মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
ইবন আব্দুল বারর রাবী‘ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,: আমি শাফে‘ঈকে বলতে শুনেছি: ঈমান হচ্ছে কথা, আমল ও অন্তরের বিশ্বাস। তোমরা কি আল্লাহর বাণী দেখ না:আল্লাহ তোমাদের সালাতকে নষ্ট করার নন।আল-বাকারাহ : ১৪৩অর্থাৎ বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে পড়া তোমাদের সালাত। অতএব আয়াতে সালাতকে ঈমান নামকরণ করা হয়েছে। আর তা হলো কথা, আমল ও বিশ্বাস।
বাইহাকী রাবী ইবন সুলাইমান থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: আমি শাফে‘ঈকে বলতে শুনেছি, ঈমান হলো কথা ও আমল এবং তা বাড়ে ও কমে।
বাইহাকী আবূ মুহাম্মাদ আয-যুবাইরী থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, এক লোক শাফে‘ঈকে বলল, কোন্ আমল আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম? শাফে‘ঈ বললেন, যা ছাড়া আমল কবুল করা হয় না। লোকটি বলল, সেটি কী? তিনি বললেন, আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস যিনি ছাড়া আর কোন সত্য ইলাহ নেই। এটি সর্বোচ্চ আমল, সর্বশ্রেষ্ঠ আমল এবং ছাওয়াবের দিক দিয়ে সবচেয়ে বড়।
লোকটি বলল, আপনি কি আমাকে ঈমান সম্পর্কে জানাবেন না? তা কি কথা ও আমল? নাকি আমল ছাড়া শুধু কথার নাম?শাফে‘ঈ বললেন, ঈমান হলো আল্লাহর জন্য আমল করা, আর কথা হলো এ সব আমলের অংশ বিশেষ।লোকটি বলল, বিষয়টি আমার জন্য ব্যাখ্যা করুন। যাতে আমি বুঝতে পারি।শাফে‘ঈ বলেছেন, ঈমানের একাধিক অবস্থা, স্তর ও ভাগ রয়েছে। তার একটি হলো পরিপূর্ণ যার পর আর কোন পূর্ণতা নেই। (আরেকটি হলো) দুর্বল ঈমান যার দুর্বলতা স্পষ্ট। (আরেকটি হলো) প্রাধান্যপ্রাপ্ত যার প্রাধান্যের অংশ বেশী।লোকটি বলল, ঈমান কি পরিপূর্ণ না হয়ে বাড়ে ও কমে?শাফে‘ঈ বললেন, হ্যাঁলোকটি বলল, তার প্রমাণ কি?শাফে‘ঈ বললেন, আল্লাহ তাআলা আদম সন্তানের অঙ্গসমূহের উপর ঈমানকে ফরয করেছেন। তার মধ্যে একে বন্টন করেছেন এবং তার বিভিন্ন অঙ্গে ভাগ করে দিয়েছেন। তার অঙ্গসমূহ হতে কোনো অঙ্গ নেই, তবে তাকে আল্লাহর নির্দেশে ঈমানের এমন অংশ অবশ্যই সোপর্দ করা হয়েছে যা তার ন্যায় অপর অঙ্গকে প্রদান করা হয়নি।তার একটি হলো অন্তর, যা দ্বারা সে জ্ঞান লাভ করে, ভাবে ও বুঝে। আর এই অন্তরই হচ্ছে তার দেহের আমীর। তার মতামত ও নির্দেশ ব্যতিত অঙ্গসমূহ নড়চড় করে না ও প্রকাশ পায় না।তার মধ্যে দুই চোখ, যা দ্বারা সে দেখে। দুই কান, যা দ্বারা সে শোনে। দুই হাত যা দ্বারা সে ধরে। দুই পা যা দ্বারা সে হাঁটে। লজ্জাস্থান যার থেকে যৌন শক্তি পায়। তার জবান, যার দ্বারা সে কথা বলে এবং তার মাথা যাতে রয়েছে তার চেহারা।অন্তরের ওপর এমন কিছু ফরয করা হয়েছে যা জবানের ওপর করা হয়নি। দুই হাতের ওপর যা ফরয করা হয়েছে দুই পায়ের ওপর তা ফরয করা হয়নি এবং লজ্জা স্থানের ওপর যা ফরয করা হয়ে তা চেহারার ওপর ফরয করা হয়নি।আর অন্তরের ওপর আল্লাহর ফরয করা ঈমান হলো, স্বীকার করা, জানা, বিশ্বাস করা, সন্তুষ্টি ও মেনে নেওয়া যে আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য ইলাহ নেই তিনি একক, তার কোন শরীক নেই। তিনি কোন সঙ্গীনি ও সন্তান গ্রহণ করেননি। আর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। আল্লাহর পক্ষ থেকে নবী বা কিতাব যা এসেছে তা স্বীকার করাকেই আল্লাহ অন্তরের ওপর ফরয করেছেন। আর তা হলো তার কর্ম বা আমল:“তবে ঐ ব্যক্তি ছাড়া যাকে বাধ্য করা হয় (কুফরী করতে) অথচ তার অন্তর থাকে ঈমানে পরিতৃপ্ত, তবে যে তার অন্তর কুফরী দ্বারা উন্মুক্ত করে নিয়েছে”।আর-রা‘আদ : ২৮, ( সঠিক হচ্ছে: আন-নাহাল : ১০৬)তিনি আরো বলেন,যারা তাদের মুখে বলে আমরা ঈমান এনেছি। কিন্তু তাদের অন্তর ঈমান আনেনি।আল মায়েদাহ : ৪১তিনি আরো বলেন,আর তোমরা যদি প্রকাশ কর যা তোমাদের অন্তরে রয়েছে অথবা গোপন কর, আল্লাহ সে বিষয়ে তোমাদের হিসাব নেবেন।আল-বাকারাহ: ২৮৪এ ঈমানই আল্লাহ অন্তরের ওপর ফরয করেছেন। আর তাই অন্তরের আমল এবং তাই হলো ঈমানের মাথা বা মূল।মুখের ওপর আল্লাহ ফরয করেছেন কথা বলা এবং অন্তর যা বিশ্বাস করে ও স্বীকার করে তা ব্যক্ত করা। এ বিষয়ে তিনি বলেন,তোমরা বলো, আমরা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করলাম।আল বাকারাহ : ১৩৬এবং তিনি বলেছেনআর তোমরা মানুষের জন্য সুন্দর কথা বলো।আল বাকারাহ: ৮৩এটিই তা যা মুখে বলা এবং অন্তরের অবস্থা ব্যক্ত করাকে আল্লাহ মুখের ওপর ফরয করেছেন। আর তাই অন্তরের আমল ও ঈমান বিষয়ে তার ওপর ফরয।আল্লাহ কানের ওপর ফরয করেছেন যেন, তা আল্লাহর নিষিদ্ধ বিষয়ের প্রতি কর্ণপাত করা থেকে বেঁচে থাকে এবং তিনি যা নিষেধ করেছেন তা থেকে অবনত থাকে। এ বিষয়ে তিনি বলেন,আর তিনি তো কিতাবে তোমাদের প্রতি নাযিল করেছেন যে, যখন তোমরা শুনবে আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বীকার করা হচ্ছে এবং সেগুলো নিয়ে উপহাস করা হচ্ছে, তাহলে তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা অন্য কথায় নিবিষ্ট হয়, তা না হলে তোমরাও তাদের মত হয়ে যাবে।আন-নিসা : ১৪০অতঃপর ভুলে যাওয়ার স্থানকে বাদ দেন এবং আল্লাহ জাল্লা ওয়াআযযা বলেন:আর যদি শয়তান তোমাকে ভুলিয়ে দেয়,অর্থাৎ ফলে তুমি তাদের সাথে বসে পড়েছতবে স্মরণের পর যালিম সম্প্রদায়ের সাথে বসো না।আল-আন‘আম : ৬৮এবং তিনি বলেছেনঅতএব বান্দাদেরকে সুসংবাদ দাও।যারা মনোযোগ সহকারে কথা শোনে অতঃপর তার মধ্যে যা উত্তম তা অনুসরণ করে তাদেরকেই আল্লাহ হিদায়াত দান করেন। আর তারাই বুদ্ধিমান।আয-যুমার : ১৭, ১৮এবং তিনি বলেছেনঅবশ্যই মুমিনগণ সফল হয়েছে।যারা নিজদের সালাতে বিনয়াবনত।তার এ বাণী পর্যন্ত:যাকাত আদায়কারীআল-মু’মিনুন : ১, ৪এবং তিনি বলেছেনযখন তারা অনর্থক কথা শোনে তা থেকে তারা বিমুখ থাকে।আল-কাসাস : ৫৫এবং তিনি বলেছেনএবং যখন তারা অনর্থক কথা-কর্মের পাশ দিয়ে চলে তখন সসম্মানে চলে যায়।আল-ফুরকান : ৭২এটি তাই যা আল্লাহ তা‘আলা কানের ওপর ফরয করেছেন, যেমন যা শোনা তার জন্য হালাল নয় তা থেকে বিরত থাকা। এটিই তার আমল এবং এটিই ঈমানের অংশ।আর দুই চোখের ওপর ফরয হলো, তা দ্বারা যা দেখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে তা দেখবে না এবং তা থেকে চক্ষুদ্বয়কে অবনত রাখবে। আল্লাহ তা‘আলা এ বিষয়ে বলেন,মুমিন পুরুষদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে।আন-নূর : ৩০ ও ৩১ দু’টি আয়াত।তাদের কেউ তার ভাইয়ের লজ্জাস্থানের দিকে তাকানো থেকে বিরত থাকবে এবং তার নিজের লজ্জাস্থানকে অপরের দৃষ্টি থেকে হিফাযত করবে।
এবং তিনি বলেছেন
অবশ্যই মুমিনগণ সফল হয়েছে।
যারা নিজদের সালাতে বিনয়াবনত।
তার এ বাণী পর্যন্ত:
যাকাত আদায়কারী
আল-মু’মিনুন : ১, ৪
এবং তিনি বলেছেন
যখন তারা অনর্থক কথা শোনে তা থেকে তারা বিমুখ থাকে।
আল-কাসাস : ৫৫
এবং তিনি বলেছেন
এবং যখন তারা অনর্থক কথা-কর্মের পাশ দিয়ে চলে তখন সসম্মানে চলে যায়।
আল-ফুরকান : ৭২
এটি তাই যা আল্লাহ তা‘আলা কানের ওপর ফরয করেছেন, যেমন যা শোনা তার জন্য হালাল নয় তা থেকে বিরত থাকা। এটিই তার আমল এবং এটিই ঈমানের অংশ।
আর দুই চোখের ওপর ফরয হলো, তা দ্বারা যা দেখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে তা দেখবে না এবং তা থেকে চক্ষুদ্বয়কে অবনত রাখবে। আল্লাহ তা‘আলা এ বিষয়ে বলেন,
মুমিন পুরুষদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে।
আন-নূর : ৩০ ও ৩১ দু’টি আয়াত।
তাদের কেউ তার ভাইয়ের লজ্জাস্থানের দিকে তাকানো থেকে বিরত থাকবে এবং তার নিজের লজ্জাস্থানকে অপরের দৃষ্টি থেকে হিফাযত করবে।
আর তিনি বলেছেন, লজ্জা স্থানের হিফাযত বিষয়ে আল্লাহর কিতাবে যা রয়েছে তার অর্থ হচ্ছে ব্যভিচার থেকে হিফাযত করা, তবে এ আয়াত ব্যতীত। কারণ এখানে তার (অর্থাৎ লজ্জাস্থানের হিফাযত) অর্থ দৃষ্টি থেকে হিফাযত করা।
এটি তাই যা আল্লাহ দুই চোখের ওপর দৃষ্টিকে অবনত রাখা বিষয়ে ফরয করেছেন। আর তা চোখের আমল এবং তা ঈমানের অংশ।
অতঃপর তিনি অন্তর, কান এবং চোখের ওপর যা ফরয করেছেন তা একটি আয়াতেই বলে দিয়েছেন। এ বিষয়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন,আর যে বিষয় তোমার জানা নাই তার অনুসরণ করো না। নিশ্চয় কান, চোখ ও অন্তকরণ- এদের প্রতিটির ব্যাপারে সে জিজ্ঞাসিত হবে।আল-ইসরা : ৩৬তিনি বলেছেন: অর্থাৎ আর তিনি লজ্জাস্থানের ওপর ফরয করেছেন যে, সে তার লঙ্গন করবে না আল্লাহ যা তার ওপর হারাম করেছেন।“আর যারা তাদের নিজদের লজ্জাস্থানের হিফাযতকারী”।আল-মু‘মিনূন : ৫এবং তিনি বলেছেনতোমরা কিছুই গোপন করতে না এই বিশ্বাসে যে, তোমাদের কান, চোখসমূহ ও চামড়াসমূহ তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে না।ফুসসিলাত : ২২আয়াতটি।চামড়াসমূহ দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে: লজ্জাস্থান ও উরুসমূহ, যা লজ্জাস্থানের জন্য হালাল নয় তার থেকে তাকে হিফাযত করাই আল্লাহ লজ্জাস্থানের ওপর ফরয করেছেন। আর এটি তার আমল।আর দুই হাতের ওপর আল্লাহ তাআলা ফরয করেছেন যে, হাতদ্বয় দ্বারা বান্দা আল্লাহর নিষিদ্ধ জিনিসগুলো ধরবে না এবং এর দ্বারা ঐ কাজগুলোই করবে, যা করার জন্য আল্লাহ তা‘আলা আদেশ দিয়েছেন। যেমন সাদকা করা, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা, সালাত আদায় করার জন্য পবিত্রতা অর্জন করা ইত্যাদি। এ বিষয়ে আল্লাহ বলেন,“হে মুমিনগণ! যখন তোমরা সালাতে দন্ডায়মান হতে চাও, তখন তোমাদের মুখ ও কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত কর”।আল-মায়েদাহ : ৬, আয়াতের শেষ পর্যন্ত। তিনি আরো বলেন,অতএব তোমরা যখন কাফিরদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হও, তখন তাদের ঘাড়ে আঘাত কর। পরিশেষে তোমরা যখন তাদেরকে সম্পূর্ণভাবে পর্যুদস্ত করবে তখন তাদেরকে শক্তভাবে বেঁধে নাও। তারপর হয় অনুগ্রহ না হয় মুক্তিপণ আদায়।মুহাম্মাদ : ৪কারণ আঘাত করা, যুদ্ধ করা, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা এবং সাদকা করা হাতের আমল।আর দুই পায়ের ওপর তিনি ফরয করেছেন: তা দ্বারা আল্লাহ জাল্লা যিকরুহু যা হারাম করেছেন তার দিকে হাঁটবে না। এ বিষয়ে তিনি বলেন,আর যমীনে বড়াই করে চলো না; তুমি তো কখনো যমীনকে ফাটল ধরাতে পারবে না এবং উচ্চতায় কখনো পাহাড় সমান পৌঁছতে পারবে না।আল-ইসরা : ৩৭আর তিনি চেহারার ওপর ফরয করেছেন রাত ও দিনে এবং নামাযের সময়ে আল্লাহর জন্য সেজদা করাকে। এ বিষয়ে তিনি বলেন,হে মুমিনগণ! তোমরা রুকূ কর, সিজদা কর, তোমাদের রবের ইবাদাত কর এবং ভাল কাজ কর, আশা করা যায় তোমরা সফল হতে পারবে।আল-হাজ্জ : ৭৭এবং তিনি বলেছেনআর মাসজিদসমূহ কেবলই আল্লাহর জন্য সুতরাং তুমি আল্লাহর সাথে কাউকে ডেকো না।আল-জিন : ১৮মাসজিদসমূহ দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে: আদম সন্তান স্বীয় সালাতে যার ওপর সেজদা করে তাই, যেমন, কপাল ইত্যাদিতিনি বলেন, এ হলো আল্লাহ তা‘আলা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসমূহের ওপর যা ফরয করেছেন তার আলোচনা।আর পবিত্রতা এবং সালাতসমূহকে আল্লাহ স্বীয় কিতাবে ঈমান বলে নাম রেখেছেন যখন আল্লাহ তা‘আলা তার নবীর চেহারাকে বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে সালাত আদায় করা থেকে ফিরিয়ে দেন এবং কা‘বার দিকে সালাত আদায় করার নির্দেশ দেন। মুসলিমগণ ষোল মাস বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে সালাত আদায় করেছিল, ফলে তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল আমরা বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরে যে সালাত আদায় করেছি তার এবং আমাদের অবস্থা কি হবে?ফলে আল্লাহ তা‘আলা নাযিল করলেন,এবং আল্লাহ এমন নন যে, তিনি তোমাদের ঈমানকে বিনষ্ট করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল, পরম দয়ালু।আল-বাকারাহ : ১৪৩
আর যে বিষয় তোমার জানা নাই তার অনুসরণ করো না। নিশ্চয় কান, চোখ ও অন্তকরণ- এদের প্রতিটির ব্যাপারে সে জিজ্ঞাসিত হবে।
আল-ইসরা : ৩৬
তিনি বলেছেন: অর্থাৎ আর তিনি লজ্জাস্থানের ওপর ফরয করেছেন যে, সে তার লঙ্গন করবে না আল্লাহ যা তার ওপর হারাম করেছেন।
“আর যারা তাদের নিজদের লজ্জাস্থানের হিফাযতকারী”।
আল-মু‘মিনূন : ৫
এবং তিনি বলেছেন
তোমরা কিছুই গোপন করতে না এই বিশ্বাসে যে, তোমাদের কান, চোখসমূহ ও চামড়াসমূহ তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে না।
ফুসসিলাত : ২২
আয়াতটি।
চামড়াসমূহ দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে: লজ্জাস্থান ও উরুসমূহ, যা লজ্জাস্থানের জন্য হালাল নয় তার থেকে তাকে হিফাযত করাই আল্লাহ লজ্জাস্থানের ওপর ফরয করেছেন। আর এটি তার আমল।
আর দুই হাতের ওপর আল্লাহ তাআলা ফরয করেছেন যে, হাতদ্বয় দ্বারা বান্দা আল্লাহর নিষিদ্ধ জিনিসগুলো ধরবে না এবং এর দ্বারা ঐ কাজগুলোই করবে, যা করার জন্য আল্লাহ তা‘আলা আদেশ দিয়েছেন। যেমন সাদকা করা, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা, সালাত আদায় করার জন্য পবিত্রতা অর্জন করা ইত্যাদি। এ বিষয়ে আল্লাহ বলেন,
“হে মুমিনগণ! যখন তোমরা সালাতে দন্ডায়মান হতে চাও, তখন তোমাদের মুখ ও কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত কর”।
আল-মায়েদাহ : ৬, আয়াতের শেষ পর্যন্ত। তিনি আরো বলেন,
অতএব তোমরা যখন কাফিরদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হও, তখন তাদের ঘাড়ে আঘাত কর। পরিশেষে তোমরা যখন তাদেরকে সম্পূর্ণভাবে পর্যুদস্ত করবে তখন তাদেরকে শক্তভাবে বেঁধে নাও। তারপর হয় অনুগ্রহ না হয় মুক্তিপণ আদায়।
মুহাম্মাদ : ৪
কারণ আঘাত করা, যুদ্ধ করা, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা এবং সাদকা করা হাতের আমল।
আর দুই পায়ের ওপর তিনি ফরয করেছেন: তা দ্বারা আল্লাহ জাল্লা যিকরুহু যা হারাম করেছেন তার দিকে হাঁটবে না। এ বিষয়ে তিনি বলেন,
আর যমীনে বড়াই করে চলো না; তুমি তো কখনো যমীনকে ফাটল ধরাতে পারবে না এবং উচ্চতায় কখনো পাহাড় সমান পৌঁছতে পারবে না।
আল-ইসরা : ৩৭
আর তিনি চেহারার ওপর ফরয করেছেন রাত ও দিনে এবং নামাযের সময়ে আল্লাহর জন্য সেজদা করাকে। এ বিষয়ে তিনি বলেন,
হে মুমিনগণ! তোমরা রুকূ কর, সিজদা কর, তোমাদের রবের ইবাদাত কর এবং ভাল কাজ কর, আশা করা যায় তোমরা সফল হতে পারবে।
আল-হাজ্জ : ৭৭
এবং তিনি বলেছেন
আর মাসজিদসমূহ কেবলই আল্লাহর জন্য সুতরাং তুমি আল্লাহর সাথে কাউকে ডেকো না।
আল-জিন : ১৮
মাসজিদসমূহ দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে: আদম সন্তান স্বীয় সালাতে যার ওপর সেজদা করে তাই, যেমন, কপাল ইত্যাদি
তিনি বলেন, এ হলো আল্লাহ তা‘আলা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসমূহের ওপর যা ফরয করেছেন তার আলোচনা।
আর পবিত্রতা এবং সালাতসমূহকে আল্লাহ স্বীয় কিতাবে ঈমান বলে নাম রেখেছেন যখন আল্লাহ তা‘আলা তার নবীর চেহারাকে বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে সালাত আদায় করা থেকে ফিরিয়ে দেন এবং কা‘বার দিকে সালাত আদায় করার নির্দেশ দেন। মুসলিমগণ ষোল মাস বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে সালাত আদায় করেছিল, ফলে তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল আমরা বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরে যে সালাত আদায় করেছি তার এবং আমাদের অবস্থা কি হবে?
ফলে আল্লাহ তা‘আলা নাযিল করলেন,
এবং আল্লাহ এমন নন যে, তিনি তোমাদের ঈমানকে বিনষ্ট করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল, পরম দয়ালু।
আল-বাকারাহ : ১৪৩
তিনি সালাতকে ঈমান নামকরণ করেছেন, অতএব যে ব্যক্তি স্বীয় সালাত ও স্বীয় অঙ্গসমূহের হিফাযতকারী এবং তার অঙ্গসমূহের প্রত্যেক অঙ্গ দ্বারা আল্লাহ যার আদেশ করেছেন ও তার ওপর যা ফরয করেছেন তা পালনরত অবস্থায় আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করবে, সে পূর্ণ ঈমানদার এবং জান্নাতী হিসেবে সাক্ষাত করবে। আর যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আল্লাহ যা আদেশ করেছেন তা ছেড়ে দিবে, সে আল্লাহর সাথে ত্রুটিপূর্ণ ঈমান অবস্থায় সাক্ষাত করবে।
লোকটি বলল, আমি ঈমান কমে যাওয়া ও পূর্ণ হওয়ার বিষয়টি জানলাম। কিন্তু ঈমান বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি কোথা থেকে আসলো?শাফেঈ বললেন, আল্লাহ জাল্লা যিকরুহু বলেন,আর যখনই কোন সূরা নাযিল করা হয়, তখন তাদের কেউ কেউ বলে, ‘এটি তোমাদের কার ঈমান বৃদ্ধি করল’? অতএব যারা মুমিন, নিশ্চয় তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করেছে এবং তারা আনন্দিত হয়।আর যাদের অন্তরে ব্যাধি রয়েছে, এটি তাদের অপবিত্রতার সাথে অপবিত্রতা বৃদ্ধি করে এবং তারা মারা যায় কাফির অবস্থায়।আত-তাওবাহ : ১২৪, ১২৫এবং তিনি বলেছেননিশ্চয় তারা কয়েকজন যুবক, যারা তাদের রবের প্রতি ঈমান এনেছিল এবং আমি তাদের হিদায়াত বাড়িয়ে দিয়েছিলাম।আল-কাহাফ : ১৩
শাফেঈ বললেন, আল্লাহ জাল্লা যিকরুহু বলেন,
আর যখনই কোন সূরা নাযিল করা হয়, তখন তাদের কেউ কেউ বলে, ‘এটি তোমাদের কার ঈমান বৃদ্ধি করল’? অতএব যারা মুমিন, নিশ্চয় তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করেছে এবং তারা আনন্দিত হয়।
আর যাদের অন্তরে ব্যাধি রয়েছে, এটি তাদের অপবিত্রতার সাথে অপবিত্রতা বৃদ্ধি করে এবং তারা মারা যায় কাফির অবস্থায়।
আত-তাওবাহ : ১২৪, ১২৫
এবং তিনি বলেছেন
নিশ্চয় তারা কয়েকজন যুবক, যারা তাদের রবের প্রতি ঈমান এনেছিল এবং আমি তাদের হিদায়াত বাড়িয়ে দিয়েছিলাম।
আল-কাহাফ : ১৩
শাফে‘ঈ বললেন, এ ঈমান যদি সবই এক হতো যাতে কোন কম বা বেশি নেই, তাহলে এতে কারো কোন শ্রেষ্ঠত্ব থাকতো না। মানুষ সবাই সমান হতো এবং শ্রেষ্ঠত্ব বাতিল হয়ে যেতো। তবে ঈমানের পূর্ণতা দ্বারা মু’মিনগণ জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর ঈমান বেশি হওয়ার কারণে মুমিগণের স্তর আল্লাহর নিকট জান্নাতে বৃদ্ধি পাবে আর ঈমান কম হওয়ার কারণে বাড়াবাড়িকারীগণ জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
শাফে‘ঈ বললেন, আল্লাহ জাল্লা ওয়া আযযা তার বান্দাদের মাঝে প্রতিযোগীতার ব্যবস্থা করেছেন যেমন ঘোড়ার মাঝে প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রতিযোগিতার দিন। অতঃপর যে তাদেরকে ছাড়িয়ে যাবে তারা বিভিন্ন স্তরের হবে। আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক মানুষকে তার প্রতিযোগীতার স্থানের ওপর রাখবেন। তাতে তার প্রাপ্য কমাবেন না। কোন পশ্চাতগামী লোক প্রতিযোগীতায় অগ্রগামীকে ডিঙ্গিয়ে যাবে না এবং কোন অনুত্তম ব্যক্তি উত্তম ব্যক্তির ওপর প্রাধান্য পাবে না। এ কারণেই উম্মতের প্রথম যুগের মানুষকে শেষ যুগের মানুষের ওপর ফযীলত দেওয়া হয়েছে। ঈমানে অগ্রগামী ব্যক্তির যদি তাতে পশ্চাতগামী লোকের উপর কোনো ফযীলত না হতো তাহলে এ উম্মতের শেষাংশ তার প্রথমাংশের সাথে মিলে যেতো।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/31/17
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।