hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শিয়াদের আকীদা-বিশ্বাস

লেখকঃ আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মদ আস সালাফী

বিদ্যমান কুরআন সম্পর্কে রাফেযীদের বিশ্বাস
বিদ্যমান কুরআন, যার হিফাজতের দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ গ্রহণ করেছেন, সে বিষয়ে রাফেযীরা ভিন্ন মত পোষণ করে। রাফেযীরা বর্তমানে ‘শিয়াহ্’ নামে পরিচিত। তারা বলে, আমাদের নিকট বিদ্যমান কুরআন মুহাম্মাদের উপর অবতীর্ণ অবিকল কুরআন নয়। এতে অনেক পরিবর্তন-পরিবর্ধন ও কম-বেশী করা হয়েছে।

শিয়াদের অধিকাংশ মুহাদ্দিস বিশ্বাস করে যে, কুরআন শরীফে অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে। নুরী আত্-তাবারাসী ‘ফাসলুল খেতাব ফী তাহরীফে কিতাবি রাবিবল আরবাব’ কিতাবে তা স্বীকার করেছেন। [আল কুলাইনী: উসূলুল কাফী:১/২৮৪।]

মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াকুব আল-কুলাইনী ‘উসূলুল কাফী’ গ্রন্থে ‘ইমামগণ ব্যতীত পূর্ণ কুরআন কেউ একত্র করেনি’ অনুচ্ছেদে জাবের হতে বর্ণনা করেন, আবু জা‘ফার বলেছেন, যে ব্যক্তি দাবী করে যে, আল্লাহ পূর্ণ কুরআন যেভাবে নাযিল করেছেন, অনুরূপ সে তা একত্র করেছে, তাহলে সে মিথ্যাবাদী, প্রকৃত পক্ষে আল্লাহ্ যেভাবে কুরআন নাযিল করেছেন, আলী ইবনে আবী তালেব ও তার পরবর্তী ইমামগণ ছাড়া কেউ তা হুবহু একত্র ও সংরক্ষণ করতে সক্ষম হয়নি।’’ [আল কুলাইনী: উসূলুল কাফী: ১/২৮৫।]

জাবের আবু জা‘ফার থেকে বর্ণনা করেন, ‘আউসিয়া তথা ওসীয়তকৃত ব্যক্তি বর্গ ব্যতীত কেউ দাবী করতে পারবে না যে, প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সম্পূর্ণ কুরআন তার নিকট রয়েছে।’ [আল কুলাইনী: উসূলুল কাফী:২/৬৩৪।]

হিশাম ইবনে সালেম হতে প্রমাণিত হয়েছে যে, আবু আব্দুল্লাহ বলেন, ‘যেই কুরআন জিবরীল মুহাম্মাদের নিকট নিয়ে আসেন, তা সতের হাজার আয়াত বিশিষ্ট।’ [তাদের শায়খ আল মাজলেসী স্বীয় ‘‘মিরআতুল উকুল ’’ নামক গ্রন্থে এই বর্ণনাটিকে নির্ভরযোগ্য]

এর দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, রাফেযী তথা শিয়ারা যে কুরআনের দাবী করে, তা বিদ্যমান

কুরআন থেকে অনেক বেশী, যার সংরক্ষণের দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ্ নিজে গ্রহণ করেছেন। (নাউযুবিলাহ্ মিনহুম)

আহমাদ ত্বাবারাসী ‘‘আল-ইহ্তেজাজ’’ গ্রন্থে উল্লেখ করেন যে, ওমর রা. যায়েদ বিন ছাবেত রা.-কে বলেন, নিশ্চয় আলী রা. যে কুরআন নিয়ে এসেছে তাতে আনছার ও মুহাজিরদের ফাযিহাহ্ অর্থাৎ দোষত্রুটি প্রকাশ করা হয়েছে। এর বিপরীতে আমরা এমন এক কুরআন সংকলন করার ইচ্ছা করছি যা থেকে আনছার ও মুহাজিরদের সকল প্রকার ফাযিহাহ্ তথা বিষোদগার মোচন করা হবে। তার এ কথার প্রতি যায়েদ রা. সমর্থন জানিয়ে বলেন, আমি যদি আপনার চাহিদা অনুযায়ী কুরআন সংকলন সম্পন্ন করি, আর আলী রা. যদি তা জানতে পারে, তাহলে তিনি কি আপনার সংকলন বাতিল করে দেবেন না? ওমর রা. বললেন, এ থেকে বাঁচার উপায় কি? যায়েদ রা. বলেন, উপায় সম্পর্কে আপনি-ই ভাল জানেন। ওমর রা. বললেন, তাকে হত্যা করে তার থেকে নিরাপদ হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। অতঃপর খালেদ ইবনুল ওয়ালিদের মাধ্যমে তাকে হত্যা চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। ওমর রা. যখন খলিফা নিযুক্ত হন তখন আলী রা.-কে বলেন যে, আমাদের নিকট কুরআন পেশ কর, তাহলে আমাদের কাছে যা রয়েছে তাতে কিছু তাহরীফ অর্থাৎ পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করব। ওমর রা. বলেন, হে আবুল হাসান! আবু বকর রা. এর কুরআনের ন্যায় যদি আমাদের কাছে কুরআন পেশ করেন, তাহলে আমরা তাতে একমত পোষণ করব। আলী রা. বলেন, হায়! আমার দায়িত্ব শেষ হয়ে গেছে, আপনারা যেন কিয়ামত দিবসে না বলেন,

(আরবি)

অর্থ: ‘‘নিশ্চয় আমরা এ বিষয়ে অনবহিত ছিলাম...।’’ সূরা আরাফ : (১৭২)

আল্লাহ্ তা‘আলা আরো বলেন,

(আরবি)

‘‘আপনি আমাদের কাছে আসার পরেও...।’’ সূরা আরাফ : (১২৯)

নিশ্চয় এ কুরআন আমার সন্তানের মধ্যে থেকে আউসিয়া ও পবিত্র সত্বা ব্যতীত কেউ তা স্পর্শ করতে পারবে না। অতঃপর ওমর রা. বলেন, এটা প্রকাশের নির্দিষ্ট কোন সময় আছে কি? আলী রা. বলেন, হ্যাঁ! যখন আমার সন্তানদের মধ্য হতে কেউ দন্ডায়মান হবে, তখন তা প্রকাশ করা হবে। অতঃপর মানুষকে তা মানতে বাধ্য করা হবে।

তাকইয়া তথা অপকৌশল ও বাহানার আশ্রয় নিয়ে শিয়াগণ যতই বলুক, ‘কুরআন অপরিবর্তনীয়, তাতে কোন পরিবর্তন হয়নি,’ কিন্তু তাদের বিশ্বাস অনুরূপ নয়, কারণ তাদের বিশ্বস্ত লেখকদের লেখনীই বলে যে, তারা কুরআনের অবিকলতার ব্যাপারে আস্থাশীল নয়, বরং তাদের বিশ্বাস কুরআনে পরিবর্তন হয়েছে, এবং এটাই তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। কিন্তু তাদের ভয়, এ আকীদা যদি ব্যাপকভাবে প্রকাশ হয়, তাহলে তাদের মুখোশ খসে পড়বে। তাদের কুফরীর বিষয়টি সবার নিকট স্পষ্ট হয়ে যাবে। ফলশ্রুতিতে মহান এক বিপ্লবের সূচনা ঘটবে, যা তারা কখনোই পছন্দ করে না। তাদের আরেকটি বিশ্বাস কুরআন দু’টি : একটি প্রকাশ্য অপরটি অপ্রকাশ্য। রাফেযী শিয়ারা আরো বিশ্বাস করে যে, সূরা আলাম-নাশরাহ্ থেকে:

ورفعنا لك ذكرك بعلي صهرك

‘এবং তোমার জামাতা আলীর দ্বারা আমি তোমার খ্যাতিকে উচ্চ মর্যাদা দান করেছি।’

আয়াতটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। এ মন্তব্য নুরী আত্-ত্বাবারাসী ‘‘ফাসলুল খিতাব ফী তাহরীফে কিতাবে রাবিবল আরবাব’’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।

উল্লেখ্য, এ সুরাটি মক্কায় নাযিল হয়েছে, যখন আলী রা. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জামাতা ছিলেন না, তবুও এ ডাহা মিথ্যাচারের কারণে তারা সামান্য লজ্জা বোধ করে না।

আল্লাহ্ বলেন,

(আরবি)

‘‘নিশ্চয় আমরাই কুরআন নাযিল করেছি আর আমরাই তার সংরক্ষক।’’ (সুরা আল হিজর : ৯)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন