ‘‘নিশ্চয় ইমামগণ যখন জানার ইচ্ছা করেন তখনই তারা তা জেনে যান’’-এ জা‘ফার সূত্রে কুলাইনী উল্লেখ করেন, ‘‘নিশ্চয় একজন ইমাম যখন জানার ইচ্ছা করেন তখনই তিনি তা জেনে যান, আর ইমামগণ কখন মৃত্যু বরণ করবেন, তাও তারা জানেন, তারা নিজেদের ইচ্ছা ব্যতীত মৃত্যু বরণ করেন না।’’
খুমাইনী ‘‘তাহরীরুল ওয়াসীলাহ্’’ গ্রন্থে বলেন, ‘‘নিশ্চয় ইমামের প্রশংসিত স্থান ও উচ্চ মর্যাদা রয়েছে। জগত পরিচালনার খেলাফতও তার উপর ন্যাস্ত। তার নেতৃত্ব ও কর্তৃত্বের প্রতি জগতের সব কিছুই অনুগত।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘নিশ্চয় আমাদের বারো ইমামের সাথে আল্লাহর কিছু বিশেষ মুহূর্ত রয়েছে। যা তার নৈকট্য লাভে ধন্য কোন ফেরেশ্তারও নেই। এমনকি কোন নবী রাসূলেরও নেই।’’
রাফেযীরা তাদের ইমামদের ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করে বলেছে যে, নবী মুহাম্মাদ ব্যতীত সকল নবীর চাইতে তাদের ইমামদের ফযিলত ও মর্যাদা বেশী। আল-মাজলেসী ‘‘মিরআতুল উকুল’’ গ্রন্থে উল্লেখ করেন, ‘‘ইমামগণ আমাদের নবী মুহাম্মাদ ব্যতীত সকল নবীর চেয়ে উত্তম ও অধিক সম্মানের অধিকারী।’’
ইমামদের ব্যাপারে রাফেযীদের সীমালঙ্ঘন এখানেই শেষ নয়, বরং তারা বলে, জগত পরিচালনার দায়িত্ব ইমামদের। আল খু-ই ‘‘মিসবাহুল ফুকাহা’’ গ্রন্থে বলেন, সমস্ত জগতের পরিচালার দায়িত্ব তাদের রয়েছে, এতে কোন সন্দেহ নেই। বিভিন্ন সূত্র থেকে এরূপই প্রতীয়মান হয়। কারণ, তারাই হচ্ছেন সব কিছুর মিডিয়া অর্থাৎ তাদের দ্বারাই সব কিছুর অস্তিত্ব। তারাই সকল সৃষ্টির মূল কারণ। অতএব, যদি তারা না হতেন তাহলে কোন মানুষই সৃষ্টি হতো না। তাদের জন্যই সকল মানুষের সৃষ্টি। তাদের দ্বারাই সকলের অস্তিত্ব। এদের কারণেই সৃষ্টির শ্রীবৃদ্ধি। শুধু তা-ই নয় বরং সৃষ্টিকর্তা ব্যতীত তাদের হাতেই রয়েছে সৃষ্টিজগত পরিচালনার কর্তৃত্ব। আর এ সব পরিচালনার কর্তৃত্বব আল্লাহর কর্তৃত্বের ন্যায়।’’ আল্লাহ তাদের সীমালঙ্ঘন ও পদস্খলন থেকে আমাদের রক্ষা করুন। ইমামগণ কিভাবে এ সৃষ্টি জগতের অস্তিত্বের মিডিয়া বা মাধ্যম হতে পারেন? ইমামগণ কিভাবে এই সৃষ্টি জগতের অস্তিত্বের কারণ হতে পারেন? ইমামগণ কিভাবে মানুষ সৃষ্টির কারণ হতে পারেন? কিভাবে ইমামদের জন্য মানুষ সৃষ্টি হতে পারে? অথচ আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন,
(আরবি)
‘‘আর জিন ও মানুষকে কেবল এজন্যই সৃষ্টি করেছি যে তারা আমার ইবাদাত করবে।’’ (সূরা আজ-জারিয়াত : ৫৬)
পবিত্র কুরআন ও সহীহ্ সুন্নাহ্ থেকে বিচ্যুত এরূপ ভ্রান্ত ও পথভ্রষ্ঠ আক্বীদা থেকে মহান আল্লাহর
নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি।
শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ্ রহ্. বলেন, ‘‘রাফেযী শিয়ারা ধারণা করে যে, দীন তাদের পীর-পুরোহিতদের ইচ্ছার উপর ন্যাস্ত। তারা যা হালাল বলবে তাই হালাল। এবং তারা যা হারাম বলবে তাই হারাম। তারা যে বিধান রচনা করবে তাই শরীআত বলে গণ্য।’’
সম্মানিত পাঠক! আলী রা. এর ব্যাপারে তাদের বাড়াবাড়ি, শিরক ও কুফরী সম্পর্কে যদি জানতে চান, তাহলে তাদের আধুনিককালের কবি শায়খ ইবরাহীম আল-আমলীর রচিত ছন্দগুলো পড়ুন :
হে আবু হাসান তুমিতো ইলাহের চক্ষু
এবং তাঁরই মহান কুদরতের ঠিকানা
তুমিতো অদৃশ্যের জ্ঞানের আয়ত্বকারী
তোমাকে ফাঁকি দিয়ে কেউ নিজেকে গোপন করতে পারে?
তুমি-ই সমস্ত জগতের পরিচালক
সৃষ্টি জগতের সাগর নালা তোমারই
তোমারই সব কর্তৃত্ব যদি চাও আগামী কাল জিন্দা করবে
নয়তবা মুখমন্ডলের সম্মুখ ভাগে হেঁচড়ে তুলবে।
উক্ত গ্রন্থের অনুচ্ছেদ ‘‘নিশ্চয় ইমামগণ যখন জানার ইচ্ছা করেন তখনই তারা তা জেনে যান’’-এ জা‘ফার সূত্রে কুলাইনী উল্লেখ করেন, ‘‘নিশ্চয় একজন ইমাম যখন জানার ইচ্ছা করেন তখনই তিনি তা জেনে যান, আর ইমামগণ কখন মৃত্যু বরণ করবেন, তাও তারা জানেন, তারা নিজেদের ইচ্ছা ব্যতীত মৃত্যু বরণ করেন না।’’
খুমাইনী ‘‘তাহরীরুল ওয়াসীলাহ্’’ গ্রন্থে বলেন, ‘‘নিশ্চয় ইমামের প্রশংসিত স্থান ও উচ্চ মর্যাদা রয়েছে। জগত পরিচালনার খেলাফতও তার উপর ন্যাস্ত। তার নেতৃত্ব ও কর্তৃত্বের প্রতি জগতের সব কিছুই অনুগত।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘নিশ্চয় আমাদের বারো ইমামের সাথে আল্লাহর কিছু বিশেষ মুহূর্ত রয়েছে। যা তার নৈকট্য লাভে ধন্য কোন ফেরেশ্তারও নেই। এমনকি কোন নবী রাসূলেরও নেই।’’
রাফেযীরা তাদের ইমামদের ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করে বলেছে যে, নবী মুহাম্মাদ ব্যতীত সকল নবীর চাইতে তাদের ইমামদের ফযিলত ও মর্যাদা বেশী। আল-মাজলেসী ‘‘মিরআতুল উকুল’’ গ্রন্থে উল্লেখ করেন, ‘‘ইমামগণ আমাদের নবী মুহাম্মাদ ব্যতীত সকল নবীর চেয়ে উত্তম ও অধিক সম্মানের অধিকারী।’’
ইমামদের ব্যাপারে রাফেযীদের সীমালঙ্ঘন এখানেই শেষ নয়, বরং তারা বলে, জগত পরিচালনার দায়িত্ব ইমামদের। আল খু-ই ‘‘মিসবাহুল ফুকাহা’’ গ্রন্থে বলেন, সমস্ত জগতের পরিচালার দায়িত্ব তাদের রয়েছে, এতে কোন সন্দেহ নেই। বিভিন্ন সূত্র থেকে এরূপই প্রতীয়মান হয়। কারণ, তারাই হচ্ছেন সব কিছুর মিডিয়া অর্থাৎ তাদের দ্বারাই সব কিছুর অস্তিত্ব। তারাই সকল সৃষ্টির মূল কারণ। অতএব, যদি তারা না হতেন তাহলে কোন মানুষই সৃষ্টি হতো না। তাদের জন্যই সকল মানুষের সৃষ্টি। তাদের দ্বারাই সকলের অস্তিত্ব। এদের কারণেই সৃষ্টির শ্রীবৃদ্ধি। শুধু তা-ই নয় বরং সৃষ্টিকর্তা ব্যতীত তাদের হাতেই রয়েছে সৃষ্টিজগত পরিচালনার কর্তৃত্ব। আর এ সব পরিচালনার কর্তৃত্বব আল্লাহর কর্তৃত্বের ন্যায়।’’ আল্লাহ তাদের সীমালঙ্ঘন ও পদস্খলন থেকে আমাদের রক্ষা করুন। ইমামগণ কিভাবে এ সৃষ্টি জগতের অস্তিত্বের মিডিয়া বা মাধ্যম হতে পারেন? ইমামগণ কিভাবে এই সৃষ্টি জগতের অস্তিত্বের কারণ হতে পারেন? ইমামগণ কিভাবে মানুষ সৃষ্টির কারণ হতে পারেন? কিভাবে ইমামদের জন্য মানুষ সৃষ্টি হতে পারে? অথচ আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন,
(আরবি)
‘‘আর জিন ও মানুষকে কেবল এজন্যই সৃষ্টি করেছি যে তারা আমার ইবাদাত করবে।’’ (সূরা আজ-জারিয়াত : ৫৬)
পবিত্র কুরআন ও সহীহ্ সুন্নাহ্ থেকে বিচ্যুত এরূপ ভ্রান্ত ও পথভ্রষ্ঠ আক্বীদা থেকে মহান আল্লাহর
নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি।
শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ্ রহ্. বলেন, ‘‘রাফেযী শিয়ারা ধারণা করে যে, দীন তাদের পীর-পুরোহিতদের ইচ্ছার উপর ন্যাস্ত। তারা যা হালাল বলবে তাই হালাল। এবং তারা যা হারাম বলবে তাই হারাম। তারা যে বিধান রচনা করবে তাই শরীআত বলে গণ্য।’’
সম্মানিত পাঠক! আলী রা. এর ব্যাপারে তাদের বাড়াবাড়ি, শিরক ও কুফরী সম্পর্কে যদি জানতে চান, তাহলে তাদের আধুনিককালের কবি শায়খ ইবরাহীম আল-আমলীর রচিত ছন্দগুলো পড়ুন :
হে আবু হাসান তুমিতো ইলাহের চক্ষু
এবং তাঁরই মহান কুদরতের ঠিকানা
তুমিতো অদৃশ্যের জ্ঞানের আয়ত্বকারী
তোমাকে ফাঁকি দিয়ে কেউ নিজেকে গোপন করতে পারে?
তুমি-ই সমস্ত জগতের পরিচালক
সৃষ্টি জগতের সাগর নালা তোমারই
তোমারই সব কর্তৃত্ব যদি চাও আগামী কাল জিন্দা করবে
নয়তবা মুখমন্ডলের সম্মুখ ভাগে হেঁচড়ে তুলবে।
হে আবু হাসান তুমি কুমারীর স্বামী
ইলাহের পাঁজর ও রাসূলের আত্মা
পূর্ণিমার চন্দ্র ও উজ্জল সূর্য
রবেবর গোলাম এবং তুমি-ই মালিক
গাদীর দিনে রাসূল তোমাকেই ডেকেছে
গাদির দিনের বিষয়টি তোমার উপরই অর্পিত
কেননা তুমি-ই মু‘মিনদের আমীর
তার ওলীর হার তোমাকেই পরিয়েছে
সমস্ত বিষয় তোমার জন্যই হয়
তুমি-ই অন্তরের সমস্ত ভেদ জানো
কবরস্থিত সব কিছু তুমি-ই পুনরুত্থানকারী
কিয়ামতে হুকুম পরিচালনার দায়িত্ব
তুমি-ই সকল বিষয়ে ক্ষমতাবান।
তুমি না হলে একটি তারকাও চলত না
কোন গ্রহ ও কক্ষপথ হত না।
তুমি-ই সকল স্থল ভূমি সম্পর্কে জ্ঞাত
তুমি-ই গুহাবাসীদের সাথে কথোপকথনকারী
তুমি না হলে মুসা কালিমুলাহ্ হতো না
তারই প্রশংসা যিনি তোমাকে রূপ দিয়েছেন।
তোমার নামের রহস্য বিশ্ববাসী অচিরেই দেখবে
তোমার ভালবাসা কপালের উপর উজ্জল সূর্যের ন্যায়
তোমার প্রতি বিদ্বেষ, বিদ্বেষকারীদের মুখমন্ডলে
আলকাতরার ন্যায়, তোমার বিদ্বেষকারীর সফলতা নেই।
যা ছিল, যা হবে
যত নবী ও রাসূল
লওহ কলম যত জ্ঞানী গুনি
সবই তোমার বান্দা সবই তোমার গোলাম।
হে আবু হাসান সৃষ্টির পরিচালনাকারী
তিরস্কৃতদের আশ্রয়স্থল ও প্রতিনিধি দলের ঠিকানা
কিয়ামত দিবসে তোমার আশেকদের শারাবদাতা
তোমাকে অস্বীকারকারী পুনরুত্থানে অস্বীকারী।
হে আলী ফখরকারী আবু হাসান
তোমাকে নেতা মানাই আমার কবরে উজ্জল মিনার
তোমার নামই আমার দুরাবস্থায় বাঁচার আঁধার।
তোমার ভালবাসা-ই আমাকে তোমার জান্নাতে প্রবেশকারী
যখন জলিল-কদর ইলাহের নির্দেশ আসে
ঘোষণাকারী ঘোষণা দেয় পরকালে পাড়ি, পরকালে পাড়ি,
যে তোমার নামে স্বাদ গ্রহণ করে তাকে কিভাবে দিবে ছাড়ি?
যে ব্যক্তি ইসলামকে দ্বীন হিসাবে গ্রহণ করে সে কি কখনো এরূপ কবিতা আবৃত করতে পারে? আল্লাহর
কসম! জাহেলী যুগের লোকেরা পর্যন্ত এই হতভাগ্য রাফেযীর ন্যায় এরূপ শিরক, কুফর ও ভালবাসায় সীমালঙ্ঘন করেনি। আল্লাহ তাআলা বলেন :
(আরবি)
‘‘... যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের সাথে সাক্ষাতের আশা করে, সে যেন সৎ আমল করে আর তার প্রতিপালকের ইবাদাতে কাউকে শরীক না করে।’’ (সূরা আল কাহাফ : ১১০)
ইলাহের পাঁজর ও রাসূলের আত্মা
পূর্ণিমার চন্দ্র ও উজ্জল সূর্য
রবেবর গোলাম এবং তুমি-ই মালিক
গাদীর দিনে রাসূল তোমাকেই ডেকেছে
গাদির দিনের বিষয়টি তোমার উপরই অর্পিত
কেননা তুমি-ই মু‘মিনদের আমীর
তার ওলীর হার তোমাকেই পরিয়েছে
সমস্ত বিষয় তোমার জন্যই হয়
তুমি-ই অন্তরের সমস্ত ভেদ জানো
কবরস্থিত সব কিছু তুমি-ই পুনরুত্থানকারী
কিয়ামতে হুকুম পরিচালনার দায়িত্ব
তুমি-ই সকল বিষয়ে ক্ষমতাবান।
তুমি না হলে একটি তারকাও চলত না
কোন গ্রহ ও কক্ষপথ হত না।
তুমি-ই সকল স্থল ভূমি সম্পর্কে জ্ঞাত
তুমি-ই গুহাবাসীদের সাথে কথোপকথনকারী
তুমি না হলে মুসা কালিমুলাহ্ হতো না
তারই প্রশংসা যিনি তোমাকে রূপ দিয়েছেন।
তোমার নামের রহস্য বিশ্ববাসী অচিরেই দেখবে
তোমার ভালবাসা কপালের উপর উজ্জল সূর্যের ন্যায়
তোমার প্রতি বিদ্বেষ, বিদ্বেষকারীদের মুখমন্ডলে
আলকাতরার ন্যায়, তোমার বিদ্বেষকারীর সফলতা নেই।
যা ছিল, যা হবে
যত নবী ও রাসূল
লওহ কলম যত জ্ঞানী গুনি
সবই তোমার বান্দা সবই তোমার গোলাম।
হে আবু হাসান সৃষ্টির পরিচালনাকারী
তিরস্কৃতদের আশ্রয়স্থল ও প্রতিনিধি দলের ঠিকানা
কিয়ামত দিবসে তোমার আশেকদের শারাবদাতা
তোমাকে অস্বীকারকারী পুনরুত্থানে অস্বীকারী।
হে আলী ফখরকারী আবু হাসান
তোমাকে নেতা মানাই আমার কবরে উজ্জল মিনার
তোমার নামই আমার দুরাবস্থায় বাঁচার আঁধার।
তোমার ভালবাসা-ই আমাকে তোমার জান্নাতে প্রবেশকারী
যখন জলিল-কদর ইলাহের নির্দেশ আসে
ঘোষণাকারী ঘোষণা দেয় পরকালে পাড়ি, পরকালে পাড়ি,
যে তোমার নামে স্বাদ গ্রহণ করে তাকে কিভাবে দিবে ছাড়ি?
যে ব্যক্তি ইসলামকে দ্বীন হিসাবে গ্রহণ করে সে কি কখনো এরূপ কবিতা আবৃত করতে পারে? আল্লাহর
কসম! জাহেলী যুগের লোকেরা পর্যন্ত এই হতভাগ্য রাফেযীর ন্যায় এরূপ শিরক, কুফর ও ভালবাসায় সীমালঙ্ঘন করেনি। আল্লাহ তাআলা বলেন :
(আরবি)
‘‘... যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের সাথে সাক্ষাতের আশা করে, সে যেন সৎ আমল করে আর তার প্রতিপালকের ইবাদাতে কাউকে শরীক না করে।’’ (সূরা আল কাহাফ : ১১০)
রাফেযীরাই সর্ব প্রথম রাজা‘আতের বিষয়টি আবিস্কার করে। আল-মুফীদ বলেন, ‘‘বহু মৃত ব্যক্তির রাজা‘আত তথা পুর্নজন্ম নিয়ে ফিরে আসার ব্যাপারে ইমামীগণ ঐক্যমত হয়েছেন।’’
আর এটি হচ্ছে এই যে, তাদের সর্বশেষ ইমাম শেষ যামানায় পুর্নজন্ম নিয়ে ফিরে আসবে। সিরদাব নামক স্থান হতে বের হবে এবং রাজনৈতিকদের মধ্যে যারা তাদের বিরোধী থাকবে তাদের সকলকে হত্যা করবে। যুগ যুগ ধরে তাদের যে অধিকার বিভিন্ন দল হরণ করে আসছিল, শিয়াদের নিকট তিনি তা ফিরিয়ে দিবেন।
সৈয়দ মুরতাযা ‘‘আল-মাসায়েলুন নাসেরিয়াহ্’’ গ্রন্থে বলেন, নিশ্চয় আবু বকর রা. ও ওমর রা.-কে তাদের বারোতম ইমাম, ইমাম মাহদীর যামানায় একটি গাছে ফাঁসি দেবে। ফাঁসিতে ঝুলানোর পূর্বে গাছটি থাকবে কাঁচা। ফাঁসিতে ঝুলানোর পর গাছটি শুকিয়ে যাবে।
আল-মাজলেসী ‘‘হাক্কুল ইয়াক্বীন’’ গ্রন্থে মুহাম্মাদ আল-বাকের এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘‘যখন ইমাম মাহদী আত্ম প্রকাশ করবেন তখন তিনি উম্মুল মু‘মিনীন আয়েশা রা.-কে পূনরায় জীবিত করবেন এবং তার উপর হদ্দ (ব্যভিচারের শাস্তি) কায়েম করবেন।’’
এভাবেই তাদের মধ্যে পুর্নজন্ম রহস্য বিস্তার লাভ করলে, তারা বলতে শুরু করে যে, সমস্ত শিয়া ও তাদের ইমাম ও ইমাম বিরোধিরা রাজা‘আত তথা পুর্নজন্ম নিবে। মূলত এরূপ ভ্রান্ত বিশ্বাসীরা মানুষের অন্তরে হিংসার বিষ ছড়াচ্ছে। এটা সাবায়ী গ্রুপের পরকাল অস্বীকার করার একটি অপকৌশল মাত্র। প্রকৃতপক্ষে শী’আরা তাদের বিরোধিদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণের জন্যই রাজা‘আতের ন্যায় ভ্রান্ত বিশ্বাসের চালু করেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যে, কারা শিয়াদের বিরোধী?
নিন্মোক্ত বর্ণনা দ্বারা আহলে সুন্নাতের উপর রাফেযীদের হিংসা-বিদ্বেষ ও ইহুদ ও নাছারাদের সাথে তাদের বন্ধুত্বের ভাব স্পষ্ট প্রমাণিত হয়। আল-মাজলেসী ‘‘বেহারুল আনওয়ার’’ গ্রন্থে উল্লেখ করেন ‘‘আবু আব্দুল্লাহ্ বলেন, হে আবু মুহাম্মাদ! আমি দেখছি যে, ইমাম মাহদী তার পরিবার-পরিজন নিয়ে সাহ্লাহ্ মসজিদে অবতরণ করবেন ...।
অতএব সন্ধি চুক্তিতে আবদ্ধদের (ইহুদ ও খৃষ্টানদের) বিষয়টি তার নিকট কিরূপ হবে? তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যেভাবে তারা জিযয়া দিয়েছে, সেভাবে তাকেও তারা জিযয়া দেবে। তিনি বলেন, আমি বললাম, অতএব আপনাদের শত্রু নাসেবীদের (আহলে সুন্নাতের) অবস্থা কি হবে? তিনি বলেন, যে আমাদের দেশে আমাদের নীতির ব্যতিক্রম করবে তাদের কোন অংশই থাকবে না। নিশ্চয় আল্লাহ্ তা‘আলা আমাদের কায়েম তথা ইমাম মাহদী আগমনের সময় তাদের রক্ত আমাদের জন্য বৈধ করে দিয়েছেন। বর্তমানে যা আমাদের ও তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে। অতএব তোমাদের মধ্যে কেউ যেন প্রবঞ্চিত না হয়। যখন আমাদের কায়েম তথা ইমাম মাহদী আসবেন তখন তিনি আল্লাহ্, তাঁর রাসূল ও আমাদের সকলের পক্ষ হতে প্রতিশোধ গ্রহণ করবেন।
ভেবে দেখুন হে মুসলিম জাতি! শিয়াদের মাহদী কিভাবে ইহুদী ও নাছারাদের নিকট হতে জিযয়া তথা কর আদায় করবে। আর তাদের নীতি বিরোধী তথা আহলে সুন্নাতের রক্ত বৈধ ঘোষণা করবে। কেউ হয়তবা বলতে পারে যে, এটা তাদের জন্য যারা আহলে বায়তের সাথে হিংসা করে। আর প্রকৃতপক্ষে আহলে সুন্নাতেরা কখনই আহলে বায়তের প্রতি হিংসার মনোভাব পোষণ করে না। অতএব রাফেযীরা মাহদীর পক্ষ হতে যে শাস্তির ঘোষণা দেয়, তা মূলত আহলে সুন্নতের জন্য নয়। এ ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, এর উদ্দেশ্য মূলত আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতই। নাসেবী বলতে রাফেযীরা এদেরকেই বুঝায়। এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে হুসাইন আলে উছফুর আল দারাজী আল বাহরাইনী কৃত ‘‘আল মাহাসিনুন নাফসানিয়াহ্’’ ও ইউসূফ আল বাহরানীর ‘‘আশ্শিহাবুছ ছাকেব ফী বায়ানি মা‘নান্নাসেব’’ নামক বইটি পড়ুন। আল্লাহ তাআলা বলেন :
(আরবি)
‘‘নিশ্চয় যারা তাদের দীনকে বিচ্ছিন্ন করেছে এবং দল-উপদলে বিভক্ত হয়েছে, তাদের কোন ব্যাপারে তোমার দায়িত্ব নেই। তাদের বিষয়টি তো আল্লাহর নিকট। অতপর তিনি তাদের খবর দেবেন যা তারা করত।’’ (সূরা আল আনআম : ১৫৯)
আর এটি হচ্ছে এই যে, তাদের সর্বশেষ ইমাম শেষ যামানায় পুর্নজন্ম নিয়ে ফিরে আসবে। সিরদাব নামক স্থান হতে বের হবে এবং রাজনৈতিকদের মধ্যে যারা তাদের বিরোধী থাকবে তাদের সকলকে হত্যা করবে। যুগ যুগ ধরে তাদের যে অধিকার বিভিন্ন দল হরণ করে আসছিল, শিয়াদের নিকট তিনি তা ফিরিয়ে দিবেন।
সৈয়দ মুরতাযা ‘‘আল-মাসায়েলুন নাসেরিয়াহ্’’ গ্রন্থে বলেন, নিশ্চয় আবু বকর রা. ও ওমর রা.-কে তাদের বারোতম ইমাম, ইমাম মাহদীর যামানায় একটি গাছে ফাঁসি দেবে। ফাঁসিতে ঝুলানোর পূর্বে গাছটি থাকবে কাঁচা। ফাঁসিতে ঝুলানোর পর গাছটি শুকিয়ে যাবে।
আল-মাজলেসী ‘‘হাক্কুল ইয়াক্বীন’’ গ্রন্থে মুহাম্মাদ আল-বাকের এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘‘যখন ইমাম মাহদী আত্ম প্রকাশ করবেন তখন তিনি উম্মুল মু‘মিনীন আয়েশা রা.-কে পূনরায় জীবিত করবেন এবং তার উপর হদ্দ (ব্যভিচারের শাস্তি) কায়েম করবেন।’’
এভাবেই তাদের মধ্যে পুর্নজন্ম রহস্য বিস্তার লাভ করলে, তারা বলতে শুরু করে যে, সমস্ত শিয়া ও তাদের ইমাম ও ইমাম বিরোধিরা রাজা‘আত তথা পুর্নজন্ম নিবে। মূলত এরূপ ভ্রান্ত বিশ্বাসীরা মানুষের অন্তরে হিংসার বিষ ছড়াচ্ছে। এটা সাবায়ী গ্রুপের পরকাল অস্বীকার করার একটি অপকৌশল মাত্র। প্রকৃতপক্ষে শী’আরা তাদের বিরোধিদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণের জন্যই রাজা‘আতের ন্যায় ভ্রান্ত বিশ্বাসের চালু করেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যে, কারা শিয়াদের বিরোধী?
নিন্মোক্ত বর্ণনা দ্বারা আহলে সুন্নাতের উপর রাফেযীদের হিংসা-বিদ্বেষ ও ইহুদ ও নাছারাদের সাথে তাদের বন্ধুত্বের ভাব স্পষ্ট প্রমাণিত হয়। আল-মাজলেসী ‘‘বেহারুল আনওয়ার’’ গ্রন্থে উল্লেখ করেন ‘‘আবু আব্দুল্লাহ্ বলেন, হে আবু মুহাম্মাদ! আমি দেখছি যে, ইমাম মাহদী তার পরিবার-পরিজন নিয়ে সাহ্লাহ্ মসজিদে অবতরণ করবেন ...।
অতএব সন্ধি চুক্তিতে আবদ্ধদের (ইহুদ ও খৃষ্টানদের) বিষয়টি তার নিকট কিরূপ হবে? তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যেভাবে তারা জিযয়া দিয়েছে, সেভাবে তাকেও তারা জিযয়া দেবে। তিনি বলেন, আমি বললাম, অতএব আপনাদের শত্রু নাসেবীদের (আহলে সুন্নাতের) অবস্থা কি হবে? তিনি বলেন, যে আমাদের দেশে আমাদের নীতির ব্যতিক্রম করবে তাদের কোন অংশই থাকবে না। নিশ্চয় আল্লাহ্ তা‘আলা আমাদের কায়েম তথা ইমাম মাহদী আগমনের সময় তাদের রক্ত আমাদের জন্য বৈধ করে দিয়েছেন। বর্তমানে যা আমাদের ও তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে। অতএব তোমাদের মধ্যে কেউ যেন প্রবঞ্চিত না হয়। যখন আমাদের কায়েম তথা ইমাম মাহদী আসবেন তখন তিনি আল্লাহ্, তাঁর রাসূল ও আমাদের সকলের পক্ষ হতে প্রতিশোধ গ্রহণ করবেন।
ভেবে দেখুন হে মুসলিম জাতি! শিয়াদের মাহদী কিভাবে ইহুদী ও নাছারাদের নিকট হতে জিযয়া তথা কর আদায় করবে। আর তাদের নীতি বিরোধী তথা আহলে সুন্নাতের রক্ত বৈধ ঘোষণা করবে। কেউ হয়তবা বলতে পারে যে, এটা তাদের জন্য যারা আহলে বায়তের সাথে হিংসা করে। আর প্রকৃতপক্ষে আহলে সুন্নাতেরা কখনই আহলে বায়তের প্রতি হিংসার মনোভাব পোষণ করে না। অতএব রাফেযীরা মাহদীর পক্ষ হতে যে শাস্তির ঘোষণা দেয়, তা মূলত আহলে সুন্নতের জন্য নয়। এ ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, এর উদ্দেশ্য মূলত আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতই। নাসেবী বলতে রাফেযীরা এদেরকেই বুঝায়। এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে হুসাইন আলে উছফুর আল দারাজী আল বাহরাইনী কৃত ‘‘আল মাহাসিনুন নাফসানিয়াহ্’’ ও ইউসূফ আল বাহরানীর ‘‘আশ্শিহাবুছ ছাকেব ফী বায়ানি মা‘নান্নাসেব’’ নামক বইটি পড়ুন। আল্লাহ তাআলা বলেন :
(আরবি)
‘‘নিশ্চয় যারা তাদের দীনকে বিচ্ছিন্ন করেছে এবং দল-উপদলে বিভক্ত হয়েছে, তাদের কোন ব্যাপারে তোমার দায়িত্ব নেই। তাদের বিষয়টি তো আল্লাহর নিকট। অতপর তিনি তাদের খবর দেবেন যা তারা করত।’’ (সূরা আল আনআম : ১৫৯)
আধুনিক যুগের একজন রাফেযী আলেম ‘তুকইয়া’-র সংজ্ঞা বর্ণনা করেন : ‘‘তোমার জীবন থেকে অথবা মন থেকে কষ্ট দুর করার উদ্দেশ্যে অথবা তোমার কারামত রক্ষার উদ্দেশ্যে তোমার অন্তরে যে বিশ্বাস আছে তার বিপরীত কিছু বলা অথবা করাই ‘তুকইয়া।’
তাদের আরো ধারণা, মুনাফিকদের সরদার আব্দুল্লাহ্ বিন উবাই বিন সালুলের মৃত্যুর পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনুরূপ তুকইয়া করেছিলেন। তিনি যখন তার সালাতে জানাযা আদায় করতে আসেন, তখন ওমর রা. বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ্ কি আপনাকে এ ব্যাপারে নিষেধ করেননি? অর্থাৎ এই মুনাফিকের কবরে দাঁড়াতে, অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার কথা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, তোমার ধংস হোক, তুমি এটা কি বলছো? আমি তো আসলে বলেছি যে, হে আল্লাহ্! তুমি তার পেট আগুন দ্বারা পূর্ণ করো। তার কবর আগুন দ্বারা পূর্ণ করো এবং তাকে জাহান্নামের আগুন পর্যন্ত পৌঁছে দাও।’’
খেয়াল করে দেখুন হে মুসলিম জাতি, কিভাবে তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর মিথ্যাারোপ করে। এটা কি বিবেক সিদ্ধ কথা : রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার একজন সাহাবীর ভয়ে তুকইয়ার আশ্রয় নিয়ে বলবেন যে, আমি তার জন্য দোয়া করিনি, তার উপর লা‘নত করেছি ?!
আল-কুলাইনী ‘‘উছুলুল কাফী’’ গ্রন্থে উল্লেখ করেন, ‘‘আবু আব্দুল্লাহ্ বলেন, হে আবু ওমর, নিশ্চয় দীনের দশ ভাগের নয় ভাগই নিহিত রয়েছে তুকইয়া‘র মধ্যে, যার মধ্যে তুকইয়া নেই তার ভেতর দীন নেই, দু’টি বিষয় অর্থাৎ নাবিয ও মোজার উপর মাসাহ্ ছাড়া সকল বিষয়েই তুকইয়া রয়েছে।’’
কুলাইনী আবু আব্দুল্লাহর বরাত দিয়ে আরো উল্লেখ করেন, তিনি বলেন, ‘‘তোমরা দীনের ব্যাপারে ভয় করো অর্থাৎ সতর্ক থাকো এবং তুকইয়া দ্বারা দীনকে হেফাযত করো, কেননা যার মধ্যে তুকইয়া নেই তার ভেতর ঈমানই নেই। এই তুকইয়া‘র অজুহাতে রাফেযীদের নিকট গায়রুলাহ‘র নামে হলফ করাও বৈধ হয়ে গেছে। নাউযুবিল্লাহ।
আল হুররিল আমেলী ‘‘ওয়াসায়েলুশ্ শিয়াহ্’’ গ্রন্থে ইবনে বুকাইর হতে, তিনি যুরারাহ্ হতে তিনি আবু জা‘ফার আস-সাদেক হতে বর্ণনা করেন, যুরারাহ্ বলেন, আমি জা‘ফারকে বললাম, নিশ্চয় আমরা যখন তাদের তথা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের নিকট থেকে অতিক্রম করি, তখন তারা আমাদের সম্পদের উপর হলফ তলব করে অথচ আমরা ঐ সম্পদের যাকাত আদায় করেছি। অতঃপর জা‘ফার বলেন, হে যুরারাহ্! যদি সম্পদের ভয় করো তাহলে তারা যেভাবে চায় সেভাবেই হলফ করো। আমি বললাম, আপনার জন্য জীবন কুরবান হোক, তালাক ও দাস মুক্তির কসম করব? তিনি বলেন, তারা যা চায় তাই করো।
সামা‘আহ্ হতে বর্ণিত, তিনি আবু আব্দুল্লাহ্ হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, জবরদস্তির কারণে বাধ্য হয়ে কেউ যদি তুকইয়ার আশ্রয়ে হলফ করে তাহলে তাতে তার কোন ক্ষতি হবে না।’’
রাফেযীদের নিকট তুকইয়া ওয়াজিব, বরং তুকইয়া ব্যতীত তাদের মাযহাব টিকতেই পারে না। প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সকল ব্যাপারেই তারা তুকইয়ার মূলনীতি গ্রহণ করে এবং যখনই প্রয়োজন বোধ করে তখনই ঐ মূলনীতির উপর আমল করে। অতএব হে মুসলিম জাতি, রাফেযীদের এরূপ জঘন্য আক্বীদা থেকে সাবধান থাকুন।
(আরবি)
‘‘নিশ্চয় মুনাফিকরা থাকবে জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে। তুমি তাদের জন্য কক্ষনো কোন সাহায্যকারী পাবে না।’’ (সুরা আন নিসা: ১৪৫)
তাদের আরো ধারণা, মুনাফিকদের সরদার আব্দুল্লাহ্ বিন উবাই বিন সালুলের মৃত্যুর পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনুরূপ তুকইয়া করেছিলেন। তিনি যখন তার সালাতে জানাযা আদায় করতে আসেন, তখন ওমর রা. বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ্ কি আপনাকে এ ব্যাপারে নিষেধ করেননি? অর্থাৎ এই মুনাফিকের কবরে দাঁড়াতে, অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার কথা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, তোমার ধংস হোক, তুমি এটা কি বলছো? আমি তো আসলে বলেছি যে, হে আল্লাহ্! তুমি তার পেট আগুন দ্বারা পূর্ণ করো। তার কবর আগুন দ্বারা পূর্ণ করো এবং তাকে জাহান্নামের আগুন পর্যন্ত পৌঁছে দাও।’’
খেয়াল করে দেখুন হে মুসলিম জাতি, কিভাবে তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর মিথ্যাারোপ করে। এটা কি বিবেক সিদ্ধ কথা : রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার একজন সাহাবীর ভয়ে তুকইয়ার আশ্রয় নিয়ে বলবেন যে, আমি তার জন্য দোয়া করিনি, তার উপর লা‘নত করেছি ?!
আল-কুলাইনী ‘‘উছুলুল কাফী’’ গ্রন্থে উল্লেখ করেন, ‘‘আবু আব্দুল্লাহ্ বলেন, হে আবু ওমর, নিশ্চয় দীনের দশ ভাগের নয় ভাগই নিহিত রয়েছে তুকইয়া‘র মধ্যে, যার মধ্যে তুকইয়া নেই তার ভেতর দীন নেই, দু’টি বিষয় অর্থাৎ নাবিয ও মোজার উপর মাসাহ্ ছাড়া সকল বিষয়েই তুকইয়া রয়েছে।’’
কুলাইনী আবু আব্দুল্লাহর বরাত দিয়ে আরো উল্লেখ করেন, তিনি বলেন, ‘‘তোমরা দীনের ব্যাপারে ভয় করো অর্থাৎ সতর্ক থাকো এবং তুকইয়া দ্বারা দীনকে হেফাযত করো, কেননা যার মধ্যে তুকইয়া নেই তার ভেতর ঈমানই নেই। এই তুকইয়া‘র অজুহাতে রাফেযীদের নিকট গায়রুলাহ‘র নামে হলফ করাও বৈধ হয়ে গেছে। নাউযুবিল্লাহ।
আল হুররিল আমেলী ‘‘ওয়াসায়েলুশ্ শিয়াহ্’’ গ্রন্থে ইবনে বুকাইর হতে, তিনি যুরারাহ্ হতে তিনি আবু জা‘ফার আস-সাদেক হতে বর্ণনা করেন, যুরারাহ্ বলেন, আমি জা‘ফারকে বললাম, নিশ্চয় আমরা যখন তাদের তথা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের নিকট থেকে অতিক্রম করি, তখন তারা আমাদের সম্পদের উপর হলফ তলব করে অথচ আমরা ঐ সম্পদের যাকাত আদায় করেছি। অতঃপর জা‘ফার বলেন, হে যুরারাহ্! যদি সম্পদের ভয় করো তাহলে তারা যেভাবে চায় সেভাবেই হলফ করো। আমি বললাম, আপনার জন্য জীবন কুরবান হোক, তালাক ও দাস মুক্তির কসম করব? তিনি বলেন, তারা যা চায় তাই করো।
সামা‘আহ্ হতে বর্ণিত, তিনি আবু আব্দুল্লাহ্ হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, জবরদস্তির কারণে বাধ্য হয়ে কেউ যদি তুকইয়ার আশ্রয়ে হলফ করে তাহলে তাতে তার কোন ক্ষতি হবে না।’’
রাফেযীদের নিকট তুকইয়া ওয়াজিব, বরং তুকইয়া ব্যতীত তাদের মাযহাব টিকতেই পারে না। প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সকল ব্যাপারেই তারা তুকইয়ার মূলনীতি গ্রহণ করে এবং যখনই প্রয়োজন বোধ করে তখনই ঐ মূলনীতির উপর আমল করে। অতএব হে মুসলিম জাতি, রাফেযীদের এরূপ জঘন্য আক্বীদা থেকে সাবধান থাকুন।
(আরবি)
‘‘নিশ্চয় মুনাফিকরা থাকবে জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে। তুমি তাদের জন্য কক্ষনো কোন সাহায্যকারী পাবে না।’’ (সুরা আন নিসা: ১৪৫)
কবরের মাটি বলতে এখানে রাফেযীদের দৃষ্টিতে হুসাইন রা.-র কবরের মাটি বোঝানো হয়েছে। পথভ্রষ্ট রাফেযী মুহাম্মাদ নু‘মান আল-হারেছী, যার উপনাম ‘শায়খুল মুফীদ’ তিনি তার ‘‘আল-মাযার’’ গ্রন্থে আবু আব্দুল্লাহ্-‘র উদ্ধৃতি দিয়ে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ‘‘হুসাইনের কবরের মাটিতে সকল রোগের শেফা রয়েছে, আর এই মাটি-ই মহৌষধ।’’
আব্দুল্লাহ্ বলেন, তোমাদের সন্তানদেরকে হুসাইনের কবরের মাটি দ্বারা তাহনীক করাও।
তিনি আরো বলেন, একদা খুরাসান থেকে আবিল হাসান আল-রেযা এর নিকট একটি কাপড়ের পুটুলি দিয়ে পাঠানো হয়, সেই পুটুলির মধ্যে ছিল মাটি। অতঃপর সেই বাহককে বলা হলো, এটা কি? তিনি বলেন, হুসাইনের কবরের মাটি। কোন কাপড় অথবা অন্য কিছু পেশ করলে তাতে ঐ মাটি দিয়ে পেশ করতো এবং বলত, এই মাটি-ই আল্লাহর ইচ্ছায় শান্তি ও নিরাপত্তা।
আরো বলা হয় যে, জনৈক ব্যক্তি জা‘ফার সাদেককে হুসাইনের কবরের মাটি খাওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, যখন তুমি ঐ মাটি খাবে তখন বলবে, হে আল্লাহ্, আমি সেই মালিকের হকের মাধ্যমে আপনার নিকট প্রার্থনা করি, যিনি ঐ মাটিকে কবয তথা আয়ত্ত করেছেন। সেই নবীর হকের মাধ্যমে আপনার নিকট প্রার্থনা করি, যিনি ঐ মাটিকে ধনভান্ডার হিসেবে সংরক্ষণ করেছেন। এবং সেই ওসীর হকের মাধ্যমে আপনার নিকট প্রার্থনা করি, যিনি ঐ মাটিতে মুহাম্মাদ ও তার বংশধরের প্রতি দরূদ পাঠ বৈধ করেছেন। আপনি তাকে সকল প্রকার অসুখের জন্য শেফা হিসেবে নির্ধারণ করুন। সকল প্রকার ভয়ভীতি থেকে নিরাপত্তাদানকারী করুন এবং সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে সংরক্ষণকারী বানান।
হামযাহ্ ও হুসাইন রা.-র কবরের মাটি ব্যবহার ও এ দুয়ের মধ্যে কোনটির ফযিলত বেশী এ মর্মে আবু আব্দুল্লাহ জা‘ফারকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘‘হুসাইনের কবরের মাটির তাসবীহ্ দানা হাতের মধ্যে নিজে নিজেই তাসবীহ্ করতে থাকে।’’
অর্থাৎ মুখে তাসবীহ্ পড়া লাগে না। অনুরূপভাবে শিয়ারা বিশ্বাস করে যে, তাদেরকে বিশেষ মাটি দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে, আর সুন্নীদেরকে অন্য মাটি দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দুই প্রকার মাটির মধ্যে নির্দিষ্ট কোন উপায়ে সংমিশ্রণ ঘটে, ফলে শিয়ার মধ্যে নাফরমানী ও অপরাধ প্রবণতা দেখা দেয়, যা মূলত সুন্নীদের মাটির প্রভাব। আর সুন্নীর মধ্যে কল্যাণ ও আমানতদারী দেখা যায়, যা মূলত শিয়াদের বিশেষ মাটির প্রভাব। যখন কিয়ামত সংঘটিত হবে তখন শিয়াদের পাপ সুন্নীদেরকে প্রদান করা হবে, আর সুন্নীদের নেকী ও সৎ কর্মসমূহ শিয়াদেরকে প্রদান করা হবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন :
(আরবি)
‘‘মাটি থেকে আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, তাতেই আমি তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেব এবং তাথেকে আবার তোমাদেরকে বের করব।’’ (সুরা ত্বাহা-৫৫)
আব্দুল্লাহ্ বলেন, তোমাদের সন্তানদেরকে হুসাইনের কবরের মাটি দ্বারা তাহনীক করাও।
তিনি আরো বলেন, একদা খুরাসান থেকে আবিল হাসান আল-রেযা এর নিকট একটি কাপড়ের পুটুলি দিয়ে পাঠানো হয়, সেই পুটুলির মধ্যে ছিল মাটি। অতঃপর সেই বাহককে বলা হলো, এটা কি? তিনি বলেন, হুসাইনের কবরের মাটি। কোন কাপড় অথবা অন্য কিছু পেশ করলে তাতে ঐ মাটি দিয়ে পেশ করতো এবং বলত, এই মাটি-ই আল্লাহর ইচ্ছায় শান্তি ও নিরাপত্তা।
আরো বলা হয় যে, জনৈক ব্যক্তি জা‘ফার সাদেককে হুসাইনের কবরের মাটি খাওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, যখন তুমি ঐ মাটি খাবে তখন বলবে, হে আল্লাহ্, আমি সেই মালিকের হকের মাধ্যমে আপনার নিকট প্রার্থনা করি, যিনি ঐ মাটিকে কবয তথা আয়ত্ত করেছেন। সেই নবীর হকের মাধ্যমে আপনার নিকট প্রার্থনা করি, যিনি ঐ মাটিকে ধনভান্ডার হিসেবে সংরক্ষণ করেছেন। এবং সেই ওসীর হকের মাধ্যমে আপনার নিকট প্রার্থনা করি, যিনি ঐ মাটিতে মুহাম্মাদ ও তার বংশধরের প্রতি দরূদ পাঠ বৈধ করেছেন। আপনি তাকে সকল প্রকার অসুখের জন্য শেফা হিসেবে নির্ধারণ করুন। সকল প্রকার ভয়ভীতি থেকে নিরাপত্তাদানকারী করুন এবং সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে সংরক্ষণকারী বানান।
হামযাহ্ ও হুসাইন রা.-র কবরের মাটি ব্যবহার ও এ দুয়ের মধ্যে কোনটির ফযিলত বেশী এ মর্মে আবু আব্দুল্লাহ জা‘ফারকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘‘হুসাইনের কবরের মাটির তাসবীহ্ দানা হাতের মধ্যে নিজে নিজেই তাসবীহ্ করতে থাকে।’’
অর্থাৎ মুখে তাসবীহ্ পড়া লাগে না। অনুরূপভাবে শিয়ারা বিশ্বাস করে যে, তাদেরকে বিশেষ মাটি দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে, আর সুন্নীদেরকে অন্য মাটি দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দুই প্রকার মাটির মধ্যে নির্দিষ্ট কোন উপায়ে সংমিশ্রণ ঘটে, ফলে শিয়ার মধ্যে নাফরমানী ও অপরাধ প্রবণতা দেখা দেয়, যা মূলত সুন্নীদের মাটির প্রভাব। আর সুন্নীর মধ্যে কল্যাণ ও আমানতদারী দেখা যায়, যা মূলত শিয়াদের বিশেষ মাটির প্রভাব। যখন কিয়ামত সংঘটিত হবে তখন শিয়াদের পাপ সুন্নীদেরকে প্রদান করা হবে, আর সুন্নীদের নেকী ও সৎ কর্মসমূহ শিয়াদেরকে প্রদান করা হবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন :
(আরবি)
‘‘মাটি থেকে আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, তাতেই আমি তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেব এবং তাথেকে আবার তোমাদেরকে বের করব।’’ (সুরা ত্বাহা-৫৫)
আহলুস্ সুন্নাহ তথা সুন্নাতের অনুসারীদের ব্যাপারে রাফেযীদের আক্বীদা এই যে, তাদেরকে হত্যা করা ও তাদের মাল লুন্ঠন করা বৈধ। বর্ণিত আছে যে, দাউদ ইবনে ফারকাদ বলেন, আমি আব্দুল্লাহ্কে বলি, আপনি নাসেবী‘র ব্যাপারে কি বলেন? তিনি বলেন, তাদের হত্যা করা বৈধ। আর যদি পার তাহলে তার উপর দেয়াল চাপিয়ে দেবে অথবা তাকে সমূদ্রে ডুবিয়ে দেবে। যেন সে এ ব্যাপারে তোমার বিপক্ষে সাক্ষী হতে না পারে। আমি বললাম, তার ধন-সম্পদের ব্যাপারে কি মনে করেন? তিনি বলেন, যত পার তার মাল গ্রহণ কর।
রাফেযীরা ধারনা করে যে, শুধুমাত্র তাদের সন্তানরাই পবিত্র। তাদের ব্যতীত অন্য কারো সন্তান পবিত্র নয়। হাশেম আল বাহ্রানী ‘আল-বুরহান’ তাফসীরে উল্লেখ করেন যে, মায়সাম ইবনে ইয়াহ্ইয়া তিনি জা‘ফার ইবনে মুহাম্মাদ হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ‘‘যে কোন সন্তান যখন জন্ম গ্রহণ করে তখন ইবলিস তার সাঙ্গ-পঙ্গ নিয়ে উপস্থিত হয়। অতঃপর যদি সে জানতে পারে যে, সে সন্তান তাদের (শিয়া) দলভূক্ত, তখন ইবলিস সে সন্তান থেকে তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের দূরে রাখে, অর্থাৎ তাকে স্পর্শ করতে দেয় না, আর যদি তাদের দলভূক্ত না হয় তাহলে ঐ সন্তানের পায়খানার দ্বারে স্বীয় অধিকারী হয়। আর যদি ঐ শিশু কন্যা সন্তান হয় তাহলে তার যৌনাঙ্গে (স্ত্রী লিঙ্গে) আঙ্গুল স্থাপন করে ফলে সে পাপাচারী গোনাহ্গার হয়। এ কারনেই সন্তান মায়ের পেট থেকে বের হওয়ার সময় কঠিন চিৎকার করে কান্না করে।
এখানেই শেষ নয়, বরং রাফেযীদের বিশ্বাস, শিয়ারা ব্যতীত সকল মানুষই যেনার (জারয) সন্তান!!
আল-কুলাইনী ‘‘রাওযাতুল কাফী’’ কিতাবে উল্লেখ করেন, আবু হামযাহ্ আবু জা‘ফার হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ‘‘আমি তাকে বললাম, আমাদের কিছু সঙ্গী-সাথী এমন আছে যে, কেউ তাদের খেলাফ করলে তার প্রতি মিথ্যারোপ করে অপবাদ দেয়। ফলে তিনি আমাকে বলেন, থেমে থাকাই উত্তম। অতঃপর বলেন, হে আবি হামযাহ্! আল্লাহর কসম! আমাদের দলভুক্ত শিয়ারা ছাড়া সমস্ত মানুষই অবৈধ সন্তান’’।
রাফেযী শিয়াদের ধারণা, ইহুদ ও নাসারাদের কুফরীর চাইতে আহলুস্ সুন্নাহদের কুফরী আরো কঠিন। কেননা ইহুদী ও নাসারারা আসলী অর্থাৎ প্রকৃত কাফের আর আহলুস্ সুন্নাহগণ মুরতাদ কাফের। আর সবার নিকটই মুরতাদ তথা ধর্মত্যাগীর কুফরী কঠিন। ইতিহাস সাক্ষী, এ কারণেই তারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুগে যুগে কাফেরদের সহযোগিতা করে আসছে। [শায়খুল ইসালাম ইবনে তাইমিয়াহ্ রাহেমুহুলাহ্ বলেন, মুসলিম দেশ সমূহের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে রাফেযী শিয়ারা তাতারদেরকে সহযোগিতা করে। ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়াহ্-৫৩/১৫১। আরো দেখুন; ডঃ সুলাইমান বিন হাম্দ আল আওদাহ্: কায়ফা দাখালাত্ তাতারু বেলাদাল]
‘‘ওয়াসায়েলিশ্ শিয়াহ্’’ গ্রন্থে ফুযাইল ইবনে ইয়াসার থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘‘আমি আবু জা‘ফারকে আরেফা অর্থাৎ ‘রাফেযী’ মহিলা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি যে, আমি কি তাকে নাসেবের সাথে বিবাহ দিতে পারি? তিনি বলেন : না। কেননা নাসেব হচ্ছে কাফের।’’
‘‘নাসেব’’ এক বচন এর বহু বচন ‘‘নাওয়াসেব’’ যারা আলী রা.-র প্রতি ঘৃণা পোষণ করে তাদেরকে আহলে সুন্নত ওয়াল জামা‘আতের দৃষ্টিতে নাওয়াসেব বলা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, রাফেযীরা আহলে সুন্নাতকেই নাওয়াসেব নামে অভিহিত করে থাকে। কারণ, আহলে সুন্নাতগণ ইমামতের ক্ষেত্রে আলী রা.-র আগে ধারাবাহিকভাবে আবু বকর, ওমর ও উসমান রা.-কে প্রধান্য দেয়, যেহেতু খোদ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগেই আলী রা.-র উপর আবু বকর, ওমর ও উসমান রা.-র প্রাধান্য ছিল। এর প্রমাণ আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর রা.-র বাণী : ‘‘আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে মানুষের মধ্যে বাছাই করতাম এবং সর্ব প্রথম আবু বকর রা.-কে প্রধান্য দিতাম অতঃপর ওমর রা.-কে প্রধান্য দিতাম, অতঃপর উসমান রা.-কে প্রধান্য দিতাম।’’ [সহীহ্ আল বুখারী: অধ্যায়: ফাযায়েলুস্ সাহাবা, অনুচ্ছেদ:নবী সা. এর পরে আবু বকর রা.]
ইমাম ত্বাবারানী এর সাথে একটু বাড়িয়ে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ‘‘এ খবর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট পৌঁছলে তিনি তা এনকার বা অস্বীকার করেননি।’’
ইমাম আহমাদ ও অন্যান্য মুহাদ্দিসগণ আলী ইবনে আবি তালেব রা. থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ‘‘এই উম্মতের মধ্যে নবীর পর সর্বোত্তম ব্যক্তি হচ্ছে আবু বকর রা. অতঃপর ওমর রা., চাইলে তৃতীয় জনেরও নাম উল্লেখ করতাম...’’ হাফেয যাহাবী বলেন, এ বর্ণনাটি মুতাওয়াতির।
(আরবি)
‘‘বলুন! আমি তো তোমাদের মতই একজন মানুষ মাত্র, আমার প্রতি ওহী বা প্রত্যাদেশ করা হয় যে, তোমাদের মা‘বুদই একমাত্র মা‘বুদ।’’ (সুরা আল কাহাফ : ১১০)
রাফেযীরা ধারনা করে যে, শুধুমাত্র তাদের সন্তানরাই পবিত্র। তাদের ব্যতীত অন্য কারো সন্তান পবিত্র নয়। হাশেম আল বাহ্রানী ‘আল-বুরহান’ তাফসীরে উল্লেখ করেন যে, মায়সাম ইবনে ইয়াহ্ইয়া তিনি জা‘ফার ইবনে মুহাম্মাদ হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ‘‘যে কোন সন্তান যখন জন্ম গ্রহণ করে তখন ইবলিস তার সাঙ্গ-পঙ্গ নিয়ে উপস্থিত হয়। অতঃপর যদি সে জানতে পারে যে, সে সন্তান তাদের (শিয়া) দলভূক্ত, তখন ইবলিস সে সন্তান থেকে তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের দূরে রাখে, অর্থাৎ তাকে স্পর্শ করতে দেয় না, আর যদি তাদের দলভূক্ত না হয় তাহলে ঐ সন্তানের পায়খানার দ্বারে স্বীয় অধিকারী হয়। আর যদি ঐ শিশু কন্যা সন্তান হয় তাহলে তার যৌনাঙ্গে (স্ত্রী লিঙ্গে) আঙ্গুল স্থাপন করে ফলে সে পাপাচারী গোনাহ্গার হয়। এ কারনেই সন্তান মায়ের পেট থেকে বের হওয়ার সময় কঠিন চিৎকার করে কান্না করে।
এখানেই শেষ নয়, বরং রাফেযীদের বিশ্বাস, শিয়ারা ব্যতীত সকল মানুষই যেনার (জারয) সন্তান!!
আল-কুলাইনী ‘‘রাওযাতুল কাফী’’ কিতাবে উল্লেখ করেন, আবু হামযাহ্ আবু জা‘ফার হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ‘‘আমি তাকে বললাম, আমাদের কিছু সঙ্গী-সাথী এমন আছে যে, কেউ তাদের খেলাফ করলে তার প্রতি মিথ্যারোপ করে অপবাদ দেয়। ফলে তিনি আমাকে বলেন, থেমে থাকাই উত্তম। অতঃপর বলেন, হে আবি হামযাহ্! আল্লাহর কসম! আমাদের দলভুক্ত শিয়ারা ছাড়া সমস্ত মানুষই অবৈধ সন্তান’’।
রাফেযী শিয়াদের ধারণা, ইহুদ ও নাসারাদের কুফরীর চাইতে আহলুস্ সুন্নাহদের কুফরী আরো কঠিন। কেননা ইহুদী ও নাসারারা আসলী অর্থাৎ প্রকৃত কাফের আর আহলুস্ সুন্নাহগণ মুরতাদ কাফের। আর সবার নিকটই মুরতাদ তথা ধর্মত্যাগীর কুফরী কঠিন। ইতিহাস সাক্ষী, এ কারণেই তারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুগে যুগে কাফেরদের সহযোগিতা করে আসছে। [শায়খুল ইসালাম ইবনে তাইমিয়াহ্ রাহেমুহুলাহ্ বলেন, মুসলিম দেশ সমূহের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে রাফেযী শিয়ারা তাতারদেরকে সহযোগিতা করে। ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়াহ্-৫৩/১৫১। আরো দেখুন; ডঃ সুলাইমান বিন হাম্দ আল আওদাহ্: কায়ফা দাখালাত্ তাতারু বেলাদাল]
‘‘ওয়াসায়েলিশ্ শিয়াহ্’’ গ্রন্থে ফুযাইল ইবনে ইয়াসার থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘‘আমি আবু জা‘ফারকে আরেফা অর্থাৎ ‘রাফেযী’ মহিলা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি যে, আমি কি তাকে নাসেবের সাথে বিবাহ দিতে পারি? তিনি বলেন : না। কেননা নাসেব হচ্ছে কাফের।’’
‘‘নাসেব’’ এক বচন এর বহু বচন ‘‘নাওয়াসেব’’ যারা আলী রা.-র প্রতি ঘৃণা পোষণ করে তাদেরকে আহলে সুন্নত ওয়াল জামা‘আতের দৃষ্টিতে নাওয়াসেব বলা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, রাফেযীরা আহলে সুন্নাতকেই নাওয়াসেব নামে অভিহিত করে থাকে। কারণ, আহলে সুন্নাতগণ ইমামতের ক্ষেত্রে আলী রা.-র আগে ধারাবাহিকভাবে আবু বকর, ওমর ও উসমান রা.-কে প্রধান্য দেয়, যেহেতু খোদ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগেই আলী রা.-র উপর আবু বকর, ওমর ও উসমান রা.-র প্রাধান্য ছিল। এর প্রমাণ আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর রা.-র বাণী : ‘‘আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে মানুষের মধ্যে বাছাই করতাম এবং সর্ব প্রথম আবু বকর রা.-কে প্রধান্য দিতাম অতঃপর ওমর রা.-কে প্রধান্য দিতাম, অতঃপর উসমান রা.-কে প্রধান্য দিতাম।’’ [সহীহ্ আল বুখারী: অধ্যায়: ফাযায়েলুস্ সাহাবা, অনুচ্ছেদ:নবী সা. এর পরে আবু বকর রা.]
ইমাম ত্বাবারানী এর সাথে একটু বাড়িয়ে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ‘‘এ খবর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট পৌঁছলে তিনি তা এনকার বা অস্বীকার করেননি।’’
ইমাম আহমাদ ও অন্যান্য মুহাদ্দিসগণ আলী ইবনে আবি তালেব রা. থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ‘‘এই উম্মতের মধ্যে নবীর পর সর্বোত্তম ব্যক্তি হচ্ছে আবু বকর রা. অতঃপর ওমর রা., চাইলে তৃতীয় জনেরও নাম উল্লেখ করতাম...’’ হাফেয যাহাবী বলেন, এ বর্ণনাটি মুতাওয়াতির।
(আরবি)
‘‘বলুন! আমি তো তোমাদের মতই একজন মানুষ মাত্র, আমার প্রতি ওহী বা প্রত্যাদেশ করা হয় যে, তোমাদের মা‘বুদই একমাত্র মা‘বুদ।’’ (সুরা আল কাহাফ : ১১০)
রাফেযীদের নিকট মুত‘আহ্ বা (Contract Marriage) এর অনেক বড় ফযিলত রয়েছে। নাউযুবিল্লাহি
মিন যালেক। ফাতুহুল্লাহ্ আল-কাশানী ‘‘মিনহাজুস সাদেক্বীন’’ কিতাবে জা‘ফার আস্-সাদেক এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘‘নিশ্চয় এই মুত‘আহ্ বিবাহ আমার ও আমার পূর্ব পুরুষের ধর্মীয় নীতি। অতএব যে ব্যক্তি এই নীতির উপর আমল করল সেই আমার দীনের উপর আমল করল। আর যে ব্যক্তি এটাকে অস্বীকার করল সে আমার দীনকেই অস্বীকার করল। শুধু তাই নয় বরং সে মুরতাদ হয়ে গেল। আর এই বিবাহের ফলে যে সন্তান জন্ম গ্রহণ করবে সেই সন্তানের মর্যাদা স্থায়ী স্ত্রীর সন্তানের চাইতে অধিক। মুত‘আহ্ বিবাহ অস্বীকারকারী কাফের মুরতাদ।’’
আল-কুম্মী ‘‘মান লা ইয়াহ্যুরহুল ফাক্বীহ্’’ গ্রন্থে আব্দুল্লাহ্ বিন সিনানের উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করেন, তিনি
আবু আব্দুল্লাহ্ হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ‘‘নিশ্চয় আল্লাহ্ তা‘আলা আমাদের (শিয়া) উপর প্রত্যেক নেশা জাতীয় পানীয় হারাম করেছেন এবং এর বিনিময়ে তাদেরকে মুত‘আহ্ বিবাহের বৈধতা দিয়েছেন।’’
মুল্লা ফাতহুলাহ্ আল-কাশানীর ‘‘তাফসীর মিনহাজুস্ সাদেক্বীন’’ গ্রন্থে এসেছে যে, ‘‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি একবার মুত‘আহ্ বিবাহ করবে তার এক তৃতীয়াংশ জাহান্নাম থেকে মুক্ত করা হবে, যে ব্যক্তি দুইবার মুত‘আহ্ বিবাহ করবে তার দুই তৃতীয়াংশ জাহান্নাম থেকে মুক্ত করা হবে। আর যে ব্যক্তি তিনবার মুত‘আহ্ বিবাহ করবে তাকে সম্পূর্ণরূপে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করা হবে।’’
উক্ত গ্রন্থে আরো এসেছে, ‘‘নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন : যে ব্যক্তি একবার মুত‘আহ্ বিবাহ করবে সে মহান আল্লাহর অসন্তোষ থেকে নিরাপদ থাকবে, যে দুইবার মুত‘আহ্ বিবাহ করবে তাকে নেককার পূণ্যবানদের সাথে হাশর করানো হবে, আর যে ব্যক্তি তিনবার মুত‘আহ্ বিবাহ করবে সে জান্নাতে আমার সাথে থাকবে।’’
উক্ত গ্রন্থে আরো বর্ণিত হয়েছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি একবার মুত‘আহ্ বিবাহ করবে সে হুসাইনের মর্যাদা লাভ করবে, যে দুইবার মুত‘আহ্ বিবাহ করবে তার মর্যাদা হবে হাসানের ন্যায়, আর যে তিনবার মুত‘আহ বিবাহ করবে তার মর্যাদা হবে আলী ইবনে আবি তালেবের ন্যায়, এবং যে ব্যক্তি চারবার মুত‘আহ্ বিবাহ করবে তার মর্যাদা হবে আমার মর্যাদার ন্যায়।’’
প্রকৃত পক্ষে রাফেযী শিয়ারা মুত‘আহ্ বিবাহের ক্ষেত্রে সংখ্যার শর্তারোপ করে না। ‘‘ফুরুউল-কাফী’’ ও ‘‘আত-তুকইয়া ফী ফিকহে আহলিল বায়ত’’ গ্রন্থে রয়েছে, তিনি আবু আব্দুল্লাহ্ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ‘‘আমি তাকে মুত‘আহ্ বিবাহের সংখ্যা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি যে, মুত‘আহ্ বিবাহ কি চারটি? তিনি বলেন, তুমি একহাজার মুত‘আহ্ বিবাহ কর, কেননা এরা তো ভাড়াটিয়া (অতএব তোমার সাধ্যানুযায়ী যত পারো ভাড়া নাও)।
মুহাম্মাদ বিন মুসলিম আবু জা‘ফার হতে বর্ণনা করেন, তিনি মুত‘আহর ব্যাপারে বলেন, এর সংখ্যা শুধু চার-ই নয়, কারণ মুত‘আহ্ বিবাহে তালাক নেই এবং সে উত্তরাধিকারীও হয় না, এরা তো শুধুমাত্র ভাড়ায় খাটে।’’
এটা কিভাবে আল্লাহর মনোনীত দীন হতে পারে ? অথচ আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন,
(আরবি)
‘‘আর যারা তাদের নিজদের লজ্জাস্থানের হিফাযতকারী। তবে তাদের স্ত্রী ও তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে তারা ছাড়া, নিশ্চয় এতে তারা নিন্দিত হবে না। অতঃপর যারা এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।’’ সূরা মুমিনুন : (৫-৭)
উক্ত আয়াতে প্রমাণিত হয় যে, নিকাহ্ তথা বিবাহের মাধ্যমে স্ত্রী ও মালিকানাভূক্ত দাসীদের বৈধ করা হয়েছে, এর বাইরে সব হারাম। আর মুত‘আহ্ হচ্ছে ভাড়ায় খাটুনী নারী। সে আসলে স্ত্রী নয়। যে কারণে সে স্বামীর উত্তরাধিকারী হয় না এবং তাকে তালাক দেয়ারও প্রয়োজন হয় না। অতএব সে মহিলা ব্যাভিচারী যেনাকারী। আল্লাহর নিকট এরূপ অপকর্ম থেকে পানাহ্ চাই।
ফযিলাতুশ শায়েখ আব্দুল্লাহ্ বিন জিবরিন রহ. বলেন, ‘‘রাফেযী শিয়ারা মুত‘আহ্ বিবাহ বৈধতার জন্য সূরা নিসার নিম্নোক্ত আয়াতটি হিসেবে পেশ করে।
(আরবি)
‘‘আর (হারাম করা হয়েছে) নারীদের মধ্য থেকে সধবাদেরকে। তবে তোমাদের ডান হাত যাদের মালিক হয়েছে (দাসীগণ) তারা ছাড়া। এটি তোমাদের উপর আল্লাহর বিধান এবং এরা ছাড়া সকল নারীকে তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে যে, তোমরা তোমাদের অর্থের বিনিময়ে তাদেরকে চাইবে বিবাহ করে, অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত হয়ে নয়। সুতরাং তাদের মধ্যে তোমরা যাদেরকে ভোগ করেছ তাদেরকে তাদের নির্ধারিত মোহর দিয়ে দাও। আর নির্ধারণের পর যে ব্যাপারে তোমরা পরস্পর সম্মত হবে তাতে তোমাদের উপর কোন অপরাধ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।’’ (সূরা আন নিসা : ২৪)
কুরআনে বর্ণিত বিবাহ সংক্রান্ত সকল আয়াতই উক্ত ভ্রান্ত ধারণা প্রত্যাখ্যান করে। যেমন আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন,
(আরবি)
‘‘হে মুমিনগণ, তোমাদের জন্য হালাল নয় যে, তোমরা জোর করে নারীদের ওয়ারিছ হবে।’’ (সূরা আন নিসা : ১৯)
(আরবি)
‘‘আর যদি তোমরা এক স্ত্রীর স্থলে অন্য স্ত্রীকে বদলাতে চাও আর তাদের কাউকে তোমরা প্রদান করেছ প্রচুর সম্পদ, তবে তোমরা তা থেকে কোন কিছু নিও না। তোমরা কি তা নেবে অপবাদ এবং প্রকাশ্য গুনাহের মাধ্যমে?’’ (সূরা আন নিসা : ২০)
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন,
(আরবি)
‘‘আর তোমরা বিবাহ করো না নারীদের মধ্য থেকে যাদেরকে বিবাহ করেছে তোমাদের পিতৃপুরুষগণ। তবে পূর্বে যা সংঘটিত হয়েছে (তা ক্ষমা করা হল)। নিশ্চয় তা হল অশ্লীলতা ও ঘৃণিত বিষয় এবং নিকৃষ্ট পথ।’’ (সূরা আন- নিসা : ২২)
(আরবি)
‘‘তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতাদেরকে।’’ (সূরা আন নিসা : ২৩)
বিবাহের ক্ষেত্রে বংশীয় ও সাময়িক কারণে মুহাররামাত তথা নিষিদ্ধ মহিলাসমূহ বর্ণনা করার পর আল্লাহ্ বলেন,
(আরবি)
‘‘এবং এরা ছাড়া সকল নারীকে তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে।’’ (সূরা আন নিসা : ২৪)
অর্থাৎ উল্লেখিত মহিলাগণ ব্যতীত তোমাদের জন্য অন্য মহিলাদের বিবাহ করা বৈধ করা হয়েছে। অতএব হালাল পন্থায় উপভোগ করার জন্য তাদেরকে যখন বিবাহ করবে তখন তাদের জন্য ধার্যকৃত মোহর প্রদান কর। নির্ধারিত মোহর থেকে তারা যদি সন্তুষ্টচিত্তে কিছু মাফ করে দেয়, তবে এতে তোমাদের কোন গোনাহ্ হবে না।
জমহুর সাহাবা ও তৎপরবর্তী সকলে এভাবেই এই আয়াতের তাফসীর করেছেন।’’ [ইমাম মুসলিম সাবুরা ইবনে মাবাদ আল জুহানী থেকে এই মর্মে হাদীস বর্ণনা করেন যে, তিনি একদা রাসূল সা.-র সাথে ছিলেন এমতাবস্থায় রাসুল সা. বলেন, হে মানব মন্ডলী! আমি তোমাদেরকে নারীদের নিকট থেকে ফায়দা গ্রহণের (মুত‘আহ্ বিবাহের) অনুমতি দিয়েছিলাম কিন্তু আল্লাহ্ তা‘আলা তা কিয়ামত পর্যন্ত হারাম করেছেন অতএব তোমাদের মধ্যে যার নিকট এরূপ মহিলা রয়েছে সে যেন তার পথ উম্মুক্ত করে দেয় এবং তাকে যা দিয়েছে তা থেকে কিছু ফেরত না দেয়। (মুসলিম, হাদীস নং ১৪০৬, বিবাহ অধ্যায়)]
অনুরূপভাবে তাদেরই শায়খ আল-তুসী ‘‘তাহযীবুল আহকাম’’ গ্রন্থে মুত‘আহ্ বিবাহকে ঘৃণিত ও নিন্দনীয় বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘‘উক্ত মহিলা যদি সম্মানিত ও উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন পরিবারের হয় তাহলে তার সাথে মুত‘আহ্ বিবাহ করা জায়েয নয়। কেননা এতে তার পরিবারের লোক আত্মমর্যাদার হানি বোধ করবে এবং উক্ত মহিলাও লজ্জা ও অপমান বোধ করবে।’’
শুধু এখানেই সীমিত নয় বরং রাফেযীরা মহিলাদের পায়খানার দ্বারে যৌন সঙ্গম করাও জায়েয করেছে। ‘‘আল-ইস্তেবছার’’ গ্রন্থে আলী ইবনুল হাকামের উদ্ধৃতিতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, ‘‘আমি সাফওয়ানকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি রেযাকে বলি যে, জনৈক ব্যক্তি একটি মাসআলাহ্ সম্পর্কে আপনাকে জিজ্ঞেস করার জন্য আমাকে নির্দেশ দিয়েছে, কিন্তু আমি তা আপনাকে জিজ্ঞেস করতে লজ্জাবোধ করছি। রেযা বলেন, সে প্রশ্নটি কি? তিনি বলেন, পুরুষ কি নারীর পায়খানার দ্বারে যৌন সঙ্গম করতে পারে? তিনি বলেন, হ্যাঁ পারবে, এটা তার অধিকার।’’
মিন যালেক। ফাতুহুল্লাহ্ আল-কাশানী ‘‘মিনহাজুস সাদেক্বীন’’ কিতাবে জা‘ফার আস্-সাদেক এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘‘নিশ্চয় এই মুত‘আহ্ বিবাহ আমার ও আমার পূর্ব পুরুষের ধর্মীয় নীতি। অতএব যে ব্যক্তি এই নীতির উপর আমল করল সেই আমার দীনের উপর আমল করল। আর যে ব্যক্তি এটাকে অস্বীকার করল সে আমার দীনকেই অস্বীকার করল। শুধু তাই নয় বরং সে মুরতাদ হয়ে গেল। আর এই বিবাহের ফলে যে সন্তান জন্ম গ্রহণ করবে সেই সন্তানের মর্যাদা স্থায়ী স্ত্রীর সন্তানের চাইতে অধিক। মুত‘আহ্ বিবাহ অস্বীকারকারী কাফের মুরতাদ।’’
আল-কুম্মী ‘‘মান লা ইয়াহ্যুরহুল ফাক্বীহ্’’ গ্রন্থে আব্দুল্লাহ্ বিন সিনানের উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করেন, তিনি
আবু আব্দুল্লাহ্ হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ‘‘নিশ্চয় আল্লাহ্ তা‘আলা আমাদের (শিয়া) উপর প্রত্যেক নেশা জাতীয় পানীয় হারাম করেছেন এবং এর বিনিময়ে তাদেরকে মুত‘আহ্ বিবাহের বৈধতা দিয়েছেন।’’
মুল্লা ফাতহুলাহ্ আল-কাশানীর ‘‘তাফসীর মিনহাজুস্ সাদেক্বীন’’ গ্রন্থে এসেছে যে, ‘‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি একবার মুত‘আহ্ বিবাহ করবে তার এক তৃতীয়াংশ জাহান্নাম থেকে মুক্ত করা হবে, যে ব্যক্তি দুইবার মুত‘আহ্ বিবাহ করবে তার দুই তৃতীয়াংশ জাহান্নাম থেকে মুক্ত করা হবে। আর যে ব্যক্তি তিনবার মুত‘আহ্ বিবাহ করবে তাকে সম্পূর্ণরূপে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করা হবে।’’
উক্ত গ্রন্থে আরো এসেছে, ‘‘নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন : যে ব্যক্তি একবার মুত‘আহ্ বিবাহ করবে সে মহান আল্লাহর অসন্তোষ থেকে নিরাপদ থাকবে, যে দুইবার মুত‘আহ্ বিবাহ করবে তাকে নেককার পূণ্যবানদের সাথে হাশর করানো হবে, আর যে ব্যক্তি তিনবার মুত‘আহ্ বিবাহ করবে সে জান্নাতে আমার সাথে থাকবে।’’
উক্ত গ্রন্থে আরো বর্ণিত হয়েছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি একবার মুত‘আহ্ বিবাহ করবে সে হুসাইনের মর্যাদা লাভ করবে, যে দুইবার মুত‘আহ্ বিবাহ করবে তার মর্যাদা হবে হাসানের ন্যায়, আর যে তিনবার মুত‘আহ বিবাহ করবে তার মর্যাদা হবে আলী ইবনে আবি তালেবের ন্যায়, এবং যে ব্যক্তি চারবার মুত‘আহ্ বিবাহ করবে তার মর্যাদা হবে আমার মর্যাদার ন্যায়।’’
প্রকৃত পক্ষে রাফেযী শিয়ারা মুত‘আহ্ বিবাহের ক্ষেত্রে সংখ্যার শর্তারোপ করে না। ‘‘ফুরুউল-কাফী’’ ও ‘‘আত-তুকইয়া ফী ফিকহে আহলিল বায়ত’’ গ্রন্থে রয়েছে, তিনি আবু আব্দুল্লাহ্ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ‘‘আমি তাকে মুত‘আহ্ বিবাহের সংখ্যা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি যে, মুত‘আহ্ বিবাহ কি চারটি? তিনি বলেন, তুমি একহাজার মুত‘আহ্ বিবাহ কর, কেননা এরা তো ভাড়াটিয়া (অতএব তোমার সাধ্যানুযায়ী যত পারো ভাড়া নাও)।
মুহাম্মাদ বিন মুসলিম আবু জা‘ফার হতে বর্ণনা করেন, তিনি মুত‘আহর ব্যাপারে বলেন, এর সংখ্যা শুধু চার-ই নয়, কারণ মুত‘আহ্ বিবাহে তালাক নেই এবং সে উত্তরাধিকারীও হয় না, এরা তো শুধুমাত্র ভাড়ায় খাটে।’’
এটা কিভাবে আল্লাহর মনোনীত দীন হতে পারে ? অথচ আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন,
(আরবি)
‘‘আর যারা তাদের নিজদের লজ্জাস্থানের হিফাযতকারী। তবে তাদের স্ত্রী ও তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে তারা ছাড়া, নিশ্চয় এতে তারা নিন্দিত হবে না। অতঃপর যারা এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।’’ সূরা মুমিনুন : (৫-৭)
উক্ত আয়াতে প্রমাণিত হয় যে, নিকাহ্ তথা বিবাহের মাধ্যমে স্ত্রী ও মালিকানাভূক্ত দাসীদের বৈধ করা হয়েছে, এর বাইরে সব হারাম। আর মুত‘আহ্ হচ্ছে ভাড়ায় খাটুনী নারী। সে আসলে স্ত্রী নয়। যে কারণে সে স্বামীর উত্তরাধিকারী হয় না এবং তাকে তালাক দেয়ারও প্রয়োজন হয় না। অতএব সে মহিলা ব্যাভিচারী যেনাকারী। আল্লাহর নিকট এরূপ অপকর্ম থেকে পানাহ্ চাই।
ফযিলাতুশ শায়েখ আব্দুল্লাহ্ বিন জিবরিন রহ. বলেন, ‘‘রাফেযী শিয়ারা মুত‘আহ্ বিবাহ বৈধতার জন্য সূরা নিসার নিম্নোক্ত আয়াতটি হিসেবে পেশ করে।
(আরবি)
‘‘আর (হারাম করা হয়েছে) নারীদের মধ্য থেকে সধবাদেরকে। তবে তোমাদের ডান হাত যাদের মালিক হয়েছে (দাসীগণ) তারা ছাড়া। এটি তোমাদের উপর আল্লাহর বিধান এবং এরা ছাড়া সকল নারীকে তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে যে, তোমরা তোমাদের অর্থের বিনিময়ে তাদেরকে চাইবে বিবাহ করে, অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত হয়ে নয়। সুতরাং তাদের মধ্যে তোমরা যাদেরকে ভোগ করেছ তাদেরকে তাদের নির্ধারিত মোহর দিয়ে দাও। আর নির্ধারণের পর যে ব্যাপারে তোমরা পরস্পর সম্মত হবে তাতে তোমাদের উপর কোন অপরাধ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।’’ (সূরা আন নিসা : ২৪)
কুরআনে বর্ণিত বিবাহ সংক্রান্ত সকল আয়াতই উক্ত ভ্রান্ত ধারণা প্রত্যাখ্যান করে। যেমন আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন,
(আরবি)
‘‘হে মুমিনগণ, তোমাদের জন্য হালাল নয় যে, তোমরা জোর করে নারীদের ওয়ারিছ হবে।’’ (সূরা আন নিসা : ১৯)
(আরবি)
‘‘আর যদি তোমরা এক স্ত্রীর স্থলে অন্য স্ত্রীকে বদলাতে চাও আর তাদের কাউকে তোমরা প্রদান করেছ প্রচুর সম্পদ, তবে তোমরা তা থেকে কোন কিছু নিও না। তোমরা কি তা নেবে অপবাদ এবং প্রকাশ্য গুনাহের মাধ্যমে?’’ (সূরা আন নিসা : ২০)
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন,
(আরবি)
‘‘আর তোমরা বিবাহ করো না নারীদের মধ্য থেকে যাদেরকে বিবাহ করেছে তোমাদের পিতৃপুরুষগণ। তবে পূর্বে যা সংঘটিত হয়েছে (তা ক্ষমা করা হল)। নিশ্চয় তা হল অশ্লীলতা ও ঘৃণিত বিষয় এবং নিকৃষ্ট পথ।’’ (সূরা আন- নিসা : ২২)
(আরবি)
‘‘তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতাদেরকে।’’ (সূরা আন নিসা : ২৩)
বিবাহের ক্ষেত্রে বংশীয় ও সাময়িক কারণে মুহাররামাত তথা নিষিদ্ধ মহিলাসমূহ বর্ণনা করার পর আল্লাহ্ বলেন,
(আরবি)
‘‘এবং এরা ছাড়া সকল নারীকে তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে।’’ (সূরা আন নিসা : ২৪)
অর্থাৎ উল্লেখিত মহিলাগণ ব্যতীত তোমাদের জন্য অন্য মহিলাদের বিবাহ করা বৈধ করা হয়েছে। অতএব হালাল পন্থায় উপভোগ করার জন্য তাদেরকে যখন বিবাহ করবে তখন তাদের জন্য ধার্যকৃত মোহর প্রদান কর। নির্ধারিত মোহর থেকে তারা যদি সন্তুষ্টচিত্তে কিছু মাফ করে দেয়, তবে এতে তোমাদের কোন গোনাহ্ হবে না।
জমহুর সাহাবা ও তৎপরবর্তী সকলে এভাবেই এই আয়াতের তাফসীর করেছেন।’’ [ইমাম মুসলিম সাবুরা ইবনে মাবাদ আল জুহানী থেকে এই মর্মে হাদীস বর্ণনা করেন যে, তিনি একদা রাসূল সা.-র সাথে ছিলেন এমতাবস্থায় রাসুল সা. বলেন, হে মানব মন্ডলী! আমি তোমাদেরকে নারীদের নিকট থেকে ফায়দা গ্রহণের (মুত‘আহ্ বিবাহের) অনুমতি দিয়েছিলাম কিন্তু আল্লাহ্ তা‘আলা তা কিয়ামত পর্যন্ত হারাম করেছেন অতএব তোমাদের মধ্যে যার নিকট এরূপ মহিলা রয়েছে সে যেন তার পথ উম্মুক্ত করে দেয় এবং তাকে যা দিয়েছে তা থেকে কিছু ফেরত না দেয়। (মুসলিম, হাদীস নং ১৪০৬, বিবাহ অধ্যায়)]
অনুরূপভাবে তাদেরই শায়খ আল-তুসী ‘‘তাহযীবুল আহকাম’’ গ্রন্থে মুত‘আহ্ বিবাহকে ঘৃণিত ও নিন্দনীয় বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘‘উক্ত মহিলা যদি সম্মানিত ও উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন পরিবারের হয় তাহলে তার সাথে মুত‘আহ্ বিবাহ করা জায়েয নয়। কেননা এতে তার পরিবারের লোক আত্মমর্যাদার হানি বোধ করবে এবং উক্ত মহিলাও লজ্জা ও অপমান বোধ করবে।’’
শুধু এখানেই সীমিত নয় বরং রাফেযীরা মহিলাদের পায়খানার দ্বারে যৌন সঙ্গম করাও জায়েয করেছে। ‘‘আল-ইস্তেবছার’’ গ্রন্থে আলী ইবনুল হাকামের উদ্ধৃতিতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, ‘‘আমি সাফওয়ানকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি রেযাকে বলি যে, জনৈক ব্যক্তি একটি মাসআলাহ্ সম্পর্কে আপনাকে জিজ্ঞেস করার জন্য আমাকে নির্দেশ দিয়েছে, কিন্তু আমি তা আপনাকে জিজ্ঞেস করতে লজ্জাবোধ করছি। রেযা বলেন, সে প্রশ্নটি কি? তিনি বলেন, পুরুষ কি নারীর পায়খানার দ্বারে যৌন সঙ্গম করতে পারে? তিনি বলেন, হ্যাঁ পারবে, এটা তার অধিকার।’’
শিয়ারা তাদের ইমামদের কবর ও অন্যান্য কবরসমূহকে ধর্মীয় সম্মানিত স্থান হিসেবে গণ্য করে। যেমন কুফা পবিত্র স্থান, কারবালা পবিত্র স্থান এবং কোম পবিত্র স্থান। তারা সাদেকের নিকট হতে বর্ণনা করে, তিনি বলেন, আল্লাহর জন্য একটি হারাম তথা সম্মানিত ও পবিত্র স্থান রয়েছে, তা হচ্ছে মক্কা, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্য একটি হারাম তথা সম্মানিত ও পবিত্র স্থান রয়েছে, তা হচ্ছে মদীনা। এবং আমিরুল মু‘মিনীন আলী রা.-র একটি হারাম তথা সম্মানিত ও পবিত্র স্থান রয়েছে, তা হচ্ছে কুফা। আর আমাদের জন্য একটি হারাম তথা সম্মানিত ও পবিত্র স্থান রয়েছে, তা হচ্ছে কোম নগরী। তাদের নিকট কারবালার মর্যাদা বায়তুল্লাহ্ তথা কা‘বা থেকে অনেক উত্তম।
‘‘বেহারুল আনওয়ার’’ গ্রন্থে আবু আব্দুল্লাহ্ জা‘ফর সাদেক হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,‘‘আল্লাহ্ তা‘আলা কা‘বার প্রতি এ মর্মে ওহী করেন যে, যদি কারবালার মাটি না হত তাহলে তোমার কোন ফযিলত দিতাম না। হোসাইন যদি কারবালার মাটি স্পর্শ না করতো তাহলে তোমাকে সৃষ্টি করতাম না এবং ঐ ঘরও (মক্কার মসজিদে হারাম) সৃষ্টি করতাম না, যে ঘরের দ্বারা তোমরা ছোট হয়ে থাকো কোন প্রকার অহংকার ও ফখর করো না, যদি এরূপ না করো তাহলে তোমার প্রতি নারাজ হয়ে তোমাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবো।’’
শুধু এতেই সীমিত নয়, বরং রাফেযী শিয়ারা কারবালায় হোসাইনের কবর যিয়ারতকে ইসলামের পঞ্চম রুকন বায়তুল্লাহিল হারামের হজ পালন অপেক্ষা উত্তম গণ্য করে। আল-মাজলেসী ‘‘বেহারুল আনওয়ার’’ গ্রন্থে বাশির আদ্-দাহ্হানের বরাত দিয়ে উল্লেখ করেন, তিনি বলেন, ‘‘আমি আবু আব্দুল্লাহকে বললাম যে, যদি আমার হজ ছুটে যায়, আর আমি হুসাইনের মর্যাদা অনুধাবন করে তার কবরের নিকট যাই, তাহলে কি আমার হজ হবে? জবাবে তিনি বলেন, হে বাশির! তুমি ভালই করেছ, যে কোন মুসলিম যদি ঈদের দিন ব্যতীত অন্য কোন দিন হুসাইনের মর্যাদা যথাযথভাবে অনুধাবন করে তার কবরের নিকট আসে, তাহলে তার জন্য বিশটি মাবরুর ও কবুল হজ এবং বিশটি মাবরুর ও কবুল উমরার সমপরিমাণ ফযিলত লেখা হয় এবং প্রেরিত নবী-রাসূল অথবা ন্যায় পরায়ণ ইমামের সাথে বিশটি যুদ্ধের ফযিলত লেখা হয়। আর যে ব্যক্তি হুসাইনের যথাযথ মর্যাদা অনুধাবন করে আরাফার দিনে তার কবর যিয়ারত করে, তার জন্য এক হাজার মাবরুর ও কবুল হজ ও বিশটি মাবরুর ও কবুল উমরার সমপরিমাণ ফযিলত লেখা হয় এবং প্রেরিত নবী রাসূল অথবা ন্যায় পরায়ণ শাসকের সাথে এক হাজার যুদ্ধের ফযিলত লেখা হয়।
উক্ত গ্রন্থে আরো বলেন যে, কারবালাতে হুসাইনের কবর যিয়ারতকারীগণ হচ্ছে অতি পুত-পবিত্র। আর আরাফার দিনে আরাফার ময়দানে অবস্থানকারীগণ হচ্ছে যেনাকারীর (জারজ) সন্তান, নাউযুবিল্লাহ মিন যালেক।
‘‘আলী ইবনে আসবাত তিনি আবু আব্দুল্লাহ্ হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আল্লাহ্ তা‘আলা আরাফার দিন সন্ধ্যা বেলায় হুসাইনের কবর যিয়ারতকারীদের প্রতি নজর দিতে শুরু করেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, আরাফায় অবস্থানকারীদের প্রতি নজর দেয়ার পূর্বেই? জবাবে বলেন, হ্যাঁ! আমি বললাম, এটা কিভাবে সম্ভব? তিনি বলেন, এটা এই জন্য সম্ভব যে, আরাফায় অবস্থানকারীগণ হচ্ছে যেনার সন্তান আর হুসাইনের কবর যিয়ারতকারীদের মধ্যে কোন যেনার সন্তান নেই।’’
শুধু তা-ই নয়, বরং তাদের নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি আলী আল-সিস্তানী ‘‘মিনহাজুস সালেহীন’’ গ্রন্থে মসজিদসমূহে সালাত আদায়ের চাইতে ঐতিহাসিক স্মরণীয় স্থানসমূহে সালাত আদায়কে প্রাধান্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ইমামদের স্মরণীয় ও ঐতিহাসিক স্থানসমূহে সালাত আদায় করা ভাল কাজ, বরং সেখানে সালাত আদায় করা মসজিদে সালাত আদায় অপেক্ষা উত্তম। আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, আলী রা.-র নিকট সালাত আদায় করা মসজিদে সালাত আদায় অপেক্ষা দুই লক্ষগুণ বেশী ফযিলত।’’
তাদের শায়খ আববাস আল-কাশানী ‘‘মাসাবিহুল জিনান’’ গ্রন্থে কারবালার ব্যাপারে চরম সীমা লঙ্ঘণ করেছেন, তিনি বলেন, ‘‘ইসলামের দৃষ্টিতে কারবালার ভূমি হচ্ছে সর্বাধিক পবিত্র ভূমি। দলীল প্রমাণের ভিত্তিতে অন্যান্য ভূমি অপেক্ষা কারবালার ভূমিকে অনেক মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য দেয়া হয়েছে। অতএব সে স্থানটি আল্লাহর পুত-পবিত্র ও বরকতপূর্ণ ভূমি, আল্লাহর প্রতি নত ও অনুগত ভূমি, আল্লাহর বাছাইকৃত ভূমি, বরকতময় শান্তিপূর্ণ সম্মানিত স্থান, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল ঐ ভূমিকে হারাম তথা সম্মানিত করেছেন। কারবালা হচ্ছে ইসলামের গম্বুজ এবং সেই সমস্ত স্থানের অন্তর্ভূক্ত যেখানে এবাদত ও দু‘আ প্রার্থনা করা মহান আল্লাহ্ পছন্দ করেন। কারবালা আল্লাহর এমন ভূমি যে ভূমির মাটিতে শেফা রয়েছে। উল্লেখিত বৈশিষ্ট্য ছাড়া আরো অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা কারবালা ব্যতীত পৃথিবীর অন্য কোন ভূমিতে নেই, এমনকি কা‘বাতেও নেই।’’
শায়খুল মুফিদ মুহাম্মাদ আল-নু‘মান ‘‘আল-মাযার’’ গ্রন্থে কুফার মসজিদের ফযিলত অধ্যায়ে বর্ণনা করেন, আবু জা‘ফার আল বাকের হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘‘মানুষ যদি কুফা মসজিদের ফযিলত জানতো তাহলে দূর প্রান্ত থেকে হলেও সেখানে আসার জন্য সার্বিক প্রস্ত্ততি গ্রহণ করত। নিশ্চয় সেখানে এক ওয়াক্ত ফরয সালাত আদায় একটি হজ পালনের সমপরিমাণ, আর এক ওয়াক্ত নফল সালাত একটি উমরাহ্ পালনের সমপরিমাণ।’’
‘‘কবরের নিকট অবস্থানকালে পঠিত বাক্য’’ অধ্যায়ে উক্ত গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে যে, হুসাইনের কবর যিয়ারতকারী স্বীয় ডান হাত ইশারা করে দীর্ঘ দু‘আর মধ্যে বলবে যে, ‘‘আপনার নিকট যিয়ারত করতে এসেছি এ জন্য যে, আমার কদম যেন আপনার প্রতি হিজরতের সময় অটল থাকে। আমি এ ইয়াকিন রাখি যে, আপনার মাধ্যমেই আল্লাহ্ চিন্তা-ভাবনা ও দুঃখ-দূর্দশা দূর করেন, এবং আপনার মাধ্যমেই রহমত নাযিল করেন, আপনার উসিলায় বা মাধ্যমে পৃথিবী অনড় থাকে, এবং আপনার মাধ্যমেই আল্লাহ্ তা‘আলা পাহাড়সমূহকে তার যথা স্থানে স্থাপন করেন। অতএব হে আমার সরদার! আমি আপনার মাধ্যমেই আমার প্রয়োজন মেটানো ও গোনাহ্ মাফের জন্য আমার রবের প্রতি রুজু হচ্ছি।’’
হে সম্মানিত পাঠক! ভেবে দেখুন, কিভাবে তারা গায়রুলাহ্ তথা মানুষের নিকট নিজের প্রয়োজনাবলী মেটানো ও গোনাহ্ মাফের তলব করে শিরকে লিপ্ত হচ্ছে, কিভাবে এটা সম্ভব হতে পারে? অথচ আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন,
(আরবি)
‘‘আর আল্লাহ ছাড়া কে গুনাহ ক্ষমা করবে ?’’ (সূরা আলে-ইমরান : ১৩৫)
অর্থাৎ আল্লাহ্ ব্যতীত গোনাহ্ মাফ করার মত আর কেউ নেই। এরূপ শিরক থেকে আমরা আল্লাহর নিকট পানাহ্ চাই।
‘‘বেহারুল আনওয়ার’’ গ্রন্থে আবু আব্দুল্লাহ্ জা‘ফর সাদেক হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,‘‘আল্লাহ্ তা‘আলা কা‘বার প্রতি এ মর্মে ওহী করেন যে, যদি কারবালার মাটি না হত তাহলে তোমার কোন ফযিলত দিতাম না। হোসাইন যদি কারবালার মাটি স্পর্শ না করতো তাহলে তোমাকে সৃষ্টি করতাম না এবং ঐ ঘরও (মক্কার মসজিদে হারাম) সৃষ্টি করতাম না, যে ঘরের দ্বারা তোমরা ছোট হয়ে থাকো কোন প্রকার অহংকার ও ফখর করো না, যদি এরূপ না করো তাহলে তোমার প্রতি নারাজ হয়ে তোমাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবো।’’
শুধু এতেই সীমিত নয়, বরং রাফেযী শিয়ারা কারবালায় হোসাইনের কবর যিয়ারতকে ইসলামের পঞ্চম রুকন বায়তুল্লাহিল হারামের হজ পালন অপেক্ষা উত্তম গণ্য করে। আল-মাজলেসী ‘‘বেহারুল আনওয়ার’’ গ্রন্থে বাশির আদ্-দাহ্হানের বরাত দিয়ে উল্লেখ করেন, তিনি বলেন, ‘‘আমি আবু আব্দুল্লাহকে বললাম যে, যদি আমার হজ ছুটে যায়, আর আমি হুসাইনের মর্যাদা অনুধাবন করে তার কবরের নিকট যাই, তাহলে কি আমার হজ হবে? জবাবে তিনি বলেন, হে বাশির! তুমি ভালই করেছ, যে কোন মুসলিম যদি ঈদের দিন ব্যতীত অন্য কোন দিন হুসাইনের মর্যাদা যথাযথভাবে অনুধাবন করে তার কবরের নিকট আসে, তাহলে তার জন্য বিশটি মাবরুর ও কবুল হজ এবং বিশটি মাবরুর ও কবুল উমরার সমপরিমাণ ফযিলত লেখা হয় এবং প্রেরিত নবী-রাসূল অথবা ন্যায় পরায়ণ ইমামের সাথে বিশটি যুদ্ধের ফযিলত লেখা হয়। আর যে ব্যক্তি হুসাইনের যথাযথ মর্যাদা অনুধাবন করে আরাফার দিনে তার কবর যিয়ারত করে, তার জন্য এক হাজার মাবরুর ও কবুল হজ ও বিশটি মাবরুর ও কবুল উমরার সমপরিমাণ ফযিলত লেখা হয় এবং প্রেরিত নবী রাসূল অথবা ন্যায় পরায়ণ শাসকের সাথে এক হাজার যুদ্ধের ফযিলত লেখা হয়।
উক্ত গ্রন্থে আরো বলেন যে, কারবালাতে হুসাইনের কবর যিয়ারতকারীগণ হচ্ছে অতি পুত-পবিত্র। আর আরাফার দিনে আরাফার ময়দানে অবস্থানকারীগণ হচ্ছে যেনাকারীর (জারজ) সন্তান, নাউযুবিল্লাহ মিন যালেক।
‘‘আলী ইবনে আসবাত তিনি আবু আব্দুল্লাহ্ হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আল্লাহ্ তা‘আলা আরাফার দিন সন্ধ্যা বেলায় হুসাইনের কবর যিয়ারতকারীদের প্রতি নজর দিতে শুরু করেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, আরাফায় অবস্থানকারীদের প্রতি নজর দেয়ার পূর্বেই? জবাবে বলেন, হ্যাঁ! আমি বললাম, এটা কিভাবে সম্ভব? তিনি বলেন, এটা এই জন্য সম্ভব যে, আরাফায় অবস্থানকারীগণ হচ্ছে যেনার সন্তান আর হুসাইনের কবর যিয়ারতকারীদের মধ্যে কোন যেনার সন্তান নেই।’’
শুধু তা-ই নয়, বরং তাদের নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি আলী আল-সিস্তানী ‘‘মিনহাজুস সালেহীন’’ গ্রন্থে মসজিদসমূহে সালাত আদায়ের চাইতে ঐতিহাসিক স্মরণীয় স্থানসমূহে সালাত আদায়কে প্রাধান্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ইমামদের স্মরণীয় ও ঐতিহাসিক স্থানসমূহে সালাত আদায় করা ভাল কাজ, বরং সেখানে সালাত আদায় করা মসজিদে সালাত আদায় অপেক্ষা উত্তম। আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, আলী রা.-র নিকট সালাত আদায় করা মসজিদে সালাত আদায় অপেক্ষা দুই লক্ষগুণ বেশী ফযিলত।’’
তাদের শায়খ আববাস আল-কাশানী ‘‘মাসাবিহুল জিনান’’ গ্রন্থে কারবালার ব্যাপারে চরম সীমা লঙ্ঘণ করেছেন, তিনি বলেন, ‘‘ইসলামের দৃষ্টিতে কারবালার ভূমি হচ্ছে সর্বাধিক পবিত্র ভূমি। দলীল প্রমাণের ভিত্তিতে অন্যান্য ভূমি অপেক্ষা কারবালার ভূমিকে অনেক মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য দেয়া হয়েছে। অতএব সে স্থানটি আল্লাহর পুত-পবিত্র ও বরকতপূর্ণ ভূমি, আল্লাহর প্রতি নত ও অনুগত ভূমি, আল্লাহর বাছাইকৃত ভূমি, বরকতময় শান্তিপূর্ণ সম্মানিত স্থান, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল ঐ ভূমিকে হারাম তথা সম্মানিত করেছেন। কারবালা হচ্ছে ইসলামের গম্বুজ এবং সেই সমস্ত স্থানের অন্তর্ভূক্ত যেখানে এবাদত ও দু‘আ প্রার্থনা করা মহান আল্লাহ্ পছন্দ করেন। কারবালা আল্লাহর এমন ভূমি যে ভূমির মাটিতে শেফা রয়েছে। উল্লেখিত বৈশিষ্ট্য ছাড়া আরো অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা কারবালা ব্যতীত পৃথিবীর অন্য কোন ভূমিতে নেই, এমনকি কা‘বাতেও নেই।’’
শায়খুল মুফিদ মুহাম্মাদ আল-নু‘মান ‘‘আল-মাযার’’ গ্রন্থে কুফার মসজিদের ফযিলত অধ্যায়ে বর্ণনা করেন, আবু জা‘ফার আল বাকের হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘‘মানুষ যদি কুফা মসজিদের ফযিলত জানতো তাহলে দূর প্রান্ত থেকে হলেও সেখানে আসার জন্য সার্বিক প্রস্ত্ততি গ্রহণ করত। নিশ্চয় সেখানে এক ওয়াক্ত ফরয সালাত আদায় একটি হজ পালনের সমপরিমাণ, আর এক ওয়াক্ত নফল সালাত একটি উমরাহ্ পালনের সমপরিমাণ।’’
‘‘কবরের নিকট অবস্থানকালে পঠিত বাক্য’’ অধ্যায়ে উক্ত গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে যে, হুসাইনের কবর যিয়ারতকারী স্বীয় ডান হাত ইশারা করে দীর্ঘ দু‘আর মধ্যে বলবে যে, ‘‘আপনার নিকট যিয়ারত করতে এসেছি এ জন্য যে, আমার কদম যেন আপনার প্রতি হিজরতের সময় অটল থাকে। আমি এ ইয়াকিন রাখি যে, আপনার মাধ্যমেই আল্লাহ্ চিন্তা-ভাবনা ও দুঃখ-দূর্দশা দূর করেন, এবং আপনার মাধ্যমেই রহমত নাযিল করেন, আপনার উসিলায় বা মাধ্যমে পৃথিবী অনড় থাকে, এবং আপনার মাধ্যমেই আল্লাহ্ তা‘আলা পাহাড়সমূহকে তার যথা স্থানে স্থাপন করেন। অতএব হে আমার সরদার! আমি আপনার মাধ্যমেই আমার প্রয়োজন মেটানো ও গোনাহ্ মাফের জন্য আমার রবের প্রতি রুজু হচ্ছি।’’
হে সম্মানিত পাঠক! ভেবে দেখুন, কিভাবে তারা গায়রুলাহ্ তথা মানুষের নিকট নিজের প্রয়োজনাবলী মেটানো ও গোনাহ্ মাফের তলব করে শিরকে লিপ্ত হচ্ছে, কিভাবে এটা সম্ভব হতে পারে? অথচ আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন,
(আরবি)
‘‘আর আল্লাহ ছাড়া কে গুনাহ ক্ষমা করবে ?’’ (সূরা আলে-ইমরান : ১৩৫)
অর্থাৎ আল্লাহ্ ব্যতীত গোনাহ্ মাফ করার মত আর কেউ নেই। এরূপ শিরক থেকে আমরা আল্লাহর নিকট পানাহ্ চাই।
নিযামুদ্দীন মুহাম্মাদ আল-আ‘যামী ‘‘আশ-শিয়াতু ওয়াল মুত‘আহ্’’ গ্রন্থের ভূমিকায় বলেন, ‘‘আমাদের
ও তাদের অর্থাৎ শিয়াদের মধ্যে শুধু মুত‘আহ্ বিবাহের মাসআলার ন্যায় ফিকহের শাখা-প্রশাখার ক্ষেত্রেই খেলাফ সীমাবদ্ধ নয়, বরং প্রকৃত বিরোধিতা হচ্ছে মূলনীতির বিরোধিতা অর্থাৎ আক্বীদা ও বিশ্বাসের বিরোধ। যেমন :
(ক) রাফেযীগণ বলেন যে, পবিত্র কুরআন বিকৃত ও অসম্পূর্ণ। আর আমরা বলি, পবিত্র কুরআন অবিকল ও সম্পূর্ণ। কিয়ামত পর্যন্ত পবিত্র কুরআনে কোন প্রকার পরিবর্তন-পরিবর্ধন ও বিয়োজন হবে না। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন,
(আরবি)
‘‘নিশ্চয় আমি কুরআন [ الذكر দ্বারা উদ্দেশ্য কুরআন।] নাযিল করেছি, আর আমিই তার হেফাযতকারী।’’ সূরা হিজর : (৯)
(খ) রাফেযী শীআ‘রা বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মৃত্যুর পর কতিপয় সাহাবী ব্যতীত সবাই মুরতাদ হয়ে পূর্ব ধর্মে ফিরে যায় এবং তাদের প্রতি অর্পিত দীন ও আমানতের দায়িত্ব তারা খেয়ানত করে। প্রথম তিন খলিফা আবু বকর, ওমর ও উসমানও তাদের অন্তর্ভুক্ত। এ জন্যই তাদের দৃষ্টিতে এসব সাহাবাগণ পথভ্রষ্ঠ-বিভ্রান্ত ও বড় কাফেরদের অন্তর্ভূক্ত। নাউযুবিল্লাহ্ মিন যালেকা।
এর জবাবে আমরা বলি, নবী-রাসূলদের পরে সাহাবাগণই হচ্ছেন সর্বোত্তম মানুষ। তাঁরা সবাই ন্যায়পরায়ণ, নবীদের ব্যাপারে কখনই মিথ্যারোপ করেননি এবং হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে তাঁরা ছিলেন নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিত্ব।
(গ) রাফেযী শীআ‘রা বলেন, কেবলমাত্র রাফেযীদের বারজন ইমামই হচ্ছে নিষ্পাপ এবং এই ইমামগণ গায়েব তথা অদৃশ্য বিষয় জানেন বরং নবী-রাসূল ও ফেরেশতাগণ যা জানেন ইমামগণ তা জানেন। যা ছিল ও যা হবে অর্থাৎ অতীত ও ভবিষ্যত সবই তাঁরা জানেন, কোন জিনিস তাঁদের নিকট গোপন নয়। শুধু তাই নয় বরং তারা পৃথিবীর সমস্ত ভাষাও জানেন এবং সমস্ত পৃথিবী তাদেরই জন্য।
এর জবাবে আমরা বলি, তোমাদের কথিত ইমামগণ অন্য সকল মানুষের মতই মানুষ, অতএব তাদের মাঝে ও অন্যদের মাঝে মানুষ হিসেবে কোন পার্থক্য নেই। তারা যেরূপ ফকীহ্, আলেম ও খলিফা হতে পারেন, অনুরূপ জনসাধারণও ফকীহ্, আলেম ও খলিফা হতে পারেন। অতএব যে সমস্ত বিষয় ইমামগণ নিজেরা দাবী করেননি, তাদের সাথে আমরা তা সম্পৃক্ত করি না। বরং আমরা জানি, শিয়াদের দাবি ও ধারণা তারা প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং এসব থেকে তারা নিজেদেরকে মুক্ত রেখেছেন।’’
ও তাদের অর্থাৎ শিয়াদের মধ্যে শুধু মুত‘আহ্ বিবাহের মাসআলার ন্যায় ফিকহের শাখা-প্রশাখার ক্ষেত্রেই খেলাফ সীমাবদ্ধ নয়, বরং প্রকৃত বিরোধিতা হচ্ছে মূলনীতির বিরোধিতা অর্থাৎ আক্বীদা ও বিশ্বাসের বিরোধ। যেমন :
(ক) রাফেযীগণ বলেন যে, পবিত্র কুরআন বিকৃত ও অসম্পূর্ণ। আর আমরা বলি, পবিত্র কুরআন অবিকল ও সম্পূর্ণ। কিয়ামত পর্যন্ত পবিত্র কুরআনে কোন প্রকার পরিবর্তন-পরিবর্ধন ও বিয়োজন হবে না। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন,
(আরবি)
‘‘নিশ্চয় আমি কুরআন [ الذكر দ্বারা উদ্দেশ্য কুরআন।] নাযিল করেছি, আর আমিই তার হেফাযতকারী।’’ সূরা হিজর : (৯)
(খ) রাফেযী শীআ‘রা বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মৃত্যুর পর কতিপয় সাহাবী ব্যতীত সবাই মুরতাদ হয়ে পূর্ব ধর্মে ফিরে যায় এবং তাদের প্রতি অর্পিত দীন ও আমানতের দায়িত্ব তারা খেয়ানত করে। প্রথম তিন খলিফা আবু বকর, ওমর ও উসমানও তাদের অন্তর্ভুক্ত। এ জন্যই তাদের দৃষ্টিতে এসব সাহাবাগণ পথভ্রষ্ঠ-বিভ্রান্ত ও বড় কাফেরদের অন্তর্ভূক্ত। নাউযুবিল্লাহ্ মিন যালেকা।
এর জবাবে আমরা বলি, নবী-রাসূলদের পরে সাহাবাগণই হচ্ছেন সর্বোত্তম মানুষ। তাঁরা সবাই ন্যায়পরায়ণ, নবীদের ব্যাপারে কখনই মিথ্যারোপ করেননি এবং হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে তাঁরা ছিলেন নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিত্ব।
(গ) রাফেযী শীআ‘রা বলেন, কেবলমাত্র রাফেযীদের বারজন ইমামই হচ্ছে নিষ্পাপ এবং এই ইমামগণ গায়েব তথা অদৃশ্য বিষয় জানেন বরং নবী-রাসূল ও ফেরেশতাগণ যা জানেন ইমামগণ তা জানেন। যা ছিল ও যা হবে অর্থাৎ অতীত ও ভবিষ্যত সবই তাঁরা জানেন, কোন জিনিস তাঁদের নিকট গোপন নয়। শুধু তাই নয় বরং তারা পৃথিবীর সমস্ত ভাষাও জানেন এবং সমস্ত পৃথিবী তাদেরই জন্য।
এর জবাবে আমরা বলি, তোমাদের কথিত ইমামগণ অন্য সকল মানুষের মতই মানুষ, অতএব তাদের মাঝে ও অন্যদের মাঝে মানুষ হিসেবে কোন পার্থক্য নেই। তারা যেরূপ ফকীহ্, আলেম ও খলিফা হতে পারেন, অনুরূপ জনসাধারণও ফকীহ্, আলেম ও খলিফা হতে পারেন। অতএব যে সমস্ত বিষয় ইমামগণ নিজেরা দাবী করেননি, তাদের সাথে আমরা তা সম্পৃক্ত করি না। বরং আমরা জানি, শিয়াদের দাবি ও ধারণা তারা প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং এসব থেকে তারা নিজেদেরকে মুক্ত রেখেছেন।’’
রাফেযী শীআ‘রা প্রতি বছর মুহার্রাম মাসের প্রথম দশদিনে বিশেষ করে আশুরার দিন অর্থাৎ দশই মুহাররাম তারিখে খুবই গুরুত্বের সাথে হুসাইন রা.-র শাহাদতকে স্মরণ করে। এ জন্য তারা শোক প্রকাশ করে, কালো পোষাক পরিধান করে, রাস্তায় রাস্তায় আনন্দ র্যালী ও মিছিল বের করে। বিভিন্ন স্থানে মাতম, চিৎকার ও কান্না-কাটিসহ নানা ধরনের মাহফিলের আয়োজন করে। এ সবকে তারা আল্লাহর নৈকট্য লাভের বড় উপায় বলে বিশ্বাস করে। দুই হাতে নিজেদের দুই গাল, বুক ও পিঠ চাপড়াতে থাকে এবং ‘ইয়া হুসাইন ইয়া হুসাইন’ বলে জোরে জোরে চিৎকার রবে পরিহিত জামা-কাপড় ছিঁড়তে থাকে। এখানে সীমাবদ্ধ নয়, ইরানসহ অন্যান্য শীআ‘ অধ্যুষিত দেশে তারা নিজেরা নিজেদেরকে লোহার শিকল, তরবারী ও চাকু দ্বারা আঘাত করতে থাকে। তাদের পন্ডিতগণ এরূপ জঘণ্য কাজের প্রতি উৎসাহ দিয়ে থাকেন। যেমন মুহাম্মাদ হাসান আল-কাশেফ নামক জনৈক পন্ডিতকে তাদের সন্তানদের এরূপ বুক ও পিঠ চাপড়ানো ইত্যাদি কর্মকান্ড সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, এগুলো তো জায়েয, আল্লাহর মহান নিদর্শন সমূহের অন্তর্ভূক্ত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
(আরবি)
‘‘এটাই হল আল্লাহর বিধান; যে আল্লাহর নিদর্শনসমূহকে সম্মান করে, নিঃসন্দেহে তা অন্তরের তাকওয়া থেকেই।’’ সূরা হাজ : (৩২)
আল্লাহ তাআলা বলেন : ‘‘তিনিই স্বীয় রহমতে তোমাদের জন্য রাত ও দিন করেছেন যাতে তোমরা তাতে আরাম করতে পার আর তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান করতে পার এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।’’ (সুরা আল কাসাস : ৭৩)
(আরবি)
‘‘এটাই হল আল্লাহর বিধান; যে আল্লাহর নিদর্শনসমূহকে সম্মান করে, নিঃসন্দেহে তা অন্তরের তাকওয়া থেকেই।’’ সূরা হাজ : (৩২)
আল্লাহ তাআলা বলেন : ‘‘তিনিই স্বীয় রহমতে তোমাদের জন্য রাত ও দিন করেছেন যাতে তোমরা তাতে আরাম করতে পার আর তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান করতে পার এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।’’ (সুরা আল কাসাস : ৭৩)
রাফেযী শিয়ারা তাদের বারজন ইমামের শাসন ব্যবস্থা ছাড়া অন্যদের হুকুমত তথা শাসন ব্যবস্থাকে বাতিল বলে গণ্য করে। যেমন আবু জা‘ফর বলেন, ‘‘মাহদী রাফেযীর পূর্বে যেই পতাকা উত্তোলন করা হবে (অর্থাৎ হুকুমত কায়েম করা হবে) সেই হুকুমতের অধিকারী-ই হবে তাগুত।’’
শাসক যদি আল্লাহর পক্ষ থেকে না হয়, তাহলে তার আনুগত্য করা জায়েয নয়। তবে তুকইয়ার ভিত্তিতে তথা হিলা ও কৌশলের বাহানা করে বাঁচার জন্য আনুগত্য করা যায়। অত্যাচার ও পাপাচারে লিপ্ত ইমাম কিংবা ইমামতের যোগ্যতা রাখে না এমন ব্যক্তির আনুগত্য করাও জায়েয নয়। তারা অর্থাৎ রাফেযী শিয়ারা তাদের কথিত ইমামদের ব্যতীত সকল মুসলিম শাসক ও বিচারকদের ব্যাপারে অনুরূপ ধারণা পোষণ করে। এদের প্রথম সারিতে তারা গণ্য করে খুলাফায়ে রাশেদীন তথা আবু বকর, ওমর ও উসমান রা. প্রমুখদের। এ তিনজনের ব্যাপারে পথভ্রষ্ট রাফেযী শিয়া আল-মাজলেসী ‘‘বেহারুল আনওয়ার’’ গ্রন্থে বলে, ‘‘নিশ্চয় তারা ছিলেন অত্যাচারী, ছিনতাইকারী ও মুরতাদ তথা ধর্মত্যাগী। আহলে বায়তদের উপর যুল্ম ও অত্যাচারের জন্য তাদের উপর ও তাদের অনুসারীদের উপর আল্লাহর লা‘নত বর্ষিত হোক।’’
এ হচ্ছে তাদের ইমাম আল-মাজলেসীর মন্তব্য, যার কিতাবকে তারা নবী-রাসূলগণের পর মুসলিম মিল্লাতের জন্য হাদীসের ক্ষেত্রে অতি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ হিসেবে গণ্য করে। এ কারণেই মুসলিম খলিফাদের যারা সাহায্য-সহযোগিতা করেছে, তাদেরকে তারা তাগুত ও অত্যাচারী হিসেবে গণ্য করে। যেমন আল-কুলাইনী ওমর ইবনে হানযালাহ্ হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন : ‘‘আমি আমাদের এমন দু’জন ব্যক্তি সম্পর্কে আবু আব্দুল্লাহকে জিজ্ঞেস করি, যাদের মধ্যে দীন অথবা মীরাছ তথা উত্তরাধিকার বিষয়ে বিবাদ রয়েছে। ফলে তারা সুলতান তথা শাসক অথবা বিচারকের নিকট ফায়সালার জন্য যায়, এটা কি বৈধ? জবাবে তিনি বলেন, যে ব্যক্তি বৈধ বিষয়ে হোক অথবা বাতিল বিষয়ে হোক তাদেরকে বিচারক হিসেবে গ্রহণ করে তাদের ফায়সালা মেনে নেয়, সে প্রকৃত পক্ষে হারামই গ্রহণ করে, যদিও সে বিষয়টি তার জন্য বৈধ সাব্যস্ত হয়ে থাকে, কেননা সে তা গ্রহণ করেছে তাগুতের ফায়সালা অনুযায়ী।’’
আল-খুমায়নী ‘‘আল হুকুমাতুল ইসলামিয়াহ্’’ গ্রন্থে বলেন, ‘‘স্বয়ং ইমাম নিজেও তাদের বাদশাহ্ ও বিচারকদের নিকট যাওয়া থেকে বিরত থাকবে, কেননা তাদের নিকট যাওয়ার অর্থই হচ্ছে তাগুতের নিকট যাওয়ার শামিল।’’
‘‘আত-তুকইয়া ফী ফিকহে আহলিল বায়ত’’ গ্রন্থের নবম অনুচ্ছেদে আয়াতুল্লাহ্ আলহাজ শায়খ মুসলিম আদ-দাওয়ারী থিথিসের এক রিপোর্টে অত্যাচারী বাদশাহ্র অধীন কাজ করার বিধান সম্পর্কে রয়েছে, অত্যাচারী বাদশাহ্ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো সুন্নী শাসক বা বিচারক। তার বক্তব্যের ভাষা নিম্নরূপ : ‘‘বাদশাহর কাজে অনুপ্রবেশের বিধান তিন প্রকার : যথা কখনও এই কাজে প্রবেশ বা অংশ গ্রহণের উদ্দেশ্য হয় তাদের অত্যাচার থেকে মুক্তি লাভ এবং নিজেদের স্বার্থ বাস্তবায়ন ও প্রয়োজন পুরা করা, তাহলে এটা মুস্তাহাব। আবার কখনও এর উদ্দেশ্য হয় নিজের জীবন ধারণ ও স্বচ্ছলতা অর্জন, এটা জায়েয তবে ঘৃণিত কাজ। আর যদি এর উদ্দেশ্য হয় মু‘মিন ভাইদের প্রতি ইহসান করা ও তাদের প্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা করা, তাহলে এটা তার জন্য কাফ্ফারা স্বরূপ।
শীআ মু‘মিনদের প্রতি ইহসান ও তাদের দুঃখ-কষ্ট দূর করা ও নিজদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য মুসলিমদের অধীন কাজ করা মুবাহ্ ও জায়েয ঘৃণিত নয়।
ভেবে দেখ হে মুসলিম জাতি, কিভাবে তারা আহলে সুন্নাতের সাথে অত্যাচারী শব্দ প্রয়োগ করে?! কিভাবে আহলে সুন্নাতের শাসক ও বিচারকের অধীন চাকুরি করার শর্তারোপ করে? তাদের মৌলিক শর্তগুলো হচ্ছে : সাধারণ শিয়াদের উপকার সাধন, চাকুরির বৈধতার জন্য এ নিয়ত জরুরী। অতএব রাফেযী শিয়া শাসকগণ হুকুমাত কায়েম করে শুধুমাত্র রাফেযীদের জন্যই। অনুরূপ তারা যে স্থানে যে কাজই করুক, সেখানেই তাদের অনুসারীদের স্থায়ী ও প্রতিষ্ঠিত করার পরিকল্পনা করে এবং আহলে সুন্নাতকে সে কর্ম ও কর্মস্থল থেকে বিরত ও দূরে রাখার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে, যেন সেখানে তারা নিজেদের সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব কায়েম করতে সক্ষম হয়। তাদের এই অনিষ্ট থেকে মুসলমানদেরকে হেফাযতের জন্য মহান আল্লাহই যথেষ্ট।
আল্লাহ তাআলা বলেন :
(আরবি)
‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে অংশীস্থাপন করে তার জন্য আল্লাহ্ অবশ্যই জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন আর তার আবাস হল জাহান্নাম। আর যালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।’’ (সুরা আল মায়িদাহ্-৭২)
শাসক যদি আল্লাহর পক্ষ থেকে না হয়, তাহলে তার আনুগত্য করা জায়েয নয়। তবে তুকইয়ার ভিত্তিতে তথা হিলা ও কৌশলের বাহানা করে বাঁচার জন্য আনুগত্য করা যায়। অত্যাচার ও পাপাচারে লিপ্ত ইমাম কিংবা ইমামতের যোগ্যতা রাখে না এমন ব্যক্তির আনুগত্য করাও জায়েয নয়। তারা অর্থাৎ রাফেযী শিয়ারা তাদের কথিত ইমামদের ব্যতীত সকল মুসলিম শাসক ও বিচারকদের ব্যাপারে অনুরূপ ধারণা পোষণ করে। এদের প্রথম সারিতে তারা গণ্য করে খুলাফায়ে রাশেদীন তথা আবু বকর, ওমর ও উসমান রা. প্রমুখদের। এ তিনজনের ব্যাপারে পথভ্রষ্ট রাফেযী শিয়া আল-মাজলেসী ‘‘বেহারুল আনওয়ার’’ গ্রন্থে বলে, ‘‘নিশ্চয় তারা ছিলেন অত্যাচারী, ছিনতাইকারী ও মুরতাদ তথা ধর্মত্যাগী। আহলে বায়তদের উপর যুল্ম ও অত্যাচারের জন্য তাদের উপর ও তাদের অনুসারীদের উপর আল্লাহর লা‘নত বর্ষিত হোক।’’
এ হচ্ছে তাদের ইমাম আল-মাজলেসীর মন্তব্য, যার কিতাবকে তারা নবী-রাসূলগণের পর মুসলিম মিল্লাতের জন্য হাদীসের ক্ষেত্রে অতি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ হিসেবে গণ্য করে। এ কারণেই মুসলিম খলিফাদের যারা সাহায্য-সহযোগিতা করেছে, তাদেরকে তারা তাগুত ও অত্যাচারী হিসেবে গণ্য করে। যেমন আল-কুলাইনী ওমর ইবনে হানযালাহ্ হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন : ‘‘আমি আমাদের এমন দু’জন ব্যক্তি সম্পর্কে আবু আব্দুল্লাহকে জিজ্ঞেস করি, যাদের মধ্যে দীন অথবা মীরাছ তথা উত্তরাধিকার বিষয়ে বিবাদ রয়েছে। ফলে তারা সুলতান তথা শাসক অথবা বিচারকের নিকট ফায়সালার জন্য যায়, এটা কি বৈধ? জবাবে তিনি বলেন, যে ব্যক্তি বৈধ বিষয়ে হোক অথবা বাতিল বিষয়ে হোক তাদেরকে বিচারক হিসেবে গ্রহণ করে তাদের ফায়সালা মেনে নেয়, সে প্রকৃত পক্ষে হারামই গ্রহণ করে, যদিও সে বিষয়টি তার জন্য বৈধ সাব্যস্ত হয়ে থাকে, কেননা সে তা গ্রহণ করেছে তাগুতের ফায়সালা অনুযায়ী।’’
আল-খুমায়নী ‘‘আল হুকুমাতুল ইসলামিয়াহ্’’ গ্রন্থে বলেন, ‘‘স্বয়ং ইমাম নিজেও তাদের বাদশাহ্ ও বিচারকদের নিকট যাওয়া থেকে বিরত থাকবে, কেননা তাদের নিকট যাওয়ার অর্থই হচ্ছে তাগুতের নিকট যাওয়ার শামিল।’’
‘‘আত-তুকইয়া ফী ফিকহে আহলিল বায়ত’’ গ্রন্থের নবম অনুচ্ছেদে আয়াতুল্লাহ্ আলহাজ শায়খ মুসলিম আদ-দাওয়ারী থিথিসের এক রিপোর্টে অত্যাচারী বাদশাহ্র অধীন কাজ করার বিধান সম্পর্কে রয়েছে, অত্যাচারী বাদশাহ্ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো সুন্নী শাসক বা বিচারক। তার বক্তব্যের ভাষা নিম্নরূপ : ‘‘বাদশাহর কাজে অনুপ্রবেশের বিধান তিন প্রকার : যথা কখনও এই কাজে প্রবেশ বা অংশ গ্রহণের উদ্দেশ্য হয় তাদের অত্যাচার থেকে মুক্তি লাভ এবং নিজেদের স্বার্থ বাস্তবায়ন ও প্রয়োজন পুরা করা, তাহলে এটা মুস্তাহাব। আবার কখনও এর উদ্দেশ্য হয় নিজের জীবন ধারণ ও স্বচ্ছলতা অর্জন, এটা জায়েয তবে ঘৃণিত কাজ। আর যদি এর উদ্দেশ্য হয় মু‘মিন ভাইদের প্রতি ইহসান করা ও তাদের প্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা করা, তাহলে এটা তার জন্য কাফ্ফারা স্বরূপ।
শীআ মু‘মিনদের প্রতি ইহসান ও তাদের দুঃখ-কষ্ট দূর করা ও নিজদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য মুসলিমদের অধীন কাজ করা মুবাহ্ ও জায়েয ঘৃণিত নয়।
ভেবে দেখ হে মুসলিম জাতি, কিভাবে তারা আহলে সুন্নাতের সাথে অত্যাচারী শব্দ প্রয়োগ করে?! কিভাবে আহলে সুন্নাতের শাসক ও বিচারকের অধীন চাকুরি করার শর্তারোপ করে? তাদের মৌলিক শর্তগুলো হচ্ছে : সাধারণ শিয়াদের উপকার সাধন, চাকুরির বৈধতার জন্য এ নিয়ত জরুরী। অতএব রাফেযী শিয়া শাসকগণ হুকুমাত কায়েম করে শুধুমাত্র রাফেযীদের জন্যই। অনুরূপ তারা যে স্থানে যে কাজই করুক, সেখানেই তাদের অনুসারীদের স্থায়ী ও প্রতিষ্ঠিত করার পরিকল্পনা করে এবং আহলে সুন্নাতকে সে কর্ম ও কর্মস্থল থেকে বিরত ও দূরে রাখার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে, যেন সেখানে তারা নিজেদের সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব কায়েম করতে সক্ষম হয়। তাদের এই অনিষ্ট থেকে মুসলমানদেরকে হেফাযতের জন্য মহান আল্লাহই যথেষ্ট।
আল্লাহ তাআলা বলেন :
(আরবি)
‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে অংশীস্থাপন করে তার জন্য আল্লাহ্ অবশ্যই জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন আর তার আবাস হল জাহান্নাম। আর যালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।’’ (সুরা আল মায়িদাহ্-৭২)
প্রিয় পাঠক! শীআহ ও সুন্নীদের মাঝে ঐক্যের ব্যাপারে ড. নাসের আল-কাফারী ‘‘মাসআলাতুত তাক্বরীব’’ কিতাবের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেন, ‘‘আল্লাহর কিতাবের ব্যাপারে যে বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করে, কুরআনের অপব্যাখ্যা করে, কুরআনের পরেও ইমামদের উপর ইলাহী কিতাব নাযিলের ধারণা পোষণ করে। [প্রিয় পাঠক! এই পুস্তকের শেষাংশে দেখুন ‘‘আল বেলায়াহ্’’ নামক একটি সুরা, এই সুরাটির ব্যাপারে রাফেযী শিয়ারা দাবী করে যে, কুরআন শরীফ থেকে এটিকে হযফ করা হয়েছে। সুরাটি নুরী আত-ত্বাবারাসীর ‘‘ ফাসলুল খেতাব’’ নামক গ্রন্থ থেকে সংকলন করা হয়েছে। এরূপ দাবী অবশ্যই মিথ্যা দাবী এবং আল্লাহর অঙ্গিকারকে প্রত্যাখ্যানের শামিল।]
তারাইমামতকে নবুওয়াত বলে মনে করে, ইমামগণকে নবীদের ন্যায় বরং আরো উত্তম মনে করে, সকল রাসূলের রেসালত যে একক ও অদ্বিতীয় আল্লাহর যে ইবাদত কেন্দ্রিক, সেই ইবাদতের সঠিক অর্থ বাদ দিয়ে ভিন্ন অর্থ করে। তারা ইমামদের আনুগত্য করাকেই প্রকৃত ইবাদত মনে করে। ইমামদের সাথে অন্যদের আনুগত্য করা শিরকের শামিল ধারণা করে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিশিষ্ট সাহাবাদের কাফের বলে, তিন, চার অথবা সাতজন সাহাবী ব্যতীত সকল সাহাবীকে মুরতাদ কাফের বলে দাবী করে। যে ইমামত ও ইসমাত তথা নিষ্পাপ তত্ত্ব এবং তুকইয়ার বিশ্বাস নিয়ে মুসলিম জামা‘আত থেকে বিরত ও বিচ্ছিন্ন থাকে, রাজা‘আত, গায়বাত ও বাদাআ‘-র কথা বলে, তার সাথে কিভাবে ঐক্য সম্ভব?’’
তারাইমামতকে নবুওয়াত বলে মনে করে, ইমামগণকে নবীদের ন্যায় বরং আরো উত্তম মনে করে, সকল রাসূলের রেসালত যে একক ও অদ্বিতীয় আল্লাহর যে ইবাদত কেন্দ্রিক, সেই ইবাদতের সঠিক অর্থ বাদ দিয়ে ভিন্ন অর্থ করে। তারা ইমামদের আনুগত্য করাকেই প্রকৃত ইবাদত মনে করে। ইমামদের সাথে অন্যদের আনুগত্য করা শিরকের শামিল ধারণা করে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিশিষ্ট সাহাবাদের কাফের বলে, তিন, চার অথবা সাতজন সাহাবী ব্যতীত সকল সাহাবীকে মুরতাদ কাফের বলে দাবী করে। যে ইমামত ও ইসমাত তথা নিষ্পাপ তত্ত্ব এবং তুকইয়ার বিশ্বাস নিয়ে মুসলিম জামা‘আত থেকে বিরত ও বিচ্ছিন্ন থাকে, রাজা‘আত, গায়বাত ও বাদাআ‘-র কথা বলে, তার সাথে কিভাবে ঐক্য সম্ভব?’’
শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ্ রহ্. বলেন, ‘‘আহলে ইলম তথা বিদ্যানগণ এ কথায় একমত যে, রাফেযীরা অতি মিথ্যাবাদী একটি দল। তাদের মধ্যে মিথ্যা ও মিথ্যাচারের স্বভাব নতুন নয়। বরং পূর্ব থেকেই তাদের মধ্যে এরূপ স্বভাব রয়েছে। এ জন্য মুসলিম ইমামগণ রাফেযীদের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিদেরকে অধিক মিথ্যাবাদী হিসেবেই চিনতেন। আশ্হাব বিন আবদুল আজীজ বলেন, ‘‘ইমাম মালেক রহ্.-কে একদা রাফেযী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, তাদের সাথে কথা বলো না। তাদের নিকট থেকে কিছু বর্ণনা করো না। কেননা তারা মিথ্যা বলে। ইমাম মালেক আরো বলেন, যে ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাহাবীকে গালি দেয়, ইসলামে তার কোন নাম থাকতে পারে না। অথবা বলেন, ইসলামের মধ্যে তার কোন হিস্সা বা অংশ থাকতে পারে না।’’
মহান আল্লাহর বানী;
(আরবি)
‘‘মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল এবং তার সাথে যারা আছে তারা কাফিরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর; পরস্পরের প্রতি সদয়, তুমি তাদেরকে রুকূকারী, সিজদাকারী অবস্থায় দেখতে পাবে। তারা আল্লাহর করুণা ও সন্তুষ্টি অনুসন্ধান করছে। তাদের আলামত হচ্ছে, তাদের চেহারায় সিজদার চিহ্ন থাকে। এটাই তাওরাতে তাদের দৃষ্টান্ত। আর ইনজীলে তাদের দৃষ্টান্ত হলো একটি চারাগাছের মত, যে তার কঁচিপাতা উদগত করেছে ও শক্ত করেছে, অতঃপর তা পুষ্ট হয়েছে ও স্বীয় কান্ডের উপর মজবুতভাবে দাঁড়িয়েছে, যা চাষীকে আনন্দ দেয়। যাতে তিনি তাদের দ্বারা কাফিরদেরকে ক্রোধান্বিত করতে পারেন।’’ (সূরা আল ফাতহ : ২৯)
ইমাম ইবনে কাসীর রহ্. বলেন, ‘‘এ আয়াতে ইমাম মালেক রাফেযীদের সম্পর্কে বলেন, তারা সাহাবাদের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষ পোষণ করে বিধায় তারা কাফের। কারণ তারা সাহাবাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে মূলত কুরআনের এ আয়াতকেই অস্বীকার করেছে। ইমাম কুরতুবী রহ্. বলেন, ‘‘ইমাম মালেক রহ. অতি সুন্দর কথা বলেছেন এবং আয়াতের যথার্থ ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। অতএব যদি কোন ব্যক্তি একজন সাহাবীর মান ক্ষুন্ন করে, অথবা কোন বর্ণনায় সাহাবাদের প্রতি দোষারোপ করে, কিংবা কুৎসা রটনা করে, তাহলে সে সমগ্র বিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহর সাথেই প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং মুসলিমদের শরীয়তকে বাতিল দাবি করে।’’
আবু হাতেম বলেন, আমাকে হুরমুল্লাহ্ বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি ইমাম শাফেয়ী রহ. কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, রাফেযী শিয়াহ্ অপেক্ষা অধিক মিথ্যা সাক্ষ্যদাতা আর কাউকে দেখিনি।’’
মু‘মাল বিন আহাব বলেন, ইয়াযিদ বিন হারুনকে আমি বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, প্রত্যেক বিদ‘আতীর ইলম গ্রহণ করা যায়, যদি সে তার বিদ‘আতের দিকে মানুষকে আহববান না করে। কিন্তু রাফেযী শিয়াদের থেকে ইলম গ্রহণ করা যায় না। কারণ তারা অতি মিথ্যাবাদী।’’
মুহাম্মাদ বিন সাঈদ আল-আসবাহানী বলেন, ‘‘আমি কুফার কাযী শাবিক বিন আব্দুল্লাহকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি রাফেযী শিয়াহ্ ব্যতীত অন্য সকলের নিকট হতে ইল্ম গ্রহণ করি। কারণ তারা মাওযু তথা মিথ্যা হাদীস তৈরী করে এবং ঐ বানোয়াট হাদীসকেই দীন হিসেবে গ্রহণ করে।’’
মু‘আবিয়াহ্ বলেন, ‘‘আমি আ‘মাশকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি দেখেছি যে, মানুষ তাদেরকে অর্থাৎ মুগীরাহ্ ইবনে সাঈদ রাফেযীর অনুসারীদের মিথ্যাবাদী ব্যতীত কোন নামেই বিশেষায়িত করত না।’’ ইমাম যাহাবীও অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
পূর্ববর্তী ইমামদের মন্তব্যের পর সংক্ষিপ্তভাবে শায়খুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়া রহ. বলেন, ‘‘রাফেযীদের এ বিদ‘আত তথা মনগড়া ইসলাম হল নাস্তিক্যবাদ। অর্থাৎ যারা কুফরকেই ইসলাম বলে মনে করে তাদের মূলনীতি থেকে গৃহিত, ফলশ্রুতিতে তাদের অসংখ্য মিথ্যা ও বানোয়াট রাফেযীদের মধ্যে অনুপ্রবেশ করেছে। এটাকে স্বীকার করে তারা নিজেরাই বলে যে, আমাদের দীন ও ধর্মই হচ্ছে তুকইয়া। তুকইয়া হচ্ছে এই যে, ব্যক্তি মুখে যা বলবে অন্তরে তার বিপরীত গোপন রাখবে। মূলত একেই বলে মিথ্যা ও মুনাফিকী। যার মধ্যে তারা নিমজ্জিত।’’
আব্দুল্লাহ্ বিন আহমাদ বিন হাম্বাল বলেন, ‘‘আমি আমার পিতাকে রাফেযী শিয়াহ্ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এরা আবু বকর ও ওমর রা.-কে গাল-মন্দ করে।’’ একদা ইমাম আহমাদ রহ. কে আবু বকর ও ওমর রা. সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, তাদের উপর রহম করা হয়েছে। বিদ্বেষ পোষণকারীরা তাদের উপর যে অপবাদ আরোপ করে, তা থেকে তারা সম্পূর্ণ মুক্ত ও পুত-পবিত্র। [আল মাসায়েল ওয়াল রাসায়েল আল মারবিয়াহ্ আনিল ইমাম ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল লি]
আবু বকর আল-মারওয়াযী থেকে খাল্লাল বর্ণনা করেন, আবু বকর, ওমর ও আয়েশা রা.-কে গাল-মন্দকারী সম্পর্কে আবু আব্দুল্লাহ্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘‘ইসলামের গন্ডির ভেতরে সে আছে বলে আমি মনে করি না।’’ অর্থাৎ ইসলাম থেকে সে খারিজ।
খাল্লাল আরো বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, হার্ব ইবনে ইসমাঈল আল-কিরমানী আমাকে খবর দেন, তিনি বলেন, মুসা ইবনে হারুন ইবনে যিয়াদ আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ‘‘জনৈক ব্যক্তি যখন আল-ফিরইয়াবীকে এ মর্মে জিজ্ঞেস করেন যে, যে ব্যক্তি আবু বকর রা.-কে গালি দেয়, তার সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? তখন তিনি জবাবে বলেন, সে ব্যক্তি অবশ্যই কাফের। জনৈক ব্যক্তি আবারো জিজ্ঞেস করেন, তার কি জানাযা পড়া হবে? তিনি বলেন, না।’’
ইবনে হায্ম রহ. বলেন, ‘‘রাফেযী শিয়ারা মুসলিম নয়, তাদের কথা দীনের ব্যাপারে দলীল হিসাবে গণ্য নয়, এটি একটি নতুন মতবাদ বা দল যা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মৃত্যুর পচিঁশ বছর পর সৃষ্টি হয়েছে। এ দলটি ইহুদী ও খৃষ্টানদের দের মত মিথ্যা ও কুফরীর উপর নির্ভর করে চলে।’’
আবু যুর‘আহ্ আল-রাযী বলেন, ‘‘যদি তুমি কোন ব্যক্তিকে দেখ, সে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কোন সাহাবীর মর্যাদা নিয়ে তিরষ্কার করছে, অথবা তাদের মর্যাদা নিয়ে সমালোচনা করছে, তাহলে যেনে রেখো, সে অবশ্যই যিনদিক।’’
সউদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া বোর্ড এর নিকট সউদী আরবের উত্তর সীমান্ত থেকে কতিপয় লোক এ মর্মে প্রশ্ন করেন যে, সেখানে জা‘ফারিয়াহ্ মাযহাবের একদল লোক রয়েছে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ তাদের যবেহকৃত গোস্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকে, আবার কেউ কেউ তা ভক্ষণ করে। অতএব আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে যে, আমরা কি তাদের যবেহ্কৃত গোস্ত খেতে পারব? জ্ঞাতব্য যে, তারা বিপদাপদে
ও সুখ-স্বাচ্ছন্দে আল্লাহকে ডাকার পরিবর্তে আলী, হাসান, হুসাইন ও তাদের অন্যান্য নেতাদের আহবান করে থাকে।
স্থায়ী ফতোয়া বোর্ডের প্রধান মাননীয় শায়খ আবদুল আজীজ বিন বায রহ্. শায়খ আবদুর রাজ্জাক আফীফি, শায়খ আব্দুল্লাহ্ বিন গুদাইয়ান ও শায়খ আব্দুল্লাহ্ বিন কুঊদ, আল্লাহ্ তাদের উত্তম বিনিময় দান করুন, প্রমুখগণ উক্ত প্রশ্নের জবাব প্রদান করেন।
জবাব:
সকল প্রশংসা এক আল্লাহর জন্য, দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম. ও তার পরিবার এবং তার সাথীদের উপর। অতঃপর...
‘‘বিষয়টি যদি এমনই হয় যেমন প্রশ্নকারী উল্লেখ করেছে, অর্থাৎ জা‘ফারিয়াহ্ মাযহাবের লোকজন আল্লাহর পরিবর্তে আলী, হাসান, হুসাইন ও তাদের নেতাদের আহবান করে, তাহলে তারা অবশ্যই মুশরিক-মুরতাদ ইসলাম থেকে বেরিয়ে গেছে। নাউযুবিলাহ্। তাদের যবেহ্কৃত গোস্ত ভক্ষণ করা হালাল নয়, যদিও তারা যবেহ্ করার সময় বিসমিল্লাহ্ পাঠ করে, তবুও তা সাধারণ মৃত জানোয়ারের ন্যায়।’’
অনুরূপভাবে শায়খ আব্দুল্লাহ্ বিন আবদুর রহমান আল-জিবরীন রাহেমাহুল্লাহ্কেও এ মর্মে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, মুহতারাম শায়খ, আমাদের শহরে একজন লোক রাফেযী আক্বীদায় বিশ্বাসী, সে কসাইয়ের কাজ করে, ফলে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের কিছু লোক তাদের পশু যবেহ্ করার জন্য তার নিকট যায়। তেমনিভাবে সেখানে কিছু রেষ্টুরেন্টে ঐ ব্যক্তিসহ একই পেশার আরো কয়েকজন কাজ করে। অতএব ঐ রাফেযী শিয়াসহ অনুরূপ ব্যক্তিদের সাথে আচরণ ও ব্যবহার বিধি কিরূপ হওয়া উচিৎ? তার যবেহ্কৃত পশুর গোস্ত খাওয়া হালাল না হারাম? এ বিষয়ে আপনার নিকট ফতোয়া জানতে চাই। আল্লাহ্ আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুন।
জবাব:
রাফেযী আক্বীদায় বিশ্বাসী লোক দ্বারা পশু যবেহ্ করা বৈধ নয়, তার যবেহ্কৃত গোস্ত খাওয়া হালাল নয়। কেননা রাফেযী আক্বীদায় বিশ্বাসীরা মুশরিক। তারা সুখে-দুঃখে আলী ইবনে আবি তালেবকে আহবান করে। এমনকি আরাফার ময়দান, তাওয়াফ ও সাঈতেও। আলী রা.-র সন্তান ও তাদের ইমামদেরকে তারা অনুরূপভাবে আহবান করে, যা আমরা একাধিকবার শুনেছি। এরূপ আহবান বড় শিরক তথা শিরকে আকবারের শামিল। যার কারণে মানুষ মুরতাদ হয় ও ইসলাম থেকে বের হয়ে যায়। একারণে তারা ইসলামের দৃষ্টিতে হত্যা যোগ্য।
তেমনিভাবে আলী রা.-র বিবরণ ও বৈশিষ্ট্যের ব্যাপারে তারা অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি ও সীমা লংঘন করে, তাঁকে এমন কিছু বিশেষণে বিশেষায়িত করে যা আল্লাহ্ ব্যতীত আর কারো জন্যে প্রযোজ্য নয়। যেমন তারা আলী রা.-কে রব ও খালেক তথা সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তা গণ্য করে। সৃষ্টি জগতের নিয়ন্ত্রক বলে বিশ্বাস করে। এসব ভ্রান্ত বিশ্বাসের ফলে তারা মুরতাদ। এখানেই সীমিত নয় বরং তারা কুরআন শরীফের ব্যাপারে সন্দিহান। এ নিয়ে তারা বিরূপ সমালোচনা করে। যেমন তারা ধারণা করে যে, সাহাবাগণ কুরআন শরীফ বিকৃত করেছেন, আহলে বায়ত ও তাদের শত্রু সম্পর্কে বহু বিষয় কুরআন শরীফ থেকে বিলুপ্ত করেছেন। এ কারণে তারা কুরআন শরীফের অনুসরণ করে না ও কুরআন শরীফকে উপযুক্ত দলীল মানে না। অনুরূপ তারা বিশিষ্ট সাহাবাদের সমালোচনা করে, যেমন প্রথম তিন খলিফা, আশারায়ে মুবাশ্শারা, উম্মাহাতুল মু‘মিনীন (নবী পত্নিগণ), আনাস, জাবের, আবু হুরায়রাহ্ রা.-সহ অন্যান্য সাহাবা। এসব বিশিষ্ট সাহাবাদের হাদীস তারা গ্রহণ করে না। কারণ তাদের ধারণা মতে এরা কাফের। সহীহাইন তথা বুখারী ও মুসলিম শরীফের হাদীসের উপর তারা আমল করে না। তবে যে সমস্ত হাদীস আহলে বায়ত থেকে এসেছে সেগুলির উপর আমল করে। মিথ্যা বানোয়াট ও দলীল প্রমাণ বিহীন উক্তি দ্বারা সহীহাইনের হাদীসকে রোধ করার চেষ্টা করে। তারা যা মুখে বলে, অন্তরে তা-ই গোপন করে, যা তারা অন্যের সামনে প্রকাশ করে না। আর তারা বলে যে, ‘‘যার নিকট ‘তুকইয়া’ তথা মুনাফিকী নেই তার কোন দীন-ধর্মই নেই।’’
অতএব ভ্রাতৃত্ব ও শরীয়তের প্রতি তাদের ভালবাসার ভ্রান্ত দাবী কবুল করা হবে না। কেননা মুনাফিকী করাই হচ্ছে তাদের নিকট ধর্মীয় বিশ্বাস। যা কুরআন সুন্নাহর স্পষ্ট বিরোধী। আল্লাহ্ তাদের সর্ব প্রকার অনিষ্ট থেকে আমাদের হেফাযত করুন। ওয়া সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাহবিহি ওয়া সাল্লাম। [মুহতারাম শায়খ এর নিকট ১৪১৪ হিজরী সনে রাফেযীদের সাথে আচরণের বিধান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি উক্ত ফতোয়া প্রদান করেন।]
মহান আল্লাহর বানী;
(আরবি)
‘‘মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল এবং তার সাথে যারা আছে তারা কাফিরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর; পরস্পরের প্রতি সদয়, তুমি তাদেরকে রুকূকারী, সিজদাকারী অবস্থায় দেখতে পাবে। তারা আল্লাহর করুণা ও সন্তুষ্টি অনুসন্ধান করছে। তাদের আলামত হচ্ছে, তাদের চেহারায় সিজদার চিহ্ন থাকে। এটাই তাওরাতে তাদের দৃষ্টান্ত। আর ইনজীলে তাদের দৃষ্টান্ত হলো একটি চারাগাছের মত, যে তার কঁচিপাতা উদগত করেছে ও শক্ত করেছে, অতঃপর তা পুষ্ট হয়েছে ও স্বীয় কান্ডের উপর মজবুতভাবে দাঁড়িয়েছে, যা চাষীকে আনন্দ দেয়। যাতে তিনি তাদের দ্বারা কাফিরদেরকে ক্রোধান্বিত করতে পারেন।’’ (সূরা আল ফাতহ : ২৯)
ইমাম ইবনে কাসীর রহ্. বলেন, ‘‘এ আয়াতে ইমাম মালেক রাফেযীদের সম্পর্কে বলেন, তারা সাহাবাদের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষ পোষণ করে বিধায় তারা কাফের। কারণ তারা সাহাবাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে মূলত কুরআনের এ আয়াতকেই অস্বীকার করেছে। ইমাম কুরতুবী রহ্. বলেন, ‘‘ইমাম মালেক রহ. অতি সুন্দর কথা বলেছেন এবং আয়াতের যথার্থ ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। অতএব যদি কোন ব্যক্তি একজন সাহাবীর মান ক্ষুন্ন করে, অথবা কোন বর্ণনায় সাহাবাদের প্রতি দোষারোপ করে, কিংবা কুৎসা রটনা করে, তাহলে সে সমগ্র বিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহর সাথেই প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং মুসলিমদের শরীয়তকে বাতিল দাবি করে।’’
আবু হাতেম বলেন, আমাকে হুরমুল্লাহ্ বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি ইমাম শাফেয়ী রহ. কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, রাফেযী শিয়াহ্ অপেক্ষা অধিক মিথ্যা সাক্ষ্যদাতা আর কাউকে দেখিনি।’’
মু‘মাল বিন আহাব বলেন, ইয়াযিদ বিন হারুনকে আমি বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, প্রত্যেক বিদ‘আতীর ইলম গ্রহণ করা যায়, যদি সে তার বিদ‘আতের দিকে মানুষকে আহববান না করে। কিন্তু রাফেযী শিয়াদের থেকে ইলম গ্রহণ করা যায় না। কারণ তারা অতি মিথ্যাবাদী।’’
মুহাম্মাদ বিন সাঈদ আল-আসবাহানী বলেন, ‘‘আমি কুফার কাযী শাবিক বিন আব্দুল্লাহকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি রাফেযী শিয়াহ্ ব্যতীত অন্য সকলের নিকট হতে ইল্ম গ্রহণ করি। কারণ তারা মাওযু তথা মিথ্যা হাদীস তৈরী করে এবং ঐ বানোয়াট হাদীসকেই দীন হিসেবে গ্রহণ করে।’’
মু‘আবিয়াহ্ বলেন, ‘‘আমি আ‘মাশকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি দেখেছি যে, মানুষ তাদেরকে অর্থাৎ মুগীরাহ্ ইবনে সাঈদ রাফেযীর অনুসারীদের মিথ্যাবাদী ব্যতীত কোন নামেই বিশেষায়িত করত না।’’ ইমাম যাহাবীও অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
পূর্ববর্তী ইমামদের মন্তব্যের পর সংক্ষিপ্তভাবে শায়খুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়া রহ. বলেন, ‘‘রাফেযীদের এ বিদ‘আত তথা মনগড়া ইসলাম হল নাস্তিক্যবাদ। অর্থাৎ যারা কুফরকেই ইসলাম বলে মনে করে তাদের মূলনীতি থেকে গৃহিত, ফলশ্রুতিতে তাদের অসংখ্য মিথ্যা ও বানোয়াট রাফেযীদের মধ্যে অনুপ্রবেশ করেছে। এটাকে স্বীকার করে তারা নিজেরাই বলে যে, আমাদের দীন ও ধর্মই হচ্ছে তুকইয়া। তুকইয়া হচ্ছে এই যে, ব্যক্তি মুখে যা বলবে অন্তরে তার বিপরীত গোপন রাখবে। মূলত একেই বলে মিথ্যা ও মুনাফিকী। যার মধ্যে তারা নিমজ্জিত।’’
আব্দুল্লাহ্ বিন আহমাদ বিন হাম্বাল বলেন, ‘‘আমি আমার পিতাকে রাফেযী শিয়াহ্ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এরা আবু বকর ও ওমর রা.-কে গাল-মন্দ করে।’’ একদা ইমাম আহমাদ রহ. কে আবু বকর ও ওমর রা. সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, তাদের উপর রহম করা হয়েছে। বিদ্বেষ পোষণকারীরা তাদের উপর যে অপবাদ আরোপ করে, তা থেকে তারা সম্পূর্ণ মুক্ত ও পুত-পবিত্র। [আল মাসায়েল ওয়াল রাসায়েল আল মারবিয়াহ্ আনিল ইমাম ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল লি]
আবু বকর আল-মারওয়াযী থেকে খাল্লাল বর্ণনা করেন, আবু বকর, ওমর ও আয়েশা রা.-কে গাল-মন্দকারী সম্পর্কে আবু আব্দুল্লাহ্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘‘ইসলামের গন্ডির ভেতরে সে আছে বলে আমি মনে করি না।’’ অর্থাৎ ইসলাম থেকে সে খারিজ।
খাল্লাল আরো বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, হার্ব ইবনে ইসমাঈল আল-কিরমানী আমাকে খবর দেন, তিনি বলেন, মুসা ইবনে হারুন ইবনে যিয়াদ আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ‘‘জনৈক ব্যক্তি যখন আল-ফিরইয়াবীকে এ মর্মে জিজ্ঞেস করেন যে, যে ব্যক্তি আবু বকর রা.-কে গালি দেয়, তার সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? তখন তিনি জবাবে বলেন, সে ব্যক্তি অবশ্যই কাফের। জনৈক ব্যক্তি আবারো জিজ্ঞেস করেন, তার কি জানাযা পড়া হবে? তিনি বলেন, না।’’
ইবনে হায্ম রহ. বলেন, ‘‘রাফেযী শিয়ারা মুসলিম নয়, তাদের কথা দীনের ব্যাপারে দলীল হিসাবে গণ্য নয়, এটি একটি নতুন মতবাদ বা দল যা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মৃত্যুর পচিঁশ বছর পর সৃষ্টি হয়েছে। এ দলটি ইহুদী ও খৃষ্টানদের দের মত মিথ্যা ও কুফরীর উপর নির্ভর করে চলে।’’
আবু যুর‘আহ্ আল-রাযী বলেন, ‘‘যদি তুমি কোন ব্যক্তিকে দেখ, সে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কোন সাহাবীর মর্যাদা নিয়ে তিরষ্কার করছে, অথবা তাদের মর্যাদা নিয়ে সমালোচনা করছে, তাহলে যেনে রেখো, সে অবশ্যই যিনদিক।’’
সউদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া বোর্ড এর নিকট সউদী আরবের উত্তর সীমান্ত থেকে কতিপয় লোক এ মর্মে প্রশ্ন করেন যে, সেখানে জা‘ফারিয়াহ্ মাযহাবের একদল লোক রয়েছে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ তাদের যবেহকৃত গোস্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকে, আবার কেউ কেউ তা ভক্ষণ করে। অতএব আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে যে, আমরা কি তাদের যবেহ্কৃত গোস্ত খেতে পারব? জ্ঞাতব্য যে, তারা বিপদাপদে
ও সুখ-স্বাচ্ছন্দে আল্লাহকে ডাকার পরিবর্তে আলী, হাসান, হুসাইন ও তাদের অন্যান্য নেতাদের আহবান করে থাকে।
স্থায়ী ফতোয়া বোর্ডের প্রধান মাননীয় শায়খ আবদুল আজীজ বিন বায রহ্. শায়খ আবদুর রাজ্জাক আফীফি, শায়খ আব্দুল্লাহ্ বিন গুদাইয়ান ও শায়খ আব্দুল্লাহ্ বিন কুঊদ, আল্লাহ্ তাদের উত্তম বিনিময় দান করুন, প্রমুখগণ উক্ত প্রশ্নের জবাব প্রদান করেন।
জবাব:
সকল প্রশংসা এক আল্লাহর জন্য, দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম. ও তার পরিবার এবং তার সাথীদের উপর। অতঃপর...
‘‘বিষয়টি যদি এমনই হয় যেমন প্রশ্নকারী উল্লেখ করেছে, অর্থাৎ জা‘ফারিয়াহ্ মাযহাবের লোকজন আল্লাহর পরিবর্তে আলী, হাসান, হুসাইন ও তাদের নেতাদের আহবান করে, তাহলে তারা অবশ্যই মুশরিক-মুরতাদ ইসলাম থেকে বেরিয়ে গেছে। নাউযুবিলাহ্। তাদের যবেহ্কৃত গোস্ত ভক্ষণ করা হালাল নয়, যদিও তারা যবেহ্ করার সময় বিসমিল্লাহ্ পাঠ করে, তবুও তা সাধারণ মৃত জানোয়ারের ন্যায়।’’
অনুরূপভাবে শায়খ আব্দুল্লাহ্ বিন আবদুর রহমান আল-জিবরীন রাহেমাহুল্লাহ্কেও এ মর্মে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, মুহতারাম শায়খ, আমাদের শহরে একজন লোক রাফেযী আক্বীদায় বিশ্বাসী, সে কসাইয়ের কাজ করে, ফলে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের কিছু লোক তাদের পশু যবেহ্ করার জন্য তার নিকট যায়। তেমনিভাবে সেখানে কিছু রেষ্টুরেন্টে ঐ ব্যক্তিসহ একই পেশার আরো কয়েকজন কাজ করে। অতএব ঐ রাফেযী শিয়াসহ অনুরূপ ব্যক্তিদের সাথে আচরণ ও ব্যবহার বিধি কিরূপ হওয়া উচিৎ? তার যবেহ্কৃত পশুর গোস্ত খাওয়া হালাল না হারাম? এ বিষয়ে আপনার নিকট ফতোয়া জানতে চাই। আল্লাহ্ আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুন।
জবাব:
রাফেযী আক্বীদায় বিশ্বাসী লোক দ্বারা পশু যবেহ্ করা বৈধ নয়, তার যবেহ্কৃত গোস্ত খাওয়া হালাল নয়। কেননা রাফেযী আক্বীদায় বিশ্বাসীরা মুশরিক। তারা সুখে-দুঃখে আলী ইবনে আবি তালেবকে আহবান করে। এমনকি আরাফার ময়দান, তাওয়াফ ও সাঈতেও। আলী রা.-র সন্তান ও তাদের ইমামদেরকে তারা অনুরূপভাবে আহবান করে, যা আমরা একাধিকবার শুনেছি। এরূপ আহবান বড় শিরক তথা শিরকে আকবারের শামিল। যার কারণে মানুষ মুরতাদ হয় ও ইসলাম থেকে বের হয়ে যায়। একারণে তারা ইসলামের দৃষ্টিতে হত্যা যোগ্য।
তেমনিভাবে আলী রা.-র বিবরণ ও বৈশিষ্ট্যের ব্যাপারে তারা অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি ও সীমা লংঘন করে, তাঁকে এমন কিছু বিশেষণে বিশেষায়িত করে যা আল্লাহ্ ব্যতীত আর কারো জন্যে প্রযোজ্য নয়। যেমন তারা আলী রা.-কে রব ও খালেক তথা সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তা গণ্য করে। সৃষ্টি জগতের নিয়ন্ত্রক বলে বিশ্বাস করে। এসব ভ্রান্ত বিশ্বাসের ফলে তারা মুরতাদ। এখানেই সীমিত নয় বরং তারা কুরআন শরীফের ব্যাপারে সন্দিহান। এ নিয়ে তারা বিরূপ সমালোচনা করে। যেমন তারা ধারণা করে যে, সাহাবাগণ কুরআন শরীফ বিকৃত করেছেন, আহলে বায়ত ও তাদের শত্রু সম্পর্কে বহু বিষয় কুরআন শরীফ থেকে বিলুপ্ত করেছেন। এ কারণে তারা কুরআন শরীফের অনুসরণ করে না ও কুরআন শরীফকে উপযুক্ত দলীল মানে না। অনুরূপ তারা বিশিষ্ট সাহাবাদের সমালোচনা করে, যেমন প্রথম তিন খলিফা, আশারায়ে মুবাশ্শারা, উম্মাহাতুল মু‘মিনীন (নবী পত্নিগণ), আনাস, জাবের, আবু হুরায়রাহ্ রা.-সহ অন্যান্য সাহাবা। এসব বিশিষ্ট সাহাবাদের হাদীস তারা গ্রহণ করে না। কারণ তাদের ধারণা মতে এরা কাফের। সহীহাইন তথা বুখারী ও মুসলিম শরীফের হাদীসের উপর তারা আমল করে না। তবে যে সমস্ত হাদীস আহলে বায়ত থেকে এসেছে সেগুলির উপর আমল করে। মিথ্যা বানোয়াট ও দলীল প্রমাণ বিহীন উক্তি দ্বারা সহীহাইনের হাদীসকে রোধ করার চেষ্টা করে। তারা যা মুখে বলে, অন্তরে তা-ই গোপন করে, যা তারা অন্যের সামনে প্রকাশ করে না। আর তারা বলে যে, ‘‘যার নিকট ‘তুকইয়া’ তথা মুনাফিকী নেই তার কোন দীন-ধর্মই নেই।’’
অতএব ভ্রাতৃত্ব ও শরীয়তের প্রতি তাদের ভালবাসার ভ্রান্ত দাবী কবুল করা হবে না। কেননা মুনাফিকী করাই হচ্ছে তাদের নিকট ধর্মীয় বিশ্বাস। যা কুরআন সুন্নাহর স্পষ্ট বিরোধী। আল্লাহ্ তাদের সর্ব প্রকার অনিষ্ট থেকে আমাদের হেফাযত করুন। ওয়া সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাহবিহি ওয়া সাল্লাম। [মুহতারাম শায়খ এর নিকট ১৪১৪ হিজরী সনে রাফেযীদের সাথে আচরণের বিধান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি উক্ত ফতোয়া প্রদান করেন।]
হে মু‘মিনগণ, তোমরা ঈমান আনয়ন করো দুই নুরের প্রতি। আমি তাদের দুজনকে অবতীর্ণ করেছি, তারা তোমাদের নিকট আমার আয়াত তেলাওয়াত করবে, মহা কঠিন দিবসের আযাব সম্পর্কে তোমাদেরকে সতর্ক করবে। দুই নুর একে অপরের অংশ আর আমি সর্ব শ্রোতা ও সর্ব জ্ঞাতা। নিশ্চয় যারা আয়াতসমূহে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের অঙ্গিকার পূর্ণ করে তাদের জন্য রয়েছে অসংখ্য নেয়ামত পূর্ণ জান্নাত। ঈমান আনার পর যারা অঙ্গিকার ভঙ্গ করে ও রাসূলকে দেয়া ওয়াদা ভঙ্গ করে, তারা (জাহিম) তথা জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। যারা নিজেদের নফসের উপর যুলুম করেছে ও রাসূলের অসীর (অসীয়তকৃত ব্যক্তির) না ফরমানী করেছে, তাদেরকে ফুটন্ত গরম পানি পান করানো হবে।
নিশ্চয় আল্লাহ্ আসমান ও যমীনকে যেভাবে চেয়েছেন সেভাবে আলোকিত করেছেন। ফেরেশ্তাদের থেকে বাছাই করে মু‘মিনদের অন্তর্ভূক্ত করেছেন। আল্লাহ্ যা ইচ্ছা তা-ই করেন। তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই, তিনি পরম করুণাময় অতীব দয়ালু। তাদের পূর্বে যারা তাদের রাসূলদের সাথে চক্রান্ত করেছে তাদের ঐ চক্রান্তের কারণে তাদেরকে পাকড়াও করা হয়েছে। নিশ্চয় আল্লাহ্ তা‘আলা আ‘দ ও ছামুদ জাতিকে তাদের কৃত কর্মের কারণে ধংস করে তোমাদের জন্য উপদেশ বানিয়েছেন তারপরও কি তোমরা ভয় করবে না? মুসা ও তার ভাই হারুনের উপর ফেরাউন অত্যাচার করেছিল, ফলে আমি তাকে ও তার অনুসারীদেরকে নদী গর্ভে ডুবিয়ে দিয়েছি, যেন তারা তোমাদের জন্য নিদর্শন হয়ে থাকে। অথচ তোমরা অধিকাংশই ফাসেক। নিশ্চয় মহান আল্লাহ্ তাদেরকে কিয়ামত দিবসে একত্রিত করবেন অতঃপর যখন তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে তখন তারা কোনই জবাব দিতে সক্ষম হবে না। নিশ্চয় জাহান্নামই হবে তাদের আসল ঠিকানা, নিশ্চয় আল্লাহ্ তা‘আলা সর্বজ্ঞ ও প্রজ্ঞাময়।
হে রাসূল! আমার সতর্ক বাণী পৌঁছে দাও, তারা অচিরেই জানতে পারবে। যারাই আমার আয়াত ও হুকুমকে অস্বীকার করেছে তারাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তেমনিভাবে যারা আপনার অঙ্গিকার পূর্ণ করেছে তাদেরকেই নেয়ামতপূর্ণ জান্নাত দ্বারা পুরস্কৃত করেছি। নিশ্চয় আল্লাহ্ ক্ষমাশীল মহান পুরস্কার দাতা। আর নিশ্চয় আলী রা. মুত্তাকীদের অন্তর্ভূক্ত, আমি অবশ্যই কিয়ামত দিবসে তার পূর্ণ হক আদায় করব। আমরা তার উপর কৃত অত্যাচার সম্পর্কে গাফেল নই। তোমার পরিবারের মধ্যে তাকেই অধিক সম্মানিত করেছি। যারা ঈমান আনার পর কুফরী করেছে তাদের বলুন, তোমরা দুনিয়ার জীবনে চাকচিক্য চেয়েছ, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল তোমাদেরকে যে ওয়াদা দিয়েছেন তা তোমরা ভুলে গেছ, তোমরা অঙ্গিকার ভঙ্গ করেছ অথচ ইতোমধ্যেই তোমাদের জন্য কিছু দৃষ্টান্ত পেশ করেছি, যেন তোমরা হেদায়েত প্রাপ্ত হও।
হে রাসূল, তোমার নিকট আমরা স্পষ্ট আয়াতসমূহ নাযিল করেছি, কে মু‘মিন অবস্থায় মারা যাবে আর তোমার মৃত্যুর পর কে উত্তরাধিকার হবে, তার বর্ণনা তাতে স্পষ্ট রয়েছে। অতএব তাদের থেকে তুমি মুখ ফিরিয়ে নাও, তারা এ থেকে বিমুখ রয়েছে। আমরা সে দিন তাদেরকে উপস্থিত করব যেদিন কোন কিছু তাদের কোন উপকার করতে পারবে না। তাদের প্রতি কোন রহম করা হবে না। তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নাম, যেখান থেকে পলায়ন করার কোন উপায় নেই। অতএব তোমার রবের নামের প্রশংসা কর এবং তার জন্য সিজদায় অবনত হও। আর মুসা ও হারুনকে প্রেরণ করেছি। তারা হারুনের সাথে বিদ্রোহ করে, অতঃপর তিনি ধৈর্য ধারন করেন ফলে তাদের মধ্য হতে অনেককেই বানর ও শুকরে পরিণত করেছি এবং কিয়ামত পর্যন্ত তাদের উপর লা‘নত করেছি। অতএব ধৈর্য ধারন করুন তারা অচিরেই দেখবে। পূর্ববর্তী রাসূলদের ন্যায় তোমাকেও হুকুম দিয়েছি এবং তোমার জন্য তাদের মধ্য হতে একজন ওসী মনোনিত করেছি। অতএব যে তোমাকে ও তোমার ওসীকে প্রত্যাখ্যান করবে এবং আমার নির্দেশ হতে বিমুখ হবে, আমি-ই তাকে ফিরিয়ে আনব। তাদের কুফরীর মাধ্যমে কিছু আনন্দ উপভোগ করুক। অতএব অঙ্গিকার ভঙ্গকারীদের ব্যাপারে তুমি কিছুই জিজ্ঞেস করো না।
হে রাসূল, যারা ঈমান এনেছে তাদের কাঁধে তোমার জন্য অঙ্গিকার রেখেছি। অতএব সে অঙ্গিকার গ্রহণ কর ও শোকর গোজারদের অন্তর্ভূক্ত হও। নিশ্চয় আলী রাতের বেলায় বিনীতভাবে সিজদাকারী। সে পরকালকে ভয় করে। সে তার রবের প্রতিদান কামনা করে। বলুন, যারা আমার আযাব সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পরও অত্যাচার করে তারা কি তার বরাবর হতে পারে? আমি অচিরেই তাদের গলদেশে রশি পেঁচিয়ে দেব তখন তারা নিজেদের কর্মের ফলে অনুশোচনা করবে। আমরা অবশ্যই তোমাকে তার সৎ সন্তান সম্পর্কে শুভ সংবাদ দিয়েছি। আর তারা আমাদের নির্দেশের ব্যতিক্রম করে না। অতএব কিয়ামত পর্যন্ত তাদের জীবিত ও মৃত সকলের উপর আমার রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক। আর যারা আপনার পরে তাদের উপর আমার অসন্তোষ কামনা করে তারাতো নিকৃষ্ট ও ক্ষতিগ্রস্থ কওম। যারা আমার ঐ রহমত প্রাপ্ত ব্যক্তিদের নীতির অনুসরণ করে তারা সর্বাবস্থায় শান্তি ও নিরাপত্তা লাভ করে। সকল প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালক মহান আল্লাহর জন্য।’’
নিশ্চয় আল্লাহ্ আসমান ও যমীনকে যেভাবে চেয়েছেন সেভাবে আলোকিত করেছেন। ফেরেশ্তাদের থেকে বাছাই করে মু‘মিনদের অন্তর্ভূক্ত করেছেন। আল্লাহ্ যা ইচ্ছা তা-ই করেন। তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই, তিনি পরম করুণাময় অতীব দয়ালু। তাদের পূর্বে যারা তাদের রাসূলদের সাথে চক্রান্ত করেছে তাদের ঐ চক্রান্তের কারণে তাদেরকে পাকড়াও করা হয়েছে। নিশ্চয় আল্লাহ্ তা‘আলা আ‘দ ও ছামুদ জাতিকে তাদের কৃত কর্মের কারণে ধংস করে তোমাদের জন্য উপদেশ বানিয়েছেন তারপরও কি তোমরা ভয় করবে না? মুসা ও তার ভাই হারুনের উপর ফেরাউন অত্যাচার করেছিল, ফলে আমি তাকে ও তার অনুসারীদেরকে নদী গর্ভে ডুবিয়ে দিয়েছি, যেন তারা তোমাদের জন্য নিদর্শন হয়ে থাকে। অথচ তোমরা অধিকাংশই ফাসেক। নিশ্চয় মহান আল্লাহ্ তাদেরকে কিয়ামত দিবসে একত্রিত করবেন অতঃপর যখন তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে তখন তারা কোনই জবাব দিতে সক্ষম হবে না। নিশ্চয় জাহান্নামই হবে তাদের আসল ঠিকানা, নিশ্চয় আল্লাহ্ তা‘আলা সর্বজ্ঞ ও প্রজ্ঞাময়।
হে রাসূল! আমার সতর্ক বাণী পৌঁছে দাও, তারা অচিরেই জানতে পারবে। যারাই আমার আয়াত ও হুকুমকে অস্বীকার করেছে তারাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তেমনিভাবে যারা আপনার অঙ্গিকার পূর্ণ করেছে তাদেরকেই নেয়ামতপূর্ণ জান্নাত দ্বারা পুরস্কৃত করেছি। নিশ্চয় আল্লাহ্ ক্ষমাশীল মহান পুরস্কার দাতা। আর নিশ্চয় আলী রা. মুত্তাকীদের অন্তর্ভূক্ত, আমি অবশ্যই কিয়ামত দিবসে তার পূর্ণ হক আদায় করব। আমরা তার উপর কৃত অত্যাচার সম্পর্কে গাফেল নই। তোমার পরিবারের মধ্যে তাকেই অধিক সম্মানিত করেছি। যারা ঈমান আনার পর কুফরী করেছে তাদের বলুন, তোমরা দুনিয়ার জীবনে চাকচিক্য চেয়েছ, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল তোমাদেরকে যে ওয়াদা দিয়েছেন তা তোমরা ভুলে গেছ, তোমরা অঙ্গিকার ভঙ্গ করেছ অথচ ইতোমধ্যেই তোমাদের জন্য কিছু দৃষ্টান্ত পেশ করেছি, যেন তোমরা হেদায়েত প্রাপ্ত হও।
হে রাসূল, তোমার নিকট আমরা স্পষ্ট আয়াতসমূহ নাযিল করেছি, কে মু‘মিন অবস্থায় মারা যাবে আর তোমার মৃত্যুর পর কে উত্তরাধিকার হবে, তার বর্ণনা তাতে স্পষ্ট রয়েছে। অতএব তাদের থেকে তুমি মুখ ফিরিয়ে নাও, তারা এ থেকে বিমুখ রয়েছে। আমরা সে দিন তাদেরকে উপস্থিত করব যেদিন কোন কিছু তাদের কোন উপকার করতে পারবে না। তাদের প্রতি কোন রহম করা হবে না। তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নাম, যেখান থেকে পলায়ন করার কোন উপায় নেই। অতএব তোমার রবের নামের প্রশংসা কর এবং তার জন্য সিজদায় অবনত হও। আর মুসা ও হারুনকে প্রেরণ করেছি। তারা হারুনের সাথে বিদ্রোহ করে, অতঃপর তিনি ধৈর্য ধারন করেন ফলে তাদের মধ্য হতে অনেককেই বানর ও শুকরে পরিণত করেছি এবং কিয়ামত পর্যন্ত তাদের উপর লা‘নত করেছি। অতএব ধৈর্য ধারন করুন তারা অচিরেই দেখবে। পূর্ববর্তী রাসূলদের ন্যায় তোমাকেও হুকুম দিয়েছি এবং তোমার জন্য তাদের মধ্য হতে একজন ওসী মনোনিত করেছি। অতএব যে তোমাকে ও তোমার ওসীকে প্রত্যাখ্যান করবে এবং আমার নির্দেশ হতে বিমুখ হবে, আমি-ই তাকে ফিরিয়ে আনব। তাদের কুফরীর মাধ্যমে কিছু আনন্দ উপভোগ করুক। অতএব অঙ্গিকার ভঙ্গকারীদের ব্যাপারে তুমি কিছুই জিজ্ঞেস করো না।
হে রাসূল, যারা ঈমান এনেছে তাদের কাঁধে তোমার জন্য অঙ্গিকার রেখেছি। অতএব সে অঙ্গিকার গ্রহণ কর ও শোকর গোজারদের অন্তর্ভূক্ত হও। নিশ্চয় আলী রাতের বেলায় বিনীতভাবে সিজদাকারী। সে পরকালকে ভয় করে। সে তার রবের প্রতিদান কামনা করে। বলুন, যারা আমার আযাব সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পরও অত্যাচার করে তারা কি তার বরাবর হতে পারে? আমি অচিরেই তাদের গলদেশে রশি পেঁচিয়ে দেব তখন তারা নিজেদের কর্মের ফলে অনুশোচনা করবে। আমরা অবশ্যই তোমাকে তার সৎ সন্তান সম্পর্কে শুভ সংবাদ দিয়েছি। আর তারা আমাদের নির্দেশের ব্যতিক্রম করে না। অতএব কিয়ামত পর্যন্ত তাদের জীবিত ও মৃত সকলের উপর আমার রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক। আর যারা আপনার পরে তাদের উপর আমার অসন্তোষ কামনা করে তারাতো নিকৃষ্ট ও ক্ষতিগ্রস্থ কওম। যারা আমার ঐ রহমত প্রাপ্ত ব্যক্তিদের নীতির অনুসরণ করে তারা সর্বাবস্থায় শান্তি ও নিরাপত্তা লাভ করে। সকল প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালক মহান আল্লাহর জন্য।’’
এটি এমন এক কিতাব যা মহান রাববুল আলামীন আল্লাহর পক্ষ হতে তার নবী, তার নুর, তার রাষ্ট্রদূত, তার পর্দা ও তার পথপ্রদর্শক মুহাম্মাদের উপর জিবরিল আমীনের মাধ্যমে অবতীর্ন হয়। হে মুহাম্মাদ, আমার নামসমূহের বড়ত্ব ঘোষনা কর, আমার নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় কর, আমার বড়ত্ব ও মহত্বকে অস্বীকার কর না, নিশ্চয় আমি-ই আল্লাহ্, আমি ব্যতীত কোন ইলাহ্ বা মা‘বুদ নেই, আমি ক্ষমতাধর থেকে প্রতিশোধ গ্রহণকারী এবং অত্যাচারিতদের প্রতিদান দানকারী। আমি দীন নির্ধারণকারী। নিশ্চয় আমি আল্লাহ্ আমি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই। অতএব যে আমার সম্মান ছাড়া অন্যের সম্মান আশা করবে, আমার ইনসাফ ছাড়া অন্যের ইনসাফকে ভয় করবে, আমি তাকে এমন আযাব দেব যা পৃথিবীর আর অন্য কাউকে দেইনি। সুতরাং আমারই ইবাদত কর এবং আমার উপরই ভরসা কর। আমি যে নবী-ই প্রেরণ করেছি তার সময় ও মেয়াদ পূর্ণ করেছি এবং তার জন্য একজন ওসী নির্ধারণ করেছি। আর আমি তোমাকে সমস্ত নবীর উপর ফযিলত দিয়েছি এবং সমস্ত ওসীর উপর তোমার ওসীর ফযিলত দিয়েছি। আমি তোমার পৌত্রদ্বয় হাসান ও হুসাইন দ্বারা তোমাকে সম্মানিত ও ওহীর ধনভান্ডার নির্ধারণ করেছি, শাহাদাতের মাধ্যমে তাকে মর্যাদাবান করেছি এবং সৌভাগ্যের সাথে তার সমাপ্তি ঘটিয়েছি। সে তো এমন শহীদ, যার দ্বারা শহীদদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছি। তার সাথে আমার পূর্ণ কথা নির্ধারণ করেছি এবং তার নিকটে আমার পরিপূর্ণ দলীল রয়েছে। তার সম্মানের কারণে আমি পূণ্য দান করি ও শাস্তি প্রদান করি। তাদের প্রথম হলেন আলী, ইবাদাতকারীদের সরদার ও পূর্ববর্তী আমার ওলীদের সৌন্দর্য, আর তার পুত্র তার প্রসংশিত দাদা মুহাম্মাদ আল-বাকের হচ্ছে আমার ইল্ম ও হিকমতের খনি। জা‘ফার এর ব্যাপারে সন্দিহানরা অচিরেই ধ্বংস প্রাপ্ত হবে, তাকে প্রত্যাখ্যান করা আলীকে প্রত্যাখ্যান করার ন্যায়। আমার পক্ষ হতে এ কথা সত্য নির্গত হয়েছে যে, জা‘ফারের পরকাল সম্মানিত করব, তার পরিবার, অনুসারী, সাহায্যকারী ও ওলীদের মাঝে তাকে আনন্দিত করব। এরপর আমার বান্দা মুসাকে কঠিণ গভীর ফিৎনা দেয়া হয়েছে, কেননা আমার বিধান খন্ডন হয় না ও আমার দলীল গোপন হয় না, আর আমার ওলীগণকে পরিপূর্ণ গ্লাসে পান করানো হবে। ঐ ওলীদের কোন একজনকেও যদি কেউ অস্বীকার করে, তবে সে আমার নে‘য়ামতকেই অস্বীকার করে। আর যে ব্যক্তি আমার কিতাবের একটি আয়াত পরিবর্তন করে, সে আমার কিতাবকেই অস্বীকার করে। আমার ওলী ও সাহায্যকারী আলী সম্পর্কে যারা ইচ্ছাকৃত মিথ্যা রচনা ও সীমা লঙ্ঘন করেছে, তাদের জন্য রয়েছে অয়েল নামক শাস্তির স্থান। আর যার উপর আমি নবুওয়াতের পোষাক অর্পন করি একজন অত্যধিক চতুর অহংকারী শয়তান তাকে হত্যা করে, যে মদীনা আমার নেক বান্দা বানায়, সে শহরে আমার দুই নিকৃষ্ট সৃষ্টির পাশে তাকে দাফন করা হয়।
আমার কথা সত্য, অতঃপর মুহাম্মদের ইলমের উত্তরাধিকার ও তার খলিফা আলীকে আমি অবশ্যই নির্দেশ করব। সে আমার ইল্ম তথা জ্ঞান, আমার গোপনের স্থান, আমার সৃষ্টির উপর অকাট্য প্রমাণ। অতএব যে বান্দা তার প্রতি ঈমান আনে তার ঠিকানা একমাত্র জান্নাত। তাকে আমি আহলে বায়তের মধ্যে থেকে এমন সত্তুর জনের ব্যাপারে সুপারিশ করার অনুমতি দেব, যাদের উপর জাহান্নাম ওয়াজিব হয়েছিল। তার থেকে আমার রাস্তার দায়ী ও আমার ইলমের ভান্ডার হাসানকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরূপ নির্গত করব এবং তার সন্তানের মাধ্যমে তা পূর্ণ করব।
