hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সূরা আত-তাওবার তাফসীর

লেখকঃ জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের

১২
ইয়াহূদী-নাসারাদের শির্ক ও কুফরী, যা তাদেরকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার কারণ:
আল্লাহ তা‘আলা মুমিনগণকে উদ্বুদ্ধ করছেন ইয়াহূদী-খৃষ্টান মুশকির-কাফির সম্প্রদায়কে হত্যার করার ব্যাপারে। কেননা তারা আল্লাহ তা‘আলার বিরুদ্ধে জঘন্য মিথ্যাচার করে, ইয়াহূদীরা উযাইর আলাইহিস সালাম সম্পর্কে বলে: তিনি হচ্ছেন আল্লাহর পুত্র, আল্লাহ তা‘আলা এ ধরণের কথা-বার্তা থেকে অনেক অনেক উর্ধ্বে। ...

অনুরূপভাবে ঈসা মাসীহ আলাইহিস সালামের ব্যাপারে খৃষ্টানদের গোমরাহি সুস্পষ্ট। এ কারণে আল্লাহ তা‘আলা উভয় দলকে মিথ্যাবাদী ঘোষণা করে বলেন: ذَٰلِكَ قَوۡلُهُم بِأَفۡوَٰهِهِمۡۖ “এসব তাদের মুখের কথা) অর্থাৎ মিথ্যা ও ভ্রান্ত কথাবার্তা ছাড়া তারা যে দাবি করেছে সে ব্যাপারে তাদের কোনো ভিত্তি নেই। يُضَٰهِ‍ُٔونَ “অনুকরণ করে” অর্থাৎ সাদৃশ্য সৃষ্টি করে قَوۡلَ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ مِن قَبۡلُۚ “এতে তারা তাদের পূর্বেকার কাফিরদের কথারই” অর্থাৎ তাদের পূর্বে যে সমস্ত জাতি ছিল এরা তাদের অনুকরণ করছে, ফলে তারা তাদের মত গোমরাহ হয়ে গেছে قَٰتَلَهُمُ ٱللَّهُۖ “আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করুন” আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন: তাদের উপরে আল্লাহ তা‘আলার অভিশাপ أَنَّىٰ يُؤۡفَكُونَ “কেমনভাবে তারা সত্য পথ থেকে দূরে ছিটকে পড়েছে” অর্থাৎ কীভাবে তারা সত্য থেকে বিভ্রান্ত হচ্ছে অথচ তা সুস্পষ্ট, তারা মিথ্যার প্রতি ফিরে আসছে?

আল্লাহ তা‘আলার বাণী: ٱتَّخَذُوٓاْ أَحۡبَارَهُمۡ وَرُهۡبَٰنَهُمۡ أَرۡبَابٗا مِّن دُونِ ٱللَّهِ وَٱلۡمَسِيحَ ٱبۡنَ مَرۡيَمَ “আল্লাহকে বাদ দিয়ে তারা তাদের ‘আলিম আর দরবেশদেরকে রব বানিয়ে নিয়েছে; আর মারইয়াম-পুত্র মাসীহকেও” ইমাম আহমাদ, তিরমিযী এবং ইবনু জারীর ‘আদী ইবনু হাতিম রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণনা করেন, তাঁর নিকট যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দাওয়াত পৌঁছে তখন তিনি পালিয়ে শামে চলে যান। তিনি জাহেলী যুগে খৃষ্টান ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর বোন এবং তাঁর জাতির একদল লোক বন্দী হয়। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বোনের প্রতি দয়া করে মুক্ত করে দেন এবং কিছু উপঢৌকনও প্রদান করেন। পরবর্তীতে তিনি তাঁর ভাইয়ের কাছে ফিরে এসে তাকে ইসলাম গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেন আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট যেতে বলেন। আদী মদীনায় আগমন করেন। তিনি ছিলেন তাঁর তা’ঈ সম্প্রদায়ের সর্দার। তাঁর পিতা হাতিম তা’ঈ বদান্যতার জন্য প্রসিদ্ধ ছিলেন। লোকেরা তাঁর আগমনের কথা বলাবলি করতে থাকেন। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট প্রবেশ করেন। এ সময় আদীর কাঁধে রৌপ্যের ক্রুশ ছিল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ আয়াত পাঠ করেন: ٱتَّخَذُوٓاْ أَحۡبَارَهُمۡ وَرُهۡبَٰنَهُمۡ أَرۡبَابٗا مِّن دُونِ ٱللَّهِ “আল্লাহকে বাদ দিয়ে তারা তাদের ‘আলিম আর দরবেশদেরকে রব বানিয়ে নিয়েছে” তিনি বলেন: আমি বলি: তারা তো ওদের ইবাদত করে নি, ফলে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন: তা বটে; কিন্তু তারা তাদের উপরে হালাল বিষয়কে হারামে পরিণত করেছে আর তাদের জন্য হারাম বিষয়কে হালালে পরিণত করেছে, এরপর তারা তাদেরকে অনুসরণ করেছে, আর এভাবেই তারা তাদের ইবাদত করেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: হে ‘আদী তুমি কি ‘আল্লাহু আকবার’ (আল্লাহ সবচেয়ে বড়) এ কথা বলার ভয়ে শামে পালিয়ে গিয়েছিলে? তোমার কি জানা আছে যে, আল্লাহ তা‘আলার চেয়ে বড় কিছু রয়েছে? কীসে তোমাকে পালাতে উদ্বুদ্ধ করেছিল? তোমাকে لا إله إلا الله “আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোনো উপাস্য নেই” এ কথা বলতে হবে বলে কি তুমি পালিয়েছিলে? আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোনো উপাস্য রয়েছে বলে কি তোমার জানা আছে? এরপর তিনি তাঁকে ইসলামের দাওয়াত দিলে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং সত্যের ঘোষণা প্রদান করেন। তিনি বলেন: আমি তাঁর চেহারায় খুশির ঝিলিক দেখতে পাই এরপর তিনি বলেন: ইয়াহূদীরা হচ্ছে অভিশপ্ত, আর খৃষ্টানরা হচ্ছে পথভ্রষ্ট।

হুযাইফাহ ইবনুল ইয়ামান, আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা এবং অন্যান্যরা ٱتَّخَذُوٓاْ أَحۡبَارَهُمۡ وَرُهۡبَٰنَهُمۡ أَرۡبَابٗا مِّن دُونِ ٱللَّهِ “আল্লাহকে বাদ দিয়ে তারা তাদের ‘আলিম আর দরবেশদেরকে রব বানিয়ে নিয়েছে” এই আয়াতের তাফসীর প্রসঙ্গে এ মত ব্যক্ত করেন: তারা যা কিছু হালাল ও হারাম করে দিয়েছিল তাই তারা মেনে নিয়েছিল। এ কারণে আল্লাহ তা‘আলা বলেন: وَمَآ أُمِرُوٓاْ إِلَّا لِيَعۡبُدُوٓاْ إِلَٰهٗا وَٰحِدٗاۖ “অথচ তাদেরকে এক ইলাহ ব্যতীত (অন্যের) ‘ইবাদাত করার আদেশ দেওয়া হয় নি” অর্থাৎ যিনি কোনো জিনিসকে যখন হারাম করেন তখন তা হারাম আর যা তিনি হালাল করেন সেটা হালাল বলে গন্য। তিনি যে আইন দিয়েছেন তা পালনীয় আর তিনি যে নির্দেশ দিয়েছেন অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে। لَّآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَۚ سُبۡحَٰنَهُۥ عَمَّا يُشۡرِكُونَ “তিনি ব্যতীত সত্যিকারের কোনো ইলাহ নেই, প্রশংসা আর মহিমা তাঁরই, (বহু ঊর্ধ্বে তিনি) তারা যাদেরকে (তাঁর) অংশীদার গণ্য করে তাত্থেকে।” তিনি সুউচ্চ, পবিত্র, শরীক, সমকক্ষ, সাহায্যকারী, প্রতিপক্ষ এবং সন্তানসন্তুতি থেকে মুক্ত। তিনি ছাড়া প্রকৃত কোনো উপাস্য নেই, তিনি ছাড়া কোনো রব নেই।

﴿يُرِيدُونَ أَن يُطۡفِ‍ُٔواْ نُورَ ٱللَّهِ بِأَفۡوَٰهِهِمۡ وَيَأۡبَى ٱللَّهُ إِلَّآ أَن يُتِمَّ نُورَهُۥ وَلَوۡ كَرِهَ ٱلۡكَٰفِرُونَ ٣٢ هُوَ ٱلَّذِيٓ أَرۡسَلَ رَسُولَهُۥ بِٱلۡهُدَىٰ وَدِينِ ٱلۡحَقِّ لِيُظۡهِرَهُۥ عَلَى ٱلدِّينِ كُلِّهِۦ وَلَوۡ كَرِهَ ٱلۡمُشۡرِكُونَ ٣٣ ﴾ [ التوبة : ٣٢، ٣٣ ]

“৩২. তারা তাদের মুখের ফুঁৎকারে আল্লাহর আলোকে নিভিয়ে দিতে চায়; কিন্তু আল্লাহ তা হতে দিবেন না, তিনি তাঁর আলোকে পূর্ণ না করে ছাড়বেন না, যদিও কাফিরগণ তা অপছন্দ করে। ৩৩. তিনি তাঁর রাসূলকে হিদায়াত আর সঠিক দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন যাবতীয় দ্বীনের উপর একে বিজয়ী করার জন্য যদিও মুশরিকগণ না পছন্দ করে। [সূরা আত-তাওবাহ: ৩২-৩৩]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন