hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শিয়াদের আকীদা-বিশ্বাস

লেখকঃ আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মদ আস সালাফী

১৮
নাজাফ ও কারবালা সম্পর্কে রাফেযীদের বিশ্বাস ও তা যিয়ারতের ফযিলত
শিয়ারা তাদের ইমামদের কবর ও অন্যান্য কবরসমূহকে ধর্মীয় সম্মানিত স্থান হিসেবে গণ্য করে। যেমন কুফা পবিত্র স্থান, কারবালা পবিত্র স্থান এবং কোম পবিত্র স্থান। তারা সাদেকের নিকট হতে বর্ণনা করে, তিনি বলেন, আল্লাহর জন্য একটি হারাম তথা সম্মানিত ও পবিত্র স্থান রয়েছে, তা হচ্ছে মক্কা, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্য একটি হারাম তথা সম্মানিত ও পবিত্র স্থান রয়েছে, তা হচ্ছে মদীনা। এবং আমিরুল মু‘মিনীন আলী রা.-র একটি হারাম তথা সম্মানিত ও পবিত্র স্থান রয়েছে, তা হচ্ছে কুফা। আর আমাদের জন্য একটি হারাম তথা সম্মানিত ও পবিত্র স্থান রয়েছে, তা হচ্ছে কোম নগরী। তাদের নিকট কারবালার মর্যাদা বায়তুল্লাহ্ তথা কা‘বা থেকে অনেক উত্তম।

‘‘বেহারুল আনওয়ার’’ গ্রন্থে আবু আব্দুল্লাহ্ জা‘ফর সাদেক হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,‘‘আল্লাহ্ তা‘আলা কা‘বার প্রতি এ মর্মে ওহী করেন যে, যদি কারবালার মাটি না হত তাহলে তোমার কোন ফযিলত দিতাম না। হোসাইন যদি কারবালার মাটি স্পর্শ না করতো তাহলে তোমাকে সৃষ্টি করতাম না এবং ঐ ঘরও (মক্কার মসজিদে হারাম) সৃষ্টি করতাম না, যে ঘরের দ্বারা তোমরা ছোট হয়ে থাকো কোন প্রকার অহংকার ও ফখর করো না, যদি এরূপ না করো তাহলে তোমার প্রতি নারাজ হয়ে তোমাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবো।’’

শুধু এতেই সীমিত নয়, বরং রাফেযী শিয়ারা কারবালায় হোসাইনের কবর যিয়ারতকে ইসলামের পঞ্চম রুকন বায়তুল্লাহিল হারামের হজ পালন অপেক্ষা উত্তম গণ্য করে। আল-মাজলেসী ‘‘বেহারুল আনওয়ার’’ গ্রন্থে বাশির আদ্-দাহ্হানের বরাত দিয়ে উল্লেখ করেন, তিনি বলেন, ‘‘আমি আবু আব্দুল্লাহকে বললাম যে, যদি আমার হজ ছুটে যায়, আর আমি হুসাইনের মর্যাদা অনুধাবন করে তার কবরের নিকট যাই, তাহলে কি আমার হজ হবে? জবাবে তিনি বলেন, হে বাশির! তুমি ভালই করেছ, যে কোন মুসলিম যদি ঈদের দিন ব্যতীত অন্য কোন দিন হুসাইনের মর্যাদা যথাযথভাবে অনুধাবন করে তার কবরের নিকট আসে, তাহলে তার জন্য বিশটি মাবরুর ও কবুল হজ এবং বিশটি মাবরুর ও কবুল উমরার সমপরিমাণ ফযিলত লেখা হয় এবং প্রেরিত নবী-রাসূল অথবা ন্যায় পরায়ণ ইমামের সাথে বিশটি যুদ্ধের ফযিলত লেখা হয়। আর যে ব্যক্তি হুসাইনের যথাযথ মর্যাদা অনুধাবন করে আরাফার দিনে তার কবর যিয়ারত করে, তার জন্য এক হাজার মাবরুর ও কবুল হজ ও বিশটি মাবরুর ও কবুল উমরার সমপরিমাণ ফযিলত লেখা হয় এবং প্রেরিত নবী রাসূল অথবা ন্যায় পরায়ণ শাসকের সাথে এক হাজার যুদ্ধের ফযিলত লেখা হয়।

উক্ত গ্রন্থে আরো বলেন যে, কারবালাতে হুসাইনের কবর যিয়ারতকারীগণ হচ্ছে অতি পুত-পবিত্র। আর আরাফার দিনে আরাফার ময়দানে অবস্থানকারীগণ হচ্ছে যেনাকারীর (জারজ) সন্তান, নাউযুবিল্লাহ মিন যালেক।

‘‘আলী ইবনে আসবাত তিনি আবু আব্দুল্লাহ্ হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আল্লাহ্ তা‘আলা আরাফার দিন সন্ধ্যা বেলায় হুসাইনের কবর যিয়ারতকারীদের প্রতি নজর দিতে শুরু করেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, আরাফায় অবস্থানকারীদের প্রতি নজর দেয়ার পূর্বেই? জবাবে বলেন, হ্যাঁ! আমি বললাম, এটা কিভাবে সম্ভব? তিনি বলেন, এটা এই জন্য সম্ভব যে, আরাফায় অবস্থানকারীগণ হচ্ছে যেনার সন্তান আর হুসাইনের কবর যিয়ারতকারীদের মধ্যে কোন যেনার সন্তান নেই।’’

শুধু তা-ই নয়, বরং তাদের নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি আলী আল-সিস্তানী ‘‘মিনহাজুস সালেহীন’’ গ্রন্থে মসজিদসমূহে সালাত আদায়ের চাইতে ঐতিহাসিক স্মরণীয় স্থানসমূহে সালাত আদায়কে প্রাধান্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ইমামদের স্মরণীয় ও ঐতিহাসিক স্থানসমূহে সালাত আদায় করা ভাল কাজ, বরং সেখানে সালাত আদায় করা মসজিদে সালাত আদায় অপেক্ষা উত্তম। আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, আলী রা.-র নিকট সালাত আদায় করা মসজিদে সালাত আদায় অপেক্ষা দুই লক্ষগুণ বেশী ফযিলত।’’

তাদের শায়খ আববাস আল-কাশানী ‘‘মাসাবিহুল জিনান’’ গ্রন্থে কারবালার ব্যাপারে চরম সীমা লঙ্ঘণ করেছেন, তিনি বলেন, ‘‘ইসলামের দৃষ্টিতে কারবালার ভূমি হচ্ছে সর্বাধিক পবিত্র ভূমি। দলীল প্রমাণের ভিত্তিতে অন্যান্য ভূমি অপেক্ষা কারবালার ভূমিকে অনেক মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য দেয়া হয়েছে। অতএব সে স্থানটি আল্লাহর পুত-পবিত্র ও বরকতপূর্ণ ভূমি, আল্লাহর প্রতি নত ও অনুগত ভূমি, আল্লাহর বাছাইকৃত ভূমি, বরকতময় শান্তিপূর্ণ সম্মানিত স্থান, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল ঐ ভূমিকে হারাম তথা সম্মানিত করেছেন। কারবালা হচ্ছে ইসলামের গম্বুজ এবং সেই সমস্ত স্থানের অন্তর্ভূক্ত যেখানে এবাদত ও দু‘আ প্রার্থনা করা মহান আল্লাহ্ পছন্দ করেন। কারবালা আল্লাহর এমন ভূমি যে ভূমির মাটিতে শেফা রয়েছে। উল্লেখিত বৈশিষ্ট্য ছাড়া আরো অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা কারবালা ব্যতীত পৃথিবীর অন্য কোন ভূমিতে নেই, এমনকি কা‘বাতেও নেই।’’

শায়খুল মুফিদ মুহাম্মাদ আল-নু‘মান ‘‘আল-মাযার’’ গ্রন্থে কুফার মসজিদের ফযিলত অধ্যায়ে বর্ণনা করেন, আবু জা‘ফার আল বাকের হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘‘মানুষ যদি কুফা মসজিদের ফযিলত জানতো তাহলে দূর প্রান্ত থেকে হলেও সেখানে আসার জন্য সার্বিক প্রস্ত্ততি গ্রহণ করত। নিশ্চয় সেখানে এক ওয়াক্ত ফরয সালাত আদায় একটি হজ পালনের সমপরিমাণ, আর এক ওয়াক্ত নফল সালাত একটি উমরাহ্ পালনের সমপরিমাণ।’’

‘‘কবরের নিকট অবস্থানকালে পঠিত বাক্য’’ অধ্যায়ে উক্ত গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে যে, হুসাইনের কবর যিয়ারতকারী স্বীয় ডান হাত ইশারা করে দীর্ঘ দু‘আর মধ্যে বলবে যে, ‘‘আপনার নিকট যিয়ারত করতে এসেছি এ জন্য যে, আমার কদম যেন আপনার প্রতি হিজরতের সময় অটল থাকে। আমি এ ইয়াকিন রাখি যে, আপনার মাধ্যমেই আল্লাহ্ চিন্তা-ভাবনা ও দুঃখ-দূর্দশা দূর করেন, এবং আপনার মাধ্যমেই রহমত নাযিল করেন, আপনার উসিলায় বা মাধ্যমে পৃথিবী অনড় থাকে, এবং আপনার মাধ্যমেই আল্লাহ্ তা‘আলা পাহাড়সমূহকে তার যথা স্থানে স্থাপন করেন। অতএব হে আমার সরদার! আমি আপনার মাধ্যমেই আমার প্রয়োজন মেটানো ও গোনাহ্ মাফের জন্য আমার রবের প্রতি রুজু হচ্ছি।’’

হে সম্মানিত পাঠক! ভেবে দেখুন, কিভাবে তারা গায়রুলাহ্ তথা মানুষের নিকট নিজের প্রয়োজনাবলী মেটানো ও গোনাহ্ মাফের তলব করে শিরকে লিপ্ত হচ্ছে, কিভাবে এটা সম্ভব হতে পারে? অথচ আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন,

(আরবি)

‘‘আর আল্লাহ ছাড়া কে গুনাহ ক্ষমা করবে ?’’ (সূরা আলে-ইমরান : ১৩৫)

অর্থাৎ আল্লাহ্ ব্যতীত গোনাহ্ মাফ করার মত আর কেউ নেই। এরূপ শিরক থেকে আমরা আল্লাহর নিকট পানাহ্ চাই।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন