hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শিয়াদের আকীদা-বিশ্বাস

লেখকঃ আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মদ আস সালাফী

১৬
আহলুস্ সুন্নাহ সম্পর্কে রাফেযীদের বিশ্বাস
আহলুস্ সুন্নাহ তথা সুন্নাতের অনুসারীদের ব্যাপারে রাফেযীদের আক্বীদা এই যে, তাদেরকে হত্যা করা ও তাদের মাল লুন্ঠন করা বৈধ। বর্ণিত আছে যে, দাউদ ইবনে ফারকাদ বলেন, আমি আব্দুল্লাহ্কে বলি, আপনি নাসেবী‘র ব্যাপারে কি বলেন? তিনি বলেন, তাদের হত্যা করা বৈধ। আর যদি পার তাহলে তার উপর দেয়াল চাপিয়ে দেবে অথবা তাকে সমূদ্রে ডুবিয়ে দেবে। যেন সে এ ব্যাপারে তোমার বিপক্ষে সাক্ষী হতে না পারে। আমি বললাম, তার ধন-সম্পদের ব্যাপারে কি মনে করেন? তিনি বলেন, যত পার তার মাল গ্রহণ কর।

রাফেযীরা ধারনা করে যে, শুধুমাত্র তাদের সন্তানরাই পবিত্র। তাদের ব্যতীত অন্য কারো সন্তান পবিত্র নয়। হাশেম আল বাহ্রানী ‘আল-বুরহান’ তাফসীরে উল্লেখ করেন যে, মায়সাম ইবনে ইয়াহ্ইয়া তিনি জা‘ফার ইবনে মুহাম্মাদ হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ‘‘যে কোন সন্তান যখন জন্ম গ্রহণ করে তখন ইবলিস তার সাঙ্গ-পঙ্গ নিয়ে উপস্থিত হয়। অতঃপর যদি সে জানতে পারে যে, সে সন্তান তাদের (শিয়া) দলভূক্ত, তখন ইবলিস সে সন্তান থেকে তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের দূরে রাখে, অর্থাৎ তাকে স্পর্শ করতে দেয় না, আর যদি তাদের দলভূক্ত না হয় তাহলে ঐ সন্তানের পায়খানার দ্বারে স্বীয় অধিকারী হয়। আর যদি ঐ শিশু কন্যা সন্তান হয় তাহলে তার যৌনাঙ্গে (স্ত্রী লিঙ্গে) আঙ্গুল স্থাপন করে ফলে সে পাপাচারী গোনাহ্গার হয়। এ কারনেই সন্তান মায়ের পেট থেকে বের হওয়ার সময় কঠিন চিৎকার করে কান্না করে।

এখানেই শেষ নয়, বরং রাফেযীদের বিশ্বাস, শিয়ারা ব্যতীত সকল মানুষই যেনার (জারয) সন্তান!!

আল-কুলাইনী ‘‘রাওযাতুল কাফী’’ কিতাবে উল্লেখ করেন, আবু হামযাহ্ আবু জা‘ফার হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ‘‘আমি তাকে বললাম, আমাদের কিছু সঙ্গী-সাথী এমন আছে যে, কেউ তাদের খেলাফ করলে তার প্রতি মিথ্যারোপ করে অপবাদ দেয়। ফলে তিনি আমাকে বলেন, থেমে থাকাই উত্তম। অতঃপর বলেন, হে আবি হামযাহ্! আল্লাহর কসম! আমাদের দলভুক্ত শিয়ারা ছাড়া সমস্ত মানুষই অবৈধ সন্তান’’।

রাফেযী শিয়াদের ধারণা, ইহুদ ও নাসারাদের কুফরীর চাইতে আহলুস্ সুন্নাহদের কুফরী আরো কঠিন। কেননা ইহুদী ও নাসারারা আসলী অর্থাৎ প্রকৃত কাফের আর আহলুস্ সুন্নাহগণ মুরতাদ কাফের। আর সবার নিকটই মুরতাদ তথা ধর্মত্যাগীর কুফরী কঠিন। ইতিহাস সাক্ষী, এ কারণেই তারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুগে যুগে কাফেরদের সহযোগিতা করে আসছে। [শায়খুল ইসালাম ইবনে তাইমিয়াহ্ রাহেমুহুলাহ্ বলেন, মুসলিম দেশ সমূহের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে রাফেযী শিয়ারা তাতারদেরকে সহযোগিতা করে। ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়াহ্-৫৩/১৫১। আরো দেখুন; ডঃ সুলাইমান বিন হাম্দ আল আওদাহ্: কায়ফা দাখালাত্ তাতারু বেলাদাল]

‘‘ওয়াসায়েলিশ্ শিয়াহ্’’ গ্রন্থে ফুযাইল ইবনে ইয়াসার থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘‘আমি আবু জা‘ফারকে আরেফা অর্থাৎ ‘রাফেযী’ মহিলা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি যে, আমি কি তাকে নাসেবের সাথে বিবাহ দিতে পারি? তিনি বলেন : না। কেননা নাসেব হচ্ছে কাফের।’’

‘‘নাসেব’’ এক বচন এর বহু বচন ‘‘নাওয়াসেব’’ যারা আলী রা.-র প্রতি ঘৃণা পোষণ করে তাদেরকে আহলে সুন্নত ওয়াল জামা‘আতের দৃষ্টিতে নাওয়াসেব বলা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, রাফেযীরা আহলে সুন্নাতকেই নাওয়াসেব নামে অভিহিত করে থাকে। কারণ, আহলে সুন্নাতগণ ইমামতের ক্ষেত্রে আলী রা.-র আগে ধারাবাহিকভাবে আবু বকর, ওমর ও উসমান রা.-কে প্রধান্য দেয়, যেহেতু খোদ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগেই আলী রা.-র উপর আবু বকর, ওমর ও উসমান রা.-র প্রাধান্য ছিল। এর প্রমাণ আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর রা.-র বাণী : ‘‘আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে মানুষের মধ্যে বাছাই করতাম এবং সর্ব প্রথম আবু বকর রা.-কে প্রধান্য দিতাম অতঃপর ওমর রা.-কে প্রধান্য দিতাম, অতঃপর উসমান রা.-কে প্রধান্য দিতাম।’’ [সহীহ্ আল বুখারী: অধ্যায়: ফাযায়েলুস্ সাহাবা, অনুচ্ছেদ:নবী সা. এর পরে আবু বকর রা.]

ইমাম ত্বাবারানী এর সাথে একটু বাড়িয়ে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ‘‘এ খবর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট পৌঁছলে তিনি তা এনকার বা অস্বীকার করেননি।’’

ইমাম আহমাদ ও অন্যান্য মুহাদ্দিসগণ আলী ইবনে আবি তালেব রা. থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ‘‘এই উম্মতের মধ্যে নবীর পর সর্বোত্তম ব্যক্তি হচ্ছে আবু বকর রা. অতঃপর ওমর রা., চাইলে তৃতীয় জনেরও নাম উল্লেখ করতাম...’’ হাফেয যাহাবী বলেন, এ বর্ণনাটি মুতাওয়াতির।

(আরবি)

‘‘বলুন! আমি তো তোমাদের মতই একজন মানুষ মাত্র, আমার প্রতি ওহী বা প্রত্যাদেশ করা হয় যে, তোমাদের মা‘বুদই একমাত্র মা‘বুদ।’’ (সুরা আল কাহাফ : ১১০)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন