মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
রাফেযীরাই সর্ব প্রথম আল্লাহর জিস্ম তথা অবয়ব নিয়ে কথা বলে। শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ্ রহ. বলেন, রাফেযীদের মধ্যে হিশাম ইবনুল হাকাম সর্ব প্রথম আল্লাহর ব্যাপারে এরূপ ঔদ্ধত্যপূর্ণ মিথ্যা রটনা করে।
হিশাম ইবনে সালেম আল-জাওয়ালিকি, ইউনুস ইবনে আবদুর রহমান আল-কুম্মী এবং আবু জা‘ফার আল-আহওয়াল ইসনা আশারিয়াহ্ দলের এক একজন বড় পন্ডিত। পরবর্তীতে তারা আল্লাহর সিফাত অস্বীকারকারী জাহমিয়াহ্ দলে রূপান্তরিত হয়। কুরআন ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত আল্লাহর সিফাতগুলো তারা অস্বীকার করে, যার দৃষ্টান্ত অনেক। ইবনে বাবওয়াইহ্ সত্তরের অধিক তার উদাহরণ উল্লেখ করেছেন। যেমন তারা বলে : ‘‘আল্লাহ্ সময়, স্থান, প্রকার ও গঠনের সাথে সম্পৃক্ত নন। অনুরূপ তার সাথে কোন প্রকার হারাকাত তথা নড়াচড়া ও চলাফেরার কোন সম্পর্ক নেই। তার জিস্ম বা অবয়ব বলতেও কিছু নেই। শুধু তাই নয়, তার কোন অনুভূতি কিংবা আকার-আকৃতিও নেই।’’
পবিত্র কুরআন ও সহীহ্ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত আল্লাহর সিফাত অস্বীকার করে তাদের পন্ডিতগণ ভ্রান্ত নীতির অনুসরণ করছে। তারা আল্লাহ্ তা‘আলার নুযুল তথা দুনিয়ার আসমানে অবতরণের কথাও অস্বীকার করে, আল্লাহর কুরআনকে মাখলুক বলে এবং পরকালে আল্লাহর সাক্ষাতকেও অস্বীকার করে। ‘‘বেহারুল আনওয়ার’’ গ্রন্থে আছে, আবু আব্দুল্লাহ্ জা‘ফার সাদেককে কিয়ামত দিবসে আল্লাহ্ তা‘আলার দিদার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়। উত্তরে তিনি বলেন, সুবহানালাহ্! আল্লাহ্ তো এ থেকে অনেক উর্ধ্বে, মানুষের চোখ শুধু তাই দেখে, যার রং, আকার-আকৃতি ও অবস্থান আছে। এসবই আল্লাহর সৃষ্ট মাখলূক, অর্থাৎ আল্লাহ্ এসব থেকে পবিত্র।
তারা আরো বলেছে, যে কেউ দেখা বা অনুরূপ কোন সিফাত আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত করবে, সে মুরতাদ হয়ে যাবে। তাদের পন্ডিত জা‘ফার নাজাফী ‘‘কাশফুল গেতা’’ গ্রন্থে বলেন, উল্লেখ্য যে, الرؤية বা আল্লাহর দিদারের বিষয়টি পবিত্র কুরআন ও সহীহ্ হাদীসে কোন প্রকার বিশেষণ ও নির্দিষ্ট বিবরণ বা ব্যাখ্যা ছাড়াই এসেছে। যেমন আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন,
(আরবি)
‘‘সেদিন কতক মুখমন্ডল হবে হাস্যোজ্জ্বল। তাদের রবের প্রতি দৃষ্টিনিক্ষেপকারী।’’ (সূরা আল কিয়ামাহ : ২২-২৩)
সহীহ্ বুখারী ও মুসলিমে জারির ইবেন আব্দুল্লাহ্ আল-বাজালী রা. এর হাদীসে এসেছে, তিনি বলেন, আমরা একদা রাসূলুল্লাহ সা. এর নিকট বসে ছিলাম, অতঃপর তিনি সেই সময় চৌদ্দ তারিখের (পূর্ণিমার) উজ্জল চাঁদের দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘‘নিশ্চয় তোমরা তোমাদের প্রভূকে অচিরেই সরাসরি দেখবে, যেমনভাবে আজকে তোমরা এই উজ্জল চাঁদ দেখছো। যেমন চাদকে দেখতে তোমাদের কোন ভিড় হচ্ছে না।’’
এ ছাড়াও আল্লাহর দিদার সম্পর্কে আরো আয়াত ও হাদীস রয়েছে।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন,
(আরবি)
আল্লাহর জন্য রয়েছে সুন্দর নামসমূহ । কাজেই তাঁকে ডাক ঐ সব নামের মাধ্যমে। যারা তাঁর নামের মধ্যে বিকৃতি ঘঁটায় তাদেরকে পরিত্যাগ কর। তারা যা করছে তার ফল তারা শীঘ্রই পাবে।’’ (সুরা আল আ‘রাফ : ১৮০)
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/708/7
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।