##
০০০ ০০০ ০০০ সন্ত্রস্ত হবে। তাদের রক্তে যমীন রঞ্জিত হবে তাদের নারীদের মাঝে অপমান ও লাঞ্ছনা বিস্তার লাভ করবে। ওরাই আমার প্রকৃত ওলী তাদের মাধ্যমেই গভীর ফেৎনা দূর করব, ভূমি কম্পন অবস্থা দেখব এবং উর্ধ মূল্য দূর করব। তাদের উপরই তাদের রবের পক্ষ হতে রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক, এরাই তো আসল হেদায়েত প্রাপ্ত। আবদুর রহমান বিন সালেম বলেন, আবু বাসির বলেন, তোমার যুগে যদি এটা ব্যতীত আর কোন হাদীস নাও শোন তবুও এটাই তোমার জন্য যথেষ্ট। [আল কুলাইনী: আল কাফী: (১/৫২৭), আল কাশানী: আল ওয়াফী লিল ফাইয ২/৭২, ও ইবনে বাবওয়াইহ্ আল কুম্মী: ইকমালুদ-দ্বীন-৩০১-৩০৪, ও আবি আলী আত-তাবরাসী: এ‘লামুল অরা-১৫২।* রাফেযী শিয়ারা দাবী করে যে, লাওহে ফাতেমা নবী ইন্তেকালের পর জিবরাইল আমীন ফাতেমার নিকট নিয়ে আসে। জিবরাইল আমীন ফাতেমার নিকট যা বলতেন তা আলী ০০০]*
‘‘বলুন! আমি তো তোমাদের মতই একজন মানুষ মাত্র, আমার প্রতি ওহী বা প্রত্যাদেশ করা হয় যে, তোমাদের মা‘বুদই একমাত্র মা‘বুদ।’’(সুরা কাহাফ-১১০)
আমার কথা সত্য, অতঃপর মুহাম্মদের ইলমের উত্তরাধিকার ও তার খলিফা আলীকে আমি অবশ্যই নির্দেশ করব। সে আমার ইল্ম তথা জ্ঞান, আমার গোপনের স্থান, আমার সৃষ্টির উপর অকাট্য প্রমাণ। অতএব যে বান্দা তার প্রতি ঈমান আনে তার ঠিকানা একমাত্র জান্নাত। তাকে আমি আহলে বায়তের মধ্যে থেকে এমন সত্তুর জনের ব্যাপারে সুপারিশ করার অনুমতি দেব, যাদের উপর জাহান্নাম ওয়াজিব হয়েছিল। তার থেকে আমার রাস্তার দায়ী ও আমার ইলমের ভান্ডার হাসানকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরূপ নির্গত করব এবং তার সন্তানের মাধ্যমে তা পূর্ণ করব।
##
০০০ ০০০ ০০০ সন্ত্রস্ত হবে। তাদের রক্তে যমীন রঞ্জিত হবে তাদের নারীদের মাঝে অপমান ও লাঞ্ছনা বিস্তার লাভ করবে। ওরাই আমার প্রকৃত ওলী তাদের মাধ্যমেই গভীর ফেৎনা দূর করব, ভূমি কম্পন অবস্থা দেখব এবং উর্ধ মূল্য দূর করব। তাদের উপরই তাদের রবের পক্ষ হতে রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক, এরাই তো আসল হেদায়েত প্রাপ্ত। আবদুর রহমান বিন সালেম বলেন, আবু বাসির বলেন, তোমার যুগে যদি এটা ব্যতীত আর কোন হাদীস নাও শোন তবুও এটাই তোমার জন্য যথেষ্ট। [আল কুলাইনী: আল কাফী: (১/৫২৭), আল কাশানী: আল ওয়াফী লিল ফাইয ২/৭২, ও ইবনে বাবওয়াইহ্ আল কুম্মী: ইকমালুদ-দ্বীন-৩০১-৩০৪, ও আবি আলী আত-তাবরাসী: এ‘লামুল অরা-১৫২।* রাফেযী শিয়ারা দাবী করে যে, লাওহে ফাতেমা নবী ইন্তেকালের পর জিবরাইল আমীন ফাতেমার নিকট নিয়ে আসে। জিবরাইল আমীন ফাতেমার নিকট যা বলতেন তা আলী ০০০]*
‘‘বলুন! আমি তো তোমাদের মতই একজন মানুষ মাত্র, আমার প্রতি ওহী বা প্রত্যাদেশ করা হয় যে, তোমাদের মা‘বুদই একমাত্র মা‘বুদ।’’(সুরা কাহাফ-১১০)
বিসমিলাহির রাহমানির রাহীম
পরম করুণাময় অতীব দয়ালু মহান আল্লাহর নামে শুরু করছি। হে আল্লাহ্! মুহাম্মাদ ও তার বংশধরের উপর শান্তি বর্ষন কর। হে আল্লাহ্! তুমি কুরাইশের দুই প্রতিমা ও তাগুত যারা তোমার নির্দেশ অমান্য করেছে এবং তাদের কণ্যাদ্বয়ের উপর লা‘নত তথা অভিসম্পাৎ কর। এরা দুজন তোমার ওহী অস্বীকার করেছে, তোমার নেয়ামতের অকৃতজ্ঞ হয়েছে ও তোমার রাসূলের নাফরমানী করেছে, তোমার সম্মান ও মহত্বকে অস্বীকার করেছে এবং তোমার বিধানকে লুপ্ত করেছে। তোমার ফরযসমূহ বাতিল করেছে ও তোমার আয়াতের ব্যাপারে## ব্সতা অবলম্বন করেছে। তোমার ওলীদের সাথে শত্রুতা করেছে ও তোমার শত্রুদের সাথে মিত্রতা করেছে এবং তোমার দেশকে খারাপ করেছে ও তোমার বান্দাদেরকে নষ্ট করেছে।
হে আল্লাহ্, ঐ দু‘জন এবং তাদের অনুসারী, অভিভাবক, দলভুক্ত ও তাদের প্রিয় ব্যক্তিদের লা‘নত কর। তারা দু‘জন নবী গৃহকে নষ্ট করেছে ও গৃহের দরজা প্রাচীর দ্বারা বন্ধ করেছে এবং ছাদ ধংস করেছে। গৃহের উপর নীচ ও ভিতর বাহির সব এলোমেলো করেছে। তাঁর পরিবার ও সাহায্যকারীকে সমূলে শেষ করেছে, তাঁর সন্তানদেরকে হত্যা করেছে। তাঁর ওসীয়তকৃত ব্যক্তি ও তাঁর ইলমের রবের সাথে শিরক করেছে। অতএব তাদের গোনাহের পরিমাণ বেশী করে দাও এবং তাদেরকে সাকার নামক জাহান্নামে স্থায়ী কর, তুমি কি জান সাকার কি? তা তাদেরকে জীবিতাবস্থায় রাখবে না এবং মৃত অবস্থায়ও ছেড়ে দিবে না।
হে আল্লাহ্, তারা যে গর্হিত কাজ করেছে, প্রকৃত হক গোপন করেছে, মুনাফিকের ন্যায় মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, যারা তাকে কষ্ট দিয়েছে, তাকে অস্বীকারকারীকে আশ্রয় দিয়েছে, তাকে যারা সত্য বলে বিশ্বাস করে তাদেরকে যারা দূরে ঠেলে দিয়েছে, তারা কাফেরের ন্যায় সাহায্য করেছে, ইমামকে তাচ্ছিল্য করেছে, ফরযকে পরিবর্তন করেছে, সাহাবীদের কথাকে অস্বীকার করেছে, অনিষ্ট করেছে, হত্যা করেছে, কল্যাণকে পরিবর্তন করেছে, কুফর স্থাপন করেছে, মিথ্যা প্রবর্তন করেছে, অধিকার বঞ্চিত করেছে, ফাই (বিনা যুদ্ধে লব্ধ সম্পদ) বিচ্ছিন্ন করেছে, হারাম ভক্ষণ করেছে, যাকাতের মাল হালাল মনে করেছে, বাতিলের ভিত্তি স্থাপন করেছে, দুঃশাসনের বিস্তার ঘটিয়েছে, নিফাকী গোপন করেছে, গাদ্দারী করেছে, অত্যাচার ছড়িয়ে দিয়েছে, অঙ্গিকার ভঙ্গ করেছে, আমানতের খেয়ানত করেছে, ওয়াদা ভঙ্গ করেছে, হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল করেছে, পেট ফেঁড়েছে, গর্ভস্থ সন্তানের অকাল গর্ভপাত ঘটিয়েছে, পাঁজরের হাড় ভেঙ্গেছে, দলীল পত্র টুকরা টুকরা করেছে, ঐক্য বিনষ্ট করেছে, সম্মানিতকে অসম্মানী ও অসম্মানীকে সম্মানীত করেছে, এ সমস্ত অন্যায়কারীর সমপরিমাণ লা‘নত তাদের উপর বর্ষণ কর।
হে আল্লাহ্, তারা যে সকল আয়াত পরিবর্তন করেছে, যে ফরয তরক করেছে, সুন্নাত বিকৃত করেছে, বিধানাবলী অকেজো করেছে, নির্ধারিত ফিসসমূহ কর্তন করেছে, ওসীয়ত পরিবর্তন করেছে, নির্দেশাবলী অসাড় করেছে, বায়‘আত ভঙ্গ করেছে, সাক্ষ্যসমূহ গোপন করেছে, বহু দাবী বাতিল করেছে, প্রকাশ্য দলীল অস্বীকার করেছে, বহু হিলা-বাহানার আবিস্কার করেছে, খেয়ানতের অবতারনা করেছে, বহু সাজা অতিক্রম করেছে, যে যুদ্ধ যান পরিচালনা করেছে এবং যে সৌন্দর্য তারা অবলম্বন করেছে তাদেরকে এসবের পরিমাণ লা‘নত কর।
হে আল্লাহ্, তাদেরকে প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে সর্বাবস্থায় স্থায়ীভাবে অসংখ্য লা‘নত কর, যে সংখ্যার কোন শেষ নেই, যে সময়ের কোন সমাপ্তি নেই। অনুরূপভাবে তাদের সঙ্গী- সাথী, সাহায্যকারী, তাদেরকে যারা ভালবাসে, তাদের দোস্ত আহবার, তাদের প্রতি আত্ম সমর্পনকারী, তাদের নিকট যাঞ্ছাকারী, তাদের পাখায় ভর করে বিচরণকারী, তাদের দলীলের প্রবক্তা, তাদের কথার আনুগত্যকারী এবং তাদের বিধান সত্যায়নকারীদের প্রতিও তুমি লা‘নত বর্ষন কর। (চারবার বল)
হে আল্লাহ্, তুমি তাদেরকে এমন কঠিন আযাব দাও, যে আযাব থেকে বাঁচার জন্য জাহান্নামবাসীরাও ফরিয়াদ করে, কবুল কর হে বিশ্ব জাহানের প্রতিপালক। (চারবার বল)
হে আল্লাহ্, মুহাম্মাদ সা. ও তার বংশধরের প্রতি শান্তি বর্ষন কর। অতঃপর হে আল্লাহ্, তোমার হারাম থেকে আমাকে বাঁচিয়ে তোমার হালাল দ্বারা আমাকে সচ্ছলতা দান কর এবং অভাবগ্রস্থতা থেকে আমাকে মুক্তি দাও। হে আমার প্রভু, আমি আমার নফসের উপর যুলুম করেছি আমি আমার গোনাহের স্বীকৃতি প্রদান করছি, আমি তোমার সামনেই রয়েছি। অতএব আমার নফস থেকে তোমার সন্তুষ্টি গ্রহণ কর, আমার সন্তুষ্টি তোমার জন্যই। আমি আর অন্যায়ের প্রতি ফিরে আসব না, যদি আবার ফিরে আসি তবে তুমি আমাকে ক্ষমা করবে। আর ক্ষমাতো তোমারই হাতে। হে আরহামুর রাহেমীন, তোমার দয়ায়, তোমার অনুগ্রহে, তোমার সম্মানে এবং তোমার উদারতায় আমাকে মাফ কর।
‘‘নিশ্চয় তোমাদের মধ্যে সেই লোক অধিক সম্মানিত যে লোক অধিক মুত্তাক্বী...’’ (সূরা হুজুরাত-১৩)
পরম করুণাময় অতীব দয়ালু মহান আল্লাহর নামে শুরু করছি। হে আল্লাহ্! মুহাম্মাদ ও তার বংশধরের উপর শান্তি বর্ষন কর। হে আল্লাহ্! তুমি কুরাইশের দুই প্রতিমা ও তাগুত যারা তোমার নির্দেশ অমান্য করেছে এবং তাদের কণ্যাদ্বয়ের উপর লা‘নত তথা অভিসম্পাৎ কর। এরা দুজন তোমার ওহী অস্বীকার করেছে, তোমার নেয়ামতের অকৃতজ্ঞ হয়েছে ও তোমার রাসূলের নাফরমানী করেছে, তোমার সম্মান ও মহত্বকে অস্বীকার করেছে এবং তোমার বিধানকে লুপ্ত করেছে। তোমার ফরযসমূহ বাতিল করেছে ও তোমার আয়াতের ব্যাপারে## ব্সতা অবলম্বন করেছে। তোমার ওলীদের সাথে শত্রুতা করেছে ও তোমার শত্রুদের সাথে মিত্রতা করেছে এবং তোমার দেশকে খারাপ করেছে ও তোমার বান্দাদেরকে নষ্ট করেছে।
হে আল্লাহ্, ঐ দু‘জন এবং তাদের অনুসারী, অভিভাবক, দলভুক্ত ও তাদের প্রিয় ব্যক্তিদের লা‘নত কর। তারা দু‘জন নবী গৃহকে নষ্ট করেছে ও গৃহের দরজা প্রাচীর দ্বারা বন্ধ করেছে এবং ছাদ ধংস করেছে। গৃহের উপর নীচ ও ভিতর বাহির সব এলোমেলো করেছে। তাঁর পরিবার ও সাহায্যকারীকে সমূলে শেষ করেছে, তাঁর সন্তানদেরকে হত্যা করেছে। তাঁর ওসীয়তকৃত ব্যক্তি ও তাঁর ইলমের রবের সাথে শিরক করেছে। অতএব তাদের গোনাহের পরিমাণ বেশী করে দাও এবং তাদেরকে সাকার নামক জাহান্নামে স্থায়ী কর, তুমি কি জান সাকার কি? তা তাদেরকে জীবিতাবস্থায় রাখবে না এবং মৃত অবস্থায়ও ছেড়ে দিবে না।
হে আল্লাহ্, তারা যে গর্হিত কাজ করেছে, প্রকৃত হক গোপন করেছে, মুনাফিকের ন্যায় মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, যারা তাকে কষ্ট দিয়েছে, তাকে অস্বীকারকারীকে আশ্রয় দিয়েছে, তাকে যারা সত্য বলে বিশ্বাস করে তাদেরকে যারা দূরে ঠেলে দিয়েছে, তারা কাফেরের ন্যায় সাহায্য করেছে, ইমামকে তাচ্ছিল্য করেছে, ফরযকে পরিবর্তন করেছে, সাহাবীদের কথাকে অস্বীকার করেছে, অনিষ্ট করেছে, হত্যা করেছে, কল্যাণকে পরিবর্তন করেছে, কুফর স্থাপন করেছে, মিথ্যা প্রবর্তন করেছে, অধিকার বঞ্চিত করেছে, ফাই (বিনা যুদ্ধে লব্ধ সম্পদ) বিচ্ছিন্ন করেছে, হারাম ভক্ষণ করেছে, যাকাতের মাল হালাল মনে করেছে, বাতিলের ভিত্তি স্থাপন করেছে, দুঃশাসনের বিস্তার ঘটিয়েছে, নিফাকী গোপন করেছে, গাদ্দারী করেছে, অত্যাচার ছড়িয়ে দিয়েছে, অঙ্গিকার ভঙ্গ করেছে, আমানতের খেয়ানত করেছে, ওয়াদা ভঙ্গ করেছে, হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল করেছে, পেট ফেঁড়েছে, গর্ভস্থ সন্তানের অকাল গর্ভপাত ঘটিয়েছে, পাঁজরের হাড় ভেঙ্গেছে, দলীল পত্র টুকরা টুকরা করেছে, ঐক্য বিনষ্ট করেছে, সম্মানিতকে অসম্মানী ও অসম্মানীকে সম্মানীত করেছে, এ সমস্ত অন্যায়কারীর সমপরিমাণ লা‘নত তাদের উপর বর্ষণ কর।
হে আল্লাহ্, তারা যে সকল আয়াত পরিবর্তন করেছে, যে ফরয তরক করেছে, সুন্নাত বিকৃত করেছে, বিধানাবলী অকেজো করেছে, নির্ধারিত ফিসসমূহ কর্তন করেছে, ওসীয়ত পরিবর্তন করেছে, নির্দেশাবলী অসাড় করেছে, বায়‘আত ভঙ্গ করেছে, সাক্ষ্যসমূহ গোপন করেছে, বহু দাবী বাতিল করেছে, প্রকাশ্য দলীল অস্বীকার করেছে, বহু হিলা-বাহানার আবিস্কার করেছে, খেয়ানতের অবতারনা করেছে, বহু সাজা অতিক্রম করেছে, যে যুদ্ধ যান পরিচালনা করেছে এবং যে সৌন্দর্য তারা অবলম্বন করেছে তাদেরকে এসবের পরিমাণ লা‘নত কর।
হে আল্লাহ্, তাদেরকে প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে সর্বাবস্থায় স্থায়ীভাবে অসংখ্য লা‘নত কর, যে সংখ্যার কোন শেষ নেই, যে সময়ের কোন সমাপ্তি নেই। অনুরূপভাবে তাদের সঙ্গী- সাথী, সাহায্যকারী, তাদেরকে যারা ভালবাসে, তাদের দোস্ত আহবার, তাদের প্রতি আত্ম সমর্পনকারী, তাদের নিকট যাঞ্ছাকারী, তাদের পাখায় ভর করে বিচরণকারী, তাদের দলীলের প্রবক্তা, তাদের কথার আনুগত্যকারী এবং তাদের বিধান সত্যায়নকারীদের প্রতিও তুমি লা‘নত বর্ষন কর। (চারবার বল)
হে আল্লাহ্, তুমি তাদেরকে এমন কঠিন আযাব দাও, যে আযাব থেকে বাঁচার জন্য জাহান্নামবাসীরাও ফরিয়াদ করে, কবুল কর হে বিশ্ব জাহানের প্রতিপালক। (চারবার বল)
হে আল্লাহ্, মুহাম্মাদ সা. ও তার বংশধরের প্রতি শান্তি বর্ষন কর। অতঃপর হে আল্লাহ্, তোমার হারাম থেকে আমাকে বাঁচিয়ে তোমার হালাল দ্বারা আমাকে সচ্ছলতা দান কর এবং অভাবগ্রস্থতা থেকে আমাকে মুক্তি দাও। হে আমার প্রভু, আমি আমার নফসের উপর যুলুম করেছি আমি আমার গোনাহের স্বীকৃতি প্রদান করছি, আমি তোমার সামনেই রয়েছি। অতএব আমার নফস থেকে তোমার সন্তুষ্টি গ্রহণ কর, আমার সন্তুষ্টি তোমার জন্যই। আমি আর অন্যায়ের প্রতি ফিরে আসব না, যদি আবার ফিরে আসি তবে তুমি আমাকে ক্ষমা করবে। আর ক্ষমাতো তোমারই হাতে। হে আরহামুর রাহেমীন, তোমার দয়ায়, তোমার অনুগ্রহে, তোমার সম্মানে এবং তোমার উদারতায় আমাকে মাফ কর।
‘‘নিশ্চয় তোমাদের মধ্যে সেই লোক অধিক সম্মানিত যে লোক অধিক মুত্তাক্বী...’’ (সূরা হুজুরাত-১৩)
সম্মানিত মুসলিম জাতি, উপরোক্ত আলোচনায় আশা করি আপনি আমার সাথে ঐক্যমত পোষন করবেন যে, যারা এরূপ বাতিল বিশ্বাস পোষণ করে তারা মুসলিম নয়, যদিও তারা মুসলিম দাবী করে। অতএব তারা মুসলমানদের মধ্যে তাদের শিয়া ধর্মীয় বিশ্বাস ছড়িয়ে দেয়ার জন্য যে চেষ্টা করছে, তার মোকাবিলায় আপনি একজন তাওহীদী মুসলিম হিসেবে আপনার কি ভূমিকা হতে পারে?
আপনার দায়িত্ব হচ্ছে, এদের থেকে সতর্ক থাকা, তাদের সাথে সব ধরনের লেনদেন ছিন্ন করা। যারা আল্লাহকে রব হিসেবে বিশ্বাস করে, ইসলামকে দীন হিসেবে গ্রহণ করে, মুহাম্মাদকে নবী ও রাসূল হিসেবে করে, তাদের প্রত্যেকের উচিত তাদেরকে ঘৃণা করা ও তাদের থেকে সাবধান থাকা।
শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ্ বলেন, ‘‘একজন রাফেযী যার সাথেই মেলামেশা করে তার সাথেই মুনাফিকি প্রকাশ করে। কারণ সে অন্তরে যে ধর্মীয় বিশ্বাস পোষন করে, তার মূলই হচ্ছে ধোকাবাজী, প্রতারণা ও মানুষের সাথে অনিষ্টের ইচ্ছা করা। তাদের ধর্মের ভিত্তি এসব বাতিল ও মিথ্যা স্বভাবের উপর। কখনো কোন রাফেযীর চরিত্রে আহলে সুন্নাতের বিদ্বেষ পরিলক্ষিত না হলেও, তার কথার সুর ও চেহারায় মুনাফিকি চরিত্র ফুটে উঠে।’’ (টিকা: ১)
নিশ্চয় তারা অন্তরে আমাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষন করে, আল্লাহ্ তাদের ধংস করুন, বিভ্রান্ত হয়ে তারা কোথায় চলেছে?
এত কিছুর পরও আহলে সুন্নাতের কিছু লোক রাফেযীদের ধোকায় পড়ে জীবন পরিচালনার বিষয়ে তাদের সাথে একাকার হয়ে গেছে, তাদেরকে নির্ভরযোগ্য মনে করছে। এসবের কারণ হচ্ছে আল্লাহর দীন থেকে বিমুখ হওয়া ও তার তাওহীদী মুসলিমকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করা এবং কাফের অথবা মুশরিক থেকে বিরত থাকার বিধানাবলী সম্পর্কে অবহিত না হওয়া। অর্থাৎ এ আক্বীদা বিশ্বাসের প্রতি আমল না করা। উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা মুসলিম হিসেবে আমাদের দায়িত্ব অনুধাবন করতে পারি। অতএব কে এ আহবানে সাড়া দেবে? সব শেষে মহান আল্লাহর নিকট এই ফরিয়াদ করি, তিনি যেন তাঁর দীনের মদদ করেন, তাঁর কালেমাকে বুলন্দ করেন, রাফেযী-শিয়াদের অপমান করেন ও তাদেরকে মুসলিমদের জন্য গনিমত করেন।
সমাপ্ত
আপনার দায়িত্ব হচ্ছে, এদের থেকে সতর্ক থাকা, তাদের সাথে সব ধরনের লেনদেন ছিন্ন করা। যারা আল্লাহকে রব হিসেবে বিশ্বাস করে, ইসলামকে দীন হিসেবে গ্রহণ করে, মুহাম্মাদকে নবী ও রাসূল হিসেবে করে, তাদের প্রত্যেকের উচিত তাদেরকে ঘৃণা করা ও তাদের থেকে সাবধান থাকা।
শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ্ বলেন, ‘‘একজন রাফেযী যার সাথেই মেলামেশা করে তার সাথেই মুনাফিকি প্রকাশ করে। কারণ সে অন্তরে যে ধর্মীয় বিশ্বাস পোষন করে, তার মূলই হচ্ছে ধোকাবাজী, প্রতারণা ও মানুষের সাথে অনিষ্টের ইচ্ছা করা। তাদের ধর্মের ভিত্তি এসব বাতিল ও মিথ্যা স্বভাবের উপর। কখনো কোন রাফেযীর চরিত্রে আহলে সুন্নাতের বিদ্বেষ পরিলক্ষিত না হলেও, তার কথার সুর ও চেহারায় মুনাফিকি চরিত্র ফুটে উঠে।’’ (টিকা: ১)
নিশ্চয় তারা অন্তরে আমাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষন করে, আল্লাহ্ তাদের ধংস করুন, বিভ্রান্ত হয়ে তারা কোথায় চলেছে?
এত কিছুর পরও আহলে সুন্নাতের কিছু লোক রাফেযীদের ধোকায় পড়ে জীবন পরিচালনার বিষয়ে তাদের সাথে একাকার হয়ে গেছে, তাদেরকে নির্ভরযোগ্য মনে করছে। এসবের কারণ হচ্ছে আল্লাহর দীন থেকে বিমুখ হওয়া ও তার তাওহীদী মুসলিমকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করা এবং কাফের অথবা মুশরিক থেকে বিরত থাকার বিধানাবলী সম্পর্কে অবহিত না হওয়া। অর্থাৎ এ আক্বীদা বিশ্বাসের প্রতি আমল না করা। উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা মুসলিম হিসেবে আমাদের দায়িত্ব অনুধাবন করতে পারি। অতএব কে এ আহবানে সাড়া দেবে? সব শেষে মহান আল্লাহর নিকট এই ফরিয়াদ করি, তিনি যেন তাঁর দীনের মদদ করেন, তাঁর কালেমাকে বুলন্দ করেন, রাফেযী-শিয়াদের অপমান করেন ও তাদেরকে মুসলিমদের জন্য গনিমত করেন।
সমাপ্ত
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